#গল্প_স্যার_i_love_you,পর্ব_09,10
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা (লেখিকা)
#পর্ব_09
মুন্নী আবারও রুবেলকে জড়িয়ে ধরলো
মুন্নী– সরি তখন তোমাকে ওইভাবে বলার জন্য
রুবেল– ইট’স ওকে বাবু তুমি না বললে আর কে বলবে এখন চলো গাড়িতে উঠো মুন্নী গাড়িতে উঠে পড়ে তারপর রুবেল মুন্নী ওর বাড়ির সামনে ড্রপ করে চলে যায়! (গত পর্বে)
ইতি রুমের মধ্যে পায়চারী করছে!
কিছুক্ষণ পর দরজায় কেউ নক করছে ইতির আর বুঝতে বাকি রইল না ওর স্যার এসে পরেছে!
ইতি দরজা খুলে দেয়!
স্যার প্রতিদিনের মতই আজও ইতিকে পড়াচ্ছে কিন্তু আজ ইতি কে অনেক ডিস্টার্ব মনে হচ্ছে!
স্যার– ইতি আর ইউ ওকে?
ইতি– স্যার! (অনেকটা গাবরিয়ে বলছে)
স্যার– কি হলো ভয় পাচ্ছো কেনো কোনো সমস্যা থাকলে বলো! (এত দিনে স্যারও ইতির সাথে ফ্রি হয়ে গেছে আর ইতিও)
ইতি– স্যার আমি আপনাকে একটা রিকুয়েষ্ট করতে চাই প্লিজ না করবেন না প্লিজ প্লিজ প্লিজ…!
স্যার– আচ্ছা কি কথা বলো!
ইতি– স্যারআপনিকালআমারসাথেএকটুবাহিরেযেতেপারবেনপ্লিজ! (এক নিশ্বাসে বললো) 🥵 এখন হাঁপাচ্ছে 🥵
স্যার– কি বললা!? এক গ্লাস পানি ইতির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো পানি খাও…! ইতি ঢকঢক করে পানি খেয়ে নিলো!
স্যার– হুম এখন তোমার এক হাত দিয়ে তোমার একপাশে নাক চেপে ধরো আর অন্য পাশ দিয়ে নিশ্বাস নাও।
ইতি– হুম (একহাত দিয়ে নাক চেপে ধরে)
স্যার– নিশ্বাস নাও এবার উপর পাশে চাপ দিয়ে ধরে এই দিক দিয়ে নিশ্বাস ছাড়ো!
হুম করো!
ইতি– হু..!
স্যার– ভেরি গুড! এখন কিছুক্ষণ এমন ভাবেই শ্বাস নেও আর বের করো!
দীর্ঘ ৫মিনিট পর—-!!!
স্যার– হুম এখন হাত সড়াও!
ইতি– জি।
স্যার– এখন কেমন লাগছে?
ইতি– ভালো আগের থেকে বেটার!
স্যার– এখন বলো এত হাইপার কেনো হয়েছিল?
আর কালক কি করবো সেটা আবার বলো এবার শান্ত হয়ে সুন্দর করে বলো!
ইতি– স্যার! কাল আমরা সব বন্ধু আর বান্ধবী টা মিলে এক সাথে লাঞ্চ আর ঘুরবো!
সবাই ওদের বিএফ এর সাথে যাবে আর যার বিএফ নাই সে যেতে পারবে না কিন্তু আমি যেতে চাই তাই আমি বলেছিলাম আমি আপনাকে আমার সাথে নিয়ে যাবো তাতে ওরা বিমত করেনি! আর সরি আপনাকে না জিজ্ঞেস করেই ওদের বলে দিয়েছিলাম প্লিজ রাগ করবেন না আর আপনি না যেতে চাইলে আমি ওদের বলে দিবো! (মাথা নিচু করে করুণ কন্ঠে বললো)
এমন ভাবেই বললো স্যারের আর না করার সাধ্য নেই।
স্যার– কিন্তু ওখানে তো সবাই যার যার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে যাবে আর আমি তোমার স্যার বয়ফ্রেন্ড নই!
ইতি– তাতে কোনো সমস্যা নাই।
আপনি শুধু….. (আর কিছু বললো না মাথা নিচু করে ফেললো)
স্যার– পড়ায় মন দেও।
ইতি মুড অফ করে পড়তে লাগে!
স্যার এখনি চলে যাবেন!
ইতি মুড অফ করে বাচ্চা বাচ্চা ফেস করে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে স্যারের উত্তরের আশায়!
