#ভালোবাসার_বর্ষণ
#পর্ব_৩
#নীহারিকা_নুর
রাতের নিস্তব্দতা এখনো পুরোপুরি কা’টেনি। পাখিরা কিচির মিচির করে ডাকতে শুরু করেছে। ভোরের আলো একটু একটু করে ফুটতে শুরু করেছে। পশ্চিম আকাশে লাল আভা দেখা যাচ্ছে। তবে সূর্য এখনো পুরোপুরি উঁকি দেয় নি৷ হালকা বাতাস বইছে। ভোরের পরিবেশটা এত মনোরম থাকে। আর গ্রামের মানুষজন এই পরিবেশটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে। শহরের ইট পাথরের দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থেকে এই সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করা কষ্ট সাধ্য। তবে এই মুহুর্তে এত সুন্দর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করার সময় একদম নেই নুরুল ইসলাম এর। তিনি খুব জোর পায়ে হেটে যাচ্ছেন। গন্তব্য তার খুব ছোট বেলার এক বন্ধুর বাসা। এত ভোরে লোকজন তেমন একটা উঠেনি৷ যারা ফজরের সালাত আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিল তারা বাসায় ফিরে আসছে। মাঝে মাঝে তাদের সাথে দেখা হচ্ছে। গত কালকের ঘটনার জন্য কেউ কেউ বাকা নজরে তাকাচ্ছে। আবার নুরুল ইসলাম যখনি গ্রামে আসেন তখনি সবার সাথে খুব মিশুক আচরন করেন। যার সাথেই দেখা হোক না কেন হাসিমুখে অন্তত সালাম দেয়। আজ তার কোনটাই লক্ষ্য করা গেল না নুরুল ইসলাম এর মধ্যে। এজন্যও কেউ কেউ বেশ অবাক হয়েছেন। তবে বাহিরের এসব কিছুই নুরুল ইসলাম এর মন ছুতে পারছে না। এই মুহুর্তে তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন জাগতেছে যে ছেলেকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসলাম সে কীভাবে আমার সর্বনাশ করল। এর জবাব তো ওকে দিতেই হবে।
– আমজাদ এই আমজাদ উঠিস নি এখনো। এই আমজাদ।
এত ভোর বেলায় বাসার সামনে চেচামেচির আওয়াজ পেয়ে ধরফর করে ঘুম থেকে উঠে আমজাদ। ঘুম থেকে ওঠার পরে তার মস্তিষ্ক ঠিক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি প্রথম বুঝে উঠতে না পারলেও পরে যখন বাহিরে থাকার ব্যাক্তির মুখে আবার নিজের নাম উচ্চারণ শুনলেন তখন তিনি বুঝতে পারলেন এটা তো তার প্রাণ প্রিয় বন্ধু নুরুল ইসলাম এর গলার আওয়াজ। নুরুল ইসলাম হঠাৎ এই বাসায় কি মনে করে এলেন মস্তিষ্ক তার হিসেব মিলাতে ব্যার্থ হলো। তিনি খাট থেকে নেমে দাড়ালেন৷ আলনা থেকে নিজের টিশার্ট টা নিয়ে সেটা গায়ে জড়াতে জড়াতেই দরজা খুলে দিলেন। তিনি দরজা খুলতেই ঢ়েন হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে পড়ল নুরুল ইসলাম। আমজাদ হক কিছুই বুজতে না পেরে প্রথমে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলেন। এরপর নুরুল ইসলামকে কিছু খুজতে দেখে আমজাদ ও এগিয়ে এসে দাড়াল।
– কি খুজছিস সেটা তো বল আমাকে।
– খুজছি তোর আদরের ছেলেকে৷
– আরে এভাবে বলছিস কেন৷ আমার আদরের ছেলে তো তোরও ছেলে। সে কি করেছে সেটা বল।
– আমি তো তোর ছেলেকে কখনো অন্য নজরে দেখিনি৷ সব সময় নিজের ছেলের নজরে দেখেছি। সে কীভাবে পারল আমার সম্মান এভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে।
আমজাদ হক ও কাল বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। সেখানকার সমস্ত ঘটনাই তার জানা৷ নুরুল ইসলামকে যে হেয় হতে হয়েছে সেটা সে জানে তবে এর সাথে তার ছেলের কি সম্পর্ক এটাই বুজতে পারছে না আমজাদ হক। তিনি গিয়ে নুরুল ইসলাম এর কাধে হাত রাখলেন। বললেন
