হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস পর্ব_১৫ মোহনা_হক

হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস
পর্ব_১৫
মোহনা_হক

স্তব্ধ রুয়াত। আয়াজের সাথে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা শুনে যেনো তার শরীর কেঁপে উঠে। চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। তার শরীরের প্রবাহিত রক্ত যেনো হঠাৎ করে থেমে যায়। ইনিমা তড়িঘড়ি করে জড়িয়ে ধরে বোন কে।

-‘রুয়াত নিজেকে শান্ত রাখ। এমন করলে চলবে না।’

ইনিমা মেহরুবা কে ডাকে। আরহাম বলেছে মায়া চৌধুরী কে নিয়ে যেনো তারা তাড়াতাড়ি হসপিটালে পৌঁছায়। সবাই হসপিটালে পৌঁছায়। মাঝ পথ থেকে মায়া চৌধুরী কে নিয়ে যায়। রুয়াত সারাক্ষণ গাড়িতে বসে কেঁদেছে। সবাই এতো বার করে বলেছে কাঁদতে না। তাও আয়াজের এমন ঘটনা শুনে নিজেকে সামলাতে পারেনি। ভীষণ খারাপ লাগছে তার। মেহরুবা তার মেয়ে কে অনেক বোঝায়। নাহ্ কোনো লাভ হলো না মেয়ের কান্না বন্ধ হচ্ছে না। রুয়াতের এরকম আচরণে সবাই কিছুটা অবাক হয়। শুধুমাত্র এমন প্রতিকূল মুহূর্তে এসব নিয়ে এতো বেশি মাথা ঘামায় নি।
মায়া চৌধুরী এসেই ছুটেছে ছেলের কাছে। আয়াজের এমন হয়েছে শুনে তার হৃদয় যেনো কাতর হয়ে আছে। চোখের শান্তি মিটাবার জন্যে তিনি ছুটলেন ছেলের কাছে। আয়াজ খুব কম জায়গায় ব্যাথা পেয়েছে। আবার যে জায়গাগুলো তে পেয়েছে সেগুলো একদম অনেক ক্ষত হয়েছে। ডাক্তার সব চেকাপ করার কিছু মেডিসিন লিখে দেয়৷ এগুলো খেলে ঠিক হয়ে যাবে। আজকের দিন হসপিটালে থেকে কাল বাসায় চলে যাবে। মূলত আরহাম আজ বাসায় নিতে দিবে না। তাই বাধ্য হয়েই আয়াজের এখানে থাকতে হচ্ছে।

মায়া চৌধুরী কাঁদছেন ছেলে কে বুকে জড়িয়ে। আয়াজ আর আরহাম অনেক বুঝিয়েছে তাকে। কিন্তু তার মনের ভয় সংকট কোনোটিই দূর হচ্ছে না। আজ যদি তার আদরের ছোট ছেলের কিছু হয়ে যেতো নিজেকে কিভাবে ক্ষমা করতেন তিনি? মায়া চৌধুরী কখনো চায়নি ছেলে রাজনীতি করুক। এই অবাধ্য ছেলে আর কার কথা শুনে? পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই রাজনীতিতে যোগ দেয়। প্রথমে মায়া চৌধুরী আর ফজলুল চৌধুরী মত না দিলেও পরবর্তী সময়ে তারাও রাজি হয়েছেন।

আয়াজ তার মায়ের মাথায় হাত বুলাচ্ছে।
-‘মা আমার তেমন কিছু হয়নি তো। তুমি এতো কেঁদো না। কয়েকদিন যেতেই দেখবে আমি ঠিক হয়ে গিয়েছি একদম।’

মন মানছে না মায়া চৌধুরীর। আরহাম এসে তার মায়ের হাত ধরে বলে-
-‘আয়াজ ঠিক হয়ে যাবে। এখন বাহিরে চলো। সবার তো দেখা করা লাগবে।’

মায়া চৌধুরী ছেলে কে ছেড়ে যেতে চাচ্ছিলেন না। আরহাম জোর করে বাহিরে নিয়ে আসে। এক এক করে ফজলুল চৌধুরী, মেহরুবা, হান্নান মজুমদার দেখা করে আসে। একসাথে এক জনের বেশি মানুষ দেখা করতে পারে না। হাসপাতালের কতৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে। বাকি রইলো ইনিমা আর রুয়াত। আরহাম তাদের সামনে এসে বলে-

-‘এখন কে আগে যাবে বলো? দু’জনেই আমার খুব কাছের মানুষ।’

ইনিমা রুয়াত কে বলে-
-‘তুই আগে যা রুয়াত।’

রুয়াত মাথা নাড়িয়ে বললো-‘
-‘তুমি দেখা করে আসো।’

