সূর্যের_পারিজাত (পর্ব ৮)

#গল্প১৩৮

#সূর্যের_পারিজাত (পর্ব ৮)

১.
‘কফি ওয়ার্ল্ড’ পারিজাতের একটা একান্ত আপন জায়গা, যখনই মন অস্থির হয়ে যায় তখন এখানে এসে বড় শার্সি দেওয়া জানালার পাশে একটা আরামদায়ক চেয়ারে বসে থাকে। বাইরে ব্যস্ত নগরীতে মানুষের ছুটে চলা দেখতে দেখতে কফিতে চুমুক দেয়। মাঝে মাঝে হাতে প্রিয় কোনো গল্পের বই থাকে। প্রথম দিকে একটু অস্বস্তি হতো, একা একা একটা মেয়ে বসে থাকলে আশেপাশের সবাই ভাবে হয়তো কারো জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ আসত না, তখন যেন সবাই একটু হতাশই হতো। কিন্তু এখন এখানকার এরা বুঝে গেছে পারিজাত নিসঙ্গ, কেউ ওর জন্য আসবে না। আজ অবশ্য একজন আসবে, পারিজাত নির্ধারিত সময়ের আগেই এসে বসে আছে। মনের উত্তেজনাটা কিছুতেই দমিয়ে রাখতে পারছে না। আচ্ছা, লোকটা আবার ওকে কোনো ব্ল্যাকমেইল করবে না তো? যে মানুষ ওর আর সূর্যের গল্পটা জানে সে কেমন ওর এখনো জানা নেই।

এই যখন ভাবছে ঠিক তখনই পারিজাত কালচে সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরা একট লোককে দেখতে পায়। মাথার চুল ছোট ছোট করে ছাঁটা, মাঝারি উচ্চতা, চোখ দুটো ছোট ছোট। একটা অনিশ্চিত চাউনিতে কাউকে খুঁজছে যেন। পারিজাত উঠে দাঁড়িয়ে কাছে যায়, বলে, ‘আপনি নিশ্চয়ই হুমায়ুন আহমেদ?’

লোকটা একটু চমকে যায়, তারপর হা করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর হড়বড় করে বলে, ‘জ্বি, আমিই হুমায়ুন, আপনি তো মেঘলা আকাশ?’

পারিজাত হাসে, এই লোকটাকে ও এখনো আসল নামটা বলেনি। আগে এর পরিচয়টা নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যাক, তারপর ও নিজের পরিচয় দেবে। ও মাথা নেড়ে বলে, ‘জ্বি, আমি মেঘলা আকাশ। আপনি এসেছেন, খুব ভালো লাগছে। আসুন, এই টেবিলটায় বেশি।’

লোকটার মাঝে একটা জড়তা আছে, কথাতেও কেমন একটু আড়ষ্টতা। সংকোচের সাথে কাঁচুমাচু হয়ে বসে। পারিজাত ভাবে, যে লোক এমন লিখে তার মাঝে আত্মবিশ্বাসের এত অভাব! বসার ভঙ্গিতেই কেমন একটা জড়তা। নাকি মেয়েদের সামনে এমন?

পারিজাত ওয়েটারকে ডেকে দুটো কফির অর্ডার করে, অবশ্য তার আগে জেনে নেয় লেখক সাহেব কী খাবে। তা লোকটা ওর উপরই ছেড়ে দেয়, ও যা খাবে তাই।

হুমায়ুন মনে মনে ভাবছিল একটা মেয়ে এত সুন্দর হয় কী করে! ওর মাথা কাজ করছে না ঠিকমতো। মনে মনে বার বার বাসা থেকে মুখস্ত করে আসা তথ্যগুলো মনে করার চেষ্টা করে।

পারিজাত এবার কথা শুরু করে, ‘আপনার সূর্যের পারিজাত গল্পটা এত ভালো লেগেছে যে আপনার সাথে কথা না বলে থাকতে পারলাম না। কী করে এমন লেখেন? আপনি কী আগে থেকেই লিখতেন?’

এই প্রশ্নটা কমন পড়েছে, হুমায়ুন নিজেকে একটু গুছিয়ে নেয়, ভুলভাল বলা যাবে না। বলে, ‘আসলে ছোটবেলা থেকেই গল্প, উপন্যাস পড়তাম। হুমায়ুন আহমেদ, শীর্ষেন্দু, সমরেশ, বুদ্ধদেব খুব টানত। সেখান থেকেই লেখালেখির একটা সুপ্ত ইচ্ছে ছিল। হঠাৎই লিখতে বসলাম।’

হুমায়ুন নিজেই মুগ্ধ হয়ে যায় নিজের কথা শুনে, কী সুন্দর করে গুছিয়ে ও বলল। কিছুদিন আগেই লেখকদের নামগুলো মুখস্ত করেছে। একজন বিখ্যাত লোকের সাক্ষাৎকারে ও দেখেছে এমন করেই বলতে। যাক, কাজে লাগল।

