গল্প:রঙহীন জীবনের রঙ,পর্ব ১২,১৩

গল্প:রঙহীন জীবনের রঙ,পর্ব ১২,১৩
লেখনীতে:স্বর্ণা সাহা (রাত)
পর্ব ১২

দিশানী বাড়ি ফিরতেই সুজাতা ওকে কথা শোনাতে আরম্ভ করে দিলো। দিশানীর ফিরতে ফিরতে প্রায় নয়টা সাড়ে নয়টা বেজে গেছে। বেশ অনেক্ষন কথা হয়েছে দিশানী আর নীলাদ্রির মধ্যে,একসাথে ডিনারও করেছে দুজন। দিশানী ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় সুজাতা দিশানী কে জিজ্ঞাসা করলো,
—এই যে মহারানী, কটা বাজে সে খেয়াল আছে? রাতের রান্নাটা কে করবে শুনি নাকি আজকে পুরো রাত টা আমাদের সকলকে পেটে গামছা বেঁধে কাটাতে হবে?

দিশানী শান্তগলায় সুজাতা কে বললো,
—সেকি মা, আপনারা রাতের রান্না করেননি?

সুজাতা মুখ বেঁকিয়ে বললো,,
—ঢং দেখে বাঁচিনা, বলি রাতের রান্না আমরা করতে যাবো কোন দুঃখে, রান্না তো প্রতিদিন তুমি করো, এখন আর কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি রাতের রান্না শুরু করো দেখি, কিছুক্ষনের মধ্যেই সবাই খেতে বসে পড়বে।

দিশানী মুচকি হেসে উত্তর দিলো,
—আপনারা পটের বিবি হয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন আর আমি বাইরে থেকে ফিরে রান্না করবো, সেটি তো হয়না মা।রান্না যখন বসানোই হয়নি তখন আজকে আর কষ্ট করে রান্না-বান্না কিছু করতে হবেনা, তাছাড়া আমি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি তাই আমার আর কোনো টেনশন নেই, এখন আপনারা আপনাদের জন্য কি করবেন সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

সুজাতা ভ্রু কুঁচকে বললো,,
—বাপ্ রে মুখের কি জোর দেখছি,শোনো বাপু তোমার খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আমাদের কিছু আসে যায় না,সে তুমি বাইরে থেকেই খেয়ে এসো নয়তো ভেতর থেকে, আমার কথা হচ্ছে তুমি আমাদের খাবার বানাও তুমিই খাবার বানাবে।

—আমি আপনার বাড়ির চাকর নই আর না আপনি আমার মনিব যে আপনার সব কথা আমাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।

—আমাদের খেয়ে আমাদের পড়ে এতো বড় বড় কথা আসে কোত্থেকে?

—শুধু শুধু এতদিন খাইয়েছেন নাকি? কাজ করিয়ে নিয়ে তার বদলে খাইয়েছেন,ও হ্যাঁ সাথে কুৎসিত ব্যবহার ফ্রি ছিলো।আরে দেখুন শুধু শুধু কথা বাড়ছে, কথা না বাড়িয়ে রান্নাঘরে যান, আমি ফ্রেশ হতে গেলাম।

—————–
খাবার টেবিলে সবাই বসে আছে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য কিন্তু ওদের টেবিলে কোনো খাবার নেই,দিশানী ঘর থেকে বের হয়ে জল খেতে এসে দেখে সবাই ওভাবে বসে আছে। দিশানী ওদের সামনেই জগ থেকে জল ঢেলে খেয়ে নিলো, তখনি নির্ঝর ওকে জিজ্ঞাসা করলো,
—আমরা কি আজ খালি পেটে থাকবো, খাবার কই?
—সেটা আমি কি করে জানবো?
—কেনো তোমার জানার কথা না এটা?
—না,এটা তোমার মা আর বোনের জানার কথা, কারণ আমি বাইরে গেছিলাম আমার দেরি হচ্ছে দেখে তো তাদের উচিত ছিলো রান্নাটা বসানো কিন্তু তারা দুজনের একজনও এই কাজটা করেনি, এখন না খেয়ে থাকো, কি আর করবে তাছাড়া?

