জান্নাত,পর্ব :- ০৩
Writer :- Kabbo Ahamma
-: সাদমানের ৫ বছরের একটা মেয়ে আছে…(জোরে চেঁচিয়ে বললো আবিদার আব্বু)
—কিহহ! (আশ্চর্য হয়ে গেলো আবিদা)
আবিদা ঠাস করে সোফার উপর বসে পড়ে।
ওর নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছে না। ওকি ঠিক শুনলো? কাব্যর একটা মেয়ে আছে! তাও ৫ বছরের? আবিদার মা উঠে এসে আবিদার পাশে বসে। ওর মাথায় আস্তে করে হাত বুলিয়ে দেয়। আবিদা কাঁদছে। নিঃশব্দে কাঁদছে। তারপর আবিদার মা বললো।
—কাব্য আজ থেকে ৬ বছর আগে বিয়ে করে। ওর স্ত্রী বাবুকে জন্ম দেওয়ার সময় খুব অসুস্থ হয়ে পরে৷ আর এতোটা অসুস্থ হয়ে পরে যে আল্লাহ তাকে নিয়েই যায়। কিন্তু উপহার দিয়ে যায় একটা মেয়েকে কাব্যর কোলে।
মায়ের মুখে এ কথা শুনে আবিদা ভীষণ আশ্চর্য হয়ে মায়ের দিকে তাকায়। আর বললো।
—ওনার স্ত্রী বেঁচে নেই? মেয়েটার কোন মা নেই?
—নারে মা। কি সুন্দর মেয়েটা৷ অসম্ভব সুন্দর।
তারপর আবিদা সোফায় হেলান দিয়ে চোখ অফ করে বসে আছে। একটু পর ওর বাবা বলে উঠলো।
—তাহলে আমি আমার বন্ধুকে জানিয়ে দি কালকে ওদের বিয়ে হচ্ছে।
—না বাবা।
—কিহ! না মানে?
—হ্যাঁ।
আমি ওনাকেই বিয়ে করবো শুধু। ওনার মেয়ের মা হবো আমি। কি হয়েছে ওনার বিয়ে হয়েছে আগে? আরেকবার করতে সমস্যা নেই। আমি ওনাকেই বিয়ে করবো। আমার ওনাকেই চাই।
—আবিদা তুই কি বলছিস জানিস? তুই ভেবে চিন্তে বলছিস? কাব্য তোকে কখনো মেনে নিবে না। তোর কি মনে হয় কাব্যকে আমরা সে কথা বলিনি?
কাব্যকে বলেছি আমি, যে বাবা এত্তো সুন্দর মেয়েটা তোমার মা ছাড়া এতো বছর ছিল। আমার মেয়েটাকে ওর মা করে দেও। মায়ের আঁদরে মেয়েটা খুব ভালো থাকবে। কিন্তু কাব্য স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে, ও কখনো আর কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। ও ওর স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালোবাসে। দ্বিতীয় কাউকে ভালোবাসার প্রশ্নই উঠে না।
কথাটা শুনে আবিদা স্তব্ধ হয়ে আছে৷ কি বলবে আর। অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে তারপর আবিদা বলে উঠলো।
—বাবা আমি চেষ্টা করবো। আমি চেষ্টা করতে চাই। ওনার মতো একজন মানুষের স্ত্রী হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি ওনার স্ত্রী হয়েই ছাড়বো দেখো। শুধু তোমরা একটু সাপোর্ট দিও আর কিছু চাইনা।
—আমরা দুজন তো সবসময়ই তোর পাশে আছি। দেখ ছেলেটা রাজি হয় কিনা। আমারতো খুব ভালো লেগেছে ছেলেটাকে। কি অমায়িক আচরণ। আহ্! এরকম একটা জামাই আমাদের বাড়ির হলে সবার জন্য ভালো। (মা)
—হুম ঠিক বলেছো আবিদার মা। আবিদা যা দোয়া করে দিলাম মা তোকে। জিতে আসবি। (বাবা)
—থ্যাঙ্কিউ বাবা।
পরদিন কাব্যর বাসায়……
(কলিং বেলের শব্দ)
কাব্যর মা দরজা খুলে তাকিয়ে দেখে আবিদা। কিন্তু সে আবিদাকে চিনতে পারেনি। তাই তিনি বললেন।
—কে তুমি মা? কি দরকার? (কাব্যর মা)
—আন্টি আমি আবিদা। গতকাল আমার বাবা-মা এসেছিল। ভিতরে আসতে পারি?
—ওমা তাই! হ্যাঁ আসো আসো।
তারপর আবিদা ভিতরে আসে। কাব্যর মা আবিদাকে নিয়ে সোফায় বসে। বসে তিনি আবিদাকে ধরে ভালো করে দেখে বললো।
—ইসস, তুমি তো অনেক সুন্দরী। একদম একটা পরীর মতো। আমার নাতনির মতো তুমি। মাশাল্লাহ্।
—কি যে বলেন না আন্টি। আঙ্কেল বাসায় নেই?
