জ্বীন রহস্য(love story)❤Season 2,Part 18,19
Writer Maishara Jahan
Part 18
ফারহান আর আমার সফর এই পর্যন্তই ছিলো হয়তো, তোমার সাথে আমার আর কোনো স্বপ্ন পূর্ণ হবেন না, হবে না এক সাথে পথ চলা, ভালো থেকো তুমি।
এগুলো ভাবতে ভাবতে চোখের পাতা আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসছে, হৃৎস্পন্দন কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে মনে হচ্ছে। এক মৃত্যু ঘুম ক্রমশ তার কাছে টানছে৷
এই মূহুর্তে কেও সজোরে টান দিয়ে আমাকে তার বুকের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে মনে হলো, তার বুকের ভিতরের ধুকধুক আওয়াজটা খুব জোরে হচ্ছে, আমি স্পষ্ট শুনতে পারছি।
করো ঠোঁটের স্পর্শ পাচ্ছি আমার ঠোঁটে, এই স্পর্শ যে আমার অনেক চিনা। আমার মুখে শ্বাস দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানি না কি হচ্ছে আমার ভিতরে, প্রচন্ড ব্যাথায় কিছু অনুভব করা অসম্ভব তাও কেনো জেনো এক অজানা অনুভূতি আমার মনে জাগছে।
হৃৎস্পন্দন আবার কাজ করা শুরু করেছে, শরীরে যেনো একটু শক্তি পাচ্ছি, এমন সময় সবাই চুপ শুধু একজনের আওয়াজ পাচ্ছি।
ফারহান,,,,,,,,,,,, পিল্জ আমাকে ছেড়ে যেওনা না, খুব ভালোবাসি তোমায়, তোমাকে ছেড়ে বেঁচে থাকতে পারবো না। আমি বলে ছিলাম না তুমি ভালো রেজাল্ট করলে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।
আমি তোমাকে প্রমিজ করছি তুমি ভালো হয়ে গেলে তুমি যে জায়গা বলবে সেখানে নিয়ে যাবো, শুধু ঘুরতে যাবো না আমরা ডেটিংএ যাবো।
তোমার সব স্বপ্ন আমরা মিলে পূরণ করবো। বিয়ে করবে না আমায়, সংসার করবে না আমার সাথে। একবার শুধু উঠো তুমি যখন বলবা আমরা তখনি বিয়ে করবো। আমাদের তিনটা ছেলে মেয়ে হবে।
পিল্জ উঠো,, পিল্জ ( কান্না করে )
আজ অনেক বাঁচতে ইচ্ছে করছে তোমার সাথে। খুব ভালোবাসি তোমায়৷
রিমি শুধু জোরে জোরে শ্বাস ছাড়ছে, আর চোখের পানি ফেলছে।
উঠবে না তো তুমি ঠিক আছে, আমি তাহলে রিদিকে বিয়ে করে নিবো, ওর সাথে সংসার করবো।
রিমির শরীর গরম হয়ে গেছে, এতোটা গরম হয়ে গেছে যে তাকে ছুঁয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই রিমি প্রচন্ড জোরে চিৎকার করে উপরে উঠে যায়।
রিমির চোখ বন্ধ, সে শূন্যে দাঁড়িয়ে আছে আর জোরে চিৎকার করছে, রিমির জোরে চিৎকার করার সাথে সাথে ডানা দুটো বেরিয়ে আসে, হালকা গোলাপি রঙের ডানা বের হয়, ডানা থেকে আলো আসছে৷
রিমি শান্ত হয়ে যায়, আর নিচে পরে যেতে নেয়, সাথে সাথে ফারহান ধরে ফেলে।
রিমান,,,,,,,,,,, রিমির কি হয়েছে ও নড়াচড়া করছে না কেনো।
ফারহান,,,,,,,,,, অজ্ঞান হয়ে গেছে।
মুন,,,,,,,,,,,, বিপদ চলে গেছে, ও এখন ঠিক আছে।
আরাব,,,,,,,,,,,, এখন আর রিমির কিছু হবে না, কিছু খন পর জ্ঞান ফিরে যাবে।
