জ্বীন রহস্য (love story)❤️Season 2,Part 27,28

জ্বীন রহস্য (love story)❤️Season 2,Part 27,28
Writer Maishara Jahan
Part 27

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,, তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে না যে কালকে কোনো অঘটন ঘটতে পারে আজিব৷

দুপুরে,,,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,,,,,, শুন না আমার না দাঁড়িয়ে থাকতে মজা লাগছে না।

আরাব,,,,,,,, আমার তো খুব মজা লাগতাছে।

ফারহান,,,,,,,,,,,, আমার তো খুশিতে নাচতে মন চাইছে নেচে দেখামু।

রিমান,,,,,,,,,,, দেখা , এমনি তেও ভালো লাগতাছে না।

মুন,,,,,,,,,, আল্লাহ কিছু ভাবতে দাও।

রিমান,,,,,,,,,,,,,,, ঐ আমার না খুধা লাগছে ।

আরাব,,,,,,,,,,,,, নে আমারে খা।

রিমান,,,,,,,,, এতো বাজে জিনিস আমি খাই না।,,,, ঐ কিছু ভাবসছ।

আরাব,,,,,,,,, কেও ওরে চুপ করাও।

মাহুয়া,,,,,,,,,, একটু চুপ থাকো না।

রিমান,,,,,,,,, কি করমু বেশি ক্ষন চুপ থাকলে আমার মুখ ব্যাথা করে।

ফারহান,,,,,,,,,,,, কিরে,,,,,রিমি এতো ক্ষন উপরে কি করে , কতো ক্ষন হলো এখনো আসে না, ঐ আবরাম ও নাই, কি করে ও।

রিমান,,,,,,,,,,,,, ঐ আবরাম কিন্তু দেখতে হেন্সাম আছে, যে কোনো মেয়ে দেখলে কিন্তু পটে যাবে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, হুমম ঠিক বলেছো।

রিমান,,,,,,,,,,, কি ঠিক বলেছো,, আংকেলের নজরে দেখবা ।

মাহুয়া,,,,,,,, আরে আমি এমনি বললাম।

রিমান,,,,,,,,,,, ঐ জ্বীন গো রাজা কিছু কর, না হলে রাজা হয়ে কি করলি।

আরাব,,,,,,,, কিছু করতে পারলে আগে তোর মুখটা শিলাই করতাম।

রিমান,,,,,,, কোনো কামের না।

ফারহান,,,,,,,,,,,,,, রিমি ওই রিমি তাড়াতাড়ি নিচে আয় না হলে মার খাবি কইলাম ( রাগে চিৎকার করে )

সবাই ওর চিৎকার শুনে ভয় পেয়ে যায়। রিমি দৌড়ে আসে।

রিমি,,,,,,,,,,, কি হয়ছে, কি হয়ছে।

রিমান,,,,,,,,, পাশের বাড়ি মেয়ে হয়ছে।

ফারহান,,,,,,,, চুপ,,,,,,, কোথায় ছিলেন আপনি।

রিমি,,,,,,,,,, আসলে উপরে যেতেই না ঘুম চলে এসেছিলো কেনো জানি।

রিমান,,,,,,,,,,,, লে হালুয়া 2,,,,, আমাদের এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে আর তুই ঘুমাস লজ্জা করে না৷

রিমি,,,,,,,,,, না করে না।

রিমান,,,,,,,,,, লজ্জা থাকলে তো করবে।

ফারহান,,,,,,,,,,,,,, আবরাম কোথায় ছিলো।

রিমি,,,,,,,,,, আজিব আমি জানি।

আবরাম,,,,,,,,,, আমি এখানে। শুনছিলাম কে জেনো আমার বউকে থ্রেট দিচ্ছিলো।

ফারহান,,,,,,,,,,,, আপনার বউকে কেও থ্রেট দেয়নি, আমি আমার বউকে দিছি।

আবরাম,,,,,,,,,,,, ও এখন আমার।

ফারহান,,,,,,,,, ভুল ও আমার ছিলো আর আমারি আছে৷

রিমান,,,,,,,, ও আমার তোমার,,,, রিমি এখন কারো না। ও কি সম্পত্তি নাকি, আর যদি সম্পত্তি হয়েও থাকে তাহলে এই সম্পত্তি এখনো কাওকে লিখে দেয় নি, এটা এখনো আমার বাপের আছে।

