ভালোবাসা_এমনও_হয়
Part_04,05
Writer_Nusrat_Jahan[লেখিকার আসল নাম]
Part_04
আয়ানঃ কি বলছিস এসব।?কে খুনি।।নেশা কাকে খুন করেছে।
ইশানঃ আমার বাবাকে খুন করেছে নেশা বুঝেছিস।।আমার বাবাকে।।
আয়ানঃ কিন্তু আঙ্কেল তো কার এক্সিডেন্টে মারা গেছিলো তাই নাহ?
ইশানঃ হ্যা।।নেশাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার বাবা নিজে গাড়ির নিচে পড়ে.য।।তো তুই বল দোষ টা কার।।অব্যশই নেশার।।যদি ও রাস্তার মাঝখানে গিয়ে না দাড়িয়ে থাকতো তাহলে এই এক্সিডেন্ট টা হতো নাহ।।
আয়ানঃ কিন্তু ইশান এতে নেশার তো কোন দোষ নেই।।ও তো ইচ্ছে করে এইসব করেনি।
ইশানঃ ইচ্ছে করেই করেছে।।ও সব ইচ্ছে করে করেছে।।ওর কারনে আমার বাবা-মার থেকে দুরে থেকেছি আমি ছোটবেলায়।। আর যখন বড় হলাম তখন ওর কারনেই আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি।।এতে আমার কি দোষ ছিল আয়ান তুই বল।ওর কারনে আমি আমার বাবাকে হারালাম।।আমার শৈশব একা কাটালাম।
আয়ানঃ দেখ যা হয়েছে তাতে নেশার কোন দোষ ছিলো নাহ।।তুই ছোট থেকেই নেশাকে সহ্য করতে পারতি নাহ তাই তোর বাবা-মা তোকে বিদেশ পাঠিয়েছিলো পড়ালেখার জন্য।।আর আঙ্কেলের এক্সিডেন্ট টাও যাস্ট একটা দুর্ঘটনা।। নেশাকে বাঁচাতে গিয়ে আঙ্কেল মারা গেছে।।নেশার জায়গায় যদি তুই থাকতি বা অন্যকোনো বাচ্চা থাকতো তাহলেও আঙ্কেল তাকে বাচাতে যেত।।আর তাছাড়াও হয়তো আল্লাহ আঙ্কেল এর এইভাবেই মৃত্যু লিখে রেখেছিলো।।তাই বলে তুই কি নেশাকে দোষ দিবি।
ইশানঃ কিন্তু এতে আমার কি দোষ ছিলো আয়ান।।আমি কেন সব হারালাম।।
আয়ানঃ হয়তো এইটা তোর ভাগ্যে ছিলো।।আর দেখ ইশান নেশা ছোট থেকেই এতিম।তোর পরিবারে আসার পর ও আপন কিছু লোক পেয়েছে।।যদি তুই ওর আপন হয়ে এমন করিস তাহলে ওর তো খারাপ লাগবে তাই নাহ।আর ওর সাথে তোর নিজের পরিবারের মানুষরাও যুক্ত আছে।তুই যদি নেশার সাথে খারাপ বিহেভ করিস তাহলে তোর মা, খালামনি ও কষ্ট পাবে।।আর তুই তো জানিস নেশা বরাবরই চুপচাপ। তোর অপমানে ও যে কতোটা কষ্ট পায় তা তো তুই জানিস।। তবুও ও কখনো মুখ খুলে কিছু বলে নাহ।।সব চুপচাপ সহ্য করে।।কিন্তু পার্টির দিন তুই একটু বেশিই……
ইশানঃ আমি ওই ব্যাপারে কথা বলতে চাই নাহ।।তুই এখন যা।
আয়ানঃওকে তোর যা ইচ্ছা।।আমার কথা গুলো একটু ভেবে দেখিস।।।
আয়ান বেরিয়ে গেল রুম থেকে।।
।
।
।
।
।
।
।
দুপুরে
আয়ান ইশানকে খাওয়ার জন্য ডাকতে গেল।গিয়ে দেখলো ইশান রেডি হচ্ছে।
আয়ানঃ কিরে কোথাও যাবি।
ইশানঃ হ্যা
আয়ানঃ এখন কোথায় যাবি।। আগে খেয়ে নে।
ইশানঃ আই এম গুয়িং টু হোম😁
আয়ানঃ 😕😳😳😵😵।তুই বাড়ি যাচ্ছিস!!!
