ভালোবাসা_এমনও_হয় part_21,22

ভালোবাসা_এমনও_হয়
part_21,22
Writer_Nusrat_Jahan
part_21

পরেরদিন
নেশা তার কেবিনে ডুকে দেখলো অন্য আরেকজন বসে আছে।।

নেশাঃ আপনি এখানে কেন?

সেই মুহুর্তে রবি ঢুকলো

রবিঃ ম্যাম আপনার রুম এটা নাহ।।আপনি স্যারের রুমে বসবেন

নেশাঃ স্যার এর রুমে বসবো মানে?

রবিঃ স্যার কেই জিজ্ঞাসা করুন ম্যাম

নেশাঃ ওকে।

নেশাঃ স্যার এইসব কি। স্যার, স্যার আপনাকে কিছু বলছি।।
নীড় ঘুরেও তাকাচ্ছে নাহ।।নেশার মনে পড়লো আসল ঘটনা

নেশাঃ মি.নীড় আপনাকে কিছু বলছি আমি

নীড়ঃ বলো

নেশাঃ এতোক্ষণ ডাকছিলাম শুনেননি কেন

নীড়ঃ তুমি বুঝি আমায় ডাকছিলে

নেশাঃ 😒।নাহ।।আচ্ছা আমার রুম কোথায় আমি কোথায় বসবো

নীড়ঃ কেন ওই যে ওইখানে বসবে।(নীড়ের রুমের এক সাইডে দেখালো।।নেশা তাকালো সেদিকে।)

নেশাঃ আপনার সাথে😕

নীড়ঃ হ্যা তুমি তো আমার পিএ।।তাহলে আমার সাথে বসবে নাহ কেন

নেশাঃ কিন্তু এমন নিয়ম তো আগে দেখিনি

নীড়ঃ এখন দেখে নাও।।এখন গিয়ে চুপচাপ বসো।।কথা বলো নাহ।

নেশা গিয়ে বসে নিজের কাজ করতে লাগলো।।নীড় একটু পর পর এটা ওটা বলে নেশার দিকে তাকাচ্ছে।।

লাঞ্চ টাইমে

নীড় খাবার নিয়ে নেশার সামনে দাড়ালো

নেশাঃ কি?

নীড়ঃ খাইয়ে দাও

নেশাঃ কি😕😡

নীড়ঃ এতো রিয়েক্ট করার কি আছে।।খাইয়েই তো দিতে বলেছি যাস্ট।।

নেশাঃ আমি কেন আপনাকে খাইয়ে দিবো আপনার নিজের হাত নেই

নীড়ঃ আছে তো বাট খেতে ইচ্ছা করছে নাহ।।তাই তুমি খাইয়ে দাও

নেশাঃ আমি কি আপনার চাকর

নীড়ঃ নাহ আমার পিএ

নেশাঃ পিএর কাজ কি এগুলা

নীড়ঃ আপাদত এটাই।এখন খাইয়ে দেও চুপচাপ।। খুব খুদা লেগেছে

নেশাঃ দেখুন স্যার

নীড়ঃ দেখছি তো সারাদিনই দেখি।।দেখে মনই ভরে নাহ।

নেশাঃ 😕?

নীড়ঃ খাইয়ে দাও

নেশাঃ আমি পারবো নাহ

নীড়ঃ এইরকম কিন্তু কথা ছিলো নাহ।।আমি যা বলবো তা কিন্তু তুমি করতে বাধ্য

নেশাঃ মানে?

