এলাকার বড় আপু,পার্ট:১

এলাকার বড় আপু,পার্ট:১
লেখক:Osman

👉মনের সুখে দাড়িয়ে এক বাড়ির চিপায় প্রস্রাব করছি। কে যেনো থুথু দিলো আমাকে উপর থেকে একটুর জন্য শরীরে পড়ে নাই। উপরে তাকিয়ে দেখি তিন তলায় এক মেয়ে খিলখিলিয়ে হাসছে। আমি বললাম।

আমি: ওই মেয়ে থুথু দিলেন কেনো ?

মেয়ে: এটা প্রস্রাব করার যায়গা?

আমি: তো কোনটা ? আপনার বাড়িতে আসবো প্রস্রাব করার জন্য।

মেয়ে: আয় তরে জূতো পিঠা করবো।

আমি: এখন যদি থুথুটা শরীরে পড়তো।

মেয়ে: শরীরে পড়লে তো আমি কি করবো?

আমি: আপনি কি করবেন মানে বেয়াদব মেয়ে।

মেয়ে: কি তুই আমাকে বেয়াদব বললি ? তর সাহসতো কম না।

👉এই বলে আবার আমাকে থুথু দিলো উপর থেকে।
আমি সরে যাওয়ার কারণে শরীরে পড়ে নাই।

আমি: ফাজলামীর একটা লিমিট থাকা দরকার ?
ফালতু মেয়ে।

মেয়ে: তুই আমাকে ফালতু বললি। সাহস থাকলে তুই দাড়া আমি নিচে আসছি।

আমি: কি করবেন আপনি? যত্তসব ফালতু মেয়ে।

মেয়ে: তুই আবার আমাকে ফালতু বললি। তর যদি সাহস থাকে তুই দুই মিনিট দাঁড়া।

আমি: কি করবেন আপনি? কি করবেন ?

মেয়ে: তুই জানিস আমি‌ কে?

আমি: কে আবার আপনি? একটা ফালতু মেয়ে।

মেয়ে: এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে তর খবর আছে। তুই শুধু একটু দাঁড়া । আমি নিচে আসছি।

আমি: আসেন আপনি কি করবেন?

👉দেখলাম মেয়েটা জানালা থেকে সরে গেছে। তার মানে সত্যি সত্যি নিচে আসছে। এলাকায় নতুন আসছি কারো সাথে পরিচয় নেই। কি করবো আমিইতো মেয়েটাকে রাগিয়ে দিয়েছি। কি করবো?চলে যাই। শুধু ঝামেলা করে লাভ নাই। আমি এই চিপা থেকে অন্য আরেক চিপায় ঢুকে গেলাম দেখতে লাগলাম মেয়েটা এসে কি করে? একটু পর সে একা এসে নাই সাথে আরো ছয় সাতজন প্রত্যেকের হাতে লাঠি। আমার দেখেতো মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা।
আল্লায় আমাকে রক্ষা করছে সেখানে থাকলে এতক্ষনে হসপিটাল ছিলাম। এখানে থেকে আর লাভ নাই দিলাম এক দৌড় এক দৌড়ে বাসায় । গেটে বাবার সাথে দেখা। আমার দৌড় দেখে বলল

বাবা: কিরে এভাবে দৌড়াইতাছত কেনো?

আমি: আরে বাবা কুকুর‌। তুমি তো জানই আমি কুকুর ভয় পাই।

বাবা: তুই আবার কুকুর কবে থেকে ভয় পাস?

আমি: আরে বাবা পাগলা কুকুর পাগলা কুকুরকে কে ভয় না পায়।

বাবা: হইছে বুঝছি ঘরে যা।

আমি: যাইতাছি ।

👉আমি ঘরে আসলাম। আসলে বলল

মা: কিরে তুই এভাবে হাপাচ্ছিস কেনো?

আমি: আরে পাগলা কুকুর।

মা: কিহ। কামড় দিছে? কোথায় দেখি?

