ভালোবাসার টান
part:29,30
writer:Tanzidaa Jannat
29
ইফতি মিসকাকে দেখা করার জন্য একটা টেক্সট করে,,,,,,
মিসকার ফোন হাতেই ছিলো,,,,,টুং করে বেজে উঠলে,,,,মেসেজ চেক করে দেখে ইফতির মেসেজ,,,,,,”(“”””””একটু দেখা করো””””””””””)
মিসকা আসে পাশে তাকাতে দেখে ইফতি ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,,,মিসকা ওকে দেখে না দেখার ভান করে অন্যদিকে চলে গেলো,,,,,,,
ইফতিঃ কি হলো,,,,,,ও এমন করলো কেন??😠 কি ভাবে কি নিজেকে!! 😡আজ পাই একবার 😠দেখাবো ইফতি আহমেদের সাথে এমন করার ফল,,,,,,
মিসকা হিয়াকে নিয়ে চারিদিকে ঘুরছে আর দেখছে,,,,,,,,,পাশেই অনেকগুলো বাচ্চারা খেলছে,,,,
হিয়াঃ আন্টি আমি খেলবো ওদের সাথে😌
মিসকাঃ আচ্ছা যাও,,,,,
হিয়াঃ থ্যাংকিউ,,,,😉😘
মিসকাঃ ভয় পেয়ো না আমি এখানেই আছি,,,,,,,,,
মিসকা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের খেলা দেখছে,,,,,ও একটু ঐদিকে হাটতে হাটতে যাচ্ছে তখনই কারো হেচকা টানে তাল সামলাতে না পেরে কারো উপরেও গিয়ে থাক্কা খায়,,,,,,মাথা না উঠিয়েই চিৎকার দিতে নিলে,,,, কেউ ওর মুখ চেপে নেয়,,,,
ও মাথা তুলে চোখ খুলে দেখে দেখে ইফতি,,,,,,,চোখ রাঙিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,
মিসকাঃ ইশারায় মুখ ছাড়তে বলতে,,,,
ইফতিঃ কি হলো টা কি বাইম মাছের মতো এমন কাতরাচ্ছ কেন??মুখ নাই কথা বলতে পারো না??
মিসকাঃ ইফতির দিকে তাকিয়েই আছে,,,,
ইফতিঃ ওফফ,,,,,,,, ( বলেই হাতটা সরিয়ে নেয়,,,,,,
মিসকাঃ এভাবে কেউ টান দেয় আমি যেভাবে একটা গুতা খাইছি ফার্স্টে ভাবলাম কোন খাম্বার সাথো গুতা খাইছি😔।(মাথা ডলতে ডলতে)
ইফতিঃ এই কি বল্লা তুমি??😠
মিসকাঃ না মনে,,,,, আমি
ইফতি সামনে এগোলে মিসকা পিছুতে পিছুতে দেয়ালের সাথে মিসে যায়,,,,,,ইফতি মিসকার খুব কাছাকাছি আসে,,,,মিসকার বুকের ভিতরে হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে,,,শরীর কাঁপছে,,,, ইফতি ওর এতেটাই কাছে ও নরতেও পারছে না,,,,,,মিসকা বামদিকে চলে যেতে চাইলে ইফতি বাদিকে হাত দেয়ালে রাখে আবার ডানদিকে দিয়ে যেতে চাইলে হাত ডানদিকে রাখে,,,,,,মিসকা কি করবে বুঝতে পারছে না,,,,,ওর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে,,,,
তবুও কাপা কাপা কন্ঠে বললো,,,,,
মিসকাঃ কি করছেন টা কি,,,,,লোকজন দেখলে কি ভাববে??
