সূচনা_পর্ব #ভালোবাসার_বর্ষণ #নীহারিকা_নুর

এই বিয়ে আমি করতে পারব না পাপা। কবুল না বলেই বিয়ের আসর ছেড়ে উঠে দাড়াল আবির।তারপর বলতে লাগল কোন নোংরা চরিত্রের মেয়ে ড.আবির আহমেদ এর স্ত্রী হতে পারে না। একটা চরিত্রহীনা মেয়েকে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাহ। আমার বাবার এত টাকা পয়সা দেখে বুজি লোভ সামলাতে পারেন নি। তাই তো নিজের চরিত্রহীনা মেয়েকে আমার ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিলেন। কবুল বলার ঠিক আগ মুহুর্তে এরকম একটা কথায় স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো বিয়ে বাড়ি। বরের চারপাশ ঘিরে দাড়িয়ে ছিল বেশ কয়েকজন মুরুব্বিরা। তাদের সামনেই এভাবে বলায় এক জন অপর জনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল। নুরুল ইসলাম উঠে এলেন নিজ জায়গা থেকে। আবিরও ততক্ষণে উঠে দাড়িয়েছে। নুরুল ইসলাম এসে আবির এর মুখোমুখি দাড়ালেন। এই মুহুর্তে নুরুল ইসলাম এর মেজাজ ও চটে আছে। তবে তিনি তার মেজাজ যথেষ্ট ঠান্ডা রাখার প্রয়াস চালাচ্ছেন। কারণ তিনি কনে পক্ষ। এই মুহুর্তে তার কড়া মেজাজ ঠিক মানায় না। শান্ত স্বরেই জানতে চাইলেন – আবির বাবা কি হয়েছে তোমার? একটু আগেও তো সব ঠিকঠাক ছিল। তাহলে এখন বিয়ে কেন করবে না তুমি?

– সমস্যা আমার নয় আঙ্কেল। সমস্যা আপনার মেয়ের।

– কি করেছে আমার মেয়ে?

– কি করেনি সেটা বলেন। আপনার মেয়ে যে আগে একটা নাগর ঝুটিয়েছিল সেটা আগে কেন বলেন নি। সেই নাগর এর সাথে তো বেড অবধি চলে গেছে। ছি ছি আঙ্কেল। আপনার লজ্জা করল না এরকম একটা নিচ কাজ করতে।

নুরুল ইসলাম এতক্ষণ সহ্য করলেও এবার আর মেজাজ ধরে রাখতে পারলেন না। কষে চড় বসিয়ে দিলেন আবির এর গালে। চড়টা এতটাই জোরে ছিল যে আবির কান মনে হলো ঝিমঝিম করে উঠছে। আবির গালে হাত রেখেই চোখ লাল করে নুরুল ইসলাম এর দিকে তাকায়। নুরুল ইসলাম ও কম নয়। তিনি রেগে আবার কলার ধরতে যান আবির এর। পাশে থাকা তার ছোট শ্যালক তাকে ধরে থামায়। বলে দাদা শান্ত হন আপনি। আগে দেখেন৷ কি হয়েছে।

– আরে কি শান্ত হবো। ওই ছোটলোকটা তো শান্ত ভাবে কথাই বলছে না।

আবির তার ফোন বের করে নুরুল ইসলাম এর সামনে ধরে। সেখানে দুটো ছেলেমেয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি জ্বলজ্বল করছে। ছেলেটার শুধু পেছন থেকে চুলের একাংশ দেখা যাচ্ছে। এক সাইডে চুল গুলো বেশ লম্বা করে কা’টা। সেটাই দেখা যাচ্ছে। আর তরুর চেহারা স্পস্ট। আর কিছু বোঝা যাচ্ছে না সমস্তটা ব্লার করা। তবুও যেকেউ দেখলে বুজতে পারবে এটা কিসের হতে পারে। নুরুল ইসলামের মাথায় মনে হয় আগুন ধরে যায়। তিনি ফোনটা নিয়ে খুব জোড়ে একটা আছাড় মা’রে। তার চোখ গুলে লাল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে চোখ থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে। তখন আরো জ্বলানোট জন্য আবির কথা ছোড়ে।

– আঙ্কেল আমার ফোনের উপর তেজ দেখিয়ে কি লাভ। পারলে আপনি আপনার মেয়ের শাসন করেন। আপনার আরো আগেই শাসন করা উচিত ছিল। একটা নষ্ট মেয়ে আমার ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিলেন। ভাগ্য ভালো বিয়েটা হয় নি।

