প্রিয়_অভিমান🥀🥀পর্ব-২৩
#ফাবিহা_নওশীন
||
বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। পুরো কলোনিতে বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকার কলোনির কর্দমাক্ত রাস্তা বাজ পড়ার কারণে দিনের আলোর মতো ঝলমলিয়ে উঠছে আবার মুহুর্তেই মিলিয়ে যাচ্ছে। এমনই বর্ষণরত রাতে হাজারো যুবক-যুবতী প্রেম গাথা তৈরি করছে। ছন্দে, উপমায় নিজেদের সুপ্ত অনুভূতি প্রকাশ করছে। ফালাক আর রুহানি ফোনালাপে প্রেম-কাব্য রচনা করছে। রুহানি চাঁদরটা গায়ে ভালো করে জড়িয়ে নিল। শীত শীত লাগছে।
ফালাক বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে বৃষ্টির পানি ছুয়ে বলল,
“রুহানি বারান্দায় এসে দেখো কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে।”
“হু, সাথে বাজ পড়ছে আর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমি বারান্দায় যাব না। দরজা বন্ধ করে দিয়েছি অনেক আগে।”
“রুহানি যে এত ভীতু জানতাম না তো। বাজ পড়ার শব্দে ভয় পায়? হাও সুইট!”
“মজা করছো না? আমার সত্যিই ভয় লাগে। হার্ট দুর্বল কি-না তারপর দেখা গেল হার্ট এটাক করে মরে টরে গেলাম।”
ফালাক রাগ দেখিয়ে বলল,
“এসব কি বলো? মরে-টরে যাবে মানে কি? যদি আরেকবার মরে যাওয়ার কথা বলো তবে খুব খারাপ হয়ে যাবে।”
“আচ্ছা ভাই, বলব না।”
ফালাক নাক ছিটকে বলল,
“ভাই? সিরিয়াসলি?”
“উমম, তাহলে কি আংকেল লাগো তুমি? আংকেল বলব?”
“কি বলবে সেটা আগামীকাল ভার্সিটিতে আসো তারপর বুঝাচ্ছি। আর শুনো তোমার সাথে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।”
রুহানি উঠে বসে বলল, “কি কথা?”
“সেটা আগামীকাল সামনাসামনি বলব। এখন ঘুমাও। অনেক রাত হয়েছে। আর হ্যাঁ আমাকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখতে ভুলো না।”
রুহানি ফালাকের কথা শুনে হেসে ফেলল। তারপর বলল, “আচ্ছা। গুড নাইট।”
ফালাক কিছু না বলে কান পেতে রইল। ফালাকের উত্তর না পেয়ে রুহানিও চুপ করে রইল। তারপর মুচকি হেসে ফোন কেটে দিল।
.
রুহানি আজ পরিপাটি হয়ে ভার্সিটিতে যাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিজেকে দেখছে। কোনো কমতি চোখে পড়ছে না। আজ রিলেশনের প্রথম দিন ফালাকের সাথে দেখা হবে। তাই কোনো কমতি থাকা যাবে না। রুহানি শেষ বার নিজেকে দেখে পূর্নতার হাসি হাসল।
.
ভার্সিটিতে ঢুকতেই রুহানির ফোনে টুং শব্দ করে মেসেজ এলো। রুহানি দ্রুত মেসেজ ওপেন করল। ফালাক মেসেজ করেছে। ওকে পুকুর পাড়ে যেতে বলেছে।
রুহানি পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখে ফালাক পা ভিজিয়ে বসে আছে। রুহানি পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই ফালাক ওর হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিল। রুহানি চুপচাপ ওর পাশে বসে আছে।
ফালাকও কিছু বলছে না।
কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ফালাক বলল,
“তুমি এত ঠান্ডা কবে হলে? এমন চুপ করে বসে আছো কেন?”