ইফতি মিসকার পেট ধরে আরো কাছে নিয়ে আসলো,,,,,,
মিসকাঃ চোখ বড়ো বড়ো করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে(👁👁)
ইফতিঃ তোমাকে কখন আমার সাথে দেখা করতে বলছি??😠
মিসকাঃ না মানে( ভয়ে ভয়ে)
ইফতিঃ উশশ একদম চুপ এখন আমি বলবো তুমি শুনবে,,,,,,,,, বলেই ইফতি মিসকার দিকে মুখ এগোতে লাগলো,,,,,,
মিসকা ভয়ে শাড়ির আঁচল হাত দিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখলো,,,,,
ইফতি পিছনের চুলের ক্লিপটা ছুটিয়ে দিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলো,,,,,
মিসকাঃ চেখ খুলে কিছুটা অবাক হয়ে ইফতির দিকে তাকিয়ে আছে,,,
ইফতিঃ মিসকার নাকটা একটু চেপে দিয়ে,,,, এবার ঠিকঠাক লাগছে,,,😊
মিসকাঃ শুধু তাকিয়েই আছে,,,,,,
মিসকার চুলগুলো উরছে ইফতি ওর কপাল থেকে চুল সরিয়ে কানে গুজে দিলো,,,,,
এর মধ্যেই ইফতির ফোন বেজে ওঠে,,,,,
মিসকা এক ধাক্কা দিয়ে ওখান থেকে দৌড়ে চলে আসে,,,,,ইফতি ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,
মিসকা দৌড়ে এসে একটা জায়গায় এসে থামে,
মিসকাঃ বুকে হাত দিয়ে,,,,কি হলো আমার?? উনি আমার কাছে আসলে এমন এক অদ্ভুত অনুভুতি কেনো হয়?? মনে হয় যেন সময়টা থমকে গেছে,,,,, নিঃশ্বাস টাও বন্ধ হয়ে যাবে,,,,আমি কি// না না এটা কি করে সম্ভব,,,,,,, আমি ভুল ভাবছি,,, দূরে থাকবো,,,,,, হ্যা দূরে থাকাই এখন একটা উপায় তাহলে আর এমন আজব অনুভুতি হবে না,,,,,এসব ভাবতে ভাবতেই মিসকার ফোন বেজে উঠল,,,,
মিসকাঃ হ্যালো,,,,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ তুই কোথায়??
মিসকাঃ এই তো এখানেই আছি,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ তুই ভিতরে আয়,,,,,আমি খুঁজছি কতক্ষণ থেকে,
মিসকাঃ আচ্ছা আসছি হিয়াকে নিয়ে,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ ইফতি নিয়ে আসছে হিয়াকে তুই আয়,,,,,,
মিসকাঃ ও আচ্ছা ঠিকাছে আসছি,,,,,
মিসকা ভিতরে গিয়ে দেখে ওখানে নাচ গানের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে,,,,,
ওনেকেই নাচছে,,,,,কেউ গাইছে আবার কেউ মজার মজার কৌতুক বলছে,,,,কিছু সময়টা বেশ ভালোই কাটছে,,,,,,,
ইফতির চোখে চোখ পরছে বার বার মিসকার,,,,,
মিসকা, মিসেস নিলুফা, হিয়া,আর ইফতি এক জায়গায় দাড়িয়ে আছে,,,,,,,,
হঠাৎ কেউ এনাউন্স করলো কাপল ডান্স হবে,,,,,,সবাই হাত তালি দিলো,,,,,
এদিকে এক মহিলা তার মেয়েকে নিয়ে ইফতির সামনে দাড়ালো,,,,,
মহিলাঃ কেমন আছো বাবা,,,,,,
ইফতিঃ জ্বি ভালো আপনি??