ইশানঃ হুম।।আসলে তোর কথাগুলো ভেবে দেখলাম।সত্যিই নেশার কোন দোষ নেই যা হয়েছে সব হয়তো আমাদের কপালে লেখা ছিলো তাই হয়েছে।।আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি।।
আয়ানঃ তাহলে তো ভালোই। কিন্তু এখনই চলে যাবি।।দুপুরে খেয়ে যা
ইশানঃ নাহ এখন খাবো নাহ।।একদম বাড়িতে গিয়ে খাবো।।কবে থেকে বাড়ি যাই নাহ।।আমি যাই। টাটা।।কাল কলেজে দেখা হবে
আয়ানঃ আচ্ছা ঠিকাছে।।
ইশান বেরিয়ে গেল।।
আয়ানঃ এই ছেলেকে সত্যি বুঝার উপায় নেই।।হঠাৎ করে সব পাল্টে গেল।।থাক যাই হোক নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
বাড়িতে
কলিং বেলের আওয়াজ শুনে নেশা এসে দরজা খুলে দিলো।।আর দরজা খুলেই অবাক।।হা করে তাকিয়ে আছে।
ইশানঃ কি হলো তাকিয়ে আছিস কেন।।এই কয়দিনে কি আমার চেহারা ভুলে গেছিস, নাকি বাড়িতে ঢুকতে দিবি নাহ কোনটা?,🤨
নেশাঃ এমা ঢুকতে কেন দেব নাহ।।আসো আসো।।(দরজা থেকে সরে দাড়িয়ে)
মিনাঃ কে এসেছে রে নেশা।
নেশাঃ ভাইয়া এসেছে😶
মিনাঃ সেকিরে তাই নাকি।।তা কোথায় এখন?
নেশাঃ রুমে গেল দেখলাম।।
মিনাঃ আচ্ছা আমি দেখছি।
মিনা রুমে যেতে নিলো ইশান এসে হাজির হলো।।জামা পাল্টে থ্রি কোয়ার্টার একটা পেন্ট আর সাথে একটা গেঞ্জি পড়েছে।চুল গুলো ভিজা।। হয়তো মাত্র ফ্রেশ হয়ে আসলো।।নেশা একবার তাকিয়ে নিচের দিকে তাকালো।।
নেশাঃ নেশা কন্ট্রোল।। ও তোর ভাই।।এইভাবে তাকাতে নেই।।(মনে মনে)
মিনাঃ তা এতোদিনে বাড়ির কথা মনে পড়লো নবাবের
ইশানঃ সরি মামনি।।আর এমন হবে নাহ।।আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি😔
মিনাঃ সরি আমাকে বলে কি হবে।।সরি তো নেশাকে বলবি।কতো অন্যায় করেছিস তার সাথে তুই।
নেশাঃ হায় হায় খালামনি এগুলা কি বলছে।।যে কিনা আমাকে সহ্যই করতে পারে নাহ সে কিনা আবার সরি বলবে।।(বিরবির করে)
মিনাঃ তুই কি কিছু বললি নেশা?
