#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃরিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_১১
.
🍁
উনার এমন কথায় কেঁপে ওঠলাম আমি, এতক্ষণ গানের সুর্গে সব ভুলে গিয়েছিলাম আমি, ভুলে যাওয়া বিষয়টি মনে পরতেই খানিকটা কেঁপে উঠি আমি, উনার হাত থেকে বাঁচা জন্য এখানে এসে পালিয়ে ছিলাম আমি, পালানো বিষয়টি ভুলে দিব্বি উনার সামনে পা ঝুলিয়ে গল্প করছি আমি,,, তখন ভুলে ছিলাম বলে সবটাই স্বাভাবিক ছিল আমার কাছে, কিন্তু এখন সব মনে পড়ায় নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করছে আমার,
.
আমি সব বিষয়ে এমন করে ভুলে যাওয়ার জন্য পরে অনেকটা কষ্ট পোহাতে হয় আমাকে, যেমনটা করে এখন পোহাতে হবে আমাকে, এই রিদ খাঁন আমার থেকে কি চাই আল্লাহ জানে, যতই উনার থেকে পালিয়ে বাঁচি তখনি উনি সামনে এসে হাজির হয় আমার, তাই এই মূহুর্তে উনার থেকে বাঁচা জন্য ভয়ে কাচুমাচু করতে করতে চারপাশে চোখ বুলিয়ে চলছি আমি যদি কোনো রকম পালানোর রাস্তা পাই সেটা ধরেই দৌড় লাগাবো আমি জান দিয়ে,,,
.
চারপাশে চোখ বুলিয়ে শুধু দুটো রাস্তায় খুঁজে পাই পালানোর জন্য একটা রিদ খাঁনের পিছনে দরজাটা যেখানে উনার চার-পাঁচ জন বডিগার্ড দাঁড়িয়ে আছে বন্দুক হাতে নিয়ে, আর অন্য দরজাটি হলো আমার পিছনে আর উনার সামনে,, আমার পিছনে দরজায় কেউ নেই তাই আপাতত সেটি একমাত্র আমার পালানোর জন্য উপযুক্ত,, আমার চিন্তা ভাবনায় মাঝেই
উনি বন্দুকটা হাতে নিয়ে আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বন্দুকটা দিয়ে নিজের কপালের স্লাইড করতে করতে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে….
.
—” ছেলেটা কে ছিল…
.
উনি কি বলছেন আমাকে সেটা আমার কান অবধি পৌঁছাতে পারলেও আমার মস্তিষ্ক সেটা পৌঁছাতে পারছে না, উনার কথায় আমি মনোযোগ না হয়ে পালিয়ে যাওয়া জন্য আস্তে করে টেবিলের ওপর থেকে নেমে দাঁড়িয়ে পরি উনার সামনে, আমাকে উনার সামনে দাঁড়িয়ে পরতে দেখে খানিকটা ঘাড় বাঁকা করে কোণা চোখে তাকায় আমার দিকে হয়তো বুঝার চেষ্টা করছে আমি কি করতে চাইছি,,, আমি উনার এমন দৃষ্টি অপেক্ষা করে উনার সামনে দিয়ে আস্তে করে নিজের মাথা নিচু করে চুপচাপ ধীর গতিতে হেঁটে আমার পিছনে দরজা দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম, সাথে এমন একটা ভাব করছি যেন কিছুই বুঝতে পারছি না আমি আর না কিছু শুনতে পারছি, আমাকে এমন নিজের মতো করে উনার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখে উনি খানিকটা রেগে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলে উঠে…….
.
—” স্টপ ইস্টুপিট র্গাল….
.
আমি সামনে দিকে পা বাড়াতে গিয়ে পিছন থেকে উনার এমন চাপা সুরের ধমন পেয়ে এক পা ওপর তুলা অবস্থায় দাঁড়িয়ে পরলাম আমি, আমি জানি যদি আর এক মূহুর্তে এখানে দাঁড়িয়ে থাকি আমি তো কাল সকালে নিউস পেপারে প্রথম হেড লাইনে থাকবো আমি, তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য কোনো দিক না তাকিয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারায়ে সামনে দিকে লাগায় এক ভৌঁ দৌড় আমাকে আর পাই কে,,
.
