#নাম: এলাকার বড় আপু
#পার্ট: ৩
#লেখক:Osman
👉যাইহোক দিনটা কেটে গেলো। পরেরদিন মানে আজকে ভার্সিটি যাচ্ছি। রাস্তায় এক কোনায় বেঞ্চে দেখি বসে বসে সিগারেট টানছে। শরীরে শীতের কাপড় নেই। আমি ওভারটেক করে চলে যাচ্ছি আমাকে ডাক দিলো। আমি কাছে গেলাম গিয়ে সালাম দিলাম।
বড়: ওয়ালাইকুমুস সালাম।
আমি: কিছু বলবেন।
বড় আপু: তুই আমার সম্পর্কে সাজিদকে কি উল্টাপাল্টা জিজ্ঞেস করছত!
আমি: উল্টাপাল্টা না আপু। আমি শুধু জিজ্ঞেস করছিলাম আপনি কি করে এতো সম্মানিতো হলেন।
👉বললাম ভয়ে ভয়ে
বড় আপু: এসব জেনে তর কি লাভ?
আমি: এলাকায় থাকি বড় আপুদের সম্পর্কে কিছু জানতে হয় না।
বড় আপু: আর কিছু জিজ্ঞাসা করছ নাই?
আমি: হুম।
বড় আপু: আর কি জিজ্ঞেস করছত? (মুখে দোষটুমির হাসি)
আমি: আপনি বিয়ে করেছেন কিনা?
বড় আপু: এসব জেনে কি লাভ? বিয়ে করবি আমাকে?
আমি: না।
বড় আপু: তা তো করবিওই না কারন আমি বুইড়া তথা তো খুজস কচি মেয়ে (বলল অভীমানি শুরে)
আমি: হুম।
বড় আপু: নেধর সিগারেট খা।
আমি: না।
বড় আপু: ভাব ধরস ? সাজিদের সাথে খাস নাই।
আমি: হুম।
বড় আপু: এখন খাঁ আমারটা।
আমি: এখন পারবো না।
বড় আপু: কেনো?
আমি: কারন আপনি এতো বড় একজন মানুষ সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবো। আমি পারবো না।
বড় আপু: এই কথাটা আমার ভালো লাগলো।
আমি: হুম আমি যাই।
বড় আপু: কই যাবি?
আমি: ভার্সিটিতে।
বড় আপু: কিসে পরস?
আমি: থার্ড ইয়ারে।
বড় আপু: তুই কি আমার সাথে রাগ করে আছত?
আমি: হুম।
বড় আপু: কেনো?
আমি: কারণ আপনি ঐদিন আমি মাফ চাওয়ার পরেও মারছিলেন।
বড় আপু: ওকে সে জন্য এখন আমাকে তর কাছে মাফ চাইতে হবে নাকি।
আমি: হুম।
বড় আপু: ওকে যা সরি (বলল হাসি মুখে)
আমি: যান মাফ করে দিলাম। (আমি ও হাসি মুখে)
বড় আপু: তর মুখে হাসি দেখে বুঝতে পারলাম।
আমি বড় আপু হয়ে সার্থক।
আমি: হুম।
বড় আপু: জোৎস্নার সাথে কেমন চলছে?
👉আমি এখন চিন্তায় পরে গেলাম। কি বলবো
আমি: ওতো আমার বড় আপু। বড় আপুর সাথে কি আবার।
বড় আপু: যা । তরনা ভার্সিটি আছে?
আমি: হুম। আমি যাই।
👉এই বলে চলে আসলাম। ভার্সিটি শেষ করে বাড়ি ফিরছি। তিনজন ছেলে এসে আমাকে ঘিরে ধরলো আমার শার্টের কালার ধরে বলল।
প্রথম ছেলে: তর জন্য শান্তি মতো প্রেম করতে পারিনা আজ তর খবর আছে।
আমি: দেখো আমি তোমাদের বড় আমার সাথে তোমরা বেয়াদবি করতে পারোনা।
দ্বিতীয় ছেলে: ভাই আমরা যে সময় যাই। তখন তুই কেনো হাজির হস?
আমি: ভাই আমি তোমাদের সমস্যা বুঝতে পারছি। আমি আর সাদে যাবো না । এখন কালার ছাড়ো।
তৃতীয় ছেলে: ছাড়বি না । আজকে তার এমন অবস্থা করবো । যেগুলো দেখে আমাদের জিএফ ভাবতে আমরা তাদের সত্যি অনেক ভালোবাসি।
প্রথম ছেলে: আমার কি মনে হয় জানিস। সে একটু পর পর সাদে যায় মনে হয় আমাদের গার্লফ্রেন্ডের মধ্যে থেকে কাওকে পটাতে চায়।
দ্বিতীয় ছেলে: চোখ তুলে নিবো । কাউর দিকে তাকালে।
আমি: দেখো আমি এলাকায় নতুন আসছি নতুন কিছু বুঝিনা। ভুল টুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দাও। এখন কলার ছাড়ো।
তৃতীয় ছেলে: যা ক্ষমা করে দিলাম। রাজিব কলার ছাড়।
👉রাজিব নামক ছেলেটা মানে প্রথম ছেলেটা কালার ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেওয়ার সাথে একটা ঠাল্লা কয়েকটা কিল আর লাথি মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। এলাকায় নতুন আসছি বলে আর কতো বিপদের সম্মুখীন হতে হবে কে জানে। শরীরটা ব্যাথা করছে। আস্তে আস্তে হাঁটছি। হেঁটে বাড়ির অনেক খানি কাছে চলে আসলাম। রাস্তার পাশে এক বেঞ্চে দেখি বসে আছে বড় আপু। বড় আপুর সকাল বেলার আচরণ আমার অনেক ভালো লেগেছে। বড় আপুর কাছে বিচার দিবো। এই ভাবার সাথে সাথে বড় আপুর ডাক আসলো । ধুর আজ পর্যন্ত বড় আপুর নামটাই জানা হলো না। আমি কাছে গেলাম। বড় আপু বলল
বড় আপু: কিরে তূই ভার্সিটিতে গেলি হাসিখুশি। আর এখন এভাবে মনমড়া কেনো?
