স্বপ্নচারিণী,পর্ব_১১

স্বপ্নচারিণী,পর্ব_১১
সামান্তা সিমি

নীলুফা চৌধুরী মুচকি হেসে বিছানায় বসলেন।নিশানের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলেন,

“—যূথীকে তোর পছন্দ? ”

নিশান কোনো উত্তর না দিয়ে মায়ের কোলে মাথা রাখল।

“—কিরে! কিছু বলছিস না কেনো? যূথীকে তোর পছন্দ?”

নিশানের শীতল কন্ঠ,

“—আমি ওকে চাই মা।মেয়েটাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।”

“—দেখলি মায়ের চোখ কখনো ভুল হতে পারে না।যূথীর দিকে তোর যখন তখন ওইরকম তাকানো দেখেই আমি এমন কিছু একটা সন্দেহ করেছিলাম।আর আজকে আমার ধারণা সত্যি হয়ে গেল।”

“—বাট মা! যূথী বাড়ির লোকজনদের ভয়ে আমার থেকে দূরে দূরে থাকছে।মেয়েটা খুব কাওয়ার্ড।”

“—একদমই না।যূথী যা করেছে ঠিক করেছে।ওর জায়গায় একবার নিজেকে চিন্তা করে দেখ তাহলেই বুঝতে পারবি।সে এই বাড়ির লোকজনদের কষ্ট দিতে চায় না তাই এমন করছে।কিন্তু তুই যূথীকে বিয়েতে যেতে মানা করছিস কেনো?”

“—ওর অনেক পানিশমেন্ট পাওনা আছে।আজ বাড়ি ফাঁকা থাকবে তাই।”

“—ওর সাথে একদম উল্টাপাল্টা কিছু করবি না।তোর তো রাগ সবসময় নাকের ডগায় থাকে।তুই শুয়ে থাক।আমি যূথীকে এই রুমে পাঠাচ্ছি। বোঝাপড়া করে নে।”

দরজার কাছে গিয়েই তিনি আবার ফিরে এসে বললেন,

“—আরেকটা কথা শোনে রাখ।যূথীকে এই ব্যপারে এখন কিছুই বলার দরকার নেই।শুধু শুধু মেয়েটা একটা মানসিক চাপে থাকবে।আর বাড়ির লোক তোদের সম্পর্কটা এত সহজে মেনে নিবে না।তাই আপাদত ওদেরও আমি কিছু জানাব না।”

কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিশান জবাব দিল,

“—ওকে।কিন্তু বাড়ির সবাই মানল কি মানল না এতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।নিশান কারো ধার ধারে না।দরকার পরলে যূথীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলব।”

নীলুফা চৌধুরী মুচকি হাসলেন।দুইদিন আগেও যে ছেলে বিয়ের নাম শুনলে রেগেমেগে বাড়ি মাথায় তুলত সেই ছেলে কিনা বলছে তুলে নিয়ে বিয়ে করবে।ছেলের এমন পরিবর্তনে তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।

নীলুফা চৌধুরী বেরিয়ে যেতেই নিশানের ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি ফুটে উঠল। এতদিন পর্যন্ত যূথী যে মেসেজ গুলো পাঠিয়েছে তার সবই সে পড়েছে।ইচ্ছে করেই কোনো রিপ্লাই করেনি।নিশানও চেয়েছে যূথীকে প্রচন্ড অস্থিরতায় রাখতে।ধীরে ধীরে যূথী তাঁর কাছে ধরা দিচ্ছে এটা কি মেয়েটা বুঝতে পারছে?