আমার দৌড় লাগাতে দেখে উনিও রেগে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে আমার পিছনে দৌড়াতে লাগেই আমাকে ধরার জন্য, উনার পায়ে শব্দে আমি বুঝতে পারছি যে উনি আমার পিছনে দৌড়াচ্ছে আমাকে ধরার জন্য, উনাকে আমার পিছনে দৌড়াতে দেখে কলিজা কেঁপে ওঠে আমার কি করবো কিছু ভেবে না পেয়ে শুধু দৌড়াতে লাগলাম সামনে দিকে দরজার সামনে আসতেই মনে হলো আমি হাওয়া ভাসছি, নিজের অবস্থান বুঝার জন্য নিচের দিকে চোখ বুলাতেই আতংক উঠলাম আমি।
.
আমি দৌড়ানো অবস্থায় উনি আমার পিছন থেকে একহাতে আমার পেট জরিয়ে ধরে ওপরে তুলে ফেলে যার কারণে আমার দৌড়ানোটা থেমে যায় মূহুর্তেই আর আমি হওয়ায় ভাসতে থাকি, আমি পিঠ উনার বুকে গিয়ে টেকে, উনি আমাকে একহাতে আঁকলিয়ে দেয়ালের সাথে শক্ত হাতে চেপে ধরে, উনি আমাকে দেয়ালে সাথে চেপে ধরায় ভয়ে সিটিয়ে যায় আমি, শরীরের প্রতিটি ভাজ কেঁপে কেঁপে উঠছে উনার ভয়ে, হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে মূহুর্তেই আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হতে লাগলো,,, উনি আমাকে চেপে ধরা অবস্থায় পিছনে ঘুরে ইশারা করে আসিফ সহ সবাইকে চলে যেতে বললো, উনার ইশারা পেয়ে বিনা বাক বয়ে আসিফ সহ বাকি সবাই চলে যায় মূহুর্তেই,,,
.
আসিফরা চলে যেতেই উনি খানিকটা ঝুঁকে এসে আমার পিছন থেকে আমার কানের কাছে নিজের মুখ এনে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে…..
.
—” তোর কি মনে হয় পনেরো দিন তুই স্বাধীন ভাবে চলতে পেরেছিস বলে বাকিটা জীবন ঠিক সেই ভাবেই চলতে পারবি, তোর পায়ে আমি শিকল বেঁধে দিয়েছি আমি, তুই চাইলেও পালাতে পারবি না আমি সেই শিকলটা টেনে ধরবো বারবার, ছেড়ে যাওয়ার অপশন দেয়নি কখনোই আমি,, তুই আমিতে সীমাবদ্ধ তাই চাইলেও তুই আমার থেকে মুক্ত হতে পারবি না, তোকে শাস্তি দেওয়াটা আমার কাছে এক প্রকার বাধ্যতা মূলক হয়ে ওঠেছি, তোর অসহায়ত্ব আমার মনে সুখ সুখ বয়ে আনে প্রচন্ড ভাবে, আমি তুইতে আসক্ত তবে সেটা ভালোবেসে নয় শাস্তি নামক বেড়া জালে আটকে পরে,,, তোর চোখের পানি আমার সুখ,,,,
.
উনি এই কথা গুলো বলেই আমাকে টেনে সামনে দিকে ঘুরিয়ে আমার দু’হাত নিজের দুহাত দিয়ে দেয়ালে শক্ত করে চেপে ধরে আবারও আমার দিকে ঝুঁকে আসে,,,,
.
,
(এই পার্টটি আরও আগে আপলোড করা হতো কিন্তুু বাসায় বিদুৎ না থাকায় আর ২% চার্জ নিয়ে ছোট করে দিতে হচ্ছে আমাকে)
.
চলবে………….