ঘৃণার মেরিন
part : 8
Writer : Mohona
জন: সসস্যার আর ননননেই। মমমারা গেছেন….. 🥺🥺🥺…
কথাটা শুনতেই মেরিন জনকে ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
মেরিন: তোমার সাহস কিভাবে হয় এই সব ফালতু কথা বলার। বলো? সাহস খুব বেরে গেছে….. না?
নীড়: মেরিন…..
মেরিন: আরে দেখুন না নীড়…. পাগল জন কি বলেছে??? আমার দাদুভাই মারা গেছে….. 🤣🤣🤣। পাগল। এই তুমি সরো তো সরো। তুমি এখন আমার চোখের সামনে থাকলে নির্ঘাত আমি তোমাকে জানে মেরে দিবো। সরো তো সরো….. সরো সরো….এই নীড় ওকে সরতে বলেন তো। আমার ওকে সহ্য হচ্ছেনা। এই জন… তুই যা। যাহ যা।
কবির মেরিনের মাথায় হাত দিতেই
মেরিন বলল: hey don’t touch me….. নীড় … এই mr. & mrs. khan এখানে কেন? চলে যেতে বলুন তো…. জন এদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করোতো….. এদের দেখলে আমার ঘৃণা করে।
জন মাথা নিচু করে কেদেই যাচ্ছে।
মেরিন: আজব তো…. এই তুমি কি আজকে বাসায় থেকে ঠিক করে এসেছো যে আমার হাতে মরবে……. ১টা কথাও শুনছো না…… আবার পাগলের প্রলাপ বলছো…..
নীড়: মেরিন তুমি আগে শান্ত হও তো….. শান্ত হও…..
মেরিন: কিসের শান্ত হবো। এই জন এতো ঘাটিয়া কথা বলল আর আমি শান্ত থাকবো। বেবুনিয়াদ কথা বলে….. মিথ্যাকথা বলে।
নীড়: মিথ্যা নয় মেরিন….. সত্যি। দাদুভাই আর নেই ।
.
কথাটা বলতেই মেরিন নীড়কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
মেরিন: নীড়…… একদম ফালতু কথা বলবেন না…….
নীড়: মেরিন…. accept this…. দাদুভাই আর নেই… মারা গেছেন।
মেরিন: অসম্ভব। কোনোদিনও না…. কোনোদিনও না…… কোনোদিনও না…..
বলেই পাগলের মতো হাত থেকে ক্যানোলা খুলে পাগলের মতো দৌড়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল। কেউ থামাতে পারলোনা। ১টা taxi করে খান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে গেলো। বাকিরাও গেলো। গিয়ে দেখলো দীদার কবরের পাশে ১টা নতুন কবর। name plate এ শাহজাহান খান লেখা। এরপর মেরিন পাগলের মতো হাসতে লাগলো।
মেরিন: স্বার্থপর….. স্বার্থপর…… স্বার্থপর….. স্বার্থপর….. সবাই স্বার্থপর…… তুমিও স্বার্থপর….. কারন তুমিও তো কবির খানেরই বাবা। তাই তুমিও স্বার্থপর। কথা বলবোনা। আরি….. 🤣🤣🤣….. খুব চালাক না……. ভালোমতোই জানো যে তোমার সাথে কথা না বলে আমি থাকতে পারবোনা……
আর ঠিকই ভাবছো…….
বলেই মেরিন দাদুভাইয়ের কবরের ওপর সমান্তরালভাবে শুয়ে পরলো।
নীড়: মেরিন ওঠো…..
মেরিন: কি চাই…..😒😒😒….
নীড়: ওঠো….. কবরের ওপর শুয়ে থাকলে দাদুভাইয়ের আত্মা যে কষ্ট পাবে…..
মেরিন: shut up…… আমাকে ঘুমাতে দিন…… আমার ঘুম পাচ্ছে।
নীড় মেরিনকে টেনে তুলল।
মেরিন: আজব তো…..
নীড়: মেরিন….. বাস্তব টা মেনে নাও….. সত্যি এটাই যে দাদুভাই আর আমাদের মাঝে নেই….. মারা গেছেন মারা গেছেন…… মারা গেছেন…..
