#রাহেলার_রাত_দিন
২য় পর্ব
লেখা: #Masud_Rana
আমজাদ যে রাহেলাকে , এই বাড়ি ফেলে আর কখনো এখানে ফিরবে না ভেবে একেবারে চলে গেছে তা বুঝতে বাড়ির বাকি সবারও পুরো দিনটা কেটে গেল। সবাই উত্তেজিত। শুধু বাড়ির মেজবৌ কে এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন কম মনে হলো। সে অন্য কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা করছিল। পাছে হারামজাদাটা যাওয়ার আগে সব ফাঁস করে দিয়ে যায়নিতো! রাহেলাকে , আমজাদের হঠাৎ এমন নিরুদ্দেশের কারণ অনেক জিজ্ঞেস করতেও যখন সে গয়নার কথা তুলল না তখন মেজবউ কিছুটা নিশ্চিন্ত হলো। যদিও তারমধ্যে থাকা আতঙ্ক ভাব তেমন গেলো না।
রাহেলা তখনো বিশ্বাস করতে পারেনি আমজাদ তাকে ফেলে , এই বাড়ি ছেড়ে সত্যি সত্যি চলে যেতে পারে। এতো অসম্ভব । তার এতো ভালোবাসা এত মায়া সব কী মূল্যহীন! তার বিচক্ষণ মেজো ভাই যখন এসে তাকে বলল , একটা গাট্টি নিয়ে বাজার থেকে ঢাকার বাসে তাকে যেতে দেখেছে কিছু লোক তখনও রাহেলার মনে ক্ষীণ বিশ্বাস ছিল তার এমন বুদ্ধিমান ভাইয়েরও হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে। গেলই বা! হয়তো সে ঢাকায় গেছে বাড়িঘর ঠিক করতে । একদিন এসে তাকে নিয়ে যাবে। স্বামীর ক্ষতি হয় , সে যদি মামলা খায় এই ভয়ে গহনার কথা ভুল করেও উচ্চারণ করে না সে। এমন কী মেজো ভাবীর কাছেও না। ভাবে , হয়তো ভাবি গয়নাগুলো আমজাদকে দেয়নি । আমজাদ চুরি করে নিয়ে গেছে। ভাবি হয়তো এখনো টের পায়নি।
চুরি করলে তার জন্য ছাড়া আর কেনই বা আমজাদ চুরি করবে। এই গোটা দুনিয়ায় সে ছাড়া আর কে আছে আমজাদের? কে তার স্বামীকে এতটা ভালোবাসবে আর ! হোক না সে একটু কালো , চিকন। সন্তানের মুখ দেখাতে পারছে না। এই তুচ্ছ কিছু কারণে তাকে ফেলে যাবে আমজাদ ! এটা কিছুতেই হতে পারে না। সে মানুষ চিনতে ভুল করবে? আমজাদ ঘর-বাড়ি ঠিক করে আবার আসবেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে। সেখানে তার একটা সংসার হবে। নিজের রান্নাঘর , আলমারি থাকবে। সংসারী কী কী বাজার লাগবে তার লিস্ট সে করবে।
তার বাড়ির আর এলাকার কিছু মানুষেরও বিশ্বাস ছিল রাহেলার স্বামী ফিরে আসবে। তারা প্রায়ই রাহেলাকে আশ্বাস দিয়ে বলতো তার স্বামী ফিরে আসবে। ঢাকা শহরতো আর কম কথা না।আমজাদের সহায়-সম্বল সম্পর্কে সবার ধারণা ছিল। সেখানে সহায়-সম্ভবলহীন একজন মানুষ আর কয়দিন টিকবে। ঘরে ফিরে আসতেই হবে। এইসব কথা যারা বলতো রাহেলার নজরে এরা পৃথিবীর সেরা মানুষে রূপান্তরিত হলো। তাদের কথা শুনে তার চোখ বেয়ে পানি পড়তে শুরু করতো। পুরোনো স্বপ্ন আবার প্রাণ ফিরে পেত । আবার তার স্বামীর কাছে অনেক গয়না-টাকা আছে মনে হতেই বুকটা ধক করে উঠতো। যদি না ফেরে! মেজো ভাবিই তাকে বেশি আস্বস্ত করতো তার স্বামী আবার ফিরে আসবে বলে। মেজো ভাবীকে আগে থেকেই শ্রদ্ধা করতো সে। তা যেন ভালোবাসায় রূপান্তরিত হলো।
আগে বাড়ি-ঘরের কাজ করে যেটুকু সময় পেত স্বামী সেবা করে কাটিয়ে দিত। এখন সে সময়টুকু ঘরে বসে কাঁদে আর স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষা করে।