নীড়ঃ তুমি কি পেপার টা ভালো করে পড়ে নাও নি

নেশাঃ কিসের পেপার

নীড়ঃ ওয়েট

নীড় নেশাকে সেই প্রোমোশন পেপার টা দিলো

নীড়ঃ এইটা ভালো করে পড়

নেশা ভালো করে পড়লো।আর তারপর বড় বড় চোখ করে নীড়ের দিকে তাকালো

নেশাঃ এইসব কি

নীড়ঃ আমি কি জানি😁

আসলে পেপারে লিখা আছে ২ বছরের জন্য নেশা নীড়ের পিএ আর পাশাপাশি নীড়ের সব কথা শুনতে হবে।।না হলে নীড়কে বিয়ে করতে হবে।😁


আসলে নেশা প্রথম দিকে পিএ এর কথা শুনেই অবাক হয়ে গেছিলো।।তাই পুরো লেখাগুলো নাহ পড়েই সাইন করে দিয়েছে

নেশাঃ আপনি এমন করতে পারেন নাহ।।আর এইসব কি নিয়ম হ্যা।।আমি এইসব মানি নাহ

নীড়ঃ ওকে মেনো নাহ।।তাহলে বিয়ে করতে হবে।।সেটা আরো ভালো।

নেশাঃ 😡

নীড়ঃ এখন চুপচাপ খাইয়া দাও।।না হলে কি করতে হবে মনে আছে তো

নেশাঃ কেন করছেন এইসব আপনি নীড়

নীড়ঃ জানো নাহ নাকি আমার মুখ থেকে শুনতে চাও

নেশা মাথা নিচু করে ফেললো

নীড়ঃ তুমি এতোটাও বোকা নাহ যে আমার এতো কিছুর করার পিছনের কারন গুলো বুঝতে পারছো নাহ।।বাট আমি তোমাকে তো জোর ও করছি নাহ।।তোমার সময় দরকার।।ঠিক আছে সময় নাও।।কিন্তু দিন শেষে আমার কাছে আসতে হবে

নেশাঃ এটা সম্ভব নাহ

নীড়ঃ সেটা পরে দেখা যাবে এখন খাইয়ে দাও

নেশা আর উপায় নাহ পেয়ে খাইয়ে দিতে লাগলো।

এইভাবে কেটে গেল কয়েকদিন।নীড় নেশাকে যেমন পেপারের কারনে ভয় দেখিয়ে সব কাজ করিয়ে নেয় ঈশা ও তাই।।কিন্তু এই সব কাজে নেশার মনে কোন ভালোবাসা জন্ম নাহ নিলেও ইশানের মনে ঠিকই ভালোবাসা উঁকি দিয়েছে।।কিন্তু কাজটা ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে ইশান খুব বেশিই ভাবছে।।আজও ওর মনে নিহার জন্য একটা জায়গা আছে তা ইশান অস্বীকার করতে পারবে নাহ।।কিন্তু ঈশার প্রতি ও সে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

হঠাৎ একদিন নিহার সাথে ইশানের দেখা হয়

নিহা এভয়েড করতে চাইলেও ইশান গিয়ে সামনে দাড়ায়।

নিহাঃ প্রবলেম কি আমাকে ফলো করছেন কেন

ইশানঃ নিহা আমি

নিহাঃ আমি আপনার থেকে কিছু শুনতে চাই নাহ।।আমি আমার লাইফ নিয়ে সুখে আছি।।আমার থেকে আপনি সব কেরে নিয়েছেন।তবুও আমি সুখে আছি।।কেন জানেন আবির আমাকে সত্যি ভালোবাসে।।ওর ভালোবাসায় আপনার মতো খাদ ছিলো নাহ।।

ইশানঃ নিহা আমি যা করেছি তা তোমাকে পাওয়ার জন্য করেছি।

নিহাঃ ওহহ তাই।।আমার অংশকে আমার থেকে দুরে সরিয়ে আপনি আমাকে নিজের করে পেতে চেয়েছেন।।এটা আপনার ভালোবাসা।।আমি তো চেয়েছিলাম আপনাকে নিয়ে বাচতে তাহলে।। তাহলে কেন তাকে মেরে ফেললেন।।কেন

ইশানঃ আমি ভেবেছিলাম তোমার যদি বেবিটা হয় তাহলে তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে।।তাই আমি😣

