ভ্যাম্পায়ার_ওয়াইফ #পর্ব ৩,৪

#ভ্যাম্পায়ার_ওয়াইফ
#পর্ব ৩,৪
রোমান্টিক হরর স্টোরি
#লেখক:সাব্বির আহমেদ
পর্ব ৩
(আগের পর্বের পর থেকে)

রুশার দেহটা মেঝেতে পরে
আছে।
আমি হতভম্ব হয়ে আছি।
দৌড়ে গিয়ে রুশার দেহটা
ঝাকাতে লাগলাম।
_রুশা এই রুশা কি হলো
তোমার।
রুশা এই রুশা কথা বলো।
কিন্তু রুশার কোনো সাড়া
পেলাম না।
রুশাকে একটু কাত করতেই
দেখতে পেলাম
একটা ছুড়ি ওর পিঠে ঢুকে
রয়েছে।
আমি প্রচন্ড শোকে জ্ঞান
হারালাম।
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন
নিজেকে একটা চুনকাম করা
সাদা ধবধবে রুমে
আবিষ্কার করলাম।
যতটুকু বুঝতে পারলাম এটা
একটা হাসপাতাল।
কিন্তু আমাকে এখানে
নিয়ে আসলই বা কে।
হঠাৎ আমার রুশার কথা মনে
পরলো।
আর বুকের ভিতরটাতে
চিনচিনে ব্যাথা অনুভব
করলাম।
চোখ থেকে দু ফোটা পানি
গড়িয়ে পরলো।
“”রুশা”” বলে একটা চিৎকার
দিলাম।
তখনই আমার মা_বাবা রুমের
ভিতরে ঢুকে
আমার দিকে দৌড়ে এলো।
~বাবা তোর জ্ঞান
ফিরেছে (মা আমাকে বলল)
ওগো তুমি ডাক্তারকে খবর
দাও (বাবার দিকে
তাকিয়ে বলল)
_মা আমার কি হয়েছে।
আর রুশা কোথায় (আমি)
আমার কথায় মা_বাবা দুজন
দুজনের দিকে
মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে।
_কি হলো বলো রুশা কোথায়
(আমি)
~বাবা রুশাটা কে।
আমরা তো রুশা নামে
কাউকেই চিনি না
(মা)
~হ্যা বাবা ।আর
তুই ও তো আমাদের রুশা
নামে
কোনো মেয়ের কথা বলিস
নি (বাবা)
আমি পুরো অবাক হয়ে
গেলাম।
বাবাকে যখনই একটা প্রশ্ন
করতে যাবো।
তখনই ডাক্তার চলে আসলো।
তারপর আমাকে কিছু
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে
~হ্যা এখন পেশেন্ট একদম সুস্থ।
চাইলে আপনারা তাকে দিন
তিনেক পরেই
বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন
(ডাক্তার)
~তা তো নিতেই হবে
ডাক্তার সাহেব।
গোটা দুটো বছর ছেলেটা
বাহিরের পৃথিবীর
আলো দেখে নি (বাবা)
বাবার কথা শুনে আমি
একটা বড় রকমের শকড খেলাম।
বলে কি বাবা।
আমি দু বছর বাহিরের আলো
দেখি নি।
মানে টা কি।
ডাক্তার রুম থেকে চলে
যেতেই
_বাবা তোমার মাথা ঠিক
আছে।
দু বছর আমি বাহিরের আলো
দেখি নি মানে।
তুমি এসব কি বলতেছো
(আমি)
~হ্যা রে বাবা তোর বাবা
ঠিকই বলতেছে।
তুই গত দু বছর কোমায় ছিলি
(মা)
_কিহ (আমি)
~হ্যা ঠিকই বলছি (মা)
_কিন্তু আমি এভাবে কোমায়
চলে গেলাম কি করে (আমি)
~সেটা তো আমরাও জানি
না।
গত দু বছর আগে সেই রাতে
হঠাৎ তোর রুম থেকে আমরা
কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই।