– শান্ত হয়ে বস নুরুল। এই ভোর বেলা আমার বাসায় চলে এসেছিস। নিশ্চয়ই খুব বড় কিছু হয়েছে। আগে শান্ত হয়ে বস। আমার ছেলে কি করেছে আমি জানিনা তবে ওকে খুজে এখন পাবি না তুই কারণ ও এখন বাসায় নেই।
আসিফ বাসায় নেই শুনে আরো রাগ বেড়ে যায় নুরুল ইসলাম এর। তিনি এবার নিশ্চিত যে এই কাজ করেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে আসিফ। নুরুল ইসলাম আগেই আমজাদকে বললেন না যে তিনি কেন আসিফকে খুজছেন। এ বাসায় আসার পর এটা তো নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আমজাদ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। নুরুল ইসলাম আমজাদ হককে বললেন তার ছেলের নাম্বারে একটা ফোন করতে। আমজাদ কারণ জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন
– তোর ছেলেকে আমি রাত থেকে ফোন করতেছি। ফোন সুইচড অফ দেখাচ্ছে। এজন্যই তো এই সকাল সকাল আসা। ফোন সুইচড অফ শুনে আমজাদ এর ও চিন্তা হলো। তিনি তাড়াতাড়ি বাসার ভিতরে ঢুকে গেলেন। বেরিয়ে এলেন নিজের ফোন হাতে নিয়ে। সাথে সাথে ডায়াল করলেন আসিফ এর নাম্বারে। বরাবরের মতো এবারেও ফোন সুইচড অফ দেখাল।
– তা তোর গুনধর পুত্র ফোন বন্ধ করে কোথায় ঘাপটি মে’রেছে।
– কি বলিস। ঘাপটি কেন মা’রবে। ও তো দুদিন আগেই বাসা থেকে বেরিয়েছে।গিয়েছিল বন্ধুর বাসায়। সেখান থেকে আর ফিরেনি। রাতে মেসেজ দিয়ে বলেছিল ও নাকি ওর কোন ফ্রেন্ড এর বিয়ে এটেন্ড করতে। বাসা থেকেও কিছু নিয়ে যায় নি৷ বলেছে ওখান থেকে কিনে নিবে৷ তাইত আমি আরো টাকা বিকাশ করে দিছি।
নুরুল ইসলাম কি বলবেন বুজতেছেন না৷ এখন আসিফ এর বাবাকে আসিফ এর কথা বলা ঠিক হবে কি না সেটাও বুজতেছে না। কাল যখন রাফসান সাহেব ফোন দিয়ে আসিফ এর বায়ো দিয়েছিল তখন নুরুল ইসলাম এর মাথাও কেমন ফাকা ফাকা লাগছিল। আসিফের বাবা আর নুরুল ইসলাম ছোট থেকেই এক গ্রামে বড় হয়েছেন। পড়াশোনায় দুজনই মোটামুটি ভালো ছিল। সেই সুবাদেই বন্ধুত্বটা গড়ে উঠেছিল। এরপর সেই বন্ধুত্ব বড় হওয়া অবধিও টিকে যায়। যখন আমজাদ বিয়ে করেছিল তখন নুরুল চাকরির পিছনে ছুটতে ব্যাস্ত। এক বছরের মাথায়ই আমজাদ হক এর ঘর আলো করে আসিফ এসেছিল। সেই খুশি ভাগ করে নিয়েছিল নুরুল ইসলাম এর সাথে। সেই প্রথম কোলে তুলে নিয়েছিল আসিফকে। এরপর থেকে তিনি কখনোই আসিফকে নিজের ছেলের থেকে কম ভালোবাসা দেন নি। তরুর জন্মের পরেও ভালোবাসা কমেনি৷ তরুর জন্য যদি খেলনা কিনে নিয়ে যেত তবে তা তিনি আসিফ এর জন্যও কিনতেন। সেই আসিফ ছেলের মতো ভালোবাসার পরেও এরকম একটা জঘন্য অপরাধ করতে পারে এটা যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না নুরুল ইসলাম এর। সেই রাতটা ছটফট করে কা’টিয়েছেন। তহমিনা বেগম বহুবার জিজ্ঞেস করলেও তিনি বলতে পারেন নি। কীভাবে বলবেন। আসিফকে তো তিনিই সর্বদা প্রশ্রয় দিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। এখন তার দুধ কলা দিয়ে পোশা সাপ তাকেই ছোবল বসাবে এটা তো তার নিজের ই ভাবতে খারাপ লাগছে তহমিনাকে কি বলবে। সারারাত নির্ঘুম কা’টানোর পরে সকাল সকাল উঠে এসে পড়েছেন আসিফ দের বাসায়। তিনি চেয়েছিলেন আসিফকে সামনা সামনি প্রশ্ন করতে যে আসিফ কেন এমন নোংরা খেলা খেলেছে। তরু যে এমন কিছু করে নি সে বিশ্বাস তার ছিল এখন আসিফ এর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় সেটা আরো প্রবল বিশ্বাসে পরিনত হলো। তবে আসিফ কেন করল তার কোন উত্তর মেলাতে পারছে না।
