#সিনিয়র_মামাতো_বোনের_পেরা,পর্ব_০৫ (অন্তিম)
#লেখক_কাজী_সাদ_ইসলাম_যারিফ
– আচ্ছা ঠিক আছে।
– হুম, তুমি ভাবছো আমি হুর করে তোমাকে প্রপসাল অ্যাকসেপ্ট করলাম কেনো। তাই না?
– হুম
– আমি সব কিছু ভেবে চিনতে তোমার প্রপোজাল অ্যাকসেপ্ট করেছি।
– তাই।
– হুম,
– মামার কাছ থেকে অনুমতি নাও আগে।
– ওকে।
আমি এরপর ঘুমিয়ে গেলাম। আমি মামীকে এই ব্যাপারে অনেক আগেই বলেছিলাম।
মামী বলেছিল তার এতে কোনো আপত্তি নেই কিন্তু আফসানা মানবে কিনা সন্দেহ।
আমি বলেছিলাম মানবে, আমি সেই বেবস্থা করবো। মামী বলেছিলো আমার যা ইচ্ছা তাই করতে।
আমার ঘুম ভাঙলো কান্নার শব্দে ও ঝাটার বাড়ির কারণে। উঠে দেখি মামা আমাকে ঝাতার বাড়ি দিয়েছে।
– মামা আমাকে মারলেন কেনো? আমি কি করেছি?
– তোকে আমি এইখানে থাকতে দিছি, আমার মে সাথে প্রেম করতে বলি নাই।
– মানে, তোর কথা আমার মেয়ে আফসানা আমাকে বলেছে। তুই ওর সাথে প্রেম করবি কেনো?
মায় দেখলাম। দূরে বসে আফসানা কাদঁছে। মামী ইশারায় আমকে বাসা থেকে বের হয়ে আমেরিকায় যেতে বললো।
আরো বুঝালো যে পরিস্থিতি উনি সামলিয়ে নিবেন। আমিও তাই করলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মামা মামীর কথা শুনলাম।
– শান্ত হও, ছেলেটা মহাভারত উল্টে দেয়নি, যে তুমি ওকে মারছিলে এবং এখন গালি দিচ্ছ।
– ওই হারামজাদার সাহস হয় কেমনে, আমার মেয়ের সাথে প্রেম করার।
– বাবা, দেখো……..
– চুপ হারামী। বাবা ডাকবি না।
আমি ওখান থেকে বের হয়ে ভিসা করলাম। এরপর আমি আমেরিকায় যাবো এমন সময় একটি মেয়েকে কাদতে দেখলাম।
– আপনি কাদছেন কেনো?
– আমার প্রিয় মানুষটি এই প্লেনে কর আমেরিকা চলে যাবে, আমিও তার সাথে যাবো। কিন্তু ও আমাকে চিনবে নাকি এর জন্য কাদছি।
– কে সে?
– তুমি।
– মানে?
মেয়েটি আমার দিকে ফিরল, আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ সে তো আফসানা।
– চিনতে পারছো?
– হুম। তুমি এইখানে কেনো?
– বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি। তোমার সাথে যাবো তাই।
– ওহ, তাহলে চলো?
– হুম,
ওর ঠোটে আমি ভালোবাসার পরশ একে দিলাম। ও তারপর বললো
– যাহ, দুষ্টু।
– হে হে।
#সমাপ্ত