সারপ্রাইজ (৩)
ফারজানা রহমান তৃনা
আমাকে দেখতে আসা প্রান্ত নামের এই ভদ্রলোকের কণ্ঠ ভীষণ ভালো এবং মনকাড়া।
উনি আমাকে প্রশ্ন করেছে, আমি হাসি না কেন।
আমি কি উত্তর দিবো ভেবে না পেয়ে বলে দিলাম,
– হাসার টপিকে তো অবশ্যই হাসি। এখন পর্যন্ত হাসার কোনো টপিক পাইনাই, তাই হাসিনাই। সিম্পল।
ভদ্রলোক মিটমিট করে তারার মত যেন জ্বলতে লাগলো কথাটা শুনে।
এরপর খুব আগ্রহ নিয়ে আরেকটা প্রশ্ন ছুঁড়ে মারলো। বললো,
– আচ্ছা, আপনার খুঁতগুলো এক এক করে বলেন তো।
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,
– অদ্ভুত প্রশ্ন করলেন। মেয়েরা সবসময় নিজের সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর খুঁতগুলো ঢেকে রাখবে সবার সামনে। এটাই তো প্রচলিত নিয়ম। আর সেটা যদি দেখতে আসা কেউ হয়; তাহলে বাংলার পরিবার এই প্রশ্নের জন্য ভয় পেয়ে যাবে। তারা তাদের শঙ্কা এক কথায়, “নাঊজুবিল্লাহ্” বলে প্রকাশ করবে। সেখানে আপনি আমাকে এই প্রশ্ন করলেন!! আপনার কী মনে হয়,আমি আপনাকে আমার খুঁতগুলো টুকে টুকে বলবো?
কথাগুলো শুনে উনি বিস্তর হাসলেন আর বললেন,
– বলবেন কিনা জানিনা। জানতে চেয়েছি। বলা না বলা ইটস টোটালি ডিপেন্ডেড অন ইয়্যু!
আমি মিনিট দুয়েক চুপ থেকে বললাম,
– আমার শারীরিক বৃদ্ধিতে সামান্য সমস্যা আছে। সঠিকভাবে সব বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
– আচ্ছা। বুঝলাম। এগুলো আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। আর কোনো প্রবলেম?
– আমি অতিরিক্ত আজগুবি চিন্তা করি। সীমাহীন। কখনো কখনো এম্নো হয় যে আমার চিন্তাভাবনারা আমার কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়।
– রিয়েলি! দ্যটস গ্রেট!! আর?
– চোখে একটু কম দেখি। চশমার পাওয়ার মাইনাস তিন।
– ও আচ্ছা। আমার তো মাইনাস থ্রি পয়েন্ট ফাইভ। হাহ্ হা হা। আপনার চেয়ে বেশি। তারপর বলেন।
– আর.. আপাতত মনে আসছে না।
– মনে করে বলুন।
– ও হ্যাঁ,আমি রান্নাবান্না কম পারি। বলতে গেলে পারিই না।
– এনিথিং এলস?
– খুব অপয়া। যেদিকেই যাই,সেদিকেই অঘটন ঘটে। আমার সাথে শুভ কিছু হয়েছে, এরকম রেকর্ড খুব কম।
তারপর ভদ্রলোক বললো,
– আই সি! আচ্ছা, আর কিছু কি মনে করে বলতে পারবেন?
– জ্বী না। আর কিছু মনে করতে পারছি না।
তারপর সে কিছুক্ষন কি জানি কি ভাবলো জানিনা। খুব উদগ্রীব কণ্ঠে প্রশ্ন করলো,
– আচ্ছা, আপনার কি আমাকে পছন্দ হয়েছে? বিয়ে করবেন আমাকে?
আমি এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম। এত শিক্ষিত,স্মার্ট একজন ছেলের কাছে নিজের সব ত্রুটিগুলো ব্যক্ত করে দিয়েছি বিধায় সে হয়তো এখন আর আমাকে চাইবে না। এই ভেবেই অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম,নিরুত্তর হয়ে।
সে আবার প্রশ্ন করলো,
– অন্য কাউকে ভালোবাসেন? এমন কেউ থাকলে বলতে পারেন। পরিবারের ব্যাপারটা আমিই দেখে নিবো। আপনাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবো।
আমি আস্তে করে বললাম,
– নাহ্। এমন কেউ নেই।
লোকটা আমার কথা শেষ না হতেই বলে ফেললো,
– তাহলে আমাকেই বিয়ে করে ফেলুন না!
