#তরঙ্গিনী পর্ব-২৯
#আরশিয়া_জান্নাত
বিনা শ্রমে অর্জিত সম্পদের গুরুত্ব সবাই দিতে পারেনা। মানুষের কাছে সেটাই মহামূল্যবান যা সে কষ্ট করে অর্জন করে। আরাফ শুরু থেকেই রেবাকে ভালোবেসে, ওর মনের অবস্থা বুঝে সে অনুযায়ী ট্রিট করার চেষ্টা করেছে। হয়তো সেজন্যই রেবা তার ভালোবাসাকে Taken for granted ধরে নিয়েছে। সানজেনার বলা কথাগুলো তখন শুনতে খারাপ লাগলেও এখন যুক্তিযুক্তই মনে হচ্ছে। আরাফ একপাক্ষীকভাবে সবসময় নিজেকে সংযত রেখেছে। ওর কষ্ট, রাগ, অভিমান, মন খারাপ, মেজাজ খারাপ কোনোকিছুই রেবার সামনে প্রকাশ করেনি। ওর কাছে রেবার কষ্টই সবচেয়ে বড়। রেবাকে সে এতোটাই ভালোবাসে ও ব্যতীত কোনো মেয়ের দিকে ঠিকমতো তাকায় না এখন। পাছে মন ভুলপথে চলে যায় যদি! মোহাচ্ছন্ন হয়ে না রেবাকে হারিয়ে বসে! আরাফ ভাবতো মেয়েরা লয়্যালিটি চায়, ভালোবাসা চায়, কেয়ার চায়। স্ত্রীকে রাগ দেখানো ক্রোধ দেখানো কাপুরুষত্ব। তাই তো সবসময় হাসিখুশি থেকেছে, ওকে বুঝতে দেয়নি রোজ কত সমস্যায় পড়তে হয়। ওর স্ত্রী অন্য কাউকে ভালোবেসে কষ্ট পায় এটা যে কোনো পুরুষের জন্য সহজে মেনে নেওয়ার মতো না, এই ব্যাপারটাও তুড়ি মেরে এড়িয়ে গেছে। শুধুমাত্র রেবা যেন তার ভালোবাসাকে, তাদের পবিত্র সম্পর্কটাকে বোঝা না ভাবে তাই সে নিজের জৈবিক চাহিদাকে তুচ্ছ করেছে। তার মনেপ্রাণে বিশ্বাস ছিল রেবা একদিন এই স্যাক্রিফাইজগুলো বুঝবে, যেদিন বুঝবে সেদিন ওকে আরো বেশি ভালোবাসবে।
এখন মনে হচ্ছে ও সব ভুল করেছে। এমন করতে গিয়ে ও ছদ্মবেশী খেতাব পেয়ে বসেছে।
ওর ইনটেনশন সৎ হলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাপেক্ষে এসব অতিরঞ্জিত!
এই পৃথিবীতে আসলে প্রকৃত ভালোবাসার মূল্য নেই। যে যতো ভালোবাসে সে ততোই কষ্ট পায়। আরাফ আর রেবার সম্পর্কে আরাফ কষ্ট পাচ্ছে। আর রেবা কষ্ট পায় তৌকিরের জন্য! আহারে জীবন!!!
“রেবা! আপনার প্রতি আমার প্রত্যাশা বেশি বলেই আজ এতো কষ্ট পাচ্ছি নাকি আপনি সত্যিই কষ্ট পাওয়ার মতো কাজ করেছেন বুঝতে পারছিনা। তবে ভালোবাসার তীব্রতা অনুভব করতে হলে দূরত্ব প্রয়োজন হয়, শূন্যতাই পারে মানুষটার উপস্থিতির গুরুত্ব অনুভব করাতে। আপনি আপনার প্রাক্তনকে নিয়ে দুঃখবিলাসে এতোটাই মগ্ন হয়ে আছেন বর্তমানের মানুষটাকে দেখতেই পাচ্ছেন না। মুখে আমায় ভালোবাসি বললেও আপনার হৃদস্পন্দন থামে ঐ মানুষটাকে ভেবে,,,,”
স্যার? বড় ম্যাডাম কল দিয়েছে, আপনি কোথায় আছেন জিজ্ঞাসা করছে। কি বলবো?