গলার অবস্থা বারোটা বেজে গিয়েছে রুয়াতের। আজ ঘামে গরমে রৌদের মধ্যে থেকে ঠান্ডা লেগেছে। তার
উপর আয়াজের জন্য কেঁদেছে কতক্ষণ। সারাটা পথ রুয়াত কেঁদে কাটিয়েছে। ইনিমা টিস্যু দিয়েছিলো সেটা পুরোপুরি ভিজিয়ে ফেলেছে। এখন কাঁদলে শুধু ওড়নায় চোখ মুখ মুছে। ইনিমাই আগে দেখা করতে যায় আয়াজের কাছে।

আয়াজ বেডে শুয়ে আছে। পিঠ ধরে গিয়েছে তার। এভাবে শুয়ে থাকা যায় নাকি?
-‘কেমন আছেন দেবর সাহেব?’

ইনিমার কন্ঠস্বর শুনেই আয়াজ তাকায় সেদিকটায়। সোজাসাপ্টা বলে-
-‘এইতো ভালো আছি।’

ইনিমা আয়াজের সামনে গিয়ে বলে-
-‘কোন কোন জায়গায় লেগেছে? এখন ও ব্যাথা আছে?’

-‘তেমন লাগেনি। মেডিসিন দিয়েছে এখন ব্যাথা একটু কম।’

ইনিমা হেসে বলে-
-‘তোমার চিন্তায় একজন চেহেরাটা কি বানিয়েছে সামনে থেকে দেখলে বুঝবে। আসার সময় সারা পথ শুধু কেঁদেছে।’

আয়াজ ভ্রু কুচকে ফেলে। শুধু রুয়াত ছাড়া আর কেউ নেই যে এখনো তার সাথে দেখা করেনি। তাই সর্ব প্রথম তার প্রেয়সীর কথাটিই মনে পড়ে।

-‘এসেছে?’

-‘হুম।’

ইনিমা আরও কিছুক্ষণ কথা বলে আয়াজের সঙ্গে। ইনিমার আসতে দেরি হচ্ছে দেখে রুয়াত ওয়াশরুম থেকে মুখে পানি দিয়ে আসে। খুব বাজে লাগছিলো তাকে। ইনিমা বের হয়ে আসে। এবার রুয়াত যাবে। হাত পা কাঁপছে। বুক ধুকপুক শুরু করেছে। আয়াজ কে একদম পুরোপুরি মন থেকে মেনে নেওয়ার পর এই প্রথম তার সাথে দেখা করবে। মনের ভিতর কেমন ভয় লাগা শুরু হয়েছে। না জানি আয়াজ কি বলবে। সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। আরহাম নিয়ে যায় রুয়াত কে। কেবিনে রুয়াত কে দিয়ে আসার পর সে চলে আসে। আয়াজ বেডের পিছন দিক বালিশ দিয়ে এখন হেলান দিয়ে বসে আছে। দু হাত বুকে গুঁজে আছে। কেবিনে ঢুকে রুয়াতের আর সাহস হয়নি সামনে এগোনোর। পা যেনো চলছে না। আয়াজ ক্রমাগত দেখেই চলছে রুয়াতের কর্মকান্ড।

-‘দূর থেকে আমাকে দেখা শেষ হলে এবার কাছে এসো। আমার তোমাকে দেখা শেষ হয়নি এখনো।’

রুয়াত মাথা তুলে তাকায় আয়াজের দিকে। আবার তৎক্ষনাত চোখ সরিয়ে ফেলে। কিন্তু আয়াজ কে কিভাবে বোঝাবে তার ভয় করছে সে সামনে এগুতে পারছে না। রুয়াত আসছে না দেখে একটু ধমক দিয়ে বলে-

-‘আসবে তুমি? নাকি আমি উঠে আসবো বলো।’

আরহাম তখন বাহিরে দাঁড়িয়ে বলেছিলো আয়াজ পায়ে ব্যাথা পেয়েছে বেশি। আর রুয়াত কখনোই চায় না তার জন্য আয়াজের কিছু হোক। তাই দ্রুত পায়ে আয়াজের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। আয়াজ একটু সরে হাত ধরে রুয়াতের। টান দিয়ে বসায়। বসতে বললেও বসবে না। তাই ইচ্ছে করেই এমন করেছে।

-‘এতো কাঁদার কি আছে? এমন মনে হচ্ছে আমি মরে গিয়েছি তার জন্য এমন ভাবে কেঁদেছো।’

বুকটা যেনো ছ্যাৎ করে উঠে রুয়াতের। সামান্য এক্সিডেন্টের কথা সহ্য করতে পারেনি আর সেখানে তো। রুয়াত একটু নিচু স্বরে বললো-‘

-‘এমন কথা বলবেন না দয়া করে। আমার কষ্ট হয় খুব।’

আয়াজ হাসে। তার প্রেয়সী যে তাকে ভালোবাসে এটা খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পেরেছে। এখন মনেহচ্ছে সে ব্যর্থ হয়ে যায়নি। শুধুমাত্র রুয়াতের মুখ থেকে শোনার অপেক্ষা।

-‘কোঁথায় কষ্ট হয় তোমার?’

