জ্বীন রহস্য (love story)❤️Season 2,Part 25,26
Writer Maishara Jahan
Part 25
আবরাম,,,,,,,,,,,,,, আর হ্যাঁ চুপচাপ নিজের জামা কাপড় পাল্টে নাও, নাহলে আমি নিজের হাতে পাল্টে দিবো, এটা তো চাও না তাই না। আর খাবারটাও ভদ্র ভাবে খেয়ে নিবে না হলে,
একটা ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে চলে যায়।
রিমি,,,,,,,,,,,,,, না, নিজের কোনো ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ করা যাবে না, নিজেকে সেফ রাখতে হবে যতো ক্ষন না ভাইয়ারা আসে, এক বার আমাকে বাঁচাতে আসুক তার পর বুঝাবো মজা। কিন্তু কখন আসবে,
আওয়াজ করে একটু নেকা কান্না করে বিছানায় কয়েকটা ঘরান দেয়, তারপর উঠে বসে।
,,,,,,,,,,,,,,,
মুন,,,,,,,,,,,, এই নাও পায়েস, এটা তোমাদের রিমি আর মাহুয়াকে খাওয়াতে হবে, রিমান তুমি মাহুয়াকে খাওয়াবে আর ফারহান তুমি রিমিকে।
রিমান,,,,,,,,,,, পায়েস খাওয়াবো তাও আবার ঐ পেত্নীকে হুহহ অসম্ভব, তার থেকে ভালো বিষ দাও খায়িয়ে দিয়ে আসি।
ফারহান,,,,,,,,,,,, রিমি আর মাহুয়াকে খাবার দিচ্ছে নাকি সন্দেহ আর এখানে ওদের পায়েস খাওয়াবো পারবো না। মনে চাচ্ছে ভুলবাল ঔষধ দিয়ে মেরে ফেলি।
আরাব,,,,,,,,,,,, এই পায়েসে এমন ঔষধ আছে যা ওদের গায়ে বিষের মতো কাজ করবে, আর এক ঘন্টার জন্য তাদের শক্তি চলে যাবে, তখন আর পালাতে পারবে না৷
মুন,,,,,,,,,, এটা তোমাদের ওদের খাওয়াতেই হবে তাহলেই আমরা জানতে পারবো রিমি আর মাহুয়াকে কোথায় আটকে রেখেছে।
আরাব,,,,,,,,,,,, সবার আগে মাহুয়াকে খুঁজতে হবে, কারন রিমির কোনো ক্ষতি করবে না কারন ওর রিমির দরকার আছে।
ফারহান,,,,,,,,,,,,, কে নিয়ে গেছে রিমিকে।
আরাব,,,,,,,,,,,, আবরাম
রিমান,,,,,,,,,,, তোর কিছু লাগে নাকি। আর কে এই আবরাম।
আরাব,,,,,,,,, আমার কিছু লাগে না, আমি শুধু তার নামটাই জানি অন্য কিছু না।
ফারহান,,,,,,,,,,,, কেনো দরকার রিমিকে ওর।
আরাব,,,,,,,,, আরে বুড়ো টুরো হবে তাই সাথে থাকার জন্য সেবা করার জন্য কোনো নাত্নির মতো কেও দরকার তাই তো রিমিকে চেয়েছে শুনেছি তার কেও নেয়৷ তাই রিমিকে ওর দরকার আছে কিন্তু
রিমান,,,,,,,,,,, মাহুয়াকে ওর কোনো দরকার নেয় তাই মাহুয়ার যে কোনো ক্ষতি করতে পারে।
মুন,,,,,,,,, যাও এই বাটি গুলো নিয়ে যাও আর যে করেই হোক খায়িয়ে নিয়ে আসবে।
রিমান আর ফারহান পায়েসের বাটি নিয়ে রিমি আর মাহুয়ার ঘরে যায়৷
ফারহান রিমির রুমে আর রিমান মাহুয়ার রুমে যায়।
ফারহান,,,,,,,,,,,,, আসতে পারি।
রিমি,,,,,,,,,, আসো না তোমারি তো অপেক্ষা করছিলাম।
ফারহান,,,,,,,,,,,, এই নাও পায়েস তাড়াতাড়ি এটা খাও ( একদম কঠোরভাবে বলে )
,,,,,,,,,, ওও আমার জন্য পায়েস এনেছো, তবে এভাবে বললে তো খাবো না।
,,,,,,,,,, তো কিভাবে বললে খাবে।
,,,,,,,,, এভাবে বলো,, জানেমান আমি তোমার জন্য অনেক ভালোবেসে পায়েস এনেছি খাও ।
,,,,,,,,,,,, ( শাঁকচুন্নির জানেমান শুনার ইচ্ছা, কখনো বলবো না হুহহ )
,,,,,,,,,, কি হলো বলো, না হলে কিন্তু খাবো না।
,,,,,,,,,,( জোর পূর্বক হাসি দিয়ে) জানেমান তোমার জন্য অনেক ভালোবেসে এই পায়েস এনেছি খাও না পিল্জ ( বাটিটা এগিয়ে দিয়ে )
,,,,,,,,,,,,,, ছো সুইট, মনে যাচ্ছে পায়েস আগে তোমাকে খেয়ে ফেলি ।
,,,,,,,,, আগে পায়েসটা তো খাও।
,,,,,,,,, এতো করে যখন বলছো তাহলে কি না খেয়ে পারা যায়, দাও।
,,,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,,,,, মাহু দেখো তোমার জন্য কি নিয়ে এসেছি।
