ডাকিনী বউ,৩য় পর্ব

ডাকিনী বউ,৩য় পর্ব
লেখক:মাসুদ রানা

ইয়েজেরিনকে এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্ত করে আবার ডাকিনী রাজ্যে পাঠানোর একটাই উপায় রয়েছে। অবশ্য সেটা করার জন্য আমাকে আবার সেই বনে যেতে হবে যেখান থেকে এই ডাকিনী বিদ্যার বইটা পেয়েছিলাম। সেখানেই হয়তো ডাকিনী নিয়ে যে আর দুইটা বই রয়েছে সেগুলো পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এই ডাকিনী বউ যতক্ষন আমার সাথে আছে ততক্ষন আমি কিছুতেই সেখানে যেতে পারবো না। কারণ আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যদি সঠিক সময়ে ইয়েজেরিনের জন্য লাশ নিয়ে না আসতে পারি তাহলে আমি আবার নেকড়ে মানবে পরিণত হবো। আর রাস্তায় থাকাকালীন সময়ে যদি আমি এই ভয়ংকর রুপ ধারণ করি আর সেটা যদি মানুষ দেখে ফেলে তাহলে তারা আমাকে পিটিয়েই মেরে ফেলবে। তাই আমাকে যে করেই হোক ইয়েজেরিনকেও বোকা বানিয়ে আমার সাথে সেই জঙ্গলে নিয়ে যেতে হবে! নাহলে আমার পক্ষে এক সাথে দুই জায়গা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না! এইসব ভাবতে ভাবতেই ইয়েজেরিনের পুরো লাশটা খাওয়া শেষ হয়ে গেলো। এরপর সে আমাকে বললো:
-লাশটা খেতে আসলেই অনেক ভালোছিলো। আশা করি তুমি রোজ আমার জন্য এমন একটা করে লাশ নিয়ে আসবে! এখন চলো ঘুমিয়ে পড়ি কাল আবার সকাল সকাল উঠতে হবে।
.
এই বলেই ইয়েজেরিন বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো। আমিও আর কিছু না ভেবে তারপাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। । আসলে আমার মস্তিস্ক পুরোই অচল হয়ে গিয়েছিলো। মাথায় আমার কিছুই আসছিলো না। এরপর পাশে তাকিয়ে দেখলাম ইয়েজেরিন ঘুমিয়ে পড়েছে। তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমিও যে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম সেটা আমি নিজেও জানি না। রাতে ঘুমানোর পর একটা অদ্ভুত রকমের স্বপ্ন দেখলাম। স্বপ্নে দেখলাম, ” একটা অন্ধঁকার ঘরে আমি দাঁড়িয়ে আছি। রুমের একপাশে শুধু একটা মোমবাতি জ্বলছিলো। ইয়েজেরিন আমার সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করছিলো। সে শুধু তাজা রক্ত আর মাংস চাচ্ছিলো। কিন্তু আমি আশেপাশে কিছুই খুজেঁ পাচ্ছিলাম না তাকে দেওয়ার জন্য। এরপর আমারো প্রচন্ড যন্ত্রনা শুরু হয়। আমি আর যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আমার নিজের শরীরের অংশই ছুরি দিয়ে কেটেকেটে ইয়েজেরিনের হাতে দিচ্ছিলাম। আর সে সেগুলো পাগলের মতো ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিলো।” এরপরেই আমার ঘুমটা ভেঙে যায়। পাশে তাকিয়ে দেখি ইয়েজেরিন তখনো ঘুমিয়ে আছে। জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখলাম বেশ আলো দেখা যাচ্ছে। মানে সকাল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘরের বাহির থেকে কেমন যেনো কয়েক জন মানুষের কথা বলার আওয়াজ আসছিলো। আমার মনে হচ্ছিলো যে আমার বাড়ির বাহিরে অনেকগুলো মানুষ দাড়িয়ে রয়েছে! আমি অবাক হয়ে গেলাম যে এতো সকালে বাড়ির বাহিরে কারা আসতে পারে! কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম।এরপর ধীরে ধীরে দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম দরজাটা খুলার জন্য
। দরজাটা খুলে দেখলাম আমার এলাকারই কিছু বড় লোকজন আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি তাঁদের দেখে বেশ অবাক হয়ে গেলাম। এরাতো দেখেছি এলাকার বিভিন্ন বিচার বা শালিস নিয়ন্ত্রন করে। তাহলে এরা এখানে কি করছে। তাহলে কি তারা গতকাল রাতে আমাকে কবর খুড়তে দেখে ফেলেছিলো! তারা কি আমাকে লাশটা নিয়ে এই বাড়িতে ঢুকতে দেখে ফেলেছিলো?! নাকি তারা জেনে গেছে যে এই এলাকায় যতগুলো খুন হয়েছে সব গুলো আমিই করেছি!! আমার মনের ভেতরের ভয় আরো বাড়তে থাকে। তাহলে কি আমি ধরা পড়ে গেলাম! তারা কি এখন আমায় ধরে নিয়ে পুলিশে দিবে!! আমি ভয়ে তাদের সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার চোখ-মুখ ভয়ে ছোট হয়ে যাচ্ছিলো। তারা মোট ৪জন এসেছিলো। এরপর তাদের মধ্য থেকে একজন আমার কাছে এসে আমাকে প্রশ্ন করে:
-আচ্ছা বাবা! তুমি কি বিবাহিত?!
