ভালোবাসার টান part:25,26

ভালোবাসার টান
part:25,26
writer:Tanzidaa Jannat
25

ইফতি হাতটা ধরে রাখতেই মিসকা পিছন ফিরে তাকালো,,,,
ইফতি মুচকি একটা হাসি দেয়। মিসকা হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে জানালার সাইডে দাড়ায়,,,,,চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে,,,,,,মিসকা দাড়িয় বাইরের বৃষ্টির সাথে তাল মিলিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে,,,,,, হঠাৎ পিছনে কারো উপস্থিতি পেলো,,মিসকার সাহস হলো না পিছনে ফিরতে,,,,,নিঃস্বাস ভারী হয়ে আসছিলো,,,কেমন জানি একটা অনুভুতি হচ্ছে বলে বুঝানো যাবে না,,,,,

ইফতি ওর পাশে দাড়াতে ওর চুলগুলো বার বার আমার মুখে এসে বারি খাচ্ছে অদ্ভুদ একটা নেশা আমাকে ওর কাছে টানছে,,,,,

মিসকা ওর পাশ থেকে চলে যেতে চাইলে ইফতি ওর দুঘারে হাত দিয়ে মিসকার পিঠ ইফতির বুকের সাথে মিসিয়ে ফেললো,,,,

মিসকা ঃ চোখ বুজে আছে,,,,,মিসকা বুঝতে পারলো না কেনো ইফতি কাছে আসলে ওর বুকের ভিতর অজানা ঢেউ খেলা করে,,,,কেনো মনে হয় ইফতি শুধু তার,,,

ইফতিঃ মিসকার চুলগুলো ঘার থেকে সরিয়ে চুমু একে দিলো,,,,মিসকা কেঁপে উঠলো,,,,,ইফতি মিসকাকে ওর দিক ফিরিয়ে ওর অগোছালো চুলগুলো কপালের উপর থেকে সরিয়ে কানে গুজেদিলো,,,,

মিসকা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। ইফতি ওর থুতনি ধরে উপরের দিকে উঠায় মিসকা আস্তে আস্তে ওর দিকে তাকায়। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,এক অজানা নেশায় দুজনেই হারিয়ে যাচ্ছে #ভালোবাসার__টানে😍ইফতি মিসকার ঠোটের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে,,,,,,,ওর নিঃশ্বাস মিসকার মুখে গিয়ে পরছে। হঠাৎ করো খামচি খেয়ে ইফতির ঘোর কাটলো,,,,,

ইফতি দেখলো মিসকা ইফতির হাত খামচে ধরে আছে আর চোখ বন্ধ করে বলছে প্লিজ আগুনটা জ্বালান আমার ভয় করছে,,,,,,

ইফতিঃ আমরা এখানে এভাবে বসে আছি তার মানে!! তার মানে আমি এতক্ষণ ধরে কল্পনায় ডুবে ছিলাম,,।আল্লাহ আমার কি হলো 😰কিসব কল্পনা করছিলাম আমি।উফফ এই মেয়েটার মাঝে কি আছে বুঝি না,,,,,,, কিসব ভুলভাল দেখা শুরু করছি জেগে জেগে

মিসকাঃ ঐ বজ্জাতের হাড্ডি কি বলছি শুনতে পাচ্ছেন না,,,,কতক্ষন ধরে বলে যাচ্ছি কানে ঢুকছে না নাকি

ইফতিঃ হ্যা,,,না মানে চেঁচাচ্ছ কেনো।কি হয়েছে বললেই তো হয়

মিসকাঃ কি বললেন আমি চেচাচ্ছি।বেশ করছি।এতক্ষণ ভালোভাবে বলছি কানে তো যায় নি,,,,,,জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছিলেন নাকি,,,,??যে শুনতে পান নি

ইফতিঃ হ্যা দেখছিলাম তো,,,,😵

মিসকাঃ কি?? (কিছুটা ভ্রু কুচকে)

ইফতিঃ না কিছু না( এইরে এই মেয়ে যাতে কিছু বুঝতে না পারে আমার কল্পনার ব্যাপারে😝😜।জানলে আস্ত গিলে খাবে,,

মিসকাঃ কি হলোটা কি। ভুতে ধরছে নাকি? আগুনটা জ্বালান না আমার ভয় করছে,,,,, তার উপর বাইরে বৃষ্টি এতো বাতাস আমার খুব ভয় করছে

ইফতিঃ দাড়াও দেখছি,,,, তুমি এখানে বসো,,,,আমি দেখছি কি করা যায়,,,

মিসকাঃ এই না,,,,

ইফতিঃ কি না??

