এক_ফালি_রোদ ১৮তম_পর্ব

এক_ফালি_রোদ
১৮তম_পর্ব

এসবের মাঝে মহীমা বেগম চুপ করে বসে রইলেন। তিনি শুধু সবার কথা শুনে যাচ্ছিলেন। সবার মতামত শুনে তিনি কিছু একটা চিন্তা করলেন। একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাকে। তার নাতীর জীবনের ব্যাপার বলে কথা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ধীর কন্ঠে তিনি বললেন,
– যদি দরকার হয় তবে আমাদের ছেলে সাথেই আপনার মেয়ের বিয়ে হবে। একটা মেয়ের জীবন তো এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না। তবে আমার একটা শর্ত রয়েছে।
– দাদীজান, কি বলছেন আপনি?

মহীমা বেগমের কথা শুনে ক্ষুদ্ধ কন্ঠে প্রতিবাদ করে অয়ন। মহীমা বেগমের সাথে তার সম্পর্কটা অনেকটা বন্ধুর মতো। তার দাদীজান ই আছে এই বাড়িতে যিনি তাকে বুঝেন, তার ইচ্ছাগুলোকে বুঝেন। তিনি যদি তার উপর কিছু একটা চাঁপিয়ে দেয় সেটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারবে না অয়ন। অয়নের কথার উত্তরস্বরুপ ধীর কন্ঠে মহীমা বেগম বলেন,
– আমি ভেবেই বলছি অয়ন। আমার মনে হয় না এখানে উপস্থিত কেউ আমার কথায় অনাস্থা প্রকাশ করবে, যদি আমার সাথে একমত না হয় বলতে পারে।

অয়ন আর কথা বাড়ালো না, দাদীজানের মুখে মুখে অর্ক করার ইচ্ছে তার নেই। এক মূহুর্ত সেখানে না দাঁড়িয়ে হনহন করে হাটা দিলো নিজ রুমের দিকে। এখানে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের জীবনের অন্ত হতে দেখার ইচ্ছে তার নেই। অয়নের প্রস্থানটা দেখা স্বত্তেও তাকে আটকান নি মহীমা বেগম। অয়নের যাবার পর মহীমা বেগম ধীর কন্ঠে ইসমাইল সাহেবের উদ্দেশ্যে বললেন,
– আমার একটাই শর্ত, আমি প্রাপ্তির সাথে একা কথা বলতে চাই। কোনো আপত্তি আছে কি ইসমাইল বাবা?
– আমার কোনোই আপত্তি নেই খালাম্মা।
– তাহলে ও হয়েই গেলো। রাইসা মা আমাকে একটু রুমে নিয়ে চল তো।

বলেই উঠে দাঁড়ালেন মহীমা বেগম। শেফালী বেগমের মুখশ্রীতে কালো মেঘের ঘনঘটা স্পষ্ট। শাশুড়ী মার কথার সাথে তিনি মোটেই একমত নন। কিন্তু কিছু বলার উপায় নেই। কারন নাসির সাহেব মা বলতে পাগল। মার কথা তার কাছে বেদবাক্য। জোর করে ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা টানলেন শেফালী বেগম। মনে মনে এক কথাই আওড়াতে লাগলেন যাতে বিয়েটা কোনোভাবে কেঁচে যায়। একটা অনাথ মেয়েকে নিজের ঘরে বউ রুমে কিছুতেই মেনে নিতে পারবেন না তিনি। সুযোগ বুঝে স্বামীর সাথে ব্যাপার নিয়ে কথা বলবেন তিনি। তাতে যদি কিছু একটা উপায় বের হয়। নিজের এতো হিরের টুকরো ছেলের জন্য মোটেই তিনি একটা অনাথ মেয়েকে মেনে নিবেন না, মোটেই না_______________