মাহুয়া,,,,,,,,,, রিমান তুমি,,( একটা বেটকি দিয়ে৷) কি নিয়ে এসেছো৷
,,,,,,,,,, তোমার জন্য, শুধু মাত্র তোমার জন্য ইশ্পেসাল পায়েস উগান্ডা থেকে অর্ডার করছি।
,,,,,,,,,, এ্যাঁ উগান্ডা,, কোথায় এটা৷
,,,,,,,,, আরে আমার বাসার পাশে তুমি চিনবা না,, এই নাও পায়েস আর খাও।
মাহুয়া পায়েসের বাটিটা হাতে নিয়ে টেবিলে রেখে দেয়৷ আর রোমান্টিক নজরে রিমানের দিকে এগোতে থাকে।
,,,,,,,,,,,, ( আমার দিকে এমন লুচ্চি মার্কা নজর কেনো দিচ্ছে ) কি হ হলো খাবে না পায়েস।
,,,,,,,,,,, তার আগে বলো পায়েস বেশি সুইট নাকি আমি। ( রিমানের টিশার্টের কলার ধরে )
,,,,,,,,,,,,, ( ওমাআআ বাঁচাও তোমার ছেলেকে, তোমার ছেলের ইজ্জত বিপদে ) হি হি আমি কি খেয়ে দেখছি নাকি।
,,,,,,,,,,,,, মানা কে করেছে
,,,,,,,, এ্যাঁ ( এখন দেখি মেয়েদের হাতেও একটা ছেলে নিরাপদ না ) যা দুষ্টু,,, আগে পায়েস টা খাও না।
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে যদি তুমি খাওয়িয়ে দাও তাহলে খাবো।
,,,,,,,,,, ( লুচ্চি ) ঠিক আছে নাও
রিমান বাটিটা হাতে নিয়ে এক চামচ পায়েস নিয়ে মাহুয়ার মুখের দিকে ধরে।
,,,,,,,,,,, বলছিলাম কি
কিছু বলার আগে রিমান চামচ মুখে ঢুকিয়ে দেয়, তারপর একেপর এক পায়েস নিয়ে মুখে ঠেলে দেয়।
,,,,,,,,, আরে খা না খা
,,,,,,,,,, অমমম
রিমান তাকিয়ে দেখে বাটিতে আরো অনেকটা পায়েস আছে, তাই আর না ভেবে মাহুয়ার মুখ চেপে ধরে পুরো বাটিটা মুখে ঢেলে দেয়।
,,,,,,,,,,,, পেটে গেছে পুরোটা।
,,,,,,,,, যে ভাবে দিছো আবার যাবে না ( কাশতে কাশতে )
,,,,,,,,, সাব্বাশ বাপের বেটা,,, চলো নিচে
,,,,,,,, কেনো।
,,,,,,,, গেলেই বুঝতে পারবে।
রিমান মাহুয়াকে নিচে নিয়ে যায় রিমি আগে থেকে ওখানে বসে আছে।
মুন,,,,,,,, আসেন আসেন আপনার অপেক্ষাতেই ছিলাম।
মাহুয়া,,,,,,,,,, মানে।
আরাব,,,,,,,,,, মানে আপনারা দুজন কারা,, দয়া করে নিজের আসল রুপে আসেন আর রিমি আর মাহুয়া কোথায় আছে বলেন।
রিমি,,,,,,,, কি বলছেন আমরাই আসল রিমি আর মাহুয়া।
ফারহান,,,,,,,,,,,,, আমরা তোমাদের সত্যিটা জানি তাি আর নাটক করো না।
মাহুয়া,,,,,,,,, রিমান দেখো না
রিমনা,,,,,,,,,,,, চুপচাপ নিজের আসল রুপে আসো নাহলে অন্য পদ্ধতিও জানা আছে।
রিমি,,,,,,,,,, এতো সোজা না।
বলে মাহুয়া আর রিমি তার জাদু করার চেষ্টা করে কিন্তু কোনো লাভ হয় না।
রিমান,,,,,,,,,,,,, কোনো লাভ নেয় শুধু শুধু কষ্ট করে, চুপচাপ রিমি আর মাহুয়া কোথায় আছে বলো নাহলে
,,,,,,,, না হলে কি করবে৷
আরাব,,,,,,,,,,, বেশি কিছু না শুধু বোতলে বন্ধ করে সমুদ্রের গভীরে ফেলে দিবো।
,,,,,,,,,, না
ফারহান,,,,,,,,,, হ্যাঁ,, বলো রিমি মাহুয়া কোথায়।
,,,,,,,,,, রিমি জ্বীন রাজ্যের বাহিরে নীলাদ্র দিপে আর মাহুয়া জ্বীন রাজ্যের শীর্ষ দিপে।
রিমান,,,,,,,,,,, আচ্ছা আপনাদের আসল রুপটা একটু দেখান, ভয়ংকর হলে দরকার নেয়।
তারা দুজন তাদের আসল রুপে আসে।
রিমান,,,,,,, আরে বা জমজ বোন,,,দেখতে তো খারাপ না তো অন্য জনের চেহেরা চুরি করার কি দরকার। নাম কি।
,,,,,,, ছুঁই মুঁই,, আমি ছুঁই ও মুঁই।
ফারহান,,,,,,,,,, আচ্ছা যাই হোক,, নিয়ে যাও আমাদের যেখানে মাহুয়া আছে।
ছুঁই,,,,,,,,, আমাদের কাছে তো জাদু নেয় তাই আপনারা শীর্ষ দিপে নিয়ে যান সেখান থেকে নিয়ে যাবো।
তারা সবাই শীর্ষ দিপে যায়। চারপাশ শুধু জঙ্গল।
মুন,,,,,,, এখান থেকে কোথায়।
মুঁই,,,,,,,,, এখান থেকে সোজা হাঁটতে থাকো, একটা গুহায় মাহুয়াকে বন্ধী করে রেখেছে।
রিমান,,,,,,, তাড়াতাড়ি হাঁটো।
বেশ কিছু ক্ষন পর,,