নুরুল ইসলাম আবির এর কথায় কর্নপাত না করে তিনি দৌড়ে গিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়া ফোনটা হাতে তুলে নেয়। তিনি দেখেন একটা নাম্বার থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ছবিগুলো সেন্ড করা হয়েছে। তিনি সাথে সাথে তার ফোন করে নাম্বারটা তুলে নেন। কিন্তু তার আশায় এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ে ওপাশ থেকে একটা মেয়ের মিষ্টি কন্ঠ স্বর ভেসে আসে।

– আপনি যে নাম্বারে ফোন করেছেন তা এই মুহুর্তে সংযোগ প্রধান করা সম্ভব হচ্ছে না।

রাগে মাথা ফেটে যায় নুরুল ইসলাম এর। তিনি রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন৷ তিনি চিল্লিয়ে আবিরকে তার পরিবার নিয়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। তখন আনেয়ার আহমেদ ( আবির এর বাবা) এগিয়ে এসে বলেন

– ভাইসাহেব মাথা গরম করবেন না। দেখুন এভাবে বিয়ে ভাঙবেন না। আমাদের ও একটা সমাজ আছে। সেখানে আমরাই বা কি বলব।

ছেলের মুখে এক কথা আর বাপের মুখে আরেক কথা। কার কথা শুনবে নুরুল ইসলাম। তখনই আবির বলে উঠে বাবা কোন চরিত্রহীনা মেয়েকে আমি বিয়ে করব না তাতে যদি তোমার সমাজ আমাকে না মেনে নেয় তবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

নুরুল ইসলাম ও রগচটা স্বভাবের। তিনি শান্ত না হয়ে তিনিও আনোয়ার আহমেদকে বলেন বেরিয়ে যেতে।

আবির রেগে মেগে আগে আগে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। বরই চলে গেছে বরপক্ষ থেকে আর কি করবে। তারাও আবির এর পেছন পেছন বেরিয়ে যায়। তোহা লাস্টএর কাহিনি টুকু দেখেছিল এখানে এসে। সে দৌড়ে তরুর কাছে যায়। সেখানে গিয়ে হাপাতে হাপাতে বলে

-তোর বিয়েটা ভেঙে গেছে তরু। কবুল না বলেই তোর হবু বর বিয়ের আসর ছেড়েছে। এরকম বিয়ে আমিন জীবনেও দেখি নাই। তোর সাথেই কেন এমন হলো।

তোহার কথা শুনে বুকটা ধ্বক করে উঠল তরুর। তরুকে যে রুমে বসে বউ সাজে সাজানো হচ্ছিল সেই রুমে ঢুকতে ঢুকতেই কথাগুলো বলছিল তোহা। তোহার কথা শুনে পার্লার থেকে আসা মেয়েটাও হাতের কাজ থামিয়ে তাকাল ওর দিকে। তরু বলল আরে আপু আপনি কাজ করেন ও মজা করছে। তবে মেয়েটা তখনো তোহার দিকে তাকিয়ে। তার বিশ্বাস হচ্ছে না তোহা মিথ্যা বলছে। এমন সেনসিটিভ একটা বিষয় নিয়ে কেউ মিথ্যে বলে নাকি।

তরু আমি মোটেও মিথ্যে বলছি না। আবির ভাই কে দেখলাম বর যাত্রীদের নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ভীষণ রেগে আছেন মনে হলো। বর যাত্রীরা এ বাড়ির পানি অবধি ছোয় নি। বিয়ে পড়ানো হয়ে যাবে ছেলে মেয়ে কবুল বলবে তার পরেই খাবারের আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় সবাই খালি মুখেই বেরিয়ে গেলেন।
তরু তখনো তোহার মুখের দিকে তাকিয়ে। ওর যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তোহা যা বলছে। এর মধ্যেই বাহিরে শোরগোল শোনা গেল বিয়েটা ভেঙে গেছে। বউ সাজানো দেখতে রুমের মধ্যে অনেকেই ভীড় জমিয়েছিল সবাই ছুটে বেরিয়ে গেল বাহিরে কি হয়েছে দেখার জন্য। এতক্ষণ মানুষের জন্য ঠিকঠাক ভাবে সাজানোও যাচ্ছিল না এখন রুম একদম ফাকা। আসলে মানুষ এমনই। যেখানেই মশলা মাখানো কোন নিউজ পাওয়া যাবে সেখানেই তারা হাজির। গ্রামের মানুষ তো এই বিষয়টায় খুব ফার্স্ট। গ্রামের মানুষের মাঝে একে অপরের সাথে যোগাযোগটা খুব বেশিই। তো এক বাড়িতে যদি কোন কিছু নিয়ে ঝামেলা হয় বা কোন ঝগড়া হয় আশপাশের বাড়ি থেকে লোক এসে জমায়েত হয় তা দেখার জন্য।

