তোমার_আমার_চিরকাল🌸 || পর্ব – ১২ || #লেখনীতে_বিবি_জোহরা_ঊর্মি

#তোমার_আমার_চিরকাল🌸
|| পর্ব – ১২ ||
#লেখনীতে_বিবি_জোহরা_ঊর্মি

আকাশে ঘনকালো মেঘ জমেছে। বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা বেশি। চারদিকে কেমন অন্ধকার হয়ে গেছে। এইতো কিছুক্ষণ আগেও আকাশে সূর্যটা ঝলমল করেছে। সারা শহরে রোদ ছড়িয়ে আলোকিত করেছে। আর এখন, সূর্য মুখ লুকালো মেঘের আড়ালে। প্রকৃতির কত রুপ! এই রোদ, এই বৃষ্টি। ক্ষণে ক্ষণে রুপ পরিবর্তিত হয়। মানুষের জীবনও মুহুর্তেই পালটে যায়। তাদেরও অনেক রুপ! এই হাসি, এই কাঁন্না। খুব খুশি মনেই বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়েছিল মীরা আর তুর্য। কিন্তু শেষ পরিণতি এতো ভয়াবহ হবে কে জানত! মানুষের জীবনের এক সেকেন্ডও বিশ্বাস নেই।

সদ্য জ্ঞান ফিরেছে মীরার। পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে একটা ঘরের মধ্যে আছে সে। কিন্তু পরক্ষণেই চারপাশে চোখ বুলিয়ে বুঝলো এটা হাসপাতাল। আস্তে করে শোয়া থেকে উঠে বসলো মীরা। হাতে টান পড়ল। হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে সেলাইন নল লাগানো। মীরা ভাবতে থাকে সে কিভাবে এখানে এলো? তার কি হয়েছে? মাথায় যন্ত্রণা করে উঠলো তার। মাথায় হাত চেপে ধরলো। কানে বাজতে লাগলো দুটো শব্দ৷ “বি*স্ফো*রণ হয়েছে।” মীরার মস্তিষ্ক তখন জানান দিল তুর্যর খবর। তুর্য যে সে-ই মার্কেটের ভিতরে গিয়েছিল, আর ফিরে আসেনি। তারপরেই তো…।
মীরা উত্তেজিত হয়ে যায়৷ ছটপট করতে থাকে। হাতের সেলাইন নলটা এক ঝটকায় খুলে ফেলল। ‘তুর্য ভাই’ বলে বেড থেকে নেমে গেল। তখন একজন নার্স এসে মীরার সাথে রেগে গেল। “আপনি সেলাইন নল খুললেন কেন?”
মীরা নার্সের কথায় কান দিল না। নার্স তাকে ধরতে এগিয়ে এলেই তাকে ধাক্কা দিয়ে সে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়। কেবিনের বাহিরে এসে মীরা এদিক ওদিক চোখ বোলায়। কোন দিকে যাবে ও? আর তুর্য? তুর্য কোথায় এখন? মীরার মনে অজানা ভয় ডুব দিচ্ছে। তুর্যর কিছু হলো না তো আবার? হাসপাতালের বারান্দায় অনেক মানুষজন। মীরা একপাশ ধরে হেটে চলেছে। কেবিনগুলো তে উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখছে কোথাও তুর্যকে পাওয়া যায় কিনা! কিন্তু না। সে খুঁজেই পাচ্ছেনা তুর্যকে। হতাশ হয়ে গেল মীরা। পাগল পাগল লাগছে নিজেকে। ডুকরে কেঁদে উঠল মীরা। একটা বেঞ্চিতে বসে পড়ল সে। কাঁদছে ভিষণ। তুর্যকে হারানোর ভয় তাকে গ্রাস করে রেখেছে। মীরার কাঁন্নার মাঝে হঠাৎ তার সামনে এক ছায়ায় আবির্ভাব হলো। মীরা কাঁন্নার শব্দ বন্ধ করে দেয়। চোখ তুলে সেই ছায়া অনুসরণ করে উপরের দিকে তাকায় সে। সামনের মানুষটিকে দেখে মীরা বেঞ্চি থেকে উঠে বসে। আহান এসেছে। মীরা উত্তেজিত কণ্ঠে আহানকে জিগ্যেস করে। “আ..আপনি? আপনি জানেন আমার তুর্য ভাই কোথায়? আমি তাকে খুঁজে পাচ্ছিনা। প্লিজ আমার তুর্য ভাইকে খুঁজে দিন। প্লিজ খুঁজে দিন।”
মীরা আবারও কেঁদে উঠে। আহান নিজেকে সামলে মীরার হাত ধরে তাকে বেঞ্চিতে বসায়। মীরা সমানতালে কেঁদে যাচ্ছে। আহান মীরাকে উদ্দেশ্য করে বলে, “মিস! শান্ত হোন আপনি। এভাবে ভেঙে পড়লে কিভাবে হবে? তুর্য কোথায় তা আমি জানি।”
আহানের মুখে তুর্যর কথা শুনে মীরা আশার ঝিলিক দেখতে পায়। মীরা আহানকে বলে, “আমায় তুর্য ভাইয়ের কাছে নিয়ে চলুন প্লিজ।”
“আমি নিয়ে যাব। কিন্তু আপনি শক্ত থাকবেন।”
“শক্ত থাকব মানে? কি হয়েছে তুর্য ভাইয়ের?”
“চলুন আপনি। গেলেই দেখতে পারবেন।”
আহান মীরাকে ধরে উঠালো। মীরাকে নিয়ে চললো তুর্যর কেবিনে।