মহিলাঃ এই তো ভালো বাবা,,,,, এই হচ্ছে আমার মেয়ে স্নেহা,,,
স্নেহাঃ হায়,,,ইফতি,,,,
মিসকা উপর থেকে নিচ পর্যন্ত তাকিয়ে ভাবছে এর জামা কাপড়ের অভাব নাকি। কিসব ড্রেস ছিঃ,,,,,ইশশশ আবার ঢং দেখানো হচ্ছে হায় ইফতি,,😒,,মনে মনে ভেঙচি কেটে,,
ইফতিঃ হায়,,,,,
ইফতি মা আর মেয়ের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে মিসকার দিকে হাত বাড়ায়,,,
মিসকা খেয়াল করলো কেউ হাত বাড়িয়েছে,,,,,মিসকা তাকিয়ে দেখে ইফতি,,,,ও সরে যেতে নিলে জোর করে হাত ধরে টেনে নিয়ে দাড়িয়ে যায়,,,,,,
মিসকাঃ কি হলো এটা,,,,,আমাকে এভাবে টেনে কেনো আনলেন,,,,??
ইফতিঃ সখ নাই তোমার সাথে নাচার,,,,,, নেহাত ঐ মহিলা আর তার মেয়ে কেমন করছিলো,,,তাই,,,,,,
মিসকাঃ কেনো,,,,, মেয়েটা খারাপ কোথায়,,,,,,,আপনার সাথে বেশ মানাতো,,,,একটু হেসে,,,
ইফতি নাচতে নাচতে ওকে ঘুড়িয়ে মিসকার পিঠ ওর বুকের সাথে লাগিয়ে,,,, মজা নেওয়া হচ্ছে তাই না,,,,
মিসকাঃ মজা নেওয়ার কি আছে সত্যি ই তো মেয়েটা কতো স্মার্ট,,,,,, আন্টির কাছে বলে আপনার জন্য ঠিক করি😜
মিসকাকে ইফতির দিকে ফিরিয়ে
ইফতিঃ তুমি কিন্তু তোমার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছ,,,,আমি কি বলছি তোমায়?? এতো পাকামি করার সাহস আসে কোথার থেকে
মিসকাঃ বারে,,,, ভুল কি বললাম,,,,,, যা বলেছি ঠিকই তো বলেছি,,,,,,
এর মধ্যেই মিউজিক ওফ হয়ে গেলো,,,,,
সবাই হাত তালি দিলে,,,,,,ওরা নিচে নেমে যায়,,,,
মিসকা এসে মিসেস নিলুফার কাছে এসে বসে,,,,,,
পাশের থিকে একজন মিসেস নিলুফাকে বললো,,,,,,
বাহ খুব ভালো মানিয়েছে আপনার ছেলে আর তার ওয়াইফ কে,,,,,
মিসকাঃ তার কথা শুনে আমি হা করে তাকিয়ে আছি,,,,,লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে,,,বলা নাই কওয়া নাই এমন করে কেউ কাউকে বলে,,,,
মিসেস নিলুফাঃ না ও আমার ছেলের ওয়াইফ না,,,,
ওহ ছড়ি বুঝতে পারি নি,,,,,বলেই মহিলা চলে গেলো,,,,,
মিসকাঃ আমি সামনের দিকে তাকাতেই দেখি স্যার ( ইফতি) মুচকি মুচকি হাসছে,,,,, ,
দেখেই মেজাজটা গরম হয়ে গেলো একে তো জোর করে ডান্স করতে নিয়ে গেলো😠তার উপর মহিলার কথায় হাসছে,,,,,,,,,😡😡😡
ইফতিঃ ওরে বাবা রাগে তো লাল টমেটো হয়ে গেছে 😂
এখন পালা ডুয়েট নাচ,,,,,,,,সবাই তার পার্টনার নিয়ে নাচতে যাচ্ছে,,,,,
মিসকাঃ ইফতির দিকে তাকিয়ে একটু হাসে,,,,
ইফতিঃ মিসকার রহস্য জনক হাসি দেখে ইফতি ভ্রু কুচকে তাকায়,,,,,,,,
