#হৃদয়_দিয়ে_ভালোবাসিব,পর্বঃ- ১২ (শেষ পর্ব)
#লেখকঃ- Tamim
নীলা তার আম্মুকে জড়িয়ে ধরে ন্যাকা কান্না করে যাচ্ছে আর তামিম নীলার কান্না দেখে মুচকি হাসি হাসছে। এটা দেখে তামিমের আম্মু প্রচন্ড রেগে গেলেন আর তামিমের কাছে এসে তার গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলেন।
তামিমঃ আউচ, আম্মু কেউ এতো জোরে নিজের ছেলেকে চড় মারে.? (গালে হাত দিয়ে)
তামিমের আম্মুঃ ছিঃ তামিম ছিঃ তুই এতোটা খারাপ আমি আগে জানতাম না। তোকে তো আজ আমার ছেলে ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে। একটা মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে জোরজবরদস্তি করার চেষ্টা করে এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছিস.! লজ্জা করে না তোর.?
তামিমঃ আমি তো কিছু করিই নি আম্মু তাহলে লজ্জা করবে কেন.?
তামিমের আম্মুঃ এতোকিছু করেও বলছিস তুই কিছুই করিস নি.! তোর মতো খারাপ চরিত্রের (পুরোটা বলার আগেই তামিম তার আম্মুর মুখে হাত দিয়ে আটকে দিল)।
তামিমঃ একটু শান্ত হও আমি তোমাদের কিছু দেখাতে চাই (বলেই টেবিলে থাকা তাঁর ফোনটা হাতে নিয়ে কি যেন করতে লাগলো)।
কিছুক্ষণ পর তামিম সবার চোখের সামনে তাঁর ফোনটা তাক করে ধরে সবাইকে ফোনের দিকে তাকাতে বললো। তামিমের কথাতে সবাই ফোনের দিকে তাকাল। প্রথমে সবাই স্বাভাবিকভাবেই ফোনের দিকে তাকিয়েছিল কিন্তু মূহুর্তের মধ্যেই সবার চোখ জোড়া বেশ অস্বাভাবিক হয়ে গেল। কারণ তাঁরা ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে যা দেখছে তাতে সবারই হোস উড়ে গেছে। নীলা তো আরও বেশি অবাক হয়ে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে ভাবছে এই ভিডিওটা কখন করা হলো। নীলা জানেই না যে তামিম রুমে এসেই তার ফোনটা বের করে ভিডিও রেকর্ডিং চালু করে টেবিলের কলমদানিতে এমন ভাবে তার ফোনটা রাখে যাতে নীলা না বুঝে যে ফোনে ভিডিও রেকর্ডিং চালু করা। কারণ তামিম অনেক মুভিতে দেখেছে যখন কেউ কাউকে ভালোবেসে না পাও তাহলে তাকে এইভাবে ফাঁসিয়ে নিজের করে নেয়। কিন্তু তামিম নীলাকে বোন ছাড়া আর কিছুই ভাবে না তাই সে তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না।
নীলাঃ আম্মু এই ভিডিওটা মিথ্যা, বিশ্বাস কর আমি
নীলার কথাটা শেষ হওয়ার আগেই তার আম্মু তার গালে সজোরে একটা চড় বসিয়ে দিলেন। আর ঘৃণার শুরে বলতে লাগলেন, ছিঃ নীলা তুই একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে এই জঘন্যতম কাজটা করতে পারলি.? তোকে আমি ছোট থেকে সবসময় সৎ পথে চলতে বলেছি আর আজকে তুই এমন একটা কাজ কিভাবে করলি.?