দিন যায় , সপ্তাহ যায় মাস যায়। এক বছর পেরিয়ে গেল। এখনো আশা ছাড়েনি রাহেলা। মাঝেমধ্যে স্বপ্নে আমজাদ নতুন শাড়ি , গয়না নিয়ে দরজা ঠেলে ঘরে ঢোকে। রাহেলার হাত ধরে চকিতে বসায়। অপলক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ পকেট থেকে স্বর্ণের চুড়ি বের করে পরিয়ে দেয়।
খাবারে অনিয়ম , অগোছালো জীবন-যাপন, খাটনি রাহেলার চেহারা আরো খারাপ করে দিয়েছে। কিছু করেই সুখ পায় না সে। মেজো ভাবীর ছেলে হওয়ার পর বাড়িতে কাজের মেয়ে রাখা হয়েছে। এখন রাহেলার কাজ কমে গেছে। সে বাচ্চার দেখাশোনা করে , ফিটার খাওয়ায়। ভাবীকে টুকটাক কাজ করে। এইতো। আগে তাও সারাদিন নানান কাজ করে ব্যস্ত থাকতো। এখন অবসর সময়ে শুধু আমজাদের কথা ভেবেই কাটায়। লোকটার না ফিরে আসার কোনো কারণ দেখে না সে ।
আরো এক বছর কেটে যায়। চেহারা মলিন, চিন্তিত থাকলেও এখন মেজো ভাবীর সঙ্গে থাকে সে। অনেকটাই নিয়মতান্ত্রিক জীবন। বরাদ্দ করা খাবার না খেলে নষ্ট হবে। এতেই ভাবীর বকা খেতে হবে। নিয়মিত খাওয়া , পরিশ্রম কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ফিরতে লাগলো রাহেলার। চেহারা আরো মায়া মায়া হলো। পাড়ার কিছু মেয়ে-বউ বলতে লাগলো , এইরকম চেহারা যদি আগে থাকতো তাহলে স্বামী কিছুতেই ফেলে যেত না।
মধ্যবয়স্ক স্ত্রী-হীনা কয়েকজন রাহেলার মেজো ভাইয়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাবও নিয়ে এসেছিল। তাদের সন্তানের দরকার নেই। আগের স্ত্রীর সন্তানদের দেখাশোনা , আর গৃহস্থ দেখাশোনা করলেই চলবে। ভাইদের শত অনুরোধ , রাগেও বিয়েতে রাজি হয়না রাহেলা। কেন হবে ? তার স্বামী কী মরে গেছে ? সে ঢাকায় গেছে। কই অনেকের স্বামীতো বিদেশ গিয়ে দশ-বারো বছর পরেও ফিরে আসে। সেই বউরা বুঝি এরমাঝে আবার বিয়ে করে ? তাহলে সে কেন করবে ? তার স্বামীও ফিরে আসবে।
সে এত সাহস পাচ্ছিল অবশ্য মেজো ভাবীর কারণেই। তার স্বামী চলে যাওয়ার পর থেকেই রাহেলা অনুভব করতে পারে তার মেজো ভাবি তার জন্য মায়া অনুভব করে। কেমন যেন একটা টান সৃষ্টি হলো দুজনের মাঝে যা আগে কখনো ছিল না। তার সংসারের দায়িত্ব রাহেলার কাঁধে তুলে দিয়ে নিজেই যেন রাহেলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। নাহলে রাহেলা কবে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতো।
এখন রাহেলার আনন্দ আর মায়ার আরেকটা উৎস হলো মেজো ভাইয়ের ছেলে মনু। ছেলেটা যে এত মায়াবী চেহারা নিয়ে জন্মেছে! একেবারে ছোট থেকে পালার কারণে মা আর ছেলের সম্পর্ক যেন গড়ে উঠেছে ছেলে আর ফুপুর মাঝে। রাহেলাকে পেলে আর কাউকে চায় না। শুধু ছোটবেলা থেকে পালার জন্য না । অন্য কী এক কারণেও যেন রাহেলা বাচ্চা এই ছেলেটার প্রতি একটা টান অনুভব করে। খুব আপন মনে হয় একে। মনের ভুলে মাঝেমধ্যে নিজের স্বামীর চেহারার সঙ্গে একে মিলাতেই নিজেকে মনে মনে গালি দিতে থাকে রাহেলা। তার মাথা কী খারাপ হয়ে গেছে ! কীসব উল্টাপাল্টা চিন্তা করে সে।
আবার সেসব রাতের কথাও মনে পড়ে যে রাতে মেজো ভাবীর ঘর থেকে আমজাদকে বের হতে দেখে ছিল সে!
