জ্বীন রহস্য (love story)❤,Part 16,17
Writer Maishara Jahan
Part 16
চাই না ওকে অনুভব করতে, চাই না ওর চেহেরা দেখতে, চাই না ওর কথা মনে করতে।
এর জবাব তোমাকে দিতেই হবে। আমি গিয়ে শুয়ে পড়ি, নিরবে চোখের পানি পড়তে থাকে। বালিশটা ভিজে গেছে নোনা জলে।
এভাবেই চোখের জলে কেটে যায় রাত।
সকালে,,,,,,,,
আমি সবার আগে উঠি, ফারা ঘুমিয়ে রয়েছে, তার পাশের রুমে রোহান রিয়াদ ঘুমিয়ে রয়েছে। ফারার মা বাবা বাসায় নেয় তাই কোনো সমস্যা হয়নি।
আমি নামাজ পড়ে বাগানে বসে আছি প্রায় অনেক খন ধরে। আগে থেকে অনেক সুস্থ। আমার মনে হচ্ছে আমার শরীরে জান নেয়।
আমার আর ভালো লাগছে না, তাই উপরে চলে যায়। ফারা নাস্তা রেডি করছে, আমার জন্য সবাই মন খারাপ করে বসে আছে। কিন্তু ওদের মন ভালো করার জন্য কিছু করতপ আমার মনে কোনো জোর নেয়।
যীন্নাত ,,,,,,,,,, রোহান আমাকে বাড়ি দিয়ে আয়, আর ভালো লাগছে না।
রোহান,,,,,,, নাস্তা করে নে দিয়ে পরে দিয়ে আসছি।
,,,,,,, আমি কিছু খাবো না পিল্জ দিয়ে আয়।
রিয়াদ,,,,,, খেতে হবে,, না খেলে যেতে দিবো না
,,,,,,, না দিয়ে আসলে আমি একাই যেতে পারবো, দিয়ে আসতে হবে না।
বলে রাগ দেখিয়ে চলে যেতে নিয়।
রোহান,,,,,,, থাম থাম ওকে ফাইন দিয়ে আসছি।
রোহান রিয়াদ আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। বাড়িতে ডুকতেই মা শুরু করে দেয়।
মা,,,,,,, দুদিন থেকে তোর কোনো খবর নেয়, কি পেয়েছিস কি, যা খুশি তাই করবি।
যীন্নাত,,,,,,,, মা ফারার মা বাবা কাজে বাহিরে গেছে তাই আমি ওর সাথে ছিলাম।
মা,,,,,,,, বলবি তো একবার ফোন করে,, যখনি কল করি একবার তুই ওয়াশ রুমে থাকস না হলে কলেজে, শপিং এ,, কি এই সব।
যীন্নাত,,,,, তোমাকে ফোন করলে যদি তুমি মানা করে দাও তাই করি নি।
মা,,,,,,, এটা কোনো কথা।
,,,,, মা আমার ভালো লাগছে না, আমি রুমে গেলাম।
মা,,,,,, কি হয়েছে তোর এমন মন মরা লাগছে কেনো।
,,,,,,কিছুই হয়নি, আমি উপরে গেলাম।
আমি আমার রুমে চলে আসি, সাওয়ার নিয়ে বসে আছি, ভাবছি কি করা যায়। হ্যাঁ জ্বীন রহস্য কিতাবে অবশ্যই পাওয়া যাবে।
কিতাব খুলি কিন্তু কিছুই পাওয়া যায় না।সব জায়গা খুজি কিন্তু কিছুই পাওয়া যায় না।
আচ্ছা যখন আমাট ডানা কাটা হয়েছিল তখন আমার অঙ্গ রক্ষক কি করছিলো, কোথায় ও।
,,,,,, রক্ষক জ্বীন, রক্ষক জ্বীন
,,,,, জ্বী রাজকন্যা
,,,,,,, আমার ডানা কে কেটেছে।
,,,,,, জ্বী ও ও
,,,,, কি হলো বলো,,
,,,,,,, জ্বী রাজকুমার মুগ্ধ।
,,,,,,,, ( এতো কিছু হওয়ার পড়েও বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম তুমায় ) তখন তুমি কোথায় ছিলে।
