জ্বীন রহস্য (love story )❤,Part 6,7
Writer Maishara Jahan
Part 6
গিয়ে কয়েকটা কিল গুশি দিলাম মনে হলো বালিশে দিয়েছি। মরার মতো ঘুমাইতেছে, কি আর করার আমিও আল্লাহ নাম নিয়ে শুয়ে পড়লাম। কাল সকাল সকাল উঠতে হবে।
সকালে,,,,,,,,
সকালটা শুরু হলো ফারার চিৎকার শুনে,,,
ফারা,,,,,,,, আল্লাহ তুই এখনো ঘুমাস,,, দুপুর হয়ে গেলো।ঘুরতে আয়ছোস নাকি ঘুমায়তে।😠
যীন্নাত,,,,,,,, ফারা এখন মাত্র সকাল ৬ টা বাঝে। 😒😑
ফারা,,,,,,, 😶😶 তো তুই উঠবি নাকি পানি ঢালমু
যীন্নাত,,,,,,,, লাগবো না ভাই উঠতাছি।
ঘুম ঘুম চোখে উঠে ফ্রেশ হয়ে একটু বাহিরে যায়। ফারা গেছে সবার ঘুম হারাম করতে।
একটু শীত লাগছে তাই একটা চাদর গায় দিয়ে বাহিরে এসেছি। চারপাশে হালকা কুয়াশা, এরকম একটা পরিবেশে কফি খাওয়ার মজাটাই আলাদা।
দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছি, এই সময় মুগ্ধ আসে।
মুগ্ধ,,,,,,, একা একা দাঁড়িয়ে কফি খাওয়া হচ্ছে।
___ হুম না হলে সঙ্গী পাবো কোথায়।
___ আমাকে একটা ডাক দিলেই চলে আসতাম।
___ ডাক না দিলেও তো এসেই পড়ো তাই ডাক দিয়ে আর কি করবো।
___ কেনো আমি আসলে কি ভালো লাগে না।
___ আমি তা বলি নি।
___ তার মানে ভালো লাগে।
___ আমি এইটাও বলি নি।
___ থাহলে কেমন লাগে।
___ তুমাকে কেনো বলবো। বলবো না।
হঠাৎ মুগ্ধ কেমন অদ্ভুত রকম করতে শুরু করলো,মনে হচ্ছে রাগে ওর চেহারা লাল হয়ে গেছে।
মুগ্ধ,,,,,,,,, যীনু তুমি ভিতরে যাও এখনে বেশি থাকার দরকার নেয়।
যীন্নাত,,,,,,,,, কেনো,, হঠাৎ কি হলো।
মুগ্ধ,,,,,, যা বলছি তাই করো।
ওর রাগী চেহারা দেখে বেশি কথা বাড়ালাম না, চলে আসলাম ভিতরে।
সবাই নাস্তা করছে।
ফারা,,,,,, কই গেছিলি,, এখনে বসে নাস্তা কর।
যীন্নাত,,,,,,, হুম,,,,, ( হঠাৎ কি হলো মুগ্ধের, ও যদি যীনহা হয় তাহলে নিশ্চিত কোনো কারন আছে,হয়তো বিপদ আমার আশেপাশে ছিলো, আর যদি যীনহা না হয় তাহলে এমন করার পিছনে মুগ্ধের কি কারন থাকতে পারে? )
রোহান,,,,,,, কিরে দোস্ত কী হয়ছে।
যীন্নাত,,,,,,, কিছু না।
৮ টা বেঝে গেছে, এখন আমরা সবাই বের হবো সমুদ্র সৈকতে। এতো খন মুগ্ধের কোনো দেখা ছিলো না হঠাৎ এখন কোথায় থেকে উদয় হলো।
যীন্নাত,,,,,,, আমাকে ওমন করে তাড়াইয়া দিলা কেনো,আর এতো খন কই ছিলা।এমন রাগ দেখানোর কারনটা কি। ( অনেক তাড়াতাড়ি বলে )
মুগ্ধ,,,,,, এক সাথে এতো গুলো প্রশ্ন।
যীন্নাত,,,,,, জবাব দিতে হবে,বলো,,,,
মুগ্ধ,,,,,,, ওকে ওকে,,,, আসলে ঐখানে কিছু ছেলে দূর থেকে তুমাকে দূরবীন দিয়ে দেখছিল তাই তুমাকে চলে যেতে বলেছি।
যীন্নাত,,,,,,, কই আমি দেখলাম না।
