স্যার I Love You,পর্ব_০২,০৩

#স্যার I Love You,পর্ব_০২,০৩
#লেখিকা→ শারমিন আক্তার বর্ষা
#পর্ব_০২

আমাকে দেখে ড্রাইবার আঙ্কেল!
–ইতি মামনি কান্না করো না চল বাড়ি চল!
— হুম আঙ্কেল আপনি যান আমি আসছি
(বলেই গাড়িতে উঠলাম)

গাড়িতে বসে আছি!
গাড়ির কাচ নামিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি!
নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে অজস্র পানি ঝরছে!

ড্রাইবার আঙ্কেল– মামনি আমরা এসে পরেছি!

— ও আমি খেয়াল করিনি,,, সরি!

বাড়িতে ডুকে কোথায় দাঁড়ালাম না আম্মু একবার ডাক দিয়েছিল কিন্তু আমি সোজা রুমে চলে আসি!
আর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই কারণ আম্মু আমাকে দেখলে ঠিক বুঝে যেতো আমি কান্না করেছি!
ফ্রেশ হয়ে বেরোতেই দেখি আম্মু বিছানায় বসে আছে!

— আম্মু তুমি কখন এলে?

— যখন তুমি আমাকে ইগনোর করে রুমে চলে এসেছিলে তখন!

— মানে কি? তুমি ৩০ মিনিট ধরে রুমে বসে আছো?

— হুম,, তাড়াতাড়ি নিচে খেতে এসো,,
( আর কিছু না বলে আম্মু চলে গেলো)

আমিও পিছু পিছু লক্ষী মেয়ের মতো চলে আসলাম!

আব্বু– মামনি তোমার ক্লিনিক কেমন চলছে?

— আলহামদুলিল্লাহ ভালো আব্বু!

আব্বু– মামনি তোমার জন্য একটা ছেলে দেখেছি,,, তুমি কাল ছেলেটার সাথে মিট করো!

— আব্বু ইম্পসিবল,,, কোনো ভাবেই না!

আম্মু– তোর বাবা কি বলছে সেটা তো আগে শুনে নে!

— আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না! আমি শুধু স্যারকে ভালোবাসি আর স্যারকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না কখনোই না! সারাজীবন এমনেই থেকে যাবো তবুও কাউকে বিয়ে করবো না! আমার বিয়ে নিয়ে কেউ আর একটা কথাও বলবে না তা না হলে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো! (উঠে চলে আসলাম)

আম্মু– মেয়েটা না খেয়েই চলে গেলো!

আব্বু– আমি কি কিছু ভুল বলেছি? নাসিমা!
আমি ওর বাবা আমি কি নিজের মেয়েকে এভাবে তিলে তিলে কষ্ট পেতে দেখতে পারি বলো?
শাওন কে তো আমি কত জায়গায় খোঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু না ওর কোনো খোঁজ পেয়েছি না ওর মা-র কোনো খোঁজ পেয়েছি! একমাত্র মেয়েকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখে তো আমার কলিজা ফেটে যায়!
আমি তো শুধু এই টুকুই চাই আমার মেয়ে খুশি থাকুক!
এটা চাওয়া কি আমার অপরাধ

আম্মু– তুমি কষ্ট পেও না,, আমি ওকে বোঝাবো পরে!
তুমি প্লিজ এখন খেয়ে নাও!

আব্বু– আমার মেয়ে না খেয়ে চলে গেছে আমি কিভাবে খাই,,, আমার গলা দিয়ে খাবার নামবে না নাসিমা! আমার মেয়েটাকে বুঝিয়ে খাইয়ে দিয়ে আসো!
শাওন চলে যাওয়ার পর আমাদের মেয়েটা কেমন যেনো হয়ে গেছে,,, ৬বছরে অনেক পাল্টে গেছে.
নিশ্বাস তো নিচ্ছে কিন্তু জীবিত লাশ হয়ে আছে!
আমি আমার ৬বছর আগের ইতি কে ফিরে পেতে চাই
(এই বলে আব্বু চলে গেলো তার রুমে)

আম্মু — রুমে এসে দেখে আমি রুমে কোথাও নেই!
ওয়াশরুমেও যায়নি তো কি বারান্দায় গেছে?
কোথাও নেই তো কোথায় গেলো?
ছাঁদে যায়নি তো?
আম্মু দৌঁড়ে ছাঁদে আসে!
এসে দেখে আমি ছাঁদের এক কোণে মন খারাপ করে বসে আছি!