মুন,,,,,,,,,, কখন থেকে তো হেটেই যাচ্ছি, কোথায় না কি ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছো।
ছুঁই,,,,,,,,,,, ঠিক পথেই নিয়ে যাচ্ছি। আরেকটু পরেই গুহা।
ফারহান,,,,,,,,,,,, এক ঘন্টা হতে কিন্তু বেশি দেড়ি নেয়। ( মুনের কানে )
মুন,,,,,,,,,, কতো ক্ষন আছে
ফারহান,,,,,,,,,,,, পাঁচ মিনিট
মুন,,,,,,,,,,,, আচ্ছা এখান থেকে কি ডানে বামে নেওয়া লাগবে না কি সোজা।
মুঁই,,,,,,,,,,, সোজা।
রিমান,,,,,,,,,,, রিমি নীলাদ্র দিপে ঠিক কোথায় আছে।
ছুঁই,,,,,,,,,,, এটা ঠিক আমি জানি না তবে শুনেছি মাঝখানে।
এক ঘন্টা হতেই ছুঁই মুঁই ঘায়েব হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,,,৷ দূরর ধরতে পারলাম না। হাঁটতে থাকো সোজা।
আরাব,,,,,,,,,,,, আর হাটা লাগবে না সামনে দেখো বিশাল গুহা। এটাই মনে হয়।
রিমান দৌড়ে যায়, সাথে সাবাই, গুহার সামনে যেতেই জ্বীনেরা হামলা। শুরু হয়ে যায় লড়াই। এর মাঝে রিমান সুযোগে ভিতরে যায়, ভিতরে অনেক অন্ধকার।
ভিতরে অনেক গুলো ঘর, সবগুলো খুঁজতে থাকে কিন্তু পাই না, যেতে যেতে একটা বড়ো ঘরে চলে যায়।
যেখানে ইশান বসে ছিলো৷ রিমান যেতেই ইশান শয়তানি হাসি দেয়।
ইশান,,,,,,,,,,,, আরে রিমান আমার ভাই ও সরি আমি তো কোনো দিন তকে ভাই মানি নায়। যাই হোক নামে তো ভাই।
রিমান,,,,,,,,,,,, ইশান মাহুয়া কোথায়।
,,,,,,,,,,, মাহুয়া মানে তোর মাশুকা,, বিশ্বাস কর তোর মাশুকাকে মারতে আমার না একটুও কষ্ট হয়নি।
,,,,,,,,,,,, মা মা মানে ( ভয় পেয়ে )
,,,,,,,,,, আরে আরে এতো আগে ভাবিস কেনো জানে মারি নি, আরে তোর মাশুকার কই মাছের জান,, এতো মারলাম তাও মরলো না।
,,,,,,,,,,, কোথায় ও,,, মাহুর কিছু হলে তকে এই দুনিয়াতে রাখবো না। ( রাগে )
,,,,,,,,,, আরে বাপরে আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। জানতাম তুই আসবি কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি তা জানতাম না।
,,,,,,,,,,, মাহুয়া কোথায় ( রাগে রিমানের চোখ লাল হয়ে যায়,গলার হাতের রগ বেরিয়ে যায় )
,,,,,,,,,,, ঐ দেখো সাইডে কেমন সুন্দর ঘুমিয়ে আছে।
রিমান তাকিয়ে দেখে মাহুয়া অজ্ঞান হয়ে পরে আছে, সাদা জামা রক্তে লাল হয়ে গেছে, হাতে গলায় কাটার দাগ।
রিমান দেখে দৌড়ে মাহুয়ার কাছে যেতে নেয়। ইশানের হাতের ইশারায় মাহুয়াকে উপরে শূন্যে ভাসিয়ে রাখে।
রিমান,,,,,,,,,,, মাহুওওও ,,,, ইশান ছাড় মাহুকে।
ইশান,,,,,,,,, বেশি কথা বললে সাইডে যে আগুনের ফুলকি দেখতে পারছো সেখানে ফেলে দিবো।
,,,,,,,,, না,, কি চাই তোর।
,,,,,,,,, এবার আসছো লাইনে,, বাকি সব পড়ে আগে তোর গলার লকেটটা দে৷ না হলে ফেলে দিলাম।
,,,,,,,,, না আমি দিচ্ছি, দিচ্ছি আমি মাহুর কিছু করবি না৷
রিমান লকেটটা খুলে, ইশান হাত বাড়ায় লকেটটার জন্য দূর থেকে। রিমান এক হাতে লকেট ছুরে মারার মতো হাত গুরাই, ইশান ধরার জন্য ঐদিকে মনোযোগ দেয়, তখনি রিমান অন্য হাতে যেটাতে লকেট ছিলো, ঐ লকেটটাকে দঁড়ি বানিয়ে ইশানের গলা প্যাচিয়ে ফেলে দেয়।
মাহুয়াও পড়ে যেতে নেয় রিমান গিয়ে মাহুয়াকে ধরে ফেলে।
রিমান,,,,,,,,,, মাহু মাহু পিল্জ চোখ খুলো দেখো আমি এসে গেছি, পিল্জ চোখ খুলো। ( কান্না করে )
রিমান দেখে মাহুয়ার গায়ে চাবুকের দাগ, যেখানে রক্ত জমে আছে। দেখে রিমানের রাগ মাথায় উঠে যায়, মাহুয়াকে রেখে সে ইশানের কাছে যায়।
দুজনের লড়াই শুরু হয়ে যায়, রিমানের মাথায় প্রচুর পরিমানে রাগ উঠায় সে কিছু দেখছে না।সোজা মেরে যাচ্ছে,