পারিজাত কফিতে চুমুক দিতে দিতে ভাবে, লোকটা কেমন মুখস্ত বলে গেল, মনে হলো পারিজাত যেনো ক্লাশে ওর ছাত্রকে পড়া ধরেছে, আর সে তার উত্তর গড়গড় করে বলে দিল।

পারিজাত মাথা নেড়ে বলে, ‘হ্যাঁ, আমারও খুব প্রিয় লেখক ওনারা। আচ্ছা, আপনার সূর্যের পারিজাত গল্পটা কী কোনো বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা?’

হুমায়ুন একটু সতর্ক হয় মনে মনে, জোরে মাথা নেড়ে বলে, ‘না না, এটা আমার কল্পনা করে লেখা একটা গল্প।’

পারিজাত কফিতে চুমুক দিতে যেয়েও থেমে যায়, একটু ভাবে, তারপর বলে, ‘আপনার গল্পের ওই অংশটুকু দারুণ মজার। সূর্য আর পারিজাতের পরিচয়টা। দু’জনে পারিজাত নামটা নিয়ে তর্ক করছিল। আচ্ছা, আপনার কী মনে হয়, পারিজাত আসলেই মান্দার ফুল নাকি শিউলি ফুল? আর পুরাণে এটাকে স্বর্গীয় ফুলই বা কেন বলে?’

হুমায়ুন কফিতে চুমুক দিচ্ছিল, প্রশ্নটা শুনে কফিটা জিভে বেশি পড়ে যেয়ে জিভটা পুড়ে যায়। এই রে, এটা তো ও জানে না। পারিজাত ফুল নিয়ে একটা তর্ক ছিল, সেটা মনে আছে। কিন্তু এর ব্যাখ্যাগুলো তো ওর জানা নেই। সেটা তো ওই কয়েদি সূর্যই ভালো বলতে পারবে। হাতটা ঘামতে থাকে, ভাবনারা তালগোল পাকিয়ে যেতে থাকে। কোনোমতে বলে, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা শিউলি ফুলই। আর এটাকে কেন স্বর্গীয় ফুল বলে তা পুরাণই ভালো বলতে পারবে।’

উত্তরটা মনঃপূত হয় না, পারিজাত জানে উত্তরটা। সূর্য ওকে পুরো ঘটনার সুন্দর করে বলেছিল। এই লোকটা গল্প লিখলে ঠিক এটা বলতে পারত। পারিজাতের সন্দেহটা ঘনীভূত হয়, ও মাথা নেড়ে বলে, ‘হ্যাঁ, তাই হবে। আচ্ছা, আপনি কোথায় আছেন?’

এতক্ষণে হুমায়ুন স্বস্তি বোধ করে, এই প্রশ্নটা যে আসবে ও জানত। বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই বলে, ‘একটা প্রাইভেট ফার্মে আইটি হেড হিসেবে আছি।’

কোন ফার্মে সেটা জিজ্ঞেস করতে যেয়েও থেমে যায়, লোকটা না আবার সন্দেহ করে ফেলে ওকে। আগামী পর্বগুলো আগে পড়া দরকার, এর পরের ঘটনা যদি মিলে যায় তখন ও এই লোককে চেপে ধরবে।

এরপর আরো আধাঘন্টা নানা বিষয়ে ও জানতে চায়, কিন্তু লোকটা ঠিক তাল মিলিয়ে উত্তর দিতে পারে না। কেমন যেনো সব পাশ কাটিয়ে উত্তর দেওয়া।

বিদায় নেবার আগে পারিজাত বলে, ‘আপনার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগল। আবার নিশ্চয়ই দেখা হবে।’

হুমায়ুন মনে মনে খুব খুশি, যাক, মেয়েটা ওকে ধরতে পারেনি। ও মাথা নেড়ে আহ্লাদিত গলায় বলে, ‘অবশ্যই দেখা হবে।’

লোকটা চলে যেতেই পারিজাত চিন্তিত মুখে ভাবে এই লোকটাকে ও চেনে না, কখনো দেখেনি। সূর্যকে চেনে তাও মনে হলো না। আর লোকটা কেমন জোর দিয়ে বলল যে লেখাটা কল্পনা থেকে লিখেছে। অথচ এটা যে সম্পূর্ণ বাস্তব একটা গল্প! নাহ, পরের পর্ব আসুক, তারপর একে চেপে ধরবে।