আম্মু– ইতি! এত রাতে ছাঁদে কেনো আসছিস মা?

— আম্মু তুমি এখানে আসছো কেনো? যাও রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ো আমাকে একা থাকতে দাও প্লিজ!!!

— তুই আমাদের একমাত্র মেয়ে মা আমরা যে তোর কষ্ট হইতে পারছি না,,, তাই তো তোর বাবা!

— আম্মু প্লিজ,, আর কিচ্ছু বলবা না!
আমি স্যারের জায়গায় কাউকে কল্পনাও করতেও পরিনা! আর তোমরা বলছো অন্য একটা ছেলের সাথের সাথে দেখা করতে আমি পারবো না!

— শাওন ৬বছর হয়েছে চলে গেছে আর তুই ওকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছিস! কেনো মা,, তুই তোর লাইফে…..(আম্মুকে আর কিছু বলতে দিলাম না,, নিজেই বলতে শুরু করলাম)

—আম্মু আর বলবে না,,, আমি বাড়ি থেকে চলে যাই এটাই তো যাও নাকি?
ওকে ফাইন কালকেই চলে যাবো!

আম্মু– তোকে আমি আর তোর বাবা আর কিচ্ছু বলবো না যা ইচ্ছা কর কিন্তু বাড়ি ছেড়ে যাসনা মা!
তোকে ছাড়া আমরা থাকতে পারবো না,,,
(আম্মু কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো)

আমি আম্মু আব্বুর কষ্ট বুঝতে পারছি কিন্তু আমার যে কিছু করার নাই
আমি যে স্যারকে অনেক ভালোবাসি!

আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি অনেক কালো কালো মেঘ জমেছে আকাশের বুকে!
তার থেকে বেশি মেঘ আমার বুকে জমে পাথর হয়ে গেছে!
মনে হচ্ছে বৃষ্টি আসতে পারে!
আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম–
স্যার আপনি কবে ফিরে আসবেন?
আপনাকে যে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে ইচ্ছে করছে!
আমার তো আপনাকে ছাড়া থাকতে অনেক কষ্ট হয় আপনার কি আমার কথা একবারও মনে পরে না!
আপনার চোখে তো আমি আমার প্রতি ভালোবাসা দেখেছিলাম তো কিভাবে ভুলে গেলেন আমাকে

কাঁদতে কাঁদতে চোখ বন্ধ করলাম!–

আর ডুব দিলাম ৬ বছর আগের আমি পুরানো স্মৃতি তে!—

চলবে???

#গল্প_ স্যার I Love You
#লেখিকা_ শারমিন আক্তার বর্ষা
#পর্ব_০৩
____________

আর ডুব দিলাম ৬ বছর আগের আমি তে!—( গত পর্ব)

আমি ইতি আমাকে তো সবাই চিনোই -হিহিহি
—আম্মু আমি আমার ড্রেস খুঁজে পাচ্ছি না
একটু খুঁজে দিয়া যাও!

আম্মু– তুই একটু খুঁজে নে আমি কিচেনে নাস্তা বানাচ্ছি!

— আম্মু আমার লেট হয়ে যাচ্ছে একটু এসে খুঁজে দাও না!

আম্মু– উফফফ এই মেয়েকে নিয়ে কি যে করি,, এত বড় হয়ে গেছে এখনো নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে পারে না আর আমি কষ্ট করে গুছিয়ে দিলে সেগুলো অগোছালো করে রাখে আর পরে আম্মু এটা পাচ্ছি না ওটা পাচ্ছি না এটা খুঁজে দিয়ে যাও ওটা খুঁজে দিয়ে যাও!