ফারহান আর আবরাম ওর কথার কোনো পাত্তা না দিয়ে আবার আমার আমার লাগিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,,,,,,, এতো বড়ো অপমান।

আবরাম,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, রিমি আমার না তাই তো, তাহলে রিমিকে কালকে না আজকেই নিজের করে নিবো কি বলো।

ফারহান,,,,,,,,,,,,, কিহহহহ

রিমি,,,,,,,,,, মানে

আবরাম,,,,,,,,,,,, মানে হলো বিয়েটা আজ রাতে।

আরাব,,,,,,,,, সাহস থাকলে হাত ছুটিয়ে দেখা আমার তারপর দেখবো কে কাকে বিয়ে করে।

আবরাম,,,,,,,,, যীন্নাতের ছেলে না তুমি, ওর মতোই অন্য জনের প্রেমে বা হাত ঢুকাও। এবার এক কাজ করি আমি তোমার প্রেমে বা হাত ঢুকানোর মতো কাওকে এনে দিয়।

আরাব,,,,,,,,,,, মানে কাকে।

আবরাম,,,,,,,,,,, এই মেয়েটা তোমার প্রেমিকা তাই না।

রিমান,,,,,,,,, না না জাস্ট ফ্রেন্ড।

আবরাম,,,,,,,,,, সব কিছুতে তোমার কথা বলা লাগবে চুপ একদম। যেটা বলছিলাম,,,যে আমার বিয়ের মেইন গেস্ট সে তোমার মাশুকাকে অনেক পছন্দ করে।

মুন,,,,,,,,,,, আমার কথা ভাববেও না,,, না হলে চোখ উঠিয়ে মার্বেল খেলবো।

আবরাম,,,,,,,,, আরে বাপরে দেখা যাবে।

রিমান,,,,,,,,,,, বলছিলাম কি,,,

আবরাম,,,,,,,,, আর একটা কথা বললে তোমার মাশুকাও কিন্তু অনেক সুন্দর বলে দিলাম।

রিমান,,,,,,৷, আরে এটা বলা লাগে আমি জানি আমার মাহু অনেক সুন্দর। যেটা বলছিলাম আর কতো ক্ষন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবো বসিয়ে বাঁধা যায় না৷

আবরাম,,,,,,,,,,, তোমার বাবা একটা পাগল ছিলো কিন্তু তুমি আল্ট্রা প্রো।

বলে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,,,,, ও কি আমাকে পাগলের লিডার বললো। ওই আমার বাবাকে পাগল বললেন বুকে পাথর রেখে মেনে নিলাম কিন্তু আমাকে বললো কোন সাহসে।

ফারহান,,,,,,,,,,, রিমান আজ তোর বোনকে বিয়ে করবে বলছে তুই এই সব করছিস তুই কি সুস্থ।

রিমান,,,,,,,,,,, না ভাই আর কিছু ক্ষন এই ভাবে থাকলে নিশ্চিত অসুস্থ হয়ে যামু৷

ফারহান,,,,,,,, ছাড়া পাইলে তরে যে কি করমু৷

রিমি,,,,,,,,,, কিছু ভাবো আমি ঐ আবরামকে বিয়ে করমু না ( কান্না করে )

আবরাম,,,,,,,,,,,, কিছু তো একটা করতে হবে।

বিকালে,,,,,,,,

আবরাম,,,,,,,,, দেখো তো মহলটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে না। আর আমাদের বিয়েতে কে এসেছে দেখো।