,,,,,,, মাফ করবেন আমি লড়ায়ে হেরে যায়। মুগ্ধ সিংহাসন পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে।
,,,,,,,, ও,,,, এখন কি করা যায়।
,,,,,,, যানি না।
,,,,,,,, ঠিক আছে যাও। কিছু তো আমাকে করতেই হবে।
আজ সারা দিন কেমন যানি লাগছে, মনে হচ্ছে কিছু তো হবে। সারা দিন শুধু নানা ধরনের বই পড়েছি যদি কিছু পায়।
পড়তে পড়তে আমার চোখে ঘুম নেমে আসে। বেশ অনেক খন পর কারো ঠোঁটের স্পর্শ পেলাম আমার কপালে। হয়তো জানি এটা কে। আমি জেগে গেছি এটা বুঝতে দেয় নি।
আমার হাত ধরে বসে আছে, সত্যি বলতে ঘৃণা হচ্ছে আমার। আজ যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সুযোগ বুঝে তার হাতটা শক্ত করে ধরে উঠে বসলাম।
,,,,,, যীনু
,,,,,,, খবর দার আমাকে ঐ নামে ডাকবে না। কি দেখতে এসেছো আমি মরে গেছি কিনা।
,,,,,,, যীনু আমার কথাটা শুনো।
,,,,,, কি শুনবো কিছু শুনার বাকি রেখেছো,,, আমি তোমাকে চিন্তে করেছি। এতোটা সার্থপর কিভাবে হলে।
,,,,,, এখন আমি কিছু বলতে পারবো না, আমাকে যেতে দাও।
,,,,,,,আমি কিছু শুনতেও চাই না, আর যেতে তো আমি তোমাকে এতো সহজে দিবো না। আমার কাছে শক্তি নেয় তো কি হয়েছে আল্লাহর কালাম তো আছে।
,,,,,,,,, ছাড়ো আমাকে না হলে পড়ে পস্তাবে
,,,,, তোমাকে বিশ্বাস করে আমি অনেক পস্তাচ্ছি কিন্তু আর না।
বলে চোখ বন্ধ করে সূরা পড়া শুরু করলাম।
,,,,, বন্ধ করো, বন্ধ করো।
আমি মুগ্ধের হাত ছেড়ে, ওকে সূরা দারা বন্ধ করে দিলাম, ও এখন দাড়িয়ে আছে নড়াচড়া করতে পারবে না। কিন্তু বেশি ক্ষন এভাবে ওকে আটকে রাখা যাবে না।
,,,,,,, যীনু কি করছো ছাড়ো আমাকে।
,,,,, ছাড়ার জন্য তো আর বন্ধী করি নি। আমাকে ধোকা দেওয়ার শাস্তি তো পেতেই হবে , আর সেটা আমি নিজ হাতে দিবো তোমাকে।
আমি আমার তালোয়ার আনলাম, মুগ্ধের গলায় ধরলাম। মুগ্ধ চুপ করে আছে।
,,,,,,, মুগ্ধ পিল্জ কিছু বলো।
,,,,,, আমার কিছুই বলার নেয়।
আমি তালোয়ার আরো শক্ত করে ধরলাম ওর গলায়।
,,,,,, জানো তো আমার শক্তি চলে গেলেও যুদ্ধ করা ভুলিনি, আর এই তালোয়ার এখনো আমার কথায় কাজ করে, তোমাকে মারতে আমার এক সেকেন্ড লাগবে না।
,,,,,,,, তো মেরে ফেলো।
,,,,,, মন তো তাই চাইছে কিন্তু আমি তোমার মতো না। মাথা বলছে মেরে ফেলতে কিন্তু মনকে মানাতে পারছি না।
,,,,,,, বিশ্বাস নেয় আমার উপর।
,,,,,, বিশ্বাস হুহ ( তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে ) বিশ্বাসের মানে যানো তুমি। সত্যি বলতে একটু আগ পর্যন্ত বিন্দু মাত্র বিশ্বাস ছিলো তোমার উপর, কিন্তু রক্ষী জ্বীনের কথা শুনে আর নেয়।