নিহাঃ বাহ।।কি ভালোবাসা আপনার।।আচ্ছা আপনি কি সত্যি ভালোবাসা কি জানেন।।জানেন নাহ।।আপনি ভালোবাসার সংজ্ঞাই জানেন নাহ।।যদি জানতেন তাহলে আমার মাসুম বাচ্চা টাকে এই পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ দিতেন আপনি।।কিন্তু আপনি🥺

ইশানঃ নিহা আমি মানছি আমি ভুল করেছি।।বাট আমাকে আরেকবার সুযোগ দাও।।যাস্ট একটা বার।।আমি কথা দিচ্ছি আর এইরকম ভুল করবো নাহ।।

নিহাঃ সরি ইশান।।আমি আবিরকে নিয়ে অনেক খুশি আছি।।

ইশানঃ আমাকে একটাবার নিজের ভুল গুলো শুধরানোর সুযোগ দিবা নাহ।।

নিহাঃ আপনাকে আমি ক্ষমা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারবো নাহ।।আর আপনাকে আমি অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি

ইশানঃ কিন্তু আমি ক্ষমা চাই নাহ।।শাস্তি চাই।আমাকে শাস্তি দাও।।কিন্তু তুমি আমার কাছে ফিরে আসো।

নিহাঃ তা সম্ভব নাহ ইশান।আমি কখন আপনার হতে পারবো নাহ।

ইশানঃ তাহলে আমার কি হবে নিহা

নিহাঃ নতুন করে সব শুরু করুন ইশান।।নতুন করেও ভালোবাসা যায়।।আমিও আগে ভাবতাম জীবনে ভালোবাসা একবারই আসে।।বাট আমি ভুল ছিলাম।।হ্যা আমি আপনাকে ভালোবাসতাম।।কিন্তু আবিরের ভালোবাসার কাছে আপনার ভালোবাসা কিছুই ছিলো নাহ।।তাই আবিরের কাছে আমি নিজেকে সমর্পন করেছি।।আমার ভালোবাসা কে সমর্পণ করেছি।।আর দেখুন আমি সুখি আছি।।

ইশানঃ 😔

নিহাঃ আমাদের সবারই তাকে ভালোবাসা উচিত যাকে আমি নাহ বরং যে আমাকে ভালোবাসে।।আই থিংক আমি কি বলছি আপনি বুঝতে পারছেন।

নিহা নেশার কথা মিন করলে ইশান বুঝলো যে নিহা ঈশার কথাই বলছে।।
আসলে নিহাও সব সত্যি জানে ইশান নেশার সাথে কি কি করেছে।।তাই সে চাইছে ইশান নেশার কাছে ফিরে যাক।।কিন্তু ইশান যে আরেকজনকে মন দিতে চাইছে তা কি আর নিহা জানে।।

নিহাঃ আমার মনে হয় ইশান আপনার তা নিয়ে ভাবা উচিত।।নিজের লাইফকে আরেকটা সুযোগ দেয়া উচিত।।বাকি টা আপনার ইচ্ছা।

নিহা কথা গুলো বলেই চলে গেল।।ইশান এখনো দাড়িয়ে আছে।।হঠাৎ পিছন থেকে ঈশা এসে ইশানকে জড়িয়ে ধরলো।

ইশানঃ রাস্তার মধ্যে এইসব কি ছাড়ো

ঈশাঃ আমি আমার জামাইকে ধরেছি কার বাপের কি হ্যা

ইশানঃ কিছু নাহ।।ছাড়ো।।যেতে হবে তো।

ঈশাঃ আমার গাড়িটা নষ্ট হয়ে গেছে।।তোমার গাড়িতে ড্রপ করে দিবে প্লিজ😚

ইশানঃ ওকে চলো।।

ইশান ঈশাকে বাড়িতে দিয়ে নিজে বাড়তে ফিরে আসলো।।নিহার কথা গুলো ভাবছে সে।।সত্যি কি নতুন করে সব শুরু করা উচিত।।ঈশা যে ইশান কে ভালোবাসে তা ইশান জানে।।হয়তো একটু পাগলামো বেশি করে কিন্তু তবুও তার ভালোবাসা গুলো বুঝতে পারে ইশান।।