ইশান আর আর বাবা সামনে আসে।

আরাব,,,,,,,,, চাচা আপনি এমন করবেন ভাবিনি।

চাচা,,,,,,,,,, কি ভাবনি,,, আমার সিংহাসন তোমার মা নিয়ে চলে গেলো তারপর এই সিংহাসনে আমার ছেলের অধিকার ছিলো কিন্তু তুমি নাকি সেই সিংহাসনের উপযুক্ত।

তোমাকে মারা প্লেন তো ছোট বেলাই করেছিলাম কিন্তু মুনে মা বাবা জেনে যায়, তাই তাদের আগে মারতে হলো।

আরাব,,,,,,,, আমাকে ফাঁসালে কিভাবে।

চাচা,,,,,,,,, তখন তোমার নতুন নতুন শক্তি ছিলো তাই সামলাতে পারতে না, তাই তোমাকে শুধু এটা বলেছি, তোমার ছোট চাচা চাচি বলেছে তুমি যুদ্ধাদের প্রতিযোগিতায় ভাগ নিতে পারবে না।

তুমি তার উপযুক্ত না, ওরা এই প্রতিযোগিতার জর্জ তাই ওরা তোমাকে লড়াই করতে দিবে না। বেস আমি জানতাম এটা শুনার পর তোমার অবশ্যই রাগ হবে।

আর তাই হলো, তুমি রাগে গেলে ওদের রুমে যেখানে আমি বেহুঁশের ধোঁয়া দিয়ে রেখেছিলাম। তার পরেরটা তো জানোই।

মুন,,,,,,,,, এতোটা নিচে কিভাবে নামলেন যে লোভে পড়ে নিজের ভাইকে মেরে ফেলেছেন,ছাড়বো না আমি আপনাকে।

চাচা,,,,,,,,, কিছু করতে পারবে না।

রিমান,,,,,,,,,,, আমি জানতাম এই বুড়োর মনে জিলাপির প্যাচ।

চলবে,,,,,,

জ্বীন রহস্য ( love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 28

রিমান,,,,,,,,,, আমি জানতাম এই বুড়োর মনে জিলাপির প্যাচ।

চাচা,,,,,,,,,,,,,, এই ছেলেকে আমি দেখতে পারি না সবসময় বারতি কথা বলে,এই বড়োদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানিস না।

রিমান,,,,,,,,,, ভুতের মুখে রাম রাম,,,,, আপনি যে রকম কাজ করেছেন তাতে তো আপনাকে নোবেল দেওয়া উচিত তাই না৷ আমার হাতটা খুলে দিন নোবেলটা দিয়৷

ইশান,,,,,,,,,,, রিমান ( লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে ) তোর সাথে তো পুরনো হিসাব আছে।

রিমান,,,,,,,,, তরে এতো মারছি তাও শিক্ষা হয়নি, ব্যাথা চলে গেছে বুঝি কোন পদের বেহায়া।

ইশান,,,,,,,,,,,, যে ব্যাথা আমাকে দিয়েছিস তার থেকে অনেক বেশি আমি দিবো। তোকে এখনি মেরে আমি আমার জ্বালা মিটাবো।

আরাব,,,,,,,,,, রিমানের গায়ে হাত লাগালে তকে এখানেই গেড়ে দিবো।

ফারহান,,,,,,,,,,, খবর দার ওর কিছু হলে তকে জানে রাখবো না।

ইশান,,,,,,,,,, বা,, বা এটাকে বলে দোস্তি,, কিন্তু কিছু করতে পারবা না। রিমানকে আজ কেও বাচাতে পারবে না।

রিমি,,,,,,,,,, আমার ভায়ের গায়ে হাত দিয়ে তো দেখা হাত কেটে রেখে দিবো। সাহস কতো বড়ো যা এখান থেকে। কেঙ্গারুর মতো শরীর নিয়ে আমার ভায়কে মারতে এসেছে।