রিমান,,,,,,,,,,, তুই রিমিকে কোলে নিয়ে এমন করছিস কেনো।
ফারহান,,,,,,,,,, দুরর ওর পাখার জন্য শান্তিতে ধরতে পারছি না, ভিতরে ডুকা এইটা।
রিমান,,,,,,,,,, এটা কি আমার চশমা যে খুলে পকেটে ডুকিয়ে রাখবো, যার জিনিস সেই তো হুশে নায়।
ফারহান রিমিকে রুমে শুয়িয়ে দেয়। সবাই রিমির রুমে অপেক্ষা করছে কখন তার জ্ঞান ফিরবে। মাহুয়া দরজার আড়ালে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে, বিষয়টা রিমান ঠিকি খেয়াল করে।
কিছু ক্ষন পরে সকাল হয়ে গেছে,এখুনি রিমির জ্ঞান ফিরলো, সে একটা টানা দিয়ে উঠলো,মনে হচ্ছে কতো বছর পরে ঘুম থেকে উঠেছে।
চোখ বন্ধ করে বসে বসে টানা দিচ্ছে আর হায় তুলছে,সবাই ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে, রিমান উঠে রিমির মাথায় থাপ্পড় দেয়।
রিমি,,,,,,,,,,, কে রে।
রিমান,,,,,,,,, আমি রে,, এমন ভাবে টানা দিচ্ছিস যেনো কোতো দিন পর ঘুম থেকে উঠলি,তোর হায় তোলা দেখে আমারো হায় উঠছে, হায় তুলে৷
রিমি,,,,,,, মনে তো হচ্ছে ঘুম থেকে উঠেছি। আমার পিঠ এমন লাগছে কেনো।
তাকিয়ে দেখে দুটো ডানা, রিমি চিৎকার করে উঠে।
রিমি,,,,,,,,, আআআ এটা কি।
ফারহান,,,,,,,,,,, তোমার পাখা।
রিমি,,,,,,,,,, আমি কি মারা গেছি নাকি।
রিমান,,,,,,,,, হুমম তোর সাথে সাথে আমরাও মারা গেছি, গাঁধি ডানা গজায়ছে।
রিমি,,,,,,,,, ওও এখন মনে পড়ছে, তার মানে আমি বেঁচে গেছি। এখন মনে পড়ছে ফারহান তুমি কি বলছিলে রিদিকে বিয়ে করবে সংসার করবে, তাই না।
আরাব,,,,,,,,, এই কথার কারনেই তুই বেঁচে গেছিস।
রিমি,,,,,,,,,,, মোটেও না, আমি ফারহানের ভালোবাসার করনে ফিরে এসেছি।
রিমান,,,,,,,, সেটা তো আমরা দেখেছি, আজ বুঝেছি ভালোবাসা থেকে জেলেসির শক্তি বেশি।
রিমি,,,,,,,,,,, জীবনেও না ঐ রিদির জন্য আমি জেলেস হবো কখনোই না। যাই হোক আমার ডানাটা একটু মেলিয়ে টেলিয়ে দেখি।
রিমি হালকা ভাবে না মেলিয়ে, সোজা জোরে পাখা মেলায়, একটা ফারহান আরেকটা রিমানের মুখে লাগে।
রিমান,,,,,,,,, ঐ দেখে শুনে কাজ কর।
রিমি,,,,,,, ও সরি।
আবার ডানা মেলানো থেকে বাঝ করার সময় রিমানের মাথায় লাগে।
রিমান,,,,,,,,,, ঐ তোর ডানা কিন্তু আমি কেটে ফেলমু৷
রিমি উঠে দাঁড়ানোর সময় আবার ডানা রিমানের মুখে লাগে।
রিমি,,,,,,, 😶😶
রিমান,,,,,,,,, ছুরি কই আজ এটা আমি রফা দফা করইরা ছারমু।
আরাব গিয়ে ধরে।
আরাব,,,,,,,,,, কন্ট্রোল রিমান কন্ট্রোল
এবার গিয়ে আরাবের মুখে লাগে।
আরাব,,,,,,,, 😶😶 ঐ তোর ডানা ঘায়েব কর তাড়াতাড়ি।
রিমি,,,,,,,,,,, করে পারতাছি না।
মুন,,,,,,,,,,, মনে মনে ভাবো আর ডানা দুটো ঝাকি দাও তাহলেই হবে।
রিমি বার বার ঝাকি দিচ্ছে কিন্তু গায়েব হচ্ছে না কিন্তু সবাই রাগে একাকার হয়ে যাচ্ছে সবার নাকে মুখে লাগছে। রিমিতো ঝাঁকিয়েই যাচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,,, ওই কেও ওরে থাকা নাহলে ওর ডানার জম্ম দিন মৃত্যু দিন এক হয়ে যাবে।
