হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(২২) #Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(২২)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

(৫৪)
রিজভী কামিনীর দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বললেন…

—“তুমি খুব ভালো করেই জানো কুশল যখন ৩০ বছর বয়সে পদার্পণ করবে তখন এই চৌধুরী বংশের ৯০% সম্পত্তির মালিক সে হয়ে যাবে। একবার কুশল সম্পত্তির মালিকানা পেয়ে গেলে যেকোনো ভাবে সব সম্পত্তি আমাদের নামে লিখে নিতে পারবো। তখন আমাদের আর আমাদের ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে কোনোরকম চি*ন্তা করতে হবে না। তাই সেই সময় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের মেজো ভাই-ভাবীর কথানুযায়ীই চলতে হবে। আমাদের আচারণে এমন কোনো ভাব প্রকাশ করা যাবে না যার ফলে মেজো ভাই-ভাবী আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এতোটুকুও সন্দেহ করতে পারেন। যদি তারা আমাদের উপর একবার সন্দেহ করতে শুরু করেন তাহলে আমাদের এতো বছরের অপেক্ষা, উদ্দেশ্য সব নিমিষেই ন*ষ্ট হয়ে যাবে। তখন আমরা একূল-ওকূল দুইকূলই হা*রিয়ে ফেলবো। আর তখন আমাদের ঠিকানা হবে গাছের নিচে, রাস্তার ধারে। পেটের দা*য়ে ভি*ক্ষাও করতে হবে। তাই নিজ হাতে নিজেদের সুন্দর সুখময় ভবিষ্যত ন*ষ্ট করার ইচ্ছে না থাকলে মাথা ঠান্ডা রাখো।”

কামিনী মুখ বাঁ*কি*য়ে বিছানা থেকে নেমে বিনুনি নাড়াতে নাড়াতে বললেন…..
—“খুব তো বড় মুখ করে বললে কুশল সম্পত্তির মালিকানা পেয়ে গেলে যেকোনো ভাবে তুমি ওর থেকে সব সম্পত্তির মালিকানা নিজের নামে করে নিবে। বলি কুশলকে কি তোমার এতোই বোকা আর বুদ্ধি*হী*ন ছেলে বলে মনে হয় যে, তুমি চাইলে আর সে সুরসুর করে নিজের সম্পত্তির মালিকানা তোমার নামে করে দিবে!”

কামিনীর মুখে এমন কথা শুনে রিজভী বিরক্তিতে নিজের মুখ দিয়ে ‘চ’ শব্দ উচ্চারণ করে বললেন….

—“কুশল কি জানে নাকি যে ওর ৩০ বছর পূর্ণ হলে ও এতো এতো সম্পত্তির মালিকানা পেয়ে যাবে তাই সে আমার উদ্দেশ্য সফল হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে!”

—“যখন মালিকানা পাবে তখন তো জানতেই পারবে। যতোটা সহজ ভাবে নিচ্ছো সম্পূর্ণ বিষয়টা ততোটাও সহজ কিন্তু নয়। শেষে যেনো কুশল তোমার বারা ভাতে ছাই না ঢেলে দেয়।”

—“আহহ, সবসময় এতো অ*লু*ক্ষু*ণে কথা বলবে না তো তুমি কামিনী। কিছু সময় মুখ দিয়ে শুভ কথাও বের করা উচিত তোমার। নয়তো এতো এতো অ*লু*ক্ষু*ণে কথা বলার জন্য তোমার মুখটাও পঁ*চে যাবে একদিন।”

কামিনী ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে বললো….
—“চু*প করো তুমি। আমার এতো সুন্দর মুখটা পঁ*চ*বে না কখনও।”

(৫৫)
সকাল বেলা……..
চৌধুরী পরিবারের সকল সদস্যরা ডাইনিং টেবিলে বসে নাস্তা করছে। সেইসময় চৌধুরী মেনশনের মূল দরজা দিয়ে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল স্ট্রেচারে করে সাদা চাদরে আপদমস্তক ঢাকা কাওকে নিয়ে প্রবেশ করে ড্রয়িংরুমের মেঝের উপর রাখে। একজন পুলিশ অফিসার ও ছিলেন তাদের সাথে। চৌধুরী পরিবারের সকল সদস্যের দৃষ্টি সেদিকে পড়লে সকলেই চেয়ার ছেড়ে উঠে ড্রয়িংরুমে এসে দাঁড়ায়। সায়মন পুলিশ অফিসারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়লেন…..

—“অফিসার এভাবে আপাদমস্তক সাদা চাদরে ঢেকে স্ট্রেচারে করে কাকে এনেছেন?”