তারপর তোর মা আর আমি
তোর রুমের দরজায় নক করি।
কিন্তু তোর কোনো সাড়া
পাই না।
তাই বাধ্য হয়ে রুমের দরজা
ভাঙতেই দেখি
তুই খাটের নিচে পরে আছিস।
আর তোর মাথার কাছে
থাকা পানির গ্লাসটাতোর
মাথার উপর পড়ে
ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে
আছে।
তারপর তোকে আমরা ওই
রাতেই
এই হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তখন থেকে তুই আজ পর্যন্ত
অজ্ঞান ছিলি।
মানে কোমায় চলে
গিয়েছিলি (বাবা)
_তার মানে আজ দু বছর ধরে
আমি এই হাসপাতালে ভর্তি
হয়ে আছি (আমি)
~হ্যা রে বাবা (মা)
কথাটা ভাবতেই আমার
গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো।
তারমানে ওই দিন রাতে
আমি স্বপ্ন দেখে ছিলাম।
আর স্বপ্নের ভিতরেই রুশা
মারা গিয়েছিলো।
সেটা দেখেই আমি জ্ঞান
হারিয়ে ছিলাম।
যাক বাবা তাহলে বাচা
গেলো।
আসলে তো আমি এখনো
বিয়েই করি নি।
হা হা হা।
কিন্তু এই অপয়া স্বপ্নটা
আমার জীবন থেকে
দুটো বছর কেড়ে নিয়েছে।
এসব ভাবতে ভাবতেই
হাসপাতালে
বাকি দিন গুলো কাটিয়ে
দিলাম।
তারপর এলো আমার
রিলিজের দিন।
হাসপাতাল থেকে রিলিজ
নিয়ে বাবা মার সাথে
বাহিরে আসতেই সূর্যের
তীব্র আলো
আমার চোখে পড়লো।
এত দিন পরে চোখে আলো
পড়তেই মনে হয়
মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো।
বাড়িতে এসে নিজের রুমে
গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
আর সেই রাতের কথা
ভাবতে লাগলাম।
এরই মধ্যেই মা আমার রুমে
আসলো।
~বাবা তোকে একটা কথা
বলতে চাই (মা)
_হ্যা বলো মা (আমি)
~বাবা জানি না আমরা আর
কত দিন বেচে থাকবো।
তাই তোর বাবা আর আমার
ইচ্ছা
যে তুই এবার বিয়ের
পিড়িতে বস ।আমরাও বউমার
মুখ দেখে মরি (মা)
_মা এমন ভাবে কথা বলছো
যেন
বিয়ে না করলে জীবনটা
অশুদ্ধ হয়ে যাবে।
তাছাড়া আমি তো এখনো
বিয়ের উপযুক্ত হইনি।
আর বিয়ে করে বউকে কি
খাওয়াবো (আমি)
~কি তোর এখনো বিয়ের
উপযুক্ত বয়স হয় নি (মা রাগি
চোখে)
_মা আমি কি সেই কথা বলছি
(আমি)
~আর কি যেন বললি
বিয়ে করে বউকে কি
খাওয়াবি।
বলি তোর বাবার এই কোটি
কোটি টাকা গুলো
তবে কে খাবে।
আমার নাতি নাতনিই তো
খাবে নাকি (মা)
_এ্যাহ এখনো ছেলের বিয়েই
দেয় নি।
আবার নাতি নাতনির কথাও
চিন্তা করতেছে (মনে মনে)
~কিছু বললি (মা)
_কই না তো (আমি)
~আর বললেও লাভ নেই
তোর বাবা পুরো পাকা কথা
দিয়েছে কাজি সাহেবকে
(মা)
_অ্যা কি বলো।
মেয়েও দেখা হয়ে গেছে
(আমি)
~না কাল দেখতে যাবো
সেই কথা বলছি (মা)
