ঘৃণার মেরিন part : 15

ঘৃণার মেরিন
part : 15
writer : Mohona

মেরিন হনহন করে চৌধুরী বাড়িতে ঢুকলো। নির্বন নিচে বসেছিলো। মেরিন বাড়িতে ঢুকেই নির্বনকে নিয়ে ওপরে গেলো। মেরিন রেগে আছে। তাই নির্বন কোন কথা বলছেনা। মেরিন ওদের ২জনের bag গুছাচ্ছে।
নির্বন: মামনি আমরা কোথায় যাচ্ছি??
মেরিন:…..
নির্বন: ও মামনি আমরা কোথায় যাচ্ছি?
মেরিন: কোলকাতা।
নির্বন: কেন? বাবা যাবেনা?
মেরিন: তুমি কি যাবেনা? বাবার কাছে থাকবে?
নির্বন: আমি কি বলেছি….
মেরিন: না তোমার তো আবার এখন বাবাই প্রিয় হয়ে গেছে। থাকো বাবার কাছে। আমি চলে যাচ্ছি।
নির্বন: না মামনি। আমি তোমাকে ছারা থাকতে পারবোনা।
মেরিন: মোটেও না। তুমি বাবার কাছেই থাকো।
নির্বন: না মামনি।
মেরিন: u hurt me today ….. তুমি তোমার বাবার plan মতো কাজ করেছো। জানো কতোটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম?
নির্বন: sorry… আর কখনো এমন হবেনা। আমি তোমার সাথেই যাবো। তোমার সাথেই থাকবো।
মেরিন: ভেবে বলছো?
নির্বন: হামম। 🥺🥺।
মেরিন: চলো তবে।
নির্বন: তুমি রাগ করে নেই তো আমার ওপর?
মেরিন: জানিনা। চলো এখন।

.

মেরিন নির্বনকে কোলে নিয়ে নিচে নেমে এলো। দেখলো নীড় পায়ের ওপর পা তুলে বসে বসে কফি খাচ্ছে। একদম relax mood এ আছে। আর বাকীরা আতংকে আছে। মেরিন ওর দিকে খেয়াল না করে দরজার দিকে পা বারালো। কিন্তু দরজা খুলতে গেলে বাজলো বিপত্তি। খুলছেনা। password দেয়া।
মেরিন: দরজার passwordটা বলুন mr. chowdhuri….😠😠😠…
নীড় জবাব না দিয়ে কফিই খেয়ে যাচ্ছে। যেন এটার থেকে জরুরী কোনো কাজই নেই পৃথিবীতে। মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে কফির মগটা নিয়ে ধপাস করে আছার মারলো।
মেরিন: দরজাটা খুলে দিন।
নীড়: কেন?
মেরিন: দরজা খুলতে বলেছি…..
নীড়: password না ভুলে গিয়েছি……. কাল সকালে মনে করে বলবো।

বলেই নীড় চলে যেতে নিলো। মেরিন নীড়ের কলার টেনে সামনে আনলো।
বলল: ভালোভাবে বলছি দরজা খুলে দিন। না হলে …..
নীড়: না হলে?🤨🤨🤨।
মেরিন: আমি….
নীড়: আমিও ভালোয় ভালোয় বলছি রুমে যাও। তুমি আমি যুদ্ধ করবো। খুব ভালো কথা। কিন্তু যা করবো যেভাবে করবো এই বাড়িতে থেকে। একসাথে থেকে।
মেরিন: মেরিন বন্যা সমানে সমানে লড়াই এ বিশ্বাসী।
নীড়: খান আর চৌধুরী সমান সমান ই।
মেরিন: কিন্তু না আমি খান আর না আমি চৌধুরী। আমি কেবল আর কেবল মেরিন বন্যা। নির্বনের মা। মেরিন কাল কেউটে সাপ। আপনার মতো দুই মুখো সাপ না। যে পেছন থেকে আঘাত করে। তাই আপনার সাথে আমার লড়াই কখনো হতেই পারেনা। আমার ছেলেকে নিয়ে আমি চলে যাবোই।
নীড়: নির্বন আমাদের ছেলে।
মেরিন: না। নির্বন শুধুই আমার ছেলে। যাই হোক দরজা খুলুন।
নীড়: পারলে খুলে নাও।
বলেই নীড় সিরি দিয়ে ওপরে উঠতে লাগলো। তখন কিছু ১টার আওয়াজ পেলো। নীড় ঘুরে দেখলো যে মেরিন ফুলের টবটা দিয়ে কাচের জানালাটা ভেঙে ফেলেছে।

.

