জ্বীন রহস্য (love story)❤Season 2,Part 8,9
Writer Maishara Jahan
Part 8
,,,,,, সত্যি খুব অদ্ভুত আপনি এতো খেয়াল তো আজ পর্যন্ত আমার কেও রাখেনি।
সকালে,,,,,,,,,,,
আরাব অফিসে যায় গিয়ে দেখে মুন এসে গেছে। আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে হাসি দিতে দিতে 😊 বসে।
মুন,,,,,,,, কি হলো স্যার আপনি আমাকে দেখে স্মাইল করছেন কেনো।
,,,,,,,,,,, তাহলে কি কাঁদবো।
,,,,,,,,,, আমি তা বলি নি।
,,,,,,, আচ্ছা তুমি কতো ক্ষন হলো অফিসে এসেছো।
,,,,,,,,, প্রায় ১ ঘন্টা।
,,,,,,,, ওওও ( তাহলে ১.৩০ এর মধ্যে মুন নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য জমজম পাতা খাবে, এর আগে আমাকে জমজম পাতা খুঁজে লুকিয়ে রাখতে হবে )
,,,,,,,, কি ভাবছেন
,,,,,,,,,, কিছু না ( এক মিনিট আমি মুনকে যা ভাবছি সে যদি সেটা হয় তার মানে মুন জানে আমি জ্বীন )
,,,,,,,,,,
রিমান বসে আছে মাহুয়ার অপেক্ষায় কিন্তু এখনো আসে নি, কিছু খন পর দরজা খুলে মাহুয়া ভিতরে আসতে নেয় আর রিমান জোরে বলে উঠে।
,,,,,, মাহুয়াআআআআ
মাহুয়া লাফ দিয়ে উঠে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, কি হয়ছে ( ধমক দিয়ে )
রিমান,,,,,,,,,,, 😵😵
,,,,,,,,,,, না মানে স্যার আপনার কি কিছু লাগবে।
,,,,,,,,,, না লাগবে না, এতো লেট করে আসলে যে।
,,,,,,,,, আমি লেট না আপনি তাড়াতাড়ি এসেছেন, আমার টাইম এক দম ঠিক আছে।
,,,,,,,,,, ওকে বাদ দাও,, এদিকে এসে বসো।
,,,,,,,,,, ঠিক আছে,,,, বসেছি এবার বলেন।
,,,,,,,,, আচ্ছা তুমি তো অনেক সাহসী তাই না।
,,,,,,,,৷ কোনো সন্দেহ আছে।
,,,,,,,, না এক দমি না,,, আমি যানতাম তুমি অনেক সাহসী, তাই তুমি জ্বীন-ভূতেও ভায় পাও না, তাই না।
,,,,,,,,, এদের ভয় পাওয়ার কি আছে, এদের তো আল্লাহ বানিয়েছে।
,,,,,,,,, এক দম ঠিক৷
,,,,,,,, জ্বীন কোনো দিন আমার সামনে আসলেও ভয় পাবো না।
,,,,,,, আরে বা।
,,,,,,,, আরে আমি তো ওদের দেখতে পাই , আমার ছোটোবেলার বন্ধু কয়েকটা জ্বীন।
,,,,,,,,,, এটা একটু বেশি চাপা হয়ে গেলো 😑😑
,,,,,,,,, কিহহ চাপা,,, আপনি জানেন আপনার পাশে একটা জ্বীন দাঁড়িয়ে আছে।
,,,,,,,,,, কোথায় আমি তো দেখতে পারছি না।
,,,,,,,,, আরে আপনি দেখবেন কিভাবে আপনি একজন সাধারণ মানুষ৷
,,,,,, ওও আচ্ছা তাহলে তুমি কি।
,,,,,,, আমি মানুষ হলেও সাধারণ না।
,,,,,,,, আচ্ছা জ্বীন তো তোমার বন্ধু তো এক কাজ করো জ্বীন কে বলো টেবিলে যে পানির গ্লাসটা আছে সেটা ফেলে দিতে।
,,,,,,, আমি বললে অবশ্যই করবে কিন্তু আমি ওদের অর্ডার দেয় না, আমার ভালো লাগে না।
,,,,,,, ওকে,,,,, (রিমান জাদু করে গ্লাসটা ফেলে দেয়)
,,,,,,,, এ এ এটা নি নি নিচে পরলো কিভাবে।
,,,,,, আরে হয়তো তোমার জ্বীন বন্ধু তোমার সম্মান রক্ষাতে ফেলে দিয়েছে।
,,,,,,, আপ আপ আপনি ব ব বলতে চান এটা কোনো জ জ জ্বীন করেছে।
,,,,,, তুমি এমন কাপছো কেনো, আর জ্বীন ছাড়া আর কে করবে৷
,,,,,,,,, আ আ আরে না, এমনি পড়ে গেছে হয়তো।
রিমান এবার আরেকটা গ্লাস ফেলে দেয়। সাথে সাথে মাহুয়া লাফ দিয়ে রিমানের কাছে গিয়ে কোর্ট টেনে ধরে।
,,,,,, আরে কি করছো আমার কোর্ট খুলে ফেলবে নাকি৷ আচ্ছা আমি যায় মনে হয় জ্বীন তোমার সাথে একা কথা বলতে চাই।
,,,,,,,,, না আমাকে ছেড়ে যাবেন না পিল্জ, আমি আপনার সাথে সাথে যাবো।