রাত নয়টা,
পায়ের উপর ল্যাপটপ রেখে বসে রয়েছে আবরার। এসি চলছে তাও তড়তড় করে ঘামছে সে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে টেম্পারেচারটা দেখে নিলো সে। রুমের টেম্পারেচার যথেষ্ট কম। তবুও কেনো ঘামছে বুঝে উঠতে পারছে না সে। আজ বিকেলেই হাসপাতাল থেকে বাসায় এসেছে সে। শরীরটা বেশ চাঙ্গা লাগছিলো। কিন্তু এর মাঝেই একটা বোম্ব ফাঁটানো খবর পেয়েছে সে। তা হলো অয়নের বিয়ের তোড়জোড় করা হচ্ছে। তাও রাইসার খালাতো বোনটার সাথে। খবরটা শোনার পর ই মাথাটা বন্ধ বন্ধ লাগছে তার। ল্যাপটপটা সামনে রেখে আড়চোখে রাইসাকে দেখে যাচ্ছে সে। ভেবেছিলো রাইসা হয়তো কষ্ট পাচ্ছে, তার মুখে দুখের ছাপ অবলোকন হবে আবরারের। কিন্তু এটা মোটেও হলো না। রাইসা বেশ স্বাভাবিক ভাবেই তার কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল তার ক্লাস শুরু হচ্ছে। মোটামোটি এক মাস পর তার কলেজ যাওয়া হবে। এতো লম্বা ছুটি এই প্রথম সে নিয়েছে। সেদিনের পর থেকে আবরার এবং রাইসার মাঝে তেমন একটা কথা হয় নি। এক অদৃশ্য যুদ্ধ চলছে তাদের মাঝে। কেনো চলছে, তাতে কে জিতছে বা হারছে এটা অজানা। অয়ন এবং প্রাপ্তির ব্যাপারটা বেশ ভাবাচ্ছে আবরারকে, কিন্তু ব্যপারটা নিয়ে রাইসাকে কিছু বলতেও পারছে না সে। রাইসার মনে ঠিক কি চলছে এটাই বুঝতে পারছে না সে।
– কিছু বলার হলে সরাসরি বলতে পারেন, এভাবে উকিঝুকি দেবার কি মানে?

হুট করে রাইসার এমন কথা শুনে বেশ চমকে উঠে আবরার। তার চুরি এভাবে ধরা পড়ে যাবে সেটা বুঝতে পারে নি সে। বেশ লজ্জায় পড়ে গিয়েছে আবরার। নিজেকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টায় সে বলতে লাগলো,
– মোটেই আমি তোমাকে দেখছিলাম না।
– তাই? তা কিসের কাজ এতো ল্যাপটপে শুনি? যা বন্ধ অবস্থায় ও করা যায়?

রাইসার কথা শুনে ল্যাপটপের দিকে তাকায় আবরার। সত্যি সত্যি তার ল্যাপটপটা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। চার্জারটাও অন করতে ভুলে গিয়েছে সে। নিজের বলদামির উপর নিজের ই রাগ হচ্ছে আবরারের। এখন কি অযুহাত দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। আমতা আমতা করে বললো,
– আসলে
– আমার কালকে কলেজ আছে, আপনার ওষুধের সময় হয়ে এসেছে। খেয়ে নিন। তারপর খাবার খাবেন। রাত জাগাটা ঠিক হবে না।

আবরার আর কথা বাড়াতে পারলো না। তাদের সম্পর্কটা কেমন যেনো ছন্নছাড়া সুরবিহীন গানের মতো হয়ে আছে। কবে এই গানের তালে তাল মিলবে সেটা শুধু বিধাতাই হয়তো জানে। বুকচিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয় আবরারের। চাইলেও অদৃশ্য যুদ্ধটা জিততে পারছে না সে। তার একটা কাজে আজ চারটা জীবন কেমন যেনো এলোমেলো হয়ে গেলো। অনেকটা লুডোর চারটা ঘরের মতো। বিক্ষিপ্ত কিন্তু একে অপরের সাথে অতঃপ্রতোভাবে জড়িত_______________

সময় কারোর জন্য বসে থাকে না। সেটা তার গতিতে যেতে থাকে। কেউ কেউ এই সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যায়। কেউ কেউ পিছিয়ে পড়ে। প্রাপ্তি ঠিক কোন দলের মাঝে পড়েছে সেটা সময় ই বলে দিবে। আপাতত সে মহীমা বেগমের সামনে বসে রয়েছে। এক সপ্তাহ পরে তিনি এসেছেন প্রাপ্তির সাথে দেখা করতে। প্রাপ্তি একনজরে মহিলাকে দেখে নিলো। চুল এক ইঞ্চি ও কাঁচা নেই তার, দেখেই বোঝা যাচ্ছে বয়স ষাটোর্ধ্ব। এতো বয়সেও মহিলা একা একা হাত এবং চলতে পারেন, চোখে সোনালী বর্ডারের চশমা পড়েন। হয়তো চোখের দৃষ্টি এতোও প্রবল নয়। মহিলার মুখে এক অমায়িক ভাব রয়েছে। যেমনটা দাদী-নানীদের মাঝে বেশ ভালো করেই দেখা যায়। মহিলা বেশ গোছানো। সাদা একটা সুতির শাড়ী পড়েছেন, শাড়ির ভাজটা টানটান। প্রাপ্তির বুঝতে বাকি রইলো না কেনো তার কথায় এখনো সিকদার ভিলার পাতা নড়ে। চায়ের কাঁপে চুমুক দিতে দিতে মহীমা বেগম ধীর কন্ঠে বললেন,
– অয়নকে চেনো কবে থেকে মা?
– আপুর বিয়ের দিন থেকে
– বিয়ের অনুষ্ঠানে?
– না, রাস্তায়। আসলে ওভারব্রিজের উপর।
– ওহ, তা তুমি কি জানো আমি এখানে কেনো এসেছি?
– নাহ, খালা বলেছিলো আপনি আসবেন। কেনো তা বলে নি
– আমি সত্যের সন্ধ্যানে এসেছি। আমি চাই তুমি আমাকে সত্যিটা বলো। দেখো বিয়েটা ছেলেখেলা নয়। তোমার খালু যেভাবে চাচ্ছেন, সেভাবে আর যাই হোক বিয়ে হয় না। তুমি আমাকে বলো তোমাদের মাঝে কি আদৌও কোনো সম্পর্ক রয়েছে? অয়ন এবং তুমি কি সত্যি একটা সম্পর্কে লিপ্ত?