নীড় মেরিনকে ঝাকিয়ে কথাটা বলল। কথাটা শুনে মেরিন স্তব্ধ হয়ে গেলো। চোখ ২টা স্থির হয়ে গেলো।
নীড়: দেখো কেউ চিরদিন বেচে থাকেনা। আমার দাদুভাই-দীদাও চলে গেছে……
নীড় কি বলছে মেরিন কিছুই শুনছেনা……. মেরিন আসতে করে নিজের কাধ থেকে নীড়ের হাতটা সরিয়ে সোজা সামনে হেটে গেলো।
.
আড়াইমাসপর……
এই আড়াই মাসে মেরিন নিজের রুম থেকেই বের হয়নি। কারো সাথে কোনো কথাই বলেনি। কাদেও নি… হাসেওনি….. জীবন্ত লাশ হয়ে গেছে। নীড় খাইয়ে দিলে খায়। তেমন ভাবে ঘুম আসেনা। পলকই যেন ফেলতে ভুলে গেছে মেরিন।
নীড় এখন কেবল সেই রাগী ভয়ংকারী মেরিনকে miss করে। যে অপলক ওর দিকে তাকিয়ে থাকতো। রোজ রাতে জোর করে ওর বুকে মাথা রেখে ঘুমানো….. সকালবেলা good morning kiss….যখন তখন ওর কোলে বসা…. ওর প্লেট থেকেই খাবার খাওয়া সবটা। যা এখন শুধু নীড়ের কল্পনায়।
.
নিহাল: রুমা….. নীড়কে নিচে আসতে বলো।
রুমা: জী স্যার।
রুমা গিয়ে নীড়কে ডাক দিলো। রুমার ডাকে মেরিন কল্পনা থেকে বেরিয়ে এলো। নীড় নিচে গিয়ে দেখলো যে নিহাল-নীলিমা, কবির-কনিকা , নিরা বসে আছে।
নীড় কবির-কনিকাকে বলল: mr. & mrs. khan…. আপনারা এখানে?
নিহাল: নীড়… এনারা তোমার শশুড়-শাশুড়ি হয়।মেরিনের মা-বাবা…..
নীড়: মেরিনের মা-বাবা?? like really ?? কোন দিক দিয়ে? কোন বাবা তার মেয়েকে বলতে পারে যে তার রক্তে বিষ আছে…. কোন মা ভাগনির জন্য মেয়ের তালাক করাতে চায়….. সন্তান যতোই খারাপ হোকনা কেন …. সন্তান সন্তানই হয়……. কিন্তু এনারা নিজের মেয়ে রেখে অন্য মেয়ে নিয়ে মাতামাতি করেছে।
নিরা: তুমি কি আমাকে অপমান করছো?
নীড়: অপমান কেন করবো? আমি কেবল সত্যিটা বললাম…… যাই হোক…. এনারা তো মা-বাবা নামে কলঙ্ক।
নিরা: just shut up নীড়। তুমি খালামনি আর বাবাইকে অপমান করছো….
নীড়: you shut up…. পারিবারিক কথা হচ্ছে এর মাঝে তুমি টকটক কেনো করছো?
নিরা: পারিবারিক মানে? আমি কি পরিবারের বাইরে??
নীড়: অবশ্যই। কারন এখানে আমার বউকে নিয়ে কথা হচ্ছে। মামনি-বাবা আর এনারাই পরিবার।
নিরা: আর আমি?
নীলিমা: পরগাছা…..
নিরা: এতো বড় অপমান??? বেশ আমি এখনি চলে যাবো।
নীলিমা: তো যাওনা।
নিরা রেগে মেগে চলে গেলো।
.
কবির: বাবা… আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে তোলো please …….
নীড়: মেয়ে? লজ্জা করেনা ওকে মেয়ে বলতে?? তোমরা জানো ও ১টা মানসিক রোগী? a psycho….. আমি damn sure যে এর জন্য তোমরাই দায়ী। তোমরা ২জনই মেরিনের অপরাধী । এমনকি আমি নিজেও।
কনিকা: দেখো…. আমরা মানছি যে ভুল করেছি…… কিন্তু এখন আমি হাত জোর করে বলছি যে যেভাবেই হোক তুমি আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে তোলো….. তুমি তো ১জন ডাক্তার। সেই সাথে ওর স্বামীও। যাকে ও অসম্ভব ভালোবাসে। দেখোনা যদি পারো………
নীড়: দেখছি….. সেটা নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবেনা। আমার বউ আমি ঠিক বুঝে নেবো।
বলেই নীড় রুমে চলে গেলো।
কবির-কনিকাও বাসায় চলে গেলো।
নীলিমা: কি হলো নিহাল? তুমি হাসছো কেন?