— আমমমমমমমম্মু…….

আম্মু– আসছি তো চিৎকার করছিস কেনো?

আম্মু কিছুক্ষণ খোঁজার পর এই নে তোর ড্রেস,,, অসহ্য একটা কাজও ঠিকঠাক মতো করতে পারিস না,,
তোকে নিয়ে যে আমাদের কি হবে,,
একমাত্র আল্লাহ জানেন..
এত বড় হয়ে গেছিস এখনো বাচ্চাই রয়ে গেলি!

— ও আম্মু,, আমি এমনই থাকতে চাই উমমম্মাহ
(আম্মুকে জড়িয়ে ধরে একটা পাপ্পা দিলাম)
আম্মুকে একটু জড়িয়ে ধরে পাপ্পা দিলে আম্মু গলে যায় আর কিছু বলে না রাগ গলে পানি পানি হয়ে যায়,,,
যখন ছোটো ছিলাম তখন দেখলাম আম্মু আব্বুর উপর একটু বেশি রেগে গেলেই আব্বু আম্মুকে এইভাবে
আর বললাম না আমার বুঝি লজ্জা করে না
তাই আর কি আমিও শিখে গেছি

আম্মু– একদম বাবা মতো হয়েছিস!
তাড়াতাড়ি নিচে আয় নাস্তা রেডি!

— ওকে আম্মু!

কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিচে নামতেই!

আব্বু– মামনি গুড মর্নিং!

— ওওও আব্বু গুড মর্নিং….

আব্বু– এসো আব্বুর পাশে বসে নাস্তা করো!

— ওকে আব্বু! ( আব্বুর পাশে বসতেই আব্বু আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে)

আম্মু– আমাকে তো সবাই ভুলেই গেছে!

আব্বু– আরে আমার লক্ষী সুন্দরী বউ আসো আমার পাশে বসো আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি!
হা করো!

আম্মু লজ্জায় লাল টমাটু হয়ে গেছে আর আব্বুর পাশে বসে হা করে খাচ্ছে

— আম্মুর বিষয়ে আরেকটা কথা বলি হিহিহি
আমার আম্মু প্রশংসা পেতে খুব পছন্দ করে আর সেটা যদি আব্বু করে তাহলে তো কথাই নাই
আর বেশি বেশি প্রশংসা করলে এই যে এখনের মতো লাল টমাটু হয়ে যায়

— আচ্ছা আব্বু-আম্মু আমার শেষ আমি যাই!

আব্বু– দাঁড়াও মামনি,,, তোমাকে একটা কথা বলার আছে!

— হ্যা বলো!

আব্বু– তোমাকে প্রাইভেট পড়াতে একজন নতুন স্যার আসবে বুঝেছো এইবার ওর সাথে কোনো দুষ্টামি করবে না! ও খুবই ভদ্র ছেলে বুঝেছো,,,
এর আগেও ১০টা স্যার তোমাকে পরাতে এসে পালাইছে ৩দিনও টিকে নাই লাস্ট স্যার ৪ দিন টিকছিলো জানি না কি করো যে তারা পালাইতে বাধ্য হয়,, এইবার এমন কিছুই করবে না তুমি!

আম্মু ও আব্বুর সাথে একটু তালেতাল দিল–

ওকে ওর কলেজের ফাজিল বন্ধু গুলার সাথে মিলা মিশা বন্ধ করে দাও ও এমনি ঠিক হয়ে যাবে,,, ফাজিল বন্ধুদের সাথে মিশে ফাজিল হয়ে যাচ্ছে দিনদিন!
একটু শাসন করো মেয়ে কে!

