স্বামী,০৮
Ariyan Shaiquat
তখনি একটি কালো ভ্যান এসে আমাদের দুইজনকে উঠিয়ে নিয়ে আসলো। ছেলেটিতো ভয়ে পুরাই কান্না সুরু করে দিছে প্রায়৷
২ঘন্টা পরে।
মেঙ্গানিজ আসতে আসতে চোখ খুলছে। আমি তাকে চোখ খুলতে দেখে। পাসের চেয়ার থেকে বললাম,
— এই শব্দ করো না ওরা শুনে ফেললে চলে আসবে।
ও কিছুটা মোরামুরি করছিলো। আমি আসতে করে বললাম। আমি খুলে দিচ্ছি তুমি পালাও।
আসতে করে তার দরিটা খুলে দিলাম। সে সাথে সাথে উঠে দৌড় দিলো। আর আমি সেই যায়গায় চেয়ারের উপরে বসে আছি একটা বারের জন্যেও। সে আমার দিকে তাকালো না।
আরো ১ ঘন্টা পরে।
আমি চেয়ার থেকে উঠলাম। তার পরে আসতে আসতে হাটতে হাটতে সামনের রুমের দিকে গেলাম৷ গিয়ে দেখি মেঙ্গানিজ জামাকাপর ছাড়া সুয়ে আছে। আর তার কমোরের দিকে কিছু রক্ত লেগে আছে।
আমি গিয়ে অতি আবেগের সাথে বললাম,
— কি হয়েছে তোমার? তুমি এভাবে আছো কেনো?
কোনো সারা না পেয়ে। তাকে ধাক্কা দিলাম। অত:পর পানি মারলাম তার মুখে। তার পরে সে উঠে আমাকে দেখে কান্না শুরু কিরে দিলো আর বললো,
— ভাই আমার সব শেষ।
— কি হয়েছে?
— কিছু সমকামী [গ্যে বলা হয় যাদের] আমার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করেছে।
— হায় হায় বলো কি!!!
— ভাই আমার সব শেষ? আমার পেছন দিয়ে রক্ত পরছে এখনো। আপনি কিছু করুন ভাই।
— আচ্ছা আমি দেখছি।
বলেই আমি উঠলাম তখনি কিছু লোক ঢুকলো, আর বললো,
— কিরে কই যাস এবার তোর পালা।
— কি বলছেন আমার কাছে আসবেন না।
আর কিছু বলতে দিলো না এসে জরায় ধরলো। তার পরে আমরা হাশা শুরু করলাম। কিছুক্ষন হেসে অত:পর মেঙ্গানিজকে বললাম,
— কিরে খা**র প** কি ভাবছিলি? যা করেছিস তার ফল পাবি না?
পাস থেকে বন্ধু বললো,
— এটাই ছিলো তোর ফল। আরে ধুর কিযে বলছি? এটা ছিলো তোর ফলের প্রথম পর্ব। এখনো তোর জন্যে অনেক কিছুই বাকি আছে।
— দোস্ত সকল সমকামী দের টাকা দিয়ে দিছি। ওরা চকে গেছে। আচ্ছা এখন ব্লেড নিয়ে আয়।
তখন মেঙ্গানিজ বলা শুরু করলো,
— ভাই আমি কি ক্ষতি করেছিলাম আপনাদের?
— না ভাই তুই কিছুই করিস নাই? আমার মনে চাইছে তাই এখন আমি তোর বাপ হওয়ার শক্তিটাও কেরে নিমু।
— ভাই আমিতো আপনার অনেক বড় ফ্যান তার পরেও?
— হায়রে তুই যদি এখন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর ছেলে হতিস তবুও আমি তোকে ছারতাম না।
— কি ক্ষতি করছি বলবেনতো? [ কেদে সব ভাসায় দিতাছে]
— তুই আমার কিছুই করস নাই। আমার মনে চাইছে তাই আমি এখন তোর সাথে এমন করমু। ঐ ধর ওরে।
ছেলেটা এক প্রকার হামাগুড়ি দিয়ে পিছিয়ে যেতে লাগলো। সেটা দেখে আমরা সবাই পৈচাশিক হাসা হাসতে লাগলাম।
আমি ব্লেড টা হাতে নিয়ে ওর কাছে যেতে লাগলাম।
ও চিৎকার করতে লাগলো আর বললো,
— ভাই আমাকে ক্ষমা করে দেন এতো বড় সর্বনাশ কইরেন না আমার।
আমার প্রচুর রাগ উঠে গেলো কাছে গিয়ে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা চর বসায় দিয়ে বললাম,
— তুই যদি আমার সব সম্পদ নিয়ে নিতিস তোরে কিচ্ছু বলতাম না। কিন্তু তুই যা করেছিস তার জন্যে তোরে খুন করলেও কম হবে। তাই তোর থেকে তোর বাবা হবার শক্তিটা কেরে নেবো।
— কি করেছি সেটা একটিবার বলদেন প্লিজ।
— শু*** বাচ্চা তুই জিজ্ঞেস করছ তুই কি করেছিস? তুই জাহানের সাথে কি করেছিলি ভুলে গেছিস?
— জা, জা জাহান! কোন জাহান? যে আপনার গল্পের পাগল ছিলো ও?
— তুই আবার জিজ্ঞেস করস?
— মানে জেনিয়ার বান্ধুবি জাহান।
— জেনিয়া কে? ঐ তুই কি কথা ঘুরাতে চাচ্ছিস? আর আমি তোর সাথে এতো কথা কেনো বলছি?
— ভাই আমি জাহানের সাথে কিচ্ছু……….
ছেলেটা আর কিছু বলার আগেই কেউ একজন বড় রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলো, কিন্তু কে সেটা দেখিতে পেলাম না। আর তার পেছন পেছন দৌড়াতে লাগলাম,,,,,,,,,
To be Continue…….