২.
সূর্য আজ কয়েকটা দিন ধরেই আনমনা, একটা অস্থিরতা ওকে চেপে ধরেছে। গল্পটার এই পর্যায়ে ওর জীবনের সেই অন্ধকার নেমে আসা দিনের কথাটা লিখতে হবে। সেদিন ওই নোংরা ছেলেগুলো যখন ওর প্রিয় মানুষটাকে ছুঁয়েছিল, মাথায় তখন খুন চেপে গিয়েছিল। কোথা থেকে যেন শরীরে অসুরের শক্তি ভর করেছিল। লাঠিটা হাতের নাগালে আসামাত্র ও তখন রুদ্রমূর্তি। ছেলেগুলো ভড়কে গিয়েছিল ওর এই রণমূর্তি দেখে। সূর্য ততক্ষণে ওই ছেলেটা যে পারিজাতকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল তার সামনে এসে দাঁড়ায়। পারিজাতের ভয়ার্ত, অপমানিত মুখটা দেখে ও আর মাথাটা ঠিক রাখতে পারেনি। লাঠিটা নিয়ে ও ঝাপিয়ে পড়েছিল, আর কখন যে মাথায় জোরে লেগে গিয়েছিল ও বুঝতেই পারেনি..

বুকটা ভেঙে যাচ্ছে, ওর প্রিয় মানুষটার এমন বিপদের কথা ও লিখে কেমন করে! কিন্তু এটা যে ওকে লিখতেই হবে।

সূর্য যেদিন ৩য় পর্বটা লিখে শেষ করে সেদিন ওর চোখটা বারবার ভিজে যাচ্ছিল। ওর প্রিয় দু’জন মানুষ, মা আর পারিজাতকে হারানোর গল্প, সূর্য অস্ত যাবার গল্প যে এটা! সেদিন ওয়ার্ডে ফিরে গল্পটা জমশের চাচা আর জাহাঙ্গীরকে শোনায়। ওদের ও বলেছিল যে ও গল্প লিখছে। ওরা আগ্রহ নিয়ে থাকে, প্রতিদিন একটু একটু করে শোনে। আজকের গল্পের অংশটুকু শুনে জমশের চাচা ওর হাতটা ধরে সান্ত্বনা দেন। জাহাঙ্গীর ভাই কোন কথা না বললেও ওনার চোখও যে কেন ভিজে ওঠে উনি বুঝতে পারেন না।

৩.
এদিকে ঠিক সেদিন রাতে এই পৃথিবীতে আরো একজনের চোখে জল। হুমায়ুন নামের সেই লোকটা গল্পের ৩য় পর্ব দিয়েছে। পারিজাত রুমের দরজা বন্ধ করে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে, হাহাকার করে বারবার ‘সূর্য’, ‘সূর্য’ বলে ডাকতে থাকে। বুকটা আজ কষ্টে মুচড়ে ওঠে। এই গল্পটা ওর আর সূর্যের। ওই লোকটা মিথ্যে বলেছে, ওদের গল্পটা ঠিক চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। সেদিনের ঘটনার হুবহু বর্ণনা দিয়েছে যেটা ঘটেছিল। পারিজাত শুন্য চোখে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে, ভাবে, লোকটাকে এবার চেপে ধরতে হবে। কিন্তু, লোকটা যদি অস্বীকার করে?

এর কিছুদিন পর পারিজাত হুমায়ুনকে আরেকটা দিনের জন্য আসতে বলে সেই কফি শপটায়। লোকটা ঠিক ওর সঙ্গ পাবার লোভে এসে হাজির হয়। টুকটাক কিছু কথার পর পারিজাত হঠাৎ করেই গম্ভীরমুখে বলে, ‘বছর দুয়েক আগে উত্তরার দিয়াবাড়ির ওই পাশটায় যেখানে শরৎকালে কাশফুলের ঘন বন হয় সেখানে একটা খুন হয়েছিল। আপনি জানেন?’

হুমায়ুন তলপেটে একটা চাপ অনুভব করে, মেয়েটা আজ কেমন করে যেন কথা বলছে। জিভ দিয়ে শুকিয়ে যাওয়া ঠোঁটটা চেটে বলে, ‘না তো।’

পারিজাত কঠিন গলায় বলে, ‘আপনি যদি নাই জানেন, তাহলে বাস্তবে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা আপনি হুবহু কল্পনায় দেখতে পেলেন? আপনি এই গল্পের লেখক না। এটা সূর্য ছাড়া আর কেউ লিখতে পারে না। আর শুনুন আমার নাম মেঘলা আকাশ না, আমি পারিজাত। এই গল্পে যে পারিজাতের কথা বলা হয়েছে সেই পারিজাত। এখন বলুন আপনি এই গল্প কী করে জানলেন? আপনার সাথে কোনো না কোনোভাবে সূর্যের পরিচয় আছে। প্লিজ সত্যিটা বলুন।’

