#বিয়াইন_সাহেবের_প্যারা,পর্ব ৪
#Sazzad_KR
মিজুঃ তুই আবার কোথা থেকে এসেছিস
আমিঃ এলাম এক গ্রহ থেকে..?
নিলা(আরেকবন্ধু)ঃ কোন গ্রহ থেকে এসেছিস বল
আমিঃ ভাবীর সাথে তার বাসায় গিয়েছিলাম।
নিলাঃ সেখানে দিন কেমন কাটল..??
আমিঃ ভালো..?
তারপর নিলা এমন একটা কথা বলল যেটা শুনে সবাই হেসে ওঠল..?
নিলাঃ ভালো তো কাটবে তোরা তো বুঝিসনি কোন মেয়ের সাথে এতদিন সেখানে থেকেছে..।।
কথাগুলো বলে সবাই হাসতে লাগল।
আমিঃ তোরা হাসছিস কেন..?
নিলাঃ তার আগে বল আমার কথা সত্য কিনা..?
আমিঃ হুম তোর কথা পুরো সত্য
নিলাঃ তা মেয়েটা কে..?
আমিঃ সেটা পরে বলব এখন ক্লাসে চল
তারপর ওদের আর কিছু বলতে না দিয়ে ক্লাসে নিয়ে এলাম।
ক্লাসে এসে সবার সাথে গল্প করছিলাম।
তখনি স্যার ক্লাসে প্রবেশ করল। তারপর আর কথা বলতে পারলাম না।
একে একে সবগুলো ক্লাস করে বাইরে এলাম৷
বাইরে এসে মিজুকে বললাম।
আমিঃ আজকে সাকিব আসেনি.?
মিজুঃ না আজকে সাকিবের কি যেন কাজ আছে তাই সেখানে গেছে.।
আমিঃ ওওও আচ্ছা তাহলে থাক বাসায় চলে যায়
তারপর বাসায় চলে এলাম বিকেল বেলা মোড়ে গেলাম
মানে যেখানে আমরা আড্ডা দেয় সেখানে গিয়ে দেখি।
সাকিব সহ আরো অনেকে বসে আছে।
আমিও গিয়ে ওদের সাথে বসে আড্ডা দিতে লাগলাম।
আড্ডা দিয়ে রাতে বাসায় চলে এলাম।
পরেরদিন আবার ভাসির্টি গেলাম ক্লাস করে বাসায় চলে এলাম। বিকেলবেলা আবার আড্ডা দিতে গেলাম।
এভাবে কেটে ৩ মাস…??
পরশু থেকে আমার ফাইনাল এক্সাম। তাই পড়াশুনার চাপ অনেক বেড়ে গেছে।
দেখতে দেখতে পরীক্ষার দিনটাও চলে এলো। একে একে সকল এক্সাম দিয়ে দিলাম৷
শেষ এক্সামের দিন পরীক্ষা দিয়ে সবার সাথে কথা বলে নিলাম।
কারণ জানিনা আবার কবে কথা হবে..?
কথা বলে বাসায় আসতেছিলাম তখন ভাবী আমাকে ফোন করল।
আমি কলটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভাবী বলতে লাগল।
ভাবীঃ হ্যালো সাজ্জাদ তোর পরীক্ষা কি শেষ হয়েছে..?
আমিঃ হ্যাঁ ভাবি আমি বাসায় আসছি..।
ভাবীঃ বাসায় আসার আগে একটু বাসস্ট্যান্ডে যা।
আমিঃ কেন.???