ইশান হাঁপিয়ে যায়,
রিমান,,,,,,,,,,,, চাবুক দিয়ে মেরেছিস না মাহুকে,, আসল চাবুক কেমন হয় আর তার আঘাত কেমন সেটা এখন আমি দেখাবো।
রিমান তার লকেটকে চাবুকে পরিনত করে, যেটা বিশাক লম্বা আর যেটাতে আগুন জ্বলছে, এটা দেখে ইশান পিছিয়ে যায়।
রিমান চাবুক দিয়ে ইশানকে বার বার আঘাত করছে,, ইশান ছুটে পড়ে যাচ্ছে বার বার। ইশানের শরীর চিড়ে যাচ্ছে।
ফারহান, মুন, আরাব এসে দাঁড়িয়ে দেখছে। মুন মাহুয়ার কাছে যায়, মাহুয়া তাকিয়ে দেখছে, কিন্তু উঠতে পারছে না।
রিমান রাগে অনেক জোরে জোরে আঘাত করছে। ইশান আর নড়তে পারছে না।
আরাব,গিয়ে থামায় রিমানকে। ফারহান আরাবকে থামাতে চাই৷
আরাব,,,,,,,,, অনেক হয়েছে থাম এবার, মারা যাবে ও। ( রিমানকে ধরে )
রিমান,,,,,,,,,,, ওর সাহস কি করে হলো মাহুর গায়ে হাত দেওয়ার। ওকে তো মারতে মারতে শেষ করে দিবো।
ফারহান,,,,,,,,,, হ মার শালারে ওর কারনে রিমি এখানে নায়৷
রিমান আর আরাব ফারহানের দিকে তাকায়।
ফারহান,,,,,,,,, মানে তোর বোন তোর কাছে নাই আর মাহুয়াও।
এতো ক্ষনে ইশান এখানে থেকে ঘায়েব হয়ে যায়৷
রিমান,,,,,,,,, তদের কারনে পালিয়ে গেলো।
মাহুয়া,,,,,,,, রি রি রিমান
রিমান দৌড়ে মাহুয়ার কাছে গিয়ে মাহুয়াকে ধরে।
রিমান,,,,,,,,,,সরি আসতে লেইট হয়ে গেছে কিন্তু আর কোনো চিন্তা করো না, আমি এসে গেছি। কিছু হবে না তোমার৷
মাহুয়া,,,,,,,,,,, হুমম,, আ আমি জ জা জানতান তু তুমি আ আসবে ( অনেক কষ্টে কথা গুলো বলে )
রিমান,,,,,,,,, জানেয়ারটা কি অবস্থা করেছে আরেক বার পেলে কেটে কুচি কুঁচি করে দিবো।
মুন,,,,,,,,,,, এখান থেকে চলো এখানে বেশি ক্ষন থাকা উচিত হবে না।
রিমান মাহুয়াকে কোলে নেয়। কোলে নিয়ে বাহিরে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেছে, তাছাড়া জঙ্গলে তাড়াতাড়ি রাত হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,,,,, মাহুয়কে এভাবে নিয়ে যাওয়া যাবে না আর ওকে রেখেও যাওয়া যাবে না, নীলাদ্র দিপ অনেক বড়ো,মনে হয় না আজ খুঁজে পাওয়া যাবে রিমিকে।
তাই তোরা গিয়ে রিমিকে খুঁজ, রিমির কোনো খবর পেলে আমাকে জানাবি আমি সাথে সাথে এসে পরবো, কিন্তু এখন আমি মাহুর সাথে থাকি।
আরাব,,,,,,,, তুই একা থাকবি। তকে একা
রিমান,,,,,,,,, আমার কিছু হবে না, কিছু হলে জানিয়ে দিবো, এখন রিমিকে খুজা বেশি দরকার।
ফারহান,,,,,,,, তাহলে আরাব বা মুন তোর কাছে থাকুক।
রিমান,,,,,,,, আরাবের লকেট আমার কাছে, তাই আরাবি আমাকে জানতে পারবে রিমিকে পাওয়া গেছে কি না, আর এর কারনেয় আরাব যেখানে থাকবে সেখানে আমি যেতে পারবো।
বললাম তো তোরা যা কোনো প্রবলেম হলে আমি আরাবকে ইশারা দিয়ে দিবো, রিমির খোঁজ পাওয়ার সাথে সাথে জানাবি আমি চলে আসবো।
মুন,,,,,,,,,,, ঠিক আছে,, এই নাও,,, এটা মাহুয়ার গায়ে লাগিয়ে দিয়ো জখম তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে৷
ফারহান,,,,,,,,,, সাবধানে থাকবি।
সবাই নীলাদ্র দিপে চলে যায়, রিমির খোঁজে।
রিমান মাহুয়াকে কোলে নিয়ে থাকার মতো একটা জায়গা খুজতে থাকে। মাহুয়া রিমানের বুকে তাকে জরিয়ে ধরে রাখে। কিছু ক্ষন চলার পর থাকার মতো একটা বড়ো গাছ পায়।
সেখানে গিয়ে মাহুয়াকে বসায়, মাহুয়া গাছে হেলান দিয়ে বসে। রিমান আগুন জ্বালায়।
রিমান,,,,,,,,,, তোমার কি খুব কষ্ট হচ্ছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, হালকা হেসে,,,,, তুমি আছো না এখন কষ্ট হচ্ছে না।
রিমান মাহুয়ার হাত গুলো দেখে কষ্টে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷
রিমান,,,,,,,,,, ঔষধ লাগাতে হবে কিন্তু এই রক্ত জমা আগে গরম পানি দিয়ে মুছতে হবে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, এখানে গরম পানি কোথায় পাবে।
রিমান,,,,,,,,,, আমি আছি না, তোমাকে বাসায় দিয়ে আসতে পারলে ভালো হতো কিন্তু রাতে জ্বীন রাজ্যের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
রিমান গরম পানি আনে,আগে মুখটা ভালো করে মুছে দেয় তারপর মাহুয়ার হাত নিয়ে মুছতে থাকে। রিমান আস্তে আস্তে মুছে দিচ্ছে আর বার বার জিজ্ঞেস করছে ব্যাথা লাগছে কি না।
রিমান,,,,,,,,,,, জামা উঠাও
,,,,,,,,, মানে।
,,,,,, আরে পায়ে মুছা লাগবে না।
,,,,,,,, না,,, মুছা লাগবে না।
,,,,,,,,, আরে দূররর উঠার আমি কিছু দেখবো না,, মুছাতো লাগবে নাকি, না হলে এমন জাদু করবো না যে গায়ে কি,,,,,,
,,,,,,,,, চুপ উঠাচ্ছি,,,, ( একটু উঠায় )
,,,,,,,,,, আরেকটু
,,,,,,,,, (আরেকটু উঠিয়ে) বেস এর থেকে বেশি উঠবে না।
রিমান পায়ে ভালো করে মুছে দেয়,, পিঠে অনেক বেশি আঘাত।
রিমান,,,,,,,,,, পিছনে ফিরো।
,,,,,,,,,,, কেনো না হয়েছে আর না।
রিমান মহুয়াকে ঘুরিয়ে পিঠের জামা টান দিয়ে ছিড়ে ফেলে। মাহুয়া সামনে ধরে রাখে
,,,,,,,,,,, ঐ কি করছো।
,,,,,,,, চুপ থাকো৷
রিমান আস্তে আস্তে মুছে দেয়, মাহুয়ার এই অবস্থা দেখে রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে। গা মুছে দেওয়ার পর রিমান ঔষধ লাগিয়ে দিচ্ছে। রিমানের ছোঁয়ায় মাহুয়া শিউরে উঠছে বার বার।
রিমান বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু এতে মাহুয়া ব্যাথা পায়৷ তাই আস্তে ধীরে দিচ্ছে, আর ফু দিচ্ছে যাতে ব্যাথা কম লাগে।
যতোটা না ব্যাথায় মাহুয়া শিউরে উঠছে তার থেকে বেশি রিমানের স্পর্শে আর ফু দেওয়াতে মাহুয়া বার বার কেঁপে উঠছে, তার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে।
ঔষধ দেওয়া শেষ হলে, রিমান মাহুয়ার দিকে তাকায় মাহুয়া নিচের দিকে তাকিয়ে আছে, নাক মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
রিমান,,,,,,,,,,, জামা খুলো।
মাহুয়া,,,,,,,,, কিহহহহ
,,,,,,,,,, মানে এই নাও জামা ( একটা জামা দিয়ে ) আর চেন্স করো।
,,,,,,,,, আপনি
,,,,,,,, আমি পিছনে ফিরে চোখ বন্ধ করে রাখছি।
রিমান পিছনে ফিরে তাকায়৷
,,,,,,,, এদিকে ফিরবেন না কিন্তু।
,,,,,,,,, ঠিক আছে।
মাহুয়া জামা কাপড় পাল্টে নেয়।
,,,,,,, হয়েছে।
রিমান মাহুয়ার দিকে তাকায়।
,,,,,,,,, তুমি এমন লজ্জা পাচ্ছো কেনো।
,,,,,,,, কোথায় কে লজ্জা পাচ্ছে না তো।
,,,,,,, হুমম দেখা যাচ্ছে।
রিমান খাবার এনে মাহুয়াকে খায়িয়ে দেয়। হালকা ঠান্ডা পরেছে, রিমান একটা চাদর এনে মাহুয়াকে প্যাচিয়ে ধরে।
মাহুয়া রিমানকে জরিয়ে ধরে বসে আছে, রিমানের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে, রিমান ও চাদর সহ মাহুয়াকে জরিয়ে ধরে।
,,,,,,,,,,, রিমান মনে হচ্ছে সারাটা জীবন তোমাকে এভাবেই জরিয়ে রাখি৷
,,,,,,,,,,, এভাবেই সারা জীবন আমার কাছে থাকবে তুমি।
,,,,,,,,,,, তোমাকে জরিয়ে ধরে এ কেমন অনূভুতি হচ্ছে।
,,,,,,,,,, কেমন অনূভুতি ( দুষ্টু হাসি দিয়ে )
,,,,,,,,,, ভালোবাসার অনুভূতি।
চলবে,,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story)❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 26
রিমান,,,,,,,,, কেমন অনূভুতি ( দুষ্টু হাসি দিয়ে )
মাহুয়া,,,,,,,,,,, ভালোবাসার অনুভূতি।
,,,,,,,,,,,,,,,