.
সারা শরীরে ব্যান্ডেজ নিয়ে একটা কেবিনে শুয়ে আছে তুর্য। মুখে তার অক্সিজেন মাস্ক। শরীরের কোথাও এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তার ব্যান্ডেজ নেই। শুধু মুখের অংশ ছাড়া। জ্ঞান নেই তার। আহান মীরাকে নিয়ে তুর্যর কেবিনের সামনে আসে। মীরার চোখ পড়ে আহত তুর্যর দিকে। যার সারা শরীরে ব্যান্ডেজ। মীরা ভয় পেয়ে যায়। নার্ভাস হয়ে আহানকে জিগ্যেস করে। “তুর্য ভাইয়ের শরীরে এতো ব্যান্ডেজ কিসের? কি হয়েছে তার?”
জবাবে আহান বলে, “ওনার শরীরের পঁচানব্বই শতাংশই পুঁড়ে গেছে। ডাক্তার বলেছেন ক্রিটিকাল অবস্থা। আমি মিরাজকে খবর দিয়েছি। জানি না কি হবে শেষ পর্যন্ত।”
আহানের মুখে এসব শুনে মীরার যেন পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। সে দু’কদম পিছে গেল৷ মাথা ঘুরে উঠল। সমস্ত মুখ অস্বস্তিতে ছেয়ে গেছে। হাত পা অবশ হয়ে আসছে। আহান মীরার এই অবস্থা দেখে ঘাবড়ে যায়। এইজন্যই সে মীরাকে কিছু বলতে চায়নি। মীরা পরে যেতে নিলেই আহান তাকে ধরে আগলে নেয়৷
“নিজেকে সামলান। ভেঙে পড়লে চলবে না।”
মীরা চিৎকার দিয়ে উঠে। “তুর্য ভাই!!!”
উচ্চস্বরে কেঁদে উঠে মীরা। আহান চিন্তায় পড়ে যায়। “প্লিজ আপনি কাঁদবেন না। উনি ঠিক হয়ে যাবেন। প্লিজ কাঁন্না বন্ধ করুন।”
মীরা কেঁদে কেঁদে বলল, “কিভাবে শান্ত থাকব আমি? আমার তুর্য ভাইয়ের এই অবস্থা! আমি সহ্য করতে পারছিনা। প্লিজ আমার তুর্য ভাইকে সুস্থ করে দিন না ইনিস্পেক্টর সাহেব।”
“আমি সুস্থ করার কেউ নই মিস। আমার হাতে কিছুই নেই। এক আল্লাহ কে ডাকুন। আর দুই ডাক্তার ভালো বলতে পারবেন।”
মীরার মাথা ঘুরে উঠে হঠাৎ। টলতে টলতে আহানের গায়ে সব ভর ফেলে দেয় মীরা। আহান শক্ত করে মীরাকে ধরে। জোরে একটা নার্সকে ডেকে নেয়। নার্সসহ ধরে মীরাকে নিয়ে একটা কেবিনে ঢোকানো হয়। ডাক্তারকে খবর দেয় তারা। ডাক্তার এসে মীরাকে চেকাপ করে। বলে, অতিরিক্ত টেনশনের কারণে এমন হয়েছে। ডাক্তার একটু পানি হাতে নিয়ে মীরার চোখে ছিটে দেন। এদিকে আহানকে কল দিয়ে যাচ্ছে মিরাজ। কেবিন থেকে বেরিয়ে মিরাজের কল রিসিভ করে সে। মিরাজ হন্তদন্ত হয়ে বলে, “কোথায় তুই? ওরা কোথায়? আমি কাউকেই খুঁজে পাচ্ছিনা।”
আহান শান্ত হয়ে বলল, “রুম নাম্বার একশো ছয়। চলে আয়। তোর বোন এখানেই আছে। অজ্ঞান হয়ে গেছে।”
“মীরা! আ..আমি আসছি।”
আহান কল কেটে দিল। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল সে। কেবিনের দিকে অগ্রসর হতেই দেখে মীরার জ্ঞান ফিরেছে। আহান ধীর পায়ে মীরার কাছে এগিয়ে গেল। মীরা চুপ করে বসে আছে বেডের উপর। আহান মীরার কাছ ঘেঁষে দাড়াল। বলল, “মিরাজ এসে গেছে। আমি আসছি। নিজের খেয়াল রাখবেন।”
আহানের কথায় মীরার কোনো হেলদোল হলো না। ইতিমধ্যেই মিরাজ ওখানে এসে উপস্থিত। আহান মিরাজকে দেখে বলল, “আমি যাচ্ছিরে। তুই তোর বোনকে সামলা।”
আহান আর একটা কথাও বললো না। চুপচাপ ওখান থেকে বেরিয়ে গেল। প্রচুর খারাপ লাগছে তার। তুর্যর জন্য, মীরার জন্য। ওরা একটা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিল। কি থেকে কি হয়ে গেল। তুর্যর জন্য খুব খারাপ লাগছে আহানের। চোখে পানিও এসেছে তার। কিন্তু সে কাউকে দেখায়নি।