বেশ অনেক ক্ষন পর ডানা ঘায়েব হয়৷
রিমি,,,,,,,,,,, হয়ে গেছে।
রিমি পিছনে তাকিয়ে দেখে রিমানের হাতে ছুরি আরাব আর ফারহান রিমানেকে ধরে রেখেছে।
রিমি,,,,,,,,,,, ভাইয়া তোমার হতে ছুরি কেনো।
রিমান,,,,,,,,,, আপেল কাটার জন্য।
রিমি,,,,,,,,,, তাহলে আমার জন্যেও কেটো।
এই সব দেখে মাহুয়া দরজায় দাঁড়িয়ে জোরে জোরে হাসছে।
সবাই মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে আছে, রিমান মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে, রিমান যেনো সব কিছু ভুলে গেছে।
মাহুয়া খেয়াল করে সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে, সে হাসি বন্ধ করে দেয়। মুখটা আবার মলিন হয়ে যায়।
রিমানেরও মনে পড়ে যায়, সেও মুখ ফিরিয়ে নেয়। মাহুয়া চলে যেতে নেয়। আরাব থামতে বলে।
আরাব,,,,,,,,,, মাহুয়া এ দিকে আসো।
মাহুয়া ভিতরে আসে।
আরাব,,,,,,,,,, বলো কাল রাতে কি হয়েছে, তোমাকে কেনো, কে পাঠিয়েছে, তুমি কেনো এই সব করলে বলো। প্রথম থেকে বলো।
মাহুয়া,,,,,,,,,, আসলে ওরা এমন কাওকে খুঁজ ছিলো যে আপনাদের মধ্যে কোনো এক জনের কাছে থাকে।
আর তারা আমাকে বেছে নেয়। ঐদিন যখন আমি অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম অনেক গুলো লোক আমাকে ধরে নিয়ে যায়, একটা বন্ধ ঘরে।
কিছু বিশাল দেহের লোক আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো, আমার খুব বয় করছিলো।
তারা আমাকে বলে আপনাদের গলায় একটা লকেট আছে সেটা আমাকে এনে দিতে হবে, না হলে আমাকে মেরে ফেলবে।
তাই আমি রাজি হয়ে যায়, আমি ভেবেছিলাম, ঐ লকেটটা দামি হবে তাই আমাকে চুরি করতে বলছে। আমি ভাবলাম আপনাদের তো অনেক টাকা আছে একটা লকেট গেলে কিছুই হবে না।
তাও আমি রিমানকে অনেক ভাবে বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু ওদের লোক সবসময় আমার উপর নজর রাখতো।
রিমান যখন বললো ও জ্বীন তখন আমি ভাবলাম ওর কেও কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।আমি ওদের বলে দিবো ওরা ভয়ে চলে যাবে।
কিন্তু এটা বলার সাথে সাথে ওরা সবাই হাসতে থাকে, তখন আমি জানি ওরা মানুষ না জ্বীন।
ওরা আপনার ক্ষতি করতে চাই বুঝে গেছিলাম তাই আমি ওদের মানা করে দিয়, যে আমি কিছু করতে পারবো না,আমাকে মেরে ফেলেও না।
তখন ওরা আমি যে এতিম খানায় থেকে বড়ো হয়েছে, সেই এতিম খানায় আগুন লাগিয়ে দিবে বলে, সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
আমার মা বাবা নেয় তারাই আমার সব,, আর ওরা জ্বীন ছিলো যে কোনো কিছু করতে পারতো, ওদেরতো কোনো কিছুর ভয় ও নেয়, যদি সত্যি সত্যি আগুন লাগিয়ে দিতো।
তাই রাজি হয়ে যায়, কিন্তু আমি কোনো দিন ভাবতেও পারিনি এই লকেটের জন্য কারো জান যেতে পারে। ওরা আমাকে বার বার চাপ দিচ্ছিলো।