প্রাপ্তি চুপ করে রয়েছে। শব্দগুলো অগোছালো ভাবে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সাজাতে পারছে না। মানুষ মাঝে মাঝে সত্যিও সাজাতে পারে না। সত্যি কথাগুলো সাজাতেও তার সময় লাগে। আজ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। সে ঠিকভাবে মনের কথাগুলো সাজাতে পারছে না। মহীমা বেগম সূক্ষ্ণ দৃষ্টিতে প্রাপ্তির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। মেয়েটার উপরে কি পরিমানে মানসিক অত্যাচার চলছে সেটা তার চোখের কালি ই সাক্ষী দিচ্ছে। মনে মনে একটু হাসলেন মহীমা বেগম। তার এতোদিনের খোঁজ আজ যেনো সম্পন্ন হলো। অবশেষে তিনি অয়নের জন্য এক ফালি রোদ খুজে পেলেন।

প্রাপ্তির রুম থেকে মহীমা বেগম বেরিয়ে এলে সবার নজর তাকেই দেখে যাচ্ছে। দুজন মানুষের ভেতর কৌতুহলের মাত্রাটা সর্বাধিক। এদের মাঝে একজন হলেন ইসমাইল সাহেব, তার মনে একটাই চিন্তা প্রাপ্তি কি বলেছে? প্রাপ্তির উত্তরের উপর নির্ভর করবে তার সমাজের সম্মানের মাপকাঠিটা বজায় থাকবে কি না! এমনেই মানুষকে মুখ দেখাতে পারছে না তিনি। এখন যদি মহীমা বেগম বিয়ের জন্য মানা করে দেন তাহলে হয়তো মেয়েটি সারাজীবন তার ঘাড়ের উপর আয়বুড়োই থেকে যাবে। শেফালী বেগমের কৌতুহলের ও অন্ত নেই। তার বুক ধরফর করছে এই ভেবে একটা অনাথ মেয়ে কিনা তার বাড়ির বউ হবে। যার চরিত্রের ই ঠিক নেই, এমন মেয়েকে তিনি কিভাবে মেনে নিবেন! কোথায় রাইসা আর কোথায় এই প্রাপ্তি। অয়ন বেশ নিশ্চিন্ত হয়ে রয়েছে, সে জানে প্রাপ্তি আর যাই হোক মিথ্যে বলবে না। আর সত্যিটা জানলে দাদীজান তাকে কখনোই বিয়ের জন্য জোর করবে না। সবার কৌতুহলী দৃষ্টি দেখে মুচকি হাসি দেন মহীমা বেগম। কারণ এখন তিন যা বলবেন তাতে সবার আক্কেলগুড়ুম হয়ে যাবে। ধীর কন্ঠে তিনি বললেন,
– বৌ মা, ছেলের বিয়ের আয়োজন করো। এবার তোমার ছোট ছেলের বউকেও ঘরে তোলার সময় হয়ে গেছে।

মহীমা বেগমের কথাটা এতোটাও জটিল নয়, কিন্তু সেটা খানিকটা বজ্রপাতের ন্যায় অয়ন এবং শেফালী বেগমের কাছে মনের হলো। অয়নের মাথাটা কিছুসময়ের জন্য যেনো বন্ধ হয়ে গেলো। এতো বড় একটা প্রতারণা কিভাবে করলো প্রাপ্তি। দম আটকে আসছে তার। এক মূহুর্ত সে দাঁড়ালো না। তীব্র গতিতে হনহন করে বেরিয়ে গেলো সে। কেউ না বুঝলেও রাইসার বুঝতে বাকি রইলো না অয়নের হৃদয়ে কি চলছে। চোখের কোনায় আগত নোনাজলকে সবার দৃষ্টির অগোচরেই মুছে ফেললো সে। অয়নের সাথে কথা বলতে হবে তার। এই বিয়েটা সবার জীবনের গতি পুনরায় পালটে দিবে। যেভাবেই হোক অয়নের সাথে কথা বলতে হবেই তাকে, বলতেই হবে!!!