মিসকাঃ না মানে আমি একা বসতে পারবো না আপনার সাথে যাবো,,,,,

ইফতিঃ বাহ ভালোই লাগছে এক পেত্নি বলছে তার ভুত প্রেতে ভয় লাগে

মিসকাঃ এই কি বললেন আপনি

ইফতিঃ ভুল কিছু বলিনি।আর তুমি ভুলও শোনো নি,,,,,

মিসকাঃ আজ আমি ফেঁসে গেছি বলে। তা না হলে বুঝিয়ে দিতাম এই মিসকা কি চিজ( মনে মনে)

ইফতি ঃ কি হলো চলো,,,,

মুসকাঃ হুম,,,,

দুজনে পুরা ঘর থেকে কিছু কাট কুড়িয়ে এনে আগুন জ্বালিয়ে দিলো,,,,,

ইফতি বসে আছে বাইরে প্রচুর বাতাস আবহাওয়া পুরাই ঠান্ডা।মিসকাও গুটিশুটি হয়ে ইফতির পাশে বসলো,,,,,,
ইফতি মিসকার দিকে একবার তাকিয়ে আবার সামনে তাকালো,,,,

মিসকাঃ একটা কথা বলি,,,,,,

ইফতিঃ হুম বলো,,,,,

মিসকাঃ আচ্ছা আপনি যখন ঐ শয়তান ছেলেগুলোর সাথে মারামারি করছিলেন। আমার খুব ভালো লাগছিলো,,,,

ইফতিঃ হুম বুঝলাম তা মেডাম আপনি তো ওদের বাচিয়ে দিলেন,,,,,

মিসকাঃ কি করবো আপনি যেভাবে মারছিলেন ওরা মরে যেতো আরেকটু হলে।তবে যে মার মেরেছেন ওরা কোনো দিন ভুলবে না।আর না ভুলা পর্যন্ত কোনো মেয়েকে টিজ করা
তো দূর তাকাবেও না( হাত তালি দিয়ে হাসতে লাগলো)

ইফতিঃ শুধু তাকিয়ে আছে ওর হাসির দিকে,,,,,

মিসকাঃ আচ্ছা আরেকটা কথা বলি,,,,,!!!

ইফতিঃ একটা না তুমি যতো পারো বলো।একটার কথা বলে তো এত্তগুলা কথা বলো,,,

মিসকাঃ 😒যা বলছিলাম।আপনি এরকম হিরোদের মতো মারছিলেন।😱😱মারামারি না জানলে তো এভাবে কাউকে মারা যায় না। তাও আবার ৩ জন কে

ইফতিঃ একটু মুচকি হেসে,,,,, জানাটাকি খুব প্রয়োজন,,,,

মিসকাঃ প্লীজ প্লীজ বলুন না,,,,

ইফতিঃ আমি যখন ভার্সিটিতে পরতাম তখন আমরা ৪ জন বন্ধু ছিলাম।আর সবাই আমাদের কে ভয় পেতো সাথে সম্মান ও করতো।এমনকি স্যারেরাও ভয় পেতো,,৷

মিসকাঃ হা,,,য় কি বলেন!! তারপর,,,

ইফতিঃ যতো সমস্যা হতো। আমাদের কাছে এসে বলতো। আর আমরা সমাধান করতাম,,,,,মারামারিতে আমি ছিলাম,,,,ফার্স্ট

মিসকাঃ ইশশশ রাজ্য জয় করেছে,,,হাহ

ইফতিঃ বাবা অনেক বকাবকি করতো,,,,,আমি কেনো বিজনেসে জয়েন করি না।

জানো আমি বাইরে যতটা কঠিন ছিলাম ভেতরে ততটাই কোমল।আমার বাবা,মম বা আত্নীয় স্বজন কখনও বুঝতেও পারি নি আমি এরকম মারামারি করতাম,,,,,বাসার সবার কাছে আমি একদম অন্যরকমন থাকতাম, মিশতাম,,,