“আচ্ছা, কিছু বলার কথা কার? তোমার না আমার? তুমিই তো কিছু বলার জন্য ডেকেছো। এখন চুপ করে আছো।”
ফালাক পা উঠিয়ে বলল,
“ভালো কথা মনে করেছো।”
ফালাককে খুবই সিরিয়াস মুডে লাগছে। রুহানিও সিরিয়াস হয়ে ওর কথা শোনার প্রস্তুতি নিল।
“আচ্ছা, আহিলের সাথে কথা বলবে কবে? ওর সাথে কথা বলে সব ক্লিয়ার করা জরুরী। আর সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। নয়তো পরিস্থিতি বিগড়ে যাবে। তুমি আজই ওর সাথে কথা বলবে। এই টেনশন আর নিতে পারছি না। একদিনেই হাপিয়ে গেছি। সারারাত ঘুমাতে পারি নি।”
রুহানি আমতা আমতা করছে। রুহানির এমন ফেস দেখে ফালাক কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ল।
“হোয়াট রুহানি? কিছু বলছো না কেন?”
রুহানি ফালাকের দিকে অসহায় ফেস করে তাকাল। তারপর বলল,
“বুঝতে পারছি না কি করে সবকিছু ফেস করব।”
ফালাক সংকোচিত করে বলল,
“কি করে ফেস করবে মানে? তুমি কি আহিলকে সব ক্লিয়ার করতে চাও না? ওর লাইফ থেকে বেরিয়ে আসতে চাও না?”
রুহানি ফালাকের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির প্রতিউত্তরে বলল,
“রাগ করছো কেন? আমি অবশ্যই চাই এসব থেকে বেরিয়ে আসতে। আমার কি ভালো লাগছে? আমি ভাবছি বাবা আর মা’য়ের কথা। বিশেষ করে বাবার কথা। জানি না তাদের কি রিয়েকশন হবে। বাবা এমনিতেই অসুস্থ।”
ফালাক রুহানির বাবার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে বলল,
“সবাইকেই সত্যিটা ফেস করতে হবে। কিন্তু প্রথমে তুমি আহিলের সাথে কথা বলো। ওকে তোমার আর আমার সব কথা বুঝিয়ে বলো। ও যদি বুঝে যায় আর নিজে থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এখুনি আংকেল আন্টিকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।”
রুহানি ফালাকের কথার সাথে একমত হয়ে বলল,
“ঠিক বলেছো। আমি আগামীকালই আহিলের সাথে দেখা করে সব কিছু জানাব। দেখা যাক কি হয়।”
“তুমি চাইলে আমি উনার সাথে কথা বলতে পারি। যদি তুমি বলতে না পারো। আর বলার পর না জানি উনার কি রিয়েকশন হবে। তাই আমি তোমার সাথে যেতে চাইছি।”
রুহানি বাঁধা দিয়ে বলল,
“প্রয়োজন নেই ফালাক। আমি একাই সব ম্যানেজ করে নেব। তোমার যাওয়াটা উচিত হবে না। আমাদের একা কথা বলা উচিত।”
ফালাক কিছুক্ষণ উশখুশ করে বলল,
“তোমাকে একা ছাড়তে ইচ্ছে করছে না।”
রুহানি বিরক্তির ভঙ্গিতে বলল,
“আহিল আমাকে খেয়ে ফেলবে না। উনি বাঘ-ভাল্লুক না। আর আমি উনাকে হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা রাখি।”
ফালাক রুহানিকে রেগে যেতে দেখে বলল,
“ওকে ওকে তুমি একাই যেও।”
ফালাক মনে পড়ার ভঙ্গিতে বলল,
“দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কথা শোনো।”
রুহানি অবাক হয়ে বলল,”আরও?”
ফালাক রুহানির হাত নিজের হাতে নিয়ে বলল,
“রুহানি প্লিজ কিছু লুকাবে না। ইতস্ততও করবে না। আমি তোমার পর নই। ইন ফিউচার আমাদের বিয়ে হবে ইনশাআল্লাহ। তাই আমি যা জিজ্ঞেস করি বলবে প্লিজ।”
রুহানি ফালাকের মুখের দিকে চেয়ে আছে। ফালাক ওকে কি জিজ্ঞেস করবে। এত ফর্মালিটি কিসের জন্য।
ফালাক আবারও বলতে শুরু করল,
“কি হয়েছিল তোমাদের সাথে? তুমি বলেছিলে আপনজন তোমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তোমাদের কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ভেতরের খবর তো তোমরা আর তোমাদের আপনজনরা জানে। তাই আমাকে সবটা বলো।”
রুহানি ইতস্তত করে বলল,”বাদ দেও পুরনো কথা।”
“তুমি কি এখনো আপন ভাবতে পারো নি? আমি কি তোমার পর?”