—তোমার আঙ্কেল তো বেঁচে নেই।
কাব্য আমার একমাত্র ছেলে। ওই সব আমার৷ ও আর ওর মেয়ে ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই।
—কে বলেছে আমিও আছি। আচ্ছা আন্টি না মা বলে ডাকি আপনাকে?
কথাটা শুনে কাব্যর মা অনেক খুশী হন। তিনি আবিদার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আদুরে কণ্ঠে বলেন।
—ডাকো মা ডাকো। কোন সমস্যা নেই।
—আচ্ছা মা উনি কি বাসায়?
—না অফিসে গেছে ও। খুব পরিশ্রম করে ছেলেটা।
—আচ্ছা উনিকি আমাকে মেনে নিবেন না মা? আমি যে ওনাকে অনেক ভালোবাসি অনেক পছন্দ করি। ওনার কুরআন তিলোয়াত না শুনলে আমার দিন ভালো যায়না।
—মা।
সত্যি বলতে ছেলেটা আমার অনেক শক্ত। ও মিরাকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। এখনো বাসে। মিরা ছাড়া ও মনে হয়না আর কাউকে মেনে নিবে। আমি হাজার বার চেষ্টা করেছি আমার নাতনির জন্য একটা মা আনার। কিন্তু ছেলেটা কোনভাবেই মানে নি। তাই এখন হাল ছেড়ে দিয়েছি। ও মনে হয়না দ্বিতীয় বার আর বিয়ে করবে।
কাব্যর আম্মুর কথা শুনে আবিদা ভিতর থেকে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। চারদিক কেমন শূন্য হয়ে আসছে। কোন উপায় কি নেই? তারপর আবিদা কাব্য মাকে অসহায় ভাবে প্রশ্ন করে।
—মা কোন উপায় কি নেই তার মনে আমার জন্য একটু জায়গা করার? বলুন না প্লিজ।
কাব্যর মা আবিদার অশ্রুসিক্ত নয়নের দিকে তাকিয়ে উজ্জীবিত হয়ে বললো।
—হ্যাঁ উপায় একটা আছে।
সাথে সাথেই আবিদা অনেক খুশী হয়ে বললো।
—কি মা?
—কাব্যর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো আমার নাতনি। তুমি যদি ওর বন্ধু ওর প্রিয় হতে পারো তাহলেই হয়তো আমার ছেলেটার জীবনে জায়গা করে নিতে পারবে।
—মা আমি তাহলে তাই করবো। লাগলে আমি কখনো মা হবো না। ওনার মেয়েই হবে আমার মেয়ে। আমার আপন মেয়ে৷ তাও ওনাকে আমার চাই।
—যাক। তাহলে আমার ছেলেটার একাকিত্বও যাবে আর নাতনিটাও এত্তো সুন্দরী একটা মা পাবে।
—মা ওনার মেয়ের নাম কি?
—“জান্নাত” ওর বাবাই রেখেছে।
—ও কই? জান্নাতের সাথে একটু দেখা করি।
—ওতো এখন ঘুমাচ্ছে। আসো ওকে দেখবে। একদম পরীর মতো আমার জান্নাত মামনীটা।
তারপর কাব্যর মা আবিদাকে নিয়ে জান্নাতের রুমে যায়। গিয়ে তিনি বলেন।
—ওই যে ঘুমিয়ে আছে আমাদের জান্নাত।
তারপর আবিদা আস্তে আস্তে করে জান্নাতের কাছে যায়৷ আবিদা জান্নাতকে দেখে স্তব্ধ। এ স্তব্ধতা মুগ্ধতার। জান্নাত অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়ে। আবিদা ওর জীবনে এরকম অসম্ভব সুন্দর বাচ্চা মেয়ে কখনো দেখেনি। ঘন কালো চুল, বড় বড় পাপড়ি, দুধের মতো গায়ের রং। এ যেন সত্যিই জান্নাত৷ আবিদা অপলক দৃষ্টিতে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চোখে অজান্তেই পানি এসে গেছে৷ প্রচন্ড মায়া হচ্ছে জান্নাতকে দেখে। এটুকু মেয়ে মা ছাড়া ৫ টা বছর পার করেছে। আবিদা কাঁদতে কাঁদতে বললো।