আমি– আম্মু তুমি তো জানো না ওই ফাজিলদের দলের লিডার হচ্ছি আমি,,, ওরা কি ওদের থেকে বড় ফাজিল আমি.হাহাহা (মনে মনে বললাম)

আব্বু– দুষ্টামি করো না ওকে মামনি! ( আব্বু কপালে একটা চুমু দিলো আর আমার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলো অফিসে)
আমিও আব্বুর সাথে বেরিয়ে অন্য গাড়িতে উঠে কলেজের উদ্দেশ্য রওনা হলাম
আর ওই স্যার গুলার সাথে কি করছিলাম একটু বলি

৯নাম্বার স্যার যে আমাকে পরাতে আসছিলো হেই বেডা একটু বোকা বোকা আছিলো হেরে একদিন চায়ের সাথে তেলাপোকা দিছিলাম
হেয় তো চায়ের উপরে তেলাপোকা সাতার কাটতাছে দেখিয়া উল্টাই পাল্টাই দৌঁড়
১০নাম্বার স্যারেরে তো রাস্তায় সব গুলা বান্ধবী মিল্লা এমন ধুলাই দিছিলাম আমারে কেনো জীবনে আর কোনো ছাত্র-ছাত্রী কে সে পড়ায় নাই
আর বাকি গুলারে একটু উত্তম মাধ্যম দিছিলাম হেতেই হেরা সব ভাগছিলো.

ভাবতাছি এইটার সাথে কি করমু
ভাবতে ভাবতে আমার গাড়ি থেমে গেলো
কি হয়েছে আঙ্কেল কলেজ তো এখনো অনেক দূর!
ইতি মামনি মনে হচ্ছে গাড়ির ইন্জিনি নে কিছু প্রবলেম হয়েছে!

ওকে আঙ্কেল তুমি গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে যাও ঠিক হয়েগেলে বাড়ি চলে যেও আমি রিকশা করে কলেজ চলে যাচ্ছি!

তুমি যেতে পারবে মামনি.?
হ্যা আমি ঠিক যেতে পারবো!

অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি একটাও রিকশা খালি নাই উফফফ
আমার এমনিতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে!
কিছুক্ষণ পর একটা রিকশা দেখলাম! ( যাক বাবা)

ওই রিকশা এদিকে আসো!
ওই মামা এদিকে আসো!

পাশে কোথা থেকে একটা ছেলে এসে আমার ডাকা রিকশা ওনি মামা বলে ডেকে নিচ্ছেন ম্যাজাজ টা গেলো বিগড়ে!

রিকশা ওয়ালা– কোথায় যাবেন আপনারা

আমি- কোথায় যাবেন মানে কি আমি আগে ডেকেছি আপনাকে তাই আমি যাবো!

ছেলেটা — আমিও ডেকেছি আমিই যাবো আমার যাওয়াটা ইমপোর্টেন্ট! আপনি অন্য রিকশা করে চলে যান না প্লিজ আমার চাকরির ইন্টারভিউ আছে! টাইমলি না পৌঁছাতে পারলে জব টা হাত থেকে চলে যাবে প্লিজ!

আমি– তাতে আমার কি আমি আগে রিকশা ডাকছি! তাই আমিই যাবো! আর আমার কলেজের জন্য লেট হয়ে যাচ্ছে!

ছেলেটা– না আমি যাবো

আমি– আমি যাবো

(১০মিনিট এই ভাবেই গেলো)
রিকশাওয়ালা- বেশ মজাই নিচ্ছে আর মুখ চেপে হাসছে

ছেলেটা বেশ ঝগড়াটে
কিন্তু আমার তো লেট হয়ে যাচ্ছে!
কালকে বৃষ্টি হয়েছে তাই রাস্তার জাগায় জাগায় কাঁদা আর পানি জমে আছে!