মেরিন: মেরিনের রাস্তা আটকানোর ক্ষমতা আল্লাহ ছারা কারো নেই।
বলেই মেরিন নির্বনকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। বাইরে গার্ডরা আটকালো।
গার্ড: ম্যাম আপনি বাইরে যেতে পারবেন না।
মেরিন: new guards ? তাইজন্য আমাকে চেনোনা। m i right or m i right….. ভালোভাবে বলছি পথ ছারো। না হলে যে কলিজা ভরা সাহস দেখাচ্ছো সেই কলিজাটাই বের করে ফেলবো।
গার্ড: sorry mam…. আপনাকে যেতে দিতে পারবোনা।
মেরিন গার্ডের কাছ থেকে gun বের করে মাথায় ঠেকিয়ে
বলল: পথ ছারো। না হলে গুলি করে খুলি উরিয়ে দেবো।
তখনই নীড় পেছন থেকে এসে মেরিনকে কাধে তুলে গাড়িতে বসিয়ে কোথাও নিয়ে এলো।

.

মেরিন: আপনার সাহস কিভাবে হয়? আপনাকে তো আমি…..
নীড়: গুলি করে মারবে? এই নাও gun। shoot me….. ঘৃণার অবসান হয়ে যাবে।
মেরিন:……
নীড়: পারবেনা আমি জানি। কারন আমি যদি তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করেও দেই তবু তুমি এটা করতে পারবে না। তুমি কখনোই আমাকে আঘাত করতে পারবেনা।
মেরিন:😠😠😠।
নীড়: আর সাহস….. সাহস তোমার থেকে আমার একটু হলেও বেশি। কারন আমার মধ্যে খুন করার যোগ্যতা আছে। যা তোমার মাঝে নেই। আমি তোমার থেকেও বিষাক্ত।
মেরিন নীড়ের কথার মানে বুঝলোনা।

মেরিন: হয়ে গেছে আপনার বলা? নিজের কল্পনার রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসুন। আর মনে করার চেষ্টা করুন আমি আপনাকে কতো কতো আঘাত করেছি। আপনাকে আপনার ভালোবাসা থেকে দুরে করেছি…… আপনার life টাকে hell করে দিয়েছিলাম। আর…..

বলেই মেরিন নীড়ের হাত ধরে
বলল: আপনার এই হাতে লিখেদিয়েছিলা মে……
মেরিন নীড়ের হাতে তাকিয়ে দেখলো যে সেখানে #ঘৃণারমেরিনের জায়গায় #ভালোবাসারমেরিন লেখা।
মেরিন অবাক হয়ে গেলো।
নীড়: তুমি আমার ভালোবাসা ছিলে আছো থাকবে। মানুষ মাত্রই ভুল। তাই আমিও ভুল করেছি। আমার শ্রেষ্ঠ ভুল কি ছিলো জানো? আমি সেদিন রাতে তোমার সেই হাসির মানে বুঝিনি। যদি বুঝতাম….. যাই হোক। শেষ বারের মতো বলছি। চলো নতুন করে জীবন শুরু করি। আমরা ৩জন মিলে।
মেরিন: 🤣🤣🤣। জীবন? 🤣🤣🤣। আপনি তো ভালোমতোই জানেন যে মেরিন যা বলে তাই করে। আমি যখন বলেছি আমি চলে যাবো তখন যাবোই।
নীড়: ok… go…. নির্বন রেখে।
মেরিন: অমন ফালতু কাগজের টুকরা মেরিনের পথের বাধা হতে পারেনা। আমার ছেলেকে আমি তো নিয়ে যাবোই।
নীড়: পারবেনা। এই দেশ থেকে বের হতে গেলে তোমাকে আমার অনুমতি নিতে হবে।। আমার চোখের আড়াল হতে হলে তোমাকে আমার অনুমতি নিতে হবে। ভুলে যেওনা power is power …… money is money …. তুমি এখন যত power ই দেখাও আমার সাথে পারবেনা। কারন তুমি কাল কেউটে হলেও আমি দু মুখো সাপ। তুমি একবারে ১জনকেই ছোবল মারতে পারবে। আর আমি ২জনকে।
মেরিন: পানিকে হাতের মুঠোয় বন্দী করতে চাইছেন? পারবেন?
নীড়: জ্বলকে জ্বল নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। পদ্মা আর বহ্মপুত্রের জ্বল একসাথে মিশে গেলে যেমন আলাদা করা যায় না তেমনি বর্ষন আর বন্যা ক্ষেত্রেও। তুমি বন্যা but আমি বর্ষন। আমি নিজেকে তোমার রঙে রাঙিয়েছি। আমাকে হারাতে পারবেনা।
মেরিন:🤣🤣🤣। আপনি নিজে আমাকে আপনার পাতা ফাদ থেকে মুক্ত করবেন।