,,,,,, রক্ষী জ্বীন মানে,, কোথায় থেকে এলো রক্ষী জ্বীন।
,,,,,, কেনো কি মনে করেছিলে ওকে মেরে দিবে।
,,,,,, আগে বলো কোন রক্ষী জ্বীন, ডাকো ওকে এখানে।
,,,,, হঠাৎ করে কি হলো এমন করছো কেনো।
,,,,, আগে ডাকো ওকে এখানে।
,,,,,,, রক্ষী জ্বীন
,,,,,,, জ্বী রাজকন্যা
,,,,,,, যীনু দূরে থাকো ওর থেকে,,,,, কে তুই
,,,,,, আমি রক্ষক জ্বীন।
,,,,,, মিথ্যা কথা,, বল কে তুই।
যীন্নাত,,,,,,, ব্যাস অনেক হয়েছে, কি হচ্ছে এখানে।
মুগ্ধ,,,,,, যীনু দূরে থাকো ওর থেকে।
,,,,, দূরে আমার থেকে না তোর থেকে থাকা উচিত। রাজকন্যা মারুন একে।
,,,,,, তকে তো আমি মারবো শয়তান।
যীন্নাত,,,,,, চুপ থাকো , মুগ্ধ বন্ধ করো তোমার নাটক।
,,,,, রাজকন্যা আমি গেলাম দরকার হলে ডাক দিবেন।
বলে চলে যায়, আর সাথে সাথে মা ভিতরে চলে আসে।
মা,,,,,,,, কি হচ্ছে এখানে,,, এসব কি যীন্নাত।
আমি পিছনে ফিরে দেখি মা, এখন কি হবে।
,,,,, মা আমি সব বলছি তুমি চলো।
,,,,,, যীন্নাত যেয়েও না দাঁড়াও।
মা,,,,,,, চল আমার সাথে, কি হচ্ছে কি।
আমি আর মা যেতে নিয় মুগ্ধ বাঁধন ছাড়িয়ে তার তালেয়ার আমার মায়ে পিঠে ডুকিয়ে দেয়।
,,,,, মাআআআআআআআআ
মা মাটিতে পড়ে যায়।
,,,,,, মা মা উ উ উঠো পিল্জ,,,, মুগ্ধওওও কি করলে এটা,, মাআআআ মাআআ 😭😭
মুগ্ধ আমার হাত ধরে দাড় করায়।
,,,,, শুনো আমা,,,,,
কিছু বলার আগেই আমি আমার তালোয়ার দিয়ে পুরো শক্তি দিয়ে মুগ্ধের পেটে ডুকিয়ে দেয়। আর জোরে বের করি।
মুগ্ধ ছিটকে পড়ে যায়, আর সাথে সাথে আমার ডানা বের হয়ে আসে, আমার সব শক্তি ফিরে আসে। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব।
হাসির আওয়াজ পেয়ে পিছনে ফিরে দেখি মা হাসছে, তারপর বাদুড় হয়ে জালানা দিয়ে উড়ে যায়।
আমি কিছুই বুঝছি না। তাড়াতাড়ি মা বাবার রুমে গিয়ে দেখি তারা ঘুমাচ্ছে। আমাদের কোনো কথা তাদের কানে যাচ্ছে না।
তার মানে কি মুগ্ধ,,, দৌড়ে গেলাম মুগ্ধের কাছে, গিয়ে দেখি,,,,
মুগ্ধের পেট থেকে রক্ত পরছে,, মুগ্ধের অবস্থা অনেক খারাপ। আমি গিয়ে ধরি।
,,,, মুগ্ধ কি হচ্ছে এসব,,, এখন আমি কি করবো, রক্ত কিভাবে আটকাবো। আমার শক্তি তো ফিরে এসেছে তাহলে দেখি কি করা যায়।
আমি চোখ বন্ধ করে মুগ্ধের ক্ষতে হাত রেখে আমি আমার শক্তি দিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করছি। ক্ষতো তো ঠিক হয়ে গেছে, কিন্তু আমার আঘাত এতো তারাতাড়ি ঠিক হবে না।
তাই কোনো মতে মুগ্ধকে উঠিয়ে বিছানায় শুয়ায়।
,,,,,,,, মুগ্ধ কি হচ্ছে এই সব,, তুমি কিছু করো নি তাই না।