নেশাঃ হ্যাঁ না মানে নাহ।।মানে হ্যাঁ নাহ মানে নাহ😣
মিনাঃ কিসব বলছিস তুই হ্যাঁ না হ্যাঁ না🤨
নেশাঃ নাহ কিছু নাহ😕
মিনাঃ আচ্ছা তো ইশান চুপ করে আছিস কেন।বল সরি
নেশাঃ এই রে নেশা বকা খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যা😖😖
ইশানঃ আই এম সর নেশা।।আমি সত্যি অনেক ভুল করেছি আমায় মাফ করে দিস।।
নেশাঃ 😮😮😮😮
ইশানঃ কি হলো এই ভাবে তাকিয়ে আছিস কেন।।আচ্ছা এই যে কান ধরলাম।।সরি।।আর ভুল হবে নাহ(কান ধরে)
নেশা তো যাস্ট শক।।ইশান কিনা তাকে কান ধরে সরি বলছে।।।।নেশার একটা স্বভাব আছে।।বেশি শকে থাকলে অজ্ঞান হয়ে যায়।।এখনো তার ব্যতিক্রম হলো নাহ।
অজ্ঞান হয়ে গেল।
ইশান ধরে ফেললো।
মিনাঃ আরে মেয়েটার আবার কি হলো
ইশানঃ বুঝতে পারছো নাহ অবাকের ঠেলায় অজ্ঞান হয়ে গেছে😅
মিনাঃ এই মেয়েটা আসলেই😂😂😂😂।।এখনো শক পেলে জ্ঞান হারায়।
।
ইশান নেশাকে কোলে তুলে নিয়ে খাটে শুইয়ে দিলো।।তারপর পানির ছিটা দিয়ে নেশার জ্ঞান ফিরালো।
নেশাঃ ইশান ভাইয়া তুমি এখানে🙄
ইশানঃ তুই যেখানে আমি সেখানে😙
নেশাঃ 😕😳😳
মিনাঃ উফফ ইশান কেন মেয়েটাকে জ্বালাচ্ছিস
মেয়েটা যে তোর এই রকম বিহেবে অবাক হচ্ছে তা বুঝছিস নাহ
ইশানঃ কিরে তাই নাকি🤨😁
নেশাঃ না মানে আমি আসলে
ইশানঃ থাক তোর আর পটরপটর করা লাগবে নাহ।।মামনি আমায় খেতে দাও। খুদা লেগেছে।
মিনাঃ ওহহ আয় তাহলে আমি খাবার বেরে দিচ্ছি।।
মিনা উঠে চলে গেল।
ইশান হুট করে নেশার কপালে একটা ডিপলি কিস করে দিলো
নেশাঃ আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া😨😨😨😨😨
ইশান মুখ চেপে ধরলো।।
ইশানঃ এই মেয়ে চুপ,🤫।।এতো চিৎকারের কি আছে।।ইচ্ছে হয়েছে দিয়েছি।।চুপচাপ থাক।ওকে।আর কি ভেবেছিস আমি বুঝি কিছু বুঝি নাহ।ওই সময় এমন ঢেপঢেপ করে তাকিয়ে ছিলিস কেন হুম 😁🤨
নেশাঃ নাহ মানে আমি তো……
ইশানঃ থাক আর কিছু বলতে হবে নাহ।।চুপচাপ শুয়ে থাক।
ইশান উঠে চলে গেল।।
নেশা থ মেরে শুয়ে আছে।।একটু আগে কি হয়ে গেল ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করছে সে।।ইশান ভাইয়া এতো তাড়াতাড়ি চ্যাঞ্জ হয়ে গেল এইটা ভাবতেই পারছে না।।
।
।
।
।
।
।
খাওয়ার টেবিলে
ইশান চুপচাপ খাচ্ছে আর মিনা খাবার এগিয়ে দিচ্ছে।।
নেশা সেখানে আসলো।
মিনাঃ ওহহ তুই এসেছিস।।তুই ও বসে পর
নেশাঃ আমি পরে খাবো খালামনি
মিনাঃ সবার তো খাওয়া শেষ। এখনই বসে পর
নেশাঃ নাহ আরেকটু পর
ইশানঃ চুপচাপ বস খেতে।।কয়টা বাজে খেয়াল আছে এখনো খায়নি।।এই জন্যই তো এমন শুকনা লাঠি হয়ে আছে
নেশাঃ আমি শুকনা লাঠি😡
ইশানঃ তা নয়তো কি।।দুর থেকে দেখলে বুঝাই যায় নাহ তুই মানুষ নাকি কেউ একটা বাঁশ মাটিতে পুতে খাড়া করে রেখেছে😂
নেশাঃ একটু বেশি হয়ে গেল নাহ😒
ইশানঃ হুহ চুপচাপ খেতে বস।না হলে মাইর একটাও মাটিতে পরবে নাহ।
নেশা ইশানের ঝাড়ি খেয়ে খেতে বসে পড়লো।
একটুপর-
ইশানঃ তা নেশা তোর রেসাল্ট তো বেরিয়ে গেছে।।তা কোন কলেজে পড়বি ঠিক করেছিস?