মুগ্ধ,,,,,, কারন ওরা দূরে ছিলো,, আর তুমার হয়তবা আশেপাশে বেশি খেয়াল ছিলো না। আর এতো ক্ষন একটু আশেপাশে ঘুরছিলাম।
যীন্নাত,,,,,,, ( মনে হচ্ছে এখনি ভেবে এসেছে কি বলবে,,কথা গুলো কেমন বিশ্বাস হলো না। )
সবাই আমরা বের হয় সমুদ্রে যাওয়ার জন্য।
আমি সাদা জর্জেট প্লাজো আর কামিজ পড়ি, অশালীন ড্রেস পড়া সম্ভব না। খেয়াল করলাম আগে মুগ্ধের গায়ে কালো সার্ট ছিল কিন্তু এখন সাদা সার্ট, একটা বোতাম খোলা, কিছুটা বুক দেখা যাচ্ছে, চোখ যেনো সরছেই না।
কিছু খন আগে কুয়াশা ছিলো এখন রোদ, হালকা গরম লাগছে।
সবাই অনেক আনন্দ করছি। ফারার কতো দিনের সক ঝিনুক কুড়াবে আজ পুরন হলো। পাগলের মতো করছে একবার এখানে ছুটছে আরেক বার ঐখানে।
এতো ঝিনুক দিয়ে কি করবে কে জানে। আমার কাছে একটা ঝিনুক খুব ভালো লাগে,অনেক বড়ো ঝিনুকটা আমি এটা আমার কাছে রেখে দেয়।
অনেক আনন্দ হচ্ছে দৌড়াচ্ছি লাফাচ্ছি, এতো আনন্দ আমি আর করিনি।মনে হচ্ছে আমরা সবাই বাচ্চা হয়ে গেছি।
অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বিক্রি হচ্ছে সব ঝিনুক, শামুক, পাথর মুক্তা দিয়ে তৈরি। দাম এতো বেশি বলার বাহিরে।
আমিও মা বাবার জন্য কিছু কিনলাম। কিন্তু আমার জন্য কিছুই পছন্দ হচ্ছে না। অনেক খন পর আমার চোখ গেলো একটা পায়েলের দিকে। পায়েলটা খুব সুন্দর কিন্তু এটা অন্য জন কিনে ফেলেছে ওরকম আর নেয়।
আমরা আরো অনেক খন ঘুরি, আমরা প্রায় সন্ধায় হোটেলে ফিরি। সবাই ফ্রেশ হয়ে বাহিরে ফায়ার জ্বালিয়ে গোল করে বসে গানের কলি খেলছে।
আমিও বসি আমার সামনে বসে মুগ্ধ। সবাই একেক করে গাইছে, মুগ্ধের পালা আসলে সে আমার দিকে তাকিয়ে,
(,মহোব্বাত বারছা দে না তু সাবান আয়াহে, তুছছে মিলনে কা মছাম আয়াহে )
যানি না কেনো আমি ওর চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না, লজ্জা লাগছিলো।মুগ্ধের গান শুনে মেয়েরা এমন ভাব করছিলো যেনো গিলে খাবে এখনি।
রাত ১১ টাই আমরা যার যার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ি।
ঘুমিয়ে পড়ি হঠাৎ আমার কানে আওয়াজ আসছে কে যেনো আমাকে ডাকছে।কোনো মতো আমার চোখটা খুলি, দেখি কেও নেয় কিন্তু আওয়াজ আসছে,, যীন্নাত যীন্নাত বলে ডাকছে। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ১ টা বাঝে।
প্রথমে উঠে বাহিরে যেতে নিয়েও যায়নি। কারন এতো রাতে আমাকে কে ডাকবে আর কেনো। নতুন করে বিপদ আনতে চাই না। তাই আবার শুয়ে পড়ি।
কিন্তু এবার আওয়াজটা বেড়ে গেলো,, খেয়াল করলাম মুগ্ধের কন্ঠের মতো।
___ যীনু এই যীনু উঠো, বাহিরে আসো কথা আছে।
মুগ্ধের গলা শুনে আর কিছু না ভেবে আস্তে করে বেরিয়ে পড়ি। বেরিয়ে দেখি মুগ্ধ হোটেলের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে আমাকে ডাকছে। আমি ও গেলাম কিন্তু গিয়ে কাওকে দেখতে পাচ্ছি না।