,,,,,,, হুম
,,,,,, তাহলে এই সব কি।
,,,,,,,, আসলে কাল জ্বীন আমাদের রাজ্যের অনেক জ্বীন আর তোমার দাদা, দাদি আমার বোন এদের আটকে রেখেছিলো।
আর তাদের কোথায় রেখেছে আমি কিছু যানতাম না, ও বলেছিলো তোমাকে মেরে ফেলতে, তোমার রানী হওয়ার আগে তোমার ডানা না কাটলে ওদের সবাকে মেরে ফেলবে।
আমার কাছে কোনো উপায় ছিলো না।
,,,,,,,, কিন্তু এই নতুন ডানা।
,,,,, নতুন না এটাই তোমার আগের ডানা।
,,,,,, আমার ডানা কাটো নি।
,,,,,,, যাকে এতো ভালোবাসি তাকে মরতে কিভাবে দিয়।
,,,,,, তাহলে ঐ কাটা ডানা আর ব্যাথা।
,,,,,,,, কালকে দোখা দেওয়ার জন্য প্লেন করি। একটা মৃত পরীর ডানা কেটে লুকিয়ে রাখি। তারপর তোমার খাবারে ঘুমের ঔষধ আর এমন একটা রস মিশায় যেইটাতে ২৪ ঘন্টার জন্য তোমার শক্তি চলে যাবে এবং শরীর অনেক ব্যাথা করবে।
ঐটা খায়িয়ে তোমার পাশে দুটো ডানা আর রক্ত মাখিয়ে দিয়, কালের নজর ছিলো আমার উপর।
আমার সাজানো নাটক কাল বিশ্বাস করে আর সবাইকে ছেড়ে দেয়। এখন আমি সবাইকে মহলে রেখে চারদিকে কবজ করে দিয়ে এসেছি, কাল এখন এদের কিছু করতে পারবে না।
,,,, তাহলে এগুলো আমাকে আগে বললে না কেনো, জানো আমার ডানা কাটা গেছে এটার জন্য যতটা কষ্ট না হচ্ছিল তার থেকে বেশি হচ্ছিল তুমি এটা করেছো এটা বিশ্বাস করতে।
,,,,,, বলতে চাইলেও বলতে পারতাম না, কারন তোমার শক্তি ফিরা না পর্যন্ত বলাটা নিয়মে নেয়।
,,,,, কচুর নিয়ম। আচ্ছা রক্ষক জ্বীন এমন কেনো করলো।
,,,,, কারন ঐটা রক্ষক জ্বীন ছিলো না, তোমাকে আঘাত করেছি এটা বুঝাতে রক্ষক জ্বীনকে আমার মারতে হয়েছে।
,,,,, মেরে পেলেছো মানে।
,,,,,, আরে না মারি নাই, আঘাত পেয়েছে তাই মহলে আরাম করছে।
,,,,, ওওও তাই বলো।
,,,,, কালের মনে হয় সন্দেহ হয়ে গেছে তাই জ্বীন পাঠিয়েছে ছদ্ম বেশে।
,,,,, এখন।
,,,, এখন আর ওকে ভয় পাই না, কারন সবাই ওর থেকে নিরাপদে আছে। এখন শুধু ওর ভয় পাওয়ার পালা।
,,,,,,, হুমম।
,,,,, সরি তোমাকে এতো কষ্ট দেওয়ার জন্য।
,,,,, পিল্জ তুমি মাফ চেয়ো না,,, মাফ তো আমার চাওয়ার কথা তোমাকে বিশ্বাস করতে পারিনি। এতো বড়ো আঘাত করেছি।
,,,,, এতে তোমার কোনো দোষ নেই।
,,,,,,, সব দোষ আমার।
,,,,,, ঠিক আছে দোষ যখন তোমার শাস্তি তো পেতে হবে।
,,,,,, বলো কি শাস্তি, আমি রাজি।
,,,,,, আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে থাকবে সারা রাত, কোনো নড়াচড়া নেয়।
,,,,,, এ কেমন শাস্তি। 🙄😑
,,,,, এটাই শাস্তি।
,,,,,, ঠিক আছে, একটু সরো আমি শুচ্ছি।
,,হুমম
আমি শুয়ে পরলাম তার সাইডে।
