আররররুওও ওই আরুর বা*চ্চা গ’রু,
,আমার নোট টা দিয়া যা,পিলিজ দোস্ত দিয়া যা,
তোর সাথে দৌড়ে আমি কি জীবনে পারছি? বল,
আরুঃ- নো বেবস, তোমাকে তো নোট দেয়া যাবে না,,
তুমি আগে বলো আমার নামে যে বিচার টা গেছে ওইটা কে করছে?
দিশাঃ- দোস্ত বিশ্বাস কর আমি কিছু করি নাই,,সব দোষ আ’হা’ই’ন্নার,তুই ওরে ধ’র,
আরুঃ– আমারে কি বল’দা মনে হয় তোর তুমি বলবা আমি বিশ্বাস করমু আর আহান উনি এসব আজাইরা কাজে থাকে না,,
,তাই না চা*ন্দু? ( আহানের দিকে তাকিয়ে)
আহানঃ– আরে কি যে বলস না,হে হে হে,,
আরুঃ- ওরে’ব্বা’স ময়না তুমি সরম পাও কি*ল্লায়,
এতো সরম কই’ত্তে আহে তোমার,,?
দিশাঃ- দোস্ত তোর পায়ে পড়ি আমার নোট টা দিয়া দে,, আজকা ওই টা*কলা স্যার সবার নোট দেখবো যদি গো না পাই সত্যি কইতাছি আমারে তো কাঁ’চা চাবাইবো,
আরুঃ- ওরি বাবা রে এতো ডরাও!আচ্ছা যা এবারের মতো মাফ করলাম ফের যদি আম্মু রে আমার নামে বিচার দিসস তোর কি অব’স্থা করি তুই নিজেই চি’ন্তা কর,,,
((কি হলো? কিছুই বুঝতে পারলেন না তো? আ’চ্ছা আসেন পরিচয় করিয়ে দেয়,
এত’ক্ষণ যাদের সাথে কথা হলো তারা হলো একই কলেজে অধ্যায়ন রত ৩ ব’ন্ধু,,
শু’ধু তারা নয় এদের সাথে আরও আছে, এখন ই বলছি না গ’ল্পের মধ্যেই যেনে নেবেন তাদের পা*গ’লামি স’ম্পর্কে।))
গল্পের নায়কা আরু পুরো নাম আইরাহ রাহমান,,
মাহমুদ রাহমানের ছোট মেয়ে,
যেমন সুন্দর তেমন ই ঘা*ড় ত্যারা,তবে মি’শুক ও বটে, দিশা তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, ওরা এবার ইন্টার ২য় বর্ষের,
এতক্ষণ যা নিয়ে তর্ক হলো,
কাল ক্লাস শেষে তাদের পদার্থ বি’জ্ঞান এর টাকলা স্যার ওয়াসরুমে যাবার পর আরু ওয়াসরুমের দরজা বাইরে দিয়ে ব’ন্ধ করে দিয়েছিলো আর সবাই কে বলে বেরিয়েছে স্যার নাকি ক্লা’স না করিয়ে ঘুরতে গেছে,
আরুর এই কাজে দিশা মানা করলেও আরু শুনেনি তাই দিশা আরুর মায়ের কাছে বিচার দিয়েছে তাই আরুর সব রাগ দিশার উপর দিয়ে গেছে বাট আরুর অভ্যাস মতে সে বেশি’ক্ষন রেগে থাকতে পারে না,
এবার গল্পে ফেরা যাক,
১ম পিরিয়ড শেষে ২ বান্ধবী বাইরে ঘুরছে কারন ২ য় ক্লাস বা*ঙ্ক দিবে,,
আরুঃ- ওই দিশা , আমার খিদা লাগছে?
দিশাঃ– আ’ব্বে কিতা কস,, এখন না একটা বার্গার খাইয়া শেষ করলি আবার খিদা কেমনে লাগে তোর?
আরুঃ- খিদা লাগছে মানে লাগছে এখন ফুসকা খামু,,কত দিন ফুসকা খাইনা,,ইয়া’ম্মি!
দিশাঃ- কতদিন মানে কি বল কত ঘ’ন্টা , ঘন্টা ও না বল কত মিনিট কারন কলেজে ঢুকার আগেই ৩ প্লেট খাইছোচ,
আরুঃ– ওই তুই কি কস! চোখ লা’গাস কেন?
দিশাঃ- মা’ফ চাই ভা’ই,চল,,
আরুঃ– ভাই??ওই তোর ভাই কেডা?
দিশাঃ- মাফ কর মেরি মা ,চল!
আরুঃ–আবার তুই আমারে তোর টাকলা বাপের বউ বানাস?
দিশাঃ– সরি সরি বইন মাফ কর,চল,নাকি রা’স্তায় দাড়িয়ে থাকবি?
আরুঃ– ওকে চল,,রা’স্তা পার হমু,,ধর দো’স্ত আমি ডরাই!
