গল্পঃ বউ এর প্যারা,পর্বঃ ৮ শেষ
লেখকঃ রোহান
অফিস করে বাসায় আসতেই আম্মু বললো রিমঝিম নাকি কিছু খাইনি বাবার বাসায় গিয়ে,আমাকে নাকি যেতে বলছে শাশুরি আম্মা।।
আম্মুর সাথে কথা বলে রুমে আসলাম,এসে ফ্রেস হয়ে রেডি হচ্ছি।।
তখনই ফোন দেই রিমঝিম,,,
আমিঃ হুম বলো,,
রিমঝিমঃ কি করো,সারাদিন তো ফোন দাও নি
আমিঃ ফ্রেস হলাম,
রিমঝিমঃ সারাদিন গেলো বাবুর খুজ নেওনি কেনও হা।।
আমিঃ সময় পাইনি,যানো তো অফিসে কতো কাজ পরে আছে,সব কাজ শেষ করলাম,,
রিমঝিমঃ ভালো করছো,এখন বাবুর আম্মু বাবুর আব্বুকে দেখবে,,
আমিঃ ভিডিও কল করলেই তো হয়,,,
রিমঝিমঃ না,এখনই আসবে।
আমিঃ যাচ্ছি,,
রিমঝিমঃ শুনো,,
আমিঃ বলতে হবে না,,এখন ফোন কাটো,,
আসলে রিমঝিম প্রচুর আইসক্রিম খাই,আর সে যখন প্রেগনেন্ট ছিলো,তখন তো খাইতে পারেনি বাবুর জন্য,এখন খাই,অনেক মানা করছি বাবুর শরীর খারাপ করবে,কিন্তু সে বলে আমি আছি কি করতে,,
যাই এখন,না হলে আবার কি করবে আল্লাহ যানে,,
আমিঃ এতো সময় লাগে দড়জা খুলতে,অনেকক্ষন থেকে দাড়ায়ে আছি,,
শালীঃ কে আপনে,
আমিঃ মানে,,,,,
শালীঃ ও মনে পরছে,,আপনেই সেই হতভাগা তাই না,,
আমিঃ হুম….
শালীঃ আজ হয়তো আপনে গেছেন
আমিঃ কেনও,,
উত্তর না দিয়েই দৌড় দিলো,,পিছন থেকে অনেক ডাক দিলাম,কিন্তু আমাকে টাইমই দিলো না।।
দেরি না করে ভিতরে গেলাম
আমিঃ কি করছে আমার বাবুটা,,
রিমঝিমঃ কাকে বলছো,,
আমিঃ আমার মেয়েকে।।।
রিমঝিমঃ না,এটা শুধু আমার মেয়ে,,
আমিঃ বললেই হলো নাকি,এটা আমাদের মেয়ে,,
রিমঝিমঃ তাহলে থাকো তোমার মেয়েকে নিয়ে আমি গেলাম,
বলেই হাতে থাকা আইসক্রিম নিয়ে দৌড়,,
কপালে এমন বউ যার থাকবে সে যাই হোক উঠতে বসতে প্যারাই থাকবে এটা আমি শিউর,,
দেখি পাগলিটা কি করছে,তাই মেয়েকে নিয়ে ডইংরুমে গেলাম,গিয়ে দেখি শালী আর শালীর পাজি বোন মারামারি লাগছে,,
আমিঃ এই এই কি শুরু করছো তোমরা,
শালীঃ ভাইয়া এই আইসক্রিম কার জন্য আসছেন বলেন তো(হাপাতে হাপাতে)
আমিঃ কথা না বলতেই
রিমঝিমঃ বলো বলো,কার জন্য আনছো বলো।।
আমিঃ আচ্ছা বলছি দাড়াও,,
বলে মেয়েকে রিমঝিমের কাছে দিলাম,দিয়ে আইসক্রিম হাতে নিলাম,তাদের চোখ বন্ধ করতে বলেই মারলাম ভো দৌড়,এক দৌড়ে বাসার ছাদে,এখানে কেউ আসবে না এই সন্ধায়,আর আমার মনে হয় তারাও দেখেনি আমি এখানে আসছি,,
মনের সুখে সব আইসক্রিম খালাম,খাওয়ার পরে নিচে আসতেই দেখি দু বোনে বাঘিনীর মতো চেহাড়া করে দাড়ায়ে আছে,মনে হয় আমাকে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে,,
আমিঃ কিছু হয়ছে কি,,
রিমঝিমঃ না সোনা,এখন হবে।।
আমিঃ মানে
রিমঝিমঃ কিছু না চান্দু,এবার দেখবে কেমন হয়।।
বলেই রিমঝিমদের দিক থেকে আলু,পটল, বেগুন এসব নিক্ষেপ শুরু হলো,,,,,আর শালী সে গুলো আগায়ে দিচ্ছে,,
হঠাৎ শাশুরি আম্মা এসে আমাকে বাচালো,আল্লাহ এমন বউ ঘরে ঘরে দেও,সবাই বলো আমিন
এমন করেই রিমঝিম এর সাথে দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার দিন যাচ্ছিলো,কত অভিমান কত হাঁসি কাঁন্না দুংখ,,
সব শেষে ভালোবাসা,এখন আমার জীবন রিমঝিম ছাড়া কিছুই বুঝে না,রিমঝিমও আমাকে কিছুই বুঝে না,কিন্তু মাঝে মাঝে বেশিই অবাগ হয় মেয়েকে দেখে,ঠিক মায়ের মতো হয়ছে,কিছু ভুল করলেই শুধু মারবে আমাকে,এখন কথাও বলতে পারে আমাদের মেয়ে,মেয়েটির নাম রাখছি জান্নাতুন ফেরদৌস, তবে ডাক নাম রাখছি মামুনি,,
রিমঝিমঃ রোহান
আমিঃ হা বলো,
রিমঝিমঃ আমার একটা ছেলে চাই,
আমিঃ তাই
রিমঝিমঃ হা।।
আমিঃ আচ্ছা চলো শুরু করি তাহলে,
এখন মেয়েটির বয়স ৬ বছর,আমরা আবার সন্তান নেওয়ার প্যান করছি,যানিনা এই সন্তান কার মতো হবে,মা মেয়ে তো আমার জীবন শেষ করে খাচ্ছে,আবার যদি মায়ের মতোই হয়,তাহলে তো আমাকে পাগলা গাড়দে রেখে আসবে আমি সিউর,
আপনেরা আমার জন্য দোয়া করবেন,
সমাপ্ত