-ইয়ে মানে না চাচা! (কিছুটা অবাক হয়ে আর ঘাবড়ে উত্তরটা দিলাম।)
-তুমি কি জানো যে প্রত্যেকটা সমাজেরই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে! আর তারা সেই নিয়মগুলো মেনে চলে। আর যারা এই নিয়মগুলো মানে না তারা অসামাজিক হয়ে যায়!
-জ্বী চাচা! কিন্তু এসব কথা আপনি আমাকে বলছেন কেন?
-আসলে তোমার পিতা-মাতা এই এলাকার একজন সম্মানীতো লোক ছিলো! তাই আমরা তোমাকেও একজন ভালো ছেলে হিসেবে জানি। আমরা খবর পেয়েছি যে তোমার ঘরে এখন একটা যুবতী মেয়ে থাকে। তুমিও একজন যুবক ছেলে। তাই একটা অবিবাহিত যুবক এবং যুবতী কখনোই একটা বাড়িতে একসাথে থাকতে পারে না।
.
.
আমি লোকটার কথা শুনে আকাশ থেকে
পড়লাম। আমার ঘরে যে একটা মেয়ে থাকে এটাতো আমি কাউকে এখনো বলিনি। আমি এতোদিন সমাজকে লুকিয়েই ইয়েজেরিন এর সাথে সংসার করেছি। আর ইয়েজেরিনকে কখনো ঘর থেকে বেরও করিনি।তাহলে তারা জানলো কিভাবে ইয়েজেরিনের সম্পর্কে?! আমি প্রথমে তাদের সামনে অস্বীকার করি কথাটা। আমি বলি যে, আমার ঘরে আমি একাই থাকি। আর কেউ নেই! কিন্তু তারা আমার কথা বিশ্বাস করে না। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমার ঘরে ঢুকে যায়। এরপর হাতেনাতে প্রমান করা দেয় যে আমি অবিবাহিত অবস্হায় আরেকটা মেয়ের সাথে থাকি! কারণ ইয়েজেরিন তখনো আমার বিছানায় ঘুমাচ্ছিলো। এরপর আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে এখন আমার কি করা বা কি বলা উচিত! তারা অনেকটা রেগেই আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। কিন্তু আমি এটা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না যে তারা ইয়েজেরিনের সম্পর্কে জানলো কিভাবে! এরপর হঠাৎ ইয়েজেরিনের ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম থেকে উঠে ইয়েজেরিন হঠাৎ এতোগুলো মানুষকে দেখে ভয়ে আৎকে উঠলো! এরপর সে ভয়ে চুপচাপ আমার পেছন এসে দাঁড়ালো। এটা দেখে সেই লোকগুলোর একজন আমাকে ধমক দিয়ে বললো:
-এটা যেনার শামীল। তুমি পাপ করেছে একটা অবিবাহিত মেয়েকে সমাজকে লুকিয়ে নিজের ঘরে রেখে দিয়ে। সমাজের সামনে এখন তোমাদের শাস্তি হবে।
তোমরা দুজনেই পাপী!
.
.
লোকটার কথা শুনে আমি আর ইয়েজেরিন দুজনেই ভয় পেয়ে গেলাম! এখন যদি এই কথাটা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আমাদের বাঁচাটা মুশকিল হয়ে যাবে!