নীলাঃ আম্মু আমি উনাকে ভালোবাসি আর উনাকে পাওয়ার জন্য এমনটা করেছি বিশ্বাস কর এ ছাড়া আমার আর কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই।
নীলার আম্মুঃ কিন্তু কাউকে পাওয়ার জন্য এমন জঘন্যতম কাজটা করা তোর ঠিক হয়নি। আমরা তো এসেছিলাম তামিমকে রাজি করিয়ে ওর সাথে তোর বিয়েটা দিতে। কিন্তু এখন আর ওর সাথে তোর বিয়েটা হবে না। চল তুই নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নে, আজকেই আমরা তোকে নিয়ে বাসায় চলে যাব।
নীলাঃ না আম্মু প্লিজ এমনটা কর না আমি সত্যিই উনাকে ভালোবাসি উনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না (কেঁদে কেঁদে)।
নীলার আম্মুঃ চুপ, আর একটা কথাও বলবি না তুই নাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না (ধমক দিয়ে)।
নীলা আর কিছু না বলে নীরবে কান্না করতে লাগলো।
নীলার আম্মুঃ আপা আমাকে মাফ করে দিও, নীলার এমন কাজের জন্য আমি খুবই লজ্জিত। ওকে নিয়ে আমরা চলে যাচ্ছি এইখান থেকে আর কখনো আসব না আমরা এইখানে (লজ্জিত কণ্ঠে)।
তামিমের আম্মু এতে কিছুই বললেন না।
–––––––
তামিম, তার আম্মু-আব্বু আর মিলি সবাই ড্রয়িংরুমে চুপ করে বসে আছে কেউ কোনো কথা বলছে না। নীলার এমন কাজে তামিমের আম্মু-আব্বু ওর উপর অনেকটা রেগে আছেন সাথে তামিমকে ভুল বোঝার জন্য তাঁরা ভিতরে ভিতরে অনেক লজ্জিত। নীলার আম্মু-আব্বু কিছুক্ষণ আগেই নীলাকে নিয়ে চলে গেছেন। যাওয়ার সময় নীলা অনেক কেঁদেছে বাট তাঁর আম্মু-আব্বুর মন গলে নি।
তামিমের আম্মুঃ বাবা আমায় মাফ
তামিমঃ আরে আম্মু আমি তোমাদের উপর একদমই রেগে নেই। এরকম পরিস্থিতিতে অন্য কেউ থাকলে এমনটাই করতো, সো এইখানে তোমাদের কোনো দোষ নেই তাই শুধু শুধু মাফ চেয়ে আমার মেজাজ খারাপ করবা না বলে দিলাম।
তামিমের আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে (কিছুটা হেসে)।
তামিমঃ তবে আমার একটা কথা রাখতে হবে তোমাদের।
তামিমের আম্মুঃ কি কথা.?
তামিমঃ জান্নাতকে তো তোমরা চিনই, শুভর বোন। জান্নাতের একটা বান্ধবী আছে যে আমায় মনে মনে পছন্দ করে তবে এই কথাটা আমায় বলতে পারছে না। জান্নাত নিজেই আমায় বলেছে যে ওর বান্ধবী আমায় পছন্দ করে৷ আর ওই মেয়েটার সাথে আমার ভার্সিটিতে প্রায়ই দেখা হয় তাই মাঝেমধ্যে টুকটাক কথা হয় ওর সাথে। মেয়েটা অনেক ভালো আর শান্ত প্রকৃতির মেয়ে। এইবার অনার্স ১ম বর্ষে পড়ছে। তোমাদের যদি এবার ইচ্ছা হয় তাহলে ওই মেয়েটার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে পার।
তামিমের আম্মুঃ তুইও কি ওই মেয়েটাকে পছন্দ করিস.?
তামিমঃ এমনিতে ওকে ভালোই লাগে ওর শান্তশিষ্ট ভাবটার জন্য। তা ছাড়া ওই মেয়েটা আমায় নিজ থেকে কখনোই তার মনের কথাটা বলবে না বললে আমারই বলতে হবে। আর আমি বললে ও আমায় মেনেও নিবে তারপর আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করা শুরু হবে। এরপর যখন বিয়ের বিষয়ে কথা উঠবে তখন যদি আমি তোমাদেরকে দিয়ে ওর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই আর ওর পরিবার না মানে তাহলে তো দুজনেরই মন ভেঙে যাবে তাই আমি এইসবে না গিয়ে তোমাদেরকে বিষয়টা জানালাম। এবার তোমরাই দেখ কি করবে।
তামিমের আম্মুঃ তোর তো এখনো পড়াশোনাই শেষ হয়নি আর ওই মেয়েটা তো সবে ভার্সিটিতে উঠলো, ওর বাবা-মা কি ওকে এখন বিয়ে দিবে.?
তামিমঃ আমি তো বলছি না যে এখনই বিয়ে করবো। তোমরা গিয়ে বলবা আমরা একজন অপরজনকে পছন্দ করি আর এতে যদি আপনারা রাজি থাকেন তাহলে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়েটা করিয়ে রাখতে। বিয়ের পর দুজনেই যার যার বাসায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাব। তারপর যখন ওর পড়াশোনা শেষ হবে আর আমি যদি একটা জব পেয়ে যাই তাহলে ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসবো।
তামিমের আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে তুই যেমনটা বলেছিস তেমনটাই করবো। তা ওদের বাসা কোথায় আর আমরা কবে যাব ওদের বাসায়.?
তামিমঃ এইতো আমাদের পাশের এলাকাতেই। আজকেই চল এখন রেডি হয়ে নাও।
তামিমের আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তামিমের আম্মু-আব্বু, তামিম, মিলি সবাই রেডি হয়ে গেল অতঃপর বাজার থেকে কয়েক বক্স মিষ্টি কিনে সবাই মায়াদের বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরল। মায়াদের বাসার কাছে এসে বাসার কলিং বেল চাপ দিতেই কিছুক্ষণ পর একটা মহিলা এসে দরজা খোলে দিল। মহিলাটা মায়ার মা ছিলেন।
মায়ার আম্মুঃ জী কে আপনারা আর কাকে চান.?
