অসম পর্ব ১,০২,০৩

অসম
পর্ব ১,০২,০৩
কলমে লিপিকা
০১

বেঙ্গল বুকের একেবারে কর্ণারের কাঁচের জানালার সাথে লাগোয়া টেবিল টা যেন অলিখিত ভাবে নিতুরই হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত নিতু এখানে এসে বই পড়ে, এক কাপ কফির অর্ধেকটা খেয়ে বেড়িয়ে যায়।
নিতুর বয়সটা যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কখনো মনে হয় পঁয়ত্রিশ আবার কখনো চল্লিশোর্ধ।
আজ সেভেনটি ডেইজ অনুপম নিতুকে অবজারভ করছে। আভিজাত্যের অপূর্বতায় মোড়ানো নিতু যেন এক অপসরা।খুব সুন্দরী বলা যায় না কিন্তু তুখোড় পারসোনালিটি আর বাচন ভঙ্গি অনুপমের মাথা গোলানোর জন্য যথেষ্ট।
অনুপম আজ ভেবেই রেখেছে নিতুর সঙ্গে কথা বলবে। আর ওয়েট করা যাচ্ছে না।
-হেই!আমি অনুপম,আপনি?
নিতু বই থেকে চোখ সরিয়ে অনুপমের দিকে তাকালো, মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল -নিতু
-বসতে পারি
-ওহ্!সিওর!
-কফি খাচ্ছেন না কেন? ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছেতো।
-তোমার জন্য অর্ডার করব?
-নো নিড, আমি এটাই খেয়ে নিচ্ছি। বলেই অনুপম কফির মগে ঠোঁট ছোঁয়ালো ঠিক নিতু যেদিক দিয়ে খেয়েছে।
নিতু অবাক হয়ে অনুপমের অদ্ভুত কাজগুলো দেখছিল। বইয়ের ভাজ ভেঙে বইটা বন্ধ করে বলল “তুমি কি আমাকে ফলো করছো?”
-হ্যাঁ করছি।সহজ সাবলীল উত্তর অনুপমের।
-কিন্তু কেন?
-অন্যদিন বলি।
-আমি এখন উঠবো।
-পাঁচটা বজার এখনো পাঁচ মিনিট বাকি।
নিতু সরু চোখে অনুপমের দিকে তাকালো, হ্যান্ড ব্যাগের ভেতর রিডিং গ্লাস টা ঢুকিয়ে উঠে পরলো।
অনুপম ও চেয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে বলল “আপনার হাতের ঘড়িটা বেশ সুন্দর, টাইটান?
নিতু কোন জবাব না দিয়ে নিচে নেমে এসে ফোন দিল তখনই পাশ থেকে অনুপম বলে উঠলো ” আপনার গাড়ির কালারটাও কিন্তু বেশ! আচ্ছা সব সুন্দর যদি আপনিই দখল করে রাখেন বাকিরা কি করবে?
একটা পর্ল কালারের এলিয়ানA15 এসে থামলো নিতুর সামনে আর নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল অনুপমের কাছ ঘেঁষে।

অসম
পর্ব ২
কলমে লিপিকা

ঠিক কাটায় কাটায় পাঁচ দিন পর নিতু বেঙ্গল বুকেএলো।চারপাশটা ভালো করে দেখে চেয়ার টেনে বই নিয়ে বসে পরলো। তারও ঠিক আধঘন্টা পর হুর মুর করে অনুপম এসে নিতুর সামনে দাঁড়ালো।
-আপনি কি পেয়েছেন,যখন ইচ্ছে আসবেন আর যখন ইচ্ছে আসবেন না। আপনি জানেন আমি কি করেছি?
– কি করেছো?জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো নিতু।
-পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। গলার স্বর নামিয়ে ফিসফিস করে বলল অনুপম।
-মানে?
চেয়ার টেনে বসতে বসতে কফির মগটা হাতে নিয়ে অনুপম বলল -আর কখনো এমন করা যাবে না। আমি এসব নিতে পারি না।
-নিতু অবাক বিস্ময়ে অনুপমের কথা শুনছিল। রিডিং গ্লাস টা নামিয়ে অনুপমকে বলল- আমার হাতে এটা কি?
-চশমা! আবার কি?
– এটা একটা রিডিং গ্লাস। রিডিং গ্লাস কখন ইউজ করা হয় তুমি জান?
-জানব না কেন? আপনার কাছের জিনিস দেখতে সমস্যা হয় তাই ইউজ করছেন।
– এক্সাক্টলি! কাছের জিনিস দেখতে কখন সমস্যা হয় সেটা জান?
অনুপম অবাক হয়ে ভাবছে কি বলতে চাইছেন ওনি।অনুপমকে চুপ থাকতে দেখে নিতু আবার বলল – চল্লিশের পর মানুষের কাছের জিনিস দেখতে সমস্যা হয়। এ রোগটাকে বলে চালশে। আমি কি তোমার আর আমার বয়সের পার্থক্য বোঝাতে পেরেছি।
– এটা কোন ব্যাপার না।জাস্ট আ নাম্বার।
-কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার।আমি যেন আর কখনো আমকে ডিস্টার্ব করতে না দেখি। যাও তোমার টেবিলে গিয়ে বোস।

