জ্বীন রহস্য (love story) ❤Season 2,Part 29,30

জ্বীন রহস্য (love story) ❤Season 2,Part 29,30
Writer Maishara Jahan
Part 29

রিমান,,,,,,,,,,,, আমাদের শক্তি একা যাবে কেনো, গেলে সবার। এখন এদের ধুলাই করার পালা।

আরাব,,,,,,,,,,,, এখন এক ঘন্টার জন্য কারো কাছে শক্তি নেয়, এখন হবে আসল শক্তির পরীক্ষা।

রিমান,,,,,,,,, চল মার শালারে। ( মারতে যেতে নেয় )

ফারহান,,,,,,,,,,, ঐ থাম ( হাত টেনে ধরে ) তুই এদের শালা কবি না, তোর বোনকে কি বিয়ে দিছস নাকি।

রিমান,,,,,,,,,,,, হায়রে টুরু লাভ গালির মধ্যে ও এরা জেলাস ফিল করে,,, ঠিক আছে চল শালা ওদের আজকে ভর্তা বানিয়ে ফেলবো।

ফারহান,,,,,,,,,,, হুমম চল।

তিন জনে গিয়ে মারামারি লাগিয়ে দেয়, ইশান আরাবের সাথে পেড়ে উঠে না৷ ইশান ঠাস করে নিচে পড়ে যায়। কিন্তু আবরাম ভালো মারামারি পাড়ে, ও মারামারি করছে।

রিমান,,,,,,,,,,,,, ঐ ইশানকে ছাড়, এই আবরামকে ধর বেশি লাফালাফি করতাছে। ধর শালারে।

ফারহান,,,,,,,,,,, রিমান ( ধমক দিয়ে )

রিমান,,,,,,,,, ও সরি,, মানে ধরে শালিরে,, এখন তো কোনো প্রবলেম নাকি।

ফারহান,,,,,,,,, হুমম,,,মার হালারে,,, আরাব ধর ওর হাত ধর।

আরাব আবরামের দুই হাত পিছন থেকে ধরে। রিমান একটা ঘুষি দেয়, ফারহান রিমানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,,,,,,, ও ভাই কি,,

ফারহান,,,,,,, সরি, আমাকে মারতে দে বিয়ার শক মিটাইতাছি। ( ইচ্ছে মতে ঘুষি দিতে থাকে )

রিমান,,,,,,,, আমি কি আদর করতাছিলাম, মারতেই তো ছিলাম।

ফারহান,,,,,,,,, তোর মারা আর আমার মারা কি এক হলো, ও আমার বউয়ের দিকে চোখ দিছে।

রিমান,,,,,,, আমারো বোন লাগে, কামের বেডি রহিমা লাগে না।

ফারহান,,,,,,,,,,,, আচ্ছা মারবি তো ঠিক আছে, এই সাইডে তুই মার এই সাইডে আমি।

আবরাম,,,,,,,,,, এটা কি জমি পায়ছো নাকি। ( বলার সাথে সাথে রিমান মুখে ঘুষি দেয়৷)

মারতে মারতে এটাকেও জমিতে ফেলে দেয়, ইশান আর আবরামকে নিচে ফেলে লাথি দিতে থাকে।

আরাব,,,,,,,,, মার শালারে মার আমার মুনের দিকে নজর দেয়৷

আরাব এটা বলার সাথে সাথে ফারহান আর রিমান থেমে যায়৷

আরাব,,,,,,,, কি হলো মারা থামালি কেনো।

রিমান,,,,,,,,,,,, আমাদের মেরে ফাটিয়ে দিছে এটা দেখলি না, আর মুনের দিকে তাকাছে এই জন্য মারতাছস বেইমান।

ফারহান,,,,,,,,,, রিমান যখন কালকে ইশানকে মারতাছিলো তখন তো দরদ উথলাইয়া উঠছিলো এখন৷

আরাব,,,,,,,,,,, আচ্ছা সরি হয়ছে।

রিমান,,,,,,,,, ও আরাব ও আরাব তুই অপরাধী রে, তুই বড়ো অপরাধী তোর ক্ষমা নাই রে।(গান গেয়ে)

আরাব,,,,,,,, ঐ থাম

ইশান,,,,,,,,,, অনেক হয়ছে আর না,, আমার কাছে শক্তি নাই তো কি হয়েছে আমার কাছে দুটো লকেট আছে সেটা দিয়ে তদের শাহেস্থা করবো।