,,,,, আমি মনে হয় জরিয়ে ধরে শুয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু আমাদের মাঝখান দিয়ে তো একটা ট্রাক যেতে পরবে।
,,,,,, আচ্ছা ট্রাক নিয়ে দেখাও।
মুগ্ধ একটা ছোট খেলনা ট্রাক আমাদের মাঝখান দিয়ে পার করায়। আমি হেসে দিয়। তারপর মুগ্ধ আমাকে তার সাথে মিশিয়ে নেয়। আমি মুগ্ধের বুকে চোখ বন্ধ করে জরিয়ে ধরি।
মনে হচ্ছে আর কোনো বিপদ স্পর্শ করতে পারবে না আমাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মুগ্ধ এখনো আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে।আমি একটু নড়তেই।
,,,,,, আরে দুরর শুয়ে থাকো না।
,,,,,, সকাল ৯ টা বাঝে আরেকটু পর মা চলে আসবে। কোনো খেয়াল আছে ।
মুগ্ধ লাফ দিয়ে উঠে।
,,,,, কি এতো সকাল হয়ে গেছে।
,,,, জ্বি,,, এখন তোমার কেমন লাগছে
,,,, হুমম আমি এখন ভালো আছি।
,,,, তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
,,,,, হুমম
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি রোহান এর মেসেজ, এটা দেখার পর আমার হাত থেকে টওয়ালে পড়ে যায়। আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।
,,,,, যীনু কি হয়েছে।
,,,,, রোহান রিয়াদ আর ফারা বিপদে আছে।
,,,,, মানে
,,,রোহান মেসেজ পাঠিয়ে,, ওদের বাঁচাতে বলছে।
,,,কিহহ তার মানে কি কাল,,,৷
চলবে,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Writer Maishara Jahan
Part 17
রোহান মেসেজ পাঠিয়ে, ওদের বাঁচাতে বলছে।
,,,,, কি তার মানে কি কাল ওদের কিছু করেছে।
,,,,, না না ওদের কিছু হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। আমি কল করে দেখছি।
আমি সবাইকে ফোন করছি কিন্তু কেও ধরছে না।
মুগ্ধ,,,,,,, কি হলো
যীন্নাত,,,,,,,, কেও ফোন তুলছে না, এখন কি হবে।
মুগ্ধ,,,,,,,, চলো ওদের মা বাবাকে ফোন দিয়।
,,,,, হুম।
আমি ফারার মাকে ফোন দিয়।।
,,,,৷ হ্যালো আন্টি আমি যীন্নাত,, আচ্ছা ফারা কোথায়।
,,,,,, তুমিই তো সকালে এসে ফারাকে নিয়ে গেলে।
,,,,, আমি,,
,,,,,, হ্যাঁ কেনো ফারার কি কিছু হয়েছে।
,,,,,, না আন্টি আপনি চিন্তা করবেন না, ফারা আমার সাথেই আছে। এমনি মজা করছিলাম।
,,,,,, সত্যি কিছু হয়নি তো।
,,,,,, না আন্টি কিছুই হয়নি, আচ্ছা রাখি পরে কথা হবে।
,,,, হুমম।
একে একে সবার বাসাই ফোন দিলাম কিন্তু সবাই একি কথা বলে আমি নাকি ওদের ডেকে নিয়ে গেছি।
মুগ্ধ,,,,,,,,,, চলো আমরা জ্বীন রাজ্যে যায় সেখানেই জানা যাবে কি হয়েছে।
,,,,,, তুমি বাহিরে দাঁড়াও আমি কলেজে বের হচ্ছি বলে আসছি।
,,,,,,, হুমম