রুয়াত আশেপাশে তাকায়। মাঝে মাঝে আয়াজ এমন এমন প্রশ্ন করে উত্তর দেওয়ার কোন পথ রাখে না। আয়াজ রুয়াতের হাতের তালুতে ছোট ছোট চুমু দেয়। রুয়াত চোখ বন্ধ করে আছে। আয়াজ হেসে বলে-

-‘এটুকু সহ্য করতে পারছো না। বড় বড় জিনিস কিভাবে সহ্য করবে সেটাই ভাবছি।’

সর্বাঙ্গ শরীর কেঁপে উঠে রুয়াতের। হসপিটালে রয়েছে তারপরেও তার এমন লাগামহীন কথা-বার্তা যাচ্ছে না।

-‘এখন কেমন আছেন আপনি?’

আয়াজের সম্পুর্ণ নজর রুয়াতের দিকে। কিন্তু বরাবরের মতোই রুয়াতের দৃষ্টি নিচের দিকে।

-‘এই তুমি আমার দিকে তাকাও। অন্য কোনো ছেলের দিকে চোখ তুলে তাকানো হারাম। তোমার সম্পুর্ণ নজর আমার উপর থাকবে। আমি পরপুরুষ নই। তাকাও আমার দিকে।’

রুয়াত একবার তাকালেও আবার চোখ সরিয়ে নেয়। আয়াজের চোখ অতিরিক্ত লাল হয়ে আছে। এমন ভয়ংকর চোখের দিকে তাকানোর সাহস নেই রুয়াতের। আয়াজ তার প্রেয়সীর থুতনিতে হাত রেখে মাথা উঠিয়ে দেয়।

-‘চোখ মুখ লাল বানিয়ে ফেলেছো একদম। আমায় দেখো তোমার থেকে একদম ভালো আছি।’

-‘একটু ও ভালো নেই আপনি। কিভাবে এসব হয়েছে?’

আয়াজ রুয়াতের দিকে তাকিয়ে আছে। রুয়াত কে
কখনোই বলা যাবে না। যদি জানে রাজনীতি বিষয়ক ঝামেলা নিয়ে এমন হয়েছে এখন যেভাবে ভালোবেসেছে তখন ভালোবাসার ‘ভ’ ও বাসবে না।

-‘আজ দেখা করতে চেয়েছিলে?’

বড়সড় ঢোক গিলে রুয়াত।
-‘জ্বী। আপনি অনেক ব্যস্ত ছিলেন।’

-‘হ্যাঁ। তোমার সাথের মেয়ে চলে গিয়েছিলো তুমি কেনো দাঁড়িয়ে ছিলে? কলেজে তুমি ছাড়া আর কোনো মেয়ে ছিলো না আমি যা দেখেছি। চলে আসতে পারলে না? কতো ছেলে ছিলো। সেফটি জিনিস বুঝো তো আসলে?’

আয়াজ শেষের কথা একটু জোরেই বলেছে। রুয়াত তো তার সাথেই কথা বলতে গিয়েছিলো।

-‘আপনি অসুস্থ আর এটা হসপিটাল। দয়া করে জোরে কথা বলবেন না।’

শান্ত হয় আয়াজ।
-‘পরের বার থেকে মনে থাকে যেনো। আর ভুলে গেলে সেটার জন্য শাস্তি পাবে। এখনকারটা তোলা থাকলো। আশাকরি বুঝেছো।’

মাথা নাড়ায় রুয়াত।
-‘আমি আসি এবার।’

আয়াজ হাত ছেড়ে দেয় রুয়াতের। মেয়েটি সামনে থাকলে নিজেকে বড্ড বেসামাল লাগে। ইশারায় বলে চলে যেতে। রুয়াত চলে আসে বাহিরে। হান্নান মজুমদার আবার দেখা করে আসে আয়াজের সাথে। রুয়াত মেহরুবার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। মায়া চৌধুরী চলে যাবেন একটু পর বাসায়। আয়াজের সাথে আরহাম থাকবে। আরহাম কাউকে থাকতে দেয়নি। সবাই কে বাসায় যাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছে।

ইনিমা আরহামের পাশে দাঁড়ায়।
-‘তুমি কিভাবে সবদিক সামলাবে? আমি থাকি নাহয়?’