আবার সেই চুপিচুপি ছেলেটাকে বুকে চেপে ধরে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে , বড় হলে আমারে মা ডাকবি ? বল তো মা। মাআআআ……….।
না! তার মাথা কী খারাপ হয়ে যাচ্ছে! নিজেকে সামলায় সে।
এভাবে আরও দুই বছর কেটে যায়। রাহেলার ভালোবাসা এখন মনু আর তার স্বামীর মধ্যে দ্বিখণ্ডিত হলেও এখনো সে তার স্বামীকে ভুলতে পারেনি। আশায় আছে একদিন ফিরবে সে। সেদিনও মনুকে ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় যেতে সে প্রস্তুত। কষ্ট হবে , হোক একটু ।
মনু হাটতে পারে , মিষ্টি করে কথা বলতে পারে , পুরো বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখে। ছোট ভাই-ভাবি , বড় ভাই ভাবি তাদের সন্তান সবার চোখের মণি। আর মেজো ভাইতো তাকে ছাড়া জগৎটাই চিন্তা করতে পারে না। আর মা একমুহূর্তের জন্য চোখের আড়াল করেন না। তবুও যে ছেলেটা এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তাকে, যার হাত ছাড়া খাবার খায় না , যাকে না জড়িয়ে ধরলে তার ঘুম আসে না সেই ফুপু রাহেলা। ছোটরা ভালোবাসার প্রতিদান খুব ভালো করেই দিতে পারে ।
একদিন বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে একটা সি.এন.জি যাওয়ার শব্দ শুনে রাস্তায় বেরিয়ে আসে রাহেলা। দেখে উৎসুক দৃষ্টিতে সি.এন.জির দিকে আশেপাশের ঘর-বাড়ির অনেক মেয়েরাও তাকিয়ে আছে বাড়ি থেকে বেরিয়ে। এদিকে সি.এন.জি দিয়ে যারা আশা-যাওয়া করে অধিকাংশই ঢাকার লোক। রাহেলা উৎসুক হয়ে পাশের বাড়ির কামালের মাকে জিজ্ঞেস করলো :
কে গেলো গো ভাবি ?
‘আরে , তুই ঘটনা শুনিস নি নাকি রাহু ? ‘ বলে হাসতে হাসতে রাহেলার দিকে এগিয়ে এলো।
আরে কয়বছর আগে মনে আছে , উত্তর পাড়ার বন্যার জামাই যে তারে ফেলে ঢাকায় চলে গেল ? আর ফিরে আসলো না। শুন , ছয়মাস আগে বাপ মরার পর লোক ধরে বন্যাও গেল ঢাকায়। গার্মেন্টসে চাকরি পেল। চাকরি করা নাকি খুব সোজা। মাস শেষে নগদ টাকা! তো একদিন রাস্তায় তার জামাইয়ের সাথে দেখা । আর কী চিনতে পাইরা কী যে বকুনি বন্যার । তারপরে জানা গেলো ঐখানে গিয়া আরেকটা বিয়া করছে। বন্যারে দেইখা আবার মনে ধরছে। তাই শুনছিলাম বন্যা ওর জামাইরে নিয়ে আজকে আইবো। চাচীত তাই কইল।
কথাটা শুনেই রাহেলার বুকের ধকপক বেড়ে গেল।সে ঘরে চলে এলো। এক ঘোরে চলে গেল যেন সে। অনেক বছর আগে জমা স্বামীর সঙ্গে সংসার করার
স্বপ্ন আবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। লোকে বলে তার চেহারা নাকি আগের থেকে সুন্দর হয়েছে । আসলেই কী তাই ? আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। হতাশ হলো সে।
বন্যার স্বামী অনেক বছর আগে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে গিয়েছিল। আর বন্যা ছয়মাস আগে ঢাকায় যেতেই তার স্বামীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল! তবে সে যে শুনেছিল ঢাকা শহর অনেক বড় , কোটি কোটি মানুষ থাকে। টিভিতেও তো ঢাকা শহর দেখেছে সে। এক লঞ্চঘাটে যত মানুষ তাদের পুরো গ্রামে তত মানুষ নেই।
তাহলে তার ভাইয়েরা যে বলতো ঢাকা শহরে হারিয়ে যাওয়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না সেটা পুরোপুরি ঠিক না। ভালোবাসা-টান থাকলে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। সে মেজো ভাইয়ের কাছে এই কথা বলতেই ধমক খেল , ঢাকা শহর কী সহজ জিনিস পাইছিস ? এই জোচ্চোরটার লাইগা এখনো তুই আশায় বইসা আছস ? ওয় নাই। মনে কর মইরা গেছে।
উল্লেখ করা হয়নি এরমধ্যে অনেক আগেই মেজো ভাবি প্রকাশ করেছে তার ঘরের আলমারি থেকে অর্ধেক গয়না আর কিছু টাকা চুরি হয়েছে। কাজটা হয়তো আমজাদই করেছে। মেজো ভাইও এবার হঠাৎ আমজাদের নিরুদ্দেশ হওয়ার পেছনের কারণটা বুঝলো। কিন্তু বোনের আর বাড়ির সম্মান যাতে নষ্ট না হয় তাই এই বাড়ির বাইরে কথাটা ছড়ায়নি।
ভাবীকে বলতেই সে হেসে উঠে বলল , কেনরে আমাদের মনু বুঝি আর তোকে ভালোবাসে না যে পুরোনো নাগরের জন্য ঢাকা যেতে হবে ?
