#রাহেলার_রাত_দিন
৩য় পর্ব
লেখা: #Masud_Rana
রাহেলা সন্ধ্যার পর থেকেই টুকটাক করে সবাইকে লুকিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেছিল। ব্যাগে পরার জামা-কাপড় আর জমানো ১২ হাজার টাকা ছাড়া আর কিছুই নিল না। মেজো ভাইয়া সন্ধ্যায়ই বাড়িতে চলে আসে। ১০ টার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে ভাবিকে নিয়ে। মনু থাকে রাহেলার সাথে। সেও ৯টার বেশি জাগতে পারে না। দেখতে দেখতে ঘড়িতে ১০ টা বেজে গেল।
রাহেলা ভেবেছিল যাওয়ার আগে কিছুতেই মনুর প্রতি মায়া বাড়ানো চলবে না। তাহলে হয়তো আর যাওয়াই হবে না। কিন্তু বোরকা পরে , ব্যাগ হাতে নিয়ে দরজার কাছে গিয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা মনুর দিকে তাকাতেই পুরো বুকটা বিষাদে ভরে উঠলো। বিছানায় উঠে মনুকে বুকের সাথে চেপে ধরে ফুপিয়ে উঠলো। মনু ঘুম জড়ানো চোখ জোড়া সামান্য একটু খুলল শুধু। আবার ঘুমিয়ে পড়লো। তাকে আস্তে করে শুইয়ে দিয়ে। ব্যাগ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল। ভাইয়া-ভাবীর ঘর ভেতর থেকে দেয়া।
বাইরে একবার নজর দিয়ে দেখল ছোট ভাইয়া কিংবা বড় ভাইয়ের ঘরের কেউ বাইরে আছে কিনা। না , নেই। সন্তর্পণে গেইট খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো রাহেলা। হৃদ-স্পন্দন বেড়ে গেছে অনেক। এরপর নেমে পড়লো রাস্তায়। হেটে পুকুর পাড়ে যেতে পনেরো মিনিট লাগলো। কেউ নেই। চিন্তিত ভাবে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতেই এক সারি নারকেল গাছের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো আলম মিয়া।
আসছ নাকি রাহেলা ?
জ্বী।
ভাইয়া-ভাবীরে বইলা আসলে ভালো হইতো না ? ঢাকা শহর , কমতো কথা না ! এতদূর যাইতেছ।
বললে , যাইতে দিবে না মামা । আপনে চলেন।
আলম মামা দাঁত বের করে হেসে বললেন , মামা বইলা ডাক , আর কী বলুম ! চলো।
এর আগে কখনো সি.এন.জি তে ওঠেনি রাহেলা। ওঠার প্রয়োজনই পড়েনি। আলম মামা আগে থেকেই সি.এন.জি ঠিক করে রেখেছিল। গ্রামের শেষ মাথা পর্যন্ত হেটে এসে এটাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল সে। যানে উঠেই দুটো পাঁচশ টাকার নোট আলম মামার দিকে এগিয়ে দিল রাহেলা। মামা জিহ্ব কেটে বলল:
মামা বইলা ডাক , আবার খরচের চিন্তা কেন ? বলছিনা সব খরচ আমি দিব।
রাহেলা জোর করেই আলম মামার পাঞ্জাবির পকেটে টাকা ঢুকিয়ে দিল। গাড়ি চলতে লাগলো। এত উত্তেজিত রাহেলা জীবনে হয়নি। এমন কী যে সন্ধ্যায় বুঝতে পারলো তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে সেদিনও নয়। এক অজানা , অচেনা শিহরণ। পুরো শরীর কাঁপছে। হাতের লোম খাড়া হয়ে গেছে।
বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সি.এন.জি তে আসলো। এখান থেকে বাসে উঠলো। রাহেলা ভয়ে ভয়ে ছিল পরিচিত কেউ বাসে তাকে দেখে ফেলে কিনা। অবশ্য বোরকা পরে থাকায় তাকে কেউই চিনতে পারবে না যদিনা তার এই মায়াবী চোখ-জোড়া পূর্বে ভালো করে খুঁটিয়ে না দেখে থাকে।