নিহাল: তার আগে বলো তুমি কেন হাসছো?
নীলিমা: ওই শাকচুন্নিটা permanently আমার ছেলের মাথা থেকে নেমেছে তাই। আপ তুমি?
নিহাল: তোমার সাথে বাজিতে হেরে আজ আমি মহাখুশি…….
.
পরদিন থেকে নীড় মেরিনের সাথে কথা বলতে শুরু করলো। psychologically ভাবে মেরিনকে handle করতে লাগলো। কিন্তু মেরিন একটুও স্বাভাবিক হলোনা।
.
৭দিনপর……
মেরিন নীড়ের রুমের mini terrace এ দারিয়ে আছে। ঝরো ঝরো বাতাস বইছে। যেকোনো সময়ে বৃষ্টি পরবে। নীড় ধীরে পায়ে হেটে গিয়ে মেরিনের পাশে দারালো।
নীড় মেরিনকে নিজের দিকে ঘোরালো। মেরিনের কাধে হাত রেখলো।
নীড়: মেরিন… মৃত্যু মানুষের জীবনের সবথেকে বড় সত্য….. সবকিছুরই শুরু আছে….. আবার শেষও হয়ে যায়। তাই কোনো কিছুকে মোকাবেলা করা দরকার। কোরআন শরীফে ১টা আয়াত আছে। “আর সকল প্রানীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে।” মৃত্যু সবথেকে বড় সত্য।
মেরিন:…..
নীড়: মেরিন কান্না করো…. কারন তোমার দাদুভাই মারা গেছে। সে আর কোনোদিন ফিরে আসবেনা…… তোমাকে কখনো আর দিদিভাই বলে ডাকবেনা…… মনে করো দাদুভাই তোমাকে কতোটা ভালোবেসেছে। ছায়ার মতো তোমাকে আগলে রেখেছে, তোমার ভালো চেয়েছে, তোমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসেছে সে চলে গেছে মেরিন…..
চলে গেছে। মারা গেছে ॥
শুনতে পাচ্ছো তুমি… শুনতে পাচ্ছো তুমি??? তোমার দাদুভাই মারা গেছে। আর কখনো সে ফিরবেনা । তুমি তাকে দেখতে পারবেনা…. ছুতে পারবেনা…… বুঝেছো তুমি….. শুনতে পাচ্ছো তুমি…… দাদুভাই মারা গেছে। কান্না করো মেরিন….. মেরিন…
মেরিনের চোখের সামনে দাদুভাই এর স্মৃতি ভেসে উঠলো। দাদুভাইয়ের সাথে কাটানো সব স্মৃতি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠলো। চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরলো। মেরিন ধাপ করে বসে পরলো।
মেরিন: দদদাদুভাই মমমারা গগগেছে….. ককককিন্তু কককেন? এখন কককে আমাকে ভভভভালোবাসবে??? ককককার কোলে মমমমাথা রররাখবো…… কককে গগগল্প শোনাবে…… আমি যে এএকদম একা……. আআমার যে আর আপন কেউ রইলো না…….
দাদুভাই……. কেন চলে গেলে……. তুমিও কি আমার ওপর বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলে…… এখন আমি কককাকে দাদুভাই বববলে ডাকবো….. আমার যে কেউ নেই …… ও নীড়…. ও নীড় আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনাকে divorce দিয়ে দিবো….. আপনি আমার দাদুভাইকে এনে দিন…… আমি সত্যি সত্যি কথা দিলাম আমি আপনাকে divorce দিয়ে দিবো….. আপনি আমার দদদাুভাইকে এনে দিননা…… আমার দাদুভাই ছারা যে আমার কেউ নেই….. 😢😭।
দাদুভাই……
দাদুভাই……
মেরিনের কান্না দেখে নীড়ও কাদছে।
নীড় মনে মনে: কান্না করো মেরিন…….. কান্না করো…. মনটা হালকা হবে।
কাদতে কাদতে মেরিন বেহুশ হয়ে গেলো। নীড় মেরিনকে কোলে করে রুমে নিয়ে শুইয়ে দিলো। এরপর বুকের মধ্যে জরিয়ে নিয়ে মাথায় আলতো ভাবে হাত বুলাতে লাগলো…….