রাহেলা বুঝতে পারে এরা কখনো তার স্বামীর কাছে তাকে যেতে দেবে না । যা করার তাকেই করতে হবে। এখন আলম মামাই ভরসা।
আলম মামার আরেকটা নাম দালাল। কয়েকটা পুলিশি কেসও খেয়েছে সে। শোনা যায় গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে শহরে নিয়ে গিয়ে দুষ্টু লোকেদের কাছে বিক্রি করে দেন। সেখানে তাদের নিয়ে নোংরা কাজ করানো হয়।
এই আলম মামাই পথে-ঘাটে রাহেলাকে দেখে রঙিন ঢাকার গল্প শুনাতো। সেখানে জীবন কত সহজ ? টাকা কামানো কত সহজ । সেখানে একবার কাজে ঢুকতে পারলে যে একজন কাজ করে গ্রামের পুরো গোষ্ঠীকে খাওয়াতে-পরাতে পারবে সেই কথা। কী নেই সেখানে। কেবল মাত্র বোকারাই এখন গ্রামে পড়ে থাকে ইত্যাদি।
আকার ইঙ্গিতে রাহেলাকে এটাও বলতে ছাড়েননি যে , তার স্বামীর মতো একটা লোককে কয়েকবার দেখেছেন বোধহয়। নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে ঢাকায় গিয়ে খুঁজলে পাওয়া অসম্ভব না। রাহেলা তখন কোনো ভরসা পায়নি। তাছাড়া আলম মামার দুর্নাম সম্পর্কে সবটাই তার জানা।
কিন্তু আজ যে কী হলো। সেই আলম মামা ছাড়া আর কারো উপর ভরসা করতে পারলো না সে। ঢাকার কিইবা জানে সে। আলম মামা প্রথমে তার কথা শুনে মুখ গম্ভীর করলেন । বললেন , ” এ আর কী ব্যাপার ! মামা বইলা ডাকো। প্রয়োজনে কাজে না লাগলে লাগবো আর কখন ? তো ভাইদের অনুমতি তো লাগবো।”
রাহেলা যখন শান্ত কণ্ঠে বলল, ভাই-ভাবি কাউকে জানিয়ে যাবে না সে। চুপিচুপি যাবে। তখন এই পঞ্চাশ উর্ধ লোকটার মুখ যে প্রশান্তিতে ভরে গেল তা মাটির দিকে তাকিয়ে থাকায় রাহেলা দেখতে পেল না। আলম মামা গম্ভীর, চাপা কণ্ঠে বললেন :
কবে যাবা?
আজ রাইতেই । পারবেন ?
পারুম না মানে। ভাগ্নি বিপদের সময় মামার কাছে আসবে নাতো কার কাছে যাবে। আমিতো আগেই বলছিলাম। মামা বইলা ডাক। দাঁড়াও।
এই বলেই ঘরে ঢুকে একটা পুরোপুরি কালো বোরখা আর হিজাব নিয়ে এসে রাহেলাকে দিল । বলল :
রাইত ১০ টায়। পুকুর পাড়ে আসবা।
খরচ ?
আহা! মামা বইলা ডাক , আবার খরচ !
পুরা দায়িত্ব আমার !
রাহেলা জামার ভেতরে বোরখা পেঁচিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ির পথে যায়। মনে হাজার প্রশ্ন আর চিন্তা।……….
চলবে . . . . .