হয়তো সবাই এটাও জেনে যাবে যে ইয়েজেরিন একজন ডাকিনী!এদেরকে যে করেই হোক আমাকে আটকাতেই হবে। হঠাৎ আমার মনে পড়লো আমি একজন সাধারণ মানুষ হতে পারি! কিন্তু ইয়েজেরিনতো একজন ডাকিনী। তার অবশ্যই কিছু অলৌকিক শক্তি রয়েছে। তাই যা করার তাকেই করতে হবে! তাই আমি ইয়েজেরিনকে বললাম:
-ইয়েজেরিন! যে করেই হোক এদেরকে আটাকাউ। না হলে আমাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে।
.
আমার কথাশুনে ইয়েজেরিন কিছুটা সাহস পেলো। এরপর ইয়েজেরিন আমার পেছন থেকে সড়ে দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো এবং দরজাটা আটকে দিলো। সেই লোকগুলো ইয়েজেরিনকে হঠাৎ দরজা আটকাতে দেখে ভয়ে আৎকে উঠলো। ইয়েজেরিন কি করতে চলেছে সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারছিলাম না। এরপর ইয়েজেরিন ভয়ংকর দৃষ্টিতে সেই লোকগুলোর দিকে তাকালো। প্রায় ১ মিনিটের মতো ইয়েজেরিন তাদের দিকে তাকিয়ে থাকার পর গম্ভীর কন্ঠে তাদের আদেশ দিলো
.
-এখানে চুপচাপ তোমরা বসে পড়।
.
ইয়েজেরিনের কথাশুনে লোকগুলো চুপচাপ মেঝেতে বসে পড়লো। আমি অবাক হয়ে গেলাম ! ইয়েজেরিনের কথা এরা কিভাবে শুনছে। তার কথামতো তারা কিভাবে মেঝেতে বসে পড়লো!! এরপর আমি ইয়েজেরিনকে প্রশ্ন করলাম:
-তুমি কিভাবে এদের বশ করলে?!
– হাহাহা! ডাকিনীদের এই বশ করার ক্ষমতাটা রয়েছে। এখন এই লোকগুলো আগামী ১২ ঘন্টা পর্যন্ত আমি যা
বলবো তাই করবে।
(ইয়েজেরিন)
-কিন্তু ১২ ঘন্টা পর আমরা কি করবো?!!
তখন এরা যদি আবার সবাইকে ডাকতে শুরু করে??!
-হাহাহা! এরা ১২ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচলেতো এরপরে অন্যদের ডাকবে! এর আগেই আমি তাদের এই দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবো। আমার খুব রক্ত তৃষ্ণা পেয়েছে!
.
আমি বুঝতে পারলাম যে এখন ইয়েজেরিন কি করবে। এই মানুষগুলোর রক্ত আর মাংস দিয়ে তার তৃষ্ণা আর ক্ষুধা মেটাবে। আমিও তাকে আর বাধা দিলাম না। কারণ এতে আমাদের দুজনেরই ভালো। এরা বেঁচে থাকলে বরং আমার বিপদ হবে!এরপর ইয়েজেরিন বললো:
– এদের একটু অন্যরকমভাবে খুন করবো আজ আমি। অন্যরকম ভাবে এদের খাবো!
.
এরপর ইয়েজেরিন ঘর থেকে দুটো দাড়ালো ছুরি নিয়ে আসে এবং সেই চারজন লোকের মধ্যে থেকে দুজন লোককে দাঁড়াতে বলে এবং এরপর তাদের দুজনের হাতে দুটো ছুরি দিয়ে দেয়। বাকি ২ জনকে তখনো বসিয়ে রেখেছিলো ইয়েজেরিন। এরপর ইয়েজেরিন সেই ২ জনকে আদেশ দেয় এই দুটো ছুরি দিয়ে যাতে বসে থাকা বাকি ২ জনের গলা কেটে ফেলে তারা । এরপর তাদের শরীরের অংশগুলো যাতে কেটে কেটে ইয়েজেরিনের হাতে তুলে দেয়। ইয়েজেরিনের এই আদেশটা শুনে আমিও ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু তারা সবাই ইয়েজেরিনের বশে ছিলো। তাই সে যা আদেশ করবে সে সেটা পালন করতেই বাধ্য। তাই ইয়েজেরিনের কথামতো সেই দুজন লোক বাকি দুজন লোকের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। এরপর সেই লোকগুলোর শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে কেটে ইয়েজেরিনের হাতে তুলে দেয়। ইয়েজেরিন পাগলের মতো সেগুলো ছিড়ে ছিড়ে খেতে থাকে। এইভাবে সে দুইজন লোককে পুরোপুরি খেয়ে ফেলে! এরপর শুধু দুজন লোক বেঁচে ছিলো। ইয়েজেরিন আমায় বললো :
-এরা আমার রাতের খাবার হবে!