রিমান তার কোর্ট খুলে মাহুয়ার হাতে দিয়ে দেয়।
,,,,,,, তুমি থাকো আমি আসি।
রিমান যেতে নেয় আর মাহুয়া রিমানের সাদা শার্টে ধরে টান দিয়ে তার দিকে ফিরাই, টেবিলের সাথে লেগে যায় মাহুয়া৷ রিমান মাহুয়ার খুব কাছে, তার চোখে তাকিয়ে আছে।
মাহুয়া,,,,,,, আমাকে ছেড়ে যাবেন না পিল্জ (ভয়ে)
রিমান,,,,,,,,,, কোনো দিন না।
রিমান মাহুয়ার ঠোঁটের দিকে এগুচ্ছে, মাহুয়া বুঝতে পেরে উঠে চলে আসতে নেয়। রিমান মাহুয়ার হাত ধরে টান দিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়।
মাহুয়ার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়, ধাক্কা দিচ্ছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
এই সময় রিমি চলে আসে জোরে দরজা খুলে,,,,,
রিমি,,,,,,,,, ভাই,,,,,,,,,,, য়াআআ 😳😳
রিমি দরজায় দাঁড়িয়ে আছে, রিমান মাহুয়াকে ছেড়ে দাঁড়িয়ে আছে মাহুয়া দেওয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।
রিমি,,,,,,,,, সরি,,, আমি পরে আসি।
রিমান,,,,,,,, না,, কিছু বলবি।
রিমি,,,,,,, কিছু তো একটা বলতে এসেছিলাম কিন্তু ভুলে গেছি।
রিমান,,,,,,,, কিছু দেখেছিস।
রিমি,,,,,,,,,, না আজ আমার চোখ সাথে নিয়ে আসতে ভুলে গেছিলাম।
রিমান,,,,,,,, ওওও,,, আজ কাল অনেক কিছু ভুলে যাস তুই।
রিমি,,,,,,,, ওকে বাই ভাইয়া,, বাই ভাবী
বলে দৌড় দেয়।
মাহুয়া,,,,,,,,,,,, আপনার সাথে আমি পড়ে কথা বলছি।
রিমান,,,,,,, কেনো এখন বলো।
মাহুয়া,,,,,,,, কি বলবো,, কি ভেবেছেনটা কি,, যখন খুশি তখন কিস করবেন, আমাকে কি আপনার কোনো বাজারু মেয়ে মনে হয়।
রিমান,,,,,,,, মাহু কি বলছো ( ধমক দিয়ে )
,,,,,,,, মাহু বলবেন না আমাকে,,, আমি গরিব বলে যা খুশি করা যায় আমার সাথে তাই না।
,,,,,,,, তুমি ভুল ভাবছো।
,,,,,,,, ঠিকি ভাবছি,,, আপনি আমার সাথেই এমন করেন কারন আমার কেও নেয় বলে আর আমি এই চাকরিটাও ছাড়তে পারবো না তাই,, অন্য করো সাথে করেন এখানে অনেক মেয়ে আপনার জন্য পাগল।
,,,,,,,,,, বেছ অনেক হয়েছে,,,,, আমি তাদের ভালোবাসি না, আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি, শুধু তোমায় বুঝেছো ( মাহুয়ার কাঁধে ধরে )
,,,,,,,,,, আপনি আমাকে ভালোবাসেন ভালোবাসেন শুধু আমার,,,,,
,,,,,,,,, মাহুয়া,,,এর আগে আর একটা কথা বললে জীবনে তোমার মুখ দেখবো না, তোমার কি মনে হয় শুধু তোমার শরীরের জন্য তোমার সাথে ভালোবাসার নাটক করছি ছিঃ।
যদি এটাই চেতাম না তাহলে তোমার থেকে আরো অনেক সুন্দর মেয়ে আমার পিছনে আছে তাদের,,,,
আমি বলতেও পারবো না,,,, ঠিক আছে আজ থেকে আমি অন্যদের সাথে যেভাবে চলি তোমার সাথেও ঠিক একি ভাবে চলবো।
বলে চলে যায়।
,,,,,,,,,,,
রিমি হসপিটালের যায় গিয়ে দেখে ফারহান রিদির সাথে কথা বলছে।
রিমি,,,,,,,,, মেজাজটা গরম হয়ে যায় দেখলে।
ফারহান রিমির রাগী লুক দেখে একটু দূরে গিয়ে দাড়ায়।
রিমি,,,,,,,, ফারহান তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে একটু আসো তো।
রিদি,,,,,,,, ফাস্টে ফারহান না স্যার বলো আর তোমার ক্লাস শুরু হয়ে গেছে ছো ক্লাসে যাও।
রিমি,,,,,,, কিন্তু মেম।
রিদি,,,,,, যাওও
রিমি,,,,,, ( ডাইনি ) সে বুক বড়া কষ্ট নিয়ে চলে যায়।
রিমি ক্লাসে থাকলেও তার মন ক্লাসে নেয়।