ছেলেটা বেশি বারাবারি করছি
আর আমার শয়তানি মাথায় একটা তুফানি আইডিয়া আসলো

ছেলেটা যেই রিকশায় উঠতে যাবে এক ধাক্কা দিয়ে দিলাম কেঁদায় ফেলে সাথে কাঁদাপানি ফ্রি

আর টুস করে রিকশায় উঠে বসলাম,,
সবাই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে হাসছে
ছেলেটা কতক্ষণ আমার দিকে বলদের মতে তাকাই ছিলো!

কিন্তু এখন ছেলেটার দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলাম ছেলেটা বেশ কিউট আর হ্যান্ডসাম এতক্ষণ ঝগড়া করছি তাই খেয়াল করি নাই কিন্তু এখন
ওই সে যেমনই হোক না কেনো তাতে আমার কি!

রিকশা মামা তাড়াতাড়ি চলো আমার কলেজের জন্য দেরি হয়ে গেছে এমনিতে অনেকটা!

রিকশাচালক– আপা কাজটা কি আপনি ঠিক করছেন?

–কি করতাম বলেন ছেলেটা কিভাবে ঝগড়া করছিলো আপনি তো দেখছেনই আর আমার ও অনেক লেট হয়ে গেলো আজ তো স্যার ক্লাসে ডুকতেই দিবে না

কলেজের সামনে এসে রিকশা ভাড়া দিয়া এক দৌড় দিলাম সোজা ক্লাসের সামনে গিয়ে থামলাম..
হাঁপাতে হাঁপাতে আসবো স্যার?

না তুমি আজকে বাহিরেই থাকো!

স্যারের পুরো ক্লাস আমাকে বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখলো

অন্য স্যারের ক্লাসে ঢুকলাম!
সবগুলো ক্লাস করলাম কলেজ ছুটি কি মজা!

কলেজের পাশে একটা ফুলের বাগান আছে সেখানে এসে আমরা সবাই আড্ডা দেই আমি আগেই এসে বসে আছি!

তানিম, রুবেল,,,মুন্নী,, মিম আর আর্জিনা!
(এই পাঁচটা আমার কুত্তা কুত্তী বন্ধু বান্ধবী আর আমার ফাজিলের দল)

আমার কাছে এসে বসে বসলো,, আর বললো
কিরে আজ আমাদের ছাড়াই চলে এলি আর ক্লাসেও খুব একটা দুষ্টামি ফাজলামি করিসনি কি হয়েছে একটু বলবি?
তার ওদের সব খুলে বললাম–
ওরা তো হাসতে হাসতে ৩২টা হাঁত বাহির করে দিছে আর হাসতে হাসতে এক জন আরেক জনের উপরে গিয়ে পরছে.

আমি– ওই তোরা চোপ করছি!
ইচ্ছা মত দিলাম কত গুলা

আমি– ছেলেটার সাথে ঠিক করি নাই,, ওইভাবে ধাক্কা দেওয়া একটু উচিত হয় নাই,,, ছেলেটা বলছিলো ওর ইন্টারভিউ আছে আর আমি কাঁদায় ফেলে দিলাম! ইসসস

মুন্নী– এখন আর ইসস ইসস করে কি করবি যা করার তা তো করেই দিছোস

আর্জিনা– ছেলেটা কেমন ছিলো রে?

আমি– অনেক কিউট আর হ্যান্ডসাম ছিলো

মিম– ওও প্রেমে টেমে পরে যাওনি তো আবার?

রুবেল– কিরে বিকেলে চল সবাই ফুচকা খেতে যাই!

তানিম– আইডিয়া টা ভালো!

মুন্নী-মিম-আর্জিনা- ওকে ডান!

আমি– আমি যেতে পারবো না রে!

মুন্নী— কেন?

আমি— আজ বিকালে আমার নতুন প্রাইভেট স্যার আসবে আমাকে পড়াতে!

সবগুলা একসাথে –কিহহহহহ
আবার আরেকটা স্যার!
এবার এটার সাথে কি করবি?
ভাবছি কি করবো
আচ্ছা চল সবাই এখন বাড়ি যাই টাটা..
সবাই চলে গেলো
{আমি একা রয়ে গেলাম}

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here