নুরুল ইসলাম কে ভাবনার মাঝে ডুবে যেতে দেখে চোখের সামনে তুড়ি বাজায় আমজাদ হক। ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে নুরুল ইসলাম। আমজাদ এর মুখের দিকে তাকায় একবার। কি মনে করে নুরুল আমজাদকে এ বিষয় না বলে চেপে যায়। কিন্তু আমজাদ নাছোড়বান্দা সে চেপে ধরেছে যে তার ছেলে কি এমন করেছে যার জন্য এত জরুরি খোজ করতে এই ভোর বেলায়ই তার বাসায়। আমজাদ শুধু এতটুকু বলে
– আসিফ অন্যায় করেছে তাই ওকে খুজতেছি।
– অন্যায় মানে? কি করেছে ও ( ভীত চোখে তাকিয়ে)
– আরে ভয় পাচ্ছিস কেন। ওর সাথে আমার কিছু কথা আছে। ওর ফোন যেহেতু বন্ধ ওর বন্ধুদের কয়েকটা নাম্বার দে৷
আমজাদ তো ধাধার মধ্যে পড়ে গেল। নুরুল ইসলাম তাকে ঠিকঠাক ভাবে কিছু বলছেও না। তবুও দ্বিমত না করে নাম্বার গুলো দিল।
ইতোমধ্যে আসিফ এর মা উঠে চা নাস্তা বানিয়ে হাজির করেছেন তাদের সামনে। কিন্তু নুরুল ইসলাম কিছুই খেলেন না। যাওয়ার সময় শুধু আমজাদকে বলে গেলেন চিন্তা না করতে প্রয়োজনে আবার আসবেন তিনি( নুরুল ইসলাম)।
দ্রুত পায়ে সেখান থেকে হেটে বেরিয়ে গেলেন নুরুল ইসলাম। পেছন থেকে আমজাদ ডাকলেও আর পেছন ঘুরে তাকান নি। আস্তে আস্তে রাস্তায় উঠে আড়ালে চলে গেল নুরুল ইসলাম। আমজাদ এতক্ষণ পেছন থেকে বন্ধুর যাওয়ার পানে তাকিয়ে ছিলেন। কেমন ধাধায় ফেলে গেল তাকে। এখন কি করবেন তিনি।
সকাল বেলা উঠে নুরুল ইসলামকে ঘরে না দেখে সবাই একটু ভয় পেয়েছিল। এভাবে না বলে হুট করে কোথায় চলে গিয়েছিল। তার মধ্যে কাল রাতের ফোনের কথা মনে ওঠে তহমিনার। মনে মনে ভয় পান তিনি। কে করছে এই কাজ। নুরুল ইসলাম তাকেই পেটাতে যান নি তো। নুরুল ইসলাম এর রাগ সম্পর্কে কারোই অজানা নয়। তিনি তার রাগ কন্ট্রোল করতে পারেন না হয়ত যার রাগ তার উপর ঝাড়বেন নয়ত ঘরে থাকা জিনিস পত্রের উপর। তহমিনা এটারই ভয় পাচ্ছে যে না জানি কাকে হসপিটালে পাঠাতে গেছেন। তহমিনা বসে হতাশার শ্বাস ফেলেন। এক অদ্ভুত পরিবার পেয়েছেন তিনি। বিয়ের বয়স প্রায় বিশ হতে চলল। এখনো যেন পুরো পরিবারটা তিনি চিনতে পারেন নি। দিন যায় আর যেন নতুন মনে হয়, নতুন করে একটা একটা বৈশিষ্ঠ্য বের হয় এদের। নুরুল ইসলাম তো এক অদ্ভুত চরিত্র। তার কথা নাহয় বাদ দিলেন। কিন্তু তার নিজের পেটের মেয়ে তরু। যেখানে তরুর সব কাজ তার নখদর্পনে। তারপরেও মাঝে মাঝে তিনি যেন বুজতে পারছেন না যে কি চাচ্ছে তার মেয়ে।
তহমিনা বেগম এর ভাবনার মাঝেই উশকো খুশকো চেহারায় বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায় নুরুল ইসলামকে। তাকে দেখে বেশ চিন্তিত লাগছে। বাসার অন্য সবাই নাস্তা করতে বসেছিল। নুরুল ইসলাম এর আগমনে সবাই খাওয়া থামিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। নুরুল ইসলাম একবার সেদিকে তাকিয়ে এক নজর সবাইকে দেখে নেয়। তিনি ডায়নিং এ না গিয়ে সোজা নিজের রুমের উদ্দেশ্য হাটা দেন। যেতে যেতে তহমিনা বেগমকে ডেকে বলে যান এক কাপ কফি দিতে। তহমিনা নুরনাহার কে বলেন
– আপা এখানে দেখেন তো কার কি লাগবে। আমি কফিটা দিয়ে আসি।
নুরুনাহার মাথা নেড়ে বোঝায় যে ঠিক আছে তিনি সব সামলাবেন তুমি যাও। নুরনাহার এর ইশারা পাওয়া মাত্রই তহমিনা ছুট লাগায় কফি বানাতে।
নুরুল ইসলাম রুমে গিয়ে মাথায় হাত চেপে বসে আছেন। চিন্তায় তার মাথা পুরো হ্যাং হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। এখন এক কাপ কফি খুব জরুরি। এর মধ্যেই তহমিনা কফি নিয়ে রুমে ঢোকে। তহমিনা বেগমকে দেখে তিনি তহমিনা বেগমকে পাশে বসতে বললেন। স্বামীর কথা মতো কাল বিলম্ব না করে পাশ ঘেষে বসলেন তিনি। ধীর কন্ঠে শুধালেন
– কিছু বলবেন?