ক্লাস শেষ হতেই রিমি দৌড়ে কেন্টিনে চলে যায়,কারন ফারহান এই সময় এখানেই থাকে।
কেন্টিনে খাবার নিয়ে আসতেই দেখে রিদি ফারহানের পাশে বসে আছে। রিমি ফারহানের সামনে গিয়ে বসে।
রিদি,,,,,,,,, তুমি এখানে কেনো যাও ক্লাস মেটের সাথে গিয়ে খাও।
রিমি,,,,,,,, আমি এখানে বসেই খাবো।
রিমি বসেই পা দিয়ে ফারহানের পায়ে গুতা দেয়, ফারহান তাকাতেই চোখ টিপ দেয়।
ফারহান,,,,,,,, রিমি
রিমি,,,,,,, কি,, আমি কি কিছু করেছি।
রিদির এই সব দেখে রাগ হয়।
রিদি,,,,,,, রিমি তুমি এখান থেকে যাও আমার ফারহানের সাথে কথা আছে।
রিমি,,,,,,,,, আমি যাবো না।
রিদি,,,,,,,,, ফারহান ওকে যেতে বলো, তোমার সাথে আমার কিছু কথা যা ওর সামনে বলা যাবে না, ও বাচ্চা একটা মেয়ে৷
রিমি,,,,,,, আমি এখানে বসেই খাবো।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমি একদিন অন্য জায়গা বসে খেলে কিছু হবে না।
রিমি,,,,,,,,, না আমি যাবো না।
রিদি,,,,,,,,, রিমি যাও এখান থেকে, ফারহানের সাথে আমার জরুরি কথা আছে, উঠো,, উঠো বলছি।
ফারহান,,,,,,, রিদি ওর সাথে এভাবে কথা বলো না,,, রিমি আর একটাও কথা না অন্য জায়গা বসো।
রিমি রাগে উঠে ফারহানের সামনে তার সব খাবার ডাস্টবিনে ফেলে চলে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, রিমি রিমি
ফারহান ও উঠে রিমির পিছনে যেতে নেয় কিন্তু রিদি ধরে ফেলে৷
রিদি,,,,,,,,, কোথায় যাচ্ছো তোমার সাথে কথা আছে, ও এক দিন না খেলে কিছু হবে না।
ফারহান,,,,,,,,,,, ও না খেয়ে থাকলে আমি শান্তি পাবো না। আমার কাছে সবার আগে রিমি,,
ফারহান ও রিমির খোঁজে যায় কিন্তু পাচ্ছে না। অনেক খন খুজার পর গার্ডেনে দুই পা বেঞ্চের উপরে উঠিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।
ফারহান ও গিয়ে বসে।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমি এখাবে চলে আসার মানে কি, সবাই কি ভাববে।
রিমি,,,,, (চুপ)
,,,,,,,, ঠিক আছে চলো খাবে,,
,,,,,,,, আমি খাবো না।
,,,,,,,,, রিমি এতো জেদ ভালো না চলো।
,,,,,,,, না যাবো না,, আমি খেলেই কি না খেলেই কি যান গিয়ে রিদি মেমকে খায়িয়ে দিন।
,,,,,,,,,,,, রাগ করে না চলো ( হাত ধরে টান দিয়ে )
,,,,,,,,,, আমি যাবোও না খাবো ও না। ( কান্না করে )
,,,,,,,,, আরে এতে এতো কষ্ট পাওয়ার কি আছে। তুই কি কষ্ট পেয়েছিস।
,,,,,,,,, হ্যাঁ পেয়েছি,, আমার কষ্ট হয় যখন তুমি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলেন,আনার কষ্ট হয় যখন আমার কথা না শুনে অন্য মেয়ের কথা শুনো। বার বার ভালোবাসি বলি তো তাই ভালো লাগেনা যেদিন আমি থাকবো না সেদিন বুঝবেন।
এ কথা বলার সাথে সাথে ফারহান রিমিকে জরিয়ে ধরে, রিমি বসে আছে আর ফারহান দাড়িয়ে রিমিকে ধরে আছে।
এমন কিছু হবে রিমি ভাবতে পারেনি।
,,,,,,, চুপ একদম চুপ,, কোথায় যাবি তুই আমাকে ছেড়ে এতো কিছু কি তোর ছেড়ে যাবার জন্য করছি, কোথাও যেতে দিবো না তকে।
রিমি,,,,,,,, আমি তো মজা করছিলাম।
,,,,,,,, মজায় ও কোনো দিন এই সব কথা বলবি না।
,,,,,,,,, ঠিক আছে ,,,,,,,,, আরে এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে জরিয়ে ধরতেই পারে।
ফারহান রিমিকে ছেড়ে দেয়।
,,,,,,, কাকে বলছিস।
,,,,,, আরে এইতো সামনে দাঁড়িয়ে আছে, এ ভাবে তাকিয়ে আছে যেনো জীবনে কাওকে জরিয়ে ধরতে দেখেনি৷