আমি: কি আর বলবো আপু? এলাকায় আসছি নতুন বলে আর কতো ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে কে জানে?
বড় আপু: কেনো কি হইছে? আমাকে বল।
আমি: থাক আপনাকে বলে লাভ নেই। আপনি তো অনেক বড় আপনি আমার পিছে টাইম নষ্ট করবেন না। আমি যাই।
👉এই বলে আমি হাঁটা শুরু করলাম।
বড় আপু: মুরাদ দাঁড়া । দাঁড়া বলছি । মাইর না খাওয়ার আগে দাঁড়া।
আমি আবার ফিরে এসে বললাম।
আমি: হুম।
বড় আপু: কি হইছে আমাকে সুন্দর করে খুলে বল।
👉আমি বড় আপুকে সব খুলে বললাম । শেষ মেষ বললাম একটা ছেলের নাম রাজিব। রাজিব ছেলের নাম শুনে বড় আপু চিনতে পারেকে। আর এদিকে বড় আপুর মুখ রাগে লাল হয়ে যায়। সুন্দরী সাদা মুখটা লাল দেখাচ্ছে। আর অপুরূপ লাগছে। বলল
বড় আপু: রাজিবরা তরে মারছে কতো বড় সাহস। আজকে তাদের খবর আছে।
👉এই বলে মোবাইল বের করে কাকে জানি কল দিলো। কয়েক মিনিটের মধ্যে ৩০ জনের মতো ছেলে মেয়ে হাজির হয়ে গেলো। একজনকে বলল রাজিবকে কল দিতে । একটুপর রাজিব আসলো ও তার সাথে বাকি দুজন। আমাকে দেখেই হয়তো তারা কাহিনী বুঝতে পারে। বড় আপু তাদের কি দোষ সবার কাছে বলল। তাদের জিজ্ঞেস করে প্রথমে অস্বীকার করে। আপু রাগি গলায় কথা বললে সব স্বীকার করে নেয়। আর তাদেরকে কয়েকটা চড় দেয়। আর আমার সাথে মিলিয়ে দেয়। আর বলে জুড়ে জুড়ে।
বড় আপু: এ হলো মুরাদ।এই এলাকায় নতুন এসেছে। কেউ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করবি না । সে আজ থেকে আমাদেরই একজন।
👉
আস্তে আস্তে সবাই চলে যায় । আমিও বাসায় চলে আসি। এসে দেখি মানুষ ভড়া । সবাই অপরিচিত। দেখি বাবা সোফায় বসে কথা বলছে। আমি মাকে খুঁজে বের করে জিজ্ঞেস করলাম ।
আমি: কি হয়েছে এতো মানুষ কেনো?
মা: ওহহ তরে তো বলা হয়নি । তকে সেই কখন থেকে ফোন দিচ্ছি। তর আপুকে দেখতে আসছে। যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে তাদের সাথে কথা বল।
আমি: আগে বলবা না।
👉আমি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে। তাদের সাথে মিট করলাম। আপুকে দেখে তাদের পছন্দ হয়। তারা বিয়ের তারিখ ঠিক করে চলে যায়। পরের দিন আর কলেজে গেলাম না । আজকে সারাদিন মোবাইল টিপে আর ঘুমিয়ে কেটে বিকালের দিকে সাদে গেলাম। সাদে গিয়ে দেখি জোৎস্না আর বড় আপু কথা বলছে। আমি এক কোনায় দাঁড়িয়ে মোবাইল টিপছি। বড় আপু আমাকে ডাক দিলো। আমি কাছে গেলাম বলল।
বড় আপু: সাদে কি করস?
আমি: কিছু না।
বড় আপু: কিছু না মানে। দেখিতো আশেপাশে কেউ আছেনি। পাইছি! এই মেয়ের জন্য তুই সাদে আসস?🥴
আমি: না।
👉পাশের বাড়ির সাদে এক মেয়ে । কাপড় নিচ্ছে তাকে দেখেই আমার উপর দোষ চাপিয়ে দিলো। মেয়ে টাকে লক্ষ্য করে বলল।
বড় আপু: এই মেয়ে তোমার নাম কি?
মেয়ে: সাদিয়া।
বড় আপু: সাদে কি করো?
মেয়ে: কাপড় নেই।
বড় আপু: আর কিছু নাতো।
মেয়ে: আর কি আবার কাপড় নিচ্ছি।
বড় আপু: বিকাল বেলা সাদে আসবা না।
মেয়ে: কেনো?
বড় আপু: যেটা বলছি সেটায়। আসবা না বলছি আসবানা।
মেয়ে: ওকে আপু।
👉আমি বড় আপুর কাহিনী দেখে মনে হাসতে হাসতে শেষ।
চলবে….