নীড়:😂😂🤣। good jokes……
মেরিন: its not joke mr. chowdhuri….. its my challenge …..
নীড়: ok… challenge accepted…… but you have only 1month…
মেরিন: good…. & its more than enough ….

নীড় মেরিনের সামনে গেলো। গিয়ে কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ওর মুখে আকিবুকি করতে করতে
বলল: হারার জন্য প্রস্তুত হও জান।
মেরিন নীড়ের হাটু বরাবর লাথি দিলো। এতে নীড় পিছে সরে গেলো।
মেরিন: don’t you dare to touch me again ….🤬🤬🤬… না হলে এই হাতটা আর…..
মেরিন আর বলতে পারলোনা। নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।

.

নীড় ছারতেই মেরিন নীড়কে থাপ্পর মারতে নিলো। কিন্তু নীড় হাতটা ধরে নিয়ে kiss করে দিলো।
নীড়: এই হাত কেবল আমাকে আদর করার জন্য।
বলেই নীড় মেরিনকে চোখ মারলো। পরে ২জন বাসায় ফিরলো। মেরিন যেতেই নির্বন মেরিনের কাছে ছুটে গেলো।
নির্বন: মামনি তুমি ঠিক আছে?
মেরিন: হামম। dinner করেছো?
নির্বন: না।
মেরিন: চলো dinner করে আমি আর তুমি।
নির্বন:আমরা কোলকাতা যাবোনা?
মেরিন: হ্যা যাবো তো। কিন্তু ১মাস পর। ভিসা problem হয়ে গেছে।
নির্বন: oh।
মেরিন: চলো বাবুই পাখি।
মেরিন নির্বনকে নিয়ে restaurant এ গেলো। নীড় না খেয়েই রইলো।

.

ঘুমানোর সময়…..
মেরিন নিচে বিছানা করছে। নীড় শুধু আর চোখে দেখছে। নির্বন brush করে এসে মায়ের বিছানায় গিয়ে বসলে।
নীড়: নির্বন….. ওখানে কেন? bed এ এসো।
নির্বন:……
নীড়: কি হলো আসো।
নির্বন: আমি আমার মামনির সাথে ঘুমাবো। আমার মামনির বুকে।
নীড়: কিন্তু আজকে তো বাবার বুকে ঘুমানোর পালা। কালকে মামনির বুকে… তাইনা?
নির্বন: আমি কেবল মামনির বুকেই ঘুমাবো। মামনি আমার না ভীষন ঘুম পাচ্ছে।
মেরিন: come baby…..
মেরিন নির্বনকে ঘুম পারালো। নির্বন ঘুমিয়ে গেলো।

.

নীড়: আমাদের ২জনের লড়াইয়ে বাচ্চাটাকে কেন টানছো? আমি তো ওকে তোমার থেকে আলাদা করার চেষ্টা করিনি।
মেরিন: না জেনে কথা বলবেন না। আমি আপনার মতো পেছন থেকে ছুরি মারিনা। আমি ওকে কিছুই বলিনি। আমি আপনার মতো না। আপনি তো ধোকা দিয়ে ওই contract paper এ sign নিয়েছেন।
নীড়:আরে আমিতো…..
মেরিন: পেছন থেকে ছুরি মারেন। আমি বিষাক্ত হতে পারি। কিন্তু আমি আমার ছেলের জীবনে বিষের ছিটে ফোটাও পরতে দেইনি। আর দিবোও না। আমি ওর জীবনে কোনো আক্রোশ রাখতে চাইনা। আমি চাই ও মন থেকে হাসুক। whatever …. i m sleepy…. তো আমি এখন ঘুমাবো। & আমি মনে করি যে আপনারও তারাতারি ঘুমানোর দরকার। tomorrow is a long day for you…….