ফারহান,,,,,,, ঠিক আছে চল আমার সাথে।
ফারহান রিমির হাত ধরে নিয়ে আসে।
রিমি,,,,,,,, তোমার চখে পানি কেনো আমার জন্য বুঝি 😏😏
ফারহান,,,,,, জ্বী না আমার চোখে কিছু একটা পরছিলো তাই। চলো খাবে।
,,,,, আমি ঐ রিদির সাথে বসবো না।
,,,,,, ঠিক আছে এখানে বসো
রিমি ফারহানের পাশে বসে খেতে থাকে
রিমি,,,,,,, যানো আজ আমি কি দেখেছি।
,,,,,,, কি
,,,,,,, রিমান ভাইয়ার কাছে গেছিলাম দেখি ও একটা মেয়েকে কিস করছে৷
,,,,,,,,,, কিহহহ হতেই পারে না আমাদের তো কিছু বলেনি।
,,,,,,, কিস তোমাকে বলে করবে।
,,,,,, সত্যি
,,,,,, হুমমম
,,,,,,,,, কীভাবে করলো।
,,,,,,, করে দেখাবো।
,,,,,,,, না থাক বুঝেছি।
,,,,,,,,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,, মুনের ব্যাগ টেবিল সব জায়গা খুজলাম কিন্তু পেলাম না, তার মানে কি আমি ভুল। এতো খুজার পরেও পেলাম না।
মুন,,,,,,,,, আমার টেবিলে কি করছেন।
,,,,,,,,, না এমনি দেখছিলাম।
,,,,,,,,, খাবার খাওয়া শেষ।
,,,,,,,, হুমমম।
,,,,,,,,, হাতে কীসের বক্স
,,,,,,,, টিফিন বাটি।
,,,,,,, তুমি বাসা থেকে টিফিন ও এনে ছিলে।
,,,,,,,, হুমমম।
,,,,,,,,,, আচ্ছা তুমি জ্বীন এ বিশ্বাস করো।
,,,,,,,,, হুমম, কোরান শরীফে যখন লেখা আছে তাহলে সত্যিই আছে।
,,,,, দেখেছো কোনো দিন।
,,,,,,,, না,, ভয় লাগে,,,, হঠাৎ এই প্রশ্ন।
,,,,,,,,, এমনি মনে হলো,,, ( এক দমে জবাব দিয়ে দিলো স্মার্ট,কিন্তু বেশি দিন লুকিয়ে রাখতে পারবে না, কাল রেডি থেকো )
রাতে,,,,,,,,,,,,
মাহুয়া,,,,,,,, আমি মনে হয় একটু বেশি বলে ফেলেছি, এভাবে বলা উচিত হয়নি,,, রিমান আমার সাথে একটা কথাও বলেনি,, খুব আঘাত পেয়েছে মনে হয়। গিয়ে সরি বলা উচিত।
মাহুয়া রিমানের কাছে যায়।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, স্যার আপনাকে কিছু
রিমান,,,,,,,,,, মিস্ মাহুয়া আজ আপনার কাজ শেষ আপনি আসতে পারেন, আমি এখন চলে যাবে, কাল দেখা হবে।
বলে চলে যায়।
মাহুয়া,,,,,,,, দূররররর।
,,,,,,,,,,,,,,,
রিমি,,,,,,,,, ফারহান আমার ভয় করছে, আমাকে তাড়াতাড়ি বাসায় দিয়ে আসো।
ফারহান,,,,,,,,,,,,,,, কেনো কি হয়েছে।
,,,,,,, জানি না চোখের সামনে অদ্ভুত অদ্ভুত চেহেরা ভাসছে, অদ্ভুত আওয়াজ শুনা যাচ্ছে, আমার মাথা ঝিম ঝিম করছে।
ফারহান রিমিকে কোলে করে নিয়ে গাড়িতে বসায়।
,,,,,, চোখ বন্ধ করে রাখো,আমি ইয়ার ফোন কানে দিচ্ছি গান শুনো।
,,,,,,, ঠিক আছে।
ফারহান গাড়ি চালাচ্ছে, গাড়ি চালানো তার পক্ষে কষ্ট কর হয়ে গেছে, গাড়ি যেনো সামনে যেতে চাইছে না। ফারহান তাড়াতাড়ি আরাবকে কল করে।
ফারহান,,,,,,,,, হ্যালো আরাব প্রবলেম হয়ে গেছে আমি রিমিকে নিয়ে যেতে পারছি না, তুই তাড়াতাড়ি আয়।
আরাব,,,,,,,,, আমি এখনি আসছি।
কিছু খন পর সব ঠিক হয়ে যায়, গাড়ি তার গতিতে চলতে থাকে।
ফারহান,,,,,,,, সব ঠিক হয়ে গেছে তুই কোথায়।
আরাব,,,,,,,, চিন্তা নেয় আমি গাড়ির উপরে আছি কিছু হবে না।
তারা বাসায় পৌছে যায়, ফারহান রিমিকে কোলে করে নিয়ে রিমির রুমে শুয়িয়ে দেয়।
রিমান দৌড়ে আসে,,,
রিমান,,,,,,,,,, কি হয়েছে রিমি ঠিক আছে তো।
আরাব,,,,,,,,, হুমমম,, রিমি এখন ঘুমাচ্ছে। সবাই বাহিরে আসো।
সবাই রুমের বাহিরে যায়।
