গল্পঃ ডেভিল বার্ড,পর্বঃ_৩ ( শেষ)

গল্পঃ_ডেভিল_বার্ড,পর্বঃ_৩ ( শেষ)
লেখাঃ_IH_Abid

এন্ড্রু সাহেব বলল
— হ্যা হ্যা একেবারে সংক্ষেপে মুল কথা বলে শেষ করবো। আমি একটা নতুন কাজের উদ্দেশ্যে শহরের বাইরে যাই কিছু দিনের জন্য৷ ফিরে এসে দেখি আমার পরিবারের ৭ জন খুন হয় আমার চোখের আড়ালে। আমিই জানতাম না। একে একে রহস্য জনকভাবে।
প্রথম আমার ছেলে এডি,, তার লাশ পাওয়া যায় দেহের অর্ধেক ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ভাবে, চেহারাটা একেবারে খুবলে খাওয়া। চেনার উপায়ই নাই। কোমর থেকে নিচের অংশ আর খুজে পাওয়াই যায় নি।
দ্বিতীয় আমার স্ত্রী, তার পেটের পাকস্থলীর নালী আমার উঠানের বড় বট গাছটায় পেচানো ছিলো। মাথাটা খুজে পায়নি তবে খুলির হাড়ের সাথে সামান্য মগজ আটকে লাগানো ছিলো। দেহের অন্যান্য টুকরা গাছের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কাটা হাতের আংগুলের আংটি দেখে বুঝা যায় যে আমার স্ত্রী লিমা।
আমার বৃদ্ধ মা রোজার্ন। বুড়ি মানুষের হাড়গোড় পেয়েছিলাম পাশের পুকুরে৷ মাথাটা এক কোনায় ভেশে ছিলো৷ চোখের কোটর খালি ছিলো ।
আমার বড় ভাই রোগান,, তার এক পা পেয়েছিলাম উঠানের উত্তর দিকে অপর পা পেয়েছিলাম বাগানের মধ্যখানে৷ দেহের আর কোন অংগ খুজে পাইনি।
আমার দুই ভাতিজা হ্যারি আর গ্যারি৷ তাদের মাথা, দুই হাত দুই পা আর পেটের নাড়িভুড়ি ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।
আমার বড় ভাবি ন্যানি। তার মাথার চুল স্ক্যাল্পের চামড়াসহ ছেড়া উঠানে পরে ছিলো। আর চিবানো হাড়ে নাড়িভুড়ি পেচানো ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি।
এই মোট ৭ জন ।
এন্ড্রু সাহেবের কথা শুনে হগ সাহেবের কপাল দিয়ে ঘাম ছুটতে লাগলো৷ যদিও সে নিজেও একজন প্রফেশনাল কিলার। ততক্ষনাত ভাবলো বুড়া হয়তো আবল তাবল গল্প বলছে। ধ্যাত এই কেচ্ছাকাহিনী শুনতে ভাল লাগেনা। এন্ড্রু সাহেব আবার বলা শুরু করলো।