নীড়:তোমার আপন বলতে এখন আমি আছি মেরিন…… মেরিনের নীড় আছে….. আমি তোমার সকল দুঃখের অবসান ঘটাবো….. সেইসাথে মেরিনের #ঘৃণারমেরিন হওয়ার পেছনের কারন অনুধাবন করবো……. তোমাকে নিজের করে নিবো….ভালোবাসবো…….
.
২দিনপর…..
২দিনধরে মেরিন বেশিরভাগ সময়েই কেদেছে। পাগলামি করেছে। যার জন্য বাধ্য হয়ে নীড় ওকে ঘুমের injection দিয়েছে। নীড় বাগানে মাথায় হাত দিয়ে বসে বসে ভাবছে কি করা যায়। তখন নীড়ের কাধে নিহাল হাত রাখলো।
নীড়: আরে বাবা তুমি…… বসো।
নিহাল বসলো। নিহাল: কি ভাবছো?
নীড়: ভাবছি মেরিনকে normal কিভাবে করা যায়। এই শোকের ছায়া থেকে কিভাবে বের করা যায়……..
নিহাল: ভালোবেসে……
নীড়: মানে……
নিহাল: কোন প্রক্রিয়াই মেরিনকে স্বাভাবিক করতে পারবেনা তো তোমার ভালোবাসা ছারা। ওকে নিজের সবটা উজার করে ভালোবাসো।
ভালোবেসে ওর মাথায় স্নেহের হাত রাখো…..
ভালোবেসে ওর কাধে ভরসার হাত রাখো…..
ভালোবেসে ওর হাতে ভালোবাসার হাত রাখো……
ভালোবেসে আপন করে নাও…… দেখবে মেরিন মাটি হয়ে গেছে।
নীড়:……
নিহাল: আমি জানি আমার ছেলে বুদ্ধিমান……
নিহাল চলে গেলো। নিহালের কথাটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করে নীড়ও রুমে গেলো। গিয়ে দেখলো মেরিন রুমে নেই।
নীড়: মেরিন কোথায় গেলো…..
washroom এ দেখলো। সেখানেও নেই। বারান্দায়ও নেই।
নীড়: কোথায় গেলো……. মামনি মামনি……
নীলিমা দৌড়ে এলো।
বলল: কি হয়েছে??
নীড়: মেরিনকে দেখেছো?
নীলিমা: না। আমিতো রান্না ঘরে ছিলাম…….
নীড় দেরি না করে বেরিয়ে গেলো। সেদিন মেরিনকে যে শ্মশানের সামনে পেয়েছিলো সেখানে গেলো। কিন্তু ওখানে পেলোনা। নীড় জনকে ফোন করলো। জনও জানেনা।
নীড়: কোথায় যেতে পারে? কো……
নীড় কিছু ১টা ভেবে কবরস্থানে গেলো। দেখলো যে ওখানে মেরিনের গাড়ি দার করানো। নীড় ভেতরে ঢুকলো। ঢুকে অবাক হয়ে গেলো। দেখলো যে দাদুভাইয়ের পাশে মেরিন আরো ১টা মাটি খুরছে।
.
নীড়: তুমি এখানে??
মেরিন নীড় কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজই করছে।
নীড়: কি করছো কি??
মেরিন: কবর খুরছি কবর।
নীড়: কবর?? কিসের কবর??
মেরিন: মেরিনের কবর…..
নীড়: what?? পাগল হয়ে গেছো। রাখো এটা।
বলেই নীড় মেরিনের হাত থেকে নিতে গেলে মেরিন সরে গেলো।
মেরিন: সরেন সামনে থেকে। জীবন প্রথম কোনো ভালোকাজ করছি…. মেরিন সৎকার। একদম বাধা দিতে আসবেন না……
নীড়: পাগলামি করেনা মেরিন…
মেরিন মাটি খুরছে আর
বলছে: পাগলামি? কিসের পাগলামি? আমি ঠিকই আছে। আমি জানি আমার কবরও কেউ খুরতে আসবে না আর জানাজাও কেউ দিতে আসবেনা। কারন আমি ঘৃণার মেরিন।
আর তাই আমার নিজের কবর আমি নিজেই খুরবো। এরপর কবরে ঢুকেে যাবো….. ঢুকে নিজেকে shoot করে দিবো……
নীড় মেরিনের হাত থেকে কোদাল কেরে নিয়ে ফেলে দিলো।
মেরিন: আপনার সাহস কি করে হয় আমার হাত থেকে ওটা কেরে নেয়ার?
