গল্প:কে ডেকেছিল-4,5,6

গল্প:কে ডেকেছিল-4,5,6
লেখক: Alauddin.
Part-4

৩ বন্ধু ভয়ানক ভাবে হাসতে থাকে।আঙুল দিয়ে পিছনের দিক দেখাতে থাকে। পিছনে ফিরতেই দেখে,তুলি,তুলির মা তার দিকে এগিয়ে আসছে………

তুলি এক চোখা, তুলির মার বড় বড় দাত, দাত দিয়ে বেয়ে বেয়ে রক্ত গরিয়ে পরছে।

সে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে, তুলি, তুলির মা সকলে মিলে মাংস খেয়ে নেয়।

রহস্যের বিষয় হচ্ছে যে মারা যায় সেই ভয়ানক আত্মা হয়ে যায় কেনো! আর কেনইবা মানুষ হত্যা করে।

তুলির দাদা একটা ভয়ানক আত্মাকে বন্ধি করে রাখে।আত্মাটা তুলির দাদাকে বলেছিল, আমাকে ছেড়ে দে নয়তো আমি তোর পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলব।কিন্তু তুলির দাদা ভয় না পেয়ে সেই ভয়ানক আত্মাকে বন্ধি করে রাখে।এখন অনেক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও আত্মাটা প্রতিশোদ নিতে আসে।এই ভয়ানক আত্মাটা কি ভাবে যেনো ছাড়া পেয়ে যায়।

তুলি আর তার মা কে মেরে, ভয়ানক আত্মাতে পরিনত করে ফেলে।যাতে করে আরো অনেক বেশি মানুষ মারতে পারে।সেই ভয়ানক আত্মাটা মানুষকে সহ্য করতে পারে না।তুলিদের বাড়িতে যে মারা যাবে সেই ভয়ানক আত্মা হয়ে যাবে।

এই বাড়িতে আরো অনেক মানুষ আসে আর মারা যায়।তুলি আর বাকি আত্মা গুলো এখন মানুষ খাওয়ার নতুন উপায় খুজে পেয়েছে।তুলি আর কিছু মেয়ে ভুতের আত্মা রাতে বিভিন্ন যায়গায় যায়, আত্মারা তাদের শরীরের লোভ দেখিয়ে ছেলে দের নিয়ে আসে আর মাংস খুবলে খেয়ে নেয়।

অনেক দিন পর সেই ভয়ানক আত্মাটা আবার আসে আর বাকি সব আত্মাদের এক সাথে এনে দাড়া করায়। ভয়ানক আত্মাটা সব আত্মা গুলোকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যায় আর মানুষ খুন করে।

পুলিশ,সি.আই.ডি দের রাতের ঘুম যেন হারাম হয়ে যাওয়ার অবস্থা।এতো এতো মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু কে মারছে কোনো হদিস নেই। সি.সি.টিভি তেও ধরা পরছে না।সব মানুষেরই রক্ত, মাংস,আর কলিজা খেয়ে নেওয়া হতো।

এই ভাবেই কাটতে থাকে। আর মানুষ মরতে থাকে,কিন্তু কেও কিছু করতে পারে না। এইবার পুলিশ ভিন্ন প্রদক্ষেপ নেয়।একটা তান্ত্রিক, যে কালো যাদু করে তাকে নিয়ে আসে।কিন্তু কোনো লাভ হয় নি।তান্ত্রিক কে আরো বেশি খারাপ ভাবে মেরে ফেলা হয়।কলিজা বের করে নেওয়া হয়,মাথা থেকে মগজ বের করে নেওয়া হয়।চামরা আর হাড্ডি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় নি।

কিন্তু হঠাৎ করেই মানুষ কে আর মারে না।এখন আর এই ভয়ানক ঘটনা ঘটে না।তুলিদের বাড়ির পাশ দিয়ে গেলেও কিছু হয় না। সব সাভাবিক হয়ে যায়। এখন আসে পাশে মানুষও থাকে।তুলিদের বাড়িতে কেও যায়না তা ছাড়া সবই সাভাবিক।

কিন্তু সমস্যটা তৈরি করে তুলির চাচা, তার চাচা ফ্রান্স থেকে এসে তুলিদের বাড়ি যেতে চায়।এলাকাবাসি তার চাচাকে সব বল্লেও তার চাচা হেসে উড়িয়ে দেয়। তুলির বাবা তুলি ছোট থাকতে মারা যাওয়ার, তুলির চাচা এসেছে তার ভাই এর যায়গা দখল করার জন্য। সে কারো কথা না শুনে সেই বাড়িতে যায়। সব ধুলো জমে আছে। তুলির কাকা কিছু মানুষ দিয়ে এই বাড়িটা পরিস্কার করায়।সব ঠিকই ছিলো কিন্তু বিপত্তি গঠলো রাতে।

চলবে….