রিমান,,,,,,,,,,,, ইশান তুই জ্বীন যুদ্ধা প্রতিযোগিতায় ছিলি।

ইশান,,,,,,, হো

রিমান,,,,,,,,,, তরে প্রতিযোগিতায় নিলো কেমনে তোরে তো খেলার দরজা থেকেই লাথি মেরে বের করে দেওয়া উচিত ছিলো৷

ইশান,,,,,,,,, মানে।

রিমান,,,,,,,,,, প্রথম কথা এই লকেট আমাদের তাই তুই ইউজ করতে পারবি না যদি তোকে লকেটের মালিক সইচ্ছায় দেয় তাহলে পারবি। আর আমি তো সইচ্ছায় আমার আব্বাকে লকেট দেয় নাকি সন্দেহ আর তুই তো দূরের কথা।

ফারহান,,,,,,,,,,,,,, দ্বিতীয় কথা এই লকেট আমাদের কাছে কতো বছর ধরে আছে, তার ব্যবহার শিখছি কয়দিন হলো তাও আবার ভালো ভাবে না৷

রিমান,,,,,,,, আর তোর মতো চিক্কুস একদিনে পেড়ে যাবে হুহহ।

আবরাম,,,,,,,,,,,,আর তৃতীয় কথা হলো, তোর কাছে দুটো থাকলে আমাদের কাছে তিনটা আছে। গাধা যদি পাঁচটা লকেট এক সাথে করতে পারতি তাহলো তোর জন্য কাজ করতো৷

রিমান,,,,,,,,, মনে করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ বাদ,,, আরাব এই নে তোর লকেট আমারটা নেওয়ার সময় হয়ে গেছে৷ দে আমার লকেট দে।

ইশান,,,,,,,,, না দিমু না।

রিমান,,,,,,,,,, তুই দিবি না তোর বাপে দিবো,, দে বেটা ( রিমান জোর করে লকেটটা নেয় )

ফারহান,,,,,,,,,, যাই হোক এখন এদের কি করমু।

রিমান,,,,,,,, কি আর করমু বোতলে বড়ে নিয়ে যা তারপর জ্বীনদের জেলে রেখে দে। আর ঐ বুড়ো কই মরে টরে গেলো নাকি।

আরাব,,,,,, না ঐ যে আছে,, ( আরাব সব গুলোকে বোতলে বড়ে৷ )

রিমান,,,,,, এখন যামু কেমনে শক্তি তো নাই, আর এদের সাথে নিয়ে যামু।

আরাব,,,,,,, না দাঁড়া,,, ( আরাব তার রক্ষীকে ডাকে ) এই নাও ( বোতল দিয়ে৷) এদের জেলে রেখে আসবে, আর আমাদের বাসায় পৌঁছে দাও৷

ফারহান,,,,,,,,,, ও কে,, তুই কেমনে ডাকলি।

আরাব,,,,,,,, ও আসলে আমার রক্ষী,, রাজাদের সাথে তার রক্ষী দেওয়া হয়।

রিমান,,,,,,, ওও তা এতো ক্ষন কই ছিলো, ডাকিসনি কেনো ( শান্ত গলায় )

আরাব,,,,,,,,,, না মানে ভুলে গেছিলাম 😅😅

রিমান,,,,,,,,, ও আচ্ছা,,,,,,,,,, ঐ মার শালারে এতো ক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলাম মনে পড়ে নায়,, মার টার খায়িয়ে পড়ে মনে পড়ছে।

ফারহান,,,,,,,,,,, শালা আমার জান যাইতাছিলো গা, আমার বউয়ের বিয়ে হয়ে যাইতাছে আর তোর এখন মনে পড়ছে। ঐ তোরে রাজা বানায়ছে কেডা।

রিমান,,,,,,,,,, বা***র রাজা আমার, তোর রাজা হওয়ার কোনো যোগ্যতা নায়, এই রাজা আমি মানি না৷

আরাব,,,,,, তুই এমনেও মানবি না,,, একটু ঠান্ডা হও তোরা।

ফারহান,,,,,,,, কি ঠান্ডা হমু, এখনো ব্যাথা করতাছে গরম হয়ে রয়ছে, আর তোর মনে নাই।

রিমান,,,,,,,, এক মিনিট আমার আর রিমানের গায়ে মারার দাগ আছে তোর নাই কে??