মিসকা গিয়ে আবিদের হাত ধরে স্টেজে উঠে,,,
আবিদঃ কি ব্যাপার তোর তো দেখি মনে রং লাগছে,,, 😆😆এতো নাচতে ইচ্ছে করছে তোর আজ😜
মিসকাঃ কেনো আমার সাথে নাচতে তোর অসুবিধা আছে নাকি??😒তা হলে বল আমি অন্য কাউকে বলছি,,,,,
আবিদঃ কথায় কথায় এতো রাগিস কেন??🙁আমি তো জাস্ট মজা করলাম😌
মিসকা আর আবিদ দুজনে মিউজিকের তালে তালে নাচছে আর মিসকা বার বার ইফতির দিকে তাকাচ্ছে,,,,, মিসকা ইফতিকে দেখিয়ে আরো আবিদেরসাথে ঘেঁষে নাচ করছে,,,,,
এদিকে মিসকার এই কাজে ইফতি ভিষণ রেগে যায়,,,,,,হাতে জুসের গ্লাস ছিলো ঢকঢক করে খেয়ে তারপর ড্রিংস নেয়,,,,,,এতোটাই রেগে আছে ও কি করছে তার দিক ওর খেয়ালই নাই,,,,
মিসকা ইফতিকে ড্রিংস নিতে দেখে কিছুটা অবাক হয়,,,,মনে মনে ভাবতে থাকে উনি তো ড্রিংকস খান না তাহলে,,,,,,,,, মিসকা চেয়েও কিছু করতে পারছে না কারন ও আবিদের সাথে ডান্স করছে,,,,
আবিদঃ তোকে কতোবার আমার মনের কথা বলতে চেয়েছি,,,,, তাও পারি নি আজ যখন তুই আমাকে এভাবে টেনে নিয়ে আসলি,,,,,,, আমি একটুও অবাক হইনি,,, মনে হচ্ছিল এই অধিকার তো শুধু তোর,,,,, জানিস আজ আমি খুব খুব খুশি,,,,, আজই তোকে আমার মনের কথা খুলে বলবো,,,,(,,মনে মনে ভাবছে আর মিসকার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে,,,)
মিসকাঃ আমি কি কাজটা ঠিক করলাম,,,,,,, ওনাকে এভাবে রাগানোটা,,,,,,,কিন্তু আমি বুঝতে পারি নি তো উনি এতোটা রেগে যাবেন,,,,😞😞
ইফতির চোখ লাল হয়ে গেছে,,,,,, ও একের পর এক ড্রিংস নিচ্ছে আর খাচ্ছে,,,,,,, হঠাৎ একটা গ্লাস হাত দিয়ে চেপে ধরে গ্লাসটা ভেঙে ফেলে,,,,,,,, হাত থেকে রক্ত ঝরতে থাকে,,,,,,,,
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
#ভালোবাসার__টান,,,,,,😍👸😍
#part::::::::::(30)
#writer:::::::::Tanzidaa Jannat
মিসকা ইফতির কাজ পুরাই সক খেয়ে গেলো,,,,,সাথে সাথে হৈ চৈ পরে গেলো,,,, মিউজিক ও ওফ হয়ে গেলো,,,,
মিসকা দৌড়ে গিয়ে ইফতির হাতটা ধরলো,,,,
ইফতি মিসকার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো,,,,,
মিসকার এখন অপরাধ বোধ হচ্ছে,,,,, কিন্তু মিসকা তো এমন কিছু চায় নি😩
মিসেস নিলুফা ছেলের কান্ড দেখে কেঁদে ই দেয়,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ ইফতি কি করে হলো,,,,,😭হাতটা পুরো কেটে গেছে,,,,😭।
ইফতিঃ মম কিছু হয় নি,, তো তুমি কেদো না,,,,, হিয়া কোথায়??