হঠাৎ ইশানের রুমে নেশা ঢুকলো।

ইশানঃ তুই এখানে(কারন নেশা সচারাচর ইশানের রুমে কি ইশানের সামনেই থাকে নাহ)

নেশাঃ এই যে সব ফাইল আমি সাইন করে দিয়েছি।।আজ থেকে সব আপনার।

(জি এইটাই হচ্ছে কাহিনি।। এই কয়েকদিন ইশান নেশার সাথে অভিনয় করছিলো কারন সে চেয়েছিলো নেশাকে আবার প্রেমের জালে জড়িয়ে সব সম্পত্তি নিজের নামে করাতে।কারন নিরব চৌধুরী অর্থাৎ নেশার বাবা তার সম্পত্তির ৮০% নেশার নামে লিখে দিয়েছিলো।।যেহেতু নেশা তার মেয়ে তাই এটাই স্বাভাবিক।। কিন্তু ইশান তা মেনে নিতে পারেনি।কারন তার মত্র সে নিরবের সব বিজনেস নিজে একা হাতে সামলাচ্ছে।। তো নিয়ম অনুযায়ী তার সব পাওয়ার কথা।।তাই সে এইসব মানতে পারেনি।।তার পর যা হলো তাতো সবাই জানেনই।)

নেশাঃ আপনাকে কথা দিয়েছিলাম সব আপনার নামে করে দিবো।। এই তার কাগজ

ইশানঃ কিন্তু আমার এইসব চাই নাহ নেশা

চলবে

#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#part_22

নেশাঃ মানে

ইশানঃ আমার এইসব চাই নাহ।

নেশাঃ???

ইশানঃ আই এম সরি নেশা আমাকে তুই ক্ষমা করে দে

নেশা দুরে সরে গেল। কারন ইশান তার পায়ের সামনে বসে কথাটা বলেছে।।
(জি সব পাঠক দের মতো নেশাও ভাবছে ইশান নাটক করছে।।কিন্তু ইশান তো নাটক করছে নাহ৷ সে এইবার সত্যি বলছে)

নেশাঃ কিসব বলছেন আপনি!

ইশানঃ আমার এই সম্পত্তি চাই নাহ নেশা।।আমার কিছু চাই নাহ।।বরং তোর সাথে এতো যে সব অন্যায় করেছি তারজন্য আমি তোর কাছে ক্ষমা চাইছি।।জানি আমি যা করেছি তা ক্ষমা অযোগ্য।। কিন্তু নেশা আমার দিক দিয়ে একটু ভেবে দেখ।।ছোট বেলা থেকে আমি বাবা মার থেকে একা থেকেছি কারন তোর সাথে আমার মিলতো নাহ বলে।।তারা চাইলেই তো আমাকে বুঝিয়ে নিজেদের কাছে রাখতে পারতো।।ধীরে ধীরে হয়তো আমিও বুঝতে পারতাম।।কিন্তু তারা আমাকে দুরে সরিয়ে দেয়।।মা বাবা ছাড়া আমি একা বিদেশে কিভাবে থেকেছি তা না হয় নাই বলি।।এমন একটা দিন যেত নাহ মা বাবার কথা মনে নাহ পড়তো।।আর সব রাগ গিয়ে পরে তোর উপর।।যদিও এতে তোর কোন দোষ ছিলো নাহ।।কিন্তু সেই সময় আমাকে খারাপ ভালো বুঝানোর ও কেউ ছিলো নাহ নেশা।।নিজে যেটা ভাবতাম তাই করতাম।।সেই রাগ টা এখনো আমার রয়ে গেছিলো।।আর তাই তোর সাথে🥺😭।প্লিজ আমাকে মাফ করে দে।।আচ্ছা মাফ করতে হবে নাহ তুই বরং আমাকে শাস্তি দে।।তাহলেই হবে।