নির্ঝর দিশানীর চুলের মুঠি ধরে বলতে লাগলো,,
—এই, তোর সাহস হয় কি করে আমার মা-বোন কে কাজ করতে বলার, আর রান্না তো প্রতিদিন তুই করিস তাহলে ওরা আজ কেনো করতে যাবে, তুই বাইরে থেকে খেয়ে আসবি সেজন্য কি আমাদের খালিপেটে থাকতে হবে?

দিশানী নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে নির্ঝরকে ধাক্কা দিলো।দিশানীর চোখ রক্তবর্ণ ধারণ করেছে, ও নির্ঝরের কলার টেনে ধরে বললো,,
—আমাকে দেখে কি কাজের লোক মনে হয় তোমাদের?যে আমি সবসময় তোমাদের ফায়ফরমাস খাটবো,কাজের লোকদের সাথেও বোধহয় কেউ এমন ব্যবহার করেনা যেরকম ব্যবহার তোমরা আমার সাথে করো,অনেক সহ্য করেছি তোমাদের অত্যাচার আর সহ্য করবো না, এই তিনমাস আমার কাছে একটা গোল্ডেন চান্স, এটাকে আমি অবশ্যই কাজে লাগাবো, তোমাদের এই তিনমাসে শিক্ষা দিয়ে দেবো, আর মিস্টার নির্ঝর আপনার কথা তো আমি ছেড়েই দিলাম, আপনি তো সবসময় মা-বোনের কথায় বসেন আর ওঠেন, নিজের বিবেক-বিবেচনা বলতে তো আপনার কিচ্ছুটি নেই, তাই আপনার সাথে কথা বলাই বৃথা।

এসব বলে দিশানী ওখান থেকে চলে গেলো। আর বাকি সবাই দিশানীর ব্যবহারে অবাক হয়ে গেলো, দিশানীর শশুরমশাই বললেন,,
—অবশেষে লেবু চিপতে চিপতে তেতো হয়েই গেলো।
কথাটা বলে তিনি ওখান থেকে উঠে গেলেন।

——————–
সকালবেলা,,
দিশানী রান্না ঘরে যেতেই সুজাতা আজকের রান্নার মেন্যু বলতে শুরু করে তখনি দিশানী সুজাতাকে থামিয়ে দিয়ে বলে,
—আমি এখন থেকে আমার ইচ্ছামতো রান্না করবো, আপনাদের অর্ডার অনুযায়ী রান্না করতে গেলে আমি নিজের জন্য একটুও সময় পাই না, আমার উচিত নিজেকে সময় দেওয়া।আর আপনি এখন একটা কাজ করুন, ঘরগুলো ময়লা হয়ে আছে গিয়ে পরিষ্কার করুন।

সুজাতা দিশানীর কথা শুনে অবাক হয়ে বললো,,
—আমি? আমি ঘর পরিষ্কার করবো?

—কেনো আপনি কি কানে শুনতে পাননা, আমি তো আপনাকে সেটাই বললাম। যান কাজগুলো চট করে, করে ফেলুন নাহলে কিন্তু আজকে ওই ঘর আর পরিষ্কার হবে না।