একটু পর আরো দূর থেকে আমাকে ডাকছে। আমি যাচ্ছি আর বলছি।
___ এই মুগ্ধ দাঁড়াও কোথায় যাও। আমার জন্য দাঁড়াও, আমি আসছি।
এমন করতে করতে প্রায় অনেক দূর চলে এসেছি। কখন যে সমুদ্রের কাছে চলে এসেছি বুঝতেই পারি নি।
হঠাৎ মুগ্ধ এক জায়গা স্থীর হয়ে দাঁড়ালো। আমিও গেলাম পিছন থেকে কাঁধে হাত রেখে হাঁপাতে হাঁপাতে বললাম।
____ শেষ মেষ তুমাকে ধরেই ফেললাম।আমাকে এখানে কেনো ডাকলে।
মুগ্ধ কোনো জবাব দিচ্ছে না।
_____ আরে কিছু বলছো না কেনো।
একটু অদ্ভুত লাগলো, তাই আমিই তার সামনে গেলাম।
মুগ্ধ কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে, নীল চোখ লাল হয়ে গেছে, অদ্ভুত ভাবে ঠোঁট বেকিয়ে হাসছে।
____ কি হলো মুগ্ধ,, মুগ্ধ ( ঝাঁকিয়ে )
কিন্তু কোনো জবাব নেয়, এবার আমার একটু ভয় করছে, আমি পিছিয়ে গেলাম।
____ কে তুমি,,, তুমি তো মুগ্ধ না।
চারপাশে কেমন ভয়ংকর আওয়াজ হচ্ছে, একটু পর দেখলাম আমাকে চারপাশ দিয়ে গিরে রেখেছ। সামনে তাকিয়ে দেখি মুগ্ধ নেয়।
বুঝতে আর বাকি রইলো না, এটা আমাকে আনার জন্য প্লেন করা।
সবার কেমন ভয়ানক চেহারা। আমার দিকে সবাই এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে কতো পুরানো শত্রুর তাদের।
আমারো আর কিছু করার নেয় আমি উপরে হাত দিয়ে আমার তালোয়ার আনলাম।
সবাই আমার উপর হামলা করছে, আমিও তালোয়ার দিয়ে আঘাত করছি কিন্তু বুঝছি না এরা মরছে না কেনো।
যীনহাও আসছে না। আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। একটি জ্বীন পিছন থেকে এসে আমাকে আঘাত করে। অনেক খানি কেটে যায়।আমি মাটিতে পড়ে যায়, জানি না তখন আমার কি হয়, নিজের ভিতরে থাকা কোনো এক শক্তি যেনো বের হচ্ছে।
জানি না কেনো আমার পিঠে প্রচুর ব্যাথ্যা করছে।মনে হচ্ছে পিঠ থেকে কিছু বেরিয়ে আসছে।
আমি অনেক জোরে চিৎকার করি। এবার আমি সবার দিকে তাকায়। ওদের দেখে মনে হচ্ছে জেনো আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে। আমার পিঠে কিছু অনুভব করছি। কিছু বুঝার আগে জ্ঞান হাড়ায়।
যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি যীনহা সবার সাথে লড়াই করছে।
আমার পিঠে এখব ঐ প্রচন্ড ব্যাথ্যাটা নেয়, তবে কেটে গেছে এর একটু ব্যাথ্যা আছে।
সব জ্বীনরা চলে যায়। যীনহা এসে আমাকে ধরে। আমি উঠে বসি।