হুমায়ুন ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাকিয়ে থাকে, এই মেয়েই সেই পারিজাত! সেই বন্দি লোকটার প্রিয় মানুষ! একে বাঁচাতে গিয়েই তো ছেলেটা জেলে। কিন্তু একে তো ও নিজের পরিচয় দিতেই পারবে না। এতে ও নিজেই বিপদে পড়ে যাবে। মুখ শক্ত করে বলে, ‘আপনি কী আবোলতাবোল বলছেন, জেলে থাকা একজন আসামির সাথে আমার যোগাযোগ থাকবে কী করে? ঘটনাটা হয়তো মিলে গেছে।’

পারিজাত তীব্র স্বরে বলে, ‘সূর্য আসামি না, ও যে কাজটা করেছে ঠিক করেছে। আপনি প্লিজ সত্যিটা বলুন।’
শেষের দিকে পারিজাতের গলাটা ভেঙ্গে আসে।

হুমায়ুন বিপদটা টের পায়, এখান থেকে এখনই কেটে পড়তে হবে। হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে উলটো ঘুরে সোজা হনহন করে হুমায়ুন বেড়িয়ে যায়, পারিজাতকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই।

পারিজাত উঠতে যেয়েও বসে পড়ে, আশেপাশের মানুষ অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে। পারিজাত মুখ নিচু করে কান্না লুকানোর চেষ্টা করে। লোকটা পালিয়ে গেল, সাথে সূর্যকে খুঁজে পাবার আশাটুকুও মিলিয়ে গেল।

সেদিন রাতে ও যখন ঘুমোতে যায়, তখন অনেক ভেবে মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ পাঠায়, ‘হুমায়ুন সাহেব, আমি নিশ্চিত সূর্যকে আপনি কোনো না কোনোভাবে চেনেন। সেক্ষেত্রে আমাদের এই কষ্টের গল্পটা আপনাকেও নিশ্চয়ই ছুঁয়ে গেছে। সূর্যকে একবার দেখতে খুব ইচ্ছে হয়। আপনি যদি সাহায্য করতেন, আমি চিরকাল আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতাম। আর হ্যাঁ, এই গল্পটা যে আপনার না তা কাউকেই বলব না আমি। আপনার কোনো ক্ষতি আমি কখনোই করব না। আপনি সূর্যের কথা যদি নাও বলেন তাও না। অন্তত আপনার মাধ্যেমে তো ওর গল্পগুলো পাব। সূর্যকে বলবেন, ওর পারিজাত সূর্যের জন্য অপেক্ষা করে আছে, শুধুই ওর জন্য।’

মেসেজটা পাঠিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকে, নাহ, এখনো দেখেনি। পারিজাত বাতিটা নিভিয়ে চোখটা বন্ধ করে সূর্যের কথা ভাবতে থাকে।

৪.
হুমায়ুনের খুব ভয় ভয় লাগছে। মেয়েটা যদি কোনোভাবে জানে ও কারাগারে চাকরি করে, আর সেটা যদি জেলার স্যার জানে তাহলে তো ও শেষ। এই পরিণতিটা ও ভেবে দেখেনি। লেখক হবার নেশায় এতটাই বুঁদ হয়েছিল যে এই গল্পটা তো অনেক পরিচিত মানুষের নজরে পড়তেই পারে। নাহ, গল্পটা ডিলিট করে দিতে হবে। কথাটা ভাবতেই ও দ্রুত ফেসবুকে যায়, দেখে সেই মেঘলা আকাশ মানে পারিজাত মেয়েটা মেসেজ দিয়েছে। বুকটা চলকে ওঠে, আল্লাহ মাবুদ, কী যে লিখেছে কে জানে। নিশ্চয়ই হুমকি দিয়েছে। হুমায়ুন ভাবে মেসেজটা পড়বে না, কিন্তু যদি জরুরি কিছু থাকে? ভাবতে ভাবতে মেসেজটা খুলে, কয়েকবার করে পড়ে। নাহ, মেয়েটা হুমকি দিয়ে তো কিছু বলেনি! বরং খুব করে আকুতি জানিয়েছে সূর্যকে দেখার জন্য। হুমায়ুন অবাক হয়, মেয়েটা এখনো সূর্যের জন্য অপেক্ষা করছে। কী ভীষণ ভালোবাসে মেয়েটা! কিন্তু মেয়েটাকে ও সাহায্য করে কী করে? যদি বলে দেয়? নাহ, বলার কথা না। মেয়েটাকে দেখে মনে হয়েছে খুব ভালো একটা মেয়ে। আর সূর্যকে যেহেতু ভালোবাসে, তাহলে ও কখনোই এটা কাউকে বলবে না এটা সূর্য লিখেছে। তাতে যে সূর্যও শাস্তি ভোগ করবে। উম, কী করা যায়? মেয়েটাকে কী ও সাহায্য করবে?

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
২৬/০২/২০২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here