এলাকার বড় আপু #পার্ট:৪

#নাম: এলাকার বড় আপু
#পার্ট:৪
#লেখক: Osman

বড় আপু: যেটা বলছি সেটায়। আসবা না বলছি আসবানা।

মেয়ে: ওকে আপু।

👉আমি বড় আপুর কাহিনী দেখে মনে হাসতে হাসতে শেষ। শুধু শুধু মেয়েটার উপর দোষ চাপায়লো।

বড় আপু: কিরে তকে দেখে মনে হচ্ছে তুই হাসছস।

আমি: কই আপু?

জোৎস্না: কার জন্য আসবে । আসলে তো আমার জন্যই আসবে।

বড় আপু: কিরে সত্যি।

আমি: আসলে আমার আন্ডার প্যান্টটা পাচ্ছি না। তাই নিতে আসলাম।

জোৎস্না: এটা কি হলো?

আমি: কিছু না।

👉আমার কথা শুনে বড় আপু মন খোলে হাসতে লাগলো। আমি তার হাসি মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমি ভাবতে লাগলাম এমন সুন্দরী একটা মেয়ে কিভাবে এতদিন পার করলো। বড় আপুর বয়স হবে ২৭ । ভাবতেই অবাক লাগছে। কি করে সে এতটা বছর পার করলো। ধুর বড় আপুর নামটাই জানা হলো না।

আমি: এলাকায় এতদিন আসলাম অথচ বড় আপুর নামটাই জানা হলো না।

জোৎস্না: নিলা আক্তার তার নাম নিলা।

আমি: হুম। (জোৎস্নার সামনে বড় আপুর নামের
প্রসংসা করলাম না।)

বড় আপু: এই তুই বললি কেনো?

আমি: বললে তো কি হয়েছে? শুনেন এখন থেকে আমি আপনাকে কোনো বড় আপু ডাকতে পারবো না। আজ থেকে আমি নিলা আপু বলে ডাকবো।

বড় আপু: ওকে ডাকিস। এখন ভাগ।

👉আমি চলে আসলাম। পরদিন সকাল বেলা। আপু আবার পাঠালো রুটি আনতে। আমি রেস্টুরেন্টে গিয়ে রুটি খেতে লাগলাম। এমন সময় বড় আপু মানে নিলা সিগারেট টানতে টানতে রেস্টুরেন্টে ঢুকলো। আমাকে দেখে আমার পাশে বসলো।
এসে বলল।

নিলা: কিরে তুই এখানে প্রতিদিন রুটি খাস?

আমি: না।

নিলা: শুন একটা খুশির সংবাদ আছে?

আমি: কি?

নিলা: আমি এবার নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি।

আমি: হুম।

নিলা: আমাকে ভোট দিবি তো।

আমি: কি করে দিবো আমরাতো স্থানীয় না?

নিলা: ওও।

আমি: নিলা আপু আমি আপনাকে কিছু কথা বলি। শুনবেন।

নিলা: তাড়াতাড়ি করো আমাকে এক যায়গায় যেতে হবে।

আমি: তাড়াতাড়ি বলতে পারবোনা।

নিলা: থাক তাহলে বলা লাগবে না।

আমি: হুম।

নিলা: সিগারেট খাবি।

আমি: হুম।

নিলা: নে ধর।

আমি: এখানে না ভিতরে চলো।

👉রেস্টুরেন্টের মধ্যে লেখা নো স্মুকিং। তারপরেও বড় আপু সিগারেট খাচ্ছে। কারো কিছু বলার সাহস নাই। আমরা ভিতরে গিয়ে বসলাম। ওয়েটার নিলার জন্য রুটি আনলো। এবার আমার হাতে ও সিগারেট দিয়ে বলল।

নিলা: এবার খাঁ।

আমি টানতে থাকি নিলা আপু বলল।

নিলা: কি যেনো বলবি?

আমি: আপনাকে আমার সব কথা শুনতে হবে।

নিলা : যা শুনবো। এখন বল

আমি: আপনিতো জানেন মানুষ অমর নয়।

নিলা: হুম।

আমি: তাহলে আপনার এত সুন্দরী রুপ । এতো সুন্দরী হাত গাল ঠোঁট চুল একদিন কি থাকবে?
থাকবে না! এখন আপনি ডাক দিলে ১০০-২০০ ছেলে চলে আসে। একদিন আর আসবে না। এখন তারা আসে আপনার রুপের জন্য।তারা চায় আপনাকে একটু পটিয়ে ভোগ করার জন্য। যখন আপনার বয়স বেড়ে যাবে এতো সুন্দরী রুপ থাকবেনা তখন দেখবেন আপনাকে রাস্তা পার করে দিবে যে এমন একটা মানুষ পাবেন না। শুধু একজন থাকবে.।

নিলা: কে থাকবে?