— আমার চোখের সামনে এই বিভতস দৃশ্য দেখে আমি পুরাপুরি নিজের সজ্ঞান হারাই৷ মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে যাই৷ আমি স্বপ্ন দেখি এক বিরাট দানব৷ যার মাথা পাখির, বাকানো ঠোট, শরীর পেশিবহুল মানুষের, বিরাট ডানা৷ এক এক করে আমার পরিবারের সদস্যদের খুবলে খুবলে খাচ্ছে৷ তারা একেকজন আর্তচিৎকার করছে৷ চোখের সামনে আমি এক একটা দৃশ্য দেখলাম৷ একেবারে খুন গুলো দেখলাম। আমি প্রচন্ডরকম হাপিয়ে যাই৷ ঘুম থেকে উঠতেই আমি চোখ খুলে দেখি৷ আমার খাটের কাছে টিয়া পাখিটা বসে আছে৷ আমি আতংকগ্রস্থভাবে তাকালাম। কিন্তু পাখিটা আমার কাছে কেমন যেন লাগলো৷ আমি পাখিটার কথা ভুলেই গেছিলাম৷ পাখিটা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে এরপর একাই কোথায় যেন উড়ে গেলো । আমি কাপা কাপা অন্তর নিয়ে ভাবতে থাকি কি করা যায়৷ পরক্ষনই আমার জনের কথা মনে পরে৷ এই অবস্থা থেকে আমাকে জনই উত্তলোন করতে পারে৷ ওই আমাকে সমাধান দিতে পারবে৷ আমি সকাল হতে না হতেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরি ওর কাছে যাওয়ার জন্য।
আমি ওর সাথে দেখা করি৷ ও তার চোখ বন্ধ করে বলল যে যে অনেক বিশাল সমস্যা, সমাধান অনেক কঠিন। অনেক বিপদ। সে আমাকে ধৈর্য ধরতে বলে।
সেদিন রাতেই আমি তাকে আমার বাড়ি নিয়ে আসি। সে তার কাজ শুরু করবে। আমার হল রুমে সে তার সব জিনিস রাখল। মেঝেতে খুলি, পাথর আরো নানান জিনিস রাখলো৷ একটা নকশা বানালো৷ তারপর তারমাঝে সে বিরবির করে তন্ত্রমন্ত্র বলতে লাগলো। একসময় খেয়াল করলাম আমার পুরা ঘর কাপছে। জনের চেহারায় চিন্তার ভাজ৷ নাক দিয়ে রক্ত পরছে৷ আমি ভয় পেয়ে গেলাম। একটু পর দেখি সেই টিয়া পাখিটা উড়ে আসল হল রুমে। উপর দিয়ে উড়াউড়ি করছে। এবার আমি প্রচন্ড আতর্কিত হলাম কারন পাখিটা বিকট আওয়াজ করছে। এমন আওয়াজ কোন জন্তু জানোয়ারকেও হার মানাবে৷ এরপর যা ঘটল আমি দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না৷ সেই পাখিটা আমার চোখের সামনে বড় হতে লাগলো৷ এভাবে বিরাট একটা দানবে পরিনত হলো৷ ঠিক আমি আমার স্বপ্নে যেমন দেখেছিলাম একেবারে অবিকল ওরকম৷ পুরা দেহের রং সবুজ, মাথাটা পাখির, ঠোটটা বাকানো৷ দেহ পেশিবহুল মানুষের মত, পিঠে বিশাল ঝাপটানো ডানা৷ জন চোখ খুলল।
— বল কে তুই? কি জন্য এসেছিস?
দানবটা বলল
— আমি রাজা রুফটস৷
— তুই এখানে কি জন্য এসেছিস?
— হা হা হা৷ আমার রাজত্ব আমি আমি আবার বানাবো। আবার আমি রাজত্ব করবো। এই পাখিদেহ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন দেহ পাবো৷
— আমি তোকে শেষ করে দিবো। তুই ওর পরিবারকে কেন মেরেছিস?