—আচ্ছা করছি।

—এইতো গুড গার্ল, যান।

সুজাতা ঘর পরিষ্কার করতে গেলো।

—————
অপরপাশ থেকে নিরা বৌদি বৌদি করে চিৎকার করছে।দিশানী নিরার ঘরে এসে জিজ্ঞাসা করলো,,
—কি হয়েছে তোমার এমন ষাঁড়ের মতো চেঁচাচ্ছ কেনো?
—কি? তুমি আমাকে ইনডাইরেক্টলি ষাঁড় বললে?
—আমি আবার এভাবে কখন বললাম আমি তো জাস্ট কথার কথা বলেছি, তুমি তো সত্যি সত্যিই নিজেকে ষাঁড় ভাবতে শুরু করে দিলে দেখছি।
—আচ্ছা বাদ দাও, আমার গ্রিন-টি কোথায়?
—আজকে আমি গ্রিন-টি বানাইনি।
—কেনো?তুমি জানো না আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্রিন-টি খাই।
—জানি তো, না জানার কি আছে।
—তাহলে বানাও নি কেনো?
—এই বাড়িতে একমাত্র তুমিই গ্রিন-টি খাও, তাছাড়া অন্য সবাই চা খায় শুধুমাত্র তোমার জন্য আলাদা করে আমি গ্রিন টি বানাতে পারবো না
— বানাতে পারবে না মানে তার মানে তুমি বলতে চাইছো আমি সকালে গ্রিন টি খাব না?

দিশানি মুচকি হেসে উত্তর দিলো,
“সে কি,তা কেন হতে যাবে গ্রিন টি খাবেনা কেন, অবশ্যই খাবে কিন্তু নিজে বানিয়ে খাবে”

নীরা অবাক হয়ে বলল,
—কি নিজে বানিয়ে খাবো!

—হ্যাঁ নিজে বানিয়ে খাবে।একটু তো স্বনির্ভর হও আর কত অন্যের ঘাড়ে বসে বসে খাবে?

নীরা দাঁতে দাঁত চেপে উত্তর দিল,
—কালকে ডক্টর নীলাদ্রির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে তাই না?নয়তো এত জোর তোমার মধ্যে আসার কথা না।উনার সাথে কি এতো কাজ তোমার?ওনার থেকে দূরে থাকবে,বুঝেছ?

দিশানী হাততালি দিয়ে বলল,
“থ্যাংক ইউ মনে করে দেয়ার জন্য!আসলে আমি ভুলে গেছিলাম ডক্টর নীলাদ্রি তোমাকে সাবধান করতে বলেছে, তুমি যেন ওর পেছনে না লাগো তাই।

নিরা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
“ডক্টর নীলাদ্রি সত্যি এই কথা বলেছে নাকি তুমি বানিয়ে বলছো?”

—বালাইষাট!বানিয়ে বলতে যাব কেন?উনি আমাকে যা বলতে বলেছে আমি তোমাকে তাই বলেছি।

চলবে

গল্প:রঙহীন জীবনের রঙ
পর্ব ১৩
লেখনীতে:স্বর্ণা সাহা (রাত)

সুজাতা ঘর পরিষ্কার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে,আসলে কোনো কাজ না করে সারাদিন বসে বসে খেলে যা হয় আরকি।ইনি নিজে কাজ না করলেও অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে বেশ পটু।

দিশানী নিরা কে কথাগুলো বলে আবার রান্নাঘরে চলে এলো।

নিরা সুজাতা কে খুঁজছে। সুজাতা কে কোথাও না পেয়ে রান্নাঘরে এসে দিশানী কে বললো,,
— বৌদি!মা কোথায়? মা কে দেখেছো?

—হুম, তোমার মা ঘর পরিষ্কার করছে।

নিরা অবাক হয়ে বললো,,
—মা ঘর পরিষ্কার করছে?

দিশানী উত্তর দিলো,
—হ্যাঁ গো করছে, আসলে আমিই করতে বলেছি।উনি যত কাজ করবেন, ততই সুস্থ থাকবেন। বরং কাজ না করলেই তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাবেন। তাই কাজ করতে বলেছি, ভালো করিনি বলো?

নিরা দাঁতে দাঁত চেপে উত্তর দিলো,,
—তুমি আবার কখনো খারাপ করতে পারো নাকি? ভালোই করেছো!