ফারহান,,,,,,,, ওরা কি রিমিকে নিতে আসছে।
রিমান,,,,,,,,, এটা তো তারি ইংগিত।
আরাব,,,,,,,,,,, কিছু একটা তো করতে হবে।
ফারহান,,,,,,,,, আমি রিমিকে কোথাও যেতে দিবো না।
রিমান,,,,,,,,, রিমি যাতে কিছু জানতে না পারে খেয়াল রাখবি, কিছু একটা ভাবতে হবে।
আরাব,,,,,,,,, সব সময় ওর কাছে আমাদের মধ্যে থেকে কেও না কেও থাকবে।
ফারহান,,,,,,,,,,, ওর কিছু হতে দিবো না।
চলবে,,,,,,,,,
#জ্বীন_রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer…………………. #Maishara_Jahan
Part…………… 9
আরাব,,,,,,,, সব সময় ওর কাছে আমাদের মধ্যে থেকে কেও না কেও থাকবে।
ফারহান,,,,,,,,, ওর কিছু হতে দিবো না।
সকালে,,,,,,,,,,,
রিমি ওপর থেকে নিচে এসে দেখে সোফায় বসে আছে।
রিমি,,,,,,,,, তোমরা সবাই এখানে এতো সকাল সকাল।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমানের সাথে কথা ছিলো তাই চলে আসলাম।
রিমি,,,,,,,,, কালকের পোশাক পড়ে,,,, আর আরাব ভাইয়া তু্মি।
আরাব,,,,,,,,,,, কাল আমার এখানে পার্টি আছে তাই এই বিষয়ে কথা বলতে এসেছি।
রিমি,,,,,,,,,,,,,, কীসের পার্টি
আরাব,,,,,,,,,,,, নতুন একটা কোম্পানি খুলেছে সেটার।
রিমি,,,,,,,,, congratulation
আরাব,,,,,,,,,,, thanks
রিমি,,,,,,,,,,তোমরা বসো আমি রেডি হয়ে আসছি।
রিমান,,,,,,,,, তোরা আমার রুমে ফ্রেশ হয়ে আয়।
সবাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে যার যার কাজে চলে যায়।
,,,,,,,,,
মাহুয়া,,,,,,,,,,,,,, Good morning sir..
রিমান,,,,,,,,,,, ( একবার তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নেয় ) Good morning.
মাহুয়া,,,,,,,,,,, স্যার কিছু লাগবে।
,,,,,,,,,,, হুমম
,,,,,,,, কি স্যার
,,,,,,,,,, শান্তি
,,,,,,,,,, কে শান্তি স্যার 🙄🙄
,,,,,,,,,,, আপনি যান তাহলে শান্তি নিজে নিজেই চলে আসবে।
,,,,,,,,, কেনো আমি কি শান্তিকে আসতে মানা করছি নাকি আমাকে দেখে ভয় পায় যে আমি থাকলে আসতে পারবে না।
,,,,,,,,,,, মিস্ মাহুয়া আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি মজা করার মুডে আছি।
,,,,,,,,,,,, কেনো নেয়।
,,,,,,,,,,, যান এখান থেকে দরকার পরলে আমি ডেকে নিবো।
,,,,,,,,,,,, একটা কথা বলার ছিলো।
,,,,,,,,,,,,, আমার সময় নেয়।
,,,,,,,,,, আছে সময় খুব জরুরি কথা।
,,,,,,,,, কি।
,,,,,,,,,, কালকের জন্য সরি, আমি একটু বেশি,,,,৷
,,,,,,,,, ঠিক আছে।
,,,,,,,, আমাকে মাফ করে দিয়েছেন।
,,,,,,,,, হুমম এখন আসেন।
,,,,,,,,,, এখনো আপনি করে বলছেন তার মানে মাফ করেননি।
,,,,,,,,,, করেছি। ( লেপটপে কাজ করতে করতে )
,,,,,,,,,, না করেন নি।
,,,,,,,,, আপনার ফালতু কথা শুনার মতো সময় নেয় আমার এখন যান।
,,,,,,,,কিন্তু
,,,,,,,, যেতে বলছি।
রিমানের রাগ দেখে তাড়াতাড়ি চলে যায়।
মাহুয়া,,,,,,,,, এখন একে কি করে মানবো৷ আর এতো রাগ করার কি আছে।
,,,,,,,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,,, ( আর কিছু খন বাকি আছে লাঞ্চের টাইম হতে আজকে তোমাকে কে বাঁচাবে )
মুন,,,,,,,,,,, ( স্যার আমার দিকে এমন ভাবে কেনো তাকিয়ে আছে যেনো আমার কেনো চুরি ধরে ফেলেছে ) কিছু বলবেন স্যার।
আরাব,,,,,,,,, হুমম লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে তাই না।
মুন,,,,,,,,,,, হুমম
