সূর্যের_পারিজাত (পর্ব১৩)

#গল্প১৩৮

#সূর্যের_পারিজাত (পর্ব১৩)

১.
মেহেরুন্নেসা মনোযোগ দিয়ে স্কুলের পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন। কতদিন পর নিজের কাজগুলো এমন করে করতে পারছেন। এই ক’টা বছর তো কোনো কাজই মন দিয়ে করতে পারতেন না। জীবনের কঠিন দিনগুলো এখন শেষ, একটু সুখের মুখ দেখতে পেয়েছেন মেহেরুন্নেসা। ছেলেটা জেল থেকে বের হয়ে কী করবে এই চিন্তাটাও একটা সময় কুড়ে কুড়ে খেত। কিন্তু পারিজাত মেয়েটা কী সুন্দর একটা ভাবনা ভেবে রেখেছিল ওর জন্য, ভাবতেই ভালো লাগায় মন ভরে যায়। এত লক্ষ্মী একটা মেয়ে সূর্যের বউ হবে ভাবতেই মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। সূর্য সেদিন রাতে বাসায় ফিরে লাজুক মুখে বিয়ের কথা বলছিল। কি নাকি একটা বই লিখেছে, সেটা প্রকাশ হলে বইমেলার পরই বিয়ে করতে চায়। মেহেরুন্নেসার দারুণ মজা লেগেছিল সূর্যের কাঁচুমাচু মুখ দেখে। সেদিনের সেই ছোট্ট ছেলেটা কেমন করে এত বড় হয়ে গেল! মনে মনে দোয়া করেন, হে আল্লাহ, এমনি করেই সূর্য আর পারিজাতকে সুখ যেন ছুঁয়ে থাকে।

এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়ে, ফাতেমা দরজা খুলে দিতেই বাড়িওয়ালা মান্নান সাহেব উঁচু গলায় বলেন, ‘আপা বাসায় আছেন?’

মেহেরুন্নেসা ভ্রু কুঁচকে রুম থেকে বের হয়ে আসেন। এখন তো মাসের এক তারিখ না যে ভাড়া চাইতে আসবে উনি। উম, নাকি নতুন বছর শুরু হচ্ছে, হয়তো ভাড়া বাড়ানোর পায়তারা নিয়ে আসছেন।

মেহেরুন্নেসা হাসি মুখেই বলেন, ‘হ্যাঁ আছি তো। কী খবর আপনার, ভালো আছেন তো?’

মান্নান সাহেব এবার ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েন, অমায়িক গলায় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আপনার সাথে একটা জরুরি কথা ছিল।’

এত মিহি গলায় কথা বলছেন যখন নিশ্চয়ই ভাড়া বাড়ানোর কথা বলবেন। মেহেরুন্নেসা ওনাকে বসতে বলে ফাতেমাকে চা দিতে বলে।

তারপর জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন, ‘কী জরুরি ব্যাপার, বলেন তো।’

মান্নান সাহেব গলা খাকড়ি দিয়ে বলে, ‘না মানে সামনের মাস থেকে আপনি নতুন বাসা দেইখেন।’

মেহেরুন্নেসার মাথায় যেন বাজ পরে, অবাক গলায় বলেন, ‘বাসা ছাড়তে হবে! কেন?’

মান্নান সাহেব একটু ইতঃস্তত করে বলেন, ‘আসলে আপনার ছেলে ফিরে আসার পর এই বিল্ডিংয়ের বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া আমার কাছে অভিযোগ করেছে।’

মেহেরুন্নেসা গম্ভীরমুখে বলেন, ‘কী অভিযোগ? সূর্য কার কী ক্ষতি করেছে?’

মান্নান সাহেব জোরে মাথা নেড়ে বলে, ‘না না, আপনার ছেলে কারো ক্ষতি করেনি। কিন্তু বোঝেন তো, সবাই জেনে গেছে সূর্য খুনের আসামি। একটা ভয়ে থাকে সবাই। এতদিন তো জেলে ছিল, কিন্তু এখন চোখের সামনে দেখে অনেকেই ভয় পায়। আপনি একটু আমার দিকটা দেখবেন, ভাড়া দিয়েই আমার সংসার চলে।’

মেহেরুন্নেসা কিছু কড়া কথা বলতে গিয়েও থেমে যান। একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। ক’দিন আগে সূর্য মন খারাপ গলায় বলছিল যে এলাকার মাস্তানেরা নাকি ওকে এখন বস বলে ডাকে। খুব খারাপ লেগেছিল তখন। আজ বাড়িওয়ালা মান্নান সাহেব এসেছেন আশেপাশের মানুষের অস্বস্তির খবর নিয়ে। মনটা বিষন্ন হয়ে যায় মেহেরুন্নেসার, গম্ভীরমুখে বলেন, ‘আচ্ছা, আমি আপনাকে শীঘ্রই জানাব।’