আজ আষাঢ় মাসের ছয় তারিখ।আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামছে। জানালার কাঁচ বেয়ে বেয়ে পরছে বৃষ্টি। কি যে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে! নিতু অনিমেষ তাকিয়ে আছে বাইরে।
– বৃষ্টি ভালো লাগে আপনার? কফির মগটা টেনে নিজের কাছে নিতে নিতে বলল অনুপম।
– কফিতে হাত দিবে না।
– ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
-যাক,তবুও না।
-ফেলে দিবেন? খাবার নষ্ট করা কোন ভালো কাজ না। বলেই টুপ করে এক চুমুক খেয়ে নিল অনুপম।আমি যদি আপনার সঙ্গে ইংলিশে কথা বলি কোন সমস্যা হবে?
নিতু বড় বড় চোখ করে অনুপমের দিকে তাকালো।
– না মানে বাংলায় আপনি – তুমির একটা বিশাল ঝামেলা।
-তুমি কি আমাকে তুমি করে বলতে চাও?
– এক্সাক্টলি! আসলে আপনি ভীষণ বুদ্ধিমতী।পুরোটা বলার আগেই বুঝে জান।
-অনুপম!
– বলুন!
-আমি ম্যারিড। আমাদের পঁচিশ বছরের সংসার। আমার একটা তেইশ বছরের ছেলে আছে। এন্ড আইম ভেরী হ্যাপী।ক্যান ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড?
– আমি জানি।
– তুমি জান?
-হ্যাঁ জানি। আমি আপনার গাড়ির নাম্বার থেকে ফোন নাম্বার বাড়ির নাম্বার কখন কোথায় কি করেন সব জানি।
– কিন্তু কেন? মরিয়া হয়ে জানতে চায় নিতু।
– ভালোবাসি! ভীষণ!

ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ এসে নিতুর জীবন অতিষ্ট করে তুলছে। লাস্ট যে ম্যাসেজ নিতু পেল ” দেখা না করলে কথা না বললে ম্যাসেজ চলতেই থাকবে। বিকাল পাঁচটা ফরেস্ট লন্জ।”

পাঁচটার কিছু আগে এসেই পৌঁছালো নিতু।ওয়েটার নিতুর সামনে এসে বলল- ম্যাম আপনি কি নিতু?
– কেন বলুনতো?
– আপনার জন্য ঐ কর্ণারের টেবিল টা বুক্ড করা আছে।
– ওকে!
কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর অনুপম চলে এলো।
– সরি! আমি বোধহয় লেট করে ফেললাম।
-ইটস্ ওকে। তুমি বোস।
– বই পড়া ছেড়ে দিয়েছেন? চেয়ার টেনে বসতে বসতে অনুপম বলল।
-তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয় অভ্যাস কেড়ে নিয়েছো।
– মানা কি করেছি?
– তোমার বিহেভিয়ার আমাকে বাধ্য করছে।
দুটো কফির মগ এনে টেবিলে রেখে দিল ওয়েটার।
-নিতু! কফি নিন। ওদের কফিটা ভালো।
নিতু হাত বারিয়ে কফি নিতে নিতে বলল -তোমার এই পাগলামি কতদিন সহ্য করতে হবে?
-আনটিল মাই ডেথ।
নিতু দু চুমুক কফি খাওয়ার পর মগ দুটি ক্যাচলিং করে দিল।
– এটা কি হলো?নিতু বলল।
– সব সময় যা হয়।
– আরে নিতু তুমি এখানে? জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো সাদাত।
নিতু সাদাত কে দেখে কিছুটা ভড়কে গেলেও চেহারায় মিষ্টি হাসি নিয়ে বলল- অনুপম আমাকে ইনভাইট করেছে ইনটিডিউস করিয়ে দি। সাদাত! ও হচ্ছে অনুপম, বেঙ্গল বুকে ওর সঙ্গে আমার পরিচয়।
– সাদাত অনুপমের দিকে হাত বারিয়ে বলল “আমি সাদাত। নিতুর বর।”
অনুপম সাদাতের সাথে হাত মিলিয়ে বিড়বিড় করে বলল ” হাসবেন্ড নাকি ফাসবেল্ট,বুড়োভাম একটা। মুখে বলল -বসুন। আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে।
– এখানে কি মনে করে, নিতু সাদাত কে বলল।
-একজন ক্লায়েন্ট আসার কথা, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল এখনো আসছে না কেন বুঝতে পারছি না। তা অনুপম কি করা হয়।
– জবলেস
-জবলেস! হা-হা-হা,দারুণ বলেছো।আমার অফিসে জয়েন করে ফেল।
-আপাতত বেকারত্বটাকে উপভোগ করছি।
-ওয়াও! তোমারা বসে কথা বল আমার ক্লায়েন্ট চলে এসেছে।
-আমিও যাব বলে উঠতে গিয়ে পায়ের সাথে বাঁধা পেয়ে বসে পরলো নিতু।
-ত্রিশ মিনিট ওয়েট কর এক সঙ্গে বের হবো বলেই সাদাত সামনে পা বাড়ালো।
অনুপমের দিকে তাকিয়ে নিতু বলল -এটা কি হলো?
– দুই ঘন্টা হয়েছে যে আপনি চলে যেতে চাচ্ছেন?
– মানে কি?
– প্রতিদিন আমরা দুই ঘন্টা সময় পাস্ করি তিনটা থেকে পাঁচট। আজকে আরও এক ঘন্টা বেশি সময় কাটাবো কারণ এটা আমাদের প্রথম ডেট।
মেন্যু কার্ড দেখতে দেখতে অনুপম নিতুকে বলল – এ্যানি চয়েস?
-আমি ডিনার করব না।
-অবশ্যই ডিনার করব।
– জোর করছো?
– মোটেই না।