আমি: সে হলো আপনার স্বামী। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কি লাভ। কি দরকার আছে নির্বাচনে দাঁড়াবার। এর চেয়ে ভালোনা স্বামীর ঘরে গিয়ে ২-৩ বাচ্চার মা হয়ে। নিজের সংসারটাকে সাজিয়ে নিজের মতো করে রাখবেন। যখন আপনি বুড়ি হবেন তখন আপনি আপনার নিজের মতোকরে সিংহাসনের মতো সংসারটা পরিচালনা করবেন। যেখানে আপনার সেবা করবে আপনার নাতি-নাতনি, ছেলে-মেয়েরা। তখন দেখবেন রাস্তা পার হওয়ার করার জন্য একজন না অনেক জনকে পাবেন।

👉আমি একসাথে এতগুলো কথা বললাম। আমি বলার শেষ হলে নিলা কিছু বলছে না। ভাবছে।‌অনেক ক্ষন পার হয়ে গেলো কিছু বলছে না। একটু পর বলল।

নিলা: কিন্তু আমার তো বিয়াই হচ্ছে না।

আমি: হবে। আপনি একটু শালিন পোশাক পরেন। প্যান্ট শার্ট না পরে। তারপর যখন আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন আগে আপনার দিকে তাকিয়ে ছিলো আপনাকে ভোগ করার নেশায়। আর এখন তাকাবে আপনাকে বউ করে ঘরে তুলার নেশায়।

নিলা: বাহ তুইতো ভালো একটা যুক্তি দিয়েছত
আমাকে বুঝানোর জন্য তকে অনেক ধন্যবাদ। ভাগ এবার। এই তার কাছ থেকে বিল রাখবি না।

আমি: আরে যাবইতো এভাবে বলার কি আছে?

নিলা: আরেকটু থাক না।

আমি: হুম।

নিলা: তর সাথে না আমার কথা বলতে ভালো‌ লাগে।

আমি: আমারও।

নিলা: এখন কোথায় যাবি?

আমি: বাসায় আপুর জন্য রুটি নিয়ে যাবো।

নিলা: ভালো।

আমি: আমি যাই আমার আবার কলেজে যেতে হবে।

নিলা: যা।

আমি চলে আসলাম।

👉নিলা বুঝতে পারছে মুরাদের প্রত্যাকটা কথা ঠিক। এখন কি করবে। আমাকে এখন কে বিয়ে করবে। আমি কি করে সবাইকে ছেড়ে ঘরে বসে থাকবো। আর কেই বা আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। ২৭ টা বছর ধরে আমি অভুক্ত। কে এই কামনার আগুন নিভাবে। মুরাদ ছেলেটা ভালই। এক কাজ করা যায় কোনো মতে মুরাদের মাকে পটিয়ে তার কাছে বিয়েবসতে পারলেই হলো। নিলা মার্কেট থেকে কিছু ড্রেস কিনলো। বাসায় গেলো বাসায় গেলে মা বলল।

মা: তকে খুশি খুশি লাগছে কেনো?

নিলা: আজ থেকে তোমাদের কথা মতো চলবো।

মা: সত্যি,।

নিলা: হুম।

মা: তার আগে তর প্যান্ট শার্ট পাল্টা এটা আমিও দেখতে পারি না তর বাবাও না‌।

নিলা: এই দেখো ড্রেস কিনে এনেছি‌ পড়বো বলে।
ড্রেস বের করে বলল

মা: দেখিতো কি সুন্দর ড্রেস।

নিলা: আমি এগুলো অনেক দিন ধরে পরি না তুমি একটু দেখিয়ে দিয়া যাও।

মা: আসছি তুই যা।

👉নিলা চলে আসলো। নিলার মা আসলে । নিলা কে সুন্দর করে জামা পরিয়ে দেয়। নিলা ও স্মোকিং কমিয়ে দেয়। আস্তে আস্তে বন্ধ করে দেয়। এভাবে দুই সপ্তাহ ঘরের ভিতর কাটিয়ে দেয়। কত মানুষ যে নিলাকে কল দিলো। একদিন তার এক বান্ধবী রাত্রে বেলা কল দিয়ে বলল। তাড়াতাড়ি তার বাড়িতে যাইতে। নিলা তার কাছে বলে বের হয়ে গেলো। বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে দেখে তার জন্য কেক রেডি। নিলা মনে করে দেখলো আজ কে তার জন্মদিন।
হারামি বান্ধবী গুলো নিলার জন্য এতো কষ্ট করলো।
নিলাকে দেখে সবাই অবাক সবাই বুঝতে পারছে নিলা অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে। বান্ধবীর সাথে নিলা জমিয়ে আড্ডা দিয়ে। অনেক রাত হয়ে যায় সবাই আস্তে আস্তে বাড়ি চলে যায়। নিলা ও বাসা থেকে বের হয়ে। হেঁটে চলেছে রিকশা পাচ্ছে না। নিশার অনেক ভয় করছে। কারন সে দুই সপ্তাহ এদিক দিয়ে আসে না। আগে এসব রাস্তা তার কাছে মাঠ মনে হয়েছে। আর এখন কেমন জানি লাগছে কেমন যেনো ভুতুড়ে। নিলার কলিজায় পানি নাই । শরীর যেনো কাঁপছে। পিছন থেকে কে জানি ডাকছে ।
এই যে শুনছেন।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here