গল্প:অপ্রকাশিত ভালোবাসা,পর্ব:৫+৬
লেখা: আইরিন সুলতানা
পর্ব: ৫
হিয়া একটা ক্লাসরুমের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পরে….
In classroom……..
নিল: তুমি তান্না কলো তেনো । ( তুমি কান্না করো কেনো ) একটা মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলল।
মেয়েটি: আমাল আম্মু তই তলে গেতে। আমি বালি দাবো। ( আমার আম্মু কই চলে গেছে আমি বাড়ি যাবো )
নিল: তুমি তান্না তলো না তোমাল আম্মু তলে আতবে। ( তুমি কান্না করো না তোমার আম্মু চলে আসবে )
মেয়েটি: আত্তা তান্না তলথি না আল। ( আচ্ছা কান্না করছি না আর )
নিল: তোমাল নাম তি। ( তোমার নাম কি) মেয়েটির চোখ মুছে দিয়ে।
মেয়েটি: মেঘলা।
নিল: আত্তা মেদলা ততলেত থাবা। ( আচ্ছা মেঘলা চকলেট খাবা)
মেঘলা: তত্তি আমাতে ততলেত দিবা তুমি। ( সত্যি আমাকে চকলেট দিবা তুমি)
নিল: হুম এই নাও ততলেত তুমি ইত্তু আর আমি এই ইত্তু বাতিতা আমাল পলিল দন্য তেমন। ( চকলেট তুমি একটু আর আমি একটু বাকিটা আমার পরীর জন্য কেমন।)
তখনি হিয়া ক্লাসরুমে প্রবেশ করে…….
হিয়া: নিল বাবু (নিল পেছনে তাকায়)
নিল: পলিইইই। আমাতে তোলে নাও নইলে তথা বলবো না। ( হিয়ার কাছে এসে গাল ফুলিয়ে)
হিয়া: কেউ তো আমাকে ভালোবাসেনা নতুন বন্ধু পেয়ে আমাকে ভুলেই গেছে। ( নিল কে কোলে নিয়ে )
নিল: না তে তোমাকে ভুলে দেথে আমি তোমাতে এতো গুলা লাভু তরিনা বলো। ( হিয়ার গালে টুক করে একটা চুমু খায়।) ততো লাভু তরি তোমাতে আমি।
হিয়া: হুম আমিও তো অনেক লাভ করি তোমাকে। তোমার নতুন বন্ধুর সাথে কথা বলিয়ে দিবেনা আমাকে।
নিল: তলো আমাকে মেদলার তাছে নিয়ে তলো।
নিল: মেধ মেধ এই হত্তে আমাল পলি যাল তথা তোমাকে বলেচি।
হিয়া: মেঘলা তোমার মন খারাপ কেনো হুম।
মেঘলা: আমাল আম্মু তে পাই না।
হিয়া: তোমার আম্মু একটু পরেই চলে আসবে এখন তোমরা দুজন খেলো আমি স্কুল যাই কেমন।
নিল& মেঘলা: আত্তা বায় বায়। ( হাত নাড়িয়ে )
হিয়া: বায় বায়।
হিয়া স্কুল চলে যায়। স্কুলের সামনে যেতেই সে তার বন্ধুদের পেয়ে যায়…
হিয়া: ঐ বান্দরনিরা দাড়া ।
নিলা: কোন দিক থেকে বান্দরনি লাগে আমাদের। ( কোমড়ে হাত দিয়ে)
হিয়া: সব দিক থেকেই। এখন চল মেরি বেহেন।
শান্তা: হিয়া চল না আজ ক্লাস না করে ঘুরে আসি ভাল্লাগছেনা ক্লাস করতে।
ইরা: দেখ আগে পড়াশোনা পরে ঘুরা ঘুরি তাই সোজা ক্লাসরুমে চল বলছি।
হিয়া: আরে ইয়ার ইরা আমার মনটাও খারাপ আজ চল না নদির পারে যাই।
ইরা: আচ্ছা চল।
তারপর সবাই মিলে নদির পারে যায়।………