বাস চলতে শুরু করতেই গা টা গুলিয়ে উঠলো তার। আলম মামা বললেন , একটু অমন লাগবেই। বাইরের দিকে তাকায়া থাকো। একটু পর সব ঠিক হয়ে যাবে। জানলার পাশের সিটে বসেছে সে। পূর্ণিমা রাত। জোৎস্নার আলোতে রাস্তার পাশের সারি সারি ফসলের ক্ষেতের দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে রইলো সে। আপন মনেই চোখ ভিজে উঠলো। এসব যে তার চেনা জগৎ , এসব ছেড়ে সে কোথায় যাচ্ছে। যে মরীচিকার খোঁজে যাচ্ছে সে কী আদো সেখানে আছে। খুঁজে পাবে কিভাবে , আর পেলেই যদি তাকে চিনতে না পারে। যদি দেখে অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে সংসার করছে। তখন কী করবে রাহেলা। ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লো সে।
ঘুম ভাঙলো আলম মামার ডাকে। চারদিকে এত ঝাঁক-ঝমক আলো । বড় রাস্তা , বড় বিল্ডিং, গভীর রাতেও রাস্তায় এত মানুষ দেখেও প্রথমে রাহেলার বিশ্বাস হলো না এটাই সে ঢাকা। সত্যিই সে ঢাকায় এসেছে। সব কিছু তার স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হতে লাগলো।
আলম মামার কাছ থেকে জানতে পারলো রাত ৪টা বাজে। এত রাতেও যে বাইরে মানুষ এইভাবে চলাচল করতে পারে তা তার ধারণায় ছিল না। বাস আসছে, থামছে, যাত্রী নামছে উঠছে। বাসস্ট্যান্ডে অনেক যাত্রী বসে অপেক্ষা করছে। আলম মামা হাস্যোজ্জ্বল মুখে বললেন :
কিরে শহর দেখলি ?
হ , মামা ।
এখন বাসে উঠুম। বাসের লাইগা কিছুক্ষণ দাঁড়ায়ে থাকা লাগবো।
আবার ! তুমি না কইলা এইটাই ঢাকা।
বাপরে! ঢাকার আবার মা-বাপ আছে নাকি ! বিরাট বড় শহর। এক মাস লাগবো তোর ঘুইরা দেখতে।
ঠিকই বলছেন আলম মামা। ছোট জায়গা হলে কোটি কোটি মানুষ থাকে কী করে! সে আলম মিয়াকে প্রশ্ন করলো :
আমরা যামু কই ?
তোমার জামাইরে খুঁজতে যা যা করা লাগে সব করমু। মামা বইলা ডাকছ একবার ! এমন এক জায়গায় যাব যেখানে এই শহরের সব মাইনষের লিস্ট আছে। ছবি দেইখা চিনবা না আমজাদরে ?
জ্বী।
ওই জায়গায় কিছু মেয়ে লোকের সাথে তোমার এক হপ্তা থাকা লাগবো। আমি এরমধ্যে তদবির কইরা লিস্ট জোগাড় করুম এই শহরের সবার। তারপর তোমারে সোজা আমজাদের কাছে নিয়া যাব।
রাহেলার বুকটা ধ্বক করে উঠলো। সে জানে আলম মামার খারাপ স্বভাবের কথা। অনেকগুলো মেয়েলোক একসঙ্গে থেকে নোংরা কাজ করে এগুলো নিয়ে গ্রামের মেয়েদের কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছিল। তবুও সে মামার সঙ্গে এসেছে এই ভরসায় যে তার চেহারা , খারাপ। তারমত একটা মেয়েকে কে কিনবে আর বেচবে ? আর তার মনে তীব্র বিশ্বাস ছিল শহরে আসলেই আমজাদের সঙ্গে তার দেখা হবে।
এই প্রথম আলম মামাকে ভয় করতে লাগলো রাহেলার। সে সংকোচের সঙ্গে বলল :
মামা , পিশাব চাপছে।
মামা বইলা ডাক! সরম কিসের ? চলো।
এটা কোনো অজুহাত ছিল না। সত্যিই সংকোচের কারণে এতক্ষণ কথাটা বলতে পারেনি রাহেলা। বাসস্টপের পাশের লেডিস টয়লেট দেখিয়ে আলম মিয়া তাকে বলল , তুমি নিশ্চিন্তে যাও। আমি ঐযে চায়ের দোকান ঐখানে বইসা থাকবো।
রাহেলা টয়লেটে ঢুকে গেল। মোটামুটি বিশ-মিনিট সময় লাগালো বের হতে। বের হতেই ছোট্ট চায়ের স্টলের সামনে পুলিশের পোশাক পরা দুজন লোককে দেখে তার বুকের পানি শুকিয়ে গেল। আরো হতভম্ব হয়ে গেল আলম মামার হাতে হাতকড়া পরানো দেখে । তার পুরো শরীর যদিও কাঁপছে তবুও ওইদিকে তাকিয়ে থাকলো রাহেলা। সে বোকা হলেও আলম মিয়া যে তার দিকে তাকিয়ে চোখ ইশারায় তাকে বিপদের ইঙ্গিত দিলেন এবং তাকে পালিয়ে যেতে বললেন তা সে বুঝতে পারলো।
রাহেলা এবার চোখে অন্ধকার দেখছে। আলম মামাকে পুলিশ ধরলো কেন । নিজের বিপদ সে আঁচ করতে পারলো। তবে কী পরিবার ছেড়ে পালিয়ে এ শহরে এলে পুলিশ ধরে ? তারা কী করে জানে। কে পালিয়ে এসেছে আর কে ইচ্ছায় !