মিসেস নিলুফা ঃ ওকে খাইয়ে দিয়ে রুমার সাথে দিয়ে দিয়েছি,,,সাথে তোর বাবাও চলে গেছে,,,,,
ইফতিঃ ওহ,,,,তুমিও চলে যাও অনেক রাত হয়েগেছে,,,
এরই মধ্যে কেউ ফার্স্টএইড বক্স নিয়ে আসলো,,,,ইফতির হাত ড্রেসিং করে মলম লাগিয়ে দিয়ে বেন্ডেজ করে দিলো,,,,,,
মিসকা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে আর চোখ দিয়ে পানি পরছে,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ মিসকা আমি চলে যাচ্ছি,,,, তোরা পার্টি শেষ করে আসিস আর হ্যা ইফতির দিকে নজর রাখিস,,,
মিসকা মাথা নিচু করে মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানালো,,,,( মিসকার সাহস নেই মিসেস নিলুফার চোখে চোখ রাখার। কেমন একটা অপরাধ বোধ হচ্ছে,,,) মিসেস নিলুফা চলে গেলো,,,,
কিছুক্ষণ এর মধ্যে পরিবেশটাকে সাভাবিক করার জন্য আবারও নাচ গান গুরু হলো,,,,,,সবাই মজা করছে,,,,,,, কিন্তু মিসকা এক সাইডে দাড়িয়ে আছে,,,সাথে আবিদ,,,,ইফতির দেখে একদম সহ্য করতে পারছে না,,,,,
ও একের পর এক ড্রিংস নিয়েই যাচ্ছে আর রাগি লুকে মিসকার দিকে তাকাচ্ছে,,,,
হঠাৎ কেউ এনাউন্স করলো এবার গান করবেন আমার জানের জিগা’র বন্ধু ইফতি আহমেদ,,,সবাই হাত তালি দিলো,,,,
মিসকা এনাউন্স শুনে অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে ইফতির দিকে তাকালো,,,,,,
ছেলেটি ইফতির কাছে গেলো,,,আর বুকে জড়িয়ে নিলো,,,,কিন্তু ইফতি গান করতে রাজি হলো না,,,,
ছেলেটি বারবার রিকুয়েস্ট করছে,,,
কিছুক্ষণের মধ্যেই ইফতি গান শুরু করলো,,,,,,
Aakhon mein aansoo leke
Hothon Se Muskuraayein(2)
Hum Jaise Jee Rahe Hain
Koi Jee Ke to Bataye(2)
Aakhon mein aansoo leke
Hothon Se Muskuraayein(2)
Hum Jaise Jee Rahe Hain
Koi Jee Ke to Bataye( 2)
Jo toot ke na toote
koi aisa diil dikhaayein(2)
Hum Jaise Jee Rahe Hain
Koi Jee Ke to Bataye(2)
Maine to ki mohabbat
Tune ki bewafai
Taqdeer ye hamaari
Kis mod pe le Aayi(2)
Toote hain iss tarha diiil
Aawaz tak na Aaye(2)
Hum Jaise Jee Rahe Hain
Koi Jee Ke to Bataye(2)
ইফতি ড্রিংস একের পর এক খাচ্ছে আর গান গাচ্ছে,,,আর চোখ দিয়ে পানি পরছে
মিসকার কেনো জানি আজ চোখের বাধ মানছে না ও কেঁদেই যাচ্ছে কেনো কাদছে তাও জানে না,,,,,,,
ইফতির গান শেষ হলে সবাই হাত তালি দেয়,,,,সবাই ওর গানের প্রশংসা করে,,,
মিসকা চারদিক খুজছে কিন্তু ইফতিকে দেখতে পাচ্ছে না,,,,, মিসকা খুজতে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে আবিদ মিসকার হাত ধরে,,,,
মিসকা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়,,,,