ইশান,,,,,,,,,,,, সাহস তো অনেক এক্ষুনি দেখাচ্ছি।

মাহুয়া,,,,,,,,, খবরদার রিমানকে কিছু করলে আপনার জন্য ভালো হবে না।

ইশান,,,,,,,, কি দিন এসে গেছে এখন পিঁপড়াও আমাকে হুমকি দেয়।

রিমান,,,,,,,,, ইশান তুই আমার কিছু করতে পারবি না, দেখ আমার পাশে সবাই আছে আর তোর সাথে ঐ বুড়ো ছাড়া কেও নেয় তাই আমাদের সাথে তোর না লাগাটাই ভালো।

মুন,,,,,,,,,, যেমন বাপ তার তেমন ছেলে।

ইশান,,,,,,,,,,,, মুন তুমি তো আমাকে ভুল বুঝো না, আমার বাবা মেরেছে তোমাকে এতে আমার কোনো হাত নেয়।

রিমান,,,,,,,,,,, ওর হাত নেয় কিন্তু পা চোখ মুখ মগজ পেট সব আছে। দুজনে মিলে করছে এমন।

ইশান,,,,,,,,,,, সেট-আপ,,,, মুন দেখো আমি আমার বাবার মতো না,,, আর তোমাকে না আমার খুব ভালো লাগে।

রিমান,,,,,,,,, ওমা

ইশান,,,,,,,,,, প্রথম যে দিন আমি আরাব সেজে তোমাকে অজ্ঞান করতে গেছিলাম গেছিলাম ঐ দিনই তোমার প্রেমে পড়ে যায়।

রিমান,,,,,,,,, আরাবের বারোটা বাজতে চলেছে দেখা যায়।

আরাব,,,,,,,,,, ওই ও আমার ওর দিকে নজর দিলে না, চোখ উঠিয়ে রেখে দিবো।

রিমান,,,,,,,,,,, টুরু লাভ।

ইশান,,,,,,,,, এক বার রিমির বিয়ে হয়ে যাক তারপর রিমানকে শাস্তি দিবো তারপর তোমাকে বিয়ে করবো।

মুন,,,,,,,,,, স্বপ্নে,,, আমি বিয়ে করবো আমার মা বাবা খুনির ছেলেকে হুহহ।

ইশান,,,,,,,,, তোমার করা লাগবে না আমিই করতে পারবো।

আরাব,,,,,,,,, ভাবি হয় তোর ভাবির দিকে খারাপ নজর দিলে গরম শিক দিয়ে চোখ উঠিয়ে দিবো।

ইশান,,,,,,,,,, দেখা যাবে।

রিমান,,,,,,,, চোখ উঠিয়ে দিলে দেখবি কি ভাবে।

ইশান,,,,,,,,, মাহুয়া জানো আমি তোমাকে মারতে চাই নি এক মাত্র এই রিমানের কারনে তোমার এতে গুলো মার খেতে হলো। আমার তো তোমাকে বেশ পছন্দ হয়েছিল কিন্তু কি বলোতো আমি আগেই ভেবে নিয়ে ছিলাম মুনকে বিয়ে করবো নাহলে তোমাকেই নিজের করতাম।

মাহুয়া,,,,,,,,,, কি লুচ্চা।

রিমান,,,,,,,,, এর দেখি কুত্তার মতো সবাব সব জায়গায় মুখ দেয়।

ইশান,,,,,,,,,, বেশি কথা বললে আমার কিন্তু দুইটা বিয়ে করতে আপত্তি নাই। যার দুই বউ এতো সুন্দর তার আর কি লাগে৷

রিমান,,,,,,, শক্তি যা তোর নাই 🤣🤣এই জন্যই বেঁধে রাখছোস।

ইশান,,,,,,,,, তরে তো আমি।

আবরাম,,,,,,,,,,, অনেক হয়ছে আর না,,,,, একটু পর বিয়ে শুরু হবে রিমি বেবি রেডি হও।

ফারহান,,,,,,,,,,, রিমি তুই যদি বিয়ের সাজ দিস তাহলে তোর এক দিন কি আমার এক দিন।

রিমি,,,,,,,,, আজিব,,,,, আমি কোনো সাজ টাজ দিতে পারবো না৷

আবরাম,,,,,,,, ঠিক আছে আমিই সাজিয়ে দিচ্ছি। ( বলে হাত ঘুরাতেই রিমি বধুর সাজে রেডি হয়ে যায় )