উদ্ভ্রান্তের মতো হাটতে থাকে রাহেলা। কোথায় যাচ্ছে , কোনদিকে যাচ্ছে কিছুই খেয়াল নেই তার। শুধু বুঝছে ওই পোশাকের লোকদের থেকে যত দূরে সরে যেতে পারে তত মঙ্গল। আলম মামা যতই খারাপ হোক না কেন , এতক্ষন ধরে একটা সাহস পাচ্ছিল রাহেলা। অন্তত কী করতে হবে , কী করবে এই চিন্তা মাথায় আসছিল না। যা করার আলম মামাই করবেন। এবার নতুন শহরে পুরোপুরি দিশেহারা হয়ে গেল সে।
প্রায় ১ ঘন্টা হাটলো সে। তার মুখ , শরীর বোরকার আবরণে ঢাকা। এরমধ্যেই সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মানুষ জনের আনা-গোনা , গাড়ি , রিক্সার সংখ্যা বেড়ে গেল। অদ্ভুত বিষয় হলো রাহেলার সাথে কেউ অস্বাভাবিক আচরণ করছে না , বা তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকছে না। এতেই যেন সে শান্তি পেল। বেলা বাড়তে থাকলে এত লোকজন , এত মানুষ একসঙ্গে সে আগে দেখেনি। আরো কিছুটা সময় কাটালো সে হেঁটে হেঁটে। ভয় কেটে তার চোখে এখন কৌতূহল। আলম মিয়া কিংবা তার স্বামীকে নিয়েও চিন্তা নেই। শুধু কৌতূহলী দৃষ্টি চারপাশের পরিবেশ আর মানুষদের পর্যবেক্ষণ করছে। এর মধ্যেই চায়ের দোকান , কিছু খাবার হোটেল খুলতে শুরু করেছে।
রাহেলা শুনেছিল ঢাকা শহরে নারী-পুরুষ একসঙ্গে বসে হোটেলে খাবার খায়। প্রচণ্ড ক্ষুধা অনুভব করলো সে। একটা হোটেলে ঢুকে পড়লো। এত সকালে ভিড় জমেনি। পরোটা আর মাংসের জল দিয়ে নাস্তা করার পরই অনুধাবন করলো রাহেলা , সে খুব ক্লান্ত এবং এই শহরে তার থাকার কোনো জায়গা নেই। কেন জানে না আলম মামার হাত থেকে ছুটে ভয়ের পাশাপাশি সামান্য তৃপ্তিও অনুভব করেছিল সে।
একটু লোক বাড়তেই সে বিল মিটিয়ে , কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে আবার রাস্তায় হাঁটা ধরল। বোরখা পরা মানুষ খুব কমই দেখল রাহেলা। বেশির ভাগই , সালোয়ার-কামিজ , শাড়ি , কাপড় পরা। ছেলে-মেয়ে পাল্লা দিয়ে বাসে উঠছে। জিন্স পরা কিছু মেয়ের দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে রইল সে।
আবার হাঁটা ধরল। ক্লান্তি ফিরে আসতেই আলম মামাকে পুলিশ কোথায় নিয়ে গেল , সে একা এখন কী করবে , আমজাদ ইবা এই শহরের কোথায় থাকে। এই চিন্তা আবার ভর করলো মাথায় । আচ্ছা , সে যদি কাউকে বলে তাহলে সে কী আবার তাকে গ্রামে যাওয়ার বাসে তুলে দিবে ? কিংবা তার স্বামীকে খুঁজে দিবে ? এই শহরের সব মানুষের লিস্ট যেখানে থাকে সেখানে নিয়ে গেলেও চলবে। নাকি বাড়ির পথ ধরবে! কিন্তু কোন মুখে আমজাদকে না নিয়ে আবার বাড়ি যাবে। আশেপাশে এবার চিরচেনা সেই আমজাদের মুখ হঠাৎ দেখতে পাওয়ার আশায় তাকাতে তাকাতে এগোল সে।