মিরাজ মীরার কাছে গিয়ে বসলো। মীরা এখনো আগের মতোই আছে। মলিন হয়ে আছে মুখমণ্ডল। মিরাজ তার বোনের হাত ধরে বলল, “বোন! ঠিক আছিস তুই?”
মীরা এক নজর তার ভাইয়ের দিকে তাকালো। মিরাজ বুঝতে পারছেনা মীরার চোখ কি বলছে! হুট করেই মীরা তার ভাইকে জড়িয়ে ধরলো। হুঁহুঁ করে কেঁদে উঠলো সে৷ মীরার মন ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে গেছে তা মিরাজ ভালোই বুঝতে পারছে। মিরাজ মীরার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, “কাঁদিস না বোন। কিচ্ছু হবে না তুর্যর।”
মীরা কেঁদে কেঁদে নরম সুরে বলে, “আমার সাথেই কেন এসব হয় ভাইয়া? আমিতো এমনটা কখনো চাইনি। আমি একটা সুস্থ জীবন চেয়েছি। তাহলে কেন বারবার আমার জীবনে এতো টানাপোড়েন?”
মিরাজ মীরাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে, “মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে বোন। আমাদের উচিৎ সব পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়া। ভেঙে না পড়ে শক্ত হয়ে সামাল দেওয়া। নাহলে যে আগানো সম্ভব নয়।”
“তুর্য ভাইয়ের শরীরের পঁচানব্বই শতাংশই পুঁড়ে গেছে ভাইয়া। কিভাবে সে সহ্য করছে এই যন্ত্রণা? ভাইয়া! তুর্য ভাইকে বাঁচা।”
“আল্লাহ আছেন। চিন্তা করিস না বোন। তুর্য এখন কোন কেবিনে?”
“পাশের কেবিনে।”
“তুই এখানে থাক। আমি দেখে আসি ওকে।”


জ্ঞান ফিরেছে তুর্যর। চারদিকে চোখ মেলে নিজের অস্তিত্ব বোঝার চেষ্টা করছে সে। শরীরের সমস্ত জায়গায় যন্ত্রণা করছে। কোনো কিছু নাড়ানোর শক্তি সে পাচ্ছেনা। জ্বলন্ত অগ্নি শিখার মতো জ্বলছে দেহের প্রতিটি অঙ্গ। চোখের কার্ণিশে জমেছে অশ্রুর ধারা। কম্পিত কন্ঠস্বর থেকে অস্পষ্টসুরে বের হলো। “মা”
নিজেকে চারদেয়ালের মধ্যে দেখে তুর্য বোঝার চেষ্টা করছে সে কোথায়। মুখে অক্সিজেন মাস্ক আছে অনুভব করেই বুঝতে পারে সে এখন হসপিটালে। পাশেই একজন নার্স ছিল। সে তুর্য জ্ঞান ফিরেছে দেখে তুর্যর কাছে এসে বলল, “আপনার জ্ঞান ফিরেছে! কথা বলতে পারছেন এখন?”
তুর্য সরু করে তাকাল নার্সটির দিকে। বলল, “মা! আমার মা কোথায়? মীরু কোথায়?”
এরপর আর কোনো কথাই সে বলতে পারলো না। কথা বলতে গেলেই গলায় ভিষণ যন্ত্রণা হয়। নার্সটি ওখান থেকে বেরিয়ে গেল।