ড্রাইভার সাহেব আপনি একটা সিএনজি নিয়ে ফিরে যান। আর মাকে বলবেন আমি নানুর কাছে যাচ্ছি। কিছুদিন ওখানে থাকবো।
স্যার আমি নিয়ে যাচ্ছি সমস্যা নেই। আপনাকে একা এতো দূর ছাড়লে বড় সাহেব আমাকে আস্ত রাখবেন না।
আপনার ওয়াইফের যেকোনো সময় আপনাকে প্রয়োজন হতে পারে। এই সময়ে আপনার ঢাকার বাইরে যাওয়া ঠিক হবেনা। আপনি বরং আমাকে বাসস্ট্যান্ড এ পৌঁছে দিন, আমি বাসে করেই যাবো।
কিন্তু স্যার,,
আর কোনো কিন্তু নয় যা বলছি তাই করুন।
ড্রাইভার চুপচাপ বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে গাড়ি চালাতে লাগলো।
ওদিকে রেবা চিন্তিত ভঙ্গিতে পায়চারী করছে, মানুষটা যে কোথায় গেছে! ফোন ও ধরছেনা। চিন্তায় রেবার মাথা ছিড়ে যাচ্ছে যেন।
এমনসময় রেহানা ওর রুমে এসে বলল, রেবা?
জ্বি মা?
আরাফের খবর পেয়েছি। আমার পাগল ছেলে বুঝলি হুটহাট কি যে করে। তার ইচ্ছে হয়েছে নানীকে দেখার তাই কাউকে না বলেই চলে গেছে। আর চিন্তা করিস না ওর জন্য।
আচ্ছা!
একা ভয় লাগবে? রুহিকে বলবো আসতে?
না সমস্যা নেই। আমি পারবো একা থাকতে।
ঠিক আছে মা, ঘুমিয়ে পড়।
রেবা দরজা আটকে বেডের পাশে বসে পড়লো। আরাফ যে ওর উপর রাগ করেই চলে গেছে এটা বোঝার মতো বুদ্ধি তার আছে। কিন্তু সে বুঝে উঠতে পারছেনা একটু রাগ দেখিয়ে কথা বলায় এতো কষ্ট পাওয়ার কি আছে? মানুষের মনমেজাজ সবসময় তো এক থাকবেনা! এইটুকুতেই না বলে কোথাও চলে যাওয়া কেমন?
হঠাৎ রেবার মনে পড়লো আরাফ বলেছিল সে তার অতীত সম্পর্কে জানে, তৌকিরের নিউজ এখন সবাই জানলেও তৌকির যে তার প্রাক্তন এটা কি আরাফ কোনোভাবে জানে? তবে কি ও বুঝে ফেলেছে তৌকিরের জন্যই তার মুড অফ ছিল?