স্যার চেয়ার থেকে উঠে ইতির সামনে দাঁড়িয়ে —
স্যার– কাল আমি রেডি হয়ে থাকবো! তুমি আমাকে পিক করে নিও! ওকে (একটা হাসি দিয়ে)
এতদিনে আজ প্রথম স্যার হাসলেন আর যেতেও রাজি হয়ে গেলেন!
ইতি এত খুশি হয়েছে যে চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠে স্যারকে জরিয়ে ধরে
স্যার তো থো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ইতি বুঝতে পারলো ও ওর স্যারকে জরিয়ে ধরেছে সাথে সাথে স্যার ছেড়ে দিয়ে একটু পিছিয়ে আসে!
ইতি– সরি স্যার! আমি একটু এক্সাইটেড হয়ে গেছিলাম তাই বুঝতে পারিনি! (মাথা নিচু করে) ইতি– লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে! ইসসস কি করলাম স্যার কি ভাবছে।☹
স্যার কিছু না বলেই মুচকি হেসে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো!
ইতি অবাক হয়ে আছে স্যার কিছু বললো না কেনো?
তার মানে কি স্যার ও আমাকে ইয়াহহহহুু
বিছানার উপর উঠে নাচতে লাগলো…!
ইতি খুশির ঠেলায় ভুলেই গেছে ওযে বলেছিল কাল ওদের সাথে যেতে পারলেই কল দিবে আর না পারলে কল দিবে না!
রাতে খেয়ে তারাতাড়ি শুয়ে পরে স্যারের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে।
ওদিকে ওরা ইতির কল না আসায় ভেবে নেয় ওরা ইতি কাল যাবে না,, স্যার রাজি হয়নি।
সবার মুড অফ হয়ে যায় ইতি যাবে না ভেবে।
পরেরদিন—
আজ প্রথম স্যারের সাথে বাহিরে যাবে।
তাই ইতি ওর আম্মুর থেকে একটা শাড়ি নিয়ে আসে আর সেটা পরবে ভাবে।
দীর্ঘ ৩০মিনিট ঘাটাঘাটি করেও কোনো শাড়ি পছন্দ হয়নি,,, এখন মুড অফ করে বিছানায় বসে পরলো।
ইতি মা আলমারি থেকে শপিং ব্যাগ এনে ইতির হাতে দেয় আর বলে এটা তোর নিশ্চয়ই পছন্দ হবে
ইতি শপিং ব্যাগ খুলতেই অভাক খুব সুন্দর একটা পিংক কালারের সিল্ক শাড়ি!
ইতি ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু দিয়ে থ্যাংকস বলে নিজের রুমে চলে আসে!
এখন পুরো ১ঘন্টা ধরেও একটা শাড়ি পরতে পারছে না! উফফ
ইতির আম্মু– কিরে হলো তোর?
রুমে ডুকে দেখে ইতি কোনো রকমে শাড়ি পেচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইতির আম্মু মেয়ের এই অবস্থা দেখে হেসে দিলো!
ইতি– আম্মু! (বিরক্ত হয়ে)
ইতির মা– দে আমি পরিয়ে দেই!
তারপর সুন্দর করে কুঁচি দিয়ে মেয়েকে শাড়ি পরিয়ে দেয় এবং নিজের হাতেই সাজিয়ে দেয় কি আর সাজ চোখে গাঢ় করে কাজল আর ঠোঁটে হালকা করে লিপস্টিক আর চুল গুলো চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে ছেড়ে দেয় কিছু চুল ভাগ করে সামনের দিকে দিয়ে আর বাকি গুলো পেছনে ছেড়ে দিছেন তাতেই ইতিকে দেখতে পরীর মতো লাগছে!
মেয়েকে শাড়িতে এত সুন্দর লাগছে দেখে ইতির মা নিজের চোখের আর্নিশ থেকে এক আঙুল দিয়ে কাজল নিয়ে মেয়ের কানের পেছনে লাগিয়ে দেয় আর বলে!
ইতির মা– আমার পরীর মত মেয়ের যেনে কারো নজর না লাগে। (কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে চলে গেলেন)
ইতি নিজেকে খুব ভালো করে আয়নাতে দেখছে!
ইতি– শাড়িতে তো আমাকে বেশ লাগে নিজেই ক্রাশ খাচ্ছি।
মাঝেমধ্যে শাড়ি পরলে খারাপ হয় না!
২মিনিট পর!
ইতি– এখন আমি হাঁটবো কিভাবে আল্লাহ গো যদি পরে যাই।
শাড়ি পরে হাঁটা যায় আজিব মানুষ যে কিভাবে পরে আল্লাহ এই এই খুলে গেলো মনে হচ্ছে শাড়িটা!