তামিমঃ আন্টি আপনি আমাদের চিনবেন না, মায়া কি বাসায় আছে.? বাসায় থাকলে ওকে একটু ডেকে আনেন ও আমাকে চিনে।
মায়ার আম্মু এবার মায়াকে ডাকতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর মায়া তার রুম থেকে বেরিয়ে আসলো আর এতেই দরজায় তামিমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অনেকটা অবাক হলো।
মায়াঃ আরে আপনি এইখানে.! আর এরা কারা আপনার আম্মু-আব্বু নাকি.? আসসালামু ওয়ালাইকুম (তামিমের আম্মু-আব্বুর দিকে তাকিয়ে)
–ওয়ালাইকুম আসসালাম।
তামিমঃ হ্যাঁ আসলে এসেছিলাম একটা কাজে, আংকেল কি বাসায় আছেন.?
মায়াঃ জী আছেন।
তামিমঃ ভিতরে ঢুকতে দিবেন না নাকি এইখানেই দাড় করিয়ে রাখবেন.?
মায়াঃ জী আসুন আসুন।
তারপর সবাই ভিতরে ঢুকলো। মায়া সবাইকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে এলো আর তাদেরকে বসতে বললো।
তামিমঃ আপনার আব্বুকে একটু আসতে বলেন উনার সাথে আম্মু-আব্বু কথা বলবে। আর এই মিষ্টিগুলা নেন।
মায়া কিছু না বলে মিষ্টিগুলা নিয়ে চলে এলো আর তাঁর আব্বুকে একটু ড্রয়িংরুমে যেতে বললো। মায়া বুঝতে পারছে না তামিম কেন হঠাৎ তাঁর মা-বাবাকে নিয়ে তাদের বাসায় আসলো আর এখন তাঁর আব্বুকে কেন খুজছে।
কিছুক্ষণ পর মায়ার আব্বু এসে ড্রয়িংরুমে ঢুকলেন আর তামিমের আব্বুকে দেখে বেশ অবাক হয়ে গেলেন।
মায়ার আব্বুঃ আরে রফিক সাহেব আপনি আমাদের বাসায় কিভাবে.?
তামিমের আব্বুঃ আরে আমজাদ সাহেব আপনি.! তাহলে আপনিই কনের বাবা.?
মায়ার আব্বুঃ কনের বাবা মানে.! কথাটার মানে ঠিক বুঝলাম না।
তামিমের আব্বুঃ আসলে আপনার মেয়ে আর আমার ছেলে তাঁরা একে অপরকে পছন্দ করে। কিন্তু আমার ছেলে বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসায় জড়াতে চায়না তাই আমরা আপনার কাছে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে আসলাম। এখন আপনি যদি রাজি থাকেন
মায়ার আব্বুঃ কিন্তু মায়ার তো এখনো পড়াশোনা শেষ হয়নি।
তামিমের আব্বুঃ সেটা আমরা জানি। এখন আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে আমরা আপাতত পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়েটা করিয়ে দিলাম আর দুজনে যার যার বাসায় থেকে নিজেদের লেখাপড়া চালিয়ে গেল আর তামিম পড়াশোনা শেষে কোনো জব পেলে আমরা ওকে বাসায় নিয়ে নিব।
মায়ার আব্বুঃ দাড়ান আমি একটু মায়ার সাথে কথা বলে আসি (বলেই ড্রয়িংরুম থেকে বেরিয়ে গেলেন)।
তামিমঃ আব্বু তুমি উনাকে কিভাবে চিন.?
তামিমের আব্বুঃ উনার সাথে আমার বিজনেস নিয়ে অনেক আগে থেকেই পরিচয়।
এদিকে মায়ার আব্বু গিয়ে মায়াকে ডেকে বললেন, শুনলাম তোমরা নাকি একে অপরকে পছন্দ কর কথাটা কি সত্যি.?
মায়াঃ তোমায় কে বলেছে আব্বু.?
মায়ার আব্বুঃ ওই ছেলেই নাকি ওর আম্মু-আব্বুকে এ কথা বলেছে তাই তাঁরা আমাদের বাসায় তোমার আর ওই ছেলের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছে।
কথাটা শুনে মায়া বেশ অবাক হলো। তামিম তাকে পছন্দ করে এটা ভাবতেই মায়া অবাক হচ্ছে।
মায়াঃ তুমি ওদের কি বলেছ.?