গল্প:কে ডেকেছিল।(৫)
লেখক:Alauddin.

তুলির কাকা কিছু মানুষ দিয়ে এই বাড়িটা পরিস্কার করায়।সব ঠিকই ছিলো কিন্তু বিপত্তি গঠলো রাতে। তুলির চাচা রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যার। সে দরজার সামনে গিয়া দাড়াতেই দেখে তার বিছানায় একটা মেয়ে বসে আছে। তুলির চাচা কঠিন গলায় বল্লো কেরে ওখানে,আমাদের বাড়িতে ডুকার সাহস কি করে হয় তোর। কিন্তু মেয়েটি কোনো কথা বলছে না।তুলির চাচা অনেক রেগে যায়। তুলির চাচা বিছানার কাছে এগিয়ে যেতেই দেখে তুলি বসে আছে।

ওহ তোরা আসলে মরিস নি,আমি যেনো ভয়ে এই বাড়িতে না আসি তাই লোক ঠিক করে রেখেছিলি। বলতে বলতে পিছনে তাকাতেই দেখে তুলির মা।তুলির চাচা আরো রেগে যায়,আর বলতে থেকে এই সব সম্পত্তি আমার, তোরা যতোই মরার নাটক কর আর যাই কর কিছুই তোরা পাবি না।

তুলির কাকা আরো কিছু বলতে যাবে, তুলি মুখের থেকে চুল সরায়। তুলির চাচা দেখে হাসতে লাগলো আর বলতে লাগলো,হা হা হা কি ভেবেছিস একটা ভুতুরে মুখোশ পড়লেই আমি ভয় পেয়ে যাবো। এই সব ফ্রান্সে অনেক পাওয়া যায়, আমাকে বলতি আরো ভয়ানক কিছু এনে দিলাম।

তুলির চাচার যেন সবই নাটক মনে হচ্ছে। পাশের রুমেই অনেক ভয়ানক আওয়াজ হতে থাকে,তুলির চাচা বলতে থাকে সবই তোদের নাটক এই সব আওয়াজ করার জন্য লোক ভারা করে রেখেছিস।

তুলির মা পেছন থেকে এসে তুলির চাচার কানের কিছুটা নিচে বড় বড় নখ বিদিয়ে দেয়। তুলি গিয়ে বুকের মধ্যে হাত ডুকিয়ে কলিজাটা বের করে খেতে থাকে। বাকি আত্মা গুলো এসে রক্ত শুসে খেতে থাকে। শরীরের চামড়া উঠিয়ে নেয়।তুলির কাকাকে খাওয়া শেষ হলে সব আত্মা গুলো চিৎকার করতে থাকে।

এলাকার সবাই এই আওয়াজ শুনতে পায়। এলাকার সকল মানুষ ভয়ে এলাকা থেকে পালাতে থাকে। আত্মা গুলো আবারও যেগে উঠে। তুলিদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূড়েই কবরস্থান, সেই কবর থেকে মানুষ তুলে আত্মা গুলো খায়।

এই দিক দিয়ে গাড়ি চলাচল সাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো।রাতে কোনো গাড়ি গেলেই সেটার উপর আত্মারা আক্রমন চালাতো।

চলবে,,

,গল্প:কে ডেকেছিল
পর্বঃ (৬)
লেখক: Alauddin.