নেশাঃ আসলে ভাইয়া…
ইশানঃ একটা কাজ কর আমাদের কলেজেই ভর্তি হয়ে যা।।একসাথে যাওয়া আসা করা যাবে।।আমার চিনাজানাও অনেকে।।তোর ও সুবিধা হবে।কি মামনি ঠিক বলছি নাহ?
মিনাঃ হ্যাঁ ঠিকই তো বলছে ইশান।।নেশা তোর কি অন্য কোথাও পড়ার ইচ্ছা আছে?
নেশাঃ নাহ খালামনি তোমরা যেখানে বলো সেখানেই পড়বো।
মিনাঃ তাহলে তুই বরং ইশানের কলেজেই ভর্তি হোস।
নেশাঃ হুম😔😞
।
।
।
রাতে নেশা শুয়ে শুয়ে ভাবছে
নেশাঃ আচ্ছা ইশান ভাইয়া কি সত্যি ভালো হয়ে গেল।।আর কি আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করবে নাহ।।আমি তো ভেবেছিলাম স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ চলে যাবো তাহলে ভাইয়া আমায় দেখতে পারবে নাহ। আর ভাইয়া আমার উপর রাগও করবে নাহ।।কিন্তু এখন কি করবো
ওর কলেজেই ভর্তি হবো?
ভাইয়া তো মনে হয় ভালো হয়ে গেছে।।তাহলে কি 😔😔
।
।
।
।
।
সকালে
আয়ান দৌড়ে ইশানদের বাড়ি আসলো।
মিনাঃ আরে আয়ান তুমি এখানে
আয়ানঃ আন্টি ইশান কোথায়(হাপাতে হাপাতে)
মিনাঃ ও তো ঘরে।। কিন্তু কি হয়েছে।।তুমি এমন অস্থির হয়ে আছো কেন?
আয়ানঃ কিছু নাহ আন্টি।।আমি ইশানের কাছে যাচ্ছি।
আয়ান তাড়াহুড়ো করে ইশানের রুমে গেল।।গিয়ে দেখলো ইশান রেডি হচ্ছে।।আয়ানকে দেখে
ইশানঃ কিরে তুই এখানে?আমি তো কলেজে যাচ্ছিলামই
আয়ানঃ পার্টির পর রাতে তুই কোথায় ছিলি
ইশানঃ কেন🤨
আয়ানঃ তুই বল।।রাফি আর তাদের দলের সবাইকে তুই মেরেছিস কেন।।।পার্টির দিন রাতেই নাকি তুই ওদের মেরে আবার হসপিটালে ভর্তি করে এসেছিস
ইশানঃ হ্যা তো🤔🤔🤨
আয়ানঃ তো মানে তুই ওদের কেন মেরেছিস?
ইশান মুচকি হেসে আবার রেডি হতে লাগলো
আয়ানঃ কি হলো বল।।চুপ করে আছিস কেন?
ইশানঃ শুনতে চাস?
আয়ানঃ হ্যাঁ
ইশান আয়ানের দুই কাধে নিজের দুইহাত রাখলো
আয়ানঃ 🤨😕
ইশানঃ নেশাকে অপমানও আমি করবো ভালোও আমি বাসবো।।অন্যকেউ তাকে অপমান কেন ওর দিকে খারাপ চোখে তাকালেও তার চোখ তুলে ফেলবো।। বুঝলি মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড😊
আয়ানঃ মানে😟😟😟
ইশান বিনিময়ে শুধু একটা বাঁকা হাসি দিলো
এইদিকে কথাগুলো শুনে নেশার মাথা ভনভন করে ঘুরছে।।
আয়ানকে সরবত দিতে এসেছিলো।দরজার কাছে আসতেই কথা গুলো শুনতে পায় সে।ইশানে কেন এমন করলো তাই নেশার মাথায় ঢুকছে নাহ।।নিজে তাদের সাথে মিলে অপমান করলো এখন আবার নিজেই তাদের মেরেছে।।তা হলে কি ইশান ভাইয়া আমাকে 😣😣😩
চলবে
#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan(লেখিকার আসল নাম)
#Part_05
আয়ানঃ মানে😳😳
ইশান আর কিছু বলতে যাবে তার চোখ পড়লো নেশার দিকে।
ইশানঃ আরে নেশা বাইরে দাড়িয়ে আছিস কেন। ভেতরে আয়।
নেশাঃ ননা মমানে আয়য়ান ভভাইয়ার জন্য আন্টি সসরবত পাঠালো
ইশানঃ ওহহ আচ্ছা বাট তুই তোতলাচ্ছিস কেন🤨