ইতি– ও আম্মু গো শাড়ি খুলে গেলো গো।
ইতির মা কিচেন থেকে দৌঁড়িয়ে আসে এসে দেখে সব ঠিক আছে ইতি নিজেই শাড়ির কুঁচি ধরে দাঁড়িয়ে আছে!
ইতির মা– তুই এভাবে কুঁচি ধরে রাখলে সত্যিই খুলে যাবে ছাড়! মেয়েকে ধমক দিয়ে।
তারপর নিজেই হেঁটে দেখাচ্ছে শাড়ি পরে কিভাবে হাঁটতে হয়!
ইতি ওর আম্মুর দেখানো অনুযায়ী হেঁটে চলে গেলো এখন আর শাড়ির কুঁচি ধরেনি!
(মেয়ে বন্ধু বান্ধবীর সাথে ঘুরতে যাচ্ছে আর মা শাড়ি পরিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছে বাহ ভাবা যায় শুরুতে বিমত করেছিলেন ইতির আম্মুর বাহিরে খাওয়া পছন্দ না তাই কিন্তু পরে যখন জানলো শাওন ও যাচ্ছে তো আর কোনো কিছু বলেনি! মেয়েকে নিজের হাতেই সাজিয়ে দেয় আসলে উনারও শাওনকে ভালো লাগে চর লাগবেই না কেনো নম্র ভদ্র শিক্ষিত ছেলে বড়দের সম্মান করে!)
ইতি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় ওয়েট করছে স্যারের জন্য।
স্যারের আসতে লেট হচ্ছে দেখে ইতি গাড়ি থেকে নেমে যায় আর গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
স্যার আসছে।স্যারই বলেছিল ইতিকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে।উনি এখান থেকেই ওর সাথে যাবে।
কিছুটা সামনে আসার পর স্যার লক্ষ্য করলেন একটা মেয়ে গোলাপী কালারের শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে চুলগুলো মুখের সামনে এসে পরে আছে তাই চেহারা দেখা যাচ্ছে না!
কিন্তু স্যার এগিয়ে আসছেন!
হটাৎ ইতি মাথা উঠিয়ে ওর বাম পাশের রাস্তার দিকে তাকালো!
ইতি তাকানোর সাথে সাথেই স্যার দাঁড়িয়ে গেলেন!
কারণ উনারা দু’জন দু’জনের থেকে আর মাত্র ১০কদম দূরে দাঁড়িয়ে আছে আর এখন তো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ওই শাড়ি পরা মেয়েটাই ইতি…!
স্যার– ইতি আজ শাড়ি পরেছে! কি সুন্দর লাগছে ওকে দেখছে! এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!
কিন্তু ওও শাড়ি কেনো পরলো? (মনে মনে)
ইতি– অবাক কিভাবে সম্ভব এটা কি ভাবে?
স্যারও পিংক কালারের একটা শার্ট পরে আসছেন!
দু’জন দু’জনের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিল!
স্যার নিজের চোখ নামিয়ে নিল আর ইতিও অন্য দিকে ঘুরে তাকালো!
দু’জনেই চুপ করে গাড়ি উঠে পরলো! পুরো রাস্তা কেউ কিছু বলেনি! কিন্তু দুজনেই দু’জনের দিকে তাকাতে গেলেই দুজনের চোখে চোখ পরে গেছে আর দুজনেই লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে যায়।
ওই দিকে রেস্টুরেন্টে বসে আছে মুন্নী, রুবেল মিম নাঈম আর আব্রু কিন্তু শ্রাবন এখনো এসে পৌঁছায়নি!
মুন্নী– ধ্যাত ইতি টা আসতে পারলো না কিছু ভাল্লাগছে না ধুর.! (বিরক্তির সুরে)
মিম– সব এই আব্রুর বাচ্চির জন্য হইছে ওওই তো বলছে স্যারকে নিয়ে আসবে হবে আর নয়তো আসা যাবে না। (আব্রুর মাথায় টোকা দিয়ে)
আব্রু– উফফ! আস্তে আমি কি জানতাম না-কি যে ওর স্যার রাজি হবে না। আমি তোভাবছিলাম রাজি হবে আর ওর স্যারকে দেখার সুযোগ পাবো যার প্রেমে আমাদের ইতি পরেছে।
রুবেল– কিন্তু তোর ভাবনায় পানি ঢেলে দিছে স্যার আর ইতির আসা বন্ধ হইছে। (রাগী কন্ঠে)
আব্রু– সরি। (মাথা নিচু করে)
নাঈম– কিন্তু এই শ্রাবন কেনো আসছে না এখনো? ওও কি রাস্তা হারিয়ে ফেলছে নাকি?