আবিদঃ মিসকু তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে,,,,,,,,
মিসকাঃ দেখ আবিদ আমার আজ কিছু শোনার মুড নেই,,,,তুই যা বলার কাল বলিস বলেই মিসকা সামনে এগোয়
আবিদ ঃ মিসকার চলে যাওয়া দেখছে,,,,,আর চোখ থেকে পানি পরছে,,,,,, কেনো জানি এখন মিসকাকে পরপর লাগছে,,,, মনে হচ্ছে ও অন্য কারো,,,
মিসকা খুজতে খুজতে একটা রুমের দিকে এসে দেখে ইফতি আর সেই ছেলেটা কথা বলছে,,,কিন্তু কি বলছে বুঝা যাচ্ছে না,,,,
মিসকা একটু শব্দ করে রুমে ঢুকলো,,,,,,,
মিসকা গিয়ে দেখে ইফতি কি যেনো আবোল তাবোল বলছে,,,,
ছেলেটি মিসকাকে বললো আমি প্রলয় ইফতির বন্ধু
মিসকাঃ আমি মিসকা,,,,,, বলেই ইফতির দিকে তাকালো,,,,
প্রলয়ঃওর নেশা হয়ে গেছে,,,,,
মিসকাঃ এখন বাসায় যাবো কিভাবে??😥
প্রলয়ঃ চিন্তা করো না,,,, আমি ড্রব করে দিবো,,,,
প্রলয় ইফতিকে ধরে ধরে নিয়ে গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যায়,,,,,,
প্রলয়ঃ মিসকা তুমি ইফতিকে নিয়ে বসো।
মিসকাঃ আচ্ছা,,,, বলেই গাড়িতে উঠলো,,,,,ইফতি মিসকার ঘাড়ে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে,,,
প্রলয় ঃ মিসকা তুমি একটু খেয়াল রেখো,,,,,,
মিসকাঃ জ্বি ভাইয়া খেয়াল রাখবো,,,,,
গাড়ি বাসা পর্যন্ত এসে মিসকা আর প্রলয় মিলে ধরে ইফতিকে নিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে কলিং বেল টিপ দিলে রুমা দরজা খুলে দিলো,,, ওরা ওর রুমে নিয়ে সুয়ে দেয়,,,,,
প্রলয় আমি তাহলে আসি,,,,, মিসকা দরজা পর্যন্ত প্রলয়ের সাথে যায়,,,,,
প্রলয় ঃ ওকে এক ক্লাস লেবুর শরবত খাইয়ে দিয়ো ভালো লাগবে,,,
মিসকাঃ আচ্ছা,,,,
প্রলয়ঃ আসি তাহলে,,,,রাত অনেক হয়েছে সবাই ঘুমুচ্ছে,,,,, আরেকদিন এসে দেখা করবো,,,
মিসকাঃ মাথা নাড়িয়ে একটু হাসলো,,, রুমা তুমি দরজাটা লাগিয়ে দিও,,,,,,
রুমাঃ আচ্ছা দিচ্ছি,,,,,,,
মিসকা কিচেনে গিয়ে লেবু দিয়ে এক গ্লাস শরবত বানিয়ে ইফতির রুমে যায়,,,,,,রুমে গিয়ে দেখে ইফতি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে,,,
মিসকাঃ ও আপনি জেগে গেছেন ভালোই হলো,,,,নিন এই শরবতটুকু খেয়ে নিন,,,, ভালো লাগবে,,,,( গ্লাসটা ইফতির দিকে বাড়িয়ে)
ইফতি কপাল থেকে হাতটা সরিয়ে মিসকার দিকে তাকালো,,,,
মিসকা ইফতির চাহনি দেখে ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে,,,হাত কাঁপছে,,,ইফতির চোখ দুটো লাল হয়ে আছে,,,,চোখে পানি টলটল করছে মনে হচ্ছে কতো দিনের ঘৃনা জমে আছে ঐ দুটি চোখে,,,,
মিসকা ভয়ে ভয়ে বললো আপনার শ,,,শরব বলার সাথে সাথে ইফতি ধাক্কা দিয়ে গ্লাস ফেলে দেয়,,,,, গ্লাসটা নিচে পরে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে,,,,