নীড়: আমার অনেক সাহস। চলো বাসায় চলো।
মেরিন: বাসা? কার বাসা?
নীড়: আমাদের বাসায়।
মেরিন: 🤣🤣🤣। ওটা তো আমার ঠিকানা না…. কোনোটাই তো আমার ঠিকানা না….. আমার তো কোনো ঠিকানা নেই…. তবে আজ থেকে হবে…. এই কবরস্থান । name plate এ লেখা থাকবে মেরিন বন্যা…… মরহুমা মেরিন বন্যা। 🤣🤣🤣। The Late marin bonna….
নীড় : মেরিন আমি জানি তোমার কষ্ট লাগছে….
মেরিন: কষ্ট কিসের কষ্ট…. আহমার কোনো কষ্ট ছিলোনা। আর না আছে। আজকের পর থেকে থাকবেও না….. সব কষ্ট মাটির নিচে চাপা পরে যাবে…….
নীড় মেরিনের ২ গালে হাত রেখে
বলল: মেরিন…… দাদুভাই হয়তো স্বশরীরে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমাদের মনে সবসময় থাকবে। তাকে বাচিয়ে রাখতে হবে।
মেরিন: আপনার নীতি কথা বন্ধ করেন। যান এখান থেকে। আমিও চলে যাবো আমার দাদুভাইয়ের কাছে। আর জ্বালাবোনা আপনাদের। মেরিন নামের আগুন আজকে চিরতরে নিভে যাবে……
নীড়: কিন্তু আমি যে জ্বলতে চাই মেরিন নামের আগুনে। জ্বলে ছাই হতে চাই।
মেরিন: ভালোগিরি দেখাচ্ছেন….. মনুষত্ব দেখাতে এসেছেন…… লাভ নেই। আপনাকে আমি ভালোবাসি। আমি শুধুই আপনার । কিন্তু আপনি আমারনা।
যে আমার ছিলে সে দেবতা আজকে চলে গেছে।
নীড়: কিন্তু সেই দেবতার পূজার ফুল দেবতা স্বয়ং আমার হাতে দিয়ে গেছে।
মেরিন: আমি কোনো ফুল নই। আল্লাহ তা’আলার ১ম এবং শেষ ভুল। আমাকে আমার কাজ করতে দিন….. মরতে দিন…..
নীড়:না। দিবোনা। তোমাকে বাচতে হবে…..
মেরিন:🤣🤣🤣। বাচতে হবে? কারজন্য বাচবো? 😢😢। যার জন্য বেচে ছিলাম সে নেই। চলে গেছে। আমাকে ছেরে। তাই বাচার কারন নেই।
নীড়: বাচার কারন নেই??
মেরিন:না….
নীড়: তবে আমি কে? আমাকে না ভালোবাসো…… আমি কি বাচার কারন নই…..
মেরিন: নাহ…. আপনি আমার বাচার কারন না….. আপনি আমার ভালো থাকার কারন…… আপনি আমার নিঃশ্বাস নেয়ার কারন……
আমার প্রয়োজন…..
আমারে চোখের নেশা….
আমার মনের খোরাক…..
এর আগে আমি দুর্বল হয়ে যাই আপনি চলে যান।
নীড়: কোথাও যাবোনা আমি। তুমি সাথে যাবে আমার।
মেরিন: কেন যাবো? কেন যাবো আমি? আমার দাদুভাই নেই….. যার কোলে পরম নিশ্চিন্তে মাথা রেখে ঘুমাতাম….. দিতে পারবেন সে কোল?? আপনার বুকেতো জোর করে মাথা রেখে ঘুমাতে হয়।
ঘুম না এলে দাদুভাই গল্প বলতো…..মাথায় হাত বুলিয়ে দিতো। পারবেন সেই ভরসার সেই স্নেহের হাত ফিরিয়ে দিতে….. আপনার কাছে আমি আবর্জা॥ আমাকে স্পর্শ করতেও আপনার ঘৃণা করে……
সারা পৃথিবীতে কেবলমাত্র আমার দাদুভাই আমাকে ভালোবাসতো….. পারবেন কখনো ভালোবাসতে?? পারবেন না। আপনি কেন কেউ পারবেনা মেরিনকে কখনো ভালোবাসতে। কারন মেরিন হলো ঘৃণারমেরিন……
🤣🤣🤣….. ঘৃণার মেরিন মরে গেলে কারো কিছু যাবে আসবেনা…….. কারো গলার কাটা, কারো চোখের কাটা, কারো পথের কাটা দুর হবে…..