অসম
পর্ব-৩
কলমে লিপিকা
আধঘন্টার জায়গায় একঘন্টা লেগে গেল সাদাতের মিটিং শেষ করতে। ডিনার চলে এসেছে। সাদাত চেয়ারে বসতে বসতে বলল – আমি কি কাবাব মে হাড্ডি হয়ে গেলাম?
অনুপম হেসে বলল – নিন শুরু করুন।
-বিনা নিমন্ত্রণে?
– আরেকবার না হয় নিমন্ত্রণ করে পুষিয়ে দিব।বলেই অনুপম দ্রুত মোবাইলে টাইপ করলো”আধঘন্টা পর 017——- এই নাম্বারে কল করবি, কথা বলবি না নেটওয়ার্ক প্রবলেম।
– টুং করে অনুপমের মোবাইলে শব্দ হলো “শালা! কার নাম্বার? ”
– নিতুর ফাসবেল্ট।
নিতুর প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে অনুপম সাদাত কে বলল – প্লিজ! প্লেট!
– আমাকে দিতে হবে না তুমি নাও।আমি শুধু স্যালাদ খাব।
আধঘন্টা পর সাদাতের ফোন বেজে উঠল
– হ্যালো! কোন শব্দ না পেয়ে কেটে দিয়ে খাওয়ায় মনোযোগী হল।
আবার ফোন বেজে উঠল।
– হ্যালো! সাদাত অনুপমের দিকে তাকিয়ে বলল – কিছু শোনা যাচ্ছে না।
– মনে হচ্ছে নেটওয়ার্ক প্রবলেম,আপনি ঐ কর্ণারটায় চলে যেতে পারেন। ওখানে নেটওয়ার্ক ভালো।
সাদাত ফোন নিয়ে সামনের দিকে হাটা ধরলো আর অনুপম নিজের প্লেটের সাথে নিতুর প্লেটটা ক্যাচলিং করে নিল।
– নিতু ব্যাংককের এয়ার টিকিটটা এইমাত্র কনফার্ম হলো।মোহিত ফোন করেছিল। গেট রেডি।
-আমি যাব না। সো বোরিং। তুমি সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকবে আমি একা একা কি করব?
নিতুর হাত ধরে সাদাত বলল – প্লিজ! আর তাছাড়া তোমারতো ঘুরতে ভালো লাগে। মাত্র সাতদিন। কাজ হয়ে গেলে আগেই চলে আসব।
– আপনারা কবে যাচ্ছেন? অনুপম বলল।
– ফ্রাইডে। সাদাত বলল।