কাল রাতে আমি ওদের ডাকি, আর লকেট দিতে বলি, কিন্তু ওরা দেয় না, অনেক মিনন্তি করার পরেও দেয় না।
তাই আমি রাগে সূরা পড়া আরম্ভ করি, কিন্তু আমি বেশি কিছু জানতাম না, তাই তারা আমাকে অনেক মারে, যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায়। ( কান্না করে )
পিল্জ আমাকে মাফ করে দিন, আমি কারো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না, আমার কারনে রিমির এই অবস্থা হয়েছে। ( বসে নিচের দিকে তাকিয়ে বলছে আর কান্না করছে )
আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি, আমি মনে করেছিলাম এটা কোনো অনেক দামি লকেট হবে, কিন্তু এটা জামতাম না এটার কারনে সরি,,,,
কান্না করতে করতে হিচকি তুলে ফেলেছে, সবাই থামতে বলছে সেটার দিকে তার কোনো খেয়াল নেয়,সে বলছে আর কান্না করছে।
আমার মা বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো আমার কারনে অনেক লজ্জা পেতেন এই কারনেই নেয়।
রিমান উঠে রিমিকে জরিয়ে ধরে। রিমি রিমানকে ধরে জোরে জোরে কান্না করতে থাকে, আর সরি বলতে থাকে৷
রিমান,,,,,,,,,,,, শুসসস আর কাঁদবে না, আ-ম সরি সব কিছু না জেনে কতো কিছু বলে ফেলেছি, আমার কারনেই তোমার আজ এই অবস্থা।
মাহুয়া,,,,,,,,,, তোমার কোনো দোষ নেয় পরিস্থিতিই এমন ছিলো,,, ওরা বলেছে যদি বাকি লকেট না দিয় তাহলে ওরা আমাকে ছাড়বে না।
রিমান,,,,,,,,,,, ওরা আসলে ওদের আমি এমন মার মারবো যে জীবনে ভুলবে না।
আরাব,,,,,,,,, সবাই অনেক ক্লান্ত যাও রেস্ট করো দুপুরে এ বিষয়ে কথা হবে।
চলবে,,,,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 19
আরাব,,,,,,,,,,,,,,, সবাই অনেক ক্লান্ত যাও রেস্ট করো, দুপুরে এই বিষয়ে কথা হবে। ( আমার বসে থাকলে হবে না, এখনি যেতে হবে )
বিকালে,,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,, এখন কেমন লাগছে মাহু৷
মাহুয়া,,,,,,,,,,, এখন ভালো আছি।
রিমি,,,,,,,,,,, ভাই তোর বোন ও বসে আছে, আমারেও একটু জিজ্ঞেস কর কেমন আছি।
রিমান,,,,,,,,,,,, বসে বসে গরুর মতো খাচ্ছিস আর হামবা হামবা করছিস তোকে কি জিজ্ঞেস করবো।
রিমি,,,,,,,,,,,,, কিহহ আমি হামবা হামবা করি,এই মুখ নিয়ে কথা কস কেমনে, এমন চেহেরা আমার থাকলে আমি মা বাবার উপর কেস করতাম।
রিমান,,,,,,,,,, ওওও এই জন্যই বুঝি কিছু দিন আগে তুই থানায় গেছিলি।
রিমি,,,,,,,,,,, হুহহ আমি তো পরীর মতো দেখতে।
রিমান,,,,,,,,, এতো মেকাপ মারলে আমিও পরার মতো দেখমু।
ফারহান,,,,,,,,,, চুপ কর তোরা,,, আর পরা কি।
রিমান,,,,,,, ও মেয়ে তাই পরী আমও ছেলে তাই পরা। এটুকু বুঝিস না ডাক্তার হয়লি কেমনে।
ফারহান,,,,,,,,,,,, ভুলিস না কলেজ কিন্তু আমার খাতা দেখেই পাশ করেছো।
রিমান,,,,,,,, আচ্ছা বাদদে আরাব কোথায় মুন।