মিম– হ্যাঁ যার জন্য আসলাম তারই খবর নাই!
মুন্নী– মনে হয় জ্যামে আটকে পরেছে।
রুবেল– প্রায় ৩০মিনিট ধরে ওয়েট করছি। আর কত?
ওই আব্রুর বাচ্চি কল দে!
আব্রু– আমার ফোনে এমবি নাই! আমি তো ওয়াই-ফাই চালাই
নাঈম– কল দিবি এতে এমবি ওয়াই-ফাই করতাছোস কেন?
মুন্নী– তোর মেসেঞ্জারে কল দিতে হবে না এমবি নাই যখন নাম্বারে কল দে!
আব্রু– নাম্বার নাই।
রুবেল– কিহহ?
নাঈম– মাথা খারাপ প্রেম করিস আর নাম্বার নাই!
মিম– ওর আকাশে উড়াইনা কথা শুনে আমরা সব রেস্টুরেন্টে এসে বসে আছি বাহহহ ইচ্ছে করতাছে ওরে (দাঁতে দাঁত চেপে)
মুন্নী– তোর মাথায় কি গোবর ভর্তি না-কি তুই নাম্বার নিবি না!
সবাই আব্রুকে বকছে।
এমন টাইমে আব্রুর পেছনে একটা ছেলে এসে দাঁড়ালো!
ছেলে– এই যে ম্যাডাম মাথায় হাত দিয়ে আছেন কেনো?
আব্রু– ওয়েটার ওই গ্লাসে করে এক গ্লাস পানি দাও তো গলাডা শুকাই গেছে,,,
মুন্নী মিম রুবেল নাঈম এর দিকে তাকিয়ে আছে!
ছেলে– এই যে নিন ম্যাম আপনার এক গ্লাস জল।
(আব্রুর সামনে দিয়ে)
আব্রু ছেলেটাকে ওয়েটার ভাবছে।
রুবেল– এই ছেলেকে দেখে তো মনে হচ্ছে না ও এখান কার ওয়েটার!
নাঈম– ঠিক বলছিস!
মিম– আপনি কে আর এখানে কি চান?
মুন্নী– যান তো ভাই আমরা এমনি একজনের ওয়েট করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি আর উপর থেকে আপনি।
আব্রু– না জানি আবাল টায় কখন আসবে!আর জানি না আসবে কি না! (মুখ ফুলিয়ে বলল)
ছেলেটা আবাল শুনে কিছু না বলেই আব্রুর পাশের চেয়ার টেনে বসে পড়ল!
আব্রু– এই ওয়েটার আপনার সাহস তো কম না আপনি আমার পাশে বসছেন!
কথা বলতে বলতে উঠে দাঁড়িয়ে ছেলেটার দিকে ঘুরলো দিতে যাবে একখানা ঘুসি হাত আটকে গেলো..
আব্রু— আ. আ.. আপনি?
মুন্নী– তুই উনাকে চিনিস!
ছেলে– হুম আমি এই রেস্টুরেন্টের সামান্য একজন ওয়েটার। (মুখে হাসি দিয়ে)
রুবেল– আপনাকে দেখে তো ওয়েটার মনে হচ্ছে না!
আব্রু– আ’ম সরি।
— আহহ সরি বলছো কেনো?
শ্রাবন- আমি তো আবাল তাই না?
মিম– আব্রু আপনাকে কখন আবাল বললো?
মুন্নী– আব্রু তো শ্রাবন ভাইয়াকে বলছে! হাহ আর কিছু না বলেই সাথে সাথে দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরল!
রুবেল– তার মানে হচ্ছে আপনিই শ্রাবন?
নাঈম– নাইচ টূ মি ইউ! (হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
আব্রু– সরি শ্রাবন!
শ্রাবন সবার কাছে মাফ চাইলো!
শ্রাবন– I’m Sorry… Guys!… আর কিছু বলার আগেই মিম শ্রাবন কে থামিয়ে দিয়ে বললো!
মিম– সরি কেনো?
চলবে…..
#গল্প_স্যার I Love You
#লেখিকা_ শারমিন আক্তার বর্ষা
#পর্ব_১০
শ্রাবন সবার কাছে মাফ চাইলো!
শ্রাবন– I’m Sorry… Guys!… আর কিছু বলার আগেই মিম শ্রাবন কে থামিয়ে দিয়ে বললো!
মিম– সরি কেনো?