নেশাঃ আমি যে সব শুনেছি ইশান ভাইয়া কে বুঝতে দেয়া যাবে নাহ(মনে মনে)
ইশানঃ কিরে কোথায় হারিয়ে গেলি
নেশাঃ হ্যা🙄।না মানে কিছু নাহ।।এমনি।। ভাইয়া নিন সরবতটা (আয়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
ইশানঃ নাহ এখন সরবত খাওয়ার টাইম নেই।।কলেজে যেতে হবে।।
বলেই ইশান আয়ানকে একপ্রকার টেনেই নিয়ে বেরিয়ে গেল।
নেশাঃ কি হলো ব্যাপারটা।। ভাইয়া মনে হয় পালিয়ে গেল
।কিছু তো একটা ব্যাপার আছে।।
নেশার ঘোর কাটলো ফোনের আওয়াজে।।
নেশাঃ এই রে ভাইয়া তো তার মোবাইল রেখেই চলে গেছে।।গেলে গেছে আমার কি।।।
নেশা চলে গেল।।আসলে তাড়াহুড়ো তে ইশান ফোন টা নিতে ভুলে গেছে।।
নেশা আবার রুমে আসলো।
নেশাঃ আচ্ছা ভাইয়া তো কখনো তার ফোন কাউকে ধরতে দেয় নাহ।।আজ তো ধরলে বুঝতে পারবে নাহ।ইয়েস।।
নেশা ইশানের মোবাইল নিয়ে ঘাটতে শুরু করলো
নেশাঃ যাক বাবাহ লক ও দেয়নি।।থাক ভালোই হয়েছে😁
।
।
।
একটুপর
নেশাঃ আল্লাহ মানুষ একসাথে এতোগুলো প্রেম কিভাবে করে।।আমি তো ভেবেছিলাম শুধু নিহাই ইশান ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড।। এখন তো দেখি😵😵😵😵
(কিছুক্ষণ ভেবে)দাড়া বাচ্চু।।তোর এতো গুলো প্রেম করা বের করছি আমি😁😁
নেশা চুপচাপ কাজ গুলো শেষ করে ফেললো।।তারপর ইশানের মোবাইলের গ্যালারি তে ঢুকলো।
বেশি ছবি নেই।।সব পরিবারের মানুষের আর ফ্রেন্ডদের সাথে ছবি।
নেশাঃ ধুর ছাই গার্লফ্রেন্ড এর একটা ছবি ও নেই মোবাইল টায়।
হঠাৎ নেশা দেখলো তার ছবিও আছে।।।।তবুও ওর ঘুমন্ত অবস্থায়।
নেশাঃ আল্লাহ ওই ছবি কোথায় পেল ইশান ভাইয়া।।মনে তো হচ্ছে কালকের ছবি।।কিন্তু ভাইয়া কেন আমার ঘুমন্ত ছবি তুললো।।ভাইয়া তারমানে প্রতিদিন রাতে আমার রুমে আসতো।।কিন্তু কেন🤔🤔🤔🤔
।উফফ ভাইয়া যে কি করছে কিছুই বুঝতে পারছি নাহ😰
।
।
।
।
কলেজে
ইশানঃ শিট মোবাইল টা রেখে এসেছি😩
আয়ানঃ থাক কিছু হবে নাহ।।একদিন মোবাইল না আনলে মরে যাবি নাহ।
ইশানঃ ধুর আজ রিয়ার সাথে ডেট ছিলো মাথা😒
আয়ানঃ রিয়া🙄কোন রিয়া
ইশানঃ আরে সাইকোলজির স্টুডেন্ট রিয়া😒
আয়ানঃ আবার এইটারে ধরেছিস🤦♀
ইশানঃ 😒😒
আয়ানঃ নিহা যদি জানতে পারে তোর হাড্ডি কিমা করবে
ইশানঃ আরে একটা প্যারা।।যাক ভালো হয়েছে কয়দিন আসবে নাহ বলেছে।।তাই তো নতুন টাকে ধরলাম,😁
আয়ানঃ কেন আগের গুলোকি কম ছিল আবার নতুন
ইশানঃ দেখ বেশি কথা বলিস নাহ।।এই বয়সে এতোটুকু প্রেম করাই যায়।।কই বেশি করি।।😏
আয়ানঃ বেশি নাহ😟।তুই বলতে পারবি তোর কয়টা গার্লফ্রেন্ড
ইশানঃ পারবো নাহ কেন।।আমি নাম বলছি তুই কাউন্ট কর।।কবিতা,কনা,নিহা,লিমা,অনিমা,তুলি আর এই যে নতুন টা রিয়া।।বেশি নাহ ৭ টা মাত্র।
আয়ানঃ আর আয়েশ কোথায় গেল
ইশানঃ ওহহ হ্যা ওর কথা তো ভুলেই গেছি।।থাক ।। মাত্র ৮ টা।।আর তুই এমন করছিস যেন…..