আমি: আরে না। খাবার দেউ ক্ষিধা লাগছে।

মা: দিচ্ছি।

👉আমি আমার ঘরে চলে আসলাম। আমি মুরাদ। এবার ২৪ এ পড়েছি। অনার্স থার্ড ইয়ারে এইবার। আমাদের বাড়ি নরসিংদী। ঢাকায় ছোট বেলা থেকেই ভাড়া থাকি। এই এলাকায় নতুন উঠেছি। মা ডাক দিলো গেলাম খেতে। খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে দিলাম এক ঘুম এক ঘুমে বিকাল। বিকালে মা বলল

মা: যাতো মুরাদ বাজার থেকে দুধ নিয়ে আস।

আমি: আমি পারবো না আপুকে পাঠাও।

মা: কিহ তুই ছেলে হয়ে তর আপুকে বলছত বাজারে যাইতে। তাড়াতাড়ি যা নয়তো তর বাবাকে বলে দিবো।

আমি: ওকে যাচ্ছি। সে‌ কি করে শুধু বাসায় শুয়ে শুয়ে গুমায়।

মা: তুই কি ভুলে গেছত তর বোন যে চাকরি করে।

আমি: কিসের চাকরি করে?

মা: যা চুপচাপ বাজারে যা।

👉আমি বাজারে চলে আসলাম। দুধ কিনলাম। আসতে আসতে রাত হয়ে গেলো। পরদিন সকালে বড় বোন তাসফিয়া এসে ডাক দিলো বলল।

তাসফিয়া: ভাই একটু দোকানে যাবি।

আমি: কেনো?

তাসফিয়া: আমার না দোকানের রুটি খেতে খুব মন চাচ্ছে।

আমি: তো আমি কি করবো?

তাসফিয়া: একটু এনে দেনা।

আমি: ১৫০ টাকা লাগবে।

তাসফিয়া: তুই যাবি আর আসবি। এখানে তর ১৫০ টাকা লাগবে কি করে।

আমি: তর দুইটা রুটি ত্রিশ টাকা আসা যাওয়ার ভাড়া ৪০ টাকা। আমি দুইটা রুটি খাবো সেখানে ৩০ টাকা। মোট ১০০ টাকা আর আমার চার্জ ৫০টাকা মোট ১৫০ টাকা।

তাসফিয়া: আমি এতো টাকা দিতে পারবোনা ১০০ টাকানে।

আমি: কোনো কম নাই। তুই যাতো আমি একটু ঘুমাই।

তাসফিয়া: এইনে দেড়‌শত টাকা। দেখবি এর বিচার আল্লাহ করবো । (বলল কাদো কাঁদো গলায়। )

আমি: দিলেতো ছোট ভাইকেই দিচ্ছস।

তাসফিয়া: হয়ছে এবার যা।

👉আমি রেডি হয়ে চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টে বসে রুটি খেয়ে আপুর জন্য নিলাম। ভাবলাম হেটেই‌ চলে যাই। শরীরের ব্যায়াম হলো টাকাটা বাঁচলো। তাই হাঁটা ধরলাম। হেঁটে অনেক খানি সামনে চলে আসলাম। কে জানি পিছন থেকে ডাক দিলো মনে হচ্ছে মেয়ের গলা।

মেয়ে: ঐ পিচ্চি দাঁড়া।

👉আমি দাঁড়িয়ে বললাম।

আমি: কে পিচ্চি? সাবধানে কথা বলবেন। আপনি পিচ্চি

👉আমি তাকিয়ে দেখি গতকাল সকালের ঐ মেয়েটা। মনে মনে এই বার কি হবে। আবার এখন বললাম পিচ্চি।

মেয়ে: কিহ‌ আবার তুই আমাকে পিচ্চি বলল?

আমি: আপনার সাথে আগে আমার দেখা হয়ে ছিলো নাকি।

মেয়ে: আমার সামনে ভাব ধরবি। দাঁত সবগুলো ফালায় দিবো। তুইতো গতকাল সকালে আমাকে ফালতু বলেছিলি।

আমি: কে বলেছে আপনি ফালতু? আপনি কতো কিউট। (আসলেই মেয়েটা অনেক সুন্দরী।)

মেয়ে: এসব বলে লাভ নেই।

👉কোথা থেকে জানি এক ছেলে এসে বলল

ছেলে: বড় আপু কি হয়েছে? তার সাথে রাগারাগী করছেন কেনো? কোনো বেয়াদবি করেছে?