___ সরি আমার আসতে অনেক দেড়ি হয়ে গেছে।
___ কোনো সমস্যা নেয়।আচ্ছা আমার পিঠে কি কিছু আছে।
___ না তো। তবে অনেকটা কেটে গেছে। তুমি পিছনে ঘুরো তো।
___ কেনো।
___ একটা ঔষধ লাগিয়ে দিয় এখনি ঠিক হয়ে যাব।
___ লাগবে না আমি পড়ে লাগিয়ে নিবো।
___ আরে যে জায়গা কেটেছে ঐখানে তুমি লাগাতে পারবে না। আর কাওকে দিয়ে লাগাতে চাইলে তাদের প্রশ্নের উত্তর জানা আছে তুমার।
___ কিন্তু
___ কোনো কিন্তু নয়, তুমি পিছনে ফিরো।
কোনো উপায় না দেখে আমি পিছনে ফিরি। যীনহা আমার চুল গুলো সরিয়ে সামনে দেয়। যে জায়গা কেটেছে ঐখানের কাপড়টা টান দিয়ে আরেকটু ছিড়ে নেয়।
____ কি করছেন।
____ না ছিড়লে ভালো করে ঔষধ দিতে পারবো না। বেশ অনেকটা কেটেছে।
জামাটা সরিয়ে যীনহা তার চোখ সরিয়ে নেয়, পড়ে আবার তাকায়।
ঔষধ লাগানোর লাগানোর সময় যীনহার হাত আমার পিঠে লাগে, আমার বুকে কেমন ধুক করে উঠে। হার্ট বির্ড বেড়ে যায়।যীনহা তার হাত দিয়ে আমাকে ঔষধ লাগাচ্ছে।
যীনহার হাত গরম মুগ্ধের মতো।এটা মুগ্ধের স্পর্শ আমি নিশ্চিত। ও স্পর্শতেই শুধু আমার এমন অনুভূতি হয়। আমি চোখ বন্ধ করে আছি।
কিছু খন পর যীনহা তার হাত সরিয়ে নেয়। ক্ষত ভালো হয়ে যায়। কোনো রক্ত ও নেয়।যীন্নাতের ফর্সা পিঠে যেনো যীনহার চোখ আটকে গেছে।
পিঠে আর কোনো ব্যাথ্যা অনুভব না হয়ায়, আমি সামনে ফিরি, ফিরে দেখি যীনহা নিশা ভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তার চোখ মুগ্ধকে দেখতে পাচ্ছি।
যীনহা কিছু একটা চিন্তা করে তার চোখ সরিয়ে আমাকে একটা কাপড় পেচিয়ে দেয়।
এবার আমার যাওয়া উচিত।
___ আমরা হেঁটেও তো যেতে পারি।
___ কেনো।
___ দেখো না রাতে সমুদ্রটা কি সুন্দর লাগছে। আমার হাটতে মনে চাইছে।
___ ঠিক আছে চলো।
দুজনে হাটছি মুগ্ধের হাত ধরে হাটতে ইচ্ছে করছে কিন্তু পারবো না।
____ আচ্ছা তুমি এতো রাতে এখানে কি করছিলে।
___ আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম,, তখন একটা জ্বীন মুগ্ধের রুপ ধরে ডাকছিল।
_____ আর তাই তুমি এতো দূর চলে এলে। বা বা, যে কেও ডাকবে আর তুমি তার পিছনে পিছনে চলে যাবে।
____ যে কেও ডাকলে যেতাম না, কিন্তু ঐটা যে কেও না মুগ্ধ ছিলো।
যীনহা আমার কথা শুনে দাঁড়িয়ে পড়ে। আমার দিকে তাকিয়ে বলে।
____ ওর রুপ ধরলেই যেতে হবে।
____ হুমম।
_____ কেনো।
____ জানি না।
ওর চোখের দিকে তাকিয়ে মনে হলো একটু হাসলো কিন্তু তারপর আবার মুখটা মলিন হয়ে গেলো।
যীনহা,,,,,,, আমি এখন আসি।
____ আরে আমাকপ পৌঁছে তো দাও।
____ আমি জানি তুমি একা একা যেতে পারবা।
____ কেমন পুরুষ আপনি, একা একটা মেয়েকে এই রাতে এখানে রেখে চলে যাবেন।😢😢
____ তুমার মতো মেয়ে হলে এখানে কেনো বিশাল জঙ্গলের মাঝখানে রেখে আসলেও কিছু হবে না।
বলেই চলে গেলো,,