বেলা বেড়ে যায়। করা রোদে বেশিক্ষন হাটতে পারে না সে। আসলেই শহরটা অনেক বড় আর অনেক মানুষের। অনেক বড় বড় দালান আর গাড়ির। এক জায়গায় অনেক গুলো মানুষকে কোদাল, পাতি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেল রাহেলা। সেদিকেই এগিয়ে গেল সে, কারন তাদের অধিকাংশই লুঙ্গি-শার্ট , গেঞ্জি পরিহিত। আমজাদকে তো এইরকম পোশাকে দেখেই সে অব্যস্ত। যদিও কারো মুখের মাঝেই আমজাদকে খুঁজে পেল না সে।
একসময় দুপুর শেষ হয়ে যায় । এরমধ্যে খাবার দোকান খুঁজে খাবার , পাবলিক টয়লেট খুঁজে প্রয়োজনীয় কাজ সাড়া করে ফেলেছে রাহেলা। ক্লান্ত হলেই জায়গা পেয়ে ছায়ায় বসে জিরিয়ে নেয়। আস্তে আস্তে তার মনের ভয় কেটে যেতে থাকে শহর নিয়ে। সেখানে জায়গা নেয় রোমাঞ্চ। নতুন অদ্ভুত এক জগৎকে দেখে সে বিস্মিত। যতটা ভয়ঙ্কর আর অনিরাপদ ভেবেছিল জায়গাটাকে ততটা লাগলো না। সাহস বেড়ে গেল তার। আত্মবিশ্বাস জন্মালো আমজাদের দেখা সে পাবেই।
সাহস করে একটা বাসে উঠে বসলো। বাস চলার পর হেলপার যখন ভাড়া চাইতে এলো তখন পাশের সিটের মেয়েটাকে অনুকরণ করে ২০ টাকা নোট তার দিকে বাড়িয়ে দেয়। হেলপার, কোথায় নামবেন , জানতে চাইলে জানলা দিয়ে বাইরের ছুটন্ত মানুষ , গাছ , দোকানের দিকে চেয়ে নীরবতা পালন করে সে। একটা সময় অনেক গুলো গাছের সারির পাশে স্টপে বাস থামতেই পাশের সিটের মেয়েটা দরজার দিকে এগিয়ে যায়। রাহেলাও মেয়েটাকে অনুসরণ করে নেমে পড়ে। মেয়েটা যেদিকে যায় সে তার উল্টোদিকে হাটা শুরু করে।
রাস্তা ধরে হাঁটার পর যে সে পার্কের ভেতর চলে এসেছে তা তার জানার কথা না। বিকেলের শেষ মুহূর্তে এত সুন্দর ছায়াঘেরা জায়গা দেখে কিছুটা প্রশান্তি পেল যেন সে। একটা বেঞ্চে বসে আশেপাশের মানুষদের দিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে স।
জোড়ায় জোড়ায় ছেলে-মেয়ে বসে গল্প করছে , হাঁটছে , ফেরিওয়ালারা পানি-কোক , ভুট্টাভাজা, ঝালমুড়ি বিক্রি করছে। কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা , তার বয়সী মেয়ে , বাচ্চাদেরও লক্ষ করলো সে।
আরেকটু ঘুরে ঘুরে একটা গাছকে ঘিরে থাকা গোল সিমেন্টের বসার জায়গায় বসলো সে। একটু পরেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে। এই শহরের রাত কীরকম তা সম্পর্কে ধারনা নেই রাহেলার। এখন শুধু ইচ্ছা করছে একটা ঘরে ফিরে যাওয়ার। ফিরেই আর কিছু না , বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া। কিন্তু , হায় , ঘর! এ শহরে তার কিছু নেই , কেউ নেই। এখন হঠাৎ করে যদি আমজাদ এসে তার সামনে দাঁড়াতো আর বলতো :
তুমি দেখি ভারী বোকা মেয়ে ! ঢাকায় আসবা , আমারে জানায়া আসবা না! ইসসস! সারাদিন একলা একলা ঘুইরা বেড়াইছ শহর ? তুমি ! ফিরিশতা আইসা কইলেও বিশ্বাস যামু না। তোমার যেই বুদ্ধি! চলো চলো , অনেক নাটক হইছে এখন বাড়িতে আসো। তোমার লাইগাইতো সংসারটা এতদিন ধইরা ঘুচাইলাম। এখন দায়িত্ব নিবা। চলো চলো, উঠো না কেন ?
ভাবতেই পুলকে শরীর শিউরে ওঠে রাহেলার। আহা, স্বপ! সন্ধ্যা নেম এলো।
চলবে . . .