নীড় আন্দাজ করতে পারছে যে কালকে কিছু ১টা হবে।

কিন্তু কি তা বুঝতে পারছেনা।
মেরিন: লাইট টা কি off হবে?
নীড় লাইট নিভিয়ে দিলো। তবে নীড়-মেরিন কারোর চোখেই ঘুম নেই। মেরিনের ঘুম না আসার কারন হলো গত ২মাস না চাইতেও ওকে নীড়ের বুকেই ঘুমাতে হয়েছে। আর তাই আজকে ঘুম আসছেনা। নীড়েরও ঠিক একই কারনে।

নীড় মনে মনে: অসম্ভব। এভাবে থাকতে পারবোনা ।
নীড় দুম করে উঠে মেরিনকে কোলে তুলে নিলো। আর মেরিনের বুকে থাকা নির্বনকে সহ।
মেরিন: আরে আরে আপনি কি করছেন? ছারুন আমাকে। নামান আমাকে।
নীড় কোনো জবাব না দিয়ে ওদেরকে বুকে নিয়ে শুয়ে পরলো। আর এমনভাবে মেরিনকে ধরে রাখলো যে মেরিন নরতে চরতে পারছেনা।
মেরিন: দেখুন ভালো হচ্ছেনা কিন্তু। ছারুন।
নীড়: দেখো আমি চাইনা প্রথাগত ভাবে তোমার মুখটা বন্ধ করতে। by at any chance নির্বন উঠে গেলে কি ভাববে বলো তো? আর কাল সকালে যা হবার তা দেখা যাবে। but now…. let me sleep ……
মেরিন: ছারুন নীড়। আমি কিন্তু আপনাকে……
নীড়: নাহ তুমি থামবে না।
নীড় মেরিনের মুখের দিকটা ওর বুকের সাথে ভীষন শক্ত করে চেপে ধরলো। যার জন্য মেরিন আর কথা বলতে পারলোনা। ১টা সময় ঘুমিয়ে পরলো।

.

সকালে……
মেরিনের ঘুম ভাঙলো দেখলো যে নীড় ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
নীড়: good morning honey ……
বলেই নীড় good morning kiss টা সেরে নিলো। তখন বাইরে চেচামেচির আওয়াজ পেলো।
নীড়: কিসের আওয়াজ?
মেরিন: a gift for you….. on behalf of me….

নীড় উঠে বাইরে গেলো।
মেরিন: আপনি আমার রাগ ফিরিয়ে অনেক ভুল করেছেন mr. chowdhuri….. আপনার মান সম্মান আমি ধুলোয় মিটিয়ে দিবো আমি। ঘৃণার মেরিনের ঘৃণা সবার জন্য দেখলেও আপনার জন্য দেখেননি। এখন আপনার জন্যও দেখবেন। হ্যা এটাও সত্য যে আমি আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু আমি কোনো কিছুর বিনিময়েই আমার নির্বনকে হারাতে পারবোনা।

.

নীড় বাইরে গিয়ে অবাক হয়ে গেলো। কারন মহিলা কল্যান সংস্থার মহিলার স্লোগান করতে করতে
এসেছে: নীড় চৌধুরী নীড় চৌধুরী হায় হায় হায় হায়….
তারা হাতে করে কালিও নিয়ে এসেছে। সেই সাথে press media free তে।
নীড়: আপনারা এখানে।
লিডার: আসতেই হয়। কোনো অসহায় মেয়ের সাথে , অসহায় মায়ের সাথে জুলুম হলে, ওঠাতেই হয়।
নীড়: অসহায় মেয়ে কে? আর অসহায় মা?
লিডার: মেরিন বন্যা। আমরা কোনো মায়ের সাথে এমন ধরনের অন্যায় হতে দিবোনা।
নীড় :কেমন ধরনের অন্যায়?
লিডার: মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে মিথ্যা আরোপ দিয়ে কেরে নেয়ার অন্যায়।
নীড়:তাই? ভালো। এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। আপনারা আসতে পারেন।
লিডার: ওই মেয়েটার পক্ষে কেউ নেই বলে এমনটা করতে সাহস পাচ্ছেন তো?
নীড়: যে টা মনে করেন। but now get out….
লিডার: না আমরা যাবোনা। আপনাদের মতো চরিত্রহীন লম্পটদের জন্যেই অসংখ্য মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়।
নিহাল: excuse me…. আমার ছেলেকে চরিত্রহীন লম্পট বলার সাহস কি করে হয়?
লিডার: যেভাবে আপনার ছেলের সাহস হয় ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়েদের সাথে ফুর্তি করতে….
নীড়: mind your language ……
লিডার: কষ্ট লাগলো শুনতে? বিয়ে বিয়ে খেলা আপনাদের কাছে স্বাভাবিক হলেও সব মেয়েদের কাছে নয়। এতোই যখন প্রেমলীলা…. তখন বিয়ে করেছিলেন কেন? পরে যখন মেয়েটা নিজের ছেলেটাকে নিয়ে বাচতে চাইলো তাও সহ্য হলোনা।
নীড়: আমি শেষ বারের মতো বলছি। আপনারা যাবেন কিনা?
লিডার: না যাবো না। মেরিন বন্যা কোথায় তাকে সবার সামনে আনুন। নাকি তাকে মেরে গুম করে দিয়েছেন?
মেরিন সকলের সামনে এলো।
লিডার: তুমি কোনো ভয় পাবেনা বোন। আমরা আছি।