মুন,,,,,,,, আমি কি করে জানবো, ও কি করে না করে এর খবর রাখার আমার সময় নেয়।
রিমি,,,,,,,,, আচ্ছা আমার ডানা গোলাপি কেনো আমার সাদা লাগবে।
রিমান,,,,,,,,, এটা ডানা লিপস্টিক না, যে পছন্দ না হলে মুছে আরেক কালার দিবো।
রিমি,,,,,,,, ঐ আমি তোর কাছে জানতে চাইছি,,,, জানি না আমার সাদা ডানা লাগবো।
মুন,,,,,,,,, রিমি রিমান কিন্তু ঠিক কথা বলেছে।
রিমি,,,,,,, না আমার সাদা লাগবো।
রিমান,,,,,,,,,,,, এক কাজ করি সাদা কালার এনে তর ডানা রং করে দিয়। 🤓🤓
রিমি,,,,,,,,, যেমন মাথা তার তেমন বুদ্ধি।
রিমান,,,,,,,, এই বুদ্ধি ভালো না লাগলে এক কাজ করি তোর ডানা দুটো কেটে ফেলি 😏😏 ( চুরি নিয়ে )
রিমি,,,,,,,,,,,, 😶😶 এই আমি প্রথম থেকে দেখতাছি তুই আমার ডানা কাটার পিছনে গেলে আছিস।
ফারহান,,,,,,,,,, আরে ওকে ছাড়ো,,, তোমার গোলাপি ডানা আমার ভালো লাগে।
রিমি,,,,,,,,,,, সত্যি তাহলে আমারো ভালো লাগে।
রিমান,,,,,,,, ও মাগো টুরু লাভ 🤣😂
আরাব আসে, এাসে সবার সাথে বসে।
ফারহান,,,,,,,,,, কই গেছিলি।
আরাব,,,,,,,,,,, মা বাবার কাছে, বলেছি আমি রাজা হতে চাই।
রিমান,,,,,,,,,, কি বললো তারা।
আরাব,,,,,,,,, তারা খুশি হয়েছে কালকে মা আমাকে সিংহাসনের দায়িত্ব দিবে।
মুন উঠে চলে যায়।
আরাব,,,,,,,,,, সবাই রেডি হও আমরা আজি বাসায় চলে যাবো।
রিমি,,,,,,,,, আজি।
,,,,,, হুমম।
সবাই রেডি হয় গাড়িতে বসে, এবার মুন রিমির সাথে বসে আর ফারহান আরাবের সাথে।
রিমান,,,,,,,,,,, বিচারা আমার বোন।
রিমি,,,,,,,,,, কিছু বললি।
রিমান,,,,,,,,, একদমি না। আরাব গান ছাড় রোমান্টিক গান।
আরাব,,,,,,,,,,,,, কোনো গান চলবে না, গাড়ির বক্স নষ্ট।
রিমান,,,,,,,,,, কি যে নষ্ট ঐটা আর বুঝার বাকি নায় ( আস্তে )
কিছু ক্ষন পর সবাই পৌঁছে যায়।
রিমান,,,,,,,,, আজ একটু বেশিই তাড়াতাড়ি এসে পড়লাম মনে হলো৷
আরাব,,,,,,,,, একটা কথা বল, সব কিছুতে তোর নাক গলানো জরুরী।
রিমান,,,,,,,,,,,, কি করবো বল আমার নাকটা একটু বড়ো,চলে যায় সব জায়গায়, বদমাইস নাক। 🤥
মুন,,,,,,,,,, আমি বাসায় যাচ্ছি, সবাই ভালো থেকো।
বলেই চলে যায়, আরাব কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলো না।
মাহুয়া,,,,,,,, আমিও যায়।
রিমান,,,,,,,,, কই যায়, আপনি আমার বাসায় থাকবেন৷
সবাই রিমানকে গিরে ধরে, এক ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে বেকা হাসি দিয়ে সবাই তাকিয়ে আছে।😼😼
রিমান,,,,,,,,,,, আরে, মাহুয়ার একা থাকা ঠিক না।
সবাই,,,,,,,,,,, আচ্ছাআআ
রিমান,,,,,,,,,,, অদ্ভুত ওই জ্বীনরা মাহুকে থ্রেট দিয়ে গেছে, একা পেয়ে যদি ক্ষতি করে দেয়।
আরাব,,,,,,, এটা ঠিক। কিন্তু আংকেলকে কি বলবি।
রিমান,,,,,,,,, কি আবার রিমির বন্ধু বলবো। বাকিটা রিমি সামলে নিবে তাই না রিমি।
রিমি,,,,,,,,,, কেনো ( ভাব দেখিয়ে )