সেই কবর থেকে মানুষ তুলে আত্মা গুলো খায়।

এই দিক দিয়ে গাড়ি চলাচল সাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো।রাতে কোনো গাড়ি গেলেই সেটার উপর আত্মারা আক্রমন চালাতো।

আত্মারা আরো ভয়ানক হতে থাকে।যেই আত্মাটা তুলিদের মেরে আত্মা বানিয়েছিলো সে আবারও ফিরে এসেছে।এতোদিন মানুষ না মারার কারন হচ্ছে, আত্মাটা তুলিদের এই বাড়িতে বন্দি করে দিয়ে যায়। যতক্ষন না কেও এই বাড়ির দরজা খুলবে ততক্ষন তুলিরা কোনো মানুষের উপর আক্রমন করতে পারবে না।

এতোদিন এই ভয়ানক আত্মাটা আরো একটা বাড়ির সকল মানুষকে মেরে খারাপ আত্মা বানিয়ে আসে। এই আত্মাটা যতো মানুষ খুন করে কলিজা খাবে তার শক্তি ততো বেশি বাড়তে থাকবে।

তুলির চাচার কোনো খোজ না পাওয়ার কারণে তার স্ত্রি ও ২ ছেলে ফ্রান্স থেকে এই দেশে চলে আসে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করে যে তার বাবা মিসিং। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে তুলিদের বাড়িতে সে নিখোজ হয়েছে। তুলিদের এলাকায় যারা ছিলো তারা না করছিলো তুলির চাচার মতো যেনো তারাও সে ভুল না করে।তাইলে কেও বেঁচে ফিরবে না।

কিন্তু তুলির চাচার দুই ছেলে তা বিস্যাস করলো না। তারা কিছু পুলিশ নিয়ে তুলিদের বাড়িতে যায় তার বাবাকে খুজতে। তবে পুলিশ অনেকটাই ভরকে যায়, পুলিশেরা নিজেরাও জানতো যে এই বাড়িতে খারাপ আত্মা আছে। কিন্তু বেশি টাকার লোভ দেখানোতে তারা রাজি হয়ে যায়।

তুলিদের বাড়িতে গিয়ে দরজার সামনে দারাতেই দরজা খুলে যায়। ভেতরে গিয়ে দেখে তাদের বাবা বসে আছে। দুইজনই তার বাবার কাছে যায় আর বলতে থাকে, পাপ্পা তুমাকে ফোন করেছি কোনো খবর পাই নি, এলাকায়ও তেমন মানুষ পাই নি,যাদের পেয়েছি তারা বলছে তুমি মরে গিয়েছো।

তুলির চাচা কিছু বলার আগেই পুলিশরা বল্লো পেয়ে যেহেতো গেছেনই আমরা তা হলে চলে যাই। এই বলে পুলিশ গুলো চলে গেলো। পুলিশ দের কপাল ভালো রাতে আসে নি, তাহলে আর বাড়ি ফেরা হতো না।

তার দুই ছেলে গিয়ে তাদের মা কে নিয়ে আসে এই বাড়িতে।আজকের রাত টা থেকে কালকে সকালে সবাই ফ্রান্সে চলে যাবে। তুলির মা আর তুলি মিলে অনেক আপ্যায়ন করে তাদের। তুলির মা আর সব আত্মারা মিলে অপেক্ষা করছে কখন রাত হবে। আর কখন কাঁচা মাংস খেতে পারবে।

রাত হয়ে গিয়েছে। সবাই মিলে গল্প শেষে তুলির চাচা আর তার স্ত্রি এক রুমে, আর তারা দুই ভাই এক রুমে ঘুমানোর জন্য চলে যায়।

রাত ২ টার সময় তুলির চাচা তার স্ত্রিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে, আর বলে চলো আমরা বাড়ির ছাদে যাই। তার স্ত্রি রাজি না হলেও অনেক রিকুয়েস্ট কারণে রাজি হয়ে যায়।

তারা ছাদে চলে যায়, তিনি আগে হাটছেন আর তার স্ত্রি পেছন পেছন। তার স্ত্রি একটা সাইডে গিয়ে দাড়াতেই দেখতে পায় তুলি আর তুলির মা মিলে তার দুই ছেলেকে ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে।

কি ভয়ানক ভাবে খাচ্ছে……তা দেখেই তিনি সাথে সাথে স্ট্রুক করে ফেলেন। তাকেও সবাই ছিড়ে খেয়ে ফেলে।

আত্মাদের দিন ঘনিয়ে আসছে, কেননা এক কালোজাদু করা একটা লোক, ভয়ানক আত্মাটাকে ধরতে সব ব্যাবস্থা করে ফেলেছে….

next part coming soon……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here