যান যান যান চলে যান চলে যান…… যান তো যান। যান যান…
নীড়:…..
মেরিন: যাবেন না তো…… বেশ।
মেরিন নিজের gunটা বের করে নিজের মাথায় ঠেকালো…..
নীড়: মেরিন….
মেরিন:আপনি না গেলে আমি এখনই নিজেকে shoot করে দিবো।
নীড়:এই না…. নামাও gun….
মেরিন: না….. আপনি যান।
নীড়: আচ্ছা বেশ আমি চলে যাবো। কিন্তু এরপরও তো তুমি নিজেকে শেষ করে দিবে….. তবে…
মেরিন: হ্যা দিবোই তো। নীড়: তাহলে আমার
চলে যাওয়ার কি লাভ হবে……
ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে বলতে নীড় খপ করে মেরিনের হাত ধরে ফেলল। gunটা এখন ২জনের হাতের মধ্যে।
মেরিন: ছেরে দিন নীড়…. ছারুন। আমি বাচতে চাইনা নীড়……
.
নীড় কোনো রকমে মেরিনের কাছ থেকে gun টা নিয়ে ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
নীড়: অনেক হইসে। আরনা। মরার খুব শখ তাইনা? কখনো কনিকা খানের জীবন বাচানোর জন্য জান দিতে বসছিলা…. কখনো আমাকে ভালোবাসার প্রমান দেয়ার জন্য জান দাও, কখনো দাদুভাইয়ের জন্য…… কেন এতো জান দেয়ার শখ কেন? যেই আমাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসো সেই আমার ১টা কথা কখনো শুনেছো। আমার কোনো কথার মুল্য আছে তোমার কাছে? নেই…. do you know that i m fed up with you….
জান দিবো জান দিবো। জান দেয়া মোবারক হোক। তবে আজকে জান দেয়ার আগে তুমি আমার জান দিতে দেখবা।
বলেই নীড় সেই gun টা তুলে নিজের মাথায় ঠেকালো।
নীড়:suicide মোবারক হোক।
বলেই নীড় just trigger টা press করবে তখনই মেরিন gunটা নিয়ে ছুরে মারলো। এরপর গাড়ি নিয়ে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর নীড় রুমে গিয়ে দেখলো মেরিন মেঝেতে বিছানা করে শুয়ে আছে।
নীড় মনে মনে: পাগলি।
নীড় মেরিনকে কোলে করে খাটে তুলে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
.
২দিনপর……
রাত ১টা……
মেরিন mini terrace এ দারিয়ে আছে। আজও ঝড়ো বাতাস বইছে। বাতাসে মেরিনের চুল উরছে। মেরিন চোখ বন্ধ করে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। তখন কেউ ওকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো। মেরিন কেপে উঠলো। সেই সাথে অবাক হলো। কারন এটা যে নীড়। আর এই প্রথম নীড় নিজে থেকে ওকে জরিয়ে ধরলো। তবুও মেরিন কোনো react করলোনা। নীড় মেরিনের ঘাড়ে মাথাটা রাখলো। এরপর মেরিনের হাত জরিয়ে আকাশমুখী করে
বলল: চোখ মেলে তাকাও। দেখো এই মেঘলা আকাশেও শুকতারাটার পাশে ১টা ঝলমলে তারা দেখা যাচ্ছে।
মেরিন দেখলো।
নীড়: জানো এটা কে???
মেরিন:……
নীড়: এটা দাদুভাই। এই ঘনকালো মেঘটাও শাহজাহান খানকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। যে কালো মেঘ সকল তারাকে ঢেকে দিয়েছে সে মেঘকে ছাপিয়ে গেছে দাদুভাই। কেন এমনটা হলো জানো??? কারন সে মেরিনের দাদুভাই।
মেরিন:……
নীড়: কি হলো । কথা বলো।
মেরিন:….
নীড়:its too much yaar.. ৩মাস হয়ে গেলো তুমি কথাই বলোনা আমার সাথে। not done…. যেই ২দিন বললা তাও কি বলার মতো…..
মেরিন:…..
নীড়:বুঝেছি….. থাপ্পর মেরেছি বলে আমার বউয়ের রাগ হয়েছে….. এই গালটাতে মেরেছি তাইনা….