আরাব,,,,,,,,, কারন আমাকে মারে নাই।

রিমান,,,,,,,,, আমরা মার খাইছি তাও আবার তোর ভুলের কারনে আর তুমি কোনো ব্যাথা ছাড়া যাইবাগা এটাতো হবে না। এ মার শালারে।

ফারহান আর রিমান ইচ্ছে মতো মারতে থাকে। ফারহান রিমানকে একটা দেয় ঘুষি।

রিমান,,,,,,,, ঐ তুই আমারে মারোছ কেন।

ফারহান,,,,,,,,,, মনে নাই তুই আমি থাকতে থাকতে অন্য জনকে তোর বোনের জামাই করে দিতাছিলি।

রিমান,,,,,,,,, আমি তো ঐটা এমনি এমনি বলছি।

ফারহান,,,,,,,,,, কিন্তু আমার তো জ্বলছে, এমনি এমনি বলছোস এখন এমনি এমনি মার খা।

বলে তিন জনে মারামারি লাগিয়ে দেয়, তারপর ফারহান আর আরাব মিলে রিমানকে মার শুরু করে, রিমান দুজনের সাথে না পেরে চোখ বন্ধ করে দুই হাত দিয়ে ঘুষি দিতে থাকে।

ফারহান আর আরাব সরে যায়, রিমান আনতাজি হাওয়াতে ঘুষা ঘুষি করতে থাকে। কিছু ক্ষন পরে চোখ খুলে দেখে দুজনে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে৷

আরাব,,,,,,,,, বিড়াল চিনছ।

রিমান,,,,,,,, না আমি তো মঙ্গল গ্রহে থাকি বিড়াল চিনমু কেমনে।

আরাব,,,,,, তোরে দেখে তো এমনি মনে হয়,,, বিড়াল ঝগড়া করে যখন না পারে তখন ঠিক এইভাবে চোখ বন্ধ করে এমন করে ।

রিমান,,,,,,,, তুই কি ইন্ডাইরেক্টলি আমাকে বিড়াল বলছিস।

আরাব,,,,,,, না আমি ডাইরেক্টলি বলছি।

রিমান,,,,,,,,, বিড়াল তো অনেক কিউট হয়, তার মানে কিউট ধন্যবাদ।

ফারহান,,,,,,,,, কি দিয়ে বানায়ছে তোরে,, যাগ্গা মেয়েরা কই,, সেই কখন ধরে দেখছি না।

আরাব,,,,,,,, ঠিকি তো কোথায়৷

তিনজনে খুঁজা খুজি করে মহলের অন্য সাইডে ওদের খুজে পায়, সবাই মিলে সেলফি তুলছে।

রিমান,,,,,,,,,,, একে বলে মেয়ে জাতি,,, এরা হলো এই প্রকার প্রানি যে, বিয়েতে ছবি ভালো না হলে আবার বিয়ে করতে রাজি।

ফারহান,,,,,,,,,,,, ইছকিউজ মি,,,, আপনারা মোবাইল কোথায় পেলেন।

মুন,,,,,,,,, আমি আসার সময় মোবাইল আমার পকেটে ছিলো৷

রিমান,,,,,,,,, আমাদের বিপদে রেখে আপনারা সেলফি তুলছেন৷

রিমি,,,,,, আরে দূরর কি ছেলে হয়লি এই দুজনকে মারতে পারছ না।

মাহুয়া,,,,,,,,, আরে দেখো না কি সুন্দর জায়গা এখানে পিক তুলে ছাড়লে লাইকের অভাব হবে না।

ফারহান,,,,,,,, রিমি এই লেহেঙ্গাটা তোমার পছন্দ হয়ছে তাই না 😊😊

রিমি,,,,,,,,,, হুমম অনেক 😊😊

ফারহান,,,,,,,,,, খুল এইটা ( ধমক দিয়ে ) হুহহ অনেক পছন্দ হয়ছে৷ এটা তোর পড়নে থাকলে এটাতে আগুন লাগিয়ে দিমু।

রিমান,,,,,,, এতো লোভী কেনো রে তুই মানলাম তোরে পেয়ে আনছি তাওতো তরে সব কিছু দেয় তাও অন্য জনের দেওয়া জিনিস পড়া লাগে।

রিমি,,,,,,,,, আমি কি ইচ্ছে করে পড়ছি।

আরাব,,,,,,,, হয়ছে এখন চলো,, রক্ষী নিয়ে চলো।

মুন,,,,,,,, রক্ষী কোথা থেকে এলো।

আরাব,,,,,,,, আমার সাথেই থাকে।

মুন,,,,,,,, তাহলে এতো ক্ষন ডাকনি কেনো।

আরাব,,,,,,,,, ভুলে গেছিলাম।

মুন রিমি মাহুয়া আরাবের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।

রিমান্,,,,,,, এইটা শুনলেই তরে মারতে মন চাই।

ফারহান তো দিয়েই দিছে, মাথায় একটা।

মুন,,,,,,,, এটা শুনে তো আমারো মারতে মন চাইতাছে।

ফারহান,,,,,,, রিমান এই ভুল করলে মানা যায় তো কিন্তু তুই।

রিমান,,,,,,, ও ভাই ও কি।

ফারহান,,,,,,,, কারন তোর এই সবাব আছে।

রিমান,,,,,,,,,, এই ভাবে অপমান।

মাহুয়া,,,,,,, চলো এবার৷

সবাই বাসায় চলে আসে।

আরাব,,,,,,,, অনেক রাত হয়েছে এখন সোজা যার যার ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ো, খাবার যার যার ঘরে পৌছে যাবে। কালকে কথা হবে।