ইফতি কথা বলতে বলতে বুকে ভারী অনুভব করে,,,,ইফতি তাকিয়ে দেখে মিসকা ওর বুকের উপর ঘুমিয়ে আছে।একটা বাচ্চার মতো গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে,,,,

ইফতি ঃ একটু মুচকি হেসে মিসকার মাথায় নিজের মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে কখন যে ঘুমিয়ে গেলো,,,,,,,

সকালে সুর্যের আলো মিসকার চোখে পরতেই মিসকা চোখখুলে তাকালো,,,,,আধ ভাঙা ঘুম ঘুম চোখে দেখলো ও কারো বুকে লেপ্টে সুয়ে আছে। আস্তে আস্তে মাথা তুলে তাকাতেই চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে,,,,

মিসকাঃ একি আমি স্যারের বুকে এভাবে ছি ছি কি করবো এখন হঠাৎ কাল রাতের কথা মনে পরলো।ইফতি যখন কথা বলছিলো কথা গুলো শুনছিলো আর ঘুমে ঢলছিল কখন যে ঘুমিয়ে গেছে বলতেই পারবে না,,,,,

মিসকা আস্তে আস্তে উঠার চেষ্টা করলো,,,,,মিসকার নড়াচড়ায় ইফতির ঘুম ভেঙে যায়।দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেয়,,,,,

ইফতি একটু মুচকি হেসে উঠে গা ঝাড়তে থাকে,,,,

মিসকাঃ লজ্জায় মাটির নিচে চলে যেতে ইচ্ছা করছে।কিভাবে হলো,,,,,,, এখন তো সামনে যেতেও লজ্জা করবে,,,,,

ইফতিঃঐখান থেকে পানি নিয়ে হাতমুখ ধুয়ে নাও আমি দেখি মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় কি না দেখি,,,,

মিসকাঃ হুম,,,,

ইফতি মোবাইল নিয়ে বাইরে চলে গেলো,,,মিসকা ড্রাম থেকে পানি তুলে মুখ ধুয়ে নিলো,, ওরনার আচল দিয়ে মুখ মুছে নেয়,,,,,,

মিসকাঃ উফফ ভিষন ক্ষুধা পাইছে

ইফতিঃ চলো কাজ হয়ে গেছে। সিফাত(ড্রাইভার) আসছে,,,,,,আধা ঘন্টার মধ্যে চলে আসবে,,,,

মিসকাঃ হুম,,,,,,,,, বলে ব্যাগ টা নিয়ে ইফতির পিছনে হাটতে থাকে,,,,,,

প্রায় আধা ঘন্টা পর সিফাত আসলো,,,,,,মিসকা আর ইফতি গাড়িতে উঠে পরলো,,,,,,,

মিসকাঃ সিফাত ভাইয়া হিয়া কি করছে??জানো কিছু??

ইফতিঃ কোথায় আবার স্কুলে থাকবে!!

মিসকা আর সিফাত দুজনেই হেসে দিলো

ইফতিঃ কি হলো তোমরা হাসছো কেনো??

মিসকাঃ দেখছো সিফাত ভাই এনি নাকি হিয়ার বাবা।।তুমিও জানো হিয়ার কখন কি থাকে। আর এনার সে বিষয়ে খেয়ালই নাই

ইফতিঃতাই বলে হাসার কি আছে,,,,,হিয়া তো এমন সময় স্কুলেই থাকে,,,,,,

মিসকাঃ আজকে কি বার মনে আছে??

ইফতিঃ আ,,জ!আ,,,জ 🤔🤔 তো শুক্রবার,,,,,

মিসকাঃ তা শুক্রবার কি আপনি ক্লাস নিবেন। নাকি আপনি স্টুডেন্ট হয়ে পড়তে যাবেন

ইফতিঃ দাড়াও হাসছো তো এর মজা বুঝাবো পরে
(মনে মনে)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

#ভালোবাসার__টান,,,,,,,,,,,😍👸😍

#part::::::::::::(26)

#writer:::::::::::Tanzidaa Jannat

ইফতি,মিসকা,আর সিফাত( ড্রাইভার) তিনজনে ই পুরো রাস্তা হেসে মজা করে আসলো,,,,,,মিসকা বা ইফতি ওদের দুজনের কারোরই মনেই হচ্ছে না ওরা কাল এতোটা জার্নি করেছে,,,,,,গাড়ি এসে বাড়ির গেটে থামলো,,,,,,

ইফতি নেমে সামনে এগোলো,,আর মিসকা গাড়ি থেকে নেমে দাড়াতেই সিফাত বললো,,,

সিফাতঃ মিসকা আপু তুমি আমাকে ভাই বইলা ডাকো,,,আজ সেই অধিকারে একটা কথা বলি,,,,কিছু মনে করবা না তো??