কি আর করার এক বালতি কষ্ট নিয়ে আমিও হোটেলে চলে আসি।আস্তে ধীরে ড্রেস চেন্স করে শুয়ে পড়ি আরেকটু পররি আজান দিবে।
চলবে,,,,,,,
জ্বীন রহস্য ( love story ) ❤
Writer Maishara Jahan
Part 7
কি আর করার এক বালতি কষ্ট নিয়ে আমিও হোটেলে চলে আসি। আস্তে ধীরে ড্রেস চেন্স করে শুয়ে পড়ি আরেকটু পরি আজান দিবে।
আজকেও ফারার চিৎকার শুনেই ঘুম ভাঙে। মাথাটা প্রচুর ব্যাথ্যা করছে। ঘুম থেকে উঠে চোখ বন্ধ করে বিছানায় বসে আছি।শরীরটা অস্থির অস্থির করছে।
বিছানা থেকে নামার জন্য পা বাড়াতেই আমার চোখ যায় পায়ের দিকে। আমার পায়ে ঐ পায়েলটা পড়ানো। কিন্তু এটা তো অন্য জন কিনে নিয়েছিল তাহলে আমার পায়ে আসলো কিভাবে। আর এই পায়েলটা ঐ পায়েলের থেকে একটু বেশিই চকচক করছে।
কিন্তু এটা আমার পায়ে এলো কোথা থেকে। আমি পায়েলটা খুলে বেগে রেখে দিয়েছি কে না কে দিয়েছে।
রেডি হয়ে সবার সাথে চলে আসি, আজ আমরা কক্সবাজারের অন্য দিকে ঘুরবো,যেখানে অনেক সুন্দর ঝড়না আর পাহাড়ের মতো আছে।
আমি কালো ড্রেস পড়ি, আর ফারা লাল ড্রেস, লিপস্টিক পড়ে।
____ আমারা কারো বিয়েতে যাচ্ছি না, তুই লাল ড্রেস কেনো পড়েছিস।
___ আরে ঐখানে একটু জঙ্গলের মতো, তাই লাল ড্রেস পড়লে ছবি অনেক সুন্দর হবে।
___ দশ মাইল দূর থেকেও তকে দেখা যাবে যে লাইট কালার ড্রেস পড়ছিস।
রোহান,,,,,,,, তাও ওকে অনেক সুন্দর লাগছে 🤤
রিয়াদ,,,,,,,, তোর কাছে ওকে সুন্দর লাগেনা কখন।😒😒
ফারা,,,,,,, আমাকে নিয়ে কথা শেষ হলে এখন যাওয়া যাক।
আমরা সবাই বের হয়, মুগ্ধ বার বার আমার পায়ের দিকে তাকাচ্ছে, একটু বিরক্তি লাগছে। বার বার পায়ে তাকানোর কি আছে।
আর চোখ গুলো কেমন করে যেনো তাকাচ্ছে, নীল চোখ তার মধ্যে এই ভাবে তাকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে এখনি আমার জান বেরিয়ে যাবে,ওর প্রেমে পড়ে গেলাম না তো আবার।
আজ কাল ওকে দেখলেই জানি কেমন লাগে। ওর চোখের দিকে তাকালেই হার্ট বির্ড বেড়ে যায়।
এই সব ভাবতে ভাবতে আমরা আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছে যায়। অসম্ভব সুন্দর জায়গাটা,😍 কিন্তু মানুষ বেশি 😕😑
সবাই অনেক ছবি তুলছে কারন আজি লাস্ট দিন।আমিও কিছু তুললাম।
তারপর একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ালাম, জানি না কেনো অদ্ভুত লাগছে। এই ভালো লাগছে এই খারাপ লাগছে।
মনে হয় এখনি মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। মাথাটা বাড়ি দিয়ে উঠে পড়ে যেতে নিয়, তখনি মুগ্ধ এসে ধরে ফেলে।
,,,যীন্নাত কি হয়েছে
,,,,যানি না শরীরটা কেমন করছে।
মুগ্ধ আমাকে একটা পাথরে বসায়, আর বলে,,,
,,,,, এই সময় এই রকম একটু হবেই।