হিয়া: যাই বলিস এই যায়গাটায় আসলে মন টা ভরে যায় আমার। ইচ্ছে করে প্রকৃতিতে ডুবে যাই। দেখ সূর্য টা ঠিক নদী টার উপরে। ঠান্ডা আবওহাওয়া ইচ্ছে করে ডান মেলে উড়ে বেরাই আকাশে।
ইরা: হুম যায়গাটায় আমাদের কতো সৃতি আছে বল তো। শান্তা মনে আছে তোর পা কেটে গিয়েছিল এখানে এসে রক্ত দেখে হিয়ার সে কি কান্না। আর নিলা তুর সাহেব কে এখানেই আমি আর হিয়া মিলে পিটিয়েছিলাম। 😁😁
নিলা: থাক আর মনে করাস না মনে উঠলে পেট ফাটা হাসি আসে বেচারার যা হাল করেছিলি। 😂😂
শান্তা: হুম😂😂। হিয়া কই গেলো 😰😰 হিয়া কই তুই । ( এদিক ওদিক খুজে )
হিয়া: আমাকে ডাকছিলি নাকি। ( পেছন থেকে )
নিলা: জানিস ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি না বলে কোথায় যাস বলতো 😭😭 ( কান্না করে)
হিয়া: আরে কান্না কররছিস কেনো আমি একটু পানির কাছে গিয়েছিলাম। ( নিলার চোখের পানি মুছে )
ইরা: জানিস ই তো আমাদের চিন্তা হয় তোকে নিয়ে তাও কেনো এরকম করিস বল। ( জরিয়ে ধরে)
শান্তা: আমাকে কেউ বন্ধু ভাবে না😞😞
হিয়া: লাথি খাবি নাকি আসবি। ( শান্তা কে জরিয়ে ধরে) তোদের ছাড়া কি আমিও ভালো থাকবো বল।
ইরা: উহু। আচ্ছা চল বাসায় যাই অনেকক্ষন হলো এখানে এসেছি।
শান্তা: হুম চল যাই।
তারপর ওরা ৪ জন বাসায় যাওয়ার জন্য নদী থেকে চলে আসে। হিয়া বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে যায়…..
হিয়া: মামনি খিদে পেয়েছে আমার জন্য কিছু রেখেছ নাকি তোমার দানব ছেলেকেই সব খায়িয়ে শেষ করেছো।
মামনি: আবার কি হয়েছে তোদের সারাক্ষন লেগে থাকিস। একটু সময় মিলে মিশে কাটাতে পারিস না।
হিয়া: না পারিনা তুমি বলো তোমার ছেলে আমাকে রাগায় কেনো।
মামনি: জানিনা বাবা থাক তুই খাওয়া শেষ কর।
চলবে………
গল্প: অপ্রকাশিত ভালোবাসা
লেখা: আইরিন সুলতানা
পর্ব: ৬
মামনি: হ্যা সারাক্ষন ঝগড়া করবে আর মারামারি এভাবে তো চলবে না হিয়া। 😞😞
হিয়া: আমাকে না বলে তোমার বাদর ছেলেকে বলো না সেই তো আমাকে রাগিয়ে দেয় আমি কি করবো। 😜😜
মামনি: আচ্ছা আজ আসলে কাল মলে দিবো এবার খেয়ে রুমে গিয়ে ঘুমাও গিয়ে। রাতে পরতে হবে তো । 😊😊
হিয়া: মামনি তোমার ফোন টা দাও না Mr. Faisu এর নিউ টিক টক দেখি আমি একটু। 😍😍 অল্প একটু দেখেই ঘুমিয়ে পরবো প্রমিস। 😊😊
মামনি: টেবিলে আছে নিয়ে যেয়ো।
হিয়া: love you মামনি। ( জরিয়ে ধরে )
মামনি: হুম যাও রুমে যাও।
হিয়া রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ টিক টক দেখে ঘুমিয়ে পরে……
কিছুক্ষণ পর…….