এরপর লিডার এসে নীড়ের গালে কালি মাখিয়ে দিলো। press media নিয়ে চলে যেতে নিলো।
তখন নীড় বলল : stop….
আর সবাই থেমে গেলো। ওর দিকে ঘুরলো।
নীড়: আমি চরিত্রহীন লম্পট। বেশ ভালো কথা। লম্পট যখন সবার সামনেই একটু লম্পট গিরি করি…..

বলেই নিজের গাল দিয়ে মেরিনের গালটা ঘষে দিলো।
নীড়: এটা সবার কাছে কলঙ্কের কালিমা। কিন্তু আমার কাছে এটা আমাদের জন্য কালো টিকা…… যার জোরে আমাদের জুটি, আমাদের ভালোবাসা সকলের কালো নজর থেকে রক্ষা পাবে। নীড়-মেরিনের life story & love story ১টা open secret ….. শুরু থেকেই press media …. সব ছিলো। ভবিষৎেও থাকবে। ইনশাল্লাহ। কিন্তু কেউ যদি ভুলেও নীড়-মেরিনের সম্পর্কে নাক গলায়…..

নীড় নিজের gun টা বের করে
বলল: সে নীড় বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হবে।

.

.

বিকালে……
সেই মহিলা লিডার: আমাকে ক্ষমা করে দিন ম্যাডাম…… ছেরে দিন। ভুল হয়ে গেছে।
মেরিন: ভুল? তোর সাহস কিভাবে হয় আমার জামাইকে চরিত্রহীন লম্পট বলার???
লিডার: আপনিই তো এসব করতে বলেছিলেন।
মেরিন: হ্যা বলেছিলাম। কিন্তু চরিত্রহীন লম্পট বলতে বলিনি। এতো বড় কথা বলিস উনাকে তুই….. তোকে তো…..

.

৫দিনপর……
এই ৫দিনে মেরিন নীড়কে অনেক হেনস্তা করেছে। তার বিনিময়ে নীড় কেবল রোমান্টিক শাস্তি দিয়েছে। 🤗🤗🤗 ।

.

রাত ৩টা। হঠাৎ মেরিনের ঘুম ভেঙে গেলো। মেরিন ও অবাক হয়ে গেলো। কারন ও নীড়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলো কিন্তু এখানে তো নীড় নেই। সেই সাথে ওর বুকের ওপর নির্বন ঘুমাচ্ছিলো। কিন্তু নির্বনও নেই। মেরিন মনে করলো নীড় নির্বনকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। মেরিন গাড়ির চাবি নিতে গিয়ে দেখে যে বারান্দায় কাউকে দেখা যাচ্ছে। মেরিন বারান্দায় গেলো। গিয়ে দেখলো নীড় নির্বন বুকে নিয়ে rocking chare এ বসে আছে। আর অঝরে কান্না করছে। যা দেখে মেরিনের বুকটে মোচর দিয়ে উঠলো। মেরিনের পক্ষে নীড়ের কান্না দেখা সম্ভব না। তাই চলে আসতে নিলো। তখন নীড় ওকে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
নীড়: i m sorry…. আমি জানি তুমি আমার কান্না সহ্য করতে পারোনা। তবুও আজকে কান্না আটকাতে পারিনি। কিন্তু বিশ্বাস করো আমি তোমার কারনে কান্না করছিলাম না। আমি নির্বনের জন্য কাদছিলাম। জানো ও না আমার কাছে আসেনা….. আগের মতো বাবা বাবা বলে ডাকেনা…… খুব কম কথা বলে…… আমি জানি তুমি ওকে এমনটা করতে বলোনি। কিন্তু ওকে একটু বলেদিও না যেন আমার সাথে আগের মতো কথা বলে……

মেরিনও দেখেছে বিষয়টা। আর এ কারনে যে নির্বনের মনও খারাপ তাও দেখেছে।

.