,,,,,,, তুমার কি মনে হয় আমি প্রেগন্যান্ট।
,,,,,,,,, নো,,,,,, কেনো প্রেগন্যান্ট তুমি,,,,,, 😱
,,,,,,,, ছিঃ কি বলছো।
,,,, তাহলে বললা কেনো।
,,,,,, তুমি কেনো বললা যে এই সময় এই রকম হয়। এই সময় বলতে কোন সময় বুঝায়ছো।
,,,,, না মানে মানে,,,, এতো দিন ধরে যার্নি করছোতো তাই বললাম।
,,,,, ওওও
হঠাৎ ব্যাথ্যাটা অনেক বেড়ে গেলো, আমার চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছে। আমি মুগ্ধের যেকেট শক্ত করে ধরেছি।মনে হচ্ছে এখনি মরে যাবো।
,,,,,অনেক ব্যাথ্যা অফফ আর সইতে পারছি না। ( কান্না করে )
অন্য কেও হলে হয়তো আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতো অথবা সবাইকে ডেকে আনতো।কিন্তু মুগ্ধ শান্ত হয়ে বসে আমার পিঠ সাইল্ড করছে আর করুণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছু খন পর আমি স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। কোনো ব্যাথ্যা কোনো কষ্ট হচ্ছে না।
,,,,, এটা কি ভাবে হলো আর কোনো ব্যাথ্যা নেয়।
,,,,,,, আচ্ছা তুমার বিশ বছর হতে আর কতো দিন আছে।
,,,,,,, এই প্রশ্ন এই মুহূর্তে কে জিজ্ঞেস করে।
,,,,,, বলো না।
,,,,,,, এই ৩ দিন।
,,,,,, আরো তিন দিন তুমাকে এই কষ্ট সহ্য করতে হবে।
,,,,,, মানে
,,,,, হুহু কিছু না।
,,,,,, ব্যাথ্যা তো নেয় তবে মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।
,,,,,,, এক কাজ করো আমার কাধে মাথা রেখে কিছু খন চোখ বন্ধ করে রাখো।
,,,,,,, আমার জন্য তুমি কেনো তুমার সময় নষ্ট করবে আজকেই লাস্ট দিন।
,,,,,,, আমার এখানেই বেশি ভালো লাগছে। যা বলছি তা করো।
,,,,,,, হুমম।
আমি মুগ্ধদের কাঁধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করি।সত্যি বলতে অনেক ভালো লাগছে। মাতাল করা সেই গ্রান পাচ্ছি। মনে চাচ্ছে আরো কাছে যেতে, কিন্তু এটা সম্ভব না। কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম কিছু বুঝতেই পারি নি।
মুগ্ধ এক দৃষ্টিতে যীন্নাতের দিকে তাকিয়ে আছে।
মুগ্ধ,,,,,, ( তুমাকে বুঝতে পারবো না, তুমি আমার কাছে কি। যতোই তুমার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে চাই ততো আরো বেশি তুমার মায়ায় পড়ে যায়। তুমি আমার সামনে থাকলে আমি আর কিছু ভাবতে পারি না, আমি ভুলে যায় আমি কে। তুমাকে নিজের করে পেতে চাই হয়তো এটা সম্ভব না। আমি তুমাকে আর কষ্ট দিতে চাই না। )
আধা ঘণ্টা পর যীন্নাতের চোখ খুলে দেখে মুগ্ধ তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এবার বেশ লজ্জা লাগে। আমি উঠে দাঁড়ায়।
,,,,,, এবার কেমন লাগছে।
,,,,, এখন বেশ ভালো লাগছে। সবাই কোথায়??