ফারহান,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রাত হয়ে গেছে আমি তো চোখে সরিষা ফুলও দেখছি না। মনে হচ্ছে আমি কানা, ভালো হয়েছে এটা জঙ্গল না,, আর না হলে গাছে ধাক্কা খেতে খেতে জান গেলো হলে।
আরাব,,,,,,,,,,,, স্পষ্ট তো দেখা যাচ্ছে।
মুন,,,,,,,,,,, আরাব ও মানুষ ও কিভাবে এই অন্ধকারে দেখবে।
আরাব,,,,,,,,,,, ও হ্যাঁ আমি তো ভুলেই গেছিলাম,, সরি, দাঁড়া তোর জন্য কিছু করছি।
আরাব আগুনের গোলার মতো দুটা গোলা ফারহানের আগে দিয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, আরে বা মনে হচ্ছে আমার চোখ জেনো আলো ফিরে পেয়েছে।
আরাব,,,,,,,,,,,, একটু পর সকাল হবে আমরা তো জ্বীন তাই আমাদের ঘুম পাচ্ছে না, কিন্তু তোরও ঘুম পাচ্ছে না।
ফারহান,,,,,,,,,,, তোর হবু বউ অন্য বেডার কাছে থাকলে তোর ঘুম আসতো।
আরাব,,,,,,,,,,, রিমানের মতো কথা বলছিস কেনো।
ফারহান,,,,,,,,,,, ও নেয় তো তাই তার অভাব পূরণ করছি৷
আরাব,,,,,,,,, আরে চিন্তা করিস না কোনো বুড়ো টুরো হবে৷
সকালে,,,,,,,,,,,,,,
মাহুয়া চোখ খুলে দেখে রিমান এক হাতে তাকে জরিয়ে ধরে আছে অন্য হাতে লকেট নিয়ে সে দিকে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,,,, আরে তুমি উঠে গেছো, ঘুম কেমন হলো।
মাহুয়া,,,,,,,,, ভালো,, কিন্তু তুমি সারা রাত ঘুমাও নি।
,,,,,,,,,,, আমি ঘুমিয়ে পড়লে আরাব ইশারা দিলে বুঝবো কিভাবে।
,,,,,,,,,, কোনো ইশারা আসে নি।
,,,,,,,, না এখনো রিমিকে পাওয়া যায় নি৷ কিন্তু তোমার এখন কেমন লাগছে, এখনো ব্যাথা আছে।
,,,,,,,,,,, না এখন আর ব্যাথা করছে।
,,,,,,,,,,৷ সত্যি নাকি এমনি ব,,,
,,,,,,,,, সত্যি মুনের ঔষধে কাজ করেছে।
তখনি রিমানের লকেট জ্বলে উঠে।
রিমান,,,,,,,,,,,, মনে হয় রিমিকে পাওয়া গেছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, তাহলে চলো।
,,,,,,,,,,, কি চলো, তুমি কোথায় যাবে, কোথাও যাবে না তুমি।
,,,,,,,,,, তাহলে কি আমাকে এখানে একা রেখে যাবে।
,,,,,,,, এটাও তো সম্ভব না, তোমাকে দিয়ে আসতে হবে৷
,,,,,,,, এতে অনেক লেইট হয়ে যাবে, আর আমি একদম ঠিক আছি, এই দেখো 1. 2. 3. 4 ( ব্যায়াম করে )
,,,,,,,,, হয়েছে হয়েছে,,,,, তোমাকে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো অফসেনও নাই। চলো।
,,,,,,,, হুমম চলো।
রিমান মাহুয়ার হাত ধরে আরেক হাতে লকেট ধরে চোখ বন্ধ করতেই আরাব ফারহান আর মুনের কাছে পৌঁছে যায়।
পৌঁছাতেই দেখে সবার হাত পা শিকলে বাঁধা। ফারহান আরাব মুন রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে
রিমান,,,,,,,,,,, তোদের এই ভাবে বাঁধলো কে শুধু তার নাম বল।
আরাব,,,,,,,,,, জানি না।
রিমান,,,,,,,, এ্যাঁ এ কেমন নাম৷
মাহুয়া,,,,,,,,, আরে এটা নাম না ওরা জানেনা এটা বলছে৷
রিমান,,,,,,,,, ওও আচ্ছা তোরা আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন।
আরাব,,,,,,,,, এ দিকে আস তো।
রিমান,,,,,,,,, চেষ্টা তো করতাছি কিন্তু কেনো জানি এগুতে পারছি না।
ফারহান,,,,,,,,,,, শালা নিচে দেখ।
রিমান নিচে তাকিয়ে দেখে তার পা একটা জেলির মতো আবরনে ফেঁসে গেছে, আর সেই আবরনটা শিকল হয়ে রিমানের হাতে পায়ে লেগে গেছে।
রিমান,,,,,,,,,, এটা কি হলো মাহুয়া,,
মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে মাহুয়ারও একি অবস্থা।
মুন,,,,,,,,,,, এসে একটু আশে পাশে তাকিয়ে দেখতে আগে।
রিমান,,,,,,,,, হুমম মহলটা অনেক সুন্দর,আচ্ছা তোরা এমন ভাবে আছিস তাহলে আমাকে ডাকার কি দরকারটা ছিলো।