আমি মাকে কোনো মতে বুঝিয়ে চলে আসলাম জ্বীন রাজ্যে।
মুগ্ধ,,,,,,, কাল নিশ্চয়ই ওর গুহায় নিয়ে গিয়েছে ওদের।
,,,, তাহলে চলো কালের গুহায়।
,,,,,, কিন্তু ওর গুহা কোথায় কেও জানে না। তোমার জ্বীন রহস্য কিতাবে দেখো কিছু পাও কিনা।
,,,,, ঠিক বলেছো।
আমি কিতাব বের করি, কিন্ত এখানেও কিছু লিখা নেয়।
,,,,,, মুগ্ধ এখন কি করবো।
,,,,,, চলো আমরা জঙ্গলের ভিতরে যায় দেখি কোনো ক্লু পাওয়া যায় কিনা।
,,,,,, হুমম চলো।
আমরা প্রায় অর্ধেক জঙ্গল খুঁজে ফেলি কিন্তু কিছুই পায়নি। শালা কাল কই থাকে কে জানে। রাগে আমার তো রিয়াদের মতো গালি আসতাছে।
একটা গাছে বসে আছি ভাবছি কি করবো, তখনি একটা পাখি আসে।
,,,,,, রাজকুমারী যীন্নাত।
,,,,, আরে তুমি।
মুগ্ধ,,,,,,,, যীনু তুমি চিনো একে।
,,,,, হুমম আমাকে সাহায্য করেছিলো কিন্তু তার কথা শুনিনি।
,,,,,,, তা আমার এলাকায় কি করো।
,,,,,,, আসলে কাল আমার বন্ধুদের আটকিয়ে রেখেছে, তাই ওর গুহা খুঁজছি।
,,,,, কালের গুহা কোথায় আছে কেও জানে না।
,,,,, এতো খন ধরে খুঁজছি কিন্তু কোনো প্রমান ও পেলাম না।
,,,,, আমি তোমাদের সাহায্য করতে পারি।
,,,,,,, সত্যি কিন্তু কিভাবে।
,,,,,,, আমি সারা দুনিয়া ঘুরি, সব কিছুর খবর রাখি।
,,,,,, তাহলে আমাদের নিয়ে চলো তাড়াতাড়ি।
,,,,,,, নিয়ে তো যাবো কিন্তু আমি কি পাবো।
,,,,,,, কি চাই তোমার।
,,,,,, আপনার ডানার একটা পাখ
মুগ্ধ,,,,,,, সেটা দিয়ে তুমি কি করবে।
,,,,,,, রানীর ডানার পাখা সহজে পাওয়া যায় না, আর সেই পাখা যদি কোনো ছায়া জ্বীনের কাছে থাকে তাহলে সে হয় তাদের মধ্যে সব চেয়ে শক্তি শালী।
আমি ছায়া জ্বীন, যার ছায়ায় আসি তার রুপ ধরতে পারি, সহজে নিজের আসল রুপে আসি নি। আপনার পাখ যদি আমার কাছে থাকে তাহলে আমি আমার দলের সবচেয়ে শক্তি শালী হবো, বলেন রাজি।
,,,,,,, আমি রাজি, তুমি আমাকে কাল জ্বীনের কাছে নিয়ে চলো৷
,,,,, ঠিক আছে, আমার পিছে পিছে আসো।
আমরা পাখির পিছে পিছে গেলাম, দুপাহাড় পেরিয়ে একটা বিশাল পর্বতের চুরায় তার গুহা।
গুহার অনেকটা আগে আমরা নেমেছি।
,,,,, আমাদের সফর এ পর্যন্তই ছিলো আগে আপনাদের যেতে একা যেতে হবে।
,,,,,, ঠিক আছে,,, ওয়াদা অনুযায়ী তোমার পাখা এখনি দিচ্ছি।
আমি আমার ডানা থেকে একটা পাখা ছিড়ে দিয়ে দিলাম।
,,,,,, ধন্যবাদ রাজকুমারী,, এখন আমি আসি।
,,,, হুমমম
আমি আর মুগ্ধ কালের গুহার কাছা কাছি এসে গেছি।
,,,, প্রতেকটা পা আমাদের সাবধানে ফেলতে হবে, জানি না আগে কি বিপদ আছে।
,,,,, হুমম,, কিন্তু গুহার সামনে তো কাওকে দেখতে পারছি না।
,,,,,,, চলো দেখি গিয়ে।