পুলিশ অফিসার নিজের মাথায় থাকা ক্যপটা খুলে হাতে নিয়ে বললেন…..

—“গতকাল রাতে শহর থেকে কিছুটা দূরে একটা এ*ক্সি*ডে*ন্ট হয়েছে। এ*ক্সি*ডে*ন্টে ভিকটিমের মুখ পুরোপুরি ভাবে থে*ত*লে গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই ভিকটিমের মৃ*ত্যু হয়েছে। চেহারা দেখে তাকে চেনার উপায় নেই। ঘটনাস্থলে ভিকটিম এর ফোন পেয়েছিলাম। ফোন আনলক করার পর কললিস্টে ঢুকে সেখানে লাস্ট কল চৌধুরী পরিবারের সদস্য কুশল চৌধুরীর ফোন নাম্বার দেখে আমরা তাকে কল করেছিলাম। অতঃপর তার কথানুযায়ী লা*শ*কে আইডেন্টিফাই করার জন্য আমরা সরাসরি এখানে নিয়ে এসেছি।”

সাগরিকা চৌধুরী সায়মনকে উদ্দেশ্য করে বললেন….
—“সায়মন কুশল দাদুভাইকে কল করো আর এক্ষুণি বাসায় আসতে বলো। সকাল থেকে তো তাকে আর তরু দিদিভাইকে দেখছি না বাসায়।”

সাগরিকা চৌধুরীর কথানুযায়ী সায়মন কুশলকে কল করতে নিবে সেইসময় কুশল আর তরু চৌধুরী মেনশনের মূল দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। কুশল শান্ত স্বরে বললো…

—“আর কল করার প্রয়োজন নেই, আমরা এসেছি।”

সায়মন রাগী স্বরে বললেন….
—“বিয়ের আগে তো নিজে মর্জি মতো হুটহাট বাসা থেকে বেড়িয়ে যেতে। আর এখন বিয়ের পর বউমাকে নিয়েও হুটহাট বাসা থেকে বেড়িয়ে যাও, কাওকে বলে যাওয়ার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন মনে করো না। নিজের পরিবারের মানুষদের একটু মূল্যায়ন করা কবে থেকে শিখবে তুমি হ্যা! তোমার মতো এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ছেলে আমাদের বংশে আর একটা নেই।”

কুশল ওর দৃষ্টি মেঝেতে রাখা লা*শ*টির উপর স্থির করে কমোরের পিছনে দু’হাত রেখে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়। সায়মনের বলা কথাগুলো কুশলের কান পর্যন্ত পৌঁছালেও তাতে যে ওর বিন্দুমাত্র যায় আসে না তা কুশলের শান্ত-স্বাভাবিক মুখশ্রীর দিকে লক্ষ্য করলেই সবাই বুঝতে পারবে। কুশলের এমন পাত্তাহীন আচারণ বরাবরই সায়মনের রাগের মাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই সায়মন দাঁতে দাঁত পি*ষে নিজের রাগ নিজের মধ্যেই হ*জ*ম করে নেয় বরাবরই।

কুশল শান্ত কন্ঠে পুলিশ অফিসারকে বললেন…
—“অফিসার আপনি বলেছিলেন এ*ক্সি*ডে*ন্টের কারণে লা*শ*টির মুখ পুরোপুরি ভাবে থে*ত*লে গিয়েছে তাই আমরা তার চেহারা দেখে তাকে চিনতে পারবো না। তাহলে তাকে চেনার জন্য ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা লা*শে*র ব্যবহৃত জিনিসপত্র গুলো আমাদের দেখান।”

(৫৬)
রাতে অনেক দেড়িতে ঘুমানোর কারণে ঘুম থেকে উঠতে আজ বেশ বেলা করে ফেলেছে সন্ধ্যা। নিলাদ্রের প্রতি রাগ থাকায় চেইঞ্জ না করে শাড়িটি পড়েই রাতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো সে। আড়মোড়া ভে*ঙে শোয়াবস্থা থেকে উঠে বসতেই নিচ থেকে সকলের কথা বলার হালকা আওয়াজ শুনতে পেয়ে সন্ধ্যা রুমের বাহিরে এসে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে নিচে লক্ষ্য করতেই দেখে পরিবারের সকল সদস্যরা ডায়নিং এ একত্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পাশেই পুলিশদের দেখে সন্ধ্যা অবাক স্বরে বললো…

—“সকাল সকাল বাসায় পুলিশ এসেছে কেনো? আর সবাই এভাবে দাঁড়িয়ে কি দেখছে ওখানে। এখানে থেকে কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না। নিচে যেতে হবে আমায়।”