রিমি,,,,,,,,,,, ওয়াও আমাকে কি সুন্দর লাগতাছে।

ফারহান,,,,,,,,,,, অনেক সুন্দর লাগছে ছবি তুলে দিবো, না ছবি তুলে একদম ফ্রেম বানিয়ে দিয়। ( মুখে হাসি কিন্তু রাগে চেহেরা লাল হয়ে গেছে )

রিমি,,,,,,,,,, না থাক লাগবে না ( ভয়ে )

আরাব,,,,,,,, কি ড্রামা হচ্ছে এখানে।

আবরাম,,,,,,,,,,,, চলো বেবি আমরা বিয়ে করবো।

রিমি,,,,,,,,,,, ফারহান আমি ওকে বিয়ে করবো না ( কান্না কন্ঠে )

ফারহান,,,,,,,,,,, কেন কর কর বিয়ে কর, আমি হাত তালি দিয়।

রিমান,,,,,,,,,,, কতো স্বপ্ন ছিলো তোর বিয়েতে আমরা তিন জনে নাচবো।

ফারহান,,,,,,,, নাচ না নাচ,,,, আর তিন জনে মানে ওও আগে থেকেই ধরে নিয়েছিলি তোর বোনকে আমার কাছে বিয়ে দিবি না, অন্য ছেলের কাছে বিয়ে দিবি আর আমি নাচবো।

রিমান,,,,,,,,, দূর বেটা তুই জামাই হলে কি আমরা তোর পা বেঁধে রাখতাম যে নাচতে পারবি না।

আবরাম,,,,,,,,,,,, অনেক হয়ছে চলো নাচবো মানে বিয়ে করবো,, পাগলের সাথে পাগল হয়ে যাচ্ছি।

ইশান,,,,,,,,,, এতো ক্ষন অন্য কেও হলে ভয়ে মরে যেতো।

রিমান,,,,,,,,, সবাই কি তোর মতো ডিম নাকি।

আরাব,,,,,,,, ডিম??

রিমান,,,,,,,,, সরি মানে ভিতুর ডিম,, ভিতুটা মুখে রয়ে গেছে বের হয়নি।

ইশান,,,,,,,,, কি এরা

রিমান,,,,,,,,, আমাদের মতো হতে চাও হর্লিক্স খাও।

ফারহান,,,,,,,,,, তোরে আমি বিষ খাওয়ামু চুপ থাক।

আবরাম,,,,,,,,,,, চলো এদের ড্রামা আর দেখতে পারবো না। ( রিমিকে টেনে নিয়ে যায় )

বিয়ের মঞ্চটা এক দম সামনে লাগানো হয় যাতে সবাই ভালো ভাবে দেওতে পারে । আবরামও একদম জামাই সেজে গেছে।

রিমি,,,,,,,,, ভাইয়া কিছু কর আমি বিয়ে করমু না ( জোরে জোরে কান্না করে )

ফারহান,,,,,,,,,,, ছাড় রিমিকে,, আরাব রিমান কিছু কর কিসের বা****র জ্বীন তোরা।

রিমান,,,,,,,,, দেখ গালি দিস না, জ্বীন বলে কি মানুষ না।

আরাব,,,,,,,,,, ভালোই ভালোই ছেড়ে বলে দিলাম।

আবরাম,,,,,,,,, আরে চুপ,,,, আপনি বিয়ে পড়ানো শুরু করুন ( কাজিকে বলে )

কাজি দোয়া কালাম পড়া শুরু করে, ঐখানে সবাই বকবক লাগিয়ে দিয়েছে, ফারহানের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়বে এমন করছে।