মেয়ে: বেয়াদবি করেছে মানে গতকাল আমাকে ফালতু বলেছে ।

ছেলে: কী তুই ফালতূ বললি আমাদের এলাকার বড় আপুকে। জানিস সেকে সে আমাদের সবার বড় আপু । এলাকার সবাই তাকে বড় আপু ডাকে।
আর তুই কিনা ফালতু বললি।

আমি: ভাই আমি এই এলাকায় নতুন আসছি। তেমন কাওকে চিনি না। ভুল হয়ে গেছে আপু।

ছেলে: আপু কি বড় আপু বল।

বড় আপু: কোনো মাফ নাই এখানে দাঁড়িয়ে দশটা কান বদনি লবি। তারপর যাবি

আমি: বড় আপু আমাকে মারেন কিন্তু কান বদনি নিতে পারবো না।

বড় আপু: তুই অনেক চালাক তাই গতকাল তুই চলে এসেছিলি। নাহলে তুই এতক্ষনে হাসপাতাল থাকতি।
তকে শুধু জাষ্ট বললাম কান বদনি নিতে তর কতো ভাগ্য।

আমি: আমি কান বদনি নিতে পারবো না।

ছেলে: বড়‌‌ আপুর মুখের উপর কথা।

মেয়ে: দেখ তকে কান বদনি নিতেই হবে আগে হোক পরে এর থেকে ভালো তাড়াতাড়ি নিয়ে ঝামেলা থেকে মুক্ত হো।

আমি: আমাকে মেরে ফেললও আমি কান বদনি নিবো না। আর আমার তো প্রথম বার ভুল হয়েছে প্রথম বার তো সবাই মাফ করা যায়। দ্বিতীয় বার ভুল হয়লে শাস্তি দিয়েন আমি যাই।

বড় আপু: তর কি আমাকে একটুও ভয় করছেনা।

আমি: ভয় কেনো করবে আপনি‌ কি বাঘ‌ ভাল্লুক।

বড় আপু: তুই জানিস আমি একটা ফোন দিলে শত শত ছেলে চলে আসবে।

আমি: তো আমি কি করবো? আমি যাই।

👉এই বলে আমি হাটা ধরলাম। ছেলেটা এসে আমার কানে ধরে আবার বড় আপুর সামনে নিয়ে গেলো।

বড় আপু: আমার সাথে তুই আবার বেয়াদবি করছত। সে জন্য তই ২০ টা কান বদনি নিবি।

আমি: মগের মুল্লুক বললাম না আমি মরে
গেলেও কান বদনি নিবো না।

বড় আপু: তর নিতেই হবে।

আমি: নিবো না।

বড় আপু: তর হাতে ওইটা কি।

আমি: আপুর জন্য রুটি কিনেছি।

বড় আপু: সুমন তর কাজ শুরু কর।

(গল্পটা ভালো লাগলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে পাশে থাকুন। আর মেসেঞ্জারে নক করবেন। যাতে একসেপ্ট করতে সুবিধা হয়)

👉একটু পর আরো চার পাঁচ জন ছেলে আসলো ।
আসলে দুইজন দুই দিক থেকে কানে ধরে নিচে টানতে থাকে। টানের কারনে বসে পরি। তারা আবার উপরে টানতে থাকে আমি আবার দাঁড়িয়ে গেলাম। এভাবে আমাকে বিশ বার উঠ বস করায় । কষ্টে আর ব্যাথায় আমার চোখে পানি চলে আসে ‌। কান বদনি শেষ হলে আমি কিছু বললামনা সোজা হাঁটা ধরলাম। এমন বর্বর মানুষ আমাদের সমাজেও আছে । বড় আপু তোমাকে আমি দেখে নিবো‌। আমার শরীরে শীতের কাপড় ছিলো। তাই কান ডেকে বাসায় প্রবেশ করলাম। আপুকে নিয়ে তার রুটি দিলাম। মনে মনে বললাম তর দোয়া কবুল হয়েছে। আমি আমার শাস্তি পেয়ে গেছি। রুমে এসে শুয়ে রইলাম। সারাটা দিন ঘরেই কাটিয়ে দিলাম। বিকালে বাসার সাদে গেলাম।‌ গিয়ে দেখি তিন জন মেয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে সব গুলো মনে হয় ২০ এর নীচে। আর নিচে দুই তিন জন ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে ছেলেগুলো চলে যায় আর মেয়ে গুলো আমার দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। তারাও চলে যায়। আমি সাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছি। একটু পর আরো দুইটি মেয়ে আসলো। আমি দেখেয় চিনতে পারলাম তাদের মধ্যে একজন বড় আপু।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here