* যূথী সেজেগুজে মনীষাদের সাথে রুমে বসে আছে।সে কখনো লেহেঙ্গা পরেনি।তিনবোন তাঁকে জোর করে এই অফ হোয়াইট কালারের লেহেঙ্গাটা কিনে দিয়েছে। লেহেঙ্গাটা দেখতে না যত সুন্দর তার থেকেও দ্বিগুণ ভারি।এটা সামলাতে যূথী হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। তার উপর কানে লাগিয়েছে লেহেঙ্গার থেকেও ভারি ওজনের ঝুমকা।সবমিলিয়ে সে ভীষণ নাকানিচুবানি খাচ্ছে।
ড্রেসিং টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখে তিনবোন ইচ্ছামতো সেজেই যাচ্ছে। তবে ওদের রাজকন্যা থেকেও কম লাগছে না।ওরা অবশ্য এমনিতেই একেকটা সেই লেভেলের সুন্দরী।
যূথী এত সাজগোজ পছন্দ করে না।তাঁর ধারণা শ্যাম বর্ণের মেয়েদের হালকা সাজেই ভালো লাগে।
তখনই নীলুফা চৌধুরীকে দরজা দিয়ে ঢুকতে দেখে যূথী মুচকি হাসলো।
এ বাড়িতে যূথীর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ তাঁর বড়মা।
নীলুফা চৌধুরী যূথীর চিবুকে হাত রেখে বললেন,

“—বাহ্! দারুণ লাগছে তোকে।”

মুচকি হাসলো যূথী।তখনই পিছন থেকে নীলিমা বলে উঠল,

“—আর আমাদের বুঝি বাজে লাগছে তাই না বড়মা?”

“—সবাইকে খুব সুন্দর লাগছে।আমার আম্মু গুলোর উপর যেন কারো নজর না লাগে।” (নীলুফা চৌধুরী)

“—থ্যাংক ইউ বড়মা।” (নীলিমা)

নীলুফা চৌধুরী যূথীকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

“—তুই একটু আয় তো আমার সাথে।কিছু কথা বলব।”

যূথী লেহেঙ্গাটা উঁচু করে ধরে বড়মা’র পিছু পিছু করিডোরের ফাঁকা জায়গাটায় চলে এল।
নীলুফা চৌধুরী যূথীর হাত ধরে বললেন,

“—একটা ঝামেলায় পরে গেছিরে মা।নিশান একটু আগে গায়ে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।এদিকে বিয়ের নানা কাজ পরে আছে।আমি কোনটা ফেলে কোনটা সামলাব বলতো।তাই বলছি তুই বিয়েতে না গেলে হয় না?আমার সাথে সাথে একটু কাজ করবি।”

নিশানের ফিরে আসার খবর শুনেই যূথীর চোখমুখে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠল। অবশেষে লোকটার দেখা পাওয়া যাবে।এতদিন দূরে থেকেও বড্ড কষ্ট দিয়েছে যূথীকে।
যূথী আনন্দের সহিত বলল,

“—কোনে সমস্যা নেই বড়মা।আমি না হয় বিয়েতে না গেলাম।”

“—আচ্ছা তাহলে এই টেবলেটা ধর।এটা নিশানকে খাইয়ে দিয়ে আসবি কেমন? আমি মনীষাদের কাছে যাচ্ছি। তুই যাবি না শুনলে অযথা চেঁচামেচি করবে।ওদেরকে কিছু একটা বলে মানিয়ে আসতে হবে।”

* কোনোরকম নক ছাড়াই নিশানের রুমে ঢুকে পরল যূথী।কত ঠান্ডা করে রেখেছে রুমটাকে।বিছানার দিকে নজর পরতেই দেখল নিশান গায়ে কাঁথা পেঁচিয়ে মাথার উপর এক হাত রেখে শুয়ে আছে।
যূথীর বুক দুরুদুরু করছে।লোকটা কি ঘুমিয়ে নাকি জেগে আছে বুঝা যাচ্ছে না।
কি দিয়ে কথা শুরু করবে যূথী?