আরাব,,,,,,,,,, তাহলে চলো আজ আমরা বাহিরে লাঞ্চ করবো।
,,,,,,,,, কেনো, না আমি এখানে খাবো।
,,,,,,,,, এক বার যখন বলেছি বাহিরে খাবো তখন বাহিরেই খাবো৷
,,,,,,,,,, কিন্তু
,,,,,,,,, কোনো কিন্তু নেয়। ( বলে হাত ধরে বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে, সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে )
,,,,,,,,,, সবাই দেখছে স্যার,কি করছেন।
,,,,,,,,,,, দেখোক কিছু আসে যায় না।
মুনকে আরাব জোর করে গাড়িতে উঠায়।
,,,,,,,, আমি যাবো না।
,,,,,,,, যেতে হবে।
আরাব মুনকে বড়ো একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।
আরাব,,,,,,,,,,, বসো,, কি খাবে বলো।
,,,,,,,,, আমি কিছু খাবো না।
,,,,,,, তোমার বলা লাগবে না, আমিই অর্ডার করছি৷
আরাব অনেক গুলো খাবার অর্ডার দেয়।
মুন,,,,,,,,,, এখানে কি আরো পাঁচ ছয় জন লোক আসবে না কি যে এতো গুলা খাবার অর্ডার করলেন।
,,,,,,,,,,, সব তোমার জন্য।
,,,,,,,,, এটা আমার পেট ড্রাম না।
,,,,,,,,, আরে খেতে পারবে, একটু বসো ( যতো বেশি খাবার ততো দেরি হবে।
মুন,,,,,,,,,, ( আমার মাথা ঝিম ঝিম করছে, কিছু একটা করে এখান থেকে যেতে হবে ) আচ্ছা এই রেস্টুরেন্টে আর কেও নেয় কেনো।
আরাব,,,,,,,,,, পুরো রেস্টুরেন্ট বুক করে ফেলেছি৷
মুন,,,,,,,, মানপ কেনো টাকা বেশি হয়ছে নাকি।
,,,,,,,,,, আমি চাই না আমাদের কেও ডিস্টার্ব করোক
,,,,,,,,,, ( দূরর আমার কাছে বেশি সময় নেয় )
,,,,,,,, খাবার এসে গেছে শুরু করো।
মুন চুপচাপ বসে আছে।
,,,,,,, যতোখন পর্যন্ত পেট না বরে খাবে ততো খন এখানেই বসে থাকতে।
,,,,,,, কিহহহ ( না বেশি বসে থাকা যাবে না )
মুন তাড়াতাড়ি খেতে শুরু করে, ওর খাওয়া দেখে আরাব হাসতে থাকে৷
মুন,,,,,,, আপনিও খান।
,,,,,,,,,, হুমম,,, তুমি একটু আস্তে ধীরে খাও ।
,,,,,,,,,,, না আমার সময় নেয়
,,,,,,,,, কেনো বাস ধরতে হবে নাকি৷
,,,,,,,,,, আপনি বুঝবেন না।
মুন কিছু খন পর পর বলে আমার খাওয়া শেষ তাও আরাব জোর করে খায়িয়ে মুনের অবস্থা খারাপ করে ফেলে।
মুন,,,,,,,,, আল্লাহ আমি আর খেতে পারবো না। মাফ করেন আমাকে।
আরাব,,,,,,, ঠিক আছে কিছু খন এখানে চুপচাপ বসে থাকো।
মুন,,,,,,,,,, বসে থাকতে পারবো না,, আমি একটু ওয়াশ রুম থেকে আসছি।
আরাব,,,,,,,,,,,, একটু পরে যেয়ো।
মুন,,,,,,,, ( আর এক মিনিট ও থাকা যাবে না ) না আমি যাচ্ছি।
বলে মুন তাড়াতাড়ি দৌড় দিতে গিয়েও পারে না তাই হেঁটেই যেতে নেয় আরাব ধরে ফেলে।
,,,,,, যেতে দিন আমাকে৷
,,,,,,,, যেতে দিবো একটু পরে।
,,,,,,,,,যেতে দিন আমাকে ( হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে )
আরাব শক্ত করে ধরে রাখে হাত কিছু খন পরে সেটাই হলো যেটা আরাব চেয়েছিল। মুনের শরীর থেকে একটা আলোর লাভা বের হয়, যা শুধু জ্বীনরাই বুঝতে পারে৷
আরাব,,,,,,,,,, তাহলে এটাই তোমার সত্যি মিথ্যা কেনো বলেছো।
,,,,,,,,, কি মিথ্যা বলেছি আমি।
,,,,,,, বলোনি তুমি মানুষ।
,,,,,, আপনি কি আমাকে জিগ্যেস করেছেন আমি জ্বীন না মানুষ, আর আমি আপনাকে কখনো বলেছি যে আমি মানুষ। মিথ্যা তো আপনি সবাইকে বলেন যে আপনি মানুষ।
,,,,,,, আচ্ছা,,,,,, কি কারনে জ্বীন রাজ্য ছেড়ে এখানে মানুষ হিসেবে আছো।
,,,,,,,,, কারন তো অবশ্য আছে,, আমি জ্বীন রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবো না।