কাজি,,,,,,,,,,, কবুল বলেন।

আবরাম,,,,,,, কবুল কবুল কবুল।

কাজি,,,,,,,, মা এবার তুমি বলো কবুল।

রিমি,,,,,,,,,, কি বলবো

কাজি,,,,,,, কবুল৷

রিমি,,,,,,,, কি শুনিনি।

কাজি,,,,,,,,, কবুল বলো কবুল

রিমি,,,,,,,,,,,, মোবারাক আপনার সাথে কাজির বিয়ে হয়ে গেছে।

আবরাম,,,,,,,,, মানে৷

রিমি,,,,,,,,, আমার আগে এনিয়তো কতো বার বলে দিল।

কাজি,,,,,,,, এটা হয় না কবুল বলো।

রিমি,,,,,,, সরি মুড নেয়৷

আবরাম,,,,,,,,, বলবে কিনা বলো

রিমি,,,,,,,,, বলবো একটা শর্তে।

আবরাম,,,,,,, কি শর্ত

রিমি,,,,,,, ছোট শর্ত এই কাগজে আপনার জায়গা শুধু ফারহানের নাম থাকবে।

আবরাম,,,,,,,, ভালোই ভালোই বলো বলছি।

রিমি,,,,,,,,, ভালো কেনো খারাপ ও বলবো না।

রিমনা,,,,,,,, সাব্বাশ,,,,বাঘের বাচ্চা,,, আমি জানতাম গলা কেটেও কবুল বলাতে পারবে না।

আবরাম,,,,,,,,,, আচ্ছা তাই নাকি,,, তো ইশান কি করা যেতে পারে।

ইশান,,,,,,,,,,,, যেটা বিয়ের পরে করতা সেটা আগে করে দাও৷

ফারহান,,,,,,,,,,, মানে।

ইশান,,,,,,,, আরে আমি তো তোমাদের মারার কথা বলছি শুধু শুধু নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা।

আবরাম,,,,,,,,,,, আগে থাহলে এই ফারহানকেই মারা যাক সরি পিটানো যাক।

রিমি,,,,,,,,,, খবরদার না৷

রিমান,,,,,,,,, আগের মার ভুলে গেছিস ওর গায়ে হাত লাগালে এবার মেরেই ফেলবো।

আরাব,,,,,,,,,,, কিছু করার চিন্তাও করবি না।

ইশান,,,,,,,,,, ভেবে যখন ফেলেছি তখন মারতে তো হবেই।

আবরাম,,,,,,,,,,, চিন্তা করো না আস্তে মারবো না।

আবরাম জোরে ফারহানের পেটে একটা ঘুষি দেয়৷ ফারহানের নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। সবাই ফারহান বলে চিৎকার দেয়।

আরেক বার দিতে যায়, রিমি এসে ধাক্কা দেয়।

আবরাম,,,,,,,,,,, রিমি বিয়ে করবে কি না বলো।

রিমি,,,,,,,, (আচলটা কোমরে বেঁধে) বিয়ে কারার অনেক সক না আমাকে ঠিক আছে কর বিয়ে।

ফারহান,,,,,,,,,, রিমি ( ধমক দিয়ে )

রিমি,,,,,,,,,, আরে করতে দাও ওকে বিয়ে,,, তবে শুনে রাখ বিয়ের পর তোর জীবন হারাম যদি না করে দিয় তাহলে আমার নামও রিমি না। বিয়ের পর যদি দুটো বাচ্চাও হয়ে যাই তাও যদি সুযোগ পাই ফারহানের সাথে পালিয়ে যাবো।

আর যদি ফারহানকে মেরে ফেলিস তাহলে তো কথায় নেয়,, প্রতি দিন শুধু ভাববো কিভাবে মারা যায়। যেমন ধর তুই ঘুমিয়ে রইলি আমি হঠাৎ করে তোর গলা কেটে দিলাম।

( সাথে সাথে আবরাম তার গলা ধরে ফেলে )

রিমি,,,,,,,, অথবা খাবারে জ্বীনদের মারা বিষ মিশিয়ে দিলাম, অনেক কিছুই হতে পারে, খাবারে বিষ না মিশাতে পারলেও তেলাপোকা বা টিকটিকি তো অবশ্যই মিশিয়ে দিবো। বিয়ে করবি না চল বিয়ে কর। চল ( ধমক দিয়ে )