আরাফ সবসময় বলে অতীত নিয়ে তার আগ্রহ নেই কিন্তু বর্তমানে কেবল তাকেই রাখতে হবে,,,, তাহলে কি এজন্যই সে এতো রাগ করেছে? যে মানুষটা তার অনুপস্থিতিতেও অন্য কাউকে প্রশ্রয় দেয় না, সবসময় রেবাতে বিভোর থাকে। তার স্ত্রী হয়ে রেবা প্রাক্তনকে ভেবে মুষড়ে পড়েছিল। তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল! এটা যদি আরাফ ভেবে থাকে তবে ওর মনে কেমন অনুভূতি হবে তা সে বেশ ভালোই জানে।
রেবা এসির নীচে বসে থেকেও অস্থিরভাবে ঘামতে লাগলো। এতোক্ষণ অন্য কারণে মন খারাপ থাকলেও চোখের পানি পড়তে লাগলো আরাফের কথা ভেবে। ওর মনে হতে লাগলো অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে গেছে,,,,
।
।
আরজুরা আজ চলে যাচ্ছে, তাই বাড়ির সবার ভীষণ মন খারাপ। আরজু মন খারাপ করে বলল, এমন দুটো ভাই পেয়েছি আমি যাওয়ার সময় কখনো কাছে থাকেনা। রেবা আমার মা-বাবা ভাইবোনকে আগলে রেখো বোন। আরাফ উপর থেকে শক্ত সাজলেও ভেতরে ও অনেক নরম। অল্পতেই কষ্ট পায়। ওর যত্ন করো কেমন?
আমার জন্য দোআ করবেন আপু, আমি যেন আপনার কথা রাখতে পারি।
মামানি শুনো, তোমরা কিন্তু আমাদের বাসায় বেড়াতে আসবা। ওকে? আমি আমার ফ্রেন্ডদেরকে তোমাকে দেখাবো। আমি তোমাকে অনেক মিস করবো।
রেবা ওকে কোলে তুলে বলল, আমিও তোমাকে অনেক মিস করবো। গুড গার্ল হয়ে থেকো কেমন?
হু।
সবাই যখন আরজুদের দিকে ফোকাসড সানজেনা এসে রেবার সামনে দাঁড়ালো। ওর হাতে একটা বক্স দিয়ে হাগ করে বলল, তুমি এমন একজনকে পেয়েছ যার যোগ্য তুমি না। তবুও ফরচুন তোমার পক্ষে তাই মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই! Sorry for harsh word but I don’t hesitate to say the truth. তার সঠিক যত্ন নিও।
রেবা বাকরূদ্ধ হয়ে সানজেনার তিক্ত কথন হজম করলো।
আরাফের নানাবাড়ি দৌলতপুর এসে আরাফের মনটা বেশ তরতাজা হয়ে গেছে। ওর কাছে এই জায়গাটা সবসময়ই রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে কাজ করে। যখনই তার ভীষণ ফ্রাস্টেশন হয় বা মানসিকভাবে কোনো সমস্যায় আটকা পড়ে নানীর কাছে এসে মন ঠিক করে। আরাফকে একা দেখে তার নানী হাতের লাঠিটা উঁচু করে বলল, তুই একা আইলি ক্যান আমার নাতবৌরে আনলি না?
আমি এসেছি তুমি খুশি হওনি নানী? মারতে লাঠি তুলছো?
নয়া বৌকে পাইয়া তো আমার কথা ভুইলা গেছস। এহন আবার ঢং মারাস। আগে কতবার আইতি আমারে দেখতে আর অহন?
আরাফ ওর নানীকে জড়িয়ে বললো, নানিগো তোমারে কত্ত মিস করি জানো? কিন্তু অফিসে কত কাজ, একটার পর একটা লেগেই আছে। তাই সময় করে আসতে পারিনা।
শুনো চান্দু, ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয়। আমারে এসব বাহানা দিতে আইসো না। আমার চুল এমনে এমনে সাদা হয় নাই। এহন হাছা কইরা কও কি অশান্তি পাকাইয়া আইছো?
নানী, তুমিও না।
ঐ আরাফ খাড়া কই যাস।
পুকুরে যাই, গোসল দিমু।
আমার কথার জবাব দিলি না?
