স্বপ্নচারিণী,পর্ব_১০
সামান্তা সিমি
সকাল থেকে বাড়ি হৈচৈ এবং কলরবে মুখরিত।মাহির এবং কারিমার এঙ্গেজমেন্ট আজ।বাড়ির সবাই যে যার মত রেডি হতে ব্যস্ত।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা কারিমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।
মনীষা এবং বিদীষা আলমারি থেকে একের পর এক ড্রেস বের করেই যাচ্ছে। কোনোটাই তাঁদের পছন্দ হচ্ছে না।যূথী এবং নীলিমা পাশে দাঁড়িয়ে ওদের কীর্তি-কালাপ দেখছে।
“—কেউ আমাকে ড্রেস সিলেক্ট করে দাও।আমি কনফিউজড।” (মনীষা)
“—আমাকেও দাও।দেখো না আমার সবগুলো জামা কেমন পুরনো লাগছে।” (বিদীষা)
“—তোরা দুবোন জাস্ট বিরক্তিকর। কোথাও যাওয়ার সময় এই ড্রেস নিয়ে এমন সিনক্রিয়েট করিস আমার মাথা ধরে যায় একদম।” (নীলিমা)
“—তোমাদের কাহিনী দেখে আমার ঘুম পেয়ে যাচ্ছে। চলো নীলিমা আমরা গিয়ে রেডি হয়ে নেই।” (যূথী)
“—চলো তো! এরা থাকুক এভাবে।”
যূথী রুমে ঢুকেই শুনতে পেল ওর ফোন বাজছে।হাতে নিয়ে দেখে নিশান নামটা ফোনের স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে।
যূথী কিছুটা বিরক্ত বোধ করল।আবার কি জন্য কল করছে কে জানে।একটু আগেই তো ড্রয়িংরুমে দেখল।
এই ফোনটাই সেদিন নিশান গিফট করেছে।সে খুব ভালো করেই জানে নিশানের উদ্দেশ্য ছিল যূথীকে ফোন কিনে দেওয়া।একারণেই ট্রিকস খাটিয়ে চারজনের জন্য ফোন কিনে এনেছে যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে।অসম্ভব বুদ্ধিমান এই লোক।
আরো কয়েক মিনিট বাজার পর যূথী ফোন রিসিভ করল।
তখুনি নিশানের রাগ মিশ্রিত আওয়াজ শোনা গেল।
“—কল রিসিভ করছিলে না কেনো?”
যূথী আমতাআমতা করে উত্তর দিল,
“—ওই… আসলে ব্যস্ত ছিলাম।”
“—রুমে আসো।”
রুমে যাওয়ার কথা শুনেই যূথীর ভয় ধরে গেল।ওইদিন রুমে নিশান যা করেছে এরপর তো যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।কেয়ামত হয়ে গেলেও আজ সে যাবে না।তাই চোখ খিঁচে বলে বসল,
“—না।”
“—আমি আসতে বলেছি।”
“—আমি যাব না।”
ফোনের অপর পাশ থেকে আর কোনো আওয়াজ আসছে না দেখে যূথী বুঝতে পারল নিশান কল কেটে দিয়েছে।হয়তোবা রেগে এমনটা করেছে।করুক রাগ।যূথী সবসময় উনার কথা কেনো শুনতে যাবে।
ওয়ারড্রব থেকে অনেক খুঁজে ভায়োলেট কালারের জামাটা বের করে নিল।নিশান ফোন না দিলে এতক্ষণে রেডি যেতে পারত।যূথীর মন চাইছে নিশানকে কয়েকটা দুর্দান্ত গালি দেয়।
দরজা লাগানোর জন্য পেছনে ঘুরতেই আঁতকে উঠল সে।দরজার সামনে পকেটে দুইহাত রেখে নিশান দাঁড়িয়ে। যূথী চোখে দিশাহারা অবস্থা দেখল।সে যায়নি বলে এই লোক তাঁর রুমে পর্যন্ত হাজির হয়ে গেছে।এখন যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে কি না কি ভেবে বসবে!