,,,,,, সবাই একটু ঐদিকে গেছে।
,,,,,, আমার কথা কারো মনে পড়লো না 😑😑😐
,,,,, ফারা, রোহান, রিয়াদ এসেছিলো, আমি চলে যেতে বলেছি।
,,,, ওরা এসে কি দেখে।
,,,,,, যেভাবে ছিলে তাই দেখে।
,,,,,, কিহহহ কিছু বলে নাই।
,,,,,, না শুধু বলেছে চালিয়ে চাও।
,,,,,, ওদের এখন কি বলবো। ঠিক আছে চলেন ওদের কাছে যায়।
আমরা সবার কাছে গেলাম। ফারা আমাকে দেখে একটা বেটকি মাছের মতো হাসি দেয়। যার মানে হচ্ছে,,
তলে তলে টেমপু চালাও,,,,,,,,,,
তোরা সবাই আমার দিকে ঐভাবে তাকিয়ে আছোস কেনো।
রোহান,,,,,,, জানো না কেনো,,,,
,,,,, তোরা যেমন ভাবতাছোস তেমন কিছুই না ওকে। 😤😤
,,,, 🧐🧐🧐
,,,,,, ঐ আমাকে দেখা বন্ধ করবি। তার থেকে ভালো এতো সুন্দর জায়গা দেখ।
ফারা,,,,,, তুমাকে তো পড়ে দেখবো।
,,,,,, মন ভরে দেখো ঠিক আছে।
আমরা অনেক খন ঘুরি,, ভর দুপুর ফারা ছবি তুলতে জঙ্গলের ভিতরের দিকে যায়।
যীন্নাত,,,,,,, জঙ্গলে কেনো যাস,,, ঐখানে যাস না।
ফারা,,,,,, আরে দুরর এই খানে কতো মানুষ, একটু জঙ্গলের ভেতরে গিয়ে কয়েকটা সুন্দর পিক তুলে আসি জোস হবে।
রিয়াদ,,,,,, ঠিক চল।
কি আর করার আমিও ওদের পিছনে পিছনে যায়।
ফারা রোহান রিয়াদ পিক তুলা শুরু করে। মুগ্ধ আমার কয়েকটা পিক তুলে দেয়। অনেক খন হয়ে গেলো ওদের এখনো হয়নি।
তবে এবার আমার আর ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে কেউ আমাদের দূর থেকে আকর্ষন করছে। এখানে থাকা বেশি ঠিক হবে বলে আমার মনে হয় না।
আমি তাদের ধমকিয়ে নিয়ে আসি। আমরা ঐখানের একটা রেস্টুরেন্টে খেয়ে আরো অনেক খন ঘুরে চলে আসি।
আজকেও আবার বাহিরে বম ফায়ার জ্বালিয়ে সবাই গোল করে বসি। সবাই গোল করে নাচছে লাস্ট ডে বলে কথা।
ফারা আমাকে জোর করে টেনে নিয়ে গেছে। কিছু খন পর আমরা এসে পড়ি। বসে বসে সবার নাচ দেখছি।
ফারা,,,,,,,, আমার না কেমন জানি লাগতাছে।
যীন্নাত,,,,,, কেনো কী হয়ছে।
ফারা,,,,,, জানি না কেনো আমার মনে হচ্ছে কেউ আমার দিকে কুনজরে তাকিয়ে আছে।
আমার একটু অদ্ভুত লাগলো, আমি আশেপাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম কেওতো নেয়। আমার কেমন সন্দেহ হচ্ছে।
যীন্নাত,,,,,,, আরে দুরর এটা তোর মনের ভুল।
ফারা,,,,,,, হয়তো বা।
ঐদিকে মুগ্ধ গিটার বাজাচ্ছে আর ওকে ঘিরে মেয়েরা বসে আছে। কিছু বলছেও না লুচ্চা কোথাকার। যা রাগ হচ্ছে আমার।
মুগ্ধ এবার আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে গিটার বাজাচ্ছে। তার তাকানো দেখে আমার সব রাগ ফুসস হয়ে যায়। তার চোখের নেশায় পড়ে গেছি। তার মধ্যে তার ঠোঁট বেঁকানো মুশকি হাসি।