আয়ানঃ নিলা কোথায় গেল,আর প্রিয়া সেইদিন তো দেখলাম ওকে নিয়ে পার্কে গেছিলি🤨🤨
ইশানঃ 😶😶😶।।উফফ তুই থাম তো।। হোক যতোজন ইচ্ছা।।ওরা আমার সাথে লাইন মারলে আমি কি করবো।।এই মাসুম মেয়েগুলোকে যদি না বলি তাহলে ওরা কষ্ট পাবে নাহ😁😇
আয়ানঃ হ্যাঁ তুই পারলে পুরো কলেজের মেয়েদের সাথে প্রেম কর😒
ইশানঃ আইডিয়া টা খারাপ নাহ।।😂।বাদ দে।।তোর ফোনটা দে।।দেখি মোবাইলটা বাড়িতে ফেলে এসেছি কিনা।।
।
।
ইশান ফোন নিয়ে বাড়িতে কল দিলো।।নেশার হাতেই মোবাইলটা ছিলো।।তাই সাথে সাথে ধরে ফেললো।
নেশাঃ হ্যালো
ইশানঃ কিরে তোর হাতে আমার মোবাইল কেন।আমার মোবাইল নিয়ে কি করছিস শুনি।।🤨
নেশাঃ এই রে ভাইয়া বুঝলো কিভাবে আমি মোবাইল নিয়ে ঘাটছি(মনে মনে)
ইশানঃ হ্যালো
নেশাঃ হ্যাঁ 😑
ইশানঃ আমার মোবাইল তোর হাতে কেন
নেশাঃ কই তোমার মোবাইল আমার হাতে
ইশানঃ তাহলে ফোন দেয়ার সাথে সাথে ধরে ফেললি কিভাবে
নেশাঃ আয়াসলে ততোমার ররুম পররিষ্কার ককরছিলাম তো তাই বাজার সাথে সাথে ধরে ফেলেছি😣
ইশানঃ ওহহ আচ্ছা।।বাট তুই তোতলাচ্ছিস কেন রে।মিথ্যা বলছিস তাই নাহ
নেশাঃ ককই মিথ্যা বলছি।
ইশানঃ আচ্ছা ঠিকাছে রাখছি।।মোবাইলটা অফ করে চার্জে দিয়ে রাখিস।।ভুলেও টিপবি নাহ কিন্তু।
নেশাঃ তোমার মোবাইলে হাত দিতে আমার বয়েই গেছে😏
ইশানঃ আচ্ছা সেটাই যেন হয়।।রাখছি।।
নেশাঃ যাক বাবা বেঁচে গেলাম।।কিন্তু তুমি কিভাবে বাচবে ইশান বেবি।।আজ তো ধরা খাবেই😋😋😋।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
কলেজের ছুটির পর ইশান রিয়াকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে গেল।।
রিয়াঃ বেবি তুমি নাকি নিহাকে ভালোবাসো🥺
ইশানঃ কে বলেছে এই সব তোমায় বেবি।।ও তো যাস্ট আমার ফ্রেন্ডছিলো।।আমিতো যাস্ট তোমায় ভালোবাসি 😅
রিয়াঃ সত্যি তো😒
ইশানঃ হুহ তুমি আমায় ডাউট করলা।।এই তোমার ভালোবাসা।।আমি তো ভেবেছিলা আজ মামনিকে তোমার কথা বলবো আর তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো😪😪(ন্যাকা কান্না করে)
রিয়াঃ আই এম সরি বেবি।। আমি আসলে ভুলে বলে ফেলেছি। প্লিজ রাগ করো নাহ।।