_মা বিয়েটা পরে করলে হয়
না (আমি)
~না না এবার আর তোর কোন
অজুহাতেই কাজ হবে না (মা)
_যাহ কি হবে এখন (আমি)
~কি হবে নাকি না হবে এসব
আমি বুজি না।
এখন আমি যাই (মা)
~ওহ আরেকটা কথা (মা)
_আবার কি বলো (আমি)
~তোর নিজের কোনো
পছন্দের মেয়ে আছে (মা)
_মা তুমি তো জানোই আমি
তোমাদের কাছে
কোনো বিষয়ই লুকিয়ে কথা
বলি না।
যদি পছন্দ থাকতো
তাহলে তো জানতেই
পারতে (আমি)
~ওকে তাহলে আমি গেলাম
(মা)
_আচ্ছা যাও তাহলে
(আমি)
কি আর করবো।
বাবা আবার এক কথার মানুষ।
যখন সে কাজিকে কথা
দিয়েছে।
তখন সে তার কথা রাখবেই।
সেটা তার জীবন দিয়ে
হলেও।
ঘড়িতে এখন বিকেল ৫টা
বাজে।
ভাবলাম বাইরে থেকে একটু
হেটে আসি।
অনেক দিন বন্ধুদের সাথে
দেখা হয় নি।
আর ওরা জানেও না যে আজ
আমি বাড়ি এসেছি।
জানলে এখন ওরা আমাদের
বাড়িটা মাতিয়ে রাখতো।
বাইকটা বের করে কলেজ
মাঠের দিকে যেতে
লাগলাম।
তবে যাওয়ার আগে আমার
রুমাল দিয়ে
মুখে ভালমতো পেচিয়ে
নিলাম।
যাতে ওরা কেউই আমাকে
চিনতে না পারে।
কলেজ মাঠে যেতেই দেখি
সব ফ্রেন্ড গুলোই আছে
শুধু আমি বাদে।
আর আমার জায়গাটা এখনো
ফাকা।
আমার চোখটা ভিজে গেল।
বাদর গুলো এখনো আমাকে
আগের মতোই ভালবাসে।
বাইকটা এক কোনে রেখে
ওদের
আড্ডার দিকে গেলাম।
আর ঠিক আমার
জায়গাটাতে গিয়েই বসে
পড়লাম।
~আরে আরে ভাই কে আপনি।
আর ওই জায়গাটাতেই বা
কেন বসলেন (মাহফুজ)
_কেন ভাই এই জায়গাটা কি
কিনে রাখছেন।
যে বসা যাবে না (আমি
গলাটা হালকা মোটা করে)
~ওই মিয়া নিজে ঝগড়া
বাধাইছেন।
আবার বড় বড় কথা বলতেছেন
(করিম)
_যাহ বাবা আমি আবার বড়
বড় কথা বললাম কখন (আমি)
~ভাই মাঠে তো অনেক
জায়গা আছে।
তো এখানেই বা এসে বসলেন
কেন।
আর এভাবে মুখটা ঢেকেই বা
রাখছেন কেনমনে হচ্ছে চুরি
টুরি করে আসছেন (ফেরদাউস)
_ওই ফেরদাউস বেশি হয়ে
যাচ্ছে কিন্তু (আমি)
~আরে ভাই কে আপনি।
আর আমার নাম টাই বা কি
করে জানলেন (ফেরদাউস)
–আরে যাহ মনে হয় ধরা পড়ে
গেলাম (মনে মনে)
~আমার মনে হয় এটা
আমাদের পরিচিত কেউ
(করিম)
~হ্যা ঠিকই বলেছিস।
আমারো তাই মনে হচ্ছে
(মাহফুজ)
_আচ্ছা ভাই আমি উঠি
(আমি)
~ওই মিয়া দাড়ান দাড়ান
উঠি মানে।
আগে আপনার পরিচয়টা
দিয়ে যান।
নাহলে এখান থেকে উঠতে
পারবেন না (ফেরদাউস)
_আর যদি পরিচয় না দি
তাহলে (আমি)
~তাহলে আপনার জন্য
আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা
হবে (করিম)
–এখান থেকে কেটে পরাই
ভাল (মনে মনে)
আমি কথা না বাড়িয়ে
উঠেই দৌড় লাগালাম।
ওরাও আমার সাথে দৌড়