আরহাম ইনিমার কাঁধে হাত দেয়।
-‘আমি পারবো সামলাতে। তুমি অসুস্থ এখন। বাসায় যাও ফ্রেশ হও রেস্ট নাও কাল নাহয় একবার আমাদের বাসা থেকে ঘুরে এসো। এই ফাঁকে আয়াজ কে ও দেখা হয়ে যাবে।’

-‘আচ্ছা।’

আরহাম সবাই কে গাড়ি তে উঠিয়ে দেয়। আয়াজ বলেছে জলদি কাজ সেড়ে তার কাছে যেতে। আর আরহাম ও তাই করলো। কেবিনে দু’জন পুলিশ এসেছে। আয়াজের এক্সিডেন্টের খবর মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। হসপিটালের কতৃপক্ষ শুধুমাত্র আয়াজের জন্য নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। পাশের কেবিন থেকে সাহেদ কে ও নিয়ে আসা হয়েছে। আয়াজের থেকে সাহেদের বেশি ক্ষতি হয়েছে। হাতের কনুই আর পা ছিলে গিয়েছে একদম। গাড়িটার অবস্থা খুব খারাপ হলেও আয়াজের তেমন লাগেনি। আয়াজের প্রথমত ভুল হচ্ছে গার্ডদের ছাড়া কোঁথাও যাওয়া। কোনো পলিটিক্যাল কারণ ছাড়া আয়াজ গার্ড সাথে রাখে না। এটাই হচ্ছে তার সর্বোচ্চ ভুল। আয়াজ সোজা হয়ে বসে। তার দৃষ্টি জানালার দিকে।

-‘আমি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা ইকরামুল কে কোনো রকম শাস্তি দিবেন না।’

আরহামের রাগ হয় আয়াজের কথায়। এমন কথার কোনো ভিত্তি আছে? মানে যা মনে আসে তাই বলে।
-‘কেনো? আবার যদি তোর ক্ষতি করার চেষ্টা করে তখন?’

সাহেদ আরহামের কথায় একমত। শুধু স্যার কে ভয় পায় বলে আজ আরহামের সাথে চিৎকার করে ‘সহমত’ কথাটি বলতে পারছে না। আর আইন সবার ঊর্ধ্বে। সেখানের আয়াজের এরূপ কথা মেনে নিতে পারছে না পুলিশ প্রশাসক।

-‘দেখুন মি. চৌধুরী আমরা আইনের লোক। আর আপনার উপর এরূপ অ্যাটাক এসেছে আমরা যদি ঘাপটি মেরে বসে থাকি আমাদের উপরের কোনো অফিসার এটা জানলে সমস্যা হবে। আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন আর আমরা ইকরামুল কে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আপনার আর এসব বিষয়ে না জড়ানোটাই ভালো।’

আয়াজ শান্ত স্বরে বলে-
-‘আইন আমি আপনাদের দেখাবো। শুধু বেশি না তিনটে দিন আমায় সময় দিন আমি সুস্থ হয়ে নিই তারপর আমার ব্যপার আমি বুঝবো। আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে কারো না জড়ানোটাই ভালো।’

পুলিশ প্রশাসক হকচকিয়ে গেল। আয়াজ তার কথা আবার তাকেই ফিরিয়ে দিলো।

-‘জ্বী। কিন্তু এবার থেকে সব সময় গার্ড রাখবেন সঙ্গে। আসি আসসালামু আলাইকুম।’

পুলিশ চলে যায়। সাহেদ কে ধরে একটা নার্স তার কেবিনে দিয়ে আসলো। আরহামের মেজাজ গরম হচ্ছে। প্রতিবার তার ভাই এমন ত্যা’ড়া’মি করবে আর শেষে অস্ত্রের সাহায্যে নিবে।

-‘কিছু কিছু সময়ে মানুষের কথাও শুনতে হয়।’

আয়াজ বিরক্তিকর শব্দ করলো।
-‘কথা বলো না। আমার কারো কথা শোনার প্রয়োজন নেই।’

আরহাম রাগে মুখটা ফিরিয়ে নিয়েছে। মিনমিন করে বললো-
-‘এই আধ পাগলকে কে সামলাবে।’

আয়াজ শুনে ফেলেছে ঠিকই। আরহাম মুখটা বেজার করে রেখেছে। আয়াজ অট্টহাসি দিয়ে আরহামের দিকে তাকায়।

-‘একমাত্র তোমার শালীকাই এই আধ পাগলটা কে সামলাতে পারবে।’

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here