ইশানঃ 😪😪😪🥺🥺
রিয়াঃ সরি তো🥺🥺
ইশানঃ হায়রে মেয়ে।।আমাকে সন্দেহ করতে এসেছে।।দিলাম তো উল্টো ঘুরিয়ে😁(মনে মনে)
রিয়াঃ সরি তো আর হবে নাহ।।
ইশানঃ আচ্ছা ঠিকাছে।।আর প্লিজ এইভাবে আমায় কষ্ট দিও নাহ😪
রিয়াঃ কখনো দিবো নাহ😚
ইশানঃ হেই😳এইসব কি।।বিয়ের আগে এইসব একদম নাহ।।দুরে যাও দুরে যাও😏😏
রিয়াঃ এগুলো তো এখন কমন বেবি।।আর বেশি কিছু কই চাইলাম।।শুধু তো কিস ই😚😚☺
ইশানঃ মাথা নষ্ট নাকি।।।তোমাকে কিস করে আমি আমার ঠোঁটের ভার্জিনিটি নষ্ট করবো নাকি।।বিয়ে আগে এইসব চলবে নাহ।।দুরে যাও
রিয়াঃ লিপসের ও আবার ভার্জিনিটি🙄🤔
ইশানঃ হুহ।আচ্ছা তুমি বসো। আমি আইসক্রিম নিয়ে আসি।।দুইজন একসাথে খাবো।
রিয়াঃ আচ্ছা।
।
।
।
ইশান আইসক্রিম কিনতে গেল।।পিছন থেকে একজন ইশানকে জড়িয়ে ধরলো। ইশান দেখতে পায়নি।
ইশানঃ আরে রিয়া রাস্তায় এইসব কি।।।(বলেই মেয়েটার দিকে ঘুরলো)
নিহা কটমট করে তাকিয়ে আছে।।নিহাকে দেখেই ইশান এক ঢুক গিললো
নিহাঃ রিয়া কে🤨আর ও তোমায় জড়িয়ে ধরতে কেন😡
ইশানঃ ররিয়া কে রিয়া আমি তো কোন রিয়াকে চিনি নাহ😶
নিহাঃ একটু আগেই তুমি বলেছো আমি শুনলাম।
ইশানঃ আরেহ আমি তো ররিয়া নাহ রিসুর কথা বলছিলাম😑
নিহাঃ রিসু কে🤨
ইশানঃ আরে তুমি জানো নাহ আমি তো রাসেলকে রিসু বলি,😅(বোকা হাসি দিয়ে)
নিহাঃ কিন্তু তুমি তো সব সময় রাসেল ভাই বলতে।।
ইশানঃ 😶😶😶
নিহাঃ আর রাসেল ভাই কোথায়(আশেপাশে তাকিয়ে)
ইশানঃ নেই তো নেই।।ও এখানে কিভাবে আসবে।আমি একাই এসেছিলাম।।বাট এইভাবে রাসেল ভাইয়া জড়িয়ে ধরে তো তাই ভেবেছি রাসেল ভাইয়া😅
নিহাঃ তুমি একা আসলে তোমার হাতে আইসক্রিম দুইটা কেন?
ইশানঃ তোমার জন্য😅😅।।নাও নাও খাও
নিহাঃ ওহহ ওকে।।(নিহা আইসক্রিম টা নিলো)
ইশানঃ চলো বসে নেই কোথাও।
নিহা রিয়া যেখানে বসেছে সেইদিকে যেতে নিলো।
ইশানঃ আরে ওইদিকে কোথায় যাচ্ছো এইদিকে চলো
নিহাঃ কিন্তু ওই দিকে কি
ইশানঃ আরে ওইদিকে রি….না মানে কুকুর কুকুর।। অনেক গুলা কুকুর বসে আছে ওইদিকে।।তুমি তো ভয় পাও
নিহাঃ ওহহ আচ্ছা চলো ওইদিকে বসি
ইশানঃ তা তুমি এইখানে কেন?