মিসকাঃ সিফাত ভাই তুমি আমাকে একটা কথা বলবে তাও আবার পারমিশন চাইছো??
এতো হেয়ালী না করে বলো কি বলবে

সিফাতঃ আসলে মিসকা আপু,,,তুমি আসার পর থেকেই সব কিছু নরমাল হইতাছে,,,,এর আগে সব কিছু উল্টাপাল্টা ছিলো। ছোটদাদাবাবু ( ইফতি) বেশির ভাগই বাইরে থাকতেন।খালাম্মা আর বড় সাহেব কান্নাকাটি করতো।আর হিয়া মামনি তো ছোটই।ওর হাল তো আপনি এসেই দেখেছেন

মিসকাঃ😞😞😞

সিফাতঃআপুমনি আপনি এখান থেকে কোথায়ও যাইয়েন না।আপনি চলে গেলে সব আগের মতো অন্ধকার হয়ে যাইবো,,( বলেই চোখ মুছতে মুছতে বলে) জানেন নিলা ভাবী ছোট সাহেব কে অনে,,,,,বলতে যাবে তখনই ইফতি ডাক দিলো,,,,,

ইফতিঃ কি হলো সিফাত তোদের কথা কি এখনও শেষ হয় নি???এতো কি কথা বলছিস??

সিফাতঃ না ছোট সাহেব আসলে ,,,,,,,,

ইফতিঃ হইছে আর বলতে হবে না,,,,,,মহারানীকে ভিতরে আসতে বল,,,,,

মিসকাঃ সিফাতের দিকে একবার তাকিয়ে সামনে এগোতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো,,,,,সিভাত ভাই কি এমন বলতে চাইছিলো??কে এই নিলা। আর কেনইবা ইফতিকে ছেড়ে চলে গেল। ওর তো কোনো কিছু কমতি নেই তাহলে?? কি এমন হয়েছিল ওদের মাঝে যে নিলা চলে যেতে বাধ্য হলো,,,,এতো সুন্দর একটা সংসার একটা পরীর মতো মেয়ে এসব কিছু রেখে কেনো চলে গেলো,,,,,,
( হঠাৎ মনে হলো কেউ ওকে জরিয়ে ধরলো মিসকার তাকিয়ে দেখে মিসেস নিলুফা)

মিসেস নিলুফা ঃ কিরে মা কোথায় ছিলি তোরা??? জানিস আমি কতো চিন্তা করেছি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি

মিসকাঃ আমি আন্টির কথা গুলো শুনে তাকে জড়িয়ে শক্ত করে ধরলাম,,,,, আর বল্লাম আন্টি তুমি কেদোনা।অনেক দিন পর মনে হলো আমি আমার মাকে জড়িয়ে ধরেছি,,

মিসেস নিলুফা ঃ মোবাইল টাও তো অফ ছিলো,,,,,আমার শুধু খারাপ চিন্তা মাথায় আসছিলো,,,

ইফতিঃ বাহ,,,,,দুজনে তো ভালোই শুরু করছো,,,,,আর এদিকে আমাকে কারো চোখেই পরে না

মিসেস নিলুফা ঃ মিসকাকে ছেড়ে দিয়ে ইফতির কান ধরে বললো তুই আবার কথা বলিস। সবসময় আমাকে কস্ট না দিলে তুই শান্তি পাস না

হিয়া হাত তালি দিয়ে হাসছে আর বলছে,,,

হিয়াঃ কি মজা কি মজা দাদিয়া বাবাইকে মারছে,,,

মিসকা গিয়ে হিয়াকে কোলে নিলো।গালে একটা চুমু দিয়ে বললো। দেখেছো তোমার বাবাই কি হিংসুটে 😂