শ্রাবন– এই যে এতক্ষণ আমার জন্য তোমরা ওয়েট করেছো! আমার আসতে অনেকটাই লেইট হয়েছে তোমরা ওয়েট করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছো সেজন্য… আ’ম সরি…!
মুন্নী– ওও ব্যাপার না! ইট’স ওকে…!
রুবেল নাঈম মুন্নী মিম কথা বলছে শ্রাবনের সাথে অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করছে আর শ্রাবন ও উত্তর দিচ্ছে পাশাপাশি নিজেও ওদের প্রশ্ন করছে ওরাও উত্তর দিচ্ছে শুধু মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে আব্রু…!
আব্রু– ইসস আজ যদি ইতিকে নিয়ে আসতাম তাহলে হয়তো আর এত লজ্জায় পরতে হত না…! (মনে মনে)
আর দেখো তো ওদের মনে হচ্ছে ওদের দুলাভাই সামনে বসে আছে আর ওরা তার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছে..! আরে এখন তো শুধু বয়ফ্রেন্ড,, তাই এতদূর বিয়ে হলে তো ওর সামনে আমাকে পাত্তাই দিবি না তোরা আর এখনই বা কোই দিতাছোস… এই রকম বন্ধু বান্ধব থাকলে শত্রুর কি প্রয়োজন! ( আব্রু ওদের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে মনে মনে কথা গুলো বললো)
শ্রাবন– ম্যাডাম! আপনি কি কিছু বলবেন নাকি চুপ করেই থাকবেন? আপনার জন্য কি কিছু নিয়ে আসবো ম্যাডাম…?
আব্রু দাঁতে দাঁত চেপে শ্রাবনের দিকে তাকালো…!
মাথা নাড়িয়ে না বোধক উত্তর দিলো..
শ্রাবন– তোমাদের মুড অফ কেনো সবার? কি হয়েছে কোনো সমস্যা নাকি এখানে বসে থাকতে বোরিং হচ্ছো.?
মিম– আসলে বোরিং হচ্ছি না..! অন্য কারণ…!
শ্রাবন– অন্য কি কারণ? আমাকে বলা যাবে কি ফ্রেন্ড ভেবে বলতে পারো.!
মুন্নী– ভাইয়া আসলে আমাদের আরেকটা ফ্রেন্ড আছে আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড..! আর আমাদের দলের লিডার. ওও আসতে পারেনি তাই আমাদের মন খারাপ…!
শ্রাবন– কেনো আসতে পারেনি? ওকে তোমরা কেউ বলোনি আসতে?
রুবেল– ওটা আপনার গার্লফ্রেন্ড কে জিজ্ঞেস করুন কেনো আসতে পারেনি! (রাগে লাল হয়ে গেছে রুবেল)
শ্রাবন– বুঝলাম না! আব্রু আজব তুমি চুপ করে আছো কেন? তুমি কি আমার আসাতে খুশি হওনি না-কি চলে যাবো কোনটা?
আব্রু– নাহহহ”! কোথায় যাবেন কোথাও যাবেন না..! আসলে ইতির জন্য আমাদের সবার মন খারাপ তাই আর কি চুপ করে আছি তাছাড়া আমরা সবাই তো আপনার জন্যই আসছি!
শ্রাবন– ইতি কে?
মিম– আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড যার কথা বললাম এতক্ষণ ওর নাম!
শ্রাবন– ওও,, তাহলে তার না আসার কারণ কি?
নাঈম– কারণ হচ্ছে আপনার গার্লফ্রেন্ড শর্ত রেখেছিল ইতি যদি ওর স্যারকে নিয়ে আসতে পারে তাহলেই আমাদের জয়েন্ট করতে পারবে আর যদি না পারে তাহলে পারবে না,, আর ইতি ওর স্যারকে রাজি করাতে পারেনি তাই আসতেও পারেনি!
শ্রাবন– স্যারকে রাজি করাবে বা পারেনি মানে?
মিম– উফফ!
মুন্নী রুবেল নাঈম — সব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রাবনকে বললো..!
শ্রাবন আব্রুর শর্তের কথাটা শুনে একটু রেগে গেলো আর রাগী চোখেই তাকালো আব্রুর দিকে…
আব্রু– আমি তো ভালোর জন্যই বলে ছিলাম। আমি কি জানতাম ও স্যারকে রাজি করাতে পারবে না আমি তো ভালোর জন্যই বলে ছিলাম আ……(আর কিছু বলার আগেই আব্রুর সামনের দিকে তাকিয়ে চোখ আটকে গেলো)
আব্রুকে ওইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে শ্রাবন তাকালো..!
শ্রাবন– মাশাআল্লাহ কাঁপল টা সেই…! খুব সুন্দর মানিয়েছে!