আরাব,,,,,,,,,, আমাদের সাহায্য করার জন্য কিন্তু কে জানি আমরা যেখানে আছি ঠিক সেখানেই আসবি, একটু দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করে আসতে পারলি না।
রিমান,,,,,,, তোরা পর্যবেক্ষণ করে আসতে পারলি না।
ফারহান,,,,,,,,, সব কিছু স্বাভাবিক লাগছিলো কিন্তু কে জেনো এখানে ফাঁদ পেতে রেখেছে৷
মাহুয়া,,,,,,,,,, এখন কি করবো।
রিমান,,,,,,,,,, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুড়ি খাও।
মুন,,,,,,,,,,, কে আমাদের আটকিয়ে রেখেছে ( চিৎকার করে )
রিমান,,,,,,,,,,,, ঐ কে এমন ভাবে আমাদের বেধে রেখেছে সাহস থাকলে সামনে আয় আর আরাবের সাথে লড়াই কর৷
আবরাম,,,,,,,,,,,,, আমি বেঁধে রেখেছি।
মুন,,,,,,,,,,, কে আপনি।
আরাব,,,,,,,,, মুন জিজ্ঞেস করারা জন্য আমি আছি তো। কে তুমি।
আবরাম,,,,,,,,,, আমি আবরাম।
রিমান,,,,,,,,,, আপনার কাছে রিমি বন্ধী।
আবরাম,,,,,,,,,, হুমম
ফারহান,,,,,,,, আরাব তুই তো কই ছিলি আবরাম কোনো বুড়ো টুড়ো হবে কই বুড়ো ( রেগে৷)
আরাব,,,,,,,,,,, মনে তো তাই হয়ছিলো।
রিমান,,,,,,,,,, তোর মনে হওয়াতে কি হয়৷ রিমি কই
আবরাম,,,,,,,,,, এখনি ডাকছি শালা সাহেব
রিমান,,,,,,,, গালি দিচ্ছেন বুঝেছি কিন্তু এর পরে সাহেব লাগানোর কি লজিক।
আবরাম,,,,,,,,,,, গালি দিবো কেনো।
রিমান,,,,,,,,,, শালা কি
আবরাম,,,,,,,,,, তোমার বোন আমার বউ হলে তুমিতো আমার শালায় হবে তাই না৷
ফারহান,,,,,,,,, কিহহ আরাব তুই কি কইছিলি আর কি হয়তাছে।
আরাব,,,,,,,,, আমি নিজেও বুঝতাছি না, চুপ থাক।
রিমান,,,,,,,,,, কিছু বলার মতো নায়।
আবরাম,,,,,,,,,,,,, রিমান,,দেখতে বাবার মতোই হয়েছো।
রিমান,,,,,,,, ঠিক তাহলে এই খুশিতে ছেড়ে দেন আমাকে।
আবরাম,,,,,,,,,, বাট আই হেট ইউর ফাদার।
রিমান,,,,,,,,, মার হাবা,,,,,,, আচ্ছা রিমি কোথায় নাকি বিয়ে করে ফেলছেন৷
ফারহান,,,,,,,,,, রিমান এমন কথা বলিস না আমি কিন্তু হার্ট অ্যাটাক করমু।
আবরাম,,,,,,,,,,, ওও তাহলে তুমি রিমির প্রেমিক।
ফারহান ,,,,,,,,,,,,,, হুমম
আবরাম,,,,,,, তাহলে বিয়েটা তোমার সামনেই করবো। দাঁড়াও রিমিকে ডাকছি,,, রিমি ডার্লিং,,, রিমি নিচে আসো তো।
ফারহান,,,,,,,,,, ডার্লিং এর বাচ্চা।
রিমি নিচে নামে,,,
রিমান,,,,,,,,,, লে হালুয়া,,,আমরা তো মনে করেছিলাম তোর অবস্থা কাজের মহিলার মতো হবে তাই তাড়াতাড়ি আসলাম আগে জানলে আরো পরে আসতাম।
রিমি,,,,,,,, তোরা আসলি কেনো।
রিমান,,,,,,,,, তরে বাঁচাইতে।
রিমি,,,,,,, আচ্ছা এখন তোরে বাঁচাবো কে আমি না আমার নানা৷
ফারহান,,,,,,,,, রিমি,, তুমি ঠিক আছো।
রিমি,,,,,,,,, ফারহান 🥺🥺
দুহাত বাড়িয়ে ধরতে যায়,,,
আবরাম,,,,,,,,,, ফারহানের গায়ে হাত দিলে, ফারহানের অঙ্গ যেখানে যেখানে তোমার গায়ে লাগবে সেখানে আমি কিস করবো।
রিমির কোনো খেয়াল নেয় সে ফারহানর দিকে এগুচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,,, হুর হুর সর এখান থেকে খবরদার যদি আমাকে টার্চ করিস তো। দশ ফুট দূরে থাকবি।
আরাব,,,,,,,, কি হচ্ছে এখানে।
রিমি,,,,,,,, ভাইয়া আবরাম আমার মায়ের প্রেমিক তাকে পায়নি তাই আমাকে বিয়ে করতে চাই।
রিমান,,,,,,,,,,, মার হাবা,,,,,,, এই জন্য বাবাকে হেড করে৷ এক হিসাবে দেখা গেলে আপনি যেহেতু আমার মায়ের প্রেমিক তাই আপনি আমাদের বাবার সমান আর মাহুয়া আপনার মে,,,,
আবরাম,,,,,,,,,, চুপ,,, তুমি শুধু তোমার বাবার মতো দেখতে না সবাব ও সেরকম। তোমার বোন আমাকে আংকেল বানিয়েছে আর তুমি তো হাই লেভেলের পাগল।