ভাবীঃ আরে আজকে ইরা আসবে কালকে রাতে আমাকে জানিয়েছে তোকে বলব আমার মনে ছিল না। এখন ফোন করে বলল ও নাকি এসে গেছে কাউকে পাঠিয়ে দিতে বলল
আমিঃ আচ্ছা ভাবী তুমি চিন্তা করো না আমি গিয়ে ইরাকে নিয়ে আসছি..।
ভাবীঃ ঠিক আছে নিয়ে আয়.।
ফোনটা কেটে দিয়ে বাইক নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গেলাম গিয়ে ইরাকে খুজতে লাগলাম.।
কিন্তু ইরাকে কোথাও পাচ্ছি না৷ ওর নাম্বারটাও আমার কাছে নেই যে কল করে জেনে নিব কোথায় আছে।
অন্য কোনো উপায় না পেয়ে এভাবেই খুজতে লাগলাম একটু খোজার পর আমি ইরাকে পেয়ে গেলাম।
বাস কাউন্টারের ভেতরে গিয়ে বসে আছে। আমি ইরার কাছে গিয়ে বললাম।
আমিঃ তুমি এখানে বসে আছো আমি তোমাকে পুরো বাসস্ট্যান্ড খুজে চলেছি..?
ইরাঃ আমিতো এখানে সেই কখন থেকে বসে আছি। তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
আমিঃ হুম এখন কথা না বলে চল বাসায় যাওয়া যাক.?
ইরাঃ ঠিক আছে চলো।
ইরাকে আমার বাইকের কাছে নিয়ে এলাম তখন ইরা আমাকে বলল..।
ইরাঃ আমরা বাইকে যাব নাকি..?
আমিঃ হ্যাঁ আমি বাইক নিয়ে এসেছি এখন কথা না বলে বাইকে ওঠে পড়ো..।
ইরা কিছু না বলে বাইকে ওঠে পড়ল। আমিও বাইক নিয়ে বাসায় দিকে যেতে লাগলাম।
অধের্ক রাস্তা আসতেই ইরা এমন একটা কাজ করল যেটার জন্য আমি প্রস্তত ছিলাম না।
কারণ ইরা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল।
ইরাঃ একটা কথা বলার ছিল..?
আমিঃ কথাটা বলার আগে আমাকে ছাড়ো রাস্তার লোকজন দেখলে খারাপ ভাববে..?
ইরাঃ আরে কিছুই হবে না তার আগে আমার কথাটা শুন..?
আমিঃ হুম বলো কি বলবে..?
ইরাঃ সামনে ফুচকার দোকান দেখতে পাচ্ছি চলো সেখানে গিয়ে ফুচকা খেয়ে আসি (ফুচকার দোকান দেখিয়ে)
আমিঃ না এখন ফুচকা খাওয়া ঠিক হবে না রাতে আমি বাসায় যাওয়ার সময় কিনে নিয়ে যাব..।
ইরাঃ এখন খেলে কি হবে.?
আমিঃ এখন খাওয়া যাবে না বাসায় গিয়ে লাঞ্চ করব। তোমাকে রাতে ফুচকা কিনে দিবোনি..?
ইরাঃ ঠিক আছে তাহলে রাতে কিন্তু আমাকে ফুচকা দিতেই হবে..?
আমিঃ ঠিক আছে দিব এখন আমাকে ছাড়ো বাইক চালাতে অসুবিধা হচ্ছে..?
তারপর ইরা আমাকে ছেড়ে দিল। একটু পর বাসায় চলে এলাম৷ বাসায় এসে বাইক থামিয়ে ইরাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গেলাম।
ভাবী ইরাকে দেখা মাএই জড়িয়ে ধরে গল্প শুরু করে দিল।
আমি দুই বোনের মাঝখানে কাটা হয়ে থাকতে চাইলাম না
তাই নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে এলাম।
আজকে খাবার টেবিলে অন্য রকম খাবার দেখছি। এইসব কার জন্য সেটা জানার জন্য বললাম
আমিঃ ভাবী এইসব কার জন্য..?
ভাবীঃ ইরার আসবে দেখে রান্না করেছি..?
আমিঃ ভালো তা ইরা কোথায় গেছে.?
ভাবীঃ ফ্রেশ হতে গিয়েছে তুই বস তোকে খাবার দেয়..।
আমি কথা না বলে চেয়ারে বসে পড়লাম। ভাবী খাবার দিল আমি সেগুলো খেতে লাগলাম।
খাবার খেয়ে নিজের রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বিকেলবেলা আমার ঘুম ভাংল কারো ডাকে ঘুম চোখ খুলে দেখি…?
#চলবে