নিহাঃ তুমিই তো বললে তুমি পার্কে একা বসে আছো।।আমি যাতে দেখা করি🙄
ইশানঃ আমি 😕
নিহাঃ হ্যাঁ তুমিই তো মেসেজ দিলে সকালে
ইশানঃ বাট আমি😕(মনে মনে- আমি তো ফোনই আনিনি।।মেসেজ দিবো কিভাবে)
নিহাঃ বেবি একটা টিসুর প্যাকেট নিয়ে আসো নাহ।।দেখ নাহ আইসক্রিম পড়ে হাত গুলো ভরে যাচ্ছে।।
ইশানঃ আচ্ছা তুমি বস আমি আসছি।।
নিহাঃ সাথে একটা পানির বোতল
ইশানঃ ওকে।
।
ইশান আবার দোকানে গেল
আবার পিছনে থেকে কেউ হাত ধরে টান মারলো।
ইশানঃ আরে দাড়াও পানি……😳😳😳
কনাঃ বেবি🤗🤗
ইশানঃ ততুমি এখানে😕😕😕😟
কনাঃ ওমা তুমিই তো মেসেজ দিয়ে আসতে বললে
ইশানঃ আমি🙄🙄
কনাঃ হ্যা।।তো তুমি কি অন্যকাউকে আসতে বলেছিলে নাকি🤨
ইশানঃ ও হ্যা আমিই তো তোমায় বলেছিলাম।।অন্যকাউকে কেন বলবো।।চল ওইখানে গিয়ে বসি।
ইশান কনাকে নিয়ে আরেকটা টুল এ বসলো।।
কনাঃ কিছু খাওয়াবে নাহ?
ইশানঃ হ্যা এই নাও (হাতের পানির বোতল টা এগিয়ে দিয়ে)
কনাঃ শুধু পানি খাবো😕
ইশানঃ ওহ না সরি আচ্ছা তুমি বস আমি কিছু নিয়ে আসছি
।
।
ইশানঃ ধুর আর দোকানের সামনেই যাবো নাহ।।।আল্লাহ জানে আবার কে এসে হাজির হয়।।কিন্তু সবাই একসাথে এইটা কিভাবে সম্ভব 🤔।।এতে আবার নেশার হাত নেই তো।। মোবাইল তো বাড়িতে।।এই রে ওইখানে রিয়াকে তো বসিয়ে রেখে এসেছি।।যাই আগে গিয়ে দেখা করে আসি
ইশান রিয়ার ওইখানে যেতে নিবে সামনে আরেকজন এসে হাজির।
ইশানঃ আরে লিমা তুমি।।তোমাকে ও নিশ্চয়ই আমি মেসেজ করেছি আসার জন্য তাই নাহ😒
লিমাঃ হ্যা তুমিই তো মেসেজ দিলা পার্কে দেখা করতে
ইশানঃ জানতাম।। আচ্ছা আসো ওইখানে গিয়ে বসি।।
।
ইশানঃ আচ্ছা তুমি একটু বস আমি যাবো আর আসবো।
বলেই ইশান কেটে পড়লো।
ইশানঃ নাহ আর এইখানে থাকা যাবে নাহ।।।আর কে কে আছে আল্লাহ জানে।।এর থেকে বরং বাড়ি ফিরে যাই।।।কাল কিছু একটা বলে মেনেজ করে নিবো
।
।
।
ইশান কোন রকমে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসলো।
বাড়িতে
নেশা দরজা খুলে দিলো।।ইশান রাগি চোখে নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।।নেশা মুখ টিপে হাসছে।।ইশান যে প্রচুর টেনশনে ছিলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
ইশানঃ তুই এই সব করেছিস তাই নাহ🤨🤨😡
নেশাঃ এমা আমি কেন করবো।। আমি তো তোমার মোবাইলই ধরি নি।।আর আমি কি তোমার গার্লফ্রেন্ড দের চিনি নাকি যে মেসেজ করবো😐
ইশানঃ তোকে তো আমি কিছু বলিই নি।। তুই তো সব বলে দিলি। যদি তুই না করিস তাহলে তুই জানলি কিভাবে।
নেশাঃ মনে মনে- এই রে সব বলে দিয়েছি।।ভাইয়া নিশ্চয়ই বুঝে গেছে সব কিছুর পিছনে আমি আছি।।😣😣এখন আমার কি হবে
চলবে😁