রায়হান: মা ওমা কই তুমি।
মামনি: চেচিয়ে বাড়ি মাথায় তুলছিস কেনো। কি হয়েছে। ( চোখ পাকিয়ে )
রায়হান: বড্ড খিদে পেয়েছে আমার একটু কিছু খেতে দাও তো। খেলতে যেতে হবে আবার আজকে খেলা আছে।
মামনি: একটু সময় পেলেই খেলা নিয়ে পরে থাকে ছেলেটা। রায় বাসায় থাকলে তুর কি সমস্যা হয় রে সারাদিন বাহিরেই থাকিস।
রায়হান: উফ মা থামবে তুমি। আমি কি মেয়ে যে বাসায় বসে থাকবো। ( বিরক্তি নিয়ে )
মামনি: আমি কিছু বললেই ভুল থাক তোরা বাপ ছেলে তোদের মতো। 😡😡
মি. শরিফ: মা ছেলের ঝগড়ার মাঝে আমাকে টানো কেনো। 😰😰
মামনি: বাপের থেকেই তো গুন গুলা পেয়েছে। 😒😒 দুজনে খাবার খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন। 😒😒
খাবার খেয়ে রায়হান মাঠে যায় খেলতে। সন্ধায় বাসায় এসে হিয়ার রুমে যায়…….
রায়হান: হিয়া কি করিস।
হিয়া: পরতেছি ভাইয়ু । ইস বাহির থেকে এসেই আমার রুমে চলে এসেছ নিজের দিকে তাকিয়ে দেখো ঘামে ভিজে কি অবস্থা হয়েছে তোমার। ( ওড়না দিয়ে রায়হানের ঘাম মুছে দেয়)
রায়হান: চল রাতে ছাদে আড্ডা দিবো আজ। অনেক দিন রাতে আড্ডা দেই না আমরা। 😊
হিয়া: আচ্ছা এখন রুমে গিয়ে আরাম করো। আমি পরাটা শেষ করি আগে।
রায়হান: হুম।
রাতে হিয়ার মাথা ব্যাথার কারনে আর ছাদে আড্ডা দেয়া হয় না ওদের। ডিনার করে যে যার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে………
In morning………
মামনি হিয়াকে ডাকতে হিয়ার রুমে যায়……
মামনি: হিয়া এই হিয়া উঠ অনেক বেলা হয়েছে মা।
হিয়া: ————————
মামনি: উঠবিনা তো দাড়া পানি আনতেছি কিন্তু আমি।
হিয়া: ____________
মামনি: পানি এনে হিয়ার উপর ছারে।
হিয়া: বৃষ্টি পরে কিভাবে ছাদ কি ফুটো হয়ে গেলো ( মনে মনে) মামনি তোমার বাড়ির ছাদ ফুটো হয়ে গেছে গো। ( চিল্লিয়ে) একি তোমার হাতে পানির গ্লাস কেনো তার মানে তুমি আমাকে ভিজিয়েছ। 😰😰
মামনি: হ্যা। এতো ঘুম কই পাস তুই কতোক্ষন থেকে ডাকছি জানিস। যা ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে আয়। 😁😁
হিয়া: হু। 😒😒
In breakfast table………
হিয়া: শুভ সকাল মামু।
মি. শরিফ: শুভ সকাল হিয়া মা। ঘুম কেমন হলো।
হিয়া: অনেক ভালো ।
রায়হান: স্কুল জাবিনা।
হিয়া: হুম যাবো তো।
রায়হান: আচ্ছা খেয়ে নিচে আয় আমি অপেক্ষা করছি।
হিয়া: ওকে।
রায়হান হিয়াকে স্কুলে দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যায়।
স্কুল ছুটির পর………
রায়হান হিয়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসে দেখে😡😡😡😡……….
চলবে……