মায়ার আব্বুঃ কিছু বলিনি, তোমার মতামত জানতে আসলাম। রফিক সাহেবকে আমি খুব ভালো করেই চিনি, মানুষটা খারাপ না তাহলে ছেলেটাও খারাপ হবে না। ওরা চাচ্ছে তোমাদের বিয়ে করিয়ে দিতে, বিয়ের পর দুজনেই যার যার বাসায় থাকবা তারপর তোমাদের পড়াশোনা শেষ হলে ওই ছেলেটা যখন চাকরি পাবে তখন তোমাদের ওদের বাসায় নিবে। এখন তোমার মতামত কি.?
মায়াঃ তুমি যেটা ভালো মনে কর।
মায়ার আব্বুঃ ওদেরকে হ্যাঁ বলে দিব.?
মায়াঃ আচ্ছা।
তারপর মায়ার আব্বু সেখান থেকে ড্রয়িংরুমে এসে তাদেরকে সব জানালেন। সব শুনে তামিমের আম্মু-আব্বু ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে উঠলেন। সবার কথার মাঝখানে হঠাৎ তামিম বললো, আংকেল যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি কি একটু মায়ার সাথে কথা বলতে পারি.?
মায়ার আব্বুঃ হে যাও কথা বলে আস, উপরের প্রথম রুমটাই মায়ার।
তারপর তামিম সেখান থেকে মায়ার রুমের কাছে চলে আসলো। এদিকে মায়া বিশ্বাসই করতে পারছে না যে তামিম তাকে নিজেও পছন্দ করে আর তাকে এসবের কিছু না বলে সোজা তাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলো.! কিন্তু এতে মায়া অনেক খুশি হয়েছে।
তামিমঃ ভিতরে আসতে পারি.? (দরজার কাছ থেকে)
মায়াঃ আরে আপনি.! জী আসুন (পিছনে ফিরে)।
তামিমঃ আপনাকে না জানিয়েই আপনার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলাম, এতে কি আপনি আমার উপর রাগ করলেন.? (ভিতরে ঢুকে)
মায়াঃ না না রাগ করবো কেন। কিন্তু আপনি আমায় পছন্দ করেন এটা শুনে খুবই অবাক হয়েছি। কই আপনি তো কখনো আমায় বলেন নি এই কথা।
তামিমঃ আপনিও যে আমায় পছন্দ করেন এটাও তো কখনো আমায় বলেন নি।
মায়াঃ আপনি কিভাবে জানলেন যে আমি আপনাকে পছন্দ করি.?
তামিমঃ জান্নাত বলেছে।
মায়াঃ ও বলেছে আর আপনি বিশ্বাস করে নিলেন.?
তামিমঃ শুনেন তাহলে আপনাকে বুঝিয়ে বলছি (তারপর সে মায়াকে সেই কেন্টিনের ঘটনাটা বললো)।
মায়াঃ তাহলে ওইটা আপনাদের প্লেন ছিল.?
তামিমঃ জী।
মায়াঃ তার মানে আপনি যে আমায় পছন্দ করেন এটা মিথ্যা.?
তামিমঃ জী না এটা সত্য।
মায়াঃ কবে থেকে.?
তামিমঃ যখন থেকে বুঝেছি কেউ একজন আমায় মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছে তখন থেকে।
মায়াঃ ওহ। তাহলে আপনার ওই কাজিনের কি হলো.?
তামিমঃ আজকে ওর আম্মু-আব্বু আসছিল ও তাদের সাথে চলে গেছে।
মায়াঃ ওই মেয়েটা কি আপনাকে ভালোবাসতো.?
তামিমঃ নাহ, তবে আমায় তার ভালো লাগতো আর এটা তাঁর ক্ষণিকের আবেগ ছিল জাস্ট।
মায়াঃ আপনি কি আমায় এখনো আপনি করেই বলবেন.?
তামিমঃ কেন আপনি করে বললে প্রব্লেম কি.?
মায়াঃ শুনতে ভালো লাগে না।
তামিমঃ ওকে তাহলে এখন থেকে তুমি করে বলবো নে।
মায়াঃ যাক এতদিনে তাহলে তুমি করে বলতে রাজি হলেন। এখন একটু আপনার হাতটা একবার ধরতে পারি.?
তামিমঃ একবার ধরে কি করবা.? বিয়ের পর নাহয় সারাজীবনের জন্য ধরিও।
মায়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আরেকটা কথা, আমায় সারাজীবন ভালোবাসবেন তো.?
তামিমঃ হ্যাঁ বাসবো।
মায়াঃ কিভাবে বাসবেন.?
তামিমঃ হৃদয় দিয়ে ভালোবাসিব।
.
.
.
.
.
The End…….