– হুম।
-……
– শোন আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
– কি সিদ্ধান্ত
– তরুকে আপার সাথে পাঠাব ভাবছি৷
– ভেবে বলছেন?
– হুম। আপা তো আর তরুর অযত্ন করবেন না। ওকে কি কখনো ভাতিজির মতো দেখেছে।
– হুম তাতো আমিও জানি। তবে তরু তো কখনো আমাদের ছেড়ে থাকেনি তাই বললাম।
– দেখো তহমিনা কাল যা ঘটল এর পেছনে বড় কোন কারণ আছে আমার মনে হচ্ছে। আমার ছোট মেয়েটার সাথে কারো শত্রুতা থাকতে পারে না। আমার মন বারবার বলছে আমার কোনো প্রতিপক্ষ পেছন থেকে ছুরি মারতে এই প্লান করছে।
– কি বলেন আপনি এগুলো। আপনার শত্রু মানে। আর আপনার এটাই বা কেন মনে হলো।
– আছে আছে। সময় হোক আমি তখন তোমাকে বলব।
তহমিনা আর কথা বাড়ায় না। তার স্বামী একবার যখন বলেছে এখন বলবে না তাহলে কোনভাবেই আর বলবে না এখন।
তহমিনা কিছুক্ষন বসে উঠে যায় সেখান থেকে। নুরুল ইসলাম আর কিছু বলেন নি। তিনিও গভীর চিন্তায় মত্ত।
তহমিনা বেরিয়ে গেলে তিনি উঠে গিয়ে দরজাটা চাপিয়ে আসেন। তারপর বসেন ফোনটা নিয়ে৷ তারপর তিনি প্রথমেই ফোন দেন আসিফ এর সিলেটে থাকা সেই বন্ধুকে যার বিয়ের কথা বাড়িতে জানিয়েছে আসিফ। প্রথমবার ফোন তুলতে না পারলেও দ্বিতীয় বার রিং হওয়ার সাথে সাথে আসিফ এর সিলেটি বন্ধু তামিম ফোন রিসিভ করে। প্রথমে নুরুল বলেন যে তিনি আসিফ এর চাচ্চু। নুরুল ইসলামকে চিনতে তামিম এর সমস্যা হয় না। আসিফদের বাসায় নুরুল ইসলামকে দেখেছিল তামিম। তামিম সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে। নুরুল ইসলাম কন্ঠ নরম করে মজার ছলেই বলেন
– কি হে বেটা বিয়ে করছ শুধু বন্ধুকেই দাওয়াত দিলা। আমাদের ও একটু দিতে। সেই সুযোগে আমরাও নাহয় একটু সিলেট ঘুরে আসতাম।
নুরুল ইসলাম এর কথা শুনে হেসে দেয় তামিম। হাসতে হাসতেই বলে
– কি যে বলেন না আঙ্কেল। আমি আর বিয়ে। দিল্লি বহুদুর। একটা চাকরিই পেলাম না মেয়ে দিবে কে আমাকে। তবে বিয়ে করলে আপনাকে নিশ্চয়ই দাওয়াত দিব আঙ্কেল।
এভাবে কথা শেষ হয় তামিম এর সাথে। কল কে’টে নুরুল ইসলাম ভাবে তার মানে আসিফ বিয়ের বিষয়টা মিথ্যা বলেছে। এরপর একে একে আসিফ এর সব বন্ধকে কল করে নুরুল ইসলাম। কিন্তু আসিফ কোথাও নেই। এদিকে আসিফকে কোনভাবেই ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। নুরুল ইসলাম এর মুখে চিন্তার ছাপ গাড়ো হয়। তার কেন যেন মনে হয় শুধু আসিফ না। এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে।
#চলবে