রাত তখন দশটা বেজে পয়ত্রিশ মিনিট। হাসপাতালের একটা বেঞ্চিতে বসে আছে মীরা, মিরাজ, মীরার বাবা, তুর্যর বাবা ও মা। সবাই মলিন মুখে তুর্যর কেবিনের সামনে বসে আছে। তুর্যর মা কেঁদে কেঁদে অজ্ঞান হয়ে গেছেন দুই দুবার। কারোই খাওয়া দাওয়া হয়নি। এই অবস্থায় কারই বা খাবার গলা দিয়ে নামবে? একজন নার্সকে তাদের সামনে আসতে দেখলো মিরাজ। নার্সটি এসে বলল, “আপনাদের রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। সে তার মা’কে খুঁজছে। আর মীরু কে? উনি বারবার তার মা ও মীরু নাম জপ করছেন। শুধু দুজন যাবেন। খবরদার কাঁন্নাকাটি করবেন না ওখানে। দেখেই চলে আসবেন। উনি কথা বলতেও পারছেননা ঠিকভাবে। ওনাকে কথা বলার জন্য ফোর্স করবেন না। আমি এখানে আছি। যান, আপনারা গিয়ে দেখে আসুন।”
তুর্যর মা আর এক মুহুর্তও দেরি করলেন না। ছেলেকে দেখার জন্য এক ছুটে তিনি কেবিনের ভিতর চলে গেলেন। মীরাও পিছু পিছু গেল। কেবিনে ঢুকে মীরা অপলকভাবে তাকিয়ে আছে তুর্যর দিকে। তুর্য তখন তার মা’কে বলছিল। “কেঁদো না মা। সত্যিটা মেনে নাও।” তুর্যর মা আচলে চোখ মুচছেন। মীরা কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একপাশে। তুর্যর নজর গেল মীরার দিকে। কিন্তু সে মীরাকে কি বলবে? কেঁদে কেঁদে মেয়েটার চোখ ফুলে গেছে। তাকানো যাচ্ছেনা। তুর্য মীরাকে উদ্দেশ্য করে বলল, “বাসায় যা মীরু। এখানে দাঁড়িয়ে থাকিস না আর। মায়া বাড়াস না। চলে যা।”
মীরা কষ্ট পেল। এতক্ষণ ধরে সে তুর্যর জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু এখন তুর্য ওকে কি বলল? চলে যেতে?
তুর্যর মা বললেন, “এসব কি বলছিস তুই তুর্য? মেয়েটা তোর জন্য কত কাঁন্নাকাটি করেছে। সারাদিন না খেয়ে বসে আছে কখন তোর জ্ঞান ফিরবে, তোর সাথে কথা বলবে সে আশায়। আর তুই? ওকে চলে যেতে বলছিস? তাহলে ডাকলি কেন ওকে?”
তুর্য চুপ। সে জানে কতটা কষ্ট বুকে চেপে রেখে ও মীরাকে এগুলো বলল একমাত্র সে-ই জানে। তুর্যর কোনো উত্তর না পেয়ে মীরা যেন আরও ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল। মীরা ঠোঁট চেপে কাঁন্না আটকে ওখান থেকে বেরিয়ে যায়। মনে মনে বলে, “তুমি আমার সাথে এটা করতে পারলে তুর্য ভাই? তুমি না আমাকে ভালোবাস? তাহলে কেন বললে আর মায়া না বাড়াতে? কেন বললে চলে যেতে? আমি তোমায় ভালোবাসিনা বলে?”
মীরা মিরাজের পাশে গিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। মিরাজ মীরাকে দেখে একটু অবাক হলো। কিছু কি হয়েছে মীরার? মিরাজ জিগ্যেস করে, “কি হয়েছে তোর?”
মীরা নিজেকে সামলে দ্রুত বলে। “কোই? কিছুনা ভাইয়া। বাসায় যাব।”
“সেকি! এক্ষুনি? তুর্যকে দেখেছিস? কি অবস্থা ওর?”
“অল্প স্বল্প কথা বলতে পারছে। ভাইয়া চলো না বাসায় যাই।”
“তোর কি হয়েছে বলতো? তুর্যর কেবিন থেকে এসেই বলছিস বাসায় যেতে!”
“বাসায় চলো বলছি।”
“আচ্ছা চল।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here