—মামনি তোমার আম্মু চলে এসেছে। আজ থেকে আমরা মা আর মেয়ে মিলে অনেক মজা করবো। আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না। কেউ না। আল্লাহ আমাকে শুধু তোমার জন্য পাঠিয়েছেন। জান্নাতের পরী তুমি। আমার জান্নাত।
—আসলেই এই দুধের শিশুটার একটা মায়ের দরকার ছিল রে। আবিদা মা তোকে ওর মা হতেই হবে।
—মা আমি হবো। ও জান্নাতের টুকরা একটা। দেখেন কি অপরূপ সুন্দরী ও। আমার খুব কান্না পাচ্ছে ওকে দেখে। আমি ওকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। কোথাও না।
—হ্যাঁ মা যাস না।
এরপর সকাল পেড়িয়ে দুপুর, দুপুর পেড়িয়ে বিকেল আর বিকেল পেড়িয়ে সন্ধ্যা আসে। কাব্যর আসার সময় হয়েছে। কলিং বেল বাজতেই কাব্যরমা দরজা খুলে দেয়। কাব্য মাকে সালাম দিয়ে সোজা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে মায়ের কাছ থেকে তোয়ালে নিয়ে হাত মুখ মুছে। ও বেকুল হয়ে আছে জান্নাতকে দেখার জন্য। তারপর মাকে বললো।
—জান্নাত কেমন আছে মা? ও তোমার সাথে নেই কেন? ঘুমাচ্ছে? (কাব্য)
—না খোকা, ও ওর মায়ের সাথে খেলা করছে। যা দেখে আয়। মাকে পেয়ে কতো খুশী জান্নাত।(মা)
মায়ের কথা শুনে কাব্য হঠাৎ আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা। দ্রুত জান্নাতের রুমের কাছে যেতেই জান্নাতের মিষ্টি মধুর খিলখিল হাসির শব্দ শুনতে পায় কাব্য। কাব্য দ্রুত রুমে ঢুকে দেখে আবিদা। আর কাব্য সাথে সাথেই বাকরুদ্ধ! ও দেখছে জান্নাতের চোখেমুখে উজ্জ্বলতায় ভরা। মেয়েটা যেন সত্যিই মাকে খুঁজে পেয়েছে। তারপর আবিদা কাব্যকে দেখে বললো।
—কি এসেছেন? কেমন আছেন?
কাব্য যথারীতি অন্যদিকে ফিরে তাকায় আর বললো।
–আপনি এখানে?
—আমি এখানে থাকবো নাতো কে থাকবে? আমিতো জান্নাতের মা। জান্নাত আমার মেয়ে৷ আমার পরী মেয়ে। (জান্নাতকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো আবিদা)
–এসব কি বলছেন? জান্নাত শুধু আমার আর মিরার মেয়ে। আপনার কেন হতে যাবে।
বলেই জান্নাতকে কোলে তুলে নেয় কাব্য। জান্নাত বাবার কোলে উঠে বললো।
—আব্বু আব্বু আমি আম্মুর কাতে যাবো। আমার আম্মু আত্তে৷ আম্মু অনেক ভালো। আম্মুর তাতে খেলবো। নিচে নামাও।
মেয়ের কথা শুনে কাব্য অবাক। মেয়েকে নিচে নামিয়ে দেয়। মেয়ে সুন্দর করে গিয়ে আবিদাকে জড়িয়ে ধরে। আবিদাও জান্নাতকে বুকে জড়িয়ে ধরে। আর কাব্যর দিয়ে তাকিয়ে হাসে আর বলে।
—এই দুধের শিশুটার মায়ের প্রয়োজন। মায়ের ভালোবাসা, আঁদর, স্নেহের প্রয়োজন। ওকে এ থেকে আলাদা করবেন না। আর কান খুলে শুনে রাখুন ও আমারও মেয়ে আজ থেকে। আমি আপনাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না। আর জান্নাতকেও আমি কখনো ছাড়বো না৷ এখন আপনি ভাবুন, জান্নাতকে কষ্ট দিবেন নাকি আমাকে বিয়ে করবেন?