ফালাকের ইমোশনাল কথায় রুহানি বলতে শুরু করল,
“আমার মামা লোভী প্রকৃতির মানুষ। অনেক বার উনার জন্য আমাদের কোম্পানি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আর বাবা বারবারই মাফ করে দিয়েছেন। কিন্তু লাস্ট টাইম একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। আমরা যে ডিলটা পেতে যাচ্ছিলাম তাতে মামা বাগড়া দেয়। আর বাবা রেগে যায় খুব। অনেক ততর্কবিতর্ক হয়। মামা বাবাকে হুমকি দিয়ে যায় এক প্রকার। ডিল সাইন হয়। ব্যাংক লোন পাশ হয়, লোন পাই, কাজও শুরু হয়। মামা সহ্য করতে পারে নি। কেননা ডিলটা তার চাই। সে আমাদের কোম্পানির কাউকে হাত করে সব ইনফরমেশন লিক করে দেয়। এতে ডিলের কিছু শর্ত লঙ্ঘন হয়। অনেক ঝামেলা হয় এক পর্যায়ে ডিল ক্যান্সেল হয়ে যায়। তারপর মামলা, উকিল, কোর্ট এসব করে অনেক দিন যায়। আমাদের কোম্পানির অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে শুরু করে। পরবর্তীতে নানান সমস্যা এটা সেটা সব শেষ।”
রুহানি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। ওর চোখ ছলছল করছে।
ফালাক রুহানির হাত চেপে ধরে বলল,
“শক্ত হও রুহানি। উনাকে উনার পাপের শাস্তি পেতে হবে। আমি সব তদন্ত করার জন্য মামলা করব, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যদি তুমি অনুমতি দেও।”
রুহানি মুখ তুলে ফালাকের দিকে চেয়ে বলল,
“যদি ভালো রেজাল্ট না আসে। তাহলে শুধু শুধু এসব ঝামেলায় জড়ানোর কি প্রয়োজন?”
ফালাক রুহানিকে আশ্বস্ত করে বলল,
“চেষ্টা তো করে দেখতে পারি। আমার উপর ভরসা রাখো। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আমি জানি তোমার আত্মসম্মান অনেক বেশি। তাই যত টাকা খরচ হবে আমি সব টুকে রাখব। তুমি পরে আমাকে ফেরত দিয়ে দিও।”
রুহানি কেন জানি আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। ওর মামাকে শাস্তি দেওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছে৷
“আচ্ছা ঠিক আছে। আমাকে কি করতে হবে?”
“সে-সব সময় হলেই জানাব৷ এখন তুমি আহিলের ব্যাপারটা দেখো।”
.
রুহানি ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে নিজের বিছানায় শুয়ে শুয়ে। আহিলকে ফোন করে দেখা করার কথা বলতে হবে। কিন্তু ফোন করতে পারছে না। কেন যেন উশখুশ করছে। তখনই রুহান ওকে ডাকতে এল।
“আপু আহিল ভাই এসেছে। তোর সাথে না-কি কি দরকার।”
আহিলের কথা শুনে রুহানি লাফিয়ে উঠে বসে। তারপর এক প্রকার দৌড়ে রুম থেকে বের হয়। আহিল ড্রয়িংরুমে বসে আছে। ওকে বিষন্ন লাগছে খুব। রুহানিকে দেখে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“তোমার সাথে একটু জরুরী কথা ছিল। আমার সাথে একটু ছাদে যাবে প্লিজ।”
এত রাতে ছাদে কি কাজ এসব প্রশ্ন মনে এলেও রুহানি যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেল।
রুহানি ছাদের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়াতেই আহিল ওর বরাবর দাঁড়াল। তারপর বলল,
“আমি যে এত বছর তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি, তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, কাউকে আমার জীবনে আসতে দেই নি তার প্রতিদান কে দিবে?”