হিয়াঃ এজন্যই তো দাদিয়া পানিসমেন্ট দিচ্ছে

ইফতিঃ মম তুমি আমার সম্মানের ফালুদা বানাইয়া দিলে

মিসেস নিলুফা ঃ ইফতির কান থেকে হাতটা ছাড়িয়ে,,,,,,, বেশ করেছি অন্যায় করবি আর তোকে ছেড়ে দিবো?😢একটা ফোন করেও বলতে পারতি না। আমাকে শুধু কস্ট দিস

ইফতিঃ ওহহহ মম তুমি এতো চিন্তা কেনো করো বলোতো,,,,( চোখের পানি মুছে দিয়ে মাকে জরিয়ে ধরলো,,,)

মুফতিউর রহমানঃ কি হলোটা কি। ওরা সারারাত জার্নি করে এসেছে ওদেরকে ফ্রেস হতে দাও আগে তারপর তো সব সময় করে শুনতে পারবা,,,,,

মিসেস নিলুফা ঃ ও হ্যা আমি তো ভুলেই গেছি। যা তোরা ফ্রেস হয়ে আয়, , হিয়া দিদিভাই তুমি আমার কাছে এসো,,,,,

হিয়া মিসকার কোলে থেকে নেমে মিসেস নিলুফার কাছে গেলো,,,,

মিসকা আর ইফতি দুজনে উপরে চলে যায়,,,,,ইফতি ফ্রেস হয়ে নিচে নামতেই দেখে মিসকা খাচ্ছে আর মিসেস নিলুফা ওকে আদর করে খাওয়াচ্ছে,,,,,,

ইফতিঃ একটু মুচকি হেসে,,,,,মম তুমি মুটি টাকে এতো খাওয়াই ও না। একটু কম কম করে খাওয়াও

মিসকাঃ চোখ বড় বড় করে ইফতির দিকে তাকালো,,,,👁।

মিসেস নিলুফা ঃ তুই ওর পিছে পরে থাকিস কেন??আমার লক্ষী মেয়েটা মোটেও মোটা না,,,,,তোর চোখের ডাক্তার দেখা,,,,

ইফতিঃ হয়েছে হয়েছে হাহ,,,দিন ভর খাওয়া নিয়া পরে থাকে আর কেউ খেলো নাকি তার হিসেব নাই,,,,,

মিসকাঃ দেখছো আন্টি আমাকে খাওয়া নিয়ে কি সব খোটা দিচ্ছে

মিসেস নিলুফা ঃ না মা তুই খা,,,,,, ওর কথা তুই কানেও নিস না,,,,,,,,

ইফতিঃ উফফ আমার ও ক্ষুধা পাইছে,,,,,, এবার আমাকেও তো কিছু খেতে দিবা না কি”!!///

মিসেস নিলুফা ঃ তোর খাওয়া বন্ধ,,,,,

ইফতিঃ যা বাবা”!!আমি আবার কি করলাম,,,,

মিসেস নিলুফা ঃ কি করছিস মানে কি??আমার মেয়েটাকে বিরক্ত করিস এর সাজা তোর

মিসকা ঃ মুচকি হাসছে একদম ঠিক হয়েছে। আমার সাথে মজা করা,,,( মনে মনে)

ইফতিঃ😟তাই বলে তুৃমি তোমার ছেলের সাথে এমন করতে পারবা??

মিসকাঃ থাক আন্টি ক্ষুধার্ত কে খাবার দিতে হয় 😛।তা না হলে আমাদের পেটে অসুখ হতে পারে

ইফতিঃ থাক খাবো না,,,,,

মিসেস নিলুফা ঃ কথা কম বলে চুপচাপ খেয়ে নে,,,( প্লেটে খাবার বেরে দিয়ে,,,)

ইফতিঃ খাচ্ছি

মিসকাঃ আমি উঠি আন্টি। হিয়াটা রুমে একা আছে,,,,,,

ইফতিঃ কিছু না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে,,,,,,
ইফতির ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো,,,,

ইফতিঃ হ্যালো,,,,,নাবিলা বলো,,,
ও আচ্ছা,,,,পার্টি কি কাল সন্ধ্যায়??