গুহার সামনে যেতেই অনেক গুলো জ্বীন এসে হাজির হয়। চেহেরা তো মাশাআল্লাহ দেখেই মনে হয়,, যায় হোক ঐদিকে না যায়।
আমরা ও শুরু হয়ে গেলাম, একে একে সবাইকে শেষ করলাম।
দুজনে ভিতরে গেলাম,,, সেই একটা ভাব দেখিয়ে দুজনে গুহার ভিতরে ডুকলাম,, তার ঠিক একটু পরেই ফুসস হয়ে গেলো।
কারন ডুকার সাথে সাথে আমাদের পিঞ্জিরায় বন্ধী করা হলো, আর সেটা উপড়ে উঠে গেলো। অনেক চেষ্টা করেও খুলা যাচ্ছে না।
খাঁচাটা সামনে এগোতেই দেখলাম,, রোহান, রিয়াদ এক সাইডে দেওয়ালে আঠার মতো লেগে আছে, আর ফারা অন্য পাশের দেওয়ালে।
তার ঠিক সাইডে সামনে একটা বিশাল বড়ো চিয়ারে একটা লোক বসা।
যীন্নাত,,,,,, এটা তো ঐ বুড়ো লোকটা না যেটা রাজমহলে এসেছিলো। ( বুড়ো বলতে এতোটাও বুড়ো না )
মুগ্ধ,,,,,, হুম এটাই কাল।
রিয়াদ,,,,,, কিরে তোরা কি আমাদের বাঁচাইতে আসছোস নাকি এক সাথে মরতে।
যীন্নাত,,,,,,, চুপ থাক না হলে এখানে তকে রেখে চলে যামু৷
রিয়াদ,,,,,, ও ভাই আগে খাচা থেকে বের তো হো।
রোহান,,,,,,,,,, আমি যানতাম তুই আসবি।
রিয়াদ,,,,,,,, আইসা কি এমন করছে ,, ঐতো লইটকাই রয়ছে।
ফারা,,,,,,৷ যীন্নাত কিছু কর দেখনা ঐ বুড়া আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কেমন হাসি দেয়। আমার ভয় লাগতাছে।
মুগ্ধ,,,,,,, চিন্তা করো না আমরা সব ঠিক করে দিবো।
রোহান,,,,,,, মুগ্ধ তুমিও এসেছো।
যীন্নাত,,,,,, হুমম ও আসলে কিছুই করেনি আর আমার ডানা আমার কাছেই আছে, হয়েছে কি
রিয়াদ,,,,,,, হো ভাই চুপ কর আমরা জানি এই একই বালের কাহিনি আর শুনতে পারতাম না।
যীন্নাত,,,,,, কে বললো তোদের।
রিয়াদ,,,,,, আরে জানোস না যখন থেকে এসেছি সরি আমাদের নিয়ে এসেছে, তখন থেকে এই বুড়া একই পেচাল পারতাছে, আমাকে দোখা আমাকে,, ছাড়বো না ছাড়বো না।
বলতেই আছে বলতেই আছে, আরে এতো কথা তো আমিও কই না, সালা বুইড়া
কাল,,,,,, ঐ থাম ( জোরে চিৎকার করে )
রিয়াদ,,,,,,,, আম্মাআআ( ভয়ে )
কাল,,,,,,,, কিছু বলছি না,, এতোখন ধরে শুধু তোদের বকবক শুনছি। কি পেয়েছিস কি হুুহ, জানিস আমি কে
ফারা,,,,,,, কাকু আমার মাথার বেলটা একটু উঠিয়ে দেন না, পড়ে গেছে চুল গুলো বারবার ডিস্টাব করছে।
কাল ফারার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে তাও আবার হা করে।
রিয়াদ,,,,,,, 🤣😂🤣😂 হাহাহা
কাল,,,,,,, ঐ চুপ,,, কি পাইছোস কি, এক সেকেন্ডে তোদের এই দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দিতে পারি।
ফারা,,,,,,, কাকু
কাল,,,,,,, এ চুপ কখন থেকে শুনছি,, এখনি কিন্তু সবাইকে শেষ করে দিবো।