,,,,,,,,,, কেনো
,,,,,,,, সেটা আমিও যানি না।
,,,,,,,, তোমার কি কোনো খারাপ মতলব আছে।
,,,,,,,, আমার জীবনে এমনি অনেক প্রবলেম আমি সেগুলোই ঠিক করতে পারছি না, আবার কোনো মতলব করবো৷ আপনার কি মতলব মানুষ সেজে আছেন যে৷
,,,,,,,,, আমি এখানে শান্তি মতে থাকতে চাই কোনো লড়াই ঝগড়া কিছু নেয়৷
,,,,,,,,, ওওওও।
আরাব,,,,,,,,,, ( মনে তো হয় না মুন কোনো খারাপ মতলব নিয়ে এসেছে ) রাতে তোমার বাসার পাশে কিছু জ্বীন দেখেছিলাম তারা কারা।
মুন,,,,,,,,,, আমার সাথি, ছোটো থেকে ওরা আমার সাথে থাকে।
আরাব,,,,,,,,,, তার মানে তুমি পরী ( মুশকি মুশকি হেঁসে )
,,,,,,,, হুমম তো।
,,,,,,, তো কিছু না।
,,,,,,, আচ্ছা একটা কথা বলি,, আপনি দেখতে তো কোনো যুদ্ধার থেকে কম না তাহলে আশেপাশে এতো বডিগার্ড রাখার কি আছে, তাদের দেখলে ভয় লাগে।
,,,,,,,,, বডিগার্ড কীসের বডিগার্ড আমার কোনো বডিগার্ড নেয়।
,,,,,,,, তাহলে আমি তো প্রায় প্রতি দিন দেখি আপনার দিকে নজর রাখে আমি তো মনে করছি বডিগার্ড।
,,,,,,,,,,, আমি তো দেখি না,,,,, আচ্ছা রাখো,, আসো আমার সাথে।
,,,,,, কোথায়।
,,,,,,,, অফিসে আর কোথায়৷
,,,,,,,,,,,,,
ফারহান,,,,,,,,, রিমি কোথায় গেলো,লাঞ্চের টাইম হয়ে গেছে তাও ওর কোনো খোজ নেয়।
ফারহান পুরো হসপিটাল খুঁজে বাগানে খুঁজে তাও পাই না৷
,,,,,,, কোথায় গেলো মেয়েটা, সব জায়গা খুঁজেছি শুধু ছাদ ছাড়া। কিন্তু এখন ও ছাদে যাবে কেনো, তাও এক বার গিয়ে দেখি।
ফারহান ছাদে যায় গিয়ে যা দেখলো তার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।
দেখে রিমি হাওয়ার মধ্যে সিরির মতো উপরে উঠছে, রিমির চোখ বন্ধ। ফারহান জোরে জোরে চিৎকার করে ডাকছে,,,
,,,,,,, রিমি রিমি থাম রিমি,,, আল্লাহ এখন কি করবো।
ফারহান রিমির কাছে গিয়ে লাফাচ্ছে কিন্তু ধরতে পারছে না, রিমি অনেক উপরে চলে গেছে।
,,,,,,,, এখন কি করবো কি করে বাঁচাবো। ফারহান বার বার লাফ দিয়ে ধরার চেষ্টা করছে হঠাৎ ফারহান অনেক উপরে উঠে যায়।
ফারহান চমকে যায় বলতে গেলে ভয় পেয়ে যায়, অন্য কিছু চিন্তা না করে রিমিকে নিচে নামায়।
রিমিকে কোলে করে গাড়িতে বসায়, পানি ছিটায় রিমির উপর৷ রিমি চোখ খুলে।
রিমি,,,,,,, কি হলো পানি ছিটাচ্ছো কেনো। আর আমি এখানে আসলাম কীভাবে।
ফারহান,,,,,,,,,,, তোর মনে আছে একটু আগে তুই কোথায় ছিলি।
রিমি,,,,,,,,, থাকবে না কেনো,, আমি তো লাইব্রেরিতে ছিলাম, ওখান থেকে কেওতো একজন ডাকছিলো বলছিলো আমি নাকি ওর বন্ধী ওর জিনিস নাকি ও নিয়ে যাবে।
ফারহান,,,,,,,,, তুই লাইব্রেরিতে ঘুমিয়ে গেছিলি উল্টো পাল্টে স্বপ্ন ছেখেছিস।
,,,,,,,, আমারো তাই মনে হয়,, আর না হলে আমি আবার কারো বন্ধী হবো কেনো বন্ধু হতে পারি বন্ধী না।
,,,,,,,,, চল বাসায় দিয়ে আসি।
,,,,,, এতো তাড়াতাড়ি কেনো।
,,,,, কাল পার্টি তার আয়োজন করতে হবে না।
,,,,,,,, হ্যাঁ আমারতো শপিং ও করতে হবে।
,,,,,, কোথাও যাওয়া হবে না।
,,,,,,, আমাট নতুন ড্রেস লাগবে।
,,,,,, আমি এনে দিবো
,,,,,, জুতা লাগবে, কসমেটিক্স লাগবে।
,,,,,, সব কালকের আগে পেয়ে যাবি।
ফারহান রিমিকে বাসায় পৌঁছে দেয়, এখন সে যাচ্ছে আরাবের সাথে দেখা করতে।
,,,,,,
আরাব,,,,,,,,,, মুন কাল যানো তো পার্টি আছে সময় মতো পৌঁছে যেয়ো।