পার্লার এর মহিলারা ইতোমধ্যে তরুর থেকে সরে দাড়িয়েছে৷ ব্লাউজ আর পেটিকোট পরানো অবস্থায় শরীর এর উপর একটা তোয়ালে জড়িয়ে সাজতে বসেছিল তরু। শাড়িটা কোনমতে গায়ে জরিয়ে খাট থেকে নামে তরু। এসে তোহার সামনে দাড়ায়। জিজ্ঞেস করে

– ওখানে কি হয়েছে তোহা একটু পরিষ্কার করে বল তো।

– আমি ওখানে ছিলাম না। বরের সামনে দেয়ার জন্য ডিশ সাজাচ্ছিলাম আমি আর তোর কিছু কাজিনসরা মিলে। তখন নুর নাহার আন্টি সেখানে হাপাতে হাপাতে আসল। আমি জিজ্ঞেস করলাম আন্টি কি হয়েছে?

আন্টি বললেন তোর কাছে যেন আমি এসে বসি। তাকে দেখে ভীষণ চিন্তিত লাগছিল। তাই আমি বিয়ের ওখানে গেলাম। দেখি আবির ভাই হনহন করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আর বরযাত্রীরাও তার পেছন পেছন যাচ্ছে।

খাট থেকে নেমে দাড়ায় তরু। ধীর পায়ে হেটে জানালার কাছে গিয়ে দাড়ায়। বাহিরে কি হচ্ছে তা দেখার জন্য। তরু জানালার কাছে গিয়ে দেখল বরযাত্রীদের গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। জানালার পাশে থাকা ড্রেসিং টেবিল এর দিকে একবার তাকায় তরু। মুখের মেকআপ প্রায় কম্পিলিট হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষন বাদে লাল টুকটুকে বউ সাজার সপ্ন নিয়ে বসেছিল তা কয়েক মুহুর্তের মাঝে কাচের মতো ভেঙে কয়েক টুকরা হয়ে গেল। ভেতর থেকে তাচ্ছিল্যের হাসি বেরিয়ে আসে তরুর। তরুর নজর যায় আশপাশে কয়েক জায়গায় মানুষ জটলা পাকিয়ে আড্ডা জমিয়েছে। তাদের আলোচনার মূল টপিক এখন তরু৷ নানান জন নানান কথা বলছে।কেউ কেউ তাকে খারাপ মন্তব্যও ছুড়ছে। বিয়ের জন্য নিজ বাড়ির উঠুনেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তরুর রুমের জানালা থেকে বিয়ে বাড়ির পুরো আয়োজনই দেখা যায়। সেই জানালা থেকেই তরু সব শুনছে৷ তরুর মনে শুধু একটা কথাই চলছে বিয়ে কেন ভেঙে দিল। কি এমন হলো৷ কাল রাত অবধি তো ঠিক ছিল। কাল রাতেও তো ডাক্তার সাহেব এর সাথে কথা হলো। তখন তো সব ঠিকই ছিল। কই তখন তো এরকম কোন কিছুর আভাস পাওয়া যায় নি।

এরকম চরিত্রহীনা মেয়ে হলে বিয়ে তো ভাঙবেই। এরকম মেয়েকে কে ঘরে তুলবে৷ কেউ জেনে শুনে কোন নষ্টা মেয়েকে কেন ঘরে তুলবে৷ বরপক্ষই ঠিক কাজ করেছে। মানুষের এমন জঘন্য কথা শুনে কান ঝা ঝা করে ওঠে তরুর। ওর জানতেই হবে সবাই কোন বিষয় নিয়ে এত খারাপ মন্তব্য ছুড়ছে। তরু ঠিক করে ও নিজেই বাহিরে যাবে কি হচ্ছে দেখতে। ভারী শাড়িটা জড়ানো থেকে খুলে ভালোভাবে গায়ে জড়ায়। কুচির দিকটা দু হাতে তুলে হাটা ধরে বাহিরে যাওয়ার জন্য। তোহা হাত টেনে ধরে।

– কি হয়েছে সমস্যা কি তোর?