দারাও আদর করে দিচ্ছি।
বলেই নীড় মেরিনের গালে kiss করে দিলো।
মেরিন:……
নীড়: কি হলো? বুঝেছি….. থাপ্পরটা খুব জোরে ছিলো…… ok.. তাহলে আরো এত্তোগুলা আদর দিতে হবে।
বলেই নীড় মেরিনের গালে একেরপর এক kiss দিয়েই যাচ্ছে। মেরিন বিরক্ত হয়ে নিজেকে নীড় থেকে ছারিয়ে চলে যেতে নিলেই নীড় টেনে মেরিনকে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো। আবার মেরিনের ঘাড়ে মাথা রাখলো।
.
নীড়: বিরক্ত হলে বুঝি…. oh my god…. তুমিও বুঝি আমার ওপর বিরক্ত হতে পারো??!!!😱😱😱। ভাবা যায়…… নাকি অন্য কিছু……
মেরিন:…….
নীড়: পালাতে চাইছো নিজের থেকে? দেখোনা কি সুন্দর ঝড়ো বাতাস বইছে। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। যেকোনো সময়ে বৃষ্টি পরবে। কি রোমান্টিক ১টা মুহুর্ত…. এটা কি অভিমান করার সময় ???
মেরিন:……
নীড়:সবাই তো জোছনা বিলাস করেই। কেউ কি অন্ধকার বিলাস করে…..
বৃষ্টিতে ভিজে? চলোনা আজকে আমরা করি……
বলেই নীড় মেরিনের ঘারে kiss করলো। মেরিন কেপে উঠলে। মেরিন নীড়ের হাতটা খামছে ধরলো। নীড় একেরপর এক kiss করেই যাচ্ছে। যা ধীরে ধীরে গভীর হচ্ছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও শুরু হলো।
মেরিন বহু কষ্টে নিজেকে ছারিয়ে নিলো। নীড় অবাক হলো। অবাক চোখে মেরিনকে দেখছে। জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।
মেরিন: আমাকে একদম করুনা দেখাতে আসবেন না। আপনার ঘৃণা স্বাদরে গ্রহন করেছি…… আপনার ঘৃণা আমি মাথায় করে রেখেছি। কিন্তু আপনার করুনা আমার জান নিয়ে নেবে। প্রতি পলকে পলকে আমাকে মেরে ফেলবে……
নীড়:…..
মেরিন:আপনার কাছে যেমনি আমার ভালোবাসার থেকে মৃত্যু যন্ত্রনা শান্তিময় তেমনি আমার কাছেও আপনার করুনার চেয়ে মৃত্যু যন্ত্রনা শান্তিদায়ক……
নীড়:……
মেরিন: আমি আপনার ঘৃণা নিয়ে সারাজীবন বাচতে পারবো…. করুনা নিয়ে ২দন্ডও বাচতে পারবোনা।
নীড়: …….
মেরিন: রুমে যান। বৃষ্টি পরছে। বৃষ্টিতে ভিজলে আপনার ঠান্ডা লেগে যাবে। জ্বর আসবে।
নীড় উল্টা পায়ে ধীরে ধীরে রুমে চলে গেলো। মেরিন railing ধরে কাদতে লাগলো।
.
৫মিনিটপর…….
নীড় ঝড়ের বেগে মেরিনের কাছে গিয়ে মেরিনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ওর ঠোট জোরা দখল করে নিলো। মেরিন চাইলেও নীড়ের ভালোবাসার এই অদৃশ্য ডাক উপেক্ষা করতে পারলো না। কারন মেরিন যে ভালোবাসার কাঙ্গাল। মেরিন ১টা নতুন জীবন পেলো। এতোদিন মেরিন নীড়ের ছিলো আজকে মেরিনও নীড়ের হয়ে গেলো। নীড়-মেরিন এক হয়ে গেলো। নীড় মেরিনকে নিজের করে নিলো।
(দেরিতে দেয়ার জন্য দুঃখিত। আসলে আমার mobile এর key board নষ্ট হয়েগিয়েছিলো। আর ১টা কথা। যাদের exam চলছে তারা পড়া বাদ দিয়ে please আমার গল্প পরবেন না। কারন আমার গল্পটা এই পেজে বা অন্য পেজে না আমার timeline এ পেয়ে যাবেন। কিন্তু exam specially board exam বারবার দেয়া যায়। study comes first…. )
চলবে……