.
এরপর আমি ইয়েজেরিনকে বললাম:
-রাত পর্যন্ত এখানে আমাদের থাকা ঠিক হবে না ইয়েজেরিন! কারণ এই লোকগুলোকে খুজতে খুজতে হয়তো আরো লোক এই বাড়িতে চলে আসতে পারে। আর হয়তো এরই মধ্যে অনেকে এটা জেনে গেছে যে আমার বাড়িতে এখন একটা মেয়েও থাকে ! মানে তুমি থাকো! তাই এই বাড়িতে আমাদের এখন থাকাটা বিপদজনক।
.
এরপর ইয়েজেরিনো আমার সাথে একমত হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে আমরা এই বাড়ি ছেড়ে, এই এলাকা ছেড়ে আজই চলে যাবো! কিন্তু ইয়েজেরিন বলে দিনের বেলা এখান থেকে আমাদের চলে যাওয়া ঠিক হবে না কারণ দিনের বেলায় কেউ আমাদের যেতে দেখে ফেলতে পারে! তাই আমরা রাতের বেলায় যাবো।
.
এরপর সারাটাদিন আমরা ঘরে বসেই চুপচাপ কাঁটিয়ে দিলাম। এরপর সন্ধ্যাঁর পরে ইয়েজেরিন বাকি দুজন লোকগুলোকেও নির্মমভাবে খুন করে তাদের রক্ত আর মাংস দিয়ে তার তৃষ্ণা আর ক্ষুধা মেটায়। এরপর দেখতে দেখতে গভীর রাত হয়ে যায়। আমরা বুঝতে পারি যে এটাই ঠিক সময়। আমাদের এখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। আমি আর ইয়েজেরিন বাড়িটা বাহির থেকে তালা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের সাথে শুধু প্রয়োজনীয় জামা-কাপড় আর কিছু টাকা ছিলো। ইয়েজেরিন বা আমাকে যাতে কেউ চিনতে না পারে তাই আমরা দুজনেই চাদর দিয়ে নিজেদের মুখ ডেকে এরপর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকি।
.
.
ইয়েজেরিন জানতো না যে আমরা কোথায় যাচ্ছি! সে এতটুকুই জানতো যে বাঁচতে হলে আমাদের এখন যে করেই হোক এই এলাকা থেকে পালাতে হবে। কিন্তু আমার মাথায় তখন অন্য কিছু ঘুরছিলো। আমরা এখন বাসে করে সেই অভিশপ্ত বনের পাশের একটা এলাকায় যাবো। ইয়েজেরিন হয়তো জানে না যে সেই এলাকায় আমি কেনো যাচ্ছি। সেখানেই যে সকল রহস্যের সমাধান রয়েছে সেটাই সে জানে না। ইয়েজেরিন জানে সেখানে শুধু আমরা পালিয়ে থাকতে যাচ্ছি। কিন্তু তার ধ্বংসের উপায়ো যে সেখানে আছে সেটাও সে জানে না। আমি সিদ্ধান্ত নেই যে আমরা সেই বনের পাশেরই একটা এলাকায় একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকবো! আর সেখান থেকেই সহজে ইয়েজেরিনকে না জানিয়ে তাকে লুকিয়ে আমি সকল রহস্যের সমাধান করতে পারবো!
.
.
এরপর আমরা বাসে উঠে গেলাম। আর কয়েক ঘন্টার ইতো ব্যাপার।এরপর আমরা সেই অভিশপ্ত বনের এলাকায় পৌছে যাবে। হয়তো সেখান থেকেই ইয়েজেরিনকে এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্ত করে আবার ডাকিনী রাজ্যে পাঠানোর উপায় আমি জানতে পারবো।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here