রিমান,,,,,,, ও সবাইকে নিজের মতো ভেবো না, আমরা আমাদের ঘরেই যাবো, তুই শুধু ঠিক মতো তোর ঘরে চলে যাছ।

আরাব,,,,,,,, তুই জীবনে ভালো হয়বি না।

রিমান,,,,,,, আমি তো ভালা না, ভালা নিয়া থাইকো।,,,,, কিরে ফারহান তুই আমার বোনের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো।

ফারহান,,,,, তোর বনকে বল এই পোশাক পাল্টাই তো না হলে কিভাবে পাল্টাইতে হয় আমি জানি।

রিমান,,,,,,,, ও মা কি কয়,,, রিমি চিন্তা করিস না তোর এই ভাই তোর সম্মান বাঁচাবে, চল আমার সাথে।

ফারহান,,,,,,, তাড়াতাড়ি এই পোশাক পাল্টাও না হলে খবর আছে।

রিমান,,,,,,, কয়টার খবর।

ফারহান,,,,,,, তরে তো।।

ফারহান মারতে যায় আর অমনি রিমান দৌড় দেয়৷ সবাই যার যার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে।

এতো সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ,,, শীগ্রই গল্প শেষ করমু,, আজকেও আপনাদের ভালোবাসা দিতে ভুলবেন না

চলবে,,,,,,,,,,

জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer..Maishara Jahan
Part…30

ফারহান মারতে যায় অমনি রিমান দৌড় দেয়, সবাই যার যার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে।

সকালে,,,,,,,,,

রিমান চোখ কচলাতে কচলাতে নিচে আসে,,,

আরাব,,,,,,, গুড মর্নিং

রিমান,,,,,,,,,,, গুড মর্নিং ( হাই তুলে ) অনেক ক্ষুধা লাগছে নাস্তা কই।

রিমি,,,,,,,,,,, এই যে নাস্তা, তোমরা বসো আমি দিচ্ছি।

রিমান,,,,,,,,,, নাস্তা তুই বানিয়েছিস

মুন,,,,,,, হুমম

রিমান,,,,,,,,,,, আসলে আমার ক্ষুধা মারা গেছে,, তোরা খা আমি না হয় পড়ে খামু।

রিমি,,,,,,,,, ভাইয়া ( ধমক দিয়ে ) চুপচাপ বসে খা।

রিমান,,,,,,,,, কেনো তোর নিষ্পাপ ভাইকে মারতে চাইছিস।

রিমান ,,,,,,,,,,, আমি রান্না করি নি, মাহুয়া ভাবি আর মুন ভাবি করেছে আমি জাস্ট হেল্প করেছি।

রিমান,,,,,,,, আগে বলবি না কেনো শুধু শুধু ভয় দেখাছিস।

ফারহান,,,,,,,,,,, রিমি খারাপ রান্না করে না৷

রিমান,,,,,,,,,,, তুই ওর রান্না খাইছস জীবনে।

ফারহান,,,,,,,,,, ( কাশি দিয়ে ) হ্যাঁ খেয়েছি।

রিমান,,,,,,, চল বে মিথ্যুক জীবনে আমি খায়নি তুই কিভাবে খাবি৷

ফারহান,,,,,,,, তাহলে বললি কিভাবে যে ও ভালো রান্না করে না।

রিমান,,,,,,,,, যে কোনো দিন রান্না ঘরে যায় নি, তার রান্না যে কেমন হবে তা জানা আছে।

রিমি,,,,,,, আমার তারিফ করা শেষ হলে খেতে বসতে পারিস।

সবাই খেতে বসে,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,, বলছিলাম কি বয়স তো হয়েছে মা বাবাকে বলে বিয়েটা করে নিবো।