আরাব,,,,,,,,,,, তুই কি আন্টিকে এনার কাছে বিয়ে দিচ্ছিস যে বাবা বলছিস। আংকেল শুনলে হার্ট অ্যাটাক করতো।
রিমান,,,,,,,,,, হার্ট অ্যাটাক করতো না আমাকে দিতো।
রিমান,,,,,,,,,,, আচ্ছা আমি আপনার শালা লাগি মানলাম শালাকে কেও দেখতে পারে না কিন্তু তাই বলে বেঁধে রাখা ঠিক না, ছেড়ে দেন।
ফারহান,,,,,,,,, যদি আমার হাতটা খুলা থাকতো সবার আগে তোকে ফাটাইলাম হলে।
রিমান,,,,,,, আরে বেটা চুপ থাক,,, খুলেন না।
আবরাম,,,,,,,,, তুমি রিয়াদের ছেলে তাই ছাড়া যাবে না।
রিমান,,,,,,,, তো রিমিও তো আমার বাবার মেয়ে মানলাম ওরে দেখলে মনে হয় টুকিয়ে আনছে কিন্তু ও আমার বাবার মেয়ে।
রিমি,,,,,,, কুত্তা
আবরাম,,,,,,,,,,, কিন্তু রিমির মধ্যে ওর মায়ের অংশ আছে।
রিমান,,,,,,,,, সেটা তো আমার মধ্যে ও আছে।
আরাব,,,,,,,,, এক কাজ করেন রিমিকে ছাড়েন ওকে বিয়ে করে নেন।
রিমান,,,,,,,, ওই কি কস৷
মুন,,,,,,, তোমার কথা শুনে এটাই মনে হচ্ছে।
আবরাম,,,,,,,,,,,, অনেক হয়েছে কথা, বিয়েটা কালকেই হবে।
রিমি,,,,,,,, শুনো না এমন করো না।
ফারহান,,,,,,,,,, ওই তুমি করে কেনো বলছো, রাগ উঠলে তো আমাকে আপনি ছাড়া কথা বের হয় না এখন অন্য জনকে এতো তুমি তুমি
রিমি,,,,,,,, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।
ফারহান,,,,,,,,,,,, মুখ ফসকে আই লাভ ইউ টাও বলে দাও৷
আবরাম,,,,,,,,,,, এটাও বলবে খুব তাড়াতাড়ি।
রিমি,,,,,,,, আপনার স্বপ্নে।
আবরাম,,,,,,,,,, দেখা যাবে,আমি এখন যায় বিয়ের অনেক কাজ আছে।
রিমান,,,,,,,,,,, আরাব কিছু কর।
আরাব,,,,,,,, কি করমু৷
রিমান,,,,,,,,, জ্বীন হয়ে কি করলি।
আরাব,,,,,,, তুই কি করলি তুইও তো জ্বীন।
ফারহান,,,,,,,,,, একবার সব জামেলা ছাড়িয়ে বাসায় যায় সবার আগে রিমান আর আরাব তদের সাইজ করমু।
রিমান,,,,,,,,,,,, থাক কিছু কইলাম না।
ফারহান,,,,,,,,, না বল, বল,আমি শুনতে চাই কি বলবি বল ( রেগে)
রিমান,,,,,,,,,,, থাক কিছু কইলাম না।
ফারহান,,,,,,,,, হালার পুত।
রিমান,,,,,,,,,, ওই কিছু কর রিমি।
রিমি,,,,,,,,,, তোদের দেখা ছাড়া আর কিছু করার নাই।
রিমান,,,,,,,, তাহলে সামনে থেকে যা, তোরে দেখলেই আমার রাগ উঠছে।
রিমি,,,,,,,, তোরে দেখলে তো আমার মা বাবার উপর রাগ হয়৷
ফারহান,,,,,,,,, তোরা চুপ কর না হলে ( রাগে )
রিমি,,,,,,, ঠান্ডা হও
ফারহান,,,,,,, কালকে তোর বিয়ে আর আমি ঠান্ডা হমু। এক মিনিট তুই এতো শান্ত কেমনে কি বিয়ে করার শক হয়ছে।
রিমি,,,,,,,,, আল্লাহ কি কয়।
রিমান,,,,,,,,,,,, দেখ ফারহান রিমির মনে হয় পছন্দ হয়ছে না হলে পুরো বাড়ি উঠিয়ে দিতো।
রিমি,,,,,,,,,, ওই তুমি আগুনে ঘি দেছ।
রিমান,,,,,,,,, কেনো মনে নায় রিভেঞ্জ
রিমি,,,,,,,,, এটা কোনো টাইম হলো রিভেঞ্জ নেওয়ার।
আরাব,,,,,,,, তোরা চুপ করবি ভাবতে দে।
রিমি,,,,,,,,, ফারহান ( কাছে গিয়ে )
ফারহান,,,,,,,,, দূর হ, বলছি না দশ ফুট দূরে থাকবি ওওও আবরামের কিস খেতে ইচ্ছে করছে বুঝি।
রিমি,,,,,,, তবা তবা কি বলে এই সব।
ফারহান,,,,,,,,,, শুনে রাখ তুই যদি আবরামের সাথে বিয়ে করছ সবার আগে তোকে মারমু তার পর আবরামকে তার পর এই দুই হারাম জাদাকে।
রিমান,,,,,,,, আমরা কি করছি ভাই।
রিমি,,,,,,,,, আর আমার যদি ঐ আবরামের সাথে বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তোমাদের তিন জনকে স্বর্গে পাঠিয়ে দিবো।
আরাব,,,,,,,,, মানে একা মরতো না চোদ্দ গুষ্টি নিয়া মরবো।
মাহুয়া,,,,,,,,,,,,,, তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে না যে কালকে কোনো অঘটন ঘটতে পারে অজিব।
চলবে,,,,,,,