আচ্ছা ঠিকাছে তুমি সব স্টাফদের ইনফর্ম করে দাও,,,,

মিসকা রুমে ঢুকে দেখছে হিয়া গান শুছে তার সাথে নাচছে,,,,,

মিসকাঃ ওরে বাবা আমার প্রিন্সেসটা তো আবার নাচতেও পারে,,,,

হিয়াঃ আন্টিইইইই।চলো আমরা দুজন ডান্স করবো

মিসকাঃহুম আইডিয়া টা খারাপ না,,,,চলো একসাথে ডান্স করি,,

হিয়া ঃ দাড়াও ভালো একটা গানটা আগে ছাড়ি,,,,,,,

হিয়া গিয়ে গানটা পাল্টে দেয়,,,,

মিসকা হিয়ার সাথে নাচ করতে করতে পরে যাচ্ছিলো,,,,,হঠাৎ মনে হলো কেউ ওকে ধরে রেখেছে,,,,

চোখ খুলে মিসকা ইফতিকে দেখতে পেলো,,,,,

ইফতিঃমিসকার দিকে তাকিয়ে একটা চোখ টিপ মেরে😉 ছেড়ে দিলো,,,,

মিসকাঃ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধপ করে নিচে পরে গেলো,,,,আ,,,,হ

ইফতি পেট ধরে হাসছে ।

হিয়া এতক্ষণ এসব কিছু খেয়াল করে নি।মিসকার চিৎকারের শব্দ পেয়ে তাকতেই দেখে মিসকা নিচে পরে আছে আর ইফতি হাসছে,,,,,,

হিয়াঃ একি আন্টি তুমি নিচে পরে আছো কেনো??

বলেই হিয়া মিসকাকে হাত দিয়ে উঠালো,,,,,,,

মিসকাঃখাডাস,শয়তান, বাদুর হনুমান, গন্ডার,বজ্জাত একটা আমাকে কস্ট না দিলে ভালো লাগে না
আমাকে কেমনে ফেলে দিলো,,,,,,😠ধরতে বলে ছিলো কে আর ধরলি তো ধরলি এভাবে ফেললিই কেন??😡😡ইচ্ছে করছে পঁচা ডোবায় চুবিয়ে আনি।গোবর পানি মাথায় ঢাললে এর মাথা যদি একটু ঠিক হয়
( মনে মনে)

ইফতি হিয়ার কাছে এসে,,,,,,,,,,, হাটু গিরে বসে

ইফতিঃহিয়া তুমি কি জানো তোমার আন্টি একটা পাগলি😬।এখন দেখবা হাসছে, আবার দেখবা নাচছে আবার দেখবা ইচ্ছে করে পরে গেছে

মিসকাঃকি?😠😠?? ( চোখ বড় বড় করে)

ইফতিঃ কি কি??যা বলেছি একদম তো ঠিকই বলেই,,,,,,

মিসকাঃ এই আপনি কিন্তু এবার,,,,,( বলতে না বলতে)

ইফতিঃ থামো তো। শুধু চেচাঁমেচি করে আমার কানের বারোটা বাজিয়ে ফেলছো।

যাই হোক কাল সন্ধ্যায় একটা প্রোগ্রাম আছে রেডি থেকো তুমি আর হিয়া,,,,,

মিসকাঃ😏😏😏

ইফতিঃ মুখ বাকা করে লাভ নাই।ঠিক সময়ে রেডি না থাকলে কি অবস্থা যে বানাবো তা তো তুমি বুঝই

বলেই মিসকাকে কোলে নিয়ে একটা চুমু দিয়ে নিয়ে গেলো,,,,,,,,

মিসকাঃ খালি হুকুম দারী,,,,,😡,,,,,যাবো না আমি। আমাকে কথা শুনাবে না হয় কস্ট দিবে,,,,
রাক্ষস একটা বদের হাড্ডি আম্মু আমি কোথায় এসে ফেসে গেলাম

বলেই মিসকা বারান্দায় গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,কয়েকটা তারা উঠলেও চাঁদ উঠে নি,,,,,,বান্দায় দাড়াতে ফুলে মিস্টি ঘ্রানে মাতাল করে তুলেছে চারিপাশ খুবেই ভালো লাগছে ওর।এতক্ষণ ইফতি যে ওকে রাগিয়ে দিয়েছে।তা ও ভুলেই গেলো,,,,,,

চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here