আমার_একাকীত্বের_শহরে__আপনি #পর্বসংখ্যা_২৭_অন্তিম_পর্ব

#আমার_একাকীত্বের_শহরে__আপনি
#পর্বসংখ্যা_২৭_অন্তিম_পর্ব
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ

রোহা খাটের ওপর বসে আছে চুপচাপ আদনানের ওপর ভীষণ রেগে আছে।
— এতটা আনরোমান্টিক মানুষ কেমনে হয়।ঘরটা ফুল দিয়ে সাজালে কি হতো😐।
রোহা মন খারাপ করে বসে আছে। আদনান ঘরে প্রবেশ করে দেখে রোহা মন খারাপ করে বসে আছে।
আদনান সেরোয়ানির বোতাম খুলতে খুলতে বলে — মন খারাপ করে বসে আছিস কেন…
— কিছু না😕।
— কেন মন খারাপ করে বসে আছিস…..
— না এমনি বাবার জন্য মন খারাপ হচ্ছে।
আদনান কিছু না বলে মুচকি হাসল।
— হাসলে কেন…
— তোর কথা শুনে। আজকাল মিথ্যে বলা ভালো শিখে গেছিস তুই 😊।
রোহা কিছু না বলে মাথা নিচু করে ফেললো।
— লেহেঙ্গা খুলে পেল।

আদনানের কথা শুনে রোহা মাথা ওপরে উঠিয়ে চোখ দুটো বড় বড় করে আদনানের দিকে তাকালো।
— আমি কি তোকে গালি দিয়েছি তুই এমনভাবে তাকিয়ে আছিস কেন।
— লেহেঙ্গা খুলে ফেলতে বললে যে…..
— হ্যাঁ খুলে ফেল।
— ছিঃ তোমার মনে এইসব…….
রোহার কথা শুনে আদনান রোহার কাছে এসে রোহার চোখে চোখ রেখে বলে — আমার মনে কি🤨…..
— ক…..কি……কিছু না।
— তুই এতদূরে চলে আসলি।অবশ্য তুই রাজি থাকলে আমার কোনো সমস্যা নাই কি বলিস…..
— তু……তুমি কিন্তু…..
— আমি কি…
আদনান রোহাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রোহাকে শুইয়ে দিয়ে দু’হাত চেপে ধরে।
— ক……কি করছো ছাড়ো। আমার ভয় লাগছে।আদনান কোনো কথা না বলে রোহার গালে ঠোঁট স্পর্শ করলো।
রোহা কেঁপে উঠল আদনানের স্পর্শে।আদনান রোহার দিকে নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে আছে। রোহা চোখ বন্ধ করে আছে।
আদনান রোহার মাথা নিজের বুকের ওপর রেখে ঘুমের দেশে চলে গেল।
রোহাও বাঁধা দিল না। ভালোবাসার মানুষের বুকে মাথা রাখতে ভাগ্য লাগে।রোহা সেই ভাগ্যবতী। রোহাও আদনানের সাথে ঘুমের দেশে চলে গেল৷

♪|||♪

♪|||♪

ছয় বছর পর…..
— মাম্মা তুব ভাই আমায় মেলেছে।
— তুই ওলটপালট কাজ করলে তোকে আদর করমু আমি।
— তুমি জানো না তুব ভাই ছোত বাবুদের আদল করতে হয়। আর তুমি শুধু আমায় মালো।তোমার সাথে আর কখনো খেলা করবো না আমি😭।
— আমার নামটাই এখনো ভালো করে বলতে জানিস না আবার আদর খাওয়ার শখ জাগছে। ইচ্ছে করছে তোকে আছাড় মারতে।

দু’জনের ঝগড়ার মাঝে পিছন থেকে,,,,,
— কি হলো ধ্রুব তুই আজকে ও দিয়ার সাথে ঝগড়া করছিস। তোকে কতবার বলেছি ও বাচ্চা ওর সাথে ঝগড়া করবিনা।

[ ধ্রুব আদনান আর রোহার ছেলে।ধ্রুবর পাঁচ বছর।অনেক রাগী দিয়া একটু ভুল করলেই বকাঝকা শুরু করে দেয়। দিয়া জিহান আর প্রিয়তির মেয়ে।দিয়ার দু’বছর।ঠিক মতো কথা বলতে পারেনা এখনও।দিয়া মায়ের মতো হয়েছে একদম প্রিয়তির কার্বন কপি।]

— আপু ধ্রুবকে বকছো কেন দিয়া নিশ্চয়ই কোনো ওলট-পালট কাজ করেছে তাই ধ্রুবকে বকছে।তুমি ধ্রুবকে বকবে না।
প্রিয়তি দিয়াকে কোলে করে ঘরে নিয়ে গেল।


— মামনি তুমি পঁচা হয়ে গেছ অনেক।
— কেন মাম্মা…
— তুমি কোনো কথা শুনোনা শুধু দুষ্টামি করো।
জিহান ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দিয়াকে কোলে তুলে নিলো।
— আমার মামনিকে পঁচা বলবে না।আমার মাননি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মেয়ে।
— ঠিক বলেত পাপা।
— আদর করে করে বাঁদর বানাচ্ছো তোমার মেয়েকে।
জিহান দিয়াকে খাটের ওপর বসিয়ে প্রিয়তিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আর আমাদের দিয়া চোখ বন্ধ করে ফেললো।


— আম্মু তুমি আমাকে বকলে কেন তখন।
— তুমি দিয়াকে সারাদিন বকো কেন।
— আম্মু ও ভুলভাল কাজ করে তাই বকা দেই।
— তাই বলে সারাদিন….
মা ছেলের তর্কাতর্কি দেখে আদনান এবার মুখ খুললো,,,,
— রোহা তুই আমার ছেলেটাকে বকছিস কেন।
এদিকে আয় ধ্রুব তোর মায়ের সাথে তর্ক না করে চুপ থাকবি।আদনান ধ্রুবর কপালে চুমু দিয়ে একহাতে জড়িয়ে ধরলো।
রোহা আদনানের পাশে বসলো।আদনান দু’হাতে রোহা আর ধ্রুবকে জড়িয়ে ধরে।


— কতক্ষণ ধরে ফোন করে যাচ্ছি ফোন ধরতে দেরি হলো কেন তোর।
— সরি জান পাখি আর এমন হবেনা।লাভ ইউ🥰।
— লাউ ইউ টু☺️।
[রাদিম অনেক কষ্ট করে তৃধাকে পেতে হয়েছে। এখন দুজন ছুটিয়ে প্রেম করছে।দুজনের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে] — [পৃথিবীর সব ভালোবাসা যেন পূর্নতা পায় (আদনান – রোহা…জিহান – প্রিয়তি…রাদিম – তৃধা….🌼🖤) ওদের মতোন।

[ভুল-ক্রটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগণ🍁]

~ সমাপ্ত……… 💞

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here