রাত আড়াইটা,
ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে রয়েছে অয়ন। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। ঘুমোতে ইচ্ছে হচ্ছে না তার। আসলে ঘুমটা আজকাল পর হয়ে গেছে আসতেই চাচ্ছে না। রাতের ন্ধকার বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। কারণ চাঁদটাকে অন্ধকার গিলে ফেলেছে। রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্টের ক্ষীণ আলোতে তার আশেপাশটা ততোটা আলোকিত হতে পারে নি। ঘুটঘুটে অন্ধকার আজকাল বেশ ভালো লাগে অয়নের। জীবনটা ধীরে ধীরে অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। প্রতিটা মূহুর্তে এই অন্ধকারের সাথে লড়তে লড়তে ক্লান্ত সে। দমকা হাওয়া বইছে, লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। হয়তো ঝড় হবে। মাঝে মাঝে এমন ঝড়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু আজ ভয় হচ্ছে অয়নের। জীবনের ঝড় তাকে সম্পূর্ণ এলোমেলো করে দিয়েছে। আজকের দিনটা বেশ স্বস্তির একটা দিন হবার কথা ছিলো, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তেমন কিছুই হলো না। প্রাপ্তি নামক মেয়েটা তার জীবনে ঝড়ের মতোই প্রবেশ করলো তার তার জীবনটা এলোমেলো করে দিচ্ছে। দাদীজান ঘোষণা করে দিয়েছেন বিয়েটা তার করতেই হবে। প্রাপ্তির উপর একটা ক্ষীন ক্ষোভ মনের মাঝে জন্মেছে অয়নের। মেয়েটা কি নিপুনভাবে মিথ্যেটা বললো। কেনো! এই মিথ্যের আশ্রয় কেনো? যদি সত্যি সত্যি মেয়েটাকে তার বিয়ে করতে হয়? না না এটা কখনোই করতে পারবে না সে। বিয়ে কোনো ছেলেখেলা নয়। একটা মানুষের সাথে সারাটা জীবন কাঁটানো সহজ কথা নয়। কিভাবে পারবে সে? তার মনের কোনায় এখনো একটি নারীই বিরাজমান। সেই নারীটিকে এখনো ভুলতে পারে নি সে। সেখানে নতুন কাউকে নিজের জীবনে কিছুতেই আনতে পারবে না সে। এটা অন্যায় হবে, ছলনা হবে। এই ছলনাটা অন্তত প্রাপ্তির সাথে সে করতে পারবে না। ব্রাজিলের ভিসাটা হাতে আসলেই পালিয়ে যাবে সে। অনেক দূরে, যেখান থেকে তাকে কেউ খুজে পাবে না। নিজের চিন্তায় বিলীন ছিলো অয়ন। হঠাৎ কারোর পায়ের শব্দে চিন্তার অথৈ সাগর থেকে বেরিয়ে আসে সে। এতো রাতে ছাদে কারোর আসার কথা নয়। কৌতুহল বশত পেছনে তাকায় অয়ন। আলোছায়ার মেলায় একজন নারীর অবয়ব স্পষ্ট হতে লাগলো। অয়নের চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়ে উঠে। অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
– কি চাই এখানে?
– আজ সত্যি ই কিছু চাইতে এসেছি।

ধীর কন্ঠে কথাটা বলে রাইসা। রাইসার মুখটা অন্ধকারে স্পষ্ট নয়। তাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না অয়ন তার মুখের বভাব। কন্ঠে কোনো জড়তা নেই। নেই কোনো কম্পন। কৌতুহলটা যেনো বেড়েই গেলো অয়নের। অবাক কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় রাইসাকে সে,
– আমার মতো ভিখারী তোমাকেকি দিবে? আমার সেই ক্ষমতা নেই রাইসা।
– শেষবারের মতো চাইবো, আমি জানি তুমি দিতে পারবে। আমাকে আজ ফিরিও না অয়ন। দয়া করো।
– বলে ফেলো
– তুমি বিয়েটা……………………

চলবে

[ পরবর্তী পর্ব আগামীকাল রাতে ইনশাআল্লাহ পোস্ট করবো। দয়া করে কার্টেসি ব্যাতীত কপি করবেন না ]

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here