নিশান এগিয়ে এসে দাঁত কটমট করে জিজ্ঞেস করল,
“—আমার কথার অবাধ্য হওয়া আমি একদমই পছন্দ করি না।আর এই কাজটাই তুমি বারবার করো।”
যূথী কিছু না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।আজ সে ভয় পাবে না।যে কথাগুলো এতদিন মনে মনে সাজিয়ে রেখেছে সেগুলো বলেই ছাড়বে।
জোরে একটা শ্বাস নিয়ে বলতে লাগল,
“—এভাবে যখন তখন আমাকে রুমে ডাকবেন না নিশান ভাইয়া।বাড়ির কেউ এটা দেখলে খারাপভাবে নিবে।আপনার কিছু বলার থাকলে আপনি ফোন করে বলতে পারেন।আমি চাইনা আমার জন্য এই বাড়িতে কোনো ঝামেলা হোক।আশা করি আপনি আমার ব্যপারটা বুঝবেন।”
কথাগুলো বলে যূথী কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইল।কেনো উত্তর না পেয়ে মাথা তুলে দেখে নিশান আগের মতই দাঁড়িয়ে আছে।চোখগুলো রক্তলাল।চেহারায় অজস্র রাগ ফুটে আছে।
নিশান দুইপা এগিয়ে এসেও থেমে গেল।যেন কোনো একটা জায়গায় সে বাধা পাচ্ছে।
রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দরজাটা এত জোরে শব্দ করে লাগিয়েছে যে যূথী ভয় পেয়ে চমকে উঠেছে।
হঠাৎ যূথীর খুব মন খারাপ হয়ে গেল।এমন একটা অনুষ্ঠানের দিনে সে তো চায় নি লোকটাকে এভাবে রাগিয়ে দিতে।কিন্তু আজ বাধা না দিলে নিশান ভাইয়ার পাগলামি দিনদিন বেড়ে যেত।
আর কোনো চিন্তা না করে রেডি হয়ে নিচে চলে গেল।সবাই সুন্দরভাবে সেজেগুজে ড্রয়িংরুমে বসে আছে।বড়মা যূথীকে দেখতে পেয়ে মুচকি হাসলো।আশা চৌধুরী মেয়েদেরকে বাইরে যাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছেন।
ঠিক সেই মুহূর্তে নিশানকে দ্রুত পায়ে সিড়ি দিয়ে নামতে দেখে সবাই দাঁড়িয়ে গেল।নীলুফা চৌধুরীও বেশ ভয় পেয়ে গেলেন।
ছেলেটাকে কেমন উদভ্রান্তের মতো লাগছে।চুলগুলো এলোমেলো। শার্টের বোতামও কয়েকটা খোলা।তিনি এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
“—বাবু কোথায় যাচ্ছিস! এখনো রেডি হসনি?”
নিশান যূথীর দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে বলল,
“—আমি এঙ্গেজমেন্টে যাচ্ছি না।তোমরা যাও।বারবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করবে না আমায়।”
গাড়ির চাবি হাতে নিয়ে নিশান বেরিয়ে গেল।নিশানের এমন ব্যবহারে সবাই হতভম্ব। আজকে একটা খুশির দিনে কেউই এটা আশা করেনি।
নীলুফা চৌধুরী চিন্তিত মুখে মেইন ডোরের দিকে তাকিয়ে আছেন।তিনি ভেবেই পাচ্ছেন না ছেলেটার হঠাৎ কি হলো! সকালেও তো বলেছে কারিমাদের বাড়িতে যাবে।এত অল্প সময়ে এমন কি হলো যে হুট করে সিদ্ধান্ত বদলে নিল!
যূথী সোফার এককোনায় এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল।তাঁর নিজের চুল টেনে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।তখন নিশান ভাইয়াকে ওই কথাগুলো না বললেই পারত।আর কথাগুলো এত রুডলি না বলে একটু সুন্দরভাবে বললেই হত।নিশ্চিত নিশান ভাইয়া খুব কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি ব্যপারটা এতদূর গড়াবে।নিশান ভাইয়া যেভাবে তাকাচ্ছিল তাঁর দিকে এতে স্পষ্টই বুঝা গেছে শুধুমাত্র তাঁর উপর রাগ করেই এভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।বাড়ির সবাই কতটা কষ্ট পেয়েছে।সবকিছু তাঁর জন্য হলো।যূথী প্রায় কেঁদে দেওয়ার উপক্রম।
“—তোমার আবার কি হলো যূথী! এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? চলো।”
মনীষার কথায় যূথীর হুঁশ ফিরল।চোখের কোনার জলটা আঙুল দিয়ে মুছে সবার সাথে বেরিয়ে গেল।
________________
* সন্ধ্যা হতে হতেই বাড়ির চারদিকে লাগানো মরিচ বাতিগুলো জ্বলে উঠল।গার্ডেনের একপাশে মাহিরের গায়ে হলুদের জন্য স্টেজ সাজানো হচ্ছে।অনুষ্ঠানে আসা মেহমানদের অনেকেই বাগানে ঘোরাঘুরি করছে।ছোট ছোট বাচ্চারা এদিকে সেদিকে ছুটাছুটি করতে ব্যস্ত।
উদাস মনে যূথী বারান্দায় বসে আছে।একটু পর পর হাতে মোবাইলের লক খুলে কিছু একটা দেখছে আর বারবারই অস্থিরতায় তাঁর চোখ-মুখ কুঁচকে যাচ্ছে।
আজ ছয়দিন হয়ে গেল নিশানের সাথে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই।যূথী নিশ্চিত যে নিশান ইচ্ছে করেই তাঁর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে।সেই যে এঙ্গেজমেন্টের দিন তাঁর রুমে এসেছিল এরপর থেকে যূথীকে খুব বাজেভাবে ইগনোর করে যাচ্ছে।
যূথী নিজের মনকে বুঝে উঠতে পারছে না।সে তো চাইতো নিশান ভাইয়া যেন তাঁর থেকে দূরে থাকে।এখন তো নিশান তাঁর আশেপাশেও নেই।তাঁর থেকে দূরে দূরে থাকছে।তবু কেন নিশানের সাথে কথা বলার জন্য সে এত উদগ্রীব হয়ে আছে?