— মারি নাই। খেয়েছি৷ আমি যত মানব আহার করবো। তত বেশি শক্তিশালী হবো৷ এভাবে আমি মানবদেহ ফিরে পাবো। আমার সকল ক্ষমতা ফিরে পাবো৷ আমার রাজত্ব আমি তৈরি করবো৷ হা হা৷ ।
— দেখ তুই চলে যা৷ তুই এখন আর কিছুই করতে পারবি না৷
এই বলে জন মন্ত্র পরে একটা অগ্নিবান নিক্ষেপ করলো রুফটসের দিকে৷ বানটা রুফটসের শরীরে লেগে ছিটকে পরে যায়৷ একটু পর হা হা করে হাসতে হাসতে দাড়িয়ে যায় সে। জন কিছু বুঝে উঠার আগেই সে হঠাত শুন্যে ভাসা শুরু করলো৷ জন চিতকার করছে৷ রুফটস বলল
— তোর চাইতে বড় জাদুকর আমি ছিলাম। আমার সৈন্যদল সকলে জাদুকর ছিল৷ তুইতো তাদের সামনে সামান্য শিশু মাত্র। আমি আমার আত্মার ব্যাবস্থার এই পাখির ভেতর করে যাই। যার ফলে ৫০০ বছর পরও এই পাখি জীবিত থাকে যদিও আমার দেহ পচে গলে যায়। এত বড়মাপের যাদুকর ছিলাম৷ আমার রাজ্যের লোকজন আমাকে স্বৈরাচারী যাদুকর রাজা রুফটস নামে চিনতো৷ আমি আমার রাজ্যের প্রজাদের শাস্তি দিতাম মাথা থেতলে দেয়ার৷ তাই তোকেও আজ সেই শাস্তিই দিবো ভাবছি৷
এই বলে রুফটস সজোরে জনকে শুন্য থেকে জনকে হল রুমের মেঝেতে আছরে দেয়৷ এত জোরে আছাড় দেয় যে জনের মাথাটা এক নিমেষেই থেতলে যায়। সাথে আমার মেঝেও ভেংগে যায়৷
জনের দেহটা উল্টাভাবে গেথে রইলো মেঝেতে৷ এভাবে শুন্যে তুলে তুলে তীব্র বেগে আরো ১৫/১৬ টা আছাড় দিলো৷ আমার মেঝে পুরা দফারফা হয়ে গেলো রক্তের দাগে৷ জনের নিথর দেহে একটা আস্ত হাড়ও অবশিষ্ট নাই৷ সব ঝুরঝুর হয়ে গেছে।
এরপর দানবটা জনের দেহ এক নিমেষেই আমার সামনে ছিড়ে ছিড়ে খেলো৷ আমি ভয়ে পুরা জমে গেছি। আমার স্নায়ু কোন কাজ করছে না৷ আমি উঠে পালাব নাকি চিতকার করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছি না৷
দানবটা আমার সামনে এসে বলে
— এই যে ডক্টর ,, আপনার মাধ্যমে আমি মুক্ত হয়েছি তাই আপনাকে কিচ্ছু করছিনা। কিন্তু যদি আমার কাজে কোন ব্যাঘাত করেন তাহলে তার পরিনতি ভাল হবে না৷ যা দেখলেন তার মতই আপনার পরিনতি হবে। চললাম ।
এই বলে রুফটস মানে দানবটা ছোট হয়ে পাখি হয়ে কোথায় যেন চলে যায়৷
এভাবে এত বছর কেটে যাচ্ছে৷ সে মানুষ খেয়েই যাচ্ছে নানান জায়গায়৷ আমি কিচ্ছু করতে পারছি না৷ মানবজাতিকে বাচাতে হলে একেমরতে হবে। কিন্তু একে মারা কোন সাধারণ কাজ না৷ তাই আপনাকে ডাকা৷
এই বলে এন্ড্রু তার সব কথা শেষ করলো৷ হগের হাসি পাচ্ছে। বিশেষ করে এই শেষের ঘটনা শুনে৷ পাখি রাজা ছিলো৷ সে দানব হয়৷ হাউ ফানি৷ আজকের যুগে এসব গল্প বাচ্চারাও শুনে না৷ বুড়া মানুষ মাথা পুরাটা গেছে। এতক্ষন রুপকথার কেচ্ছা কাহিনি তাকে শুনালো। এই কেচ্ছা কাহিনি শোনার জন্য এতক্ষন বসে ছিলো অনর্থক । আসলে ঘটনা শুনতে চাওয়াই তার বড় ভুল ছিলো৷ এরকম আরও অনেক আবল তাবল গালিগালাজ করলো এন্ড্রু কে৷