এই বলে সন্ধ্যা সিঁড়ি বেয়ে নিচে এসে তরুনিমার পাশে দাঁড়াতেই স্ট্রেচারের উপর সাদা চাদরে ঢাকা লাশটি দেখতে পায়। অজানা কারণে সন্ধ্যার বুকটা ধ*ক করে উঠে। সন্ধ্যা তরুর হাত জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়।

পুলিশ অফিসার কুশলের সামনে একটা পলিথিন ব্যগ ধরে বললো….
—“এখানে ভিকটিমের ঘড়ি, মোবাইল, স্বর্ণের একটা আংটি আর ওয়ালেট রাখা আছে। আপনারা এগুলা দেখুন আর ভিকটিমকে চিনতে পারেন কিনা জানান।”

কুশল সেগুলো হাতে নিয়ে দেখামাত্র একবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সকলেই লা*শে*র পরিচয় জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে কুশলের মুখশ্রী পানে। কুশল থমথমে স্বরে বললো…

—“এই সবগুলো জিনিস দেখেই তো মনে হচ্ছে এগুলো নিলাদ্রের। তারমানে কি এটা নিলাদ্রের লা*শ!”

কুশলের মুখে এমন কথা শোনামাত্র কামিনী একহাতে নিজের মুখ চে*পে ধরেন বললেন….

—“হায় আল্লাহ!”

উপস্থিত সকলেই যেনো বিস্ময়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন। সন্ধ্যা তরুর হাত ছেড়ে কুশলের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওর হাত থেকে পলিথিন ব্যগটা নিয়ে সেখান থেকে সবগুলো জিনিস বের করতে নিলে পুলিশ অফিসার বললেন…

—“এগুলা বের করবেন না। জিনিসগুলো এখনও পরীক্ষা করা হয় নি তাই বাড়তি কারোর স্পর্শ করা ঠিক হবে না।”

সন্ধ্যার কান পর্যন্ত যেনো পুলিশ অফিসারের কথাগুলো পৌঁছাতে পারে নি। কুশল হাত উঠিয়ে পুলিশ অফিসারকে থামিয়ে দেয় সন্ধ্যাকে কিছু না বলার জন্য। সন্ধ্যা পলিথিন ব্যগ থেকে আংটিটা বের করতেই আংটির উপর নিলাদ্রের নাম লেখা দেখতে পায়। পরমুহূর্তে ওয়ালেটের ভাঁজ খুলতেই সেখানে নিলাদ্রের আইডিকার্ড দেখতে পেলে সবগুলো জিনিস ওর হাত থেকে নিচে পড়ে যায়। সন্ধ্যা ধ*প করে নিলাদ্রের পাশে বসে পরে। তরুনিমা সন্ধ্যাকে ধরতে গেলে কুশল ওর হাত ধরে থামিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে তরু কুশলের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়। সন্ধ্যা নিলাদ্রের মুখের উপর থেকে সাদা চাদরটি সরাতেই থে*ত*লে যাওয়া বি*ভ*ৎ*স মুখশ্রী দেখে উপস্থিত বাকি সদস্যরা অন্যপাশে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। কিন্তু সন্ধ্যা একদৃষ্টিতে নিলাদ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

কামিনী উল্টোদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখা অবস্থাতেই বললেন….
—“আরে মুখটা ঢা*কো জলদী।”

পুলিশ কনস্টেবল মুখ ঢাকার জন্য এগিয়ে আসলে সন্ধ্যা উচ্চস্বরে বললো…..
—“খবরদার, কেও ওনার মুখ ঢাকার বিন্দুমাত্র সাহস করবেন না। ওনার এতো সুন্দর মুখটা কেনো ঢাকতে হবে! কেও ঢাকবে না, কেও না।”

সন্ধ্যার এমন আচারণের কারণ কেও বুঝে উঠতে পারছে না। সন্ধ্যা কাঁপা কাঁপা হাতে নিলাদ্রের মুখ স্পর্শ করে বললো….