রুহানি বিস্ময় নিয়ে বলল,
“প্রতিদান! কিসের প্রতিদান? আমি কিছু বুঝতে পারছি না।”
“আমি তোমার আর তোমার প্রেমিকের কথা বলছি। এইজন্যই তুমি বারবার আমাকে বিয়ে করবে না বলেছো। কিন্তু আমি বুঝতে পারি নি। তোমার প্রেমিক আছে বলেই যখন বাবা বিয়ে ভেঙে দেয় তুমি প্রতিক্রিয়া দেখাও নি। এইজন্য তুমি আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইতে না। এখন আমার কাছে সব ক্লিয়ার। তুমি আমাকে এতবছর ধোঁকার মধ্যে রেখেছো। কিন্তু কেন?”
রুহানির মাথা ভনভন করছে। ফালাকের ব্যাপারটা যে জেনেছে সেটা বুঝতে পারছে। এতে সুবিধাই হলো কিন্তু ওর নামে যে অভিযোগ এনেছে তা তো ভুল।
“আপনার মাথা ঠিক আছে? আপনি কি বলতে চাইছেন আমি আপনার সাথে কমিটমেন্টে থাকার পরেও অন্য জনের সাথে রিলেশনে গিয়েছি? যদি আপনি এটাই মিন করে থাকেন তবে আপনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। আপনার বাবা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সাথে সাথে আমার আর আমার পরিবারের জন্য সব সেদিনই শেষ হয়ে গেছে। তারপর ফালাক আসে আমার জীবনে। কিন্তু আমার জীবনে এতটাই ঝড় বয়ে গেছে সে সাহস করতে পারি নি, বুঝেও বুঝতে চাই নি। নিজের অনুভূতিকে এড়িয়ে গিয়েছি। কিন্তু একটা সময় আর পারি নি। তাই আপনাকে বলেছি আমি বিয়ে করব না। ফালাকের কথা না বলার কারণ হচ্ছে তখন ফালাক আর আমার সম্পর্ক ছন্নছাড়া ছিল। রাগ-অভিমান চলছিল। আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে দুজনেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। তাই সময় চেয়েছি। গতকাল সব ঠিক হওয়ার পরে আপনাকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেই। এই যে দেখুন ফোনটা আমার হাতে। আমি আপনাকেই ফোন করতে যাচ্ছিলাম। আপনার সাথে যখন দেখা হয়েই গেল তখন বলছি আমি আর ফালাক একে অপরকে ভালোবাসি। আপনার জানার অধিকার আছে তাই জানালাম। আপনার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হলেও সেই অনুভূতি আপনার প্রতি আমার তৈরি হয় নি যা ফালাকের জন্য হয়েছে।”
রুহানি এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে জোরে শ্বাস নিল।
আহিল স্তব্ধ হয়ে আছে। ওর দৃষ্টি মেঝের দিকে।
আহিলের ভেতরে ঝড় বইছে। কি করবে বুঝতে পারছে না।
রুহানিকে ছোট্ট করে বলল,
“জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমি আজ আসছি।”
আহিল এক মুহুর্ত না দাঁড়িয়ে চলে গেল।
.
রুহানি বাড়ির ভেতরে যাওয়ার পর ওর মা বারবার জিজ্ঞেস করছে,
“আহিল কি বলল? কোন সমস্যা?”
“মা কিছু হয় নি। এমনি এসেছিল কথা বলতে।”
“কিন্তু ওকে দেখে তো তা মনে হচ্ছিল না। কিছু হয়েছে? বল না?”
“মা, আমার কথা বিশ্বাস না হলে তুমি ফোন করে জিজ্ঞেস করো।”
রুহানি বিরক্তি নিয়ে ফোন ঘাটতে ঘাটতে ঘাটতে রুমে যাচ্ছে।
রুহানির মা একা একা বলছে,
“যাক কিছু না হলেই ভালো। আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কি না কি হয়েছে। আল্লাহ বাঁচিয়েছে।”
রুহানি মায়ের বিড়বিড় কথা শুনে থমকে দাঁড়িয়ে গেল। তারপর মায়ের দিকে ঘুরে মায়ের আস্বস্ত মুখটা দেখে বলল,
“কেন মা ভয় কেন পেয়েছিলে? আহিল হাতছাড়া হয়ে গেল কি-না, তোমার মেয়ের কপাল পুড়লো কি-না এসব ভাবছিলে? মেয়ের কথা ভাবার সময় আছে তোমাদের?”
রুহানির মা ওর কথা শুনে হতবাক।
চলবে…