কাব্য এখন কি করবে? কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। তারপরেও কাব্য বলে উঠলো।
–জান্নাত মা এদিকে আসো। উনি তোমার আম্মু না। আব্বুর কাছে আসো মা। আব্বুকে আঁদর দেও।
—না এতা আমাল আম্মু। আম্মুর সাতে খেলবো তুমি যাওতো।
কাব্য বিশ্বাস করতে পারছে না। কিন্তু ও এও বুঝতে পারছে যে সারাদিন একা থাকা মেয়েটা আবিদাকে পেয়ে অনেক খুশী। আবিদা জান্নাতের সাথে খেলা করছে মজা করছে। জান্নাত খিলখিল করে হাসছে। তারপর কাব্য নিরাশ হয়ে বাইরে ড্রয়িং রুমে এসে সোফায় বসে৷ কাব্যর মা একগ্লাস পানি ওর হাতে দিয়ে ওর সামনে এসে বসে বলে।
—আবিদা সত্যি জান্নাতের মায়ের যোগ্য বাবা। জান্নাতকে মা হারা করিস না। মেয়েটা মাকে পেয়ে অনেক খুশী। মন থেকে শোনে দেখ কি সুন্দর খিলখিল করে হাসছে৷ জান্নাতকে কখনো এতো হাসিখুশি দেখিনি। বাবা আর জিদ করিস না। মেয়েটাকে একটু মায়ের আঁদর ভালোবাসা দে। নাহলে মেয়েটা বড় হয়ে অন্যরকম হয়ে যাবে।
এবার কাব্য বললো
–মা বিষয়টা আমার। আমি মিরাকে ভালোবাসি। ওকে ছাড়া আমি কীভাবে অন্য একটা মেয়েকে মেনে নিবো তাকে কীভাবে ভালোবাসবো? সংসারটা সুখের হবে বলো? আবিদা কি শুধু জান্নাতকে নিয়ে খুশী হবে যদি স্বামীর ভালোবাসা না পায়? আমিতো পারবোনা মিরা ছাড়া অন্যকাউকে মেনে নিতে। পারবো না মা।
—দেখ বাবা আমি শুধু একটা কথা বলবো।
মিরাও হয়তো কখনো চাইবে না জান্নাত মা ছাড়া বড় হোক। বাকিটা তুই বুঝিস ভালো। আমি খাবার দিচ্ছি আয় খাবি।
–জান্নাত খাবে না?
—আবিদা খাইয়েছে। মেয়েটা আজ খাওয়া নিয়ে একটুও কান্নাকাটি করেনি। পেট ভরে খেয়েছে ওর মায়ের হাতে৷ দাদির হাতে খেয়ে মেয়েটা এতোদিন শান্তি পায়নি। আজ শান্তি মতো খেয়েছে। তুইও আয় মায়ের হাতের খাবার খাবি।
–হুম।
এরপর কাব্য খেয়ে একটু বিশ্রাম নেয়। তারপর এশার নামাজ পড়তে চলে যায়। আসার সময় সিঁড়িতে আবিদার সাথে দেখা হয়। কাব্য অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। তারপর আবিদা জোর গলায় বলে।
—জান্নাত আমারও মেয়ে। ওকে আমি কখনো আমার থেকে আলাদা করবো না। আর কাউকে করতেও দিবো না। আসি।
কাব্য অবাক হয়ে যায় আবিদার কথা শুনে। ও ভেবেই পাচ্ছে না এসব কি হছে৷ কিন্তু ওর বিরক্ত লাগছে খুব। কাব্য জান্নাত আর মিরার মাঝে আর কাউকে আনতে চায়না৷ মিরা সবসময় ওর মনে ভিতরে থাকে। মিরা ছাড়া ও কাউকে মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু জান্নাতের কথা ভাবলে কাব্য দুর্বল হয়ে যায়। ওর চিন্তা শক্তি লোপ পায়৷
এভাবে আরো ছয়দিন চলে যায়৷ জান্নাত এখন আবিদাকে আম্মুই বলে ডাকে৷ সারাদিন আম্মু আর আম্মু। কাব্যর চেয়ে পরী জান্নাত এখন তার আম্মুকেই বেশি ভালোবাসে৷ কিন্তু কাব্য কেন জানি এটা মানতে পারছে না। ও খুব বিরক্ত হয়ে উঠেছে৷ আর পারছেই না। তাই……
–এই যে শোনেন আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে। (অন্যদিকে ফিরে)
আবিদা জান্নাতকে ঘুম পড়িয়ে দিয়ে চলেই যাচ্ছিলো ওমনি কাব্য ওকে ডাক দিলো। আবিদাতো বেজায় খুশী। ও ভাবছে কাব্য বোধহয় এবার ওকে মেনে নিবে। তারপর আবিদা খুশি হয়ে বলে।
—জ্বী জ্বী বলুন।
–আপনি কাল থেকে আর আমার বাসায় আসবেন না দয়া করে। জান্নাতের মা শুধু মিরা আর কেউ না। আপনি মিরার জায়গা কখনো নিতে পারবেন না। আপনাকে আমি আর আমার বাসায় দেখতে চাই না। আর কখনো আসবেন না৷ আর যদি আসেন তাহলে আমি এ বাসা ছেড়ে দিবো।
কাব্যর এ কথা শুনে আবিদা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। কান্নায় ভেঙে পড়ে। কাব্যর মাও পিছনে দাঁড়িয়ে সব শোনে। তারপর আবিদা কাঁদতে কাঁদতে বলে।
—ঠিক আছে৷ আর কখনো আপনি আমাকে দেখতে পাবেন না। চলে যাচ্ছি আমি।
বলেই কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল আবিদা।
.
.
চলবে………….