যীন্নাত,,,,,,, আরে ওদের কথা বাদ দিন ওদের মাথার তার কাটা,, আমার সাথে কথা বল।
মুগ্ধ,,,,,, ছেড়ে দে সবাই কে
কাল,,,,,, যীনহা,, এতো বড়ো ধোঁকা আমার সাথে তার শাস্তি তো পেতে হবে। কি শাস্তি দিবো,, তোর জান নিয়ে নিবো নাকি পর লোকে পাঠিয়ে দিবো, কোনটা।
রিয়াদ,,,,,,, ও চাচা দুইটা একি কথা।
কাল,,,,,,, আর একটা কথা তোর মুখ থেকে বের হবে সোজা নরকে পাঠিয়ে দিবো।
ফারা,,,,,,, ও তো জান্নাতেও যেতে পারে তাই না।
কাল,,,,,,,,৷ এই চুপ।
যীন্নাত,,,,,,,, তোর লড়াই আমার সাথে, ওদের যেতে দে।
কাল,,,,,,, মন তো তাই চাইছে কি ওদের লাথি মেরে বের করে দিয়,, কিন্তু কি করার তোমার দুর্বলতা যে।
যীন্নাত,,,,,,,, কি চাস
কাল,,,,,, বেশি কিছু না, এই রাজ্য তোমার শক্তি তোমার তালোয়ার, আর কিতাব।
রিয়াদ,,,,,,,, বেশি কিছু না মানে সবি তো চাইছেন।
কাল,,,,,, এই জোকারটা আবার কথা বলছে।
রিয়াদ,,,,,,,,, ও চাচা আয়নায় নিজের চেহেরা আগে দেখো।
কাল কিছু বলার আগেই মুগ্ধ বলে।
মুগ্ধ,,,,,,, রিয়াদ একটুর জন্য তোমার মুখ বন্ধ রাখো পিল্জ।
রিয়াদ,,,,,, ঠিক আছে।
আমি আর মুগ্ধ আবার চেষ্টা করতে থাকি খাঁচা ভাঙার কিন্তু কিছুই হয় না।
কাল,,,,,, হাহাহা ভিতর থেকে যতই চেষ্টা করো না কেন খুলবে না।
যীন্নাত,,,,,, ( মানে বাহিরে থেকে খুলবে )
কাল,,,,,, ভাবার জন্য পাঁচ মিনিট দিলাম,,, প্রতেক পাঁচ মিনিটে একজন করে মরবে।
যীন্নাত,,,,,, কিহহহ।
কাল,,,,, জ্বী,,,, এই গরম শিখ দেখছো, যতো সময় যাবে ততো এই সিকটা সামনে এগোবে, পাঁচ মিনিট হলেই মাথার আরপার হয়ে যাবে।
আগে কাকে দেওয়া যায়,,, রিয়াদ,,,, এ বেশি কথা বলে একে আগে দিবো।
সিক রিয়াদের সামনে যেতেই রিয়াদ জোরে দেয় এক চিৎকার।
কাল,,,,,, এই চুপ এখনো পাচঁ মিনিট হয়নি। সময় শুরু এখন থেকে।
রিয়াদ,,,,,,, যীন্নাত মুগ্ধ ভাই কিছু কর আমি আমার মা বাবার একমাত্র ছেলে, আমার কিছু হয়ে গেলে আমার মা বাবা এতিম হয়া যাইবো। 😭😭
যীন্নাত,,,,,,,, কাল ছেড়ে দে বলছি আমার বন্ধু কে না হলে এর ফল ভালো হবে না, বলে দিলাম।
কাল,,,,,, সময় বেশি নেয় তিন মিনিট আছে।
সময় যেতে থাকে আর সিক রিয়াদের কপালের কাছে আসতে থাকে।
কাল,,,,,, ১ মিনিট বাকি।
সিক রিয়াদের একদম কাছে চলে আসে, ডুকতেই নিবে আর
যীন্নাত,,,,,,, থামো আমি রাজি।
কাল,,,,,, ভালো,,
সাথে সাথে সিক ওদাও হয়ে যায়।
রিয়াদ,,,,,, রাজি যখন হলি,, তো আগেই হতি, মুভির মতো লাস্ট এ রাজি হওয়া লাগলো আমার মাথার ভিতরে ডুকে গেলে তখন।
যীন্নাত,,,,,, চুপ থাক ভাই।
যীন্নাত,,,,,,,, আমি রাজি,, আমি আমার সব সব শক্তি দিয়ে দিবো।
চলবে,,,,,,,