—“আপনার পছন্দ করা শাড়িটা পড়ে খুব সুন্দর করে সেজে আমি ছাদে আপনার আসার অপেক্ষা করছিলাম। আপনি আসলেন না কেনো? ভালোবাসার দাবি নিয়ে ৬বছর ধরে আমার পি*ছু ঘুরেছেন। কাল যখন আমি আপনার ভালোবাসা গ্রহন করবো বললাম আপনি আসলেন না! এখন এভাবে নিরব হয়ে শুয়ে আছেন কেনো? আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। আমি আপনাকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করিয়ে য*ন্ত্র*ণা দিয়েছিলাম জন্য আজ আপনি নিরব থেকে আমায় য*ন্ত্র*ণা দিবেন বলে ঠিক করেছেন নাকি! এটা কিন্তু ঠিক না। উঠুন তো, আপনাকে এভাবে দেখতে আমার মোটেও ভালো লাগছে না। আর মুখে এসব কি লা*গি*য়ে এসেছেন হ্যা! কেমন বি*শ্রী দেখাচ্ছে। উঠে মুখটা ধুয়ে আসুন। আমি জানি আপনি আমার সাথে মজা করছেন। ইচ্ছে করে বি*দ্ধ*স্ত রূপ নিয়ে আমার সামনে এসেছেন যেনো আমি তা সহ্য করতে না পেরে আপনাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেই।”

উপস্থিত সকলেই স্তব্ধ হয়ে সন্ধ্যার দিকে তাকিয়ে আছে। নিলাদ্র যে সন্ধ্যাকে এতো বছর ধরে ভালোবাসে তা চৌধুরী পরিবারের কেও জানতো না এমনকি কুশলও না। কুশল তরুর হাত ছেড়ে দিলে তরু সন্ধ্যার পাশে বসে ওর কাঁধে এক হাত রাখে। সন্ধ্যা ঘাড় ঘুরিয়ে তরুর দিকে তাকায়। ওর চোখ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়ছে। সন্ধ্যা কাঁপা গলায় বললো….

—“ভাবী…ও-ওনাকে উঠতে বলো না। আমার সহ্য হচ্ছে না সত্যি। ওনার তো কিছু হয় নি বলো! আমি ওনাকে ভালোবাসি বলি নি তাই তো উনি আমার সাথে এমন করছেন বলো! আমি ভালোবাসি বললেই উনি উঠে যাবেন তাই না! আচ্ছা আমি বলছি।”

এই বলে সন্ধ্য নিলাদ্রের দিকে তাকিয়ে চাদরের নিচ থেকে র*ক্তে মাথা হাতটি ধরে কান্না করতে করতে বললো….
—“আমি আপনাকে ভালোবাসি নিলাদ্র। সত্যি বলছি, আমি আপনাকে ভালোবাসি। অনেক অনেক বেশিই ভালোবাসি। উঠুন এবার, প্লিজ উঠুন না!”

সন্ধ্যা নিলাদ্রের হাত ছেড়ে দিয়ে বসাবস্থাতেই কিছুটা পিছিয়ে কুশলের পায়ের কাছে এসে একহাতে কুশলের পা জড়িয়ে ধরে হু হু করে কাঁদতে কাঁদতে বললো…

—“ও মেজো ভাইয়া ওনার হাতটা এতো ঠান্ডা হয়ে আছে কেনো? ও ভাইয়া উনি তো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড। তুমি উনাকে উঠতে বলো না। আমার ভিষণ ক*ষ্ট হচ্ছে মেজো ভাইয়া। আমি ওনার এমন বি*দ্ধ*স্ত চেহারা দেখতে পারছি না। আমার বুকের ভিতরটা য*ন্ত্র*ণায় ছিঁ*ড়ে আসছে। ওনাকে বলো না আমায় এভাবে য*ন্ত্র*ণা না দিতে। আমি ওনাকে ভালোবাসি বললাম তো। আমার ভালোবাসি শব্দটি কি ওনার কান পর্যন্ত পৌঁছায় নি!”

সন্ধ্যার এমন আচারণ আর কান্নায় কুশলের বুকের ভিতরটা যেনো মো*চ*ড় দিয়ে উঠছে। পরক্ষণেই সন্ধ্যা সে*ন্স*লে*স হয়ে যায়। তরু সন্ধ্যার কাছে এসে ওকে ধরতেই সে তরুর উপর হেলে পরে যায়। তরু অস্থির কন্ঠে বললো….
—“কুশল….ও তো সেন্স*লে*স হয়ে গিয়েছে।”

অতঃপর কুশল তরিৎগতিতে সন্ধ্যাকে পাঁজাকোলে তুলে নিয়ে ওর রুমের দিকে অগ্রসর হতে হতে বললো….

—“বাবা…ডাক্তার আঙ্কেলকে কল করো আর বাসায় আসতে বলো জলদী।”

সায়মন ডাক্তারকে কল করে। তরুনিমা, সাবরিনা, কামিনী কুশলের পিছন পিছন অগ্রসর হয়। পুলিশ কন্সটেবল নিলাদ্রের মুখটি সাদা চাদর দিয়ে আবারও ঢেকে দেয়।

চলবে ইনশাআল্লাহ………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here