—বুঝেছো যখন তখন তুমিও নিজের কাজ নিজে করো, আমি জানি তুমি গ্রিন-টি বানিয়ে দেওয়ার জন্যই মাকে খুঁজছো। যেহেতু উনি কাজ করছেন তাই ওনাকে ডিস্টার্ব না করে নিজে বানিয়ে নাও। সামান্য গ্রিন-টিই তো এইটুকু বানানোর যোগ্যতাও তোমার নেই?

দিশানীর শেষ কথা টা নিরার ইগো তে লাগলো, তাই দিশানী কে বললো,,
—আমি নিজেই বানাচ্ছি আমার গ্রিন-টি, ওয়েট।

নিরা গিয়ে গ্রিন-টি বানালো, কাপে ঢেলে চুমুক দিতেই নিরার মুখটা দেখার মতো হয়ে গেলো। দিশানী জিজ্ঞেস করলো,,
—কিগো ননদিনী!গ্রিন-টির টেস্ট ভালো হয়নি বুঝি? খুব বেশি তেতো হয়ে গেছে, সমস্যা নেই, খেয়ে নাও। একদিন টেস্ট খারাপ হলে কিছু হয়না!খেয়ে নাও।

—————–
নিরা কোনোরকমে গ্রিন-টি শেষ করে কাপ রাখতে রান্নাঘরে এলো, তখনি দিশানী বললো,
—নিরা!বাথরুমে কাপড় রাখা আছে, চটপট করে গিয়ে কেচে ফেলো, যাও।

নিরা দিশানীর দিকে চমকে তাকিয়ে বললো,,
—আ-আমি? আমি কাপড় কাঁচবো, মানে সত্যিই আমি কাপড় ধোবো??

দিশানী যেনো নিরার এই কথায় প্রচুর আনন্দ পেলো,ও হেসে বললো,
—কেনো গো নিজেকে ধোয়ার প্ল্যান আছে নাকি? এই তোমার এরকম কোনো প্ল্যান থাকলে আমাকে বলতে পারো, আমি তোমাকে সাবান-জল ছাড়াই ধুয়ে দেবো, লাগলে বোলো কিন্তু!তোমার জন্য আমি আছি।

—হোয়াট ননসেন্স!আচ্ছা বৌদি তুমি আজ তোমার মধ্যে আছো? কি থেকে কি বলছো বলোতো?

—এতদিনই বরং আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না, আজই নিজের মধ্যে আছি তার জন্যই তো যার যার যে শিক্ষা প্রয়োজন, সেই শিক্ষাই দিচ্ছি।আর কথা বলে সময় নষ্ট কোরো না তো, যাও কাপড়গুলো ধুয়ে নিয়ে এসো।

—আমি পারবো না!

—দেখো একদম না করবে না বলে দিচ্ছি, যদি কাপড়গুলো না ধোও, তাহলে তোমাকে আজকে না খাইয়ে রাখবো, ভেবে দেখো না খেয়ে থাকবে নাকি? কালকে রাত্রেও কিন্তু কিচ্ছু খাওনি, না খেয়ে থাকতে হয়েছে কালকে, আজকেও কি সেটা চাও?

নিরা মনে মনে ভাবলো,,
“না না, এটা একদম করা যাবে না। সামান্য ক’টা কাপড়ই তো ধুয়ে দেই ”
নিরা একটু ভেবে উত্তর দিলো,
—আচ্ছা আমি কাপড় ধুয়ে দিচ্ছি, কোনো ব্যাপার না।

——————–
নির্ঝর সেই কখন থেকে দিশানী কে ডেকে চলেছে কিন্তু দিশানী রুমেই আসছে না, অনেক্ষন পর দিশানী রুমে এসে বললো,,
—কি হয়েছে, ডাকছো কেনো?

—ডাকছি কেনো বুঝতে পারছো না?আমার জামা-কাপড় বের করে রাখোনি কেনো,তুমি জানোনা আমি বের হবো?