রিমান,,,,,,,,,,, অস্থির এটাকে বলে আমার বোন।

আবরাম,,,,,,,,, তুমি তো এই রকম অশৃঙ্খ না। এভাবে কোন মেয়ে কথা বলে, তোমার মা তো এই রকম না৷

রিমান,,,,,,,,,,, এটা আমার বাবার গুণ, যেটা আমাদের মতো অভাব নেয়। এই রকম মেয়ে আর দেখেছেন। আমি ২য় রিয়াদ হলে এ ৩য় রিয়াদ। একে বিয়ে করে কেনো নিজের শান্তি ময় জিবনে অশান্তি আনতে চান।

রাতে আরামে ঘুমিয়ে সকালে উঠে দেখবেন ময়লার বস্তা জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছেন ভালো লাগবে, রিমিকে বিয়ে করলে এটাই হবে৷ আপনাকে আমি আংকেলের চোখে দেখি তাই আপনার ভালো চাই৷ আর তেলাপোকার সুপ টিকটিকির রোস্ট খেতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না।

আবরাম,,,,,,,,,, ছিঃ,, অনেক হয়ছে দুই ভাই বোনের ড্রামা।

ইশান,,,,,,,,,,, ভাই করবেন বিয়ে নাকি,,,,,

আবরাম,,,,,,,, প পরে ভাববো আগে এদের শাস্তি দিবো।

রিমি,,,,,,,,, গন্ডারের পোলা তোরে তো

বলতেই রিমিকেও বেঁধে দেয়৷

ইশান,,,,,,,,, আসলেই অনেক হয়েছে,, আগে আমি আমার বদলা নিবো। রিমানকে ঠিক ঐভাবেই মারবো যেভাবে আমাকে মেরেছে। চাবুকটা কোথায় রে,, এই তো আমার হাতে।

আরাব,,,,,,,,, খবরদার ওর গায়ে হাত দিবি না।

ইশান,,,,,,,,, আচ্ছা এতোই জেনো পিরিত তাহলে রিমানের জায়গা আমি অন্য কাওকে মারবো।

রিমান,,,,,,,, মারতে হলে আমাকেই মার অন্য কাওকে৷

ইশান,,,,,,,, চিল ইয়ার,,, কে খাবে রিমানের জায়গা মার।

মাহুয়া,,,,,,,,, আমি

ইশান,,,,,,,, এর কই মাছের জান এতো মারছি তাও এখন আবার মার খেতে চাই।

আরাব,,,,,,,,,, রিমানের জায়গা আমি মার খাবো।

ফারহান,,,,,,,,,,, না আমি খাবো।

রিমি,,,,,,,,,, ও আমার ভাই তাই আমি খাবো।

রিমান,,,,,,,,,,, মাইর দিবো শিঙ্গাড়া দিবো না যে আমি খাবো আমি খাবো করতাছিস৷

মুন,,,,,,,,,,,, কাওকে দেওয়া লাগবে না আমাকে দিয়ে দাও৷

ইশান,,,,,,,, ওরে আমার গুলগুলি তোমার গায়ে হাত দিয়ে আদর করতে পারবো মারতে পারবো না।

আরাব,,,,,,,, শালা লুচ্চা।

ইশান,,,,,,,, তাড়াতাড়ি ভাবো কে খাবে।

সবাই এটা নিয়ে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়।

ইশান,,,,,,, অনেক হয়ছে আগে রিমানকেই পিটাবো।

রিমান,,,,,,,,, সাব্বাশ

ইশান,,,,,, পাগল নাকি তোকে মারবো পুরুষ্কার দিবো না যে সাব্বাশ বলছিস।

রিমান,,,,,,,,, তোর মারার কাম মার আমি সাব্বাশ বলি আর আব্বাস বলি তাতে তোর কি।

ইশান,,,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে খা।

বলে দেয় এক ঘা,,,, রিমান চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,সবাই চিৎকার দিয়ে উঠে,,, সবার চোখে পানি জলজল করছে।