অনেক রাত হয়ে গেছে লাস্ট ডে তো এখানে তাই অনেক রাত পযন্ত আনন্দ করেছি। এবার সবাই যার যার ঘরে যায়।
বিছানায় শুতেই রাজ্যের ঘুম এসে চোখে হানা দেয়। ঘুমে ঘুমে কারো শু শু শব্দ পাচ্ছি। যেনো কারো দম বন্ধ হয়ে আসছে। হঠাৎ পানির গ্লাস পড়ার শব্দে ঘুম ভাঙে। আমরা রুমের সবাই উঠি।
আমি চোখ খুলতেই মনে হলো কেও জালানা দিয়ে সজোরে বেরিয়ে গেছে। লাইট জ্বালায়ি দেখি ফারা হাঁপাচ্ছে, শ্বাস নিতে পারছে না। ঘামে পুরো শরীর ভিজে গেছে।
যীন্নাত,,,,,,,, কি হয়ছে, কি হয়ছে এমন করছিস কেনো।
আমি পানি দিয়, ফারা পানি খেয়ে কিছুটা শান্ত হয়।
যীন্নাত,,,,,,,, এবার বল কি হয়েছে।
ফারা,,,,,,, জানি না, মনে হচ্ছিলো কেও আমার সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছিলো। একটা কালো ছায়া ছিলো। আমি তাকে ছুটানোর চেষ্টা করছিলাম। আমার অনেক ভয় করছে।
রুম মেড,,,,,, আরে স্বপ্ন দেখেছিস হয়তো।
ফারা,,,,, জানি না তবে আমার ভয় করছে।
যীন্নাত,,,,, দারা আমি জালানা বন্ধ করে আসি।
ফারা,,,,,, না তুই যাবি না, ওদের বল।
যীন্নাত,,,,,, ঠিক আছে আমি যাবো না। তুই শুয়ে পড়।
ফারা,,,,, আমার ভিষণ ভয় করছে।
যীন্নাত,,,,,, আমি এখানেই বসে আছি তুই আমাকে ধরে শুয়ে পড়।
ফারা আমার কোলে মাখা রেখে শক্ত করে ধরে শুয়ে পড়ে। এটা আমারি ভুল তকে ঐখানে যেতে দেওয়া উচিত হয়নি। আর কি এমন ঘুমালাম যে আমার পাশে থাকা ফারার সাথে এতো কিছু হয়ে গেলো আর আমি খবর ও পায় নি। নিজের উপর রাগ হচ্ছে।
সকাল হয়ে গেছে রাতে একটু ও ঘুমাতে পারি নি। ফারা বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে। আজকে তাকে আমি ডেকে তুলি।
সবাই অনেক ক্লান্ত, কোনো মতে গাড়িতে উঠে।ফারা এখনো ঠিক হয়নি, ভয়ে ভয়ে আছে।আমার নিজেরো ভালো লাগছেনা। আমার পিঠ অনেক ব্যাথ্যা করছে জানি না কেনো।
আমার ভালো লাগছে না তাই ফারাকে হাসাতে পারবো না। তার দায়িত্ব রোহানকে দিয়েছি।ফারাকে রোহানের পাশে বসিয়েছি। আমার পাশে রিয়াদ বসে ছিলো মুগ্ধকে দেখে সে উঠে মুগ্ধকে বসিয়ে দিয়েছে।
কিছু বলিনি কারন বলার মতো অবস্থা নেয়।আজকে কোনো গান বাজনা হচ্ছে না কারন সবাই এখন ঘুমাচ্ছে বাসে।
আমার পিঠে অনেক ব্যাথ্যা করছে।জানি না মুগ্ধ বুঝতে পেরেছে কি না। সে আমার হাত শক্ত করে ধরেছে। গরম হাতের ছুঁয়ায় ব্যাথ্যাটা ভুলে যাচ্ছি।
আমি মুগ্ধের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি।
আমাকে দুপুরে ডাকা হয় লাঞ্চ, করার জন্য। উঠে দেখি,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,