লোকটা চলে যেতেই মেহেরুন্নেসা খাতাগুলো গুছিয়ে রেখে ভাবতে বসেন। আসলে এই এলাকাটা আগেই ছাড়া উচিত ছিল। সূর্যের ব্যাপারটা এখানে সবাই জানে। এমন যে হবে সেটা আগেই বোঝা উচিত ছিল। সূর্যের জন্য হলেও এই এলাকাটা এখন ছাড়া দরকার। কিন্তু হুট করে বাসা বদলালে ছেলে ঠিক বুঝে ফেলবে যে ওর জন্যই বাসা পালটাতে হলো। তাতে ছেলেটা মনে আঘাত পাবে। কী করা যায়?

সেদিন রাতে সূর্য যখন বাড়ি ফিরে মায়ের সাথে রাতের খাবার খেতে বসে, মেহেরুন্নেসা আলতো করে বলেন, ‘সূর্য, এই বাসাটা পালটানো দরকার।’

সূর্য খাওয়া থেকে মুখ তুলে বলে, ‘কেন, এই বাসার আবার কী সমস্যা?’

মেহেরুন্নেসা হেসে বলেন, ‘ঘরে বউ আসছে, একটা বড় বাসা তো দরকার। আর পারিজাত কী এই মিরপুর থেকে মতিঝিল যেয়ে কলেজ করতে পারবে? ওর তো কষ্ট হবে।’

সূর্য একটু লজ্জা পেয়ে যায় বিয়ের কথায়। সামলে নিয়ে বলে, ‘কিন্তু তোমার স্কুল তো এখানে। নাহ, ওদিকে যাওয়া যাবে না।’

মেহেরুন্নেসা একটু বেকায়দায় পড়ে যায়, আবার একটু ভালো লাগাও ঘিরে ধরে। ছেলে মায়ের কথা ভাবছে। একটু ভেবে বলেন, ‘একটা কাজ করলে কেমন হয়। শাহবাগের ওখানে বাসা নিলে? তোর আর পারিজাতের বুকশপটার কাছে বাসা নেই। তাতে আমার খুব দূরে হবে না, আবার পারিজাতেরও কাছে হবে। তুই একটু ওর সাথে কথা বলিস।’

সূর্য মাথা নাড়ে, বলে, ‘আচ্ছা, কথা বলব। আগে তো বিয়েটা হোক।’

এবার মেহেরুন্নেসা আগ্রহ নিয়ে বলেন, ‘আচ্ছা সূর্য, যতদূর শুনেছি পারিজাতের বাবা মা বিয়েতে রাজি না। তাহলে কী হবে?’

সূর্য এই ব্যাপারটা নিয়ে আসলেই দারুণ অস্বস্তিতে থাকে। নিজেকে যে কোথাও মাথা উঁচু করে উপস্থাপন করবে তার উপায় নেই। একে তো জেল খাটা আসামি, তার উপর এখন নিজে বলার মতো কিছু করছেও না। পারিজাত অথবা মা, কেউই ওকে নিয়ে গর্ব করে কিছু বলতে পারে না। ওর ক্লাশের সবাই এখন জীবনের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে। কেউ বিসিএস দিয়ে বড় সরকারি কর্মকর্তা, কেউ বা শিক্ষক, কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উঁচু পদে। একমাত্র ওরই একদম শুন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘দেখি মা, আগে বইটা বের হোক। তারপর একটা ব্যবস্থা হবেই। পারিজাত বলেছে ওনারা রাজি না হলে ওই চলে আসবে আমার কাছে।’

মেহেরুন্নেসা বুঝতে পারেন সূর্যের মনের অবস্থা, ভরসা দেওয়ার গলায় বলেন, ‘তুই চিন্তা করিস না, সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সেদিন রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ভাবে সবাই ওর সবকিছু ঠিক করে দিতে কী প্রাণপণই না করছে।