পরদিন…..
নির্বন মায়ের সাথে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছে।
মেরিন: নির্বন…..
নির্বন: হ্যা মামনি……
মেরিন: মন খারাপ?
নির্বন: না মামনি।
মেরিন: মামনিকে কি মিথ্যা বলা যায়?
নির্বন: ……..
মেরিন: বাবার সাথে ়আগের মতো মিশোনা কেন?
নির্বন:…..
মেরিন: কি হলো? বলো। বাবা কি বকা দিয়েছে?
নির্বন: না না মামনি।
মেরিন: তাহলে?
নির্বন:……..
মেরিন:বলো……
নির্বন: আসলে মামনি আমি বাবাকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিন্তু তার থেকেও বেশি আমি তোমাকে ভালোবাসি। বাবাকে পেয়ে আমি over excited হয়ে গিয়েছিলাম। & i hurt you….. তাই…..
মেরিন: তাই বাবার সাথে আগের তো কথা হয়না। তাইতো?
নির্বন: হামম।
মেরিন: আর এই কারনেই মন খারাপা?
নির্বন:….. মামনি আমি তোমার মন খারাপ দেখতে পারবোনা। আর তোমাকে happy করার জন্যেই আমি বাবাকে support করছিলাম।
মেরিন নির্বনের কপালে চুমু দিয়ে
বলল: you are my happiness ….. আমি জানি আমার বাবাটা মামনিকে অনেক ভালোবাসে। এখন মামনি ১টা কথা বলতে চাই তোমাকে। যার সত্যি সত্যি জবাব তুমি আমাকে দিবে। ok?
নির্বন: হামম।
মেরিন: তুমি কি বাবার সাথে থাকতে চাও নাকি মামনির সাথে?
নির্বন: মানে মামনি?
মেরিন: দেখো বাবাই মামনি next month কোলকাতা back করবো। তো তুমি কি বাবার সাথে থাকবে নাকি মামনির সাথে যাবে?
নির্বন: তোমার সাথে যাবো।
মেরিন: মন থেকে বলো। আমি তোমাকে জোর করছিনা।
নির্বন: না মামনি। আমি মন থেকেই বলছি। i swear ….
মেরিন: ok…. তো আমরা এখানে যে কদিন আছি বাবার সাথে , সবার সাথে অনেক অনেক সময় কাটিয়ে যাও। মজা করে নাও। কারন কোলকাতা গেলে তো আর সবসময় ওদের সবাইকে পাবোনা। just vacation এ দেখা করতে পারবে।
নির্বন:…..
মেরিন: তোমার বাবা তোমাকে ভীষন ভালোবাসে…… কালকে রাতে তোমার জন্য কান্নাও করছিলো। আজকে বাসায় গিয়েই দৌড়ে বাবার কোলে উঠবে । হামম?
নির্বন: হামম।
মেরিন: good boy…. এখন বলো তুমি বাবার জন্য কি gift নিবে?
নির্বন: gift?
মেরিন: হামম sorry gift নিতে হবেনা?
নির্বন: হামম।
নির্বন বাবার জন্য ১টা মেডেল নিলো যাতে লেখা world best father …… বাসায় গিয়ে নির্বন দৌড়ে বাবার কোলে গেলো। বাবা-ছেলের খুশি দেখে মেরিন খুশি হলো।

মেরিন মনে মনে: আমি আমার ছেলেকে কোনো সুখ থেকে বঞ্চিত করবো না। আর না আমার ছেলেকে থাকতে পারবো। সময় কাটিয়ে নিন mr. chowdhuri ছেলের সাথে। আমার জন্য ভালোবাসা মিথ্যা হলেও ছেলের জন্য আশা করি সত্যিই হবে। আপনার চোখের পানি কখনো মেনে নিতে পারিনি……. আর পারবোও না। কারন আপনার জন্যেই আমি আমার নির্বনকে পেয়েছি।

{এবার আর নীড়-মেরিন আলাদা হবেনা। no worry …😞😞😞}

.

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here