রিমান,,,,,,,,,, বা বাহহ কতো টাকা দাম বাড়ছে।
রিমি,,,,,,,,,,,, ১০ হাজার টাকা।😁😁
রিমান,,,,,,,,,,, ফকিন্নি পেয়ে যাবি।
মাহুয়া,,,,,,, না আমি যাবো না কেমন দেখায়, আমি বাসায় যাবো।
রিমান,,,,,,,,, এটাই তোমার বাসা,, চুপচাপ চলো, না হলে,, তুমি ভালো জানো ( কানে কানে )
মাহুয়া চুপচাপ রাজি হয়ে যায়।
সবাই রিমানের বাসায় যায়, রিয়াদ ( রিমানের বাবা ) উপর থেকে নিচে আসে। এসেই রিমিকে জরিয়ে ধরে।
বাবা,,,,,,,,,,, রিমি মা আমার তুমি ঠিক আছো, আহহ আমার জানে জান এলো।
রিমান,,,,,,,,,,, বাবা একটু এদিকেও তাকাও
বাবা,,,,,,,,,, তুই বেঁচে আছিস।
রিমান,,,,,,,,, অসুস্থ রিমি ছিলো আমি না
বাবা,,,,,,,, না আমি প্রতি দিন দোয়া করতাম নিলে আমার গাধাটাকে নিয়ো।
রিমান,,,,,,,,, কথায় আছে না শকুনের দোয়ায় এই রিমান মরে না৷
রিমি,,,,,,,, বাবা তোমাকে শকুন বললো।
রিমান,,,,,,,, আল্লাহ বাবাকে দুটো কান দিছে।
বাবা,,,,,,,, দুটো পা ও দিছে আর দুটি পায়ে দুটি জুতোও আছে। এই মেয়েটি কে।
রিমান,,,,,,,,,, রিমির বন্ধু একটু প্রবলেম আছে তো তাই কিছু দিন এখানে থাকবে।
বাবা,,,,,,,,, নাম কি মা তোমার।
মাহুয়া,,,,,,,,,, জ্বী মাহুয়া৷
বাবা,,,,,,,,,,,, মাহুয়া,,,,,,,, মানে মাহু,, এবার বুঝেছি আমার বউয়ের নামে এতো প্রবলেম কেনো তোর৷
রিমান,,,,,,,, আমার দিকে এভাবে তাকানোর কি আছে৷
বাবা,,,,,,,,, কিছু না, যাও সবাই ফ্রেশ হয়ে আসো,,,,, মাহু মা তুমিও যাও।
রিমান,,,,,,,,, বাবা ওর নাম মাহুয়া মাহু না।
বাবা,,,,,,,,,, আমি মাহু ডাকবো মা তোমার কোনো প্রবলেম আছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, না
রিমান,,,,,,,,, আরে আমার আছে।
বাবা,,,,,,,, কি প্রবলেম আর কেনো।
রিমান,,,,,,,,, কোনো প্রবলেমই নাই,, আমি উপরে যাই।
রাতে খাবারের টেবিলে,,,,,,,
মা,,,,,,,,,,, আরে মাহুয়া তুমি খাচ্ছো না কেনো, লজ্জা পেয়ো না, খাও।
মাহুয়া,,,,,,,,,, না আন্টি ঠিক আছে।
রিমান,,,,,,,,, আরে ঠিক মতো খাও এটুকে তোমার কিছুই হবে না পরে রাতে ঘুমাতে পারবা না ক্ষুধায়।
রিমান খেয়াল করে তার বাবা আর মা তার দিকে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,,,, না মানে লজ্জায় কিছুই খাচ্ছে না তাই বললাম।
মা,,,,,,,, হুমম,,,,, তা আরাব তুমি খাচ্ছো না কেনো,তোমারও কি লজ্জা করছে নাকি।
আরাব,,,,,,,, না মামনি কিছু হয়নি, এমনি।
রিমান,,,,,,,,,,,, পেয়ার টুটাহে তো দিল কাবি জালতাহে,,,,, ( গান গেয়ে )
রিমি,,,,,,,,,, চুপ থাক গাধার বাচ্চা।
রিমান,,,,,,,,,,, বাবা তোমাকে গাধা বলছে।
রিমি,,,,,,,,,,, ঐ আমি বাবাকে কখন বললাম।
রিমান,,,,,,,,, এখন এই মাত্র সবার সামনে।
রিমি,,,,,,,,,,, বান্দরের মতো চেহেরা নিয়ে সামনে থেকে যা কইতাছি।
রিমান,,,,,,,,,,,, বাবা আমাকে বান্দরের মতো দেখতে বলছে।
