#সুখ_পাখি #Ayrah_Rahman #part:-21

#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part:-21

—ওই ছেমরি কি সাজছিস তুই! তুই কি শোক সভা পালন করতে যাবি?

চরম অবাকের সাথে আরু প্রশ্নটি দিশার দিকে ছুরে দিলো..

দিশাঃ- ওমা কেন? কি হয়েছে?

আরুঃ- কি হয়নি বল,,তুই কালা কালা সব পরছিস কেন? জামা কালা,,প্যান্ট কালো,, ওড়না,, হিজাব সব কালা,,আর তুই হইলি সাদা…

দিশাঃ- তোওও কি হয়েছে,, কালো পরছি,,তুই সাদা পরে ফেল তাহলে ই তো হলো,,,

আরুঃ- দোস্ত তোরে দেইখা আমার একরা গান বুকের মাঝে ফাল পারতাছে,,গাইয়া ফেলি?

দিশাঃ- এইইই না ভুলেও তুই গান গাইবি না,,গান তো না,, পুরা কাকের কা কা,, তাও কাকের কা কা আওয়াজ তোর গানের চেয়ে সুন্দর,, গানের জান কবজ করে ফেলস তুই,,আমার বাবা অকালে মরার সখ নাই,,

আরুঃ- কি কইলি তুই,,আমার গলা কাকের মতো,,তার মানে তুই ইনডিরেক্টলি আমাকে কাক বললি( রেগে)

দিশাঃ- কি যে বলস না তুই,,হে হে,,তোর মতো এত সুইট. কিউট বারবিডল কে কেউ কাক বলতে পারে,,তোরে কাক বললে তো কাক নিজেও সরম পাবে,,( ইনোসেন্ট ফেস করে)

আরুঃ- হয়ছে,, আয় ভেতরে আয়,,,

বলেই আরু গান গাইতে গাইতে ভেতরে ঢুকে…

♬ ♬ সাদা সাদা কালা কালা……

আরুকে গান গাইতে না দিয়ে দিশা বলে উঠলো,,

দিশাঃ- বইন আর দেরি করিস না পরে সত্যি দেরি হয়ে যাবে,,,

আরুঃ- ওকে ওকে যাচ্ছি,,গান টাও শান্তি তে গাইতে দিলি না,,যা সর..

বলেই আরু জামা কাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে ঠুস করে দরজা টা বন্ধ করে দিলো,,,

দিশা বসে বসে ফোন ঘাটছে…

প্রায় আধা ঘণ্টা হয়ে গেছে আরুর বের হবার কোন খবর নাই,,,

দিশাঃ- ওই আরু বের হবি আজকা?

আরুঃ- দোস্ত এই তো শেষ,,

বলেই দরজা খুলে দিলো,,

দিশাঃ- তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে নেমে আয়,, আমি গেলাম নিচে,,,

তার কিছু ক্ষন পরেই আরু ও নিচে গেলো,,নাস্তা করে আরু আর দিশা বের হলো,,মেডিকেল এর উদ্দেশ্যে,,

রিক্সা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এর সামনে এসে থামে,,,
আরু মাথা তুলে একবার নাম টাই চোখ বুলিয়ে নেই,,এট লাস্ট তার স্বপ্ন সত্যি হলো বলে…

দিশা ভারা মিটিয়ে আরুর হাত ধরে মেডিক্যাল এর ভেতরে যাচ্ছে,,,

এমন সময় পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো,,,

— আরে মিস পাগলি নাকি? তো কি ব্যাপার? ঘুরতে আসলেন নাকি?

চেনা কন্ঠ শুনতে পেয়ে আরু পিছনে তাকায়,, আরুর সাথে দিশা ও পিছনে তাকায়,,,

দেখে শুভ্র আর আকাশ দাড়িয়ে আছে…

আরুঃ- এই যে মিস্টার,, আমি পাগল নই পাগল আপনি,,আর আমি এখানে ঘুরতে আসিনি এসেছি ভর্তি হতে,,

শুভ্র ঃ– এমা আপনাকে দেখে তো সুস্থ সবল মনে হচ্ছে,, ভর্তি হবেন কেন?আহারে বেচারি, এই অল্প বয়সেই অসুখ বাধিয়ে ফেললা( আফসোসের স্বরে)

আরুঃ- শুনুন মিস্টার,, আমি এখানে কোন রোগ নিয়ে আসিনি,,আর না ডাক্তার দেখাতে এসেছি,,আমি যাস্ট মেডিক্যাল এডমিশন নিতে এসেছি,,বুঝছেন,,হুয়াট এভার আপনাকে আমি এসব বলছি কেন? হাহ

শুভ্রঃ-আসলেই( অবাক হবার ভান করে) বাহ তো এখন পাগল থেকে ডাক্তারে কনভার্ট হয়েছেন? ভালোই তো,,

আরুঃ- আপনার কি খেয়ে দেয়ে আর কাজ নাই,,আমার সাথে ঝগড়া করা ছাড়া,,যত্তসব

বলেই আরু চলে গেলো,,,

শুভ্র আরুর চলে যাওয়াী দিকেই তাকিয়ে ছিল,,,

কাঁধে কারো স্পর্শ পেতেই শুভ্র পাশে তাকালো,,,আকাশ কে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে শুভ্র মুচকি হাসে….

আকাশ ঃ– এভাবে আর কত দিন?

শুভ্র ঃ– যতদিন না মনের কথা বলতে পারছি ততদিন.

আকাশ ঃ– আরুর কি সত্যি কিছু মনে নেই,,নাকি তার পিছনে কোন কারণ আছে?

শুভ্রঃ– জানিনা আমি,,কেন আমাকে চিনতে পারছে না নাকি চিনেও না চেনার ভান করছে,,কিছু বুঝতে পারছি না,,,

আকাশ ঃ– তোকে চিনতে পারছে না,, আমাকেও চিনতে পারছে না,,কেমন জানি অপরিচিত!

শুভ্র ঃ- কিছু ই বুঝতে পারছি না,, তবে আমি জানি কে আমার সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে?

আকাশ ঃ– কে সে?

শুভ্রঃ– তরু,,তরু রাহমান,,

আকাশ ঃ– তরু কি বলবে তোকে? সে তো তোদের সহ্যই করতে পারে না,,

শুভ্র ঃ- তরুকে বলতেই হবে,, তবে এখন না,, সময় আসুক সব এমনিতেই সামনে আসবে,,

বলেই শুভ্র চলে গেলো,, শুভ্রের পিছন পিছন আকাশ ও চলে গেলো,,,

ঠিক তখনই আড়াল থেকে একজন বেরিয়ে এলো,,

সে এতক্ষণ গাছের আড়াল থেকে আকাশ আর শুভ্রের সকল কথায় শুনছিল,,,

— যতই চেষ্টা করনা কেন,,মিস্টার শুভ্র খান , এত সহজে তো সত্য তোমার কাছে ধরা দেবে না,,আমি তা হতে দেবো না,,

বলেই সে অপরিচিত ব্যক্তি মুচকি হাসলো,,
আর সেখান থেকে চলে গেলো…..

আরু আর দিশা ভর্তির কার্যক্রম শেষ করে বাড়িতে আলো আসে,,,

এদিকে

শুভ্র, আকাশ আর অভ্র মিলে নতুন কোন পরিকল্পনা ব্যস্ত,,,

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here