আরেক বার মারতে যায় আর চাবুক পুড়ে যায়।

ইশান,,,,,,,, এটা কি হলো।

সবাই তাকিয়ে দেখে আরাবের চোখ ঝলঝল করছে। আরাব তার শিকল ভেঙে ফেলে।

মুন,,,,,,,, এটা কি হলো।

আরাব,,,,,, আসলে আমি ভুলে গেছিলাম জ্বীনদের রাজা শুধু হাত দিয়ে না চোখ দিয়েও জাদু করতে পারে 😅😅

রিমান,,,,,,,,,,,, শালার পুত আগে আমার হাত খুল।

ফারহান,,,,,,,,,,, হালা ঘরের হালা মার খাওয়ার পর তোর মনে পড়ছে৷

রিমান,,,,,,,, এটাকে রাজা কে বানাইছে, হাত খুল তুই।

আরাব সবার হাত খুলে দেয়৷

ফারহান ,,,,,,,, আগে তো তোরে সাইজ করা দরকার, কিন্তু তোরটা পরে দেখমু৷

রিমান,,,,,,,, আব তেরা কেয়া হগা কালিয়া ( ইশান আবরামের দিকে ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে )

সবাই মারতে যেতে চাই আর চাচা মানে ইশানের বাবা সবার উপর পানি ডেলে দেয়।

রিমান,,,,,,, এই বুড়ো আমরা গোসল করে এসেছে তোমার মতো নাকি।

চাচা,,,,,,,,, এবার তোমাদের কারো শক্তি এক ঘন্টার জন্য থাকবে না, এটা জাদুর পানি।

ফারহান,,,,,, এখন কি হবে।

রিমান,,,,,,,,,, আমাদের গাঁ এখনো ভিজা, ধর সবাইকে আমাদের শক্তি একা যাবে কেনো,চল সবার সাথে কোলাকুলি করে আসি।

ফারহান রিমান আর আরাব,, ইশান আর আবরামকে গিয়ে ধরে, দুইজনকে ঢলতে ঢলতে শেষ করে দিচ্ছে।

রিমান,,,,,, ফারহান তোর শক্তি নাই তাই যাওয়ার তো কোনো,,

ফারহান,,,,,, শক্তি নাই কিন্তু তাও গায়ে জাদুর পানি দিছে৷

রিমান,,,,,,, আমার পিঠে অনেক পানি আছে, এই বেটা দুইটাকে ধর আমি ঢলে দিচ্ছি।

আরাব আর ফারহান দুই জনকে ধরে আর রিমান সবার সাথে পিঠ ঢলছে ইচ্ছে মতো। ইশান আরাব ছুটে যায়।

আবরাম,,,,,,, জঙ্গলীর দল সব।

আরাব,,,,,,,,, এই এদের আবার ধর৷

সবাই যে ভাবে ঢলাঢলি লাগাইছে জামা কাপড় থাকে কিনা সন্দেহ।

মাহুয়া,,,,,,,, এই থামো সবাই অদ্ভুত দেখাচ্ছে 🙄🙄
আবরাম, ইশান নিচে পড়ে যায়।

রিমান,,,,,,,,, থাম হয়ছে, কিরে বুড়ো কই,, ঐতো ( সামনে তাকিয়ে ) ধর বুড়োকে।

চাচা,,,,,,,,, এই না আমাকে এই ভাবে ধরলে আর বাঁচতে পারবো না৷

তিন জন গিয়ে বুড়ো কে থুক্কু চাচাকে ধরে, তিন জনে মিলে ঘষে মষে চাচাকে ভর্তা বানিয়ে ফেলে,, চাচা নিচে পড়ে হাঁপানির রোগীর মতো শ্বাস নিতে থাকে৷

রিমান,,,,,,,,, আমাদের শক্তি একা যাবপ কেনো গেলে সবার। এখন এদের ধুলাই করার পালা।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here