২.
মতিঝিলের এই অফিস পাড়ায় এত উঁচু উঁচু দালানকোঠার মাঝে এমন একটা নিরিবিলি দোতলা বাড়ি সত্যিই বেমানান। বাড়িটার সামনে মস্ত একটা বট গাছ, এত ঝুপড়ি ছেড়েছে যে বাড়িটা বাইরে থেকে দেখাই যায় না। দেশের নামকরা পাবলিশার্স ‘ময়ূখ’ এর প্রকাশক সাহাদত হোসেনের বাড়ি আর অফিস দুটোই এখানে। নিচতলাটা অফিসঘর। সূর্য আগ্রহ নিয়ে বুকশেলফে সাজানো বইগুলো দেখছিল। বিখ্যাত লেখকদের সব বই। ওর বইও এদের সাথে থাকবে!? ভাবতেই গা কাঁটা দিয়ে ওঠে। পারিজাতই ওকে এখানে নিয়ে এসেছে আজ। ধ্রুবকে একজন প্রকাশকের কথা বলতেই ও বলেছিল কবীর স্যারের কথা, ওদের বিভাগীয় প্রধান। ওনার সাথে নাকি সাহাদাত হোসেনের ভালো পরিচয় আছে। স্যারকে বলতেই ফোন করে ওদের কথা বলেছিল, সেজন্যই আজ আসা।

পারিজাত এবার তাড়াহুড়ো করে ডাকে, ‘সূর্য, আসো। উনি ভেতরে ডেকেছেন।’

সূর্য ঘড়ি দেখে, পাক্কা এক ঘন্টা পর ডাকল। ওর ঘড়ি দেখা দেখে পারিজাত ফিসফিস করে বলে, ‘প্রথম প্রথম এমন হয়। তুমি আবার রাগ রাগ করে কথা বলো না ওনার সাথে।’

সূর্য মাথা নাড়ে, নাহ, ও অপেক্ষা করতে শিখেছে। কারাগারে থাকতে এ অভ্যাসটা ভালোই রপ্ত হয়েছে।

ছোটখাটো চেহারার মানুষ, সাহাদত হোসেন ওদের দেখেই ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলেন, ‘আমার হাতে সময় খুব কম, নেহায়েত কবীর পাঠিয়েছে, তা না হলে এই বইমেলার আগে নতুন বই আমি নেই না। তার মাঝে তোমরা একদমই নতুন লেখক। আচ্ছা, পাণ্ডুলিপিটা দাও, আমি একবার চোখ বুলিয়ে নেই।’

সূর্য ব্যাগ থেকে পান্ডুলিপিটা বের করে দেয়। পারিজাতের খুব খারাপ লাগছে, ইশ, এই লোকটা এমন করে কথা বলে, সূর্য না আবার মন খারাপ করে।

সাহাদত চশমাটা ঠিক করে প্রথম পৃষ্ঠাটা পড়েন। একটু থমকে তাকান সূর্যের মুখের দিকে, তারপর আবার পড়া শুরু করেন, দুই, তিন, চার…পনের পৃষ্ঠা। প্রথম পর্ব পুরোটা পড়ে ফেলেন। বই থেকে এবার মুখ তুলে অবাক গলায় বলেন, ‘এটা আপনি লিখেছেন? সত্যিই আপনি?’

সূর্য বিরক্ত গলায় বলে, ‘জ্বি, আমিই তো লিখেছি। কেন, খারাপ হয়েছে লেখা?’

সাহাদত জোরে মাথা নেড়ে বলে, ‘বহুদিন পর এমন ব্যতিক্রমী উপন্যাস পেলাম, আর কী ঝরঝরে লেখা। চুম্বকের মতো টানে পরের পর্ব পড়ার জন্য। এই বই আমি ছাপব।’

পারিজাত খুশিতে প্রায় চিৎকার করে ওঠে, বলে, ‘সত্যিই আপনি ছাপবেন?’

সাহাদত মাথা দোলান, বলেন, ‘সাধারণত নতুন লেখকের বই তারা নিজের খরচেই ছাপে। তবে আপনার বই আমি নিজ খরচেই ছাপব। কিন্তু এর বিনিময়ে আপাতত কোনো কিছু দিতে পারব না। বোঝেন তো, নতুন লেখক যত ভালোই লিখুক, মানুষ কেনে না। আগে তো লেখকের পরিচিতি থাকতে হবে। আপনি লিখে যান, কয়েকটা বই বের হোক, ফেসবুকে বেশি বেশি প্রচার করেন, তাহলেই লোক চিনবে। তখন বইও বিক্রি হবে।’

লোকটা বইটা ছাপবে এতেই সূর্য অনেক খুশি। ও আনন্দিত গলায় বলে, ‘কোনো সমস্যা নেই, আপনি আপনার মতো করে এগিয়ে যান। আমার প্রথম বই, অনেক ভালো লাগা।’

পারিজাত সূর্যের দিকে চোখ কটমট করে তাকায়, তারপর মুখ ফিরিয়ে বিনয়ের গলায় বলে, ‘স্যার, লেখাটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে, এটা লিখে দিয়েন। আর বই যদি ভালো বিক্রি হয় তাহলে লেখকের দিকটা একটু দেখবেন। লিখিত চুক্তি চাচ্ছি না, কিন্তু আপনি এত বড় একজন প্রকাশক, আশা করি বিবেচনায় রাখবেন বিষয়টা।’