বলে সে নিজেই লজ্জ্বিত বোধ করলো।
আমি এই পর্যন্ত একবারের জন্য ও তার চোখের দিকে তাকাতে পারিনি। ১২০ডিগ্রি এংগেলে যতটুকু দেখা সম্ভব ততটুকুই ভালো করে দেখেছি বলা যায়। কিন্তু সামনাসামনি তাকাতে অপরাগ হলাম।
দুনিয়ায় হয়তো লজ্জ্বাবতী নারীদের তালিকা করলে সেখানে আমি নাম লিখানোর মত ক্রেডিট রাখি।
উনি বললেন,
– তুমি করে বলতে পারি?
– অবশ্যই।
– থ্যাংক ইয়্যু। আচ্ছা শোনো,আমার মায়ের কথায় মনে কষ্ট নিও না। মা একটু এমন টাইপের ই। আর তুমি তো মায়ের কাছে থাকবে না। থাকবে আমার সাথে। ইভেন, এই দেশেও থাকছো না। বিয়ের পর পরই লন্ডনে চলে যাবো। তারপর আমেরিকায় সারাজীবনের জন্য স্থায়ী হয়ে যাবো। আর তুমি চাকরী করতে চাইলে ওখানেই করবা। আমিই সব ম্যানেজ করে দিবো,ইফ ইয়্যু ওয়ান্ট সো।
– তাহলে তো আমাকে ঐভাবেই পড়াশোনা করতে হবে। সময়ের ব্যাপার। ততদিনে যদি আপনি বেঁকে বসেন?
– আরে না না! আমি এক কথার মানুষ। তুমি এই বিয়েতে রাজি হয়ে যাও। আমার তোমাকে ভালো লাগছে। আই ওয়ান্ট ইয়্যু। আমার নাম্বার এন্ড কার্ড নাও। রুমে গিয়েই মেসেজ করবা তোমার নাম দিয়ে। ওকে?
আমি মাথা নাড়ালাম।
তার এরকম মনভোলানো কথা শুনে আমি অনেকটাই দমে গেলাম।
ইশ! এই মানুষটা হয়তো খুব সাপোর্টিভ হবে।
একে জামাই হিসেবে পেলে খারাপ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
বিয়ে যখন করতেই হবে তখন এরকম একজন সাপোর্টিভ জামাই_ই তো দরকার।
কথাগুলো বললাম মনে মনে।
কিন্তু বাইরে দিয়ে তার কিছুই প্রকাশ করলাম না। ভদ্রলোক আমার নীরবতায় হয়তো আহত হলেন।
এমন সময় আমাদের ডাক পড়লো।
ভদ্রলোকের মা ডাকছেন।
আমরা নিচে নেমে পড়লাম।
নিচে নামতেই উনার মা উনার হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
– কিরে? এতক্ষন কিসের কথা বললি? এত কথা কিসের জন্য বলতে গেলি? মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়নাই, বুঝোস নাই? তুই এরপরেও আলাদা করে কথা বলতে গেলি কেন?
সে তা মাকে কিছু একটা বলে শান্ত করে তারপর তার বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
তার মায়ের মুখের অবস্থা দেখেই আমি বুঝে গেছি,উনার আমাকে পছন্দ হয়নি।
আমি ভেতরে চলে আসলাম।
তারা সবাই বিদায় নিলো।
ভদ্রলোকের বাবা বলে গেলেন,
তারা পরে তাদের মতামত জানাবে।
আর আমার মতামতের কথাও জানতে বলেছেন তিনি। উনার বাবা আর উনি বোধ হয় একই স্বভাবের। আমার মতামতের উপর ও উনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
আমি রাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে আমার নাম করে মেসেজ দিলাম,
” আসসালামু আলাইকুম জনাব। আমি চারু। ”
একদম সাথে সাথেই রিপ্লাই এসেছে,
” আচ্ছা, তুমি কি রাজি নও আমার প্রস্তাবে?”
আমি উত্তর দিলাম না।
তাই সে ফোন করে বসলো।
আবার একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বললো,
– দেখো,আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি চারু! আজকালকার মেয়ে হয়েও কি সুন্দর গড় গড় করে সত্য কথাগুলো বলে দিলে!! আমি তো এমন মেয়েকেই চাই!!
কিন্তু তুমি কি আমায় বিয়ে করবেনা?
আমি অপ্রতিভ গলায় বললাম,
– আমি এখনি কিছু জানাতে পারছিনা।
– কেন? তোমার মেইন প্রব্লেমটা কী বলো তো?