বাবা,,,,,,,, ঠিকি বলছে।
রিমান,,,,,,,,,, মা বলে আমার চেহেরা নাকি তোমার মতো দেখতে।
সবাই হেসে দিয়েছে।
বাবা,,,,,,,,, কিছু বলছি না ঘরে নতুন একটা মেহমান এসেছে বলে।
এদের মধ্যে বিপদে পরেছে মাহুয়া,,,,,,, না হাসতে পারছে না হাসি আটকে রাখতে পারছে, না মন ভরে খেতে পারছে।
ফারহান খেতে বসে শুধু এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, আর নড়াচড়া করছে।
আরাব,,,,,,,,,,, চুপচাপ বসে খা না।
ফারহান বিচারা কি করবে,রিমি তার পা দিয়ে ফারহানের পায়ে ঘষছে,, বিচারা না কিছু বলতে পারছে, না কিছু করতে পারছে।
খাবারের শেষে, সবাই যার যার ঘরে যায় ঘুমাতে।
রাত ১২ টাই,,,,,,,
রিমি চুপচাপ ফারহানের রুমে যায়, গিয়ে দেখে ফারহান ঘুমিয়ে আছে৷
রিমি,,,,,,,,,, হাই আমার জানুটা কোতো কিউট,, মন চাচ্ছে এখনি খেয়ে ফেলি। এখন একে আমি কিটনাপ করবো।
জ্বীন হওয়ার লাভ,,,, শুধু আমি যেমন চাই তেমন ভাবে হয়লেই হবে।
রিমি ফারহানের উপর হাত রাখে,,
,,,,,,,, চলো যায় ছাদে।
বলে তুরি মারে দুজনে ছাদে চলে যায়, কিন্তু ফারহান যেভাবে শুয়ে ছিলো ঠিক সেভাবেই নিচে পরে যায়। আর ফারহান লাফ দিয়ে উঠে।
ফারহান,,,,,,,,,,,,, ও মাআআ,, আমি এখানে কিভাবে আসলাম।
,,,,,,,,,, আমি কিটনাপ করছি।
,,,,,,,,,, ছাদে,, আর আমাকে এমন ভাবে ফেলে দিছো কেনো।
,,,,,,, আরে ইচ্ছে করে ফেলে দেয়নি, নতুন নতুন তো তাই।
,,,,,,,, এভাবে আনার কি দরকার ছিলো আমাকে বললেই হতো আমি এসে পরতাম।
,,,,,,,,,, সত্যি
,,,,,,,,, হুমম,, আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে তো আসবোই৷।
,,,,,,,,,,,, কি বললা আমাকে আবার বলো তো।
,,,,,,,,,,, গার্লফ্রেন্ড,, বলো জানু কেনো ডাকছো।
,,,,,,,,,, এ্যাঁ,, আমি স্বপ্ন দেখছি না তো।
,,,,,,,, এক দমি না ( গাল টেনে )
,,,,,,,,,,, হাই আমি এখনি জ্ঞান হাড়াবো,,, আসো দুলনায় বসো সারা রাত গল্প করবো।
,,,,,,,,,,,, শুধু গল্প করবো।
,,,,,,,,,, হ্যাঁ কেনো তো আর কি করবো। 😐😐
,,,,,,,,,,,, এতো রাতে ডেকেছো সরি কিটনাপ করেছো শুধু গল্প করবো ( রিমির কাছে এসে )
,,,,,,,,,,,, ত ত তো আ আ আর ক কি করবো। ( ডোগ গিলে )
,,,,,,,,,,,,, তুমি লজ্জাও পাও,, ভালো দেখতে ভালো লাগছে,,, আর এভাবে লজ্জা পেলে নিজেকে কন্ট্রোল করা মুশকিল হয়ে যাবে জানেমান।
রিমির ফেস পুরো টমেটো হয়ে গেছে।
,,,,,, ফারহান তুমি ঠি ঠি ঠিক আছো তো।
,,,,,,,,,,, একদম ঠিক নেয়,, বসো না
ফারহান দোলনায় বসে, আর রিমিকে টান দিয়ে কোলে বসায়।
রিমি,,,,,,,, আল্লাহ ফারহান তোমাকে জ্বীনে টিনে ধরলো নাকি।
,,,,,,, হুমম জ্বীনে তো ধরেছে, কি গল্প করবে এভাবেই করো।
,,,,,,,,, এই অবস্থায় কিছুই মাথায় আসছে না।
,,,,,,,,,, তো আমাকে জরিয়ে ধরে বসো থাকো।
,,,,,,,,, 😳😳
,,,,,,,,, আচ্ছা তাহলে আমাকে একটা কিস করো।