জবাব থাকলে তো দিতাম! নানীর বাড়িতে আইলে মানুষ মাথায় করে রাখে আর তুমি সাওয়াল জওয়াব লইয়া বইছো। এমন করবা জানলে আইতামই না। হুহ
ওরে এহন বর্ষার মৌসুম। ঘাটে অনেক পানি। একা যাইস না। বড় বৌ ও বড় বৌ সাবের রবি কেউ ঘরে নাই? ওগোরে কও আরাফের লগে পুষ্কুনিত যাইতো।
আরাফ সাতরে পুকুরের এপার থেকে ওপার গেলো, ইচ্ছেমতো সাতার কেটে শরীর মন ঠান্ডা করে দুপুরে খেতে বসলো। রহিমা বেগম তার পাতে এটা ওটা বেড়ে দিতে লাগলেন। আরাফ খেয়েদেয়ে ঘুমাতে গেল। ফোন চালু করলো না,,,
রেবার সারাটা রাত দিন গেল মন খারাপে। আরাফকে যতবার কল করেছে ফোন সুইচড অফ, রেবা কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। নিজের উপর ভীষণ রাগ হচ্ছে। রেবা আরাফকে কষ্ট দিতে চায়নি। ভুল তো মানুষেরই হয়। আরাফ কেন ওকে এতো কঠিন শাস্তি দিচ্ছে? এই বিষাদের আত্মগ্লানী নিয়ে ও বাঁচবে কিভাবে?
তৌকির নিজের অসাধু কার্যকলাপের জন্য জেলে গেছে, এ নিয়ে ওর কেন মন খারাপ হবে? আর হলেও ঐ নীচ মানুষটার জন্য আরাফের উপরই বা কেন রাগ ঝাড়বে? সব দোষ তার। সে অযথাই ভুল মানুষের জন্য আরাফকে হার্ট করেছে। এখন ওর কাছে ক্ষমা চাওয়ারো সুযোগ পাচ্ছেনা। কি করবে এখন?
এভাবেই কেটে গেল চারদিন,,
চারদিন পর আরাফ যখন ফিরে এলো রেবার দেহে প্রাণ ফিরলো যেন। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আরাফ বললো, রেবা আমার জন্য আদা চা নিয়ে আসুন, কয়েকদিনে বুকে ঠান্ডা বসে গেছে।
রেবা আনন্দিত হয়ে চা করতে চলে গেল। আরাফ ওর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলছে দেখে ওর বুক থেকে পাথরের বোঝা নামলো যেন।
চা নিয়ে ঘরে ঢুকতেই দেখে আরাফ বেলকনীতে দাঁড়িয়ে স্মোক করছে,,রেবা অবাক হয়ে বলল, আপনি স্মোক করেন?
হুম
এতোদিন তো একবারো দেখিনি?
দেখাইনি বলে দেখেন নি।
তবে আজ দেখাচ্ছেন কেন?
আমার বদঅভ্যাসগুলো জানাতে।
রেবা চায়ের কাপ রেখে বলল, বেশ, তা দিনে কয়টা লাগে আপনার?
বেশি না এ প্যাকেট…
সিরিয়াসলি! আপনি মারাত্মক স্মোকার! এটা ঠিক না আরাফ। এতো সিগারেট খেলে বাঁচবেন না তো,,
আমার মৃত্যুতে কারো কিছু যায় আসে?
এভাবে কেন বলছেন?
সত্যি শুনতে সবসময় কষ্ট হয় তবে সত্যি তো সত্যিই।
আরাফ আপনি আমার উপর রেগে আছেন? আমি সেদিনের জন্য স্যরি। আসলে,,
কৈফিয়ত শুনতে চাই না। আপনার ইচ্ছমতো বাঁচুন। আমি কিছু জানতে চাই না।
রেবা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো আরাফের দিকে। এ কোন আরাফ? যে এতোদিন পর বাড়ি ফিরলো অথচ ওকে একটাবার জড়িয়ে ধরলো না, কথা বলার সময়ও তাকালো না ওর দিকে। রেবা তার অতীতের বাজে অভিজ্ঞতার ছায়া যেন আরাফের উপর দেখতে পাচ্ছে। তবে কি আরাফও বদলে যাচ্ছে যেভাবে তৌকির বদলে গিয়েছিল ওর ভালোবাসা পাওয়ার পর??