মিম মুন্নী– কোন কাঁপল?? (পিছনে ঘুরে ওদের ও চোখ কপালে)
রুবেল নাঈম– কাদের দেখে তোরা সব হা হয়ে গেছিস?
শ্রাবন– ওই কাঁপল রা তো আমাদের টেবিলের দিকেই আসছে!
আব্রু– ওরা কাঁপল নয়!
শ্রাবন– মানে? সেইম ড্রেস পরেছে এক সাথে আসছে আর কাঁপল নয়?
মিম– সেটা তো আমরাও দেখছি মেচিং মেচিং কেমনে কি?
মুন্নী– ওই হচ্ছে আমার ইতি আর ওর সাথে ওর স্যার!
শ্রাবন— ওওও…!
ইতি– নাইচ টু মিট ইউ অল..!
অল– নাইচ টু মিট ইউ টু…
ইতি সবার সাথে স্যারের পরিচয় করিয়ে দিলো… আর আব্রু সবার সাথে শ্রাবনের পরিচয় করিয়ে দিলো…
ওয়েটার এসে অর্ডার লিখে নিয়ে চলে গেলো!
সবাই সবার মতো গল্প করছে!
মুন্নী– কিরে তুই আসবি কল দিয়ে বলিস নি কেনো?
মিম– আমরা তো ভাবছিলাম আসবি না তাই আরও মুড অফ করে রেখেছিলাম।
ইতি– এতটাই এক্সাইটেড ছিলাম ভুলে গেছি তোদের ইনফোর্ম করতে.!
সরি…!
আব্রু রুবেল নাঈম– হয় হয়… (বলেই সব হাসা শুরু করলো)
স্যার– কি হয়? (সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে)
ইতি– ঘোড়ার ডিম হয়..!
আব্রু– বাই দ্যা ওয়ে… তোকে আর স্যারকে বেশ সুন্দর লাগছে। পুরাই কাঁপলের দের মতো মেচিং করে দু’জনেই পরেছিস। আরও সুন্দর লাগছে!
স্যার– উফফ কি লজ্জা কি ভাবছে ওরা কেনো যে এই শার্ট টাই পরতে গেলাম বিরক্ত লাগছে এখন! (মনে মনে)
সবগুলা– তা যা বলেছিস আব্রু আমরা সবাই ফাস্টে দেখে তো চরম অবাক হয়েছিলাম…!
ইতি– এটা জাস্ট একটা Coincidence আর কিছু না..! তোরা ভুল ভাবছিস.!
আব্রু– What a coincidence..!
মুন্নী– সব সময় তোর সাথেই coincidence হয়.?
ইতি– চুপ করবি নাকি চলে যাবো!
মিম মুন্নী আব্রু– ওকে যা সরি! আর বলবো না!
ইতি– ভাইয়া আপনি যে একা একা আসছেন আপনার ভয় করেনি? আমরা এত গুলো মেয়ে ছেলে মিলে যদি আপনাকে কিছু করি বা বেঁধে রাখি গনধোলাই দেই, তখন একটু ও কি ভেবে দেখেন নাই!
সবগুলা অবাক হয়ে ইতির দিকে তাকিয়ে আছে সাথে স্যারও তাকিয়ে আছে…
শ্রাবন তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল…
বেঁধে রাখলে রাখো আর গণধোলাই দিতে চাইলে দাও সমস্যা নাই একটু ধোলাই না হয় খেলাম আমার আব্রুর জন্য….
মিম মুন্নী– বাহ বাহ আমার আব্রু…
শ্রাবন– তোমরা কি সবাই ফ্রেন্ড নাকি? তখন যে বললো সবাই সবার বয়ফ্রেন্ড নিয় আসতে হবে তাই জিজ্ঞেস করছি…!
মুন্নী– আমাদের দুইটা পরিচয় এক আমরা সবাই ফ্রেন্ড আর আমাদের আরেক পরিচয় হচ্ছে রুবেল আমার বয়ফ্রেন্ড..!
(মিম নাঈমের হাত টান দিয়ে ধরে)
মিম– আর নাঈম হচ্ছে আমার বয়ফ্রেন্ড + বেস্ট ফ্রেন্ড!
শ্রাবন আব্রুর হাত টেবিলের উপর রাখা ছিলো শ্রাবন আব্রুর হাতের উপর হাত রেখে,,,
শ্রাবন– আর এ হচ্ছে আমার ম্যাডাম! আর আমি উনার ওয়েটার…!
সবাই শ্রাবনের কথা শুনে খিল খিল করে হেসে দিলো..!