,,,,,,,,,,, কিস করো মানে,, বললেই হলো,, কর,,,,,
আর কিছু বলার আগেই ফারহান রিমিকে ধরে কিস করতে থাকে,, রিমির চোখ মার্বেলের মতো হয়ে যায়,, পরে চোখ বন্ধ করে দেয়।
,,,,,,,,,,,,,,,,,
মাহুয়ার কিছুতেই ঘুম আসছে না,, পেটে ক্ষুধা থাকলে কার ঘুম আসে,,, শুরু এপাশ ওপাশ করছে।
রিমান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে,,, মাহুয়া হাসির শব্দ শুনে উঠে বসে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, কে ( ভয়ে )
রিমান,,,,,,,,, তেরা দেয়ান কিদার হে এ তেরা হিরো ইদার হে,,,৷৷,,
মাহুয়া তাকিয়ে দেখে রিমান খাবার নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
,,,,,,,,, তুমি।
,,,,,,, হুমম ,,, কেনো অন্য কারো আসার কথা।,, ( খাবার নিয়ে বিছানায় বসে )
,,,,,,,,,, খাবার নিয়ে এসেছো কেনো।
,,,,,,,,,, তুমি কেমন খাও এটা তো আমি জানি,, ওটুকু খাবারে তোমার কিছুই হয়নি ভালো করেই জানি।
,,,,,,,, ঠিক কথা বলেছো ( খাবার খাওয়া শুরু করে )
,,,,,,,,,,, ঢং দেখিয়ে কম খাওয়ার কি ছিলো,, কিছু দিন পর যখন বউ হয়ে আসবে তখন সবাই তো দেখবেই,, তখন কি করবে।
,,,,,,,,, তখন দেখা যাবে, এক মিনিট দরজা আটকানো ছিলো তুমি কিভাবে আসলে।
,,,,,,,,, আমার আসতে কোনো দরজা লাগে না।
,,,,,,,,,, এমন হঠাৎ করে আমার রুমে আসা যাবে না, যদি জামা চেন্স করতপ থাকি তখন।
,,,,,,,,, আমার কোনো প্রবলেম নাই 😁😁
,,,,,,,,,, আরে আমার আছে।
,,,,,,,,,, আমি তো গায়েব হয়েও আসতে পারি দেখতে পারবে না।
,,,,,,,,,,, অনুভব তো করতে পারবো,, যদি এমন হয় তাহলে দেইখো।
,,,,,,,,,,, দেখবোই তো। 😁😁
,,,,,,,,,, অফফ খেতে দাওতো।
মাহুয়া একে একে সব খেয়ে ফেলে।
,,,,,,,, খাওয়া শেষ।
,,,,,,,,,,, হুমম,,, আহহহ এখন শান্তি লাগছে। এখন তুমি যাও আমি ঘুমাবো।
,,,,,,,,, যাও মানে
,,,,,,,,, যাও মানে যাও।
,,,,,,,,,, কেনো যাও,,, থাকো এই কথাও তো বলতে পারো।
,,,,,,,,,, কেনো বলবো এই কথা।
,,,,,,,, না বলো,,, কিন্তু আমি এখান থেকে যাবো না। ( মাহুয়ার কোলে মাথা রেখে )
,,,,,,, আরেএএ
,,,,,,, ভালো লাগছে,,, আচ্ছা একটা কথা বলি।
,,,,,, বলো।
,,,,, সরি এন্ড আই লাভ ইউ।
,,,,,,,,,সরি কেনো।
,,,,,,,,,, আমি তোমাকে রাগে যায় নয় তাই বলেছি, বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি,,,, আ-ম রেলি সরি।
,,,,,,,,,,,, পিল্জ সরি বলো না পরিস্থিতিই এমন ছিলো।
,,,,,,,,,,,, আমাকে সত্যি ভালোবাসো তো।
,,,,,,,,,, কোনো সন্দেহ।
,,,,,,,,,,, বলো না
,,,,,,,, আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি, অনেকের থেকেও অনেক।
,,,,,,,,,,,,, আমিও
আপনারা কমেন্ট করেন না কেনো, কমেন্ট করে বলবেন কেমন হয়েছে,কোনটা ভালো লেগেছে, গল্প বোরিং হয়ে যাচ্ছে কিনা, তাহলে ভালো করার চেষ্টা করবো৷
চলবে,,,,,,