নেশা কি করনে এখন।।তার জায়গায় সে সঠিক আর ইশানের জায়গায় ইশান সঠিক।। সত্যিই তো যদি ইশানের বাবা মা ইশান কে বুঝিয়ে বলতো হয়তো প্রথম নাহ বুঝলেও ধীরে ধীরে বুঝে যেত।।কিন্তু তারা তো ইশান কে বরং নিজেদের থেকে আলাদা করে দেয়।নিজের শৈশব টা বাবা মাকে ছেড়ে কাটিয়েছে ইশান।।কিছুটা হলেও তো নেশা তার পিছনে দায়ী। কি করবে এখন নেশা তাহলে

ইশানঃ প্লিজ নেশা এইবার যাস্ট।।কথা দিচ্ছি আর কখনো তোর সাথে এমন করবো নাহ।।আর আরেকটা কথা আমার সম্পত্তি ও চাই নাহ।।আমি ভুল ছিলাম।।তুই এই সব রাখ।।আমার কিছুই চাই নাহ।।শুধু

নেশাঃ শুধু?!!!!!!

এক সপ্তাহ পর

নেশা আর নীড় একটা রিসোর্টে এসেছে।।নীড় মুলত এসেছে নেশাকে নিয়ে একটু ঘুরতে বাট জানে যে নেশা রাজি হবে নাহ তাই বলেছে একটা ক্লাইন্ট আসবে এখানে।

নেশাঃ কোথায় উনি সেই কখন থেকে ওয়েট করছি আর কে আসবে কিছুঅ তো বলছেন নাহ।

নীড়ঃ ওয়েট দেখছি আমি।।

নীড় একটু দুরে গিয়ে ফোন করার ভান করে একটু পরে আবার ফিরে আসলো।

নেশাঃ??

নীড়ঃ উনি নাকি আজ আসতে পারবেন নাহ।।খুব বিজি আছে

নেশাঃ রটা কোন কথা হলো আমাদের এতোক্ষণ বসেইয়ে রেখে এখন বলছে আসতে পারবে নাহ।

নীড়ঃ বাদ দাও নাহ।

নেশাঃ ওকে তো চলুন অফিসে ফিরা যাক

নীড়ঃ আরে দাড়াও দাড়াও।। এতো দুর এসেছি যখন লাঞ্চ টা করে যাই🙃

নেশাঃ 🤨

নীড়ঃ আরে খুদা লেগেছে তো তাই বললাম।।না হলে কি তোমায় নয়ে এখানে বসে থাকতাম নাকি।।অফিসে কতো কাজ😪

নেশাঃ 🤔🤔

নীড়ঃ আর ভাবা ভাবি করতে হবে নাহ ভিতরে চলো।।

নেশাঃ হুহ চলুন

নেশা আর নীড় খেতে বসলো।। রিসোর্ট টার একপাশে সাজানো হচ্ছে।।হয়তো কেউ কাউকে প্রোপজ করবে তাই সাজাচ্ছে।

নীড়ঃ কি সুন্দর করে সাজাচ্ছে তাই নাহ

নেশাঃ হুম

নীড়ঃ যাকে প্রোপজ করবে সে তো এক্সেপ্ট না করে পারবেই নাহ

নেশাঃ কেন

নীড়ঃ আরে এতো সুন্দর করে সাজাচ্ছে এক্সেপ্ট নাহ করে যাবে কোথায়

নেশাঃ 😅

নীড়ঃ হাসছো কেন তুমি!!