আব্রু বেচারী একটু লজ্জা পেলো…
আর আমাদের গোমড়া মুখো স্যার চুপ করে বসে বসে দেখছে..
স্যার– আমি একরু পানি খাই গলাটা শুকিয়ে গেছে!
গ্লাস টা হাতে নিয়ে সবে মাত্র চুমুক দিয়েছে?
শ্রাবন– শাওন স্যার আপনি আর ইতি তো বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড তাই না..???
স্যার পানি খাবে কি উল্টো স্যারের মুখ থেকে পানি বেরিয়ে আসলো..
স্যার– কিহহহ! ইতি শুধু আমার স্টুডেন্ট..!
ইতি– ইচ্ছে করছে এখন এই গ্লাস টা দিয়ে মাথাটা ফাটিয়ে দিই,,, অসভ্য বয়ফ্রেন্ড বললে কি এমন হতো আজিব লোক না আমার স্টুডেন্ট শয়তান হুহহ (মনে মনে বলে মুখ ভেংচি দিলো)
ইতি– উনি শুধু আমার স্যার…! হিহিহি
সবাই খাচ্ছে,, খাওয়ার মাঝখানে মিম নাঈমেকে
খাইয়ে দিচ্ছে নাঈম মিমকে। মুন্নী রুবেলকে খাইয়ে দিচ্ছে আর রুবেল মুন্নীকে শ্রাবন আব্রুকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আব্রু শ্রাবনকে…
স্যার মাথা নিচের দিকে করে রাখছে আর একটু একটু খাচ্ছেন লজ্জা পাচ্ছে স্যার…
ইতি– আমাকেও যদি একটু খাইয়ে দিতো…🥺
যাইহোক আমিই দেই…
ইতি– স্যার হা করেন!
স্যার– না না ঠিক আছে,,, আমি খাচ্ছি তোমার টা তুমি খাও.!
ইতি– আব্বে হালা ফাজিল আনরোমান্টিক! (মনে মনে)
ইতি স্যারের কানে কানে ফিসফিস করে বললো।
ইতি– স্যার আপনি যদি এখন না খান আমার মান সম্মান থাকবো না প্লিজ!! একটু একটু
স্যার– একটা ছেলেকে খাইয়ে দিলে সম্মান থাকবো আর না দিলে থাকবো না বাহ কত সুন্দর কথা!
ইতি– হো৷ হইছে এখন বেশি বেশি বলতেছেন বেশি কথা না বলে একটু খান!
স্যারও খেয়ে নিলো,,, ইতি আশা করছিলো স্যার অন্তত ওকে বলবে বা একটু খাইয়ে দিবে কিন্তু না স্যার তো ওর দিকে তাকালোই না।
ইতির রাগ হলেও চুপচাপ খেতে শুরু করে!
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পরলো!
(১ মিনিট রেস্টুরেন্টের বিল কে প্রে করছে
যেই করুক একজন করলেই হইলো আমার কি🥱 আমি লিখতে থাকি)…..
চারটা গাড়ি একসাথে চলছে তো চলছেই…!
তো হঠাৎ গাড়ি থামলো একটা জায়গার সামনে..
( জায়গাটা আমিও চিনি না তাই একটু দেখে নেই কোন জায়গায় গাড়ি থামলো)
শ্রাবনের গাড়ি প্রথমে ছিল তার পর নাঈমের তারপর ইতির শেষে ছিলো রুবেলের…
শ্রাবন রুবেল নাঈম ড্রাইবিং সিটে বসে ড্রাইব করছিলো আর ফ্রোন্ট সিটে বসে ছিলো আব্রু মিম মুন্নী… তিন জনের গাড়িতে 🥱
আমাদের ইতি আর স্যার গাড়ির পেছনের সিটে বসে আছেন… দুজনের মাঝখানে বেশ দূরত্ব…
সামনে ড্রাইবিং সিটে ড্রাইবার আঙ্কেল ড্রাইব করছিল…
আমাদের ইতি ড্রাইব করতে জানে তবুও ইতির বাবা মেয়েকে নিয়ে রিস্ক নিতে চায় না,,, যদি মেয়ে কার ড্রাইব করতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে ফেলে সেই ভয়ে ড্রাইবার আঙ্কেল এর দায়িত্ব ইতির যেনো কোনো ক্ষতি না হয় আর উনি থাকতে ইতি যেনো ড্রাইব না করে.. এ দায়িত্ব ইতির বাবাই দিয়েছে…!
শ্রাবনের গাড়ি ব্রেক করার ফলে একে একে সব গাড়ি থেমে গেলো… সবাই গাড়িতেই বসে আছে.. শ্রাবন গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে বললো নামতে সবাই নামলো…!