– তুই এভাবে বাহিরে যাইস না। ভালো দেখাবে না বিষয়টা। বাহিরে যাই হয়ে যাক না কেন তুই যাইস না।

তোহার কথা শুনে না তরু৷ ঝারা মেরে ওর হাত ছাড়িয়ে দেয়। পা বাড়ায় আবার বাহিরে যাওয়ার উদ্দেশ্য। তখনই এক জোড়া শক্ত হাত তরুর হাত চেপে ধরল। তরু বলল

– তোহা ছাড় বলছি।

– আ আ আমি ধরিনি।

তরু মুখ ঘুড়িয়ে হাত ধরে থাকা ব্যাক্তির দিকে তাকায়। চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে তহমিনা বেগম।

তহমিনা বেগম এর চোখ লাল করে মেয়ের দিকে তাকায়। দমে যায় তরু। শান্ত স্বরে জানতে চায় বাহিরে কি হয়েছে মা?

– কি আবার হবে। তুই নিজের সর্বনাশের সাথে সাথে আমাদের মান সম্মান ও শেষ করে দিলি।

– কি বলছ আম্মু তুমি। আমি এমন কিছুই করিনি যাতে তোমাদের মান সম্মান নষ্ট হয়।

– তাহলে ওখানে নিজ চোখে যা দেখেছি আমি তা কি মিথ্যা?

– সব সময় সব দেখা সত্যি হয় না। কখনো কখনো তার আড়ালেও গোপন সত্যি থাকে। যা আমরা চোখে দেখতে পাই না। ওখানে কি হয়েছে তা আমি জানি না। তবে যেহেতু সবাই আমার চরিত্র নিয়ে কথা তুলছে সেহেতু আমি জানতে চাচ্ছি ওখানে কি ঘটেছে?

কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সবটাই খুলে বলে তহমিনা বেগম৷ সব শুনে তরু যেন থম মে’রে গেছে। যেসব কাজ কস্মিনকালেও কল্পনায়ও ভাবে নি তরু সেরকম একটা নোংরা কথা ওর সাথে আস্ট্রে পিস্ট্রে জড়িয়ে গেল। ভরা বিয়ে বাড়ির সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা। এটা কি সহজে মানুষ ভুলবে। পুরো গ্রামে এখন বিদ্যুৎ এর গতিতে ছড়াবে কথাটা। তরু ঠিক বুজতে পারছে না এই মুহুর্তে ওর কি বলা উচিত বা করা উচিত। কেমন রিয়াকশন হওয়া উচিত ওর সেটাই তো বুজতেছে না। কোন কিছু না ভেবে পেয়ে থম মে’রে বসে আছে তরু। তোহা তরুর পাশেই বসে আছে। তোহা শক্ত করে তরুর হাতটা ধরে আছে। যেন ভরসা দিচ্ছে ভয় পাস না কিছু হবে না। আছি তো আমরা সবাই। তহমিনা বেগম এত কথা বললেন তরু একটা কথাও বলল না। কথা বলছে না দেখে দু হাতের বাহু ধরে ঝাকালেন তহমিনা বেগম। কিন্তু মেয়ে অনড়। যেন কাঠের পুতুল হয়ে গেছে।

হঠাৎ করেই উঠে দাড়ায় তরু। তারপর তহমিনা বেগমকে বলে আম্মু ওঠো। তহমিনা বেগম ও মেয়ের কথায় উঠে দাড়ায়। তারপর তরু তহমিনার হাত ধরে বাহির অবধি আনে। পেছনে পেছনে তোহাও আসে। তহমিনা ঠিক বুজতে পারছিলেন না মেয়ে তাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। তরু দরজার বাহির অবধি এসে দাড়ায়। সেখানে এসে হাত ছেড়ে দেয় তহমিনা বেগম এর। তোহাও চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে দেখার জন্য যে তরু কি করে। তরু তহমিনা বেগমের হাত ছেড়ে নিজে উল্টো ঘুরে আবার রুমে ঢুকে। রুমে ঢুকেই তহমিনার মুখের উপর ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়। বাহিরে দাড়িয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে তহমিনা। তোহাও ডাকতে থাকে তরুকে। কিন্তু তরু দরজা খোলে না। তহমিনার বুক ধুকপুক বেড়ে যায়। তার ভয় হয় তরুকে নিয়ে। তরু যা একরোখা মেয়ে। না জানি কি করে বসে। এরকম পরিস্থিতিতে অনেকেই অনেক রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে।

#চলবে
#সূচনা_পর্ব
#ভালোবাসার_বর্ষণ
#নীহারিকা_নুর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here