“—নিশান ভাইয়া? জেগে আছেন? ওষুধ নিয়ে এসেছি আমি।”

মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে যূথীর দিকে কিছুটা চোখ পাকিয়ে তাকাল নিশান।তৎক্ষনাৎ তাঁর হার্টবিট যেন স্লো হয়ে আসতে চাইছে।এই মেয়েটা কি তাঁকে মারার প্ল্যান করছে নাকি।এমনিতেই ওকে দেখলে একটা মারাত্মক নেশা কাজ করে।আর আজ তো লেহেঙ্গা পরে সামনে দাঁড়িয়ে আছে।আর কতভাবে ঘায়েল করবে তাঁকে?
নিশান অন্যদিকে তাকিয়ে জোরে জোরে কয়েকবার নিঃশ্বাস নিল।কিন্তু পরক্ষণেই যূথীর ঠোঁটের দিকে নজর দিতে তাঁর চোখ মুখ কুচকে গেল।যূথীর ঠোঁটে লিপস্টিক দেওয়াটা তাঁর একদমই পছন্দ হচ্ছে না।কেমন একটা নিষিদ্ধ ইচ্ছা জেগে উঠছে।

নিশানের এমন চাউনি দেখে যূথীর শরীরে কাপুনি ধরে গেল।এখনো কি নিশান ভাইয়া তাঁর উপর রেগে আছে?

“—পারমিশন ছাড়া আমার রুমে কেনো এসেছো তুমি?”

নিশানের বলা ক্রুদ্ধ স্বরের কথাটা শুনে থেমে গেল যূথী।কিভাবে ক্ষমা চাইবে সে? সে তো লোকটার চোখের দিকেই তাকাতে পারছে না।একটা ঢোক গিলে বলল,

“—আমি জানি আপনি আমার উপর অনেক রেগে আছেন।ওইদিন খুব খারাপভাবে কিছু বলে ফেলেছিলাম আপনাকে।তাঁর জন্য…মানে…আমি…. ”

যূথীর সব কথা গলায় আটকে আসল।রুম এত ঠান্ডা হওয়ার পরও তাঁর কপালে ঘামের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।

নিশান ধমকে উঠে বলল,

“—হোয়্যাট? মানে আমি এগুলো কি?”

“—মানে আমি সত্যিই খুব দুঃখিত নিশান ভাইয়া।মাফ করে দিন আমায়।”

কাঁথা সরিয়ে বিছানা থেকে নেমে আসলো নিশান।এবার যূথীর শরীরের কাপুনি আরো বেড়ে গেল।নিশানকে উদোম গায়ে দেখে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে।লোকটার কি একটুও লজ্জা নেই? একটা মেয়ের সামনে এভাবে খালি গায়ে বডি দেখিয়ে যাচ্ছে! কোনো উপায় না পেয়ে যূথী নিচের দিকে তাকিয়ে রইল।

যূথীর থেকে কয়েক ফুট দূরে দাঁড়িয়ে নিশান শান্ত গলায় বলল,

“—লুক অ্যাট মি!”

যূথী দাঁত খিঁচে সম্পূর্ণ অনিচ্ছায় নিশানের চোখে চোখ রাখল।

“—মাফ করব না তোমায়।তুমি যে কত বড় অপরাধ করেছো এটা নিজেও জানো না।”

মুহূর্তেই যূথীর মেজাজ তুঙ্গে উঠে গেল।এই লোকটা একটা পাক্কা শয়তান।মানুষের ফিলিংসের কোনো মূল্য দিতে জানে না।সে এত সুন্দর করে ক্ষমা চাইল অথচ উনি কিনা আরো দু চারটা ফালতু কথা শুনিয়ে দিচ্ছে। বড়মা নিশ্চিত লোকটার জন্মের পর ভুল করে মুখে মধুর বদলে চিরতার রস খাইয়ে দিয়েছে।
শুধুমাত্র উনার জন্যই তাঁর বিয়েতে যাওয়া মিস হয়ে গেল।তাঁর একূলও গেল ওকূলও গেল।
যূথীকে চুপ থাকতে দেখে নিশান আবার বলল,

“—এখন বেরিয়ে যাও এখান থেকে।রেস্ট নিতে চাই আমি।”