মিম– আমরা গ্রামের রাস্তায় কেনো আসলাম?
আব্রু– আমাদের তো পার্কে যাওয়ার কথা ছিল!!!
মুন্নী– আর আসছিই যখন এখানে গাড়ি ব্রেক করলেন কেনো?
স্যার রুবেল নাঈম চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে!
চারজন মেয়ে হাফ পাগল করে দিচ্ছে শ্রাবনকে প্রশ্ন করতে করতে…
স্যার রুবেল নাঈম এই দিকে অন্য দিকে ঘুরে মৃদু হাসছেন…
শ্রাবন– খালাম্মারা আপনারা একটু চুপ করবে আল্লাহ রসতে.
মিম– কিহহহ কে খালাম্মা!
ইতি– আপনার কি আমাদের দেখে খালাম্মা মনে হচ্ছে নাকি?
মুন্নী– আপনার সাহস তো কম না আমাদের খালাম্মা বলছেন. নেহাত আমাদের ইতি ভালো হয়েগেছে সাথে আমরাও আর নয়তো আজ আপনাকে গণধোলাই খাওয়া থেকে কেউ বাঁচাতে পারতো না..
শ্রাবন অবাক এইগুলো কি মেয়ে নাকি মাফিয়া কি থ্রেট দিচ্ছে বাইরি।।।
আব্রু– চুপ কর তোরা! (ধমক দিয়ে) শ্রাবন আমরা এখানে কেনো আসছি বলো তো…
শ্রাবন– বলছি বলছি! মেয়েরা ঝগড়াটে হয় জনতাম সাথে এত ডেঞ্জারাস হয় জনতাম না…
ইতি– কি বললেন?
শ্রাবন– কোই কিছু না তো আপু!
আমি তোমাদের সবাইকে গ্রামের দিকে নিয়ে আসছি কারন হচ্ছে আমরা এখন এই গ্রাম যতটা পারি ঘুরে দেখবো। আমরা সবাই শহরে থাকি তাই শহরের আনাচে কোনাচে সবটাই আমরা জানি তাই ভাবলাম আজ না হয় হাতে হাত রেখে পায়ে পা মিলিয়ে গ্রাম ঘুরবো…! বেশ ভালো হবে…!
মিম– বাহ বেশ রোমান্টিক তো আব্রুর কপাল ভালো..! (মুন্নীর কানে কানে ফিসফিসিয়ে বললো)
মুন্নী– একটু আগেও না কি কি জেনো বলতে ছিলি!
মিম– ওই আর কি?
ইতি– হুম আইডিয়া টা বেশ ভালো আমার পছন্দ হয়েছে।
রুবেল নাঈম মুন্নী মিম আব্রু— আমাদেরও পছন্দ হয়েছে…!
আমাদের হাবাগোবা স্যার চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছে…!
শ্রাবন– তাহলে চলো হাঁটা শুরু করি
(বলেই আব্রুর এক হাত নিজের এক হাতের মধ্যে মুঠি বন্ধ করে হাঁটা শুরু করলো)
ওদের দেখা দেখি মুন্নী রুবেলের হাত ধরে নিজের হাতের মধ্যে মুঠি বন্ধ করে নিলো!
রুবেল অনেকটা অবাক হলো দুইবছরের রিলেশন আজ প্রথম নিজের ইচ্ছে করে রুবেলের হাত ধরলো!
বাকি সময় তো শুধু রুবেল ই ধরতো…
আর আজ উল্টা হলো! দুজনেই দুজনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাঁটা শুরু করলো।
ওদের দেখে আমাদের নাঈম বাবাজি ও মিমের হাত ধরে ফেললো।
মিম তাকিয়ে দেখে নাঈম ওর হাত শক্ত করে ধরেছে!
সেটা দেখে মিমও নাঈম এর চোখের দিকে তাকিয়ে দিলো এক চোখ টিপ..
নাঈম ভেবাচেকা খেয়ে গেলো এত বদল.!
বাহহ শ্রাবন আসায় ভালোই হইছে মনে মনে বলে ওরা দু’জন ও হাঁটা শুরু করলো…!
ইতি বাচ্চা বাচ্চা মুখ করে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে স্যার লক্ষ্য করেও পাত্তা না দিয়ে হাঁটা শুরু করলো..
ইতি মুখ ভাড় করে স্যারের পাশাপাশি হাঁটছে অনেক ইচ্ছে করছে ইতির স্যারের হাত ধরার কিন্তু আহাম্মক টা বুঝেই না…
.
.
.
চলবে?