দিশাঃ– ভিতুর ডিম একটা,তোর জামাই এর কপালে ঢের দুঃখ আছে,,বেচারার জন্য আমি সত্যি ই দুঃখীত
আরুঃ– তুই আইবি?
দিশাঃ- সাবধানে আস,একদম দৌড় দিবি না,,
আরুঃ- আ’চ্ছা।
দিশাঃ- আরু একটু দাড়া আমি আহানের কাছ থেকে নোট টা নিয়ে আসি,, শালা আমার নোট রাখছিল, চুপচাপ দাড়া
আরুঃ- ওকে মাই জা’নু,,যা তুই
দিশাঃ ওকে,,,( দিশা চলে গেলো)
এদিকে ১০ মিনিট হয়ে গেছে দিশার আসার কোন খবর নাই,,
আরুঃ- দুর ছাতা,ফ*কি*ন্নি গেছে আর আসার কোন খবর নাই,
আমি একাই গিয়ে খাইয়া আসি,
আল্লাহ তুমি বাচাইও,,রাস্তা টা পার কইরা দাও আল্লাহ
আরু রা’স্তা পার হওয়া শুরু করে মা’ঝ রা’স্তায় আসার পর হঠাৎ দেখে একটা প্রাইভেট কার খুব দ্রু*ত আসছে এটা দেখে আরুর পা থেমে গেছে,
চোখ ব’ন্ধ,,
আরুঃ– আল্লাহ গো আজ আমি শেষ,
আমি মনে হয় আর বাচবো না,
আমার বিয়ে ও হবে না,নাতিও হবে না,
,আ’চ্ছা? আমার জামাই কি চির কুমার থাকবে?
নাকি আরেকটা স’তিন আনবে?
আজ না আমি ফ্রি’জে কত’গুলো চকলেট রাখছি সব কি আপু খেয়ে ফেলবে
,,আল্লাহ গো এবারের মতো বাচাই দাও,
এক মিনিট আমি ব্য’থা পাই নাই কেন আমি কি মরে গেছি?
হঠাৎ আরু চোখ খুলে সামনে একটা লোককে দেখে চমকে ওঠে,
আরুঃ- আপনি কি আ*জ’রাইল?
লোকটা ঃ– হুয়াট ননসেন্স? কি বলেন আবোলতাবোল,
আর রা’স্তা র মাঝ’খানে দাঁড়িয়ে কি ট্রাফিক পুলিশের দা’য়িত্ব পালন করছেন?
আরুঃ– আমি কি মরি নাই!একটা চি’মটি কাটেন তো।
লোকটাঃ– কিহ,আপনি কি পাগল? এসব পাগল যে কে রা’স্তায় ছেড়ে দেই,,
আরুঃ– ওয়েট! ( লোকটার হাতে চিমটি কেটে) ইয়েস,আমি মরি নাই,
,আমার জামাইও বিধবা হয় নাই,( আ’নন্দে লা’ফানো শু’রু করছে)
লোকটাঃ– এই আপনি কি? যান সরেন তো,, রা’স্তা ছাড়েন,
পা*গলের পা’ল্লায় পরলে যা হ আর কি,,
আরুঃ- ওই মিয়া ওই পা*গল কে?
হুম? আমি পা*গল?
কখন থেকে দেখছি যা নয় তাই বলছেন,,
যান তো আপনাদের কে বলে গাড়ি চালাতে যা পারেন না তা করেন কেন,,
আজব
লোকটাঃ– হুয়াট,,আমি গাড়ি চালাতে পারি না?
আরুঃ- যাক নিজেই স্বি*কার করলেন,, ভালো ভালো
শুভ্র ঃ– হু’য়াট,আল্লাহ আজকে কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠছিলাম,যান সরেন , কলেজে যাবো,,কাজ আছে এসব আজাইরা প্যাচাল পারার সময় নেই,
আরুঃ- তো যান আমি কি ধরে রাখছি নাকি,আজব
শুভ্রঃ– তোমাকে তো পরে দেখে নেবো,,
আরুঃ- আরে যান যান।
((এই হলো শুভ্র খান,,,আহনাফ খানের বড় ছেলে,,,আর শুভা খান তার ছোট মেয়ে এবার এসএসসি প’রীক্ষা দিয়েছে,,))
দিশাঃ- কিরে আরু কি হয়েছে রে,,ওই লোকটা ই বা কে ছিলো,
আরুঃ- জানিনা,সর পুরা মুড টাই খারাপ করে দিলো,,ফুসকা খাবো না বাড়িতে যামু,,,
দিশাঃ– আচ্ছা চল,,
এদিকে___
শুভ্রঃ– ডিয়ার চড়ুই পাখি,,, i am come bake to your life, খুব বার বেড়েছেন, আপনার ডানা কেটে আমার হৃদয়ের পি*ন্জি*রাই ব*ন্দী করবো,plz wait and see….
পরের দিন….
চলবে??…
#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
Part :- 01