যূথীর চোখে পানি টলমল করছে।এত অপমানিত সে কোনোদিনও হয় নি।দোষ তাঁরই।সে-ই যেচে এসেছে অপমান গিলতে।তাঁর আগেই বুঝা উচিত ছিল লোকটা আর পাঁচটা মানুষের মত স্বাভাবিক না।স্বাভাবিক মানুষেরা কখনো এভাবে কারো মনে কষ্ট দিতে পারে না।
পেছনে ফিরে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের জলটা মুছে নিল যূথী।
দরজার কাছে যেতেই নিশান বাঁধ সাধল।

“—এক মিনিট! তোমার শাস্তি তো বাকি আছে এখনো।কাম হেয়ার।”

নিশানের কথা পাত্তা না দিয়ে যূথী ঠায় দাঁড়িয়ে রইল।সে চায় না তাঁর চোখের জল লোকটা দেখুক।চোখের জল অন্যদের দেখানো মানেই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা।
নিশান এগিয়ে গিয়ে যূথীকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিল।যূথীর মুখ উপরে তুলে বলল,

“— এসব কি লাগিয়েছো ঠোঁটে? আর যেন কখনো না দেখি।”

হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে যূথীর ঠোঁটের লিপস্টিকটা মুছে দিল নিশান।আচমকা এমন হওয়ায় যূথীর শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল।মাথাটা ঝিমঝিম করছে।লোকটা কখন কি করে বসে তা কল্পনার বাইরে।এখানে আর এক মুহূর্তও থাকা যাবে না।এক্ষুনি পালাতে হবে।
নিশান যূথীর গাল বেয়ে গড়িয়ে পরা চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলল,

“—এই চোখজোড়ায় জল মানায় না।”

যূথী পলকহীন চোখে দেখছে নিশানকে।এমন কেনো নিশান ভাইয়া? কখনো কিছু তিক্ত কথা দ্বারা মনে আঘাত দেয় আবার কখনো কিছু মিষ্টি কথা দ্বারা কাছে টেনে নেয়।

“—আমি এখন যাচ্ছি নিশান ভাইয়া।ওষুধটা খেয়ে নিবেন।আর আপনার না জ্বর।কিন্তু দেখে তো মনে হচ্ছে না।”

“—তাহলে কাছে এসে স্পর্শ করে দেখো।”

যূথী হতভম্ব হয়ে গেল।এসব কি কথাবার্তা বলছে নিশান ভাইয়া।মাঝে মাঝে এমন কিছু বলে বসে যে যূথী খুবই অপ্রস্তুত হয়ে পরে।কই অন্য কারো সাথে তো এমন করতে দেখে না!
মেডিসিন খেয়ে নিশান স্বাভাবিক ভাবে বিছানায় উঠে বসল যেন কিছুই হয়নি।

“—আমার মাথা খুব ব্যথা করছে।তোমার কাজ হচ্ছে আমার মাথার কাছে বসে চুল টেনে দেওয়া।ঘুমাব আমি। গট ইট?”

যূথীর চোখ বড় বড় হয়ে গেল।এরজন্যই কি সে বিয়েতে যাওয়াটা ক্যান্সেল করল?নিশান ভাইয়া এখন তাঁকে কাজের মেয়ে বানিয়ে দিল।যূথী বিড়বিড় করে বলল,

“—একেই বলে পোড়া কপাল।”

নিশান ভ্রু কুঁচকে বলে উঠল,

“—জল্পনা কল্পনা শেষ হলে এখানে আসো।”

“—পারব না আমি।আপনি কি আমাকে কাজের মেয়ে রেখেছেন?”