দিল।
~ওই দাড়া শালা
কে তুই (মাহফুজ)
_পারলে ধরে দেখা “মোটা”
(এটা মাহফুজের নিক নেম)
(আমি)
দৌড়ে বাইকের কাছে এসেই
বাইক স্টার্ট করে দিলাম টান।
আমি ভাবছিলাম যে ওরা
আমাকে আর ধরতে পারবে
না।
কিন্তু আমি জানতাম না যে
ওদেরও বাইক আছে।
আমি কোমায় যাওয়ার
আগেও
ওদের কারো বাইক ছিলো
না।
তার মানে এই দু বছরে ওরাও
বাইক কিনছে।
প্রায় আমার কাছে চলে এলো
ওরা।
আমি গিয়ারটা আরো
বাড়িয়ে দিলাম।
ওরাও জোড় বাড়িয়ে দিলো
~ওই দাড়া বলছি।
নাহলে তোর খবর আছে
(করিম)_তা কয়টার খবর শুনি
(আমি)
~আরে ওই শালা তো
সাব্বিরের মতো ফটকা
(ফেরদাউস)
~হ্যা কার মতো (করিম)
~সাব্বিরের মতো
(ফেরদাউস)
~আচ্ছা এটা আবার সাব্বির
না তো (মাহফুজ)
~হ্যা ঠিক বলেছিস।
এটা তো আগে ভাবি নি
(করিম)
~এক কাজ কর ওর ফোনে কল
দে (ফেরদাউস)
মাহফুজ ফোন বের করে কল
দিল।
আর আমার ফোনটা বেজে
উঠলো।
যাহ ধরা পড়ে গেলাম মনে
হয় (মনে মনে)
~ওই সাব্বির দাড়া বলছি
(করিম)
কি আর করার বাইকটা
থামিয়ে দিলাম।
করিম বাইক থামিয়ে আমার
কাছে এসে
এক টানে মুখ থেকে রুমালটা
খুলে ফেললো।
~আরে এটাতো আসলেই
সাব্বির
বলেই করিম আমাকে জড়িয়ে
ধরলো।

চলবে”””””

রোমান্টিক হরর স্টোরি
#ভ্যাম্পায়ার_ওয়াইফ
#পর্ব_৪
#লেখকঃসাব্বির
(আগের পর্বের পর থেকে)
..
..
~আরে তুই কেমন আছিস
(করিম)
_এইতো ভালোই আছি।
তা তোরা কেমন আছিস
(আমি)
~আমরাও ভালো আছি
(মাহফুজ)
~তা তুই হাসপাতাল থেকে
এলি কবে (ফেরদাউস)
_এইতো আজই আসলাম (আমি)
~আর এসেই ফাটকামি শুরু
করছিস তাই না (মাহফুজ)
_আরে…
হা হা হা (সবাই একসাথে
হেসে উঠলাম)
_দোস্ত একটা খারাপ খবর
আছে (আমি)
~কি খবর (করিম)
_খারাপ খবর (আমি)
~খারাপ খবর মানে
কি বলছিস (করিম)
_হ্যা রে (আমি)
~আরে খবরটা তো আগে বল
(ফেরদাউস)
_মানে আব্বা কাল আমার
জন্য মেয়ে দেখতে যাবে
(আমি)
~আরে এত বড় একটা খুশির
খবরকে তুই খারাপ খবর বলছিস।
গর্দভ কোথাকার (ফেরদাউস)
_আরে তোরা বুঝতে পারছিস
না।
মেয়ে পছন্দ হলেই তো বাবা
বিয়ে ঠিক করে ফেলবে।
আর যদি বিয়েটা হয়েই যায়।
তবে তো আমার বারোটা
বেজে যাবে (আমি)
~বারোটা বেজে যাবে
মানে (করিম)
_মানে হলো বিয়ে করলেই
তো সংসার ধর্ম পালন
বউয়ের ক্যাচক্যাচানি
শুনতে হবে।
আমি ওসব পারবো না (আমি)
~কেন পারবি না কেন
(মাহফুজ)
_এমনিই পারবো না (আমি)
~আরে তুই চিন্তা করিস না
আঙ্কেল আন্টিকে বলে
আমরা ব্যবস্থা করে নেব
(করিম)
_কি ব্যবস্থা করবি সেটা তো
আগে আমাকে বল (আমি)
~তোর সেটা না জানলেও
চলবে (করিম)
.
….