দ্যা উইলিং হোটেলের সামনে সকাল সাতটা থেকে দাড়িয়ে আছে অনুপম।এখন বাজে দশটা। নিতু কংবা সাদাত কারোর বের হবার নাম নেই। অনুপম আরও একবার নিজের মনের মধ্যে আওরে নিল দেখা হলে কি বলবে? ১০.৩১ মিনিটে সদাত হোটেলের গেট দিয়ে বেরিয়ে এল
– আরে অনুপম! তুমি এখানে?
মুচকি হাসি দিয়ে অনুপম বলল – আপনারা এ হোটেলে উঠেছেন?
– হ্যাঁ।কিন্তু তুমি, মানে ঠিক মেলাতে পারছি না।
– আম্মুর রুটিন চেকাপের জন্য এসেছি। ঐ বেঙ্গলী রেস্টুরেন্টে যাচ্ছিলাম।
– ভালোই হল।নিতু ভীষণ বোর ফিল করছিল তোমাকে পেলে ওর বেশ ভালো সময় যাবে। নাকি তোমার কোন কাজ আছে?
– নাহ্।আমি একদম ফ্রি।
– বললে যে তোমার মাকে নিয়ে এসেছো।
– আম্মুর আজ কোন এ্যাপয়েনমেন্ট নেই।
– তাহলে যাওয়া যাক।
– ওহ্! সিওর!

হোটেল লবিতে বসে সাদাত নিতুকে ফোন দিয়ে বলল – তারাতাড়ি লবিতে চলে আস তোমার জন্য সারপ্রাইজ ওয়েট করছে।
দশ মিনিটের মধ্যে নিতু লবিতে চলে এল, সাদাতের পাশে বসতে বসতে বলল – মিটিং ক্যানসেল?
– না সোনা! তুমি মনে হয় অনুপমকে খেয়াল করনি।
মুহূর্তেই নিতুর চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল অবিশ্বাস্য দৃষ্টি নিয়ে বলল – তুমি? এখানে?
অনুপম ফেসবুক স্ক্রল করছিল। নিতুর দিকে একবার তাকিয়ে আবার ফেসবুকে চোখ ডুবিয়ে দিল।
সাদাত বলল – ওর আম্মুর রুটিন চেকাপে এসেছে, এদিক দিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ আমার সঙ্গে দেখা, ভালই হল কি বল? তুমিও বোর হচ্ছিলে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল আমি এমনিতেই লেট আর সম্ভব না, তোমারা গল্প কর। অনুপমের দিকে তাকিয়ে বলল – ওকে! হ্যাব আ নাইস ডে।
তার জবাবে অনুপম শুধু হাসল।
সাদাত চলে যাবার পর নিতু কঠিন সুরে অনুপমকে বলল- এখানে কেন এসেছো?
অনুপম ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে বলল- শোননি বুড়োভামটা কি বলল।
– মিথ্যা বলছো।
– সত্যিটা জানাতে চাও? নিতুর দিকে তাকিয়ে বলল ” তোমার জন্য। ”
– হাউ ডেয়ার! তুমি আমাকে তুমি করে বলছো।
– সো হোয়াট! আমিতো আগেই জানিয়েছি। অপশন ছিল কিন্তু তুমি বাংলাটাই বেছে নিয়েছো। নিতু! এই হোটেলের টপ ফ্লোরে খুব সুন্দর কফি বার আছে। চল কফি খেতে খেতে কথা বলি।
– আমি কোথাও যাব না।
– বুড়োভামটা কিন্তু তোমাকে আমার কাছে রেখে গিয়েছে, গলার স্বর নামিয়ে ফিসফিস করে বলল – রোমাঞ্চ করার জন্য। সো আইম গ্রেটফুল টু হিম।বাট তুমি এমন পেঁচি মুখী হয়ে বসে আছ কেন?
– তুমি চলে যাও।
– সম্ভব না।
– তোমাকে দেখছি আর অবাক হচ্ছি।বলেই নিতু রুমের দিকে হাটা ধরলো।
কার্ড পাঞ্চ করে রুমে ঢুকতে যাবে তখনই নিতুকে থামিয়ে দিল অনুপম।করিডোরের দেয়ালে নিতুকে দু’হাতে চেপে ধরে বলল- তোমার উপর রেগে আছি সেটা কি বুঝতে পারছ?
– হু কেয়ার?
অনুপম মাথা ঝাকিয়ে বলল- ওকে! তারপর দাঁতে দাঁত চেপে বলল” শাওয়ার নিয়েছো কেন?
– অদ্ভুত প্রশ্ন করছো অনুপম।
– আমি কি মিন করছি সেটা বোঝার ক্ষমতা তোমার আছে।
– তুমি কি আমার পঁচিশ বছরের জীবনটা পাল্টে দিতে চাচ্ছ?
চিৎকার করে অনুপম বলল – আই কান্ট টলারেন্ট। এত কাছ থেকে আমি এগুলো নিতে পারছি না। সহ্য হচ্ছে না আমার।
– জাস্ট গেট লস্ট।
প্রচন্ড রাগে দরাম শব্দ করে রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল নিতু।আর অনুপম দু’হাতে মুখ ঢেকে করিডোরের দেয়াল ঘেঁষে বসে পরলো।
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here