— তো মিস্টার এন্ড্রু আমি চললাম৷ এই পাখিটাকে আমি নিয়ে গেলাম৷
হগ পাখিটাকে খাচা সহ নিয়ে চলে গেলো৷ এন্ড্রু সাহেব তাকিয়ে দেখলো হগ সাহেবের যাওয়া৷ হগ সাহেব গাড়ির পিছনের সিটে পাখিটাকে রাখলো৷ হগ সাহেব গাড়ি নিয়ে চলে গেলো৷
হগ সাহেব গাড়ি চালাচ্ছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। মনে মনে ভাবছে আজকের দিনটাই মাটি৷ তবে যাক একটা পাখি পালার জন্য পেলো। এই ভেবে সে পিছনে তাকালো৷ তাকিয়ে অবাক৷ পাখি নাই খাচা ভাংগা৷ একটা বিশাল মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। গাড়ি সেখানে থামালো৷ হগ বের হলো। পিছনের দরজা খুলতে নিবে এসময় প্রচন্ড ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পরে গেলো। দরজাটাও ভেংগে গেলো৷ ভেতর থেকে পাখিটা উড়ে বের হলো। হগ সাহেব কিছু বুঝে উঠার আগেই টিয়া পাখিটা তার দানব রুপ ধারন করলো। সবুজ দেহ, পাখির মাথা, পেশিবহুল দেহ, বিশাল ডানা
হগ পিস্তল বের করে ততক্ষনাত গুলি করলো৷ গুলি চোখে গিয়ে লাগলো৷ এরপর আরেকটা গুলি করলো সেটা গিয়ে লাগলো মাথায়৷ দানব পাখিটা চিতকার দিয়ে লুটিয়ে পড়লো। হগ তারাতাড়ি গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে টান দিলো৷ তার কপাল দিয়ে ঘাম পড়ছে। তার মানে বৃদ্ধ এতক্ষন যা বলছিলো সব সত্য৷ এভাবে হঠাত খেয়াল করল গাড়ি শুন্যে ভেসে ভেসে চলছে। কিছু বুঝার আগেই গাড়িটা আরো উপরে উঠতে লাগল। হগ মাথা বের করে উপরে তাকিয়ে দেখে। বিশাল দানবকার পাখিটা তার গাড়ি ধরে উড়াচ্ছে। হগ চিতকার করতে লাগলো৷ সারাজীবন মানুষের প্রান নেয়া সিরিয়াল কিলার নিজের প্রান ভিক্ষা চাচ্ছে৷ এসময় দানবটা গাড়ি ছেড়ে দিলো। গাড়ি সজোরে রাস্তায় আছড়ে পরলো। গাড়ি হগ প্রচন্ড আঘাত পেলো৷ হগ সামলানোর আগেই টের পেলো গাড়ি আবার শুন্যে উঠা শুরু করেছে। হগ চিতকার দিলো। গাড়ি আবার আছড়ে পড়লো৷ এভাবে গাড়ি উঠাচ্ছে আর আছাড় দিছে। হগ ভেতরে প্রান ভিক্ষা চাইছে। ১০ বার আছাড় দেয়ার মাথায় গাড়িটা বিস্ফোরণ হয়ে গেলো। হগ গাড়ি থেকে আধপোড়া দেহ নিয়ে ছিটকে পড়লো৷ হগ রাস্তায় পরে তরপাচ্ছে। হামাগুড়ি দিয়ে পালানোর চেস্টা করছে৷ দেখে পিছনে দানবটা দাড়িয়ে আছে৷ সে শেষবারের মত চেস্টা করলো। পিস্তলেটা বের করলো৷ তবে এবার আর দানবটাকে গুলি করলো না৷ পিস্তলটা নিজের বুকে ঠেকিয়ে ট্রিগার চাপ দিলো৷ গুলি এফড়ওফর হয়ে বের হয়ে গেলো। টলিয়ে পরে গেলো হগ। দানবের হাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে মরার চাইতে সে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো।
দানবটা তার পায়ের নখরের সাথে হগের লাশটা আটকে নিলো। এরপর তাকে বিরাট ডানা মেলে নিয়ে উড়াশুরু করলো। এন্ড্রুর বাড়ি এসে হগের লাশটা ছুরে মারে। গর্জন করে বলে
— এন্ড্রু কোথায় তুই?