কথা বলতে বলতে হঠাৎ
চারদিক
কালো মেয়ে ছেয়ে গেল।
~এইরে মনে হয় বৃষ্টি পড়বে
(করিম)
_কেন রে বৃষ্টির বুঝি কাল
পরিক্ষা আছে (আমি)
~ওই আবার ফটকামি শুরু
করেছিস।
যা বাড়িতে যা।
আন্টি টেনশন করবে
(ফেরদাউস)
_আচ্ছা যাই তাহলে
তোরাও বাড়ি যা (আমি)
~আচ্ছা (করিম)
_ওই দাড়া দাড়া (আমি)
~আবার কি হল (মাহফুজ)
_বলছি যে কাল ৮টার ভিতর
আমার বাসায় চলে আসিস
(আমি)
~কেন কেন (করিম)
_বাড়ে আমার মা বাবাকে
বলে ব্যবস্থা করবি না
(আমি)
~ওহ হ্যা হ্যা।
ঠিক আছে সময় মতো পৌছে
যাব (ফেরদাউস)
_তাহলে এখন গেলাম (আমি)
~ওকে যা (করিম)
বাইকটা ঘুড়িয়ে কিছুদুর
যেতেই ঝুম করে বৃষ্টি শুরু
হলো।
আর আমিও পুরো ভিজে
চুপচুপে হয়ে
বাসায় ফিরলাম।
দুবার কলিংবেল চাপতেই
মা এসে দরজা খুলে দিল
~কিরে বৃষ্টিতে ভিজলি কি
করে (মা)
_আর বলো না।
বাড়ি আসতে গিয়ে হঠাৎ
বৃষ্টি নামলো।
তাতেই ভিজে গেছি (আমি)
~যা বাথরুম গিয়ে ভাল মতো
গোসল করে নে (মা)
_আচ্ছা (আমি)
রাতে খাবার টেবিলে
বাবার সাথে যেন দেখা না
হয়
সেজন্য আমি না খাওয়ার
জন্য পেটে ব্যাথার ভান
ধরলাম।
পরে মা এসে বলল
~তোকে তোর বাবা খেতে
ডাকছে
_এখন খাব না মা ।
আমার খুব পেট ব্যাথা করছে।
তুমি আব্বুকে গিয়ে বলো
আমি এখন খাব না (আমি)
~আরে অল্প করে তো খেয়ে
নে (মা)
_না না মা।
আমি এখন খাবই না (আমি)
~আচ্ছা আমি তাহলে তোর
বাবাকে গিয়ে বলি
তোর পেট ব্যাথা করছে (মা)
_হ্যা যাও তাই করো (আমি)
…..
মা খাবার টেবিলে গিয়ে
বসলো।
আর আমিও চুপিচুপি গিয়ে
আড়ি পাতলাম……
~তোমার ছেলের পেট
ব্যাথা করছে।
সে এখন খাবে না (মা)
~পেট ব্যাথা না ছাই।
ও তো কাল মেয়ে দেখতে না
যাওয়ার ধান্ধা।
ওকে বলে দিও কোন
বাহানাতেই কাজ হবে না।
কাল মেয়ে দেখতে যাচ্ছি
ব্যাস!!!!!
এটাই আমার শেষ কথা
(বাবা)
যাহ এ লোক ভারি
ডেন্জারাছ।
কোনো কথাই শুনতে চায় না।
কি আর করার।
শেষে খালি পেটেই ঘুমিয়ে
পড়লাম।
ঘন্টা খানেক ঘুমিয়েছি কি
না কে জানে।
হঠাৎ করে ঘরের দরজায় কেউ
যেন নক করলো।
ঠক ঠক ঠক।
নাহ একটু শান্তিতে
ঘুমাতেও দেবে না দেখছি
এরা।
বিছানা ছেড়ে উঠে রাগি
লুক নিয়ে দরজা খুলতে
গেলাম।
দরজা খুলে বাহিরে বের
হতেই অবাক হলাম।
বাহিরে তো দেখি কেউই
নেই।
তাহলে দরজা নক করলো টা
কে।
এই রাতে কে আমার সাথে
ফাজলামো করছে হ্যা।
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here