সব ছেলেই বুঝি মন হাসিল করার পর বদলে যায়?? আবেগ কৌতুহল সব মিশে যায়? রেবার চোখ ভরে আসতে চায় কিন্তু এই মুহূর্তে চোখের পানি দেখাতে চায় না সে। হাসিমুখে আরাফকে জড়িয়ে ধরে বলল, আপনাকে অনেক মিস করেছিলাম। একটা কলও দিলেন না কত টেনশন লেগেছিল জানেন?
আরাফ ওকে ছাড়িয়ে বলল, চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, যা গলা ব্যথা আমার। গরম চা খেলেই যা একটু আরাম লাগে।
রেবা ভেতর ভেঙে গেল আরাফের এমন আচারণ দেখে। বোকা মেয়েটা বুঝতেই পারলো না অভিমানে আরাফের বুক শক্ত হয়ে আছে, এই অভিমান গলানোর হাতিয়ার কেবল তার কাছেই আছে। যার ভালোবাসা বেশি তার অভিমানের কাঠিন্যও বেশি। কিন্তু রেবা আগেরজনের সাথে বর্তমানের জনের তালগোল মিলিয়ে ফেলছে। মনের মাঝে জমে উঠা অজানা শঙ্কায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। রেবা আর এক মুহূর্ত রুমে রইলো না। সে আরাফের সামনে কাঁদতে চায় না। ওর চোখের পানিকে না পাছে “আর কিছু না পেরে কেঁদে হাসিল করা” বলে অভিহিত করে সেই ভয়ে রেবা অন্য জায়গায় গিয়ে অশ্রু বিসর্জন দিলো।
আরাফ দেওয়ালে জোরে ঘুসি মেরে নিজের রাগ কমালো। কাতর কন্ঠে বলল, রেবা! কেন আপনি আমায় তৌকিরের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেন না? কেন আপনি তাকে ভুলতে পারছেন না? আমার ভালোবাসায় কি খামতি ছিল? আমার অভিমান বোঝার মতো ক্ষমতাও বুঝি আপনার হলোনা? এতোদিনে তবে একটুও চেনেননি আমায়?
দুটো মানুষ দু’দিকে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। অথচ কেউই কাউকে নিজের মনের আসল কথা বলতে পারছেনা। আচ্ছা এবার কি রেবা পারবেনা আরাফের মান ভাঙ্গিয়ে বুঝিয়ে দিতে, তার তরঙ্গিনী এখন তাকে লক্ষ্য করেই বয়ে যাচ্ছে। অন্য মানুষটা এখন কেবল করুণার পাত্র হয়েই আছে, হৃদয়ের মণিকোঠায় তো আরাফের রাজত্ব। সেখানে আর কেউ নেই।
অবশ্যই পারবে, পারতে তাকে হবেই। সে তার সবটা দিয়েই চেষ্টা করবে, কারণ সে জানে আরাফ তাকে অনেক ভালোবাসে। আর এই ভালোবাসার জোরেই রেবা তাকে জয় করবে। এবারের তপস্যা হবে রেবার!
চলবে,,,,
(যারা পর্ব ছোট ছোট বলে জান বের করে ফেলছেন তাদের উদ্দশ্যে বলছি, এভারেজ ১০৩° জ্বর মাথায় নিয়েও টিউশন, ক্লাস সব সামলে গল্প লিখি। জানি এসব গল্প আপনাদের কাছে নেহাতই টাইমপাস করার জন্য পড়া। কিন্তু লিখতে তো আমার ভাবতে হয়, টাইপ করতে হয়। আপনাদের বোঝা উচিত আমার একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। অসুখ বিসুখ আছে। শখের বশে লিখি, এতো নিয়মনীতি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট শব্দসীমায় লিখতে বলা কি উচিত? লেখালেখিতে ছকে বাধা নিয়ম হবে কেন?)