হয়তোবা ওইদিন নিশান তাঁর কথায় কষ্ট পেয়েছে এজন্য যূথীর খারাপ লাগছে।যূথী সিদ্ধান্ত নিল নিশান ভাইয়াকে যেভাবেই হোক সরি বলতে হবে।এরকম ইগনোর আর সে নিতে পারছে না।ওইদিন তো করিডোর দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই নিশানের মুখোমুখি হয়ে গেছিল।কিন্তু নিশান তাঁর দিকে না তাকিয়ে একপ্রকার সাইড কেটে চলে গেছে।
যূথী আবার মোবাইল চেক করল।গত তিনদিন থেকে সে নিশানকে মেসেজ দিয়েছে অনেকগুলো।
“রাগ করেছেন?”, ” আর হবে না” ইত্যাদি অনেক মেসেজ।কিন্তু একটারও রিপ্লাই আসেনি।
রুমে কারো আসার আওয়াজ পেতেই যূথী বারান্দা থেকে চলে আসলো।
মনীষা আর নীলিমা হাতে কতগুলো প্যাকেট নিয়ে রুমে ঢুকল।
“—বাইরে এত মানুষ আর তুমি এখানে বসে আছো যে?”(নীলিমা)
“—না এমনি।ভালো লাগছিল না।আমি তো কাউকে চিনি না তাই।” (যূথী)
“—না চিনলেও সমস্যা নেই।তুমি আমাদের সাথে থাকবে।” (মনীষা)
“—আচ্ছা চলো এখন রেডি হয়ে নেই।আমরা কিন্তু শাড়ি পরব।” (নীলিমা)
“—না না।প্লিজ আমি পরব না।আমি শাড়িতে কম্ফোর্ট না।” (যূথী)
“—একদিন পরলে কিছু হবে না।এখন তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে আসো। “(নীলিমা)
যূথী ভাবছে এদেরকে কি জিজ্ঞেস করবে নিশান ভাইয়ার কথা! আজ তো একবারও লোকটাকে দেখেনি।কোথায় আছে কে জানে! ওদের জিজ্ঞেস করলে হয়তোবা কিছু জানা যাবে।
যূথী প্যাকেট থেকে শাড়ি বের করতে করতে বলল,
“—আচ্ছা মনীষা! নিশান ভাইয়াকে তো দেখলাম না কোথাও।না মানে ছোট ভাইয়ের গায়ে হলুদ আর বড় ভাই নেই!”
“—ভাইয়ার কথা আর কি বলব! একটা কেসের ইনভেস্টিগেশন করতে নাকি ঢাকার বাইরে গেছে।কখন আসবে বলতে পারি না।বড়মা ভাইয়াকে দুইবার কল করেছিল।তৃতীয়বার ফোন করাতে এমন এক ধমক দিল যে এরপর আর কেউ ফোন করার সাহস পায় নি।”
যূথী আর কিছু জিজ্ঞেস করল না।তাঁর মনটা আরো খারাপ হয়ে গেছে।ভেবেছিল অন্তত গায়ে হলুদে নিশান উপস্থিত থাকবে।
সবার সাথে রেডি হয়ে যূথী বাগানে চলে এল।চারপাশটা লাইটের তীব্র আলোয় ঝলমল করছে।যূথী দেখল বাগানের একপাশে মাহির তাঁর বন্ধুদের সাথে কথা বলছে।মাহিরের মুখে হাসি যেন উপচে উঠছে।ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার আনন্দ এটা।
যূথী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।তাঁর মনটা না চাইতেও খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে।সে কি নিশান ভাইয়াকে মিস করছে?