সাহাদত বোঝেন মেয়েটা বুদ্ধিমান, আর ছেলেটার জন্য অনেক বেশিই ভাবে। কথাটা পাত্তা না দেবার ভঙ্গিতে বলে, ‘আচ্ছা, আগে বই বের হোক, পাঠক পড়ুক, তখন দেখা যাবে। আপনি বইটা কাকে উৎসর্গ করবেন সেটা একটু লিখে দিয়ে যাবেন।।আর আপনার পরিচিতিটা, ছোট করে।’

প্রকাশকের রুম থেকে বের হয়ে পারিজাত রাগ রাগ গলায় বলে, ‘লোকটা তোমাকে ঠকিয়ে দিল। পান্ডুলিপিটা ওনার খুবই ভালো লেগেছে তা ওনার মুখ দেখেই বুঝেছি। আর ওনারা চাইলে এই বই হাজার কপি বিক্রি করা কোনো ঘটনাই না। অথচ কেমন গলা শুকাল যে তোমাকে কিছুই দেবে না।’

সূর্য হেসে বলে, ‘পারিজাত, তুমি বরাবরই আমাকে অনেক বেশি উঁচু আসনে বসিয়ে মাপো। আমি এমন আহামরি কিছু লিখি না। উনি ঠিকই বলেছেন। নিজের পয়সা খরচ করে বই ছাপছেন, বিক্রি না হলে তো ওনার পয়সাই উঠবে না।’

পারিজাত তাও বিড়বিড় করতে থাকে, সূর্য একটা ভীষণ ভালো লাগা নিয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। মেয়েটা ওর সামান্যতম অনাদরও মেনে নিতে পারে না। ইচ্ছে করছে মুখটা কাছে টেনে চুমু খেয়ে দিতে।

সূর্য নরম গলায় বলে, ‘পারিজাত, মা বলেছে বড় একটা বাসা নিতে, তোমার কলেজের কাছাকাছি।’

পারিজাত প্রথমে বুঝতে পারে না, ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘বাসা নেবে, আমার ওখানে, কেন?’

সূর্য মুচকি হেসে বলে, ‘সূর্য আর পারিজাতের পৃথিবীটা তো বড় হচ্ছে, তাই।’

পারিজাত এবার বুঝতে পারে, একটু লজ্জা পায়, লাজুক গলায় বলে, ‘মাকে বলেছ বুঝি বিয়ের কথা?’

সূর্য মাথা নাড়ে, তারপর বলে, ‘কিন্তু তোমাদের ওদিকে বাসা নিলে তো মায়ের কষ্ট হবে।’

পারিজাত সাথে সাথে মাথা নাড়ে, ‘অবশ্যই না। আমরা মিরপুরেই থাকব।’

সূর্য চিন্তিত গলায় বলে, ‘মা কেন জানি ওই এলাকাটায় থাকতে চাচ্ছেন না। বললেন, সেক্ষেত্রে শাহবাগের আশেপাশে কোথাও বাসা নিতে।’

পারিজাত একটু চিন্তা করে। মনটা খারাপ হয়ে যায়, মা হয়তো সূর্যের কথা ভেবেই ওই এলাকায় থাকতে চান না। সূর্যকে বুঝতে না দিয়ে বলে, ‘মা অবশ্য একটা ভালো কথা বলেছেন। শাহবাগ থাকলে আমি অন্তত কলেজ শেষে বুকশপটায় বসতে পারব। আচ্ছা, তুমি আর আমি মিলে একটা সুন্দর বাসা দেখে ফেলব।’

সূর্য অবশ্য একটা অন্য কথা ভাবছিল, বাচ্চাদের মতো মুখ করে বলে, ‘পারিজাত, আমার হঠাৎ একটা কথা মনে হলো। আমাদের প্রথম বাবুটার নাম যদি পৃথিবী রাখি? সূর্য আর পারিজাতের পৃথিবী।’

পারিজাতের মুখটা লাল হয়ে যায়, সূর্যের মুখের দিকে তাকাতেই পারছে না। ইশ, কী মিষ্টি নাম। পারিজাতের বুকের ভেতর একটা নরম মায়া টের পায়। ভাবে, এই মানুষটা সারাজীবন ওর পাশে পাশে থাকবে, আর এমন অদ্ভুত অদ্ভুত সব ভালোবাসার কথা বলবে।

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
০৮/০৩/২০২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here