দিশানী মুচকি হেসে বললো,,
—এই তিনমাসে না হয় অভ্যাস টা পাল্টে ফেলো,এই কয়দিন নিজে জামা-কাপড় বের করে নাও। তোমার নতুন বউ আসলে তারপর থেকে সেই তোমার সব কাজ করে দেবে।আলমারিতে সব গুছিয়ে রাখা আছে, যেটা ইচ্ছা হয় বের করে পড়ে ফেলো।রেডি হয়ে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসো।

দিশানী ঘর বের হতে নেবে, তখনি পেছন থেকে নির্ঝর দিশানীর হাত টেনে ধরলো, তারপর শান্ত কণ্ঠে ডাকলো,,
—দিশা!

দিশানী একপ্রকার চমকে নির্ঝরের দিকে তাকালো, কারণ আজ অনেক দিন পর নির্ঝর দিশানী কে দিশা বলে ডাকলো। দিশানী জড়ানো কণ্ঠে বললো,,
—ক্ কিছু বলবে?

নির্ঝর হাত ধরে টেনে দিশানীকে কাছে নিয়ে আসলো, তারপর বললো,,
—এরকম পাল্টে গেলে কেনো দিশা?

দিশানী নির্ঝরের চোখের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো,,

—আমি তো পাল্টাতে চাইনি নির্ঝর, তোমরাই তো আমাকে বাধ্য করলে পাল্টে যেতে। একটু ভালোবাসা চেয়েছিলাম তোমার কাছে, কিন্তু তুমি তো সেটাও দিলে না, ভালোবাসা তো দূরেই থাকলো আমি তো তোমার কাছে সম্মানটুকুও পেলাম না।

নির্ঝর দিশানীর দু-গালে হাত রেখে বললো,,
—কোনোদিনই কি সম্মান দেইনি তোমাকে?

—দিয়েছো, কিন্তু যখন আমার সম্মানের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিলো তখন দাওনি।

দিশানী কথাটা বলে নিজেকে নির্ঝরের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিলো তারপর বললো,,
—আরেকটা কথা নির্ঝর, এতোটা কাছে নিয়ে এসোনা আমায়, আমার এতোটা কাছে আসার অধিকার তুমি হারিয়ে ফেলেছো, আমাদের ডিভোর্স হতে চলেছে,এখন তোমার তোমার কাছে আসলে আমার পাপ হবে, আর আমি পাপের ভাগিদার হতে চাইনা। এখন তোমার ছোঁয়া আমার কাছে বিষের মতন।আমি চাইনা বিষের প্রভাবে শেষ হয়ে যেতে, এখনো অনেক লড়াই বাকি আছে।

কথাগুলো বলে দিশানী ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। আর নির্ঝর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের কাজে মনোযোগ দিলো।

——————-
দিশানী বাথরুমে গিয়ে দেখে নিরা কাপড় ধুচ্ছে। আর কিছুক্ষন পর পর নিজের হাত দেখছে, নিরার হাতগুলো জলের জন্য পুরো সাদা হয়ে গেছে,দিশানী নিরা কে বললো,,
—এই ক’টা তো কাপড়, তবুও ধুতে এতো সময় লাগছে তোমার? নিরা তোমার টাইম সেন্স বড্ড খারাপ, কতক্ষন সময় লাগাবে আর?

নিরা ক্লান্ত হয়ে বললো,,
—আর কিছুক্ষন, প্রায় হয়েই এসেছে।

দিশানী নিরাকে পিঞ্চ মেরে ফেললো,,
—তোমার কপালে দুঃখ আছে, শশুরবাড়িতে গিয়ে তোমাকে প্রচুর ভুগতে হবে দেখছি, কোনো কাজেরই ছিরি নেই তোমার। প্রচুর কষ্ট আছে তোমার কপালে, আসল কথা হচ্ছে প্রতিদান। অন্যকে কথা শুনিয়েছো, কষ্ট দিয়েছো তার প্রতিদান তোমাকে পেতে হবে তো তাইনা?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here