যূথী বারবার গেইটের দিকে তাকাচ্ছে এই বোধ হয় নিশান ভাইয়া এসে পরল।কিন্তু না।তাঁর মনের আশা পূরন হলো না।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান যূথী একপ্রকার নিরানন্দভাবেই কাটিয়ে দিল।
________________
* বিয়ের দিন বিকেলের দিকে সারা শরীরে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফিরল নিশান।বিয়ে উপলক্ষে ড্রয়িংরুম লোকে লোকারণ্য। তাই কেউই নিশানকে তেমন একটা লক্ষ্য করল না।
তবে নীলুফা চৌধুরী কি একটা দরকারে ড্রয়িংরুমে আসতেই দেখলেন হেলতে দুলতে তাঁর ছেলে সিড়ি দিয়ে উঠছে।চোখ-মুখ, নাক লাল হয়ে আছে।
নীলুফা চৌধুরী বুঝে গেছেন নিশান আবার অসুখ বাঁধিয়ে বাড়ি ফিরেছে।তিনি আর দেরি না করে নিশানের পিছু পিছু রুমে চলে গেলেন।
নিশান হাত থেকে ঘড়ি খুলছিল তখন নীলুফা চৌধুরী রুমে প্রবেশ করলেন।
“—নিশান! কি হয়েছে আব্বু? চোখ মুখ এমন লাগছে কেনো?”
নীলুফা চৌধুরী এগিয়ে গিয়ে নিশানের কপালে হাত রেখে আঁতকে উঠলেন।শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। তিনি দিশাহারা হয়ে পরলেন।একদিকে বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় অন্যদিকে ছেলের এই অবস্থা।
“—এত জ্বর কিভাবে বাঁধালি নিশান? জলদি হাত-মুখ ধুয়ে আয়।আমি মেডিসিন নিয়ে আসছি।মেডিসিনে কাজ না করলে ডাক্তার ডাকতে হবে।”
গায়ের শার্ট খুলতে খুলতে নিশান বলে উঠল,
“—ডোন্ট বি প্যানিক মা! আমি ঠিক আছি। ”
“—চুপ থাক!সবসময় নিজেকে বীরপুরুষ প্রমাণ না করলে হয় না তাই না?এসব বীরপুরুষ গিরি বাইরে দেখাবি আমার সামনে না।তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে আয়।আমি এখুনি আসছি।”
নিশান শার্ট খুলেই বিছানায় শুয়ে পরল।শরীরে জ্বর থাকলেও তেমন দুর্বলতা নেই।তবে বেশ ক্লান্ত অনুভব করছে।তাঁর ফিট বডিতে জ্বর-ঠান্ডা এত সহজে কাবু করতে পারে না।
নীলুফা চৌধুরী বের হওয়ার জন্য দরজার হ্যান্ডেলে হাত রাখতেই নিশান জিজ্ঞেস করল,
“—বরযাত্রী কখন যাচ্ছে?”
নীলুফা চৌধুরীর ভ্রু সামান্য কুঞ্চিত হলো।ভাবছেন তাঁর ছেলে কি বিয়েতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে নাকি।
“—এইতো সন্ধ্যার পর পরই বের হবে।কেনো রে?”
“—যূথীকে বিয়েতে যেতে মানা করো।”
নিশানের কথায় নীলুফা চৌধুরী বেশ অবাক হলেন।তাঁর ছেলে কোন কথা থেকে কোন কথায় চলে গেল বুঝতে পারছেন না।এখানে যূথীর প্রসঙ্গ কেনো আসছে?
“—এ কেমন কথা? মনীষাদের সাথে যূথী যাবে।এতক্ষণে বোধ হয় সবাই তৈরি হয়ে বসে আছে।”
নিশান চোয়াল শক্ত করে বলল,
“—আমি বললাম তো যূথী যাবে না।ব্যস্!”
“—কিন্তু কেনো?”
“—আমি চাই না সে বিয়েতে যাক।”
নীলুফা চৌধুরী মুচকি হেসে বিছানায় বসলেন।নিশানের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলেন,
“—যূথীকে তোর পছন্দ?”
নিশান কোনো উত্তর না দিয়ে মায়ের কোলে মাথা রাখল।
চলবে………….