নিশানের শক্ত গলায় উত্তর,

“—কাজের মেয়েরা কখনো চুল টেনে দেয়?গবেট কোথাকার।”

রাগে যূথীর শরীর জ্বলে উঠল।আজকে সে প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বে।বারবার তাঁকে এভাবে অপমান করবে আর সে চুপচাপ মেনে নেবে কেনো?চুল টানানোর খুব শখ না?ঠিক আছে।আজকে এই বদ লোকটার মাথার সব চুল টেনে ছিড়ে ফেলবে সে।
ধুপধাপ পা ফেলে এগিয়ে আসলো যূথী।ততক্ষণে নিশান গায়ে কাঁথা মুড়ে শুয়ে পরেছে।

শিয়রের পাশে বসে নিশানের চুলে হাত রাখল যূথী।মুহূর্তেই তাঁর সমস্ত রাগ কোথায় যেন উধাও হয়ে গেল।কাঁপা কাঁপা হাতে সে চুল স্পর্শ করতে লাগল।নিশানের কপাল গরম হয়ে আছে।এতক্ষণ কি বুঝা গেছে যে লোকটার গায়ে এত জ্বর?দিব্যি সুস্থ মানুষের মত তাঁকে হেনস্তা করে গেছে।
যূথী খুব তীক্ষ্ণ ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নিশানকে।এত সুন্দর কেনো লোকটা?ভ্রু, চোখ, নাক,ঠোঁট সব যেন তুলি দিয়ে আঁকা।গায়ের ফর্সা রঙটাও নজরকাড়া! খোঁচা খোঁচা দাঁড়িগুলো ফর্সা গালের সাথে মানিয়েছে খুব।
সিগারেট খাওয়ার কারণে ঠোঁটগুলো কিছুটা কালচে হয়ে আছে।কেনো যে এত সিগারেট খায়!
যেকোনো মেয়ের স্বপ্নের পুরুষ হওয়ার যোগ্যতা রাখে নিশান ভাইয়া।কিন্তু সাইকো লোকটা তো কাউকে বিয়েই করবে না।
এই যে এখন ঘুমিয়ে আছে দেখলে কেউ বলবে যে লোকটার এত রাগ?সবসময় এমন ভাবে চলাফেরা করে যেন কাউকে তোয়াক্কা করে না।ভারি অদ্ভুত নিশান ভাইয়া।
কিছুক্ষণের মধ্যেই নিশানের শ্বাস ফেলার ভারি আওয়াজ শুনতে পেল যূথী।তাঁর মানে ঘুমিয়ে পরেছে।যাক বাঁচা গেল।এখন তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে তাঁকে লেহেঙ্গাটা খুলে ফেলতে হবে।
হঠাৎ কি হলো যূথীর সে হাত দিয়ে নিশানের গালে আলতো করে ছুঁয়ে দিল।কেনো জানি এই কাজটা করতে তাঁর খুব ইচ্ছে করছিল।ঘুমের মধ্যে লোকটাকে এত কিউট লাগছিল যে এখানে অন্য কেউ থাকলে হয়তোবা এটাই করে বসত।
হাত সরিয়ে নিবে এমন সময় নিশান যূথীর হাত টেনে ধরল।
ভড়কে গেল যূথী।নিশান ভাইয়া কি জেগে গেছে নাকি?কোনো আওয়াজ না আসায় বুঝতে পারল ঘুমের ঘোরেই এমন করছে।যূথী হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই নিশান আরো চেপে ধরে বিড়বিড় করে বলে উঠল,

“—প্লিজ আমার সাথে থাকো সানফ্লাওয়ার!”

যূথীর হাতটা মুখের সামনে নিয়ে একটা চুমো খেয়ে নিল।মাথা ভনভন করে উঠল যূথীর।চোখ খিঁচে বন্ধ করে নিয়েছে।মন শুধু একটাই কথা বলছে এই লোকটা খুব ভয়ংকর। এনার মধ্যে এমন কিছু আছে যেটা কাছে আসলেই যূথীকে জ্বালিয়ে ছারখার করে দিতে পারে।দূরে থাকতে হবে তাঁকে। অনেক দূরে।হ্যাঁচকা টান মেরে নিজের হাত ছাড়িয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল যূথী।

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here