মুন,,,,,,,, ঠিক আছে,,,, এখন কতো ভালো করে কথা বলছেন আর রাগ উঠলে কি করেন যানেন।
আরাব,,,,,, রাগ উঠলে নিজেকে সামলাতে পারি না, তাই এমন কিছু করো না যাতে আমার রাগ উঠে।
,,,,,, আর যদি এমন কিছু করি তখন।
,,,,,,,, সেটা তোমার জন্য খুব একটা ভালো হবে না।
,,,,,,,,,, কি করবেন আপনি হুমম,,আমাকে কি আপনি কিনে নিয়েছেন নাকি, আমি নিজের ইচ্ছের মালিক।
,,,,,, এখন থেকে তোমার ইচ্ছের মালিকও আমি।
,,,,,,,, বাপের সম্পত্তি নাকি।
,,,,,,,,, না আমার সম্পত্তি।
,,,,,,,, এই সম্পত্তির মাকিকানা দিবো না।
,,,,,,, দিতে হবে।
,,,,,,,,, জোর করে পাওয়া যাবে না।
,,,,, জোর করে না অধিকার আছে তাই চাইছি না দিলে জোর করেও নিতে পারি।
,,,,,,,,, কিভাবে জোর করে নিবেন হুমম এতো সস্তা।
,,,,,এভাবে নিবো।
আরাব মুনের হাত ধরে টান দিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দেয়। দুই হাত চেপে দেওয়ালের সাথে ধরে আছে৷
মুন,,,,,,,,, আরাব কি করছেন।
,,,,,,,, এভাবেও নিতে পারি কিন্তু চাই না।
আরাব হাত ছেড়ে দিয়ে জাদু করে একগুচ্ছো ফুল এনে দেয় মুনকে।
মুন,,,,,,,,, সাদা গোলাপ,, আপনি কীভাবে জানলেন আমার সাদা গোলাপ পছন্দ।
,,,,,,,,, সেটা না হয় নায়ি জানলে (মুনের কাছে এসে)
ফারহান দরজায় দাড়িয়ে হা করে দেখছে, ফারহান বুঝতে পারছে না যাবে নাকি কাশি টাশি কিছু দিবে।
ততক্ষণে মুন ফারহানকে দেখে আরাবকে ধাক্কা দেয়৷
আরাব একবার ফারহানের দিকে তাকায় একবার মুনের দিকে৷
আরাব,,,,,,,,,, ফারহান তুই যা ভাবছোস তা মোটেও না আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড ।
ফারহান,,,,,,,,,,, হুমম হুমম বুঝছি জাস্ট ফ্রেন্ড।
,,,,,,,,,,,, আয় ভিতরে।
মুন,,,,,,, আমার কাজ আছে আমি যাই।
ফারহান এসে বসে।
আরাব,,,,,,,, আমরা কিন্তু শুধু ফ্রেন্ড।
,,,,,,, আরপ হ হ বুঝছি, একটা কথা বলতে আসছি।
,,,,,,,, ( ভালো হয়ছে ফারহানের জায়গা রিমান ছিলো না না হলে এতো খনে আমাদের বিয়েও দিয়ে দিতো )
,,,,,,,, আজ কি হয়েছে যানোছ।
,,,,,,, বল কি হয়েছে৷
।ফারহান আরাব কে সব কিছু বলে,
,,,,,,,,,,সব কিছু বুঝলাম কিন্তু তুই হাওয়াতে উড়লি কিভাবে।
,,,,,,,,, সেটাই তো আমিপ বুঝতে পারছি না।
,,,,,,,,,,, এটা এই লকেটের কারনে হয়নি তো৷
,,,,,,, ঠিক হতে পারে। আমাদের চারজনের গলায় এই লকেট আছে কিন্তু কি কাজ করে তাই জানি না।
,,,,, চার জনের না পাঁচ জনের ।।
,,,,,,,, আরেক জন কে।
,,,,,,,,, বাদ দে, রিমির একটা ব্যবস্তা করতে হবে।
,,,,,,,,, আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দে যাতে আমিও জ্বীনদের দেখতে পাই, এতে আমি রিমির রক্ষা করতে পারবো।
,,,,,,, ঠিক আছে।
,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,, মিস্ মাহুয়া কাল একটা পার্টি আছে আপনি আমার সাথে যাবেন।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, জ্বী স্যার।
রিমান,,,,,,,,,, কাল অফিসে আসার দরকার নেয় যে জায়গা বলবো সন্ধ্যা এসে পরবেন।
,,,,,, ওকে,,,,,,,, স্যার কবে করবেন আমাকে
,,,,,,,,, কি আবল তাবল কথা কি করবো
,,,,,,,,,,, মাফ কবে করবেন।
,,,,,,,,,, তো ভালো ভাবে বলো না এই সব কি।
,,,,,,,, আজ যান কাল দেখা হবে।
,,,,,, ( দেখবো কাল কি করে রাগ করে থাকেন )
চলবে,,,,,,,,