– আসলে আমি সারাজীবন অন্য কারো আই মিন স্বামীর উপর ডিপেন্ডড হয়ে থাকতে চাই না। আমি স্বাবলম্বী হতে চাই। যাতে স্বামী বা ফ্যামিলি আমাকে নেগ্লেক্ট করলেও আমি বেঁচে থাকতে পারি,কিছু করে খেতে পারি। আমার যেন একটা অবলম্বন থাকে।
– আরে ধুর! এত বেশি ভাবো কেন?
এসব কিচ্ছু হবেনা। তুমি আমার ঘরে এসো। তারপর দেখবা এসব চাকরী-বাকরীর নেশা উড়ে চলে গেছে।
– মানে? উড়ে যাবে কেন?
– বাচ্চা! বাচ্চাকাচ্চা হবেনা আমাদের? এট-লিস্ট দুইটা বাচ্চাতো পিঠাপিঠি বয়সের হবেই। তো এদের সামলানো, এদের দেখভাল করতে করতেই তো তুমি অস্থির হয়ে পড়বা। তাহলে চাকরী করবা কখন?
আর তাও যদি তুমি চাও,তাহলে করবা! তুমি সংসার, বাচ্চাকাচ্চা সামলিয়েও যদি
চাকরী কন্টিনিউ করতে পারো দ্যন ইটস ওকে! তুমি করবা! আমি বাঁধা দেওয়ার কে?
আমি আর কিছু বলার আগ্রহ পেলাম না।
সে এবার আমার নীরবতায় আশস্ত হয়েছে। নানান ধরণের ভালোবাসার কথা শোনালো। সবই ভালো লাগলো। রেস্পঞ্জ পায়নি তবুও বলেই গেছে লোকটা। বোঝা গেল, সে ভীষণ ধৈর্য্যশীল একজন মানুষ।
ফোন রাখার পর কিছুক্ষন তার কথাগুলোই চিন্তা করে দেখলাম। ঠিকই বলেছে সে। সত্যিই তো! একটা বাচ্চার দেখাশোনা মানেই তো বিশাল দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়া! সেক্ষেত্রে বাচ্চা দেরীতে নিলেই তো হয়। কিন্তু সমাজ,ফ্যামিলিকে বোঝাবে কে?
★
পরের দিন।
ছোট বোন ইতু, মামাতো-চাচাতো বোন ইজমা, অমি এদের নিয়ে পাড়ায় ঘুরতে বের হলাম।
মন ফ্রেশ করার জন্য।
ছোটবেলার বেশিরভাগ সময়ই আমার নানুর বাড়িতে কেটেছে। তাই অনেককেই চিনি,জানি।
পথে ঘাটে আমার অনেক সমবয়সী, ব্যাচমেটের সাথেও সাক্ষাৎ হলো। সবাই এক কাখে বাচ্চা নিয়ে হাজির। দেখেই হাসি আসলো।
কয়েকজন বৃদ্ধা এবং মামিরা নাক ছিঁটকে বললো,
– কিগো চারু? বিয়ে শাদী নাকি আইস্যা আবার ফিইর্যা যায় তোয়ার? আরেকটু গা-গতর বাড়াইতে পারোনা? আর কতকাল বিয়া না কইরা থাকবা? এরপর সংসার করতে পারবা তো? বাচ্চাকাচ্চা তো হইবো না পরে!
এইসব কানে তুলে রিফ্রেশমেন্টের বদলে ডিপ্রেশন আনার মত মুর্খামি করলাম না।
অনেকক্ষন ঘুরাঘুরি করে বাড়ি আসলাম।
এসে দেখলাম, আব্বু আম্মুকে খুব গম্ভীরভাবে বসে আছে আর আব্বু কিছু বলে যাচ্ছে।
আমি তাদের সাথে গিয়ে বসলাম।
তারা দুজন বিছানায় বসে আছে।
আমি পাশের একটা চেয়ার টেনে বসলাম।
ভাবলাম, একটু গল্প গুজব করবো।
লক্ষ্য করে দেখলাম,
আব্বু রাগী স্বরে বলছে,
– এত ভালো একটা প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে শুধুমাত্র তোমার মেয়ের গাঁধামির জন্য। ইশ, উনি গায়িকা হবে! লেখিকা হবে! আরো কত কি হবে উনি! যত্তোসব!
আম্মু ও রেগেমেগে বললো,
– পড়াশোনার পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করছি। এমন পোড়া কপাল তার,তবুও উচ্চ মাধ্যমিকে প্লাস পাইলো না। ছেলের মায় তো কথা শুনায়ে গেছে এর জন্য। আর সেইজন্য মেডিকেল হইলো না। ভালো কোনো ইয়্যুনিভার্সিটিতেও টিকলো না। এখন একটা ভালো বিয়ে দিতে চাই। তাও আল্লাহ সহায় হইতেছেনা। কি পাপ করছিলাম আমরা জীবনে? ছোট মেয়েটার ও ব্রেইন ডাল। একটা ছেলে সন্তান ও দিলো না আল্লাহ। আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায়?