মিসকা ভয়ে সাইডে দাড়িয়ে থরথর করে কাপছে আর কাঁদছে,,,,
ইফতিঃ তুই কেনো আসছিস আবার,,,,,, বলেই মিসকার হাত উল্টিয়ে চেপে ধরলো,,,,
মিসকা ভয়ে কোনো শব্দ করতে পারছে,,,,, ব্যাথা পাচ্ছে তবুও মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না শুধু ইফতির হিংস্র মাখা মুখের দিকে তাকি থরথরে কাঁপছে আর চোখ বেয়ে পানি পরছে,,,,
ইফতিঃ কি হলো কথা বলিস না কেন,,,,,??? বল নিলা বল আমি তোকে কম ভালো বেসে ছিলাম,,, কিন্তু তুই আমার ভালোবাসাকে এভাবে ঠকালি,,,,,😭কেনো নিলা কেনো,,,, কি কারনে তুই আমায় ছেড়ে চলে গেলি বল,,,,আমি তোকে এতো ভালোবেসেছি,পাগলের মতো ভালোবেসেছিলাম এটাই কি আমার দোষ ছিলো?? আমি কোনো দোষ না করেও তোর পা পর্যন্ত ধরেছি বলেছিলান আমাকে আর আমাদের মেয়ে কে ছেড়ে চলে যাস না তবুও তুই শুনলি না,😭,,,,,,,,, তবে কেনো এসেছিস আবার কেনো,,,,,??😡তোর জন্য আমার মনে শুধু ঘৃণা আছে ঘৃণা,,,,,,,,, চলে যা এখান থেকে বলেই ধাক্কা দিলো,,,,,,ওকে ধাক্কা দিয়ে ও বিছানায় সুয়ে পরলো আর বলতে লাগলো,,,আই হেট ইউ নিলা,,,,আই হেট ইউ,,,
মিসকা গিয়ে আলমিরার কোনে গিয়ে পরলো,,,,,কপালে হাত দিয়ে দেখলো কেটে গেছে,,,,মিসকা বুঝতে পারলো ইফতির নেশা হওয়ার কারনেই এমন করছে,,,,,আর ওকে নিলা ভাবছে,,,,,মিসকা মাথায় প্রচন্ড ব্যথা পাইছে,,,,,, হাতটা একটু সরাতেই একটা কিছু হাতে বাজলো,,,,,মিসকা তাকাতেই দেখে আলমিরার নিচে কিছু একটা পরে আছে,,,,,,, হাতে নিয়ে দেখতেই দেখে একটা ডায়রীর মতো কিছু একটা,,,,,মিসকা শাড়ির আচলে লুকিয়ে নিলো,,,,,আর আস্তে আস্তে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,,,,
মিসকা বাইরে যেতেই দেখে মিসেস নিলুফা,,,
মিসকাঃ আন্টি আপনি???😑
মিসেস নিলুফা ঃ চল আমার সাথে,,,,বলেই মিসকার হাত ধরে টেনে ওনার রুমে নিয়ে বসালো,,,,
মিসকাঃ আন্টি আমাকে এখানে কেনো আনলেন,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ কোনো কথা না বলে মিসকার কপালে ঔষধ লাগিয়ে দিচ্ছে,,,,,,
মিসকাঃ চুপচাপ বসে আছে
মিসেস নিলুফা ঃ দিনদিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে,,,,, কোনো দিন ভাবতেও পারি নাই,,,ছিঃ আমার নিজের প্রতিই ঘৃনা হচ্ছে,,,, এই শিক্ষা দিয়েছি আমি,,,,,,কাল সকাল টা একবার হোক তারপর,,,,,,দেখা যাবে সব
মিসকাঃ না আন্টি আপনি এমন কিছুই করবেন না,,,,,আমি চাই না আমার হিয়ার সামনে এসব আলোচনা হোক,,,,,,ওর বাবাই ওর কাছে অপরাধী হোক,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ দুচেখের পানি ছেড়ে দিয়ে,,,,,জানিস মা আমার ছেলেটা এমন ছিলো না,,,,,,নিলা শুধু মাত্র নিলার জন্য আমার ছেলেটা এমন হয়ে গেছে,,,,,
চলবে,,,,