কিন্তু দেখে এন্ড্রু নাই। সে এদিক ওদিক খোজা শুরু করে। এরপর তার খেয়াল হলো এন্ড্রুর ল্যাবের কথা। সে বিরাট ডানা মেলে উড়ে গেলো ল্যাবটাতে৷ বহুদিনের বন্ধ ল্যাবটার দরজা খোলা। রুফটস তথা ডেভিল বার্ডের চেহারা আতংকিত হয়ে গেলো কারন সেখানেই রয়েছে তার ধ্বংস। এতটা বছর সে এন্ড্রুকে ল্যাবের কাছে যেতে দেয় নি।
সে ল্যাবে ঢুকে দেখলো এন্ড্রু হাসি মুখে বসা। তার সামনে কফিনটা। যে কফিন থেকে সে বের হয়েছিলো। এন্ড্রু বলল
— রাজা রুফটস তোর যাওয়ার সময় এসেগেছে। খুব বাটপারি দেখালি এতদিন । এবার ফিরে যা৷ আমি জানতাম যে হগ তোর কাছে বাচবে না। আমিতো শুধু তোকে দুরে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে শুধু সময়ের ব্যাবস্থা করছি এই ল্যাব পর্যন্ত আসার৷ আমি জানতাম যে হগের মত একজন কিলার অনর্থক তোকে মারার জন্য গুলি নস্ট করবেনা। বরং তোকে সাথে নিয়ে যাবে। আর মাঝপথে তুই ওকে মেরে দিবি। আর আমি এরমধ্যে ল্যাবে এসে এই কফিন বের করবো৷ যা এতবছর তুই আমাকে করতে দিসনি৷
ব্যাটা আমরা বুড়া হই ঠিকই কিন্তু ব্রেইন সবসময় ধারালো থাকে৷ তুই যেদিন জনকে মেরেছিলি, সেদিন জনের ব্যাগ থেকে একটা কাগজ পাই। কাগজে লিখা ছিলো –” প্রিয় বন্ধু এন্ড্রু৷ আমি জানি তোমার সমস্যা৷ আমি হয়তো ওই দানবের সাথে মোকাবেলা করতে পারবো না৷ যদি আমি মারা যাই, তাহলে তুমি সেই কফিন দানবটার সামনে খুললেই সেটা একাএকা টেনে কফিনে ঢুকে যাবে। তারপর কফিন বন্ধ করে সেটায় আগুন লাগিয়ে দিও৷ ওটা একেবারে শেষ হয়ে যাবে৷ ”
এই বলে এন্ড্রু কফিনের পিছনের স্ক্রু দুটা জোড়া লাগায়। কফিনের ঢাকনাটা খুলে যায়৷ কফিনের ভেতর থেকে হলুদ আলো বের হতে থাকে৷ সেই আলো রুফটসকে কফিনের ভেতর টানতে থাকে। রুফটস চিতকার করে বলছে
— না এ হতে পারেনা। এন্ড্রু আমাকে ছেড়ে দে। না,, আমার এত বছরের সাধনা৷ এন্ড্রু আমাকে ছেড়ে দে৷ বাকি জীবনের জন্য তোর গোলাম হয়ে যাবো৷
বিকট চিতকার দিয়ে রুফটস কফিনে ঢুকে গেলো। । এন্ড্রু স্ক্রু দুটা আলাদা করে দিতেই কফিনের ঢাকনাটা বন্ধ হয়ে গেলো। ঢাকনা সিল হয়ে গেলো।
এভাবে শেষ হয়ে গেলো রাজা রুফটস তথা দানব পাখিটা৷
এন্ড্রু হুইলচেয়ার করে ল্যাব থেকে বের হয়ে একটা নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান নিলো৷ এরপর হাতের রিমোট কন্ট্রোরালের বাটন চাপ দিলো৷ এক নিমেষেই পুরা ল্যাব বিস্ফোরণ হয়ে গেলো। অবশেষে তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলল ডক্টর এন্ড্রু৷ অবশেষে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হলো৷
..
(সমাপ্ত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here