আমি আম্মুর কাছে এসে বললাম,
– আম্মু জীবনে সফল হওয়ার জন্য তিনটা জিনিস জরুরি।
১) ভাগ্য,
২) টাকা, এবং
৩) মেধা।
এর মধ্যে যেকোনো দুইটা থাকলেই তুমি সফল হবা। এক্ষেত্রে তোমার যদি শুধু ভাগ্য আর টাকাও থাকে,তাহলেও তুমি জীবনে সফল হয়ে যেতে পারবা। ভালো জায়গায় পড়াশোনা করে ভালো কিছু হতে পারবা। কিন্তু আম্মু, আমার দুর্ভাগ্য। আমার এই তিনটার মধ্যে শুধু একটাই আছে। তাও আবার খুব বেশি নয়। চলনসই। বাকি দুটো নেই। শূন্য। তাহলে বলো, আমি কিভাবে সফল হবো?
আম্মু, আমিও তো কষ্ট করছি। আমিও তো রাতের পর রাত পড়াশোনা করছি। কই আমার চেয়েও কম খাটা,কম মেধাবী স্টুডেন্ট, যে কিনা আমার কাছে আসতো ক্রিটিক্যাল টফিক বুঝতে সে তো আজ ঠিকই মেডিকেলে ভর্তি হলো। ঐ যে, আমাদের বাসার পেছনে পাঁচ তালা বিল্ডিংটা? ওরা কুমিল্লার আস্ত দুইটা পাঁচ,সাত তালা বিল্ডিং’র মালিক। ওদের ভাগ্য ও আছে, টাকা ও আছে। তাই ওরা ভালো জায়গায় পড়ে। আমিও ভালো জায়গায় আছি। আমিও চেষ্টা করলে ওদের চেয়ে বড় কিছু হয়ে দেখিয়ে দিতে পারবো। বিধাতা একদিক দিয়ে না দিলে অন্যদিক দিয়ে দেয়। দেখবা, একসময় আমি সাধারণ লাইন থেকে পড়েই ওদের নাকে দঁড়ি দিয়ে ঘুরবো। সেদিন হয়তো আর বেশি দেরী নেই! কিন্তু আমি আজ সফল নই বলে তোমরা আমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে চাচ্ছো? সুযোগ দিবেনা?
আব্বুর দিকে তাকিয়ে বললাম,
– আব্বু? সময় কী চলে গেছে? মাত্রই তো শুরু। দেখো না কি হয়?
আমার কথা শোনার প্রয়োজন মনে করলো না আব্বু। সে দাঁত-মুখ শক্ত করে উঠে চলে গেলো এই কথাগুলো বলতে বলতে,
– সাহিত্যিক হবে উনি! সাহিত্যিক! বিয়ে করবেনা,ঘাস কাটবে। সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে,উনার হওয়া লাগবেনা। উনি বাসায় পড়ে থাকবে।
আম্মুর দিকে তাকাতেই আম্মু আলতো করে বললো,
– তোরা বোনেরা মিলে আমাদের কী দিয়েছিস জীবনে?
কথাটা শুনে আমি নিস্তব্ধতায় ভেঙে পড়লাম। সত্যিই। কিছুই তো দিতে পারিনি।
কিন্তু কিছু দিতে চাই।
সে সুযোগ আর নেই। সময় নেই। বিয়ে করতে হবে।
বিয়ে করে সংসারী হতে হবে।
আম্মু উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললেন,
– আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সব অন্ধকার। আল্লাহ আমাদেরকে পদে পদে ব্যর্থ করছেন। সন্তান-সুখ আমাদের কপালে নাই। আমাদের সন্তানেরা কিছু তো করতে পারবেই না। উপরন্তু তারা জ্ঞান দিবে। এক এক জন বুজুর্গ,মণিষী।
কথাগুলো শুনে টপ টপ করে চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো গাল বেয়ে।
বিয়েটা করে ফেললেই বোধ হয় ভালো হয়। জীবনের কিছু স্বপ্ন কখনোই পূরণ হয়না। কিছু মানুষের স্বপ্ন দেখাই মানা।
আমরা মধ্যবিত্ত। আমাদের খুব বেশি স্বপ্ন দেখতে নেই।
(চলবে)