আরাব,,,,,,,,,, বড়ো ভাইয়ের আগে ছোট বিয়ে করলে লোকে কি বলবে।

রিমান,,,,,,,,, মাত্র কয়েক দিনের বড়ো তুই।

আরাব,,,,,,,, তো কি হয়েছে বড়ো তো,, আর বড় ভাইয়ের আগে ছোট বিয়ে করলে কেমন দেখায়।

রিমান,,,,,,,,,, সোজা সোজা বল না যে আমারও বিয়ে করতে মন চাইছে।

আরাব,,,,,,,,,,, মন চাওয়ার কি আছে এক না এক দিন তো করতেই হবে তাই না।

রিমান,,,,,,,,,, এতোই যখন বিয়ে করতে মন চাইছে তখন মামা মামি কে বল।

আরাব,,,,,,,, মন চাই নায়,,,, আর নিজের বিয়ের কথা নিজে কিভাবে বলি, যদি,,,

রিমান,,,,,,,,, বুঝেছি আমাদের কে মামা মামির সাথে কথা বলতে বলছিস তাই তো।

আরাব,,,,,,, এমনি বলবি বিয়ের বয়স হয়ে গেছে বিয়ে দিয়ে দিলে ভালো হতো আরকি।

ফারহান,,,,,,,,,, সেই হিসাবে তো আমি ও রিমানের বড়ো।

রিমান,,,,,,,, লে হালুয়া,,,,, আমি রিমিকে এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিবো না।

ফারহান,,,,,,, ঠিক আছে যতোদিন আমার বিয়ে না হবে ততোদিন তোর বিয়েও হতে দিবো না আমি।

রিমান,,,,,,,,,,, ব্লেক মেল ,,, কিন্তু রিমির মাত্র বিশ বছর বয়স৷

আরাব,,,,,,, ঠিকই তো রিমিকে এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিবো না, এক কাজ কর তোরা পড়ে কর আগে না হয়,,,

রিমান,,,,,,,,, কি ভাবছো চান্দু আমাদের বিয়ে না হলে তোকে বিয়ে করতে দিমু এতো সোজা।

মাহুয়া,,,,,,,, রিমান রিমি বয়স বিশ হলে আমার বয়স ও কিন্তু বেশি না।

মুন,,,,,,,,,, আমারো কিন্তু বেশি না।

আরাব,,,,,,, তুমি তো আমার মাত্র দুই বছরের ছোট ( আস্তে )

মুন,,,,,,,,,, কিছু বললা।

আরাব,,,,,,,,, একদমি না।

রিমান,,,,,,,,, ঠিক আছে আমি বাবা মার সাথে কথা বলবো নে। কিন্তু আমার বিয়ের কথাটা তোরা বলবি মা বাবাকে।

ফারহান,,,,,, কেনো তুই নিজেরটা নিজে বল তোর আবার লজ্জা আছে নাকি।

রিমান,,,,,,,, নাই মানে,,,, আসলেও তো নাই,, বিষয়টা লজ্জার না বিষয়টা হলো আমার বাবা,,, আমার বাবাকে নাকি তার বাবায় অনেক জালাইছে তাই সে আমাকে জালাবে, এক বার আমারটা আসুক পৃথিবীতে।

মাহুয়া,,,,,,,,, কি করবে আমার ছেলে কে ( এক ব্রু উঠিয়ে জিজ্ঞেস করে )

রিমান,,,,,,,,, হিহিহি আদর করবো বেবি।

রিমি,,,,,,,, বাবা আমার কথা শুনে যা তোর জন্য আমি বাবার সাথে কথা বলবো।

রিমান,,,,,,,, আমার জন্য না কার জন্য বুঝায় যাচ্ছে।

আরাব,,,,,,,,, এক মিনিট আমাদের কি কথা ছিলো যে আমরা এক সাথে বিয়ে করবো, বিয়ের পড়ে এক বাড়িতে গিয়ে উঠবো মনে নেয়।

ফারহান,,,,,,,, হ্যাঁ মনে আছে, এক কাজ করি আমি আর রিমান আরাবের বিয়ের কথা বলবো, আরাব আর তুই আমার বিয়ের কথা বলবি,,, আর আমরা তোর বিয়ের কথা বললো শেষ।

মুন,,,,,,,, কি বন্ধুত্ব,, কিভাবে দেখো বিয়ের প্লেন করছে৷ তোমরা সব ছেলেরা কি এভাবে বিয়ের কথা বলো৷

আরাব,,,,,,,, এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই।

রিমান,,,,,,,, বিয়ের বয়স হয়লে মা বাবা বিয়ে না দিলে এমনি তেরা বুদ্ধি বের করা লাগে। তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া শেষ কর আমার বাসায় যাওয়া লাগবো।