নেশাঃ ভালোবাসা কি এইসব জিনিস এর উপর ডিপেন্ড করে নাকি

নীড়ঃ এগুলার উপর একটু হলেও ডিপেন্ড করে।।কারন যদি সাজানো তে মেয়েটা ইমপ্রেস হয়ে যায় তাহলে খুশিতে এক্সেপ্ট করে দিবে

নেশাঃ তাহলে সেটা ছেলের উপর খুশি হয়ে নাহ বরং জায়গায়র উপর খুশি হয়ে এক্সেপ্ট করবে।।

নীড়ঃ 🤨

নেশাঃ ভালোবাসা এইসব জাকঝমকের উপর নির্ভর করে নাহ।।নির্ভর করে তার উপর যে মেয়েটাকে তার ভালোবাসার কথা বলছে।।সে যদি তার মনের সব টুকু দিয়ে মেয়েটাকে বুঝাতে পারে যে সে তাকে কতোটা ভালোবাসে তাহলেই হবে।। তার জন্য এতো সাজসজ্জার প্রয়োজন নেই।

নীড়ঃ তো তুমি বলছো তোমাকে নরমাল ভাবেই প্রোপজ করতাম🙄

নেশাঃ প্রোপজ করবেন মানে🤨

নীড়ঃ নাহ মানে যে করবে আরকি তার কথা বলছিলাম

নেশাঃ আপ….

হঠাৎ নেশার মোবাইলে একটা ফোন আসলো।

নেশাঃ এই সময়ে আম্মু ফোন দিয়েছে!

নেশাঃ হ্যালো আম্মু কি হয়েছে এই সময় ফোন দিলে

অপরপাশেঃ………..

নেশাঃ কিহহহহহ🥺।।আআমি আসসছি একখনি।।কোথায় ববলো

অপরপাশেঃ……………..

নেশা ফোনটা রেখে তারাহুরো করে বেরিয়ে যেতে লাগলো।

নীড়ঃ কি হয়েছে কোথায় যাচ্ছো

নেশাঃ নননীড় আমমাকে হসপিটাল যযেতে হবে।।

নীড়ঃ কার কি হয়েছে।।আর তুমি কাদছো কেন

নেশা কিছু না বলে বেরিয়ে গেল।।

নীড় ও পিছু পিছু গেল।

নীড়ঃ দাও আমি ড্রাইভ করছি।।

নেশা কিছু বললো নাহ।।

দুইজন মিলে হসপিটালে পৌছালো।

নেশা এসেই দৌড়ে রিসেপশনিস্ট এ গেল।।নীড় ও পিছে পিছে গেল।।

নেশাঃ পেসেন্ট নেম ইশান চৌধুরী।। রুম নাম্বার টা প্লিজ বলুন।

নীড়ঃ হোয়াট😕😲

রিসেপশনিস্টঃ ওয়েট ম্যাম

রিসেপশনিস্টঃ কেবিন নাম্বার-১২।। আর উনি এখন আইসিউ তে।

নেশাঃ ওকে ধন্যবাদ।।

নেশা দৌড়ে গেল।।নীড় তো সেখানে স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে।।এমনটা তো কথা ছিলো নাহ।।কাপা কাপা হাতে কাউকে ফোন দিলো।

নীড়ঃ ইইশানে এক্সিডেন্ট হয়েছে

অপরপাশে কি বললো তা শোনা গেল নাহ।।নীড় ফোনটা রেখে ধীরে ধীরে নেশার কাছে গেল।।
নেশা পাগলের মতো কাদছে তার মাকে জড়িয়ে।ইশানকে যে নেশা কতোটা ভালোবাসে তা নীড় বেস বুঝতে পারছে।।এতো কিছুর পরও কিভাবে ইশানকে ভালোবাসে নেশা।।সত্যি কি #ভালোবাসা_এমনও_হয়।।

ইশানের জন্য নীড়ের একটু খারাপ লাগলেও নেশার এই কান্নাকাটি কেন যেন নীড়ের সহ্য হচ্ছে নাহ।।।

একটু পর নীড় যাকে ফোন করলো সে হসপিটালে চলে আসলো।।তাকে দেখে নীড়ের আগে নেশা দৌড়ে আসলো।।

নেশাঃ কিভাবে এসব হলো ঈশা

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here