আরাব,,,,,,,, কেনো আমার বাসায় কি হয়েছে।

রিমান,,,,,,, তোর বাসা থেকে কি আমি মাইক মেরে তোদের বিয়ের কথা বলবো।

ফারহান,,,,,,,,, আজি বলবি।

রিমান,,,,,,,, শুনিস নি কাল করো তো আজ করো, আজ করো তো এখন। সটাই পালন করছি।

সবাই নাস্তা শেষ করে রিমানের বাসায় যায়। গিয়ে দেখে রিমানের বাসায় আরাবের মা বাবা ফারহানের মা বাবা আর রিমানের সবাই এক সাথে বসে গল্প করছে৷

ফারহান,,,,,, আরে বা সবাই এক সাথে আছে এর থেকে ভালো আর কি আছে যা রিমান তুই পারবি।

রিমান,,,,,,, কিসের পারবি সবার সামনে বলমু কেমনে।

আরাব,,,,,,,, পারবি পারবি এক মাত্র তুই পারবি।

রিমান,,,,,,,,, আরে সাব্বাশ সব কিছুতে বলিস পারবি না তোর দারা হবে না যেই বিয়ের কথা আসলো অমনি পাল্টি।

( রি, মানে রিমান, আ, মানে আরাব, ফা, মানে ফারহান )

রি,বাবা,,,,,,,, আরে এসে গেছে গাধারা মানে বাচ্চারা।

রিমান,,,,,, হুমম বাবা,,, তা সবাই এখানে কিছু হয়েছে নাকি।

আ,মা,,,,,,, এতো বড়ো বিপদ হলো আর আমাদের জানালে না, সব শুনে তোমাদের দেখতে এলাম।

আরাব,,,,,,,,,, তোমাকে কে বললো মা।

আ, বাবা,,,,,, তোমার রক্ষী,,তিন জনকে জেলে রেখেছি।

রি,বাবা,,,,,,,, রিমি মা তোমার কিছু হয়নি তো, শুন যীন্নাত ঐ আবরাম গাধারামকে ইচ্ছে মতো ধুলাই করবি,, প্রথমে আমার বউয়ের উপর নজর দিছে এখন মেয়ের উপর,,, এটা তো উপরের লেভেলের লোক। মা এদিকে আয়।

রিমান,,,,,,,,,,,, বাবা আমি গেছিলাম ওরে বাঁচাইতে আমাকেও একটু জিজ্ঞেস করো।

রি,বাবা,,,,,,,,, দেখায় যাচ্ছে তোর হাত পা ঠিক আছে আর কি লাগে। তোরে দেখলেই তো মারতে মব চাই তোরে মারে নাই৷

রিমান,,,,,,,,, এই রিমানের গায়ে হাত দিবে এমন কেও এখনো জম্ম হয় নাই ( ভাব নিয়ে )

সাথে সাথে সবাই কেশে উঠে।

আরাব,,,,,,, রিমান ভাই,,,,

রিমান,,,,,,,,,, আরাব কিছু বলার আগে ভেবে রাখিস তোর বিয়ের কথা কিন্তু আমি বলমু। ( কানে কানে )

রি, বাবা,,,,, রিমান ছাগল আমার তোর গায়ে হাত দেওয়ার মতো মানুষ অনেক আগে জম্ম হয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,, কে শুধু নামটা বলো।

রি বাবা,,,,,, তোর বাপ রিয়াদ খান। আমার হাতের মার গুলো মনে নায়৷

রিমান,,,,,,,,,,, কোনো ব্যাপার না এক সময় আপনিও অনেক মার খায়তেন।

রি,,বাবা,,,,,,,, হুহহ আমাকে কে মারতো।

রিমান,,,,,, আপনার বাবা আহাত খান,,,,,, তোমাকে বলে জুতা দিয়ে মারতে মারতে দাদার অনেক ছিড়ে গেছে।

সবাই হেসে দেয়৷

রি,,বাবা,,,,,,, তুই আমার ছেলে তো সন্দেহ হয়৷

রিমান,,,,,,, আল্লাহ বাবা তুমি এতো বড়ো কথা মাকে বলতে পারলা,, তুমি এটা ঠিক করো নাই,,, মা ও মা কই তুমি।

রি, বাবা,,,,,,, ঐ তোর মাকে ডাকছিস কেনো,, আমি আবার তোর মাকে কি বললাম।

রি, মা,,,,,, কি হয়েছে

রিমান,,,,,,,, আল্লাহ মা জানো না বাবা তোমাকে নিয়ে কি বলেছে,, হায় আল্লাহ এটা শুনার আগে বাবা কেনো বোবা হয়ে গেলো না।

রি,,বাবা,,,,, ঐ কি কস এগুলা, আমি তোমাকে কিছু বলিনি৷

রিমান,,,,,,,,,, মা জানো বাবা তোমাকে সন্দেহ করে আমি তার ছেলে কি না, এটা নিয়ে কথা বলছে তার মানে কি দাঁড়ায়৷

রি,মা,,,,,, কি এই বয়সে এসে এই সব কথা পড়ে বুঝাবো মজা তোমাকে,, সন্দেহ বের করবো৷

রি,বাবা,,,,,,,, তোমাকে সন্দেহ করবো কেনো,,, রিমান তোকে আমি ছাড়বো না।

ফা,,, মা,,,,, অনেক হয়ছে মেহেরিমা রিয়াদ এমন কিছু বলেনি,,রিমান ফাজলামো করছিলো। আচ্ছা রিয়াদের বাবা ছিলে অনেক দুষ্ট রিয়াদ তার থেকে বড়ো দুষ্ট রিমান তো মাশাআল্লাহ তা রিমানের ছেলে কি হবে এক দম সব কিছু ছাড়িয়ে।

রিমান,,,,,,,, বেশি দুষ্টুমি করলে মেরে ঘরে বেধে রেখে দিবো।

মাহুয়া,,,,,,,, আমার ছেলেকে শুধু হাত লাগিয়ে দেখো ( রিমানের কানে কানে )

রিমান,,,,,,,, ( হারামজাদা এখনো জম্মই হলো না এখনি আমার বউকে তার দলে নিয়ে নিছে, জম্ম হলে না জানি কি করবে )

ফা,বাবা,,,,,,, আরে সবাই বসো না দাঁড়িয়ে আছো কেনো৷

রিমান,,,,,,,,,, আচ্ছা মামা ভাবছিলাম,, আরাব তো এখন জ্বীনদের বাস্সা হয়ে গেছে তাই ওরে এখন বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত৷

আরাব,,,,,,,,,, আরে এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করবো না।

এই কথা শুনে রিমান চুপচাপ বসে আরাবের দিকে তাকিয়ে আছে,, রিমান আর কিছু বলছে না দেখে আরাব আবার ইশারা দিলো।

রিমান,,,,,,,,, ( হালা বজ্জাত ) আরে বিয়ের বয়স হয়নি মানে,, আর কয়দিন পর বিয়ে করলে ছেলে মেয়ে বাবা জায়গা কাকা বলবে।

আ,,মা,,,,,, কিন্তু ভালো মেয়ে পাওয়া লাগবে তো।

রিমান,,,,,,, আরে আছে তো আমাদের মুন,,,,তারা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে।

আ,,মা,,,,,, আমি তো আগেই বুঝেছিলাম,,,, মুনের মতো মেয়ে আমার ছেলের বউ হবে আর কি লাগে, একটা ভালো দিন দেখে ওদের এক করে দিবো।

আবরাম,,,,,,,,,, ফারহানের ও তো বয়স হয়েছে ওরও তো বিয়ে দেওয়া দরকার।

ফা,বাবা,,,,,,, হুমম মেয়ে খুজে দেখবো।

রিমান,,,,,,,,, ফারা আন্টি আমাদের রিমি আপনার কেমন লাগে।

ফা,,মা,,,,,, রিমিকে তো আমার হেব্বি লাগে পুরো আমার মতো,,আমি তো ভেবেছিলাম রিমিকে আমার পোলার বউ করবো কিন্তু ফারহান না করে দিলো৷

রিমি,,,,,,,, (শয়তান) ফারহানের দিকে কটমট করে তাকিয়ে।

রি,বাবা,,,,,,,, কিন্তু রিমির এখনো তেমন বয়স হয়নি,, এখনি বিয়ে।

রিমান,,,,,, দুরর বাবা বিশ হয়ে গেছে কয় দিন পরে বুড়ি হয়ে যাইবো। আর ফারহানের মতো ছেলে পাবে,, তোমার বন্ধু বান্ধবীর ছেলে।

রি,বাবা,,,,,, তাও ঠিক

ফারহান,,,,,,,,,, আরে আংকেল ঠিকই বলেছে রিমি এখন ছোট এখনি এই সব ভাবছিস।

রিমান,,,,,, আরে বিয়েটা করে নে।

ফারহান,,,,,,,,,, এখনি এই সব ভাবার দরকার নাই

রিমান,,,,,,,,, ( শালা ঘরের শালা ) ঠিক আছে তাহলে রিমি না হয় কয়েক বছর পরে বিয়ে করবে। এতোই যখন সমস্যা কয়েক বছর পরে করিস৷

আরাব,,,,,,,,, এতো বেশি কস কেন ফারহান।

ফারহান,,,,,,,,,,, ( শালা) না তোরা যখন বলছিস তখন আমার কোনো প্রবলেম নাই৷

রিমান,,,,,,,, ( শালা খচ্চর ) তাহলে আন্টি আংকেল কি বলেন।

রি,বাবা,,,,,,,, ওদের কোনো প্রবলেম নাই তো আমার আবার কি হবে,, এতো ভালো কথা বন্ধু এখন বেয়াই হবে।

সবাই হাসছে কথা বলছে,, রিমান দেখছে তার কথা কেও বলছে না। ইশারা দিয়েও লাভ হচ্ছে না।

রিমান,,,,,,,,, জানেন আমার একটা টেলেন্ট আছে আমি ভাঙা কিছুকে জোরা লাগাতে পারি আবার জোরা জিনিসকে ভাঙতে পারি,, এটা জিনিস ছাড়া অন্য কিছু ও হতে পারে৷ ( ফারহান, আরাবের দিকে কটমট করে তাকিয়ে )

রি, বাবা,,,,,,ওরপ আমার টেলেন্টরে, এটাকে টেলেন্ট বলেনা ছেছরামি বলে।

আরাব,,,,,,,,, চাচু বলছিলাম কি রিমানের বিয়ে বাদ যাবে কেনো,, ওর ও বিয়ে দিয়ে দাও।

রি,বাবা,,,,,,, ও মেয়ে পাবে কই।

রিমান,,,,,,,, ও মিঃ বাবা আমার জন্য মেয়েরা লাইন ধরে থাকে।

রি,বাবা,,,,,, তা কোন জায়গা লাইন ধরে থাকে আমি তো কোনো দিন দেখলাম না।

আরাব,,,,,, আরে চাচু তোমার সামনেই তো আছে মাহুয়া,,, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে।

রি,বাবা,,,,,, এতে সুন্দর মেয়ে তুই কোথায় পেলি কিভাবে পেলি।

রিমান,,,,,,, যেভাবে তুমি মাকে পেয়েছো।

রি,,,বাবা,,,,,, মা এখনো ভেবে নাও একে বিয়ে করবে কি না।

রি,,মা,,,,, চুপ থাকোতো,, আমার তো মহুয়াকে খুব পছন্দ হয়েছে।

ফারহান,,,,,,, বলছি সবার বিয়ে একসাথে হলে হয় না,,তিন বন্ধুর বিয়ে এক সাথে।

রি,,বাবা,,,,,,,,, আমার কেনো জানি এই সব কিছু তোদের প্ল্যান লাগছে।

আরাব,,,,,,, আমরা কি এইাসব করতে পারি।

রি,বাবা,,,,,, আমার তো সন্দেহ হচ্ছে কারন আমার ছাগল যে কোনো কিছু করতে পারে।

রিমান,,,,,, বাবা,,, আমরা তিন বন্ধু এক সাথে বিয়ে করবো তাতে তোমার কি।

ফা,,মা,,,,,,, তিন জনে সবসময় এক সাথে থাকো,, দুইদিন আমার বাসায়, দুইদিন রিমানের দুইদিন আরাবের বিয়ের পরে তো এভাবে থাকতে পারবা না তখন।

আরাব,,,,,, কেনো থাকতে পারবো না।

ফারহান,,,,,,,,, আমরা বেশি ক্ষন আলাদা থাকতে পারবো না দম বন্ধ হয়ে আসবে।

রিমান,,,,,,,,, আমাদের জীবন সাথিকে আমরা অনেক ভালোবাসি কিন্তু আমাদের প্রথম ভালোবাসা আমাদের বন্ধু তাই তাদের থেকে আলাদা থাকা সম্ভব না৷

আরাব,,,,,,,,, তা ছাড়া আমাদের সবার বাড়িতে সবার জন্য আলাদা রুম করা আছে, আমরা ঠিক থাকতে পারবো। আর তোমরাও তো কয়দিন বাসায় থাকো কিছু দিন পর পর চলে চাও বন্ধু বাসায়৷

ফারহান,,,,,,,,, আমরা একটা বাসা দেখেছি এখান থেকে অনেক কাছে, আমরা সবাই বিয়ে করে সেই বাড়িতেই উঠবো, তিন বন্ধু এক সাথে থাকবো